Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

M’Cheyne Bible Reading Plan

The classic M'Cheyne plan--read the Old Testament, New Testament, and Psalms or Gospels every day.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
গণনা 9

নিস্তারপর্ব

ইস্রায়েলের লোকরা মিশর ছেড়ে চলে আসার পরে দ্বিতীয় বছরের প্রথম মাসে প্রভু সীনয় মরুভূমিতে মোশির সাথে এই কথা বললেন, “ইস্রায়েলের লোকদের ঠিক সময়ে নিস্তারপর্বের পবিত্র দিন উদ্‌যাপন করতে বলে দাও। তারা অবশ্যই এই মাসের 14 তারিখ গোধুলি বেলায় উদ্বারের পবিত্র দিনের খাদ্য গ্রহণ করবে। তারা অবশ্যই নির্ধারিত সময়ে এই কাজ করবে এবং নিস্তারপর্বের সকল নিয়ম তারা অবশ্যই পালন করবে।”

সুতরাং মোশি ইস্রায়েলের লোকদের নিস্তারপর্ব উদ্‌যাপন করতে বলেছিল। ইস্রায়েলের লোকরা প্রথম মাসের 14 তারিখে গোধুলি বেলায় সীনয় মরুভূমিতে নিস্তারপর্ব পালন করেছিল। প্রভু মোশিকে যেভাবে আদেশ করেছিলেন ইস্রায়েলীয়রা ঠিক সেভাবেই কাজ করেছিল।

কিন্তু কিছু লোক ঐ দিনটিকে নিস্তারপর্বের পবিত্র দিন হিসেবে উদ্‌যাপন করতে পারে নি। তারা অশুচি ছিল, কারণ তারা একটা মৃতদেহ স্পর্শ করেছিল। সুতরাং তারা ঐ দিনে মোশি এবং হারোণের কাছে গেল। তারা মোশিকে বলল, “আমরা এক ব্যক্তির মৃতদেহ স্পর্শ করে অশুচি হয়েছি। নির্ধারিত সময়ে প্রভুকে উপহার দিতে আমাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। সুতরাং আমরা ইস্রায়েলের অন্যান্য লোকদের সঙ্গে নিস্তারপর্ব উদ্‌যাপন করতে পারছি না। আমরা কি করব?”

মোশি তাদের বলল, “আমি প্রভুকে জিজ্ঞেস করবো তিনি এ ব্যাপারে কি বলেন।”

তখন প্রভু মোশিকে বললেন, 10 “তুমি এই কথাগুলো ইস্রায়েলের লোকদের বলো: এই নিয়ম তোমাদের এবং তোমাদের উত্তরপুরুষদের জন্যই। কোনো একজনের পক্ষে নির্ধারিত সময়ে নিস্তারপর্ব উদ্‌যাপন করা সম্ভব নাও হতে পারে। হয়তো সেই ব্যক্তি মৃতদেহ স্পর্শ করে অশুচি হয়েছিল অথবা দূর দেশে যাত্রা করেছিল। 11 তবু সেই ব্যক্তি অন্য কোনোও সময়ে নিস্তারপর্ব উদ্‌যাপন করতে পারবে। দ্বিতীয় মাসের 14 তারিখে গোধুলি বেলায় অবশ্যই সে নিস্তারপর্ব উদ্‌যাপন করবে। ঐ সময়ে তারা অবশ্যই নিস্তারপর্বের মেষ, খামির ছাড়া তৈরী রুটি এবং কিছু তেতো শাকপাতা দিয়ে খাবে। 12 তারা পরের দিন সকাল পর্যন্ত ঐ খাবারের কোনো কিছুই অবশিষ্ট রাখবে না এবং অবশ্যই সেই মেষের কোনো হাড় ভগ্ন করবে না। সে অবশ্যই নিস্তারপর্বের সব নিয়ম অনুসরণ করবে; 13 কিন্তু যে লোকটি শুচি এবং বেড়াতে যায় নি সে যদি নির্দিষ্ট সময় নিস্তারপর্ব উদ্‌যাপন না করে, তাহলে তাকে অবশ্যই তার লোকদের কাছ থেকে আলাদা করে দেওয়া হবে। সে দোষী এবং শাস্তির যোগ্য কারণ সে নির্দিষ্ট সময় প্রভুকে তার উপহার দেয় নি।

14 “তোমাদের সঙ্গে আছে এমন কোনো বিদেশী যদি প্রভুর নিস্তারপর্ব উদ্যাপনের জন্য ইচ্ছুক হয় তাহলে সে অবশ্যই তা করবে কিন্তু সে অবশ্যই নিস্তারপর্বের সকল বিধি অনুসরণ করবে। একই নিয়ম সকলের জন্য প্রযোজ্য।”

মেষ এবং আগুন

15 যেদিন সমাগম তাঁবু অর্থাৎ‌ চুক্তির সেই তাঁবু স্থাপিত হল, সেদিন সন্ধ্যায় ঈশ্বরের মেঘ সেটিকে আবৃত করল এবং সকাল পর্যন্ত পবিত্র তাঁবুর ওপরের মেঘকে ঠিক আগুনের মতো দেখাচ্ছিল। 16 মেঘটি সমস্তক্ষণ পবিত্র তাঁবু আবৃত করত এবং রাত্রে সেটাকে আগুনের মতো দেখাতো। 17 মেঘটি পবিত্র তাঁবুর ওপর থেকে স্থান পরিবর্তন করলে, ইস্রায়েলীয়রা সেটিকে অনুসরণ করল। যখন মেঘটি থামত তখন ইস্রায়েলীয়রা সেখানেই শিবির স্থাপন করত। 18 কখন যাত্রা শুরু করতে হবে, কখন থামতে হবে এবং কখন শিবির স্থাপন করতে হবে সে ব্যাপারে ইস্রায়েলের লোকদের প্রভু এই রাস্তাই দেখিয়েছিলেন। যতক্ষণ পর্যন্ত পবিত্র তাঁবুর ওপরে মেঘ থাকত, ততক্ষণ পর্যন্ত লোকরা সেই একই জায়গায় শিবির স্থাপন করে বসবাস করত। 19 কোনো কোনো সময়ে পবিত্র তাঁবুর ওপরে দীর্ঘ সময় ধরে মেঘ থাকতো। ইস্রায়েলীয়রা প্রভুর আদেশ পালন করত এবং সেই স্থান ত্যাগ করত না। 20 কোনো সময়ে আবার অল্প কয়েকদিনের জন্য পবিত্র তাঁবুর ওপরে মেঘ থাকতো। সুতরাং লোকরা প্রভুর আদেশ পালন করত—যখন মেঘ চলতে শুরু করত, তখন তারাও সেই মেঘকে অনুসরণ করত। 21 কোনো সময় আবার মাত্র এক রাত্রির জন্য মেঘ স্থায়ী হত। পরদিন সকালেই আবার চলতে শুরু করত। সুতরাং লোকরা তাদের জিনিসপত্র এক জায়গায় জড়ো করে মেঘকে অনুসরণ করত। দিনের বেলায় অথবা রাত্রিতে যখনই মেঘ চলতে শুরু করত তখনই লোকরা তাকে অনুসরণ করত। 22 যদি সেই মেঘ দুদিন অথবা এক মাস অথবা এক বছরের জন্য পবিত্র তাঁবুর উপরে স্থায়ী হত তখনও লোকরা প্রভুর আদেশ পালন করত। তারা সেই জায়গায় থাকত এবং সেই স্থান থেকে মেঘ না সরে যাওয়া পর্যন্ত সেই স্থান তারা ত্যাগ করত না। এরপর মেঘ সেই জায়গা থেকে উঠে চলতে শুরু করলে, লোকরাও চলতে শুরু করত। 23 সুতরাং লোকরা প্রভুর আদেশ পালন করত। প্রভু বললে তারা শিবির স্থাপন করত এবং প্রভু বললে তারা চলতে শুরু করত। লোকরা খুব সতর্কভাবে নজর রাখত এবং প্রভু মোশিকে যা আদেশ করতেন তা তারা পালন করত।

গীতসংহিতা 45

পরিচালকের প্রতি: “শোশন্নীম” গানটি যে পর্দায় গাওয়া সেই পর্দায় গাওয়া। কোরহ পরিবার থেকে মস্কীল একটি গীত। একটি প্রেম গীত।

45 রাজার জন্য যখন আমি এই গানটি লিখছি,
    আমার মন চমৎ‌‌কার শব্দসমূহে ভরে যাচ্ছে।
একজন দক্ষ লেখকের কলমে যেমন শব্দ আসে,
    তেমনি ভাবে আমার মুখে শব্দগুলো আসছে।

যে কোন লোকের থেকেই তুমি সুন্দর!
    তুমি একজন দারুণ বক্তা।
    তাই ঈশ্বর সর্বদাই তোমাকে আশীর্বাদ করবেন!
তোমার তরবারি কোমরে বেঁধে নাও।
    তোমার গৌরবময় উর্দি পরে নাও।
তোমাকে বড় সুন্দর দেখায়! যাও, ন্যায় এবং সত্যের যুদ্ধে বিজয়ী হও।
    তোমার বলবান ডান হাত বিস্ময়কর কাজ করবার শিক্ষা পেয়েছে।
হে রাজা আপনার ধারালো তীরসমূহ আপনার শত্রুদের হৃদয়ের গভীরে বিদ্ধ হয়েছে, আপনার সামনেই তারা মাটিতে লুটিয়ে পড়বে।
    আপনি চিরকাল আপনার শত্রুদের ওপরে শাসন করবেন।
হে ঈশ্বর, আপনার সিংহাসন চিরবিরাজমান থাকবে!
    আপনি ন্যায়সঙ্গতভাবে শাসন করেন।
আপনি ন্যায় ভালোবাসেন এবং আপনি মন্দ ঘৃণা করেন।
    তাই ঈশ্বর, আপনার ঈশ্বর
    আপনাকে আপনার অনুগামীদের রাজা করেছেন।
আপনার পোশাক চন্দন, ঘৃতকুমারী ও দারুচিনির গন্ধে সুবাসিত।
    হাতির দাঁতের কাজ করা আপনার প্রাসাদ থেকে আপনার বিনোদনের জন্য সঙ্গীত ভেসে আসছে।
আপনার সভা-নন্দিনীরা সকলেই রাজকন্যা, রাণী
    আপনার ডানদিকে খাঁটি সোনার রাজমুকুট পরে বসে আছেন।

10 হে আমার নারী, আমার কথা শোন।
    খুব মন দিয়ে শোন, তাহলে তুমি বুঝতে পারবে।
নিজের লোকজন
এবং বাপের বাড়ীর কথা ভুলে যাও।
11     তাহলে রাজা তোমার রূপে খুশী হবেন।
তিনি তোমার নতুন প্রভু হবেন।
    তাই তাঁকে তোমার সম্মান করা উচিৎ‌।
12 সোর প্রদেশের ধনী লোকরা, তোমার সাক্ষাৎ পাবার জন্য
    তোমার কাছে মূল্যবান উপহার সামগ্রী নিয়ে আসবে।

13 সোনার সুতো দিয়ে বোনা তাঁর পোশাকে
    রাজকন্যাকে দেখতে মহিযসী লাগছে।
14 সেই সুন্দর পোশাক পরে যখন তিনি রাজার কাছে যাবেন
    তখন রাজার সভা-নন্দিনীরা তাঁর পিছন পিছন যাবে।
15 নাচে, গানে, আনন্দে মশগুল হয়ে
    তারা রাজপ্রাসাদের দিকে যাবে।

16 হে রাজা, আপনার পরে, রাজ্য শাসন করার জন্য
    আপনি অনেক পুত্র সন্তান পাবেন। যাতে আপনার পরে তারা রাজ্য শাসন করতে পারে।
17 আমি আপনার নাম চিরদিনের জন্য বিখ্যাত করে যাবো।
    লোকে চিরকাল আপনার প্রশংসা করে যাবে!

পরমগীত 7

পুরুষটি তার রূপের প্রশংসা করে

রাজকন্যে, তোমার জুতো পরা পা দুখানি কত সুন্দর!
তোমার বক্র রেখায়িত দুটি ঊরু শিল্পীর তৈরী অলঙ্কারের মত।
তোমার নাভি গোলাকার পাত্রের মত,
    তা যেন সব সময় দ্রাক্ষারসে পূর্ণ থাকে।
তোমার উদর দেশ
    পদ্ম দিয়ে ঘেরা স্তূপীকৃত গমের মত।
তোমার স্তন দুটি
    গজলা হরিণের যমজ শাবকের মত।
তোমার কণ্ঠদেশ হাতির দাঁতের স্তম্ভের মত।
তোমার দুটি চোখ বৎ-রব্বীমের দ্বারবর্তী
    হিশ্বনের সরোবরের মতই সুন্দর।
তোমার নাক লিবানোনের সেই স্তম্ভের মত
    যে স্তম্ভ দম্মেশকের দিকে চেয়ে থাকে।
তোমার মাথা কর্ম্মিল পর্বতের মত।
    তোমার মাথার চুল রেশমের মত।
তোমার দীর্ঘ দোলায়িত চুল
    রাজাকে পর্যন্ত আকৃষ্ট করে!
তুমি সত্যিই সুন্দরী! তুমি সত্যিই মনোরমা!
    প্রিয়া আমার, সত্যিই তুমি একজন সব চেয়ে মনোরমা যুবতী!
তুমি তালগাছের মত দীর্ঘ
    এবং তোমার স্তন দুটি
    সেই গাছের থোকা থোকা ফলের মত।
আমি সেই গাছে চড়তে চাই, এবং আমি তার ডাল ধরতে চাই।
    তোমার বক্ষযুগল দ্রাক্ষার থোকার মত সুগন্ধিময় হোক্।

তোমার মুখের স্বাদ যেন হয় শ্রেষ্ঠ দ্রাক্ষারসের মত।
    দ্রাক্ষারস ওষ্ঠাধর ও দাঁতের ওপর দিয়ে গড়িয়ে
    আমার প্রেমের ওপর ঝরে পড়ে।

পুরুষটির প্রতি নারীর উক্তি

10 আমি আমার প্রেমিকের
    এবং সে আমাকে চায়!
11 এসো প্রিয়তম আমার,
    আমরা মাঠে চলে যাই।
    এসো আমরা প্রস্ফুটিত হেনা ফুলের মাঝে আমাদের রাত কাটাই।
12 এসো আমরা তাড়াতাড়ি উঠে দ্রাক্ষা ক্ষেতে যাই।
    চল আমরা দেখি দ্রাক্ষার মুকুল ধরেছে কি না।
চল আমরা দেখি কুঁড়ি প্রস্ফুটিত হয়েছে কি না,
    ডালিমের গাছে মঞ্জরী ধরেছে কি না।
সেখানে তোমাকে আমি আমার প্রেম দেবো।

13 দূদাফল[a] গন্ধ বিস্তার করছে
    এবং সমস্ত ফলই আমার দুয়ারে আছে।
প্রিয়তম আমার, আমি তোমার জন্য নানা মনোরম জিনিস সংগ্রহ করে রেখেছি।
    নতুন এবং পুরাতন নানা জিনিস!

ইব্রীয় 7

যাজক মল্কীষেদক

এই মল্কীষেদক শালেমের রাজা ও পরাৎ‌পর ঈশ্বরের যাজক ছিলেন। অব্রাহাম যখন রাজাদের পরাস্ত করে ঘরে ফিরছিলেন তখন এই মল্কীষেদক অব্রাহামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁকে আশীর্বাদ করেছিলেন। অব্রাহাম যুদ্ধ জয় করে যা কিছু পেয়েছিলেন তার দশ ভাগের একভাগ তাঁকে দিয়েছিলেন।

মল্কীষেদকের নামের অর্থ হল, “ন্যায়ের রাজা,” এরপর তিনি আবার “শালেমের রাজা” অর্থাৎ “শান্তিরাজ।” মল্কীষেদকের মা, বাবা, বা তাঁর পূর্বপুরুষের কোন বংশতালিক পাওয়া যায় না, তার শুরু বা শেষের কোন নথি নেই। ঈশ্বরের পুত্রের মতো তিনি হলেন অনন্তকালীন যাজক।

তাহলে তোমরা দেখলে, মল্কীষেদক কতো মহান ছিলেন। এমন কি আমাদের কুলপিতা অব্রাহাম যুদ্ধ জয় করে লুঠ করা দ্রব্যের দশ ভাগের এক ভাগ তাঁকে দিয়েছিলেন। লেবির সন্তানদের মধ্যে যাঁরা যাজক হন তাঁরা তাঁদের ভাই ইস্রায়েলের সন্তানদের কাছ থেকে বিধি-ব্যবস্থা অনুসারে এক দশমাংশ গ্রহণ করার অধিকার লাভ করেন, যদিও তাঁরা উভয়েই অব্রাহামের বংশধর। মল্কীষেদক লেবির বংশের ছিলেন না, কিন্তু তিনি অব্রাহামের কাছ থেকে দশমাংশ নিয়েছিলেন; আর ঈশ্বর যাকে আশীর্বাদ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন সেই অব্রাহামকে আশীর্বাদ করেছিলেন। এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই যে ক্ষুদ্রতর ব্যক্তিই সব সময় মহত্তর ব্যক্তির কাছ থেকে আশীর্বাদ লাভ করে।

ইহুদী যাজকরা মরণশীল হয়েও এক দশমাংশ পেয়েছিলেন। কিন্তু মল্কীষেদক, যিনি অব্রাহামের কাছ থেকে এক দশমাংশ পেয়েছিলেন তিনি জীবিত, শাস্ত্র এই কথা বলে। আবার এও বলা যেতে পারে যে লেবি নিজেও অব্রাহামের মধ্য দিয়ে মল্কীষেদককে দশমাংশ দিয়েছেন। 10 মল্কীষেদক যখন অব্রাহামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তখন লেবি তাঁর পিতৃকুলপতির (অব্রাহামের) দেহে অবস্থান করছিলেন।

11 যাঁরা যাজকের কাজ করতেন সেই লেবির বংশধরদের কাজের উপর ভিত্তি করে ঈশ্বর ইস্রায়েলীয়দের তাঁর বিধি-ব্যবস্থা দিয়েছিলেন। সেই যাজকের মাধ্যমে যখন লোকেরা আত্মিকভাবে সিদ্ধি লাভ করতে পারে নি তখন অন্য এক যাজকের আসার প্রয়োজন হল, অন্য একজন যাজক যিনি হারোণের মতো নন কিন্তু মল্কীষেদকের মতো। 12 যখন যাজকত্ব বদলানো হয় তখন বিধি-ব্যবস্থারও পরিবর্তন আবশ্যক হয়ে পড়ে। 13 আমরা এসব কথা খ্রীষ্টের বিষয়ে বলছি। তিনি তো অন্য বংশভুক্ত। সেই বংশের কেউ তো যাজকরূপে যজ্ঞবেদীর পরিচর্যা কখনও করেন নি। 14 কারণ এটা সুস্পষ্ট যে আমাদের প্রভু যিহূদা বংশ থেকেই এসেছেন; আর এই বংশের ব্যাপারে মোশি যাজক হওয়ার বিষয়ে কিছুই বলেন নি।

যীশু মল্কীষেদকের মতোই যাজক

15 এই বিষয়গুলি আরও সুস্পষ্ট হয়ে যায় যখন আমরা মল্কীষেদকের মতো আর একজন যাজককে মূর্ত্তমান হতে দেখি। 16 তিনি মানুষের রীতি-নীতি এবং বিধি-ব্যবস্থা অনুযায়ী যাজক হন নি, কিন্তু তিনি অবিনশ্বর জীবনী শক্তির অধিকারী হয়েই তা হয়েছিলেন। 17 কারণ তাঁর বিষয়ে শাস্ত্রে একথা বলা হয়েছে: “মল্কীষেদকের মতো তুমি অনন্তকালীন যাজক।”(A)

18 পুরানো বিধান বাতিল করা হল, কারণ তা দুর্বল ও অকেজো হয়ে পড়েছিল। 19 কারণ মোশির বিধি-ব্যবস্থা কিছুই সিদ্ধ করতে পারে নি। এখন আমাদের কাছে মহত্তর আশা রয়েছে, যার মাধ্যমে আমরা ঈশ্বরের কাছে উপস্থিত হতে পারি।

20 আরো উল্লেখযোগ্য বিষয় এই যে ঈশ্বর যখন যীশুকে মহাযাজক করেন তখন ঈশ্বর শপথ করেছিলেন, অন্যরা যাজক হবার সময় ঈশ্বর কোন শপথ করেন নি, 21 কিন্তু তিনি যীশুকে যাজক করার সময় শপথ করলেন। ঈশ্বর বললেন:

“প্রভু এক শপথ করলেন,
    আর তিনি এ বিষয়ে তাঁর মন বদলাবেন না,
‘তুমি অনন্তকালীন যাজক।’”(B)

22 এই শপথের কারণে যীশু ঈশ্বরের সঙ্গে মানুষের উত্কৃষ্টতর এক চুক্তির জামিনদার হয়েছেন।

23 অনেকে যাজক হয়েছিলেন, কারণ মৃত্যু কোনও একজন যাজককে অনন্তকালের জন্য থাকতে দেয় নি। 24 কিন্তু ইনি (যীশু) চিরজীবি বলে তাঁর এই যাজকত্ব চিরস্থায়ী। 25 তাই যাঁরা খ্রীষ্টের মাধ্যমে ঈশ্বরের কাছে আসে তাদের তিনি চিরকাল উদ্ধার করতে পারেন, কারণ তাদের জন্য তাঁর কাছে আবেদন করতে তিনি চিরকাল জীবিত আছেন।

26 প্রকৃতপক্ষে যীশুর মতো এইরকম পবিত্র, নির্দোষ ও নিষ্কলঙ্ক একজন মহাযাজক আমাদের প্রয়োজন ছিল। তিনি পাপীদের থেকে স্বতন্ত্র, আর আকাশ মণ্ডলের উর্দ্ধেও তাঁকে উন্নীত করা হয়েছে। 27 তিনি অন্যান্য যাজকদের মতো নন। অন্যান্য যাজকদের মতো প্রতিদিন আগে নিজের পাপের জন্য ও পরে লোকদের পাপের জন্য বলি উৎসর্গ করার তাঁর কোন প্রয়োজন নেই, কারণ তিনি যখন নিজেকে বলিরূপে একবার উৎসর্গ করেন তখনই তিনি সেই কাজ চিরকালের জন্য সম্পন্ন করেন। 28 বিধি-ব্যবস্থানুসারে যে সব মহাযাজক নিয়োগ করা হয় তারা দুর্বল মানুষ; কিন্তু পরে ঈশ্বরের শপথ বাক্যের দ্বারা, যাঁকে মহাযাজকরূপে নিয়োগ করা হয়, তিনি ঈশ্বরের পুত্র, যিনি চির সিদ্ধ।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International