M’Cheyne Bible Reading Plan
নাসরীয়দের ব্যবস্থা
6 প্রভু মোশিকে বললেন, 2 “ইস্রায়েলের লোকদের বলো: কোন পুরুষ বা স্ত্রী যদি নাসরীয় হবার জন্য অর্থাৎ প্রভুর জন্য নিজেকে পৃথক করে তবে, 3 ঐ সময় সেই ব্যক্তি যেন কোনো দ্রাক্ষারস বা অন্য কোনো কড়া পানীয় পান না করে। সেই ব্যক্তি দ্রাক্ষারস বা অন্য কোনো কড়া পানীয় থেকে তৈরী সিরকাও পান করবে না। এবং তাজা দ্রাক্ষা কিংবা কিশ্মিশ্ খাবে না। 4 আলাদা থাকার এই বিশেষ সময় দ্রাক্ষা থেকে তৈরী কোনো কিছুই সে খাবে না, এমনকি দ্রাক্ষার বীজ অথবা খোসাও নয়।
5 “নাসরীয় হয়ে থাকার এই বিশেষ সময়ে সেই ব্যক্তি তার চুলও কাটবে না। এই বিশেষ সময়টি শেষ না হওয়া পর্যন্ত সে অবশ্যই পবিত্র থাকবে। সে তার চুলকে বড় হতে দেবে। সেই ব্যক্তির চুল হচ্ছে ঈশ্বরের কাছে তার শপথের একটি বিশেষ অংশ। ঈশ্বরের কাছে উপহার হিসেবে সে তার চুল দান করবে। সুতরাং আলাদা থাকার এই বিশেষ সময়টি শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেই ব্যক্তি তার চুল কাটবে না, তাকে বাড়তে দেবে।
6 “পৃথক থাকার এই বিশেষ সময় একজন নাসরীয় কোনো মৃতদেহের কাছে অবশ্যই যাবে না। কারণ, সেই ব্যক্তি প্রভুর কাছে নিজেকে সম্পূর্ণ সমর্পণ করেছে। 7 এমনকি যদি তার নিজের পিতামাতা কিংবা ভাই অথবা বোন মারা যায়, তাহলেও সে অবশ্যই তাদের স্পর্শ করবে না। এটা তাকে অশুচি করে দেবে। তাকে অবশ্যই দেখাতে হবে যে, সে পৃথক এবং সম্পূর্ণভাবে সে নিজেকে ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ করেছে। 8 পৃথক থাকার এই পুরো সময়ে সে অবশ্যই সম্পূর্ণভাবে নিজেকে প্রভুর কাছে নিবেদন করবে। 9 এও হতে পারে যে, নাসরীয় এমন একজনের সঙ্গে আছে যে অকস্মাৎ মারা গেছে। যদি নাসরীয় এই মৃত ব্যক্তিকে স্পর্শ করে তবে সে অপবিত্র হয়ে যাবে। যদি তাই হয়, তবে নাসরীয় অবশ্যই মাথার সমস্ত চুল কেটে ফেলবে। (ঐ চুল তার বিশেষ প্রতিজ্ঞার একটি অংশ ছিল।) সে অবশ্যই সপ্তম দিনে তার চুল কাটবে, কারণ ঐ দিনে তাকে শুচি করা হবে। 10 এরপর অষ্টম দিনে সেই নাসরীয় অবশ্যই দুটি ঘুঘু এবং দুটি পায়রার বাচ্চা যাজকের কাছে নিয়ে আসবে। সমাগম তাঁবুর প্রবেশ পথেই সে যাজকের কাছে এগুলিকে দিয়ে দেবে। 11 তখন যাজক এদের একটিকে পাপ থেকে শুচি হবার জন্য উৎসর্গ করবে। অপরটিকে সে দাহ করার জন্য উৎসর্গ করবে। এই দাহ করা উৎসর্গই হবে নাসরীয়র পাপের প্রতিদান। (সে পাপী কারণ সে একটি মৃতদেহের কাছে ছিল।) ঐ সময় সেই ব্যক্তি ঈশ্বরের কাছে উপহার হিসাবে তার মাথার চুল দেবার জন্য আবার শপথ করবে। 12 এর অর্থ হল, সেই ব্যক্তি আবার আলাদা থেকে ঈশ্বরের কাছে নিজেকে অবশ্যই সমর্পণ করবে। অবশ্যই সে একটি এক বছর বয়স্ক পুরুষ মেষ নিয়ে আসবে। এবং এই মেষ দোষার্থক বলি হিসাবে উৎসর্গ করবে। তার পৃথক থাকার প্রথম পর্যায়কে গণনা করা হবে না। সে নতুন করে পৃথক থাকতে শুরু করবে। এটা অবশ্যই করতে হবে কারণ সে তার প্রথম পৃথক থাকার সময় একটি মৃতদেহ স্পর্শ করায় অশুচি হয়েছিল।
13 “তার পৃথক থাকার নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়ার পরে নাসরীয় অবশ্যই সমাগম তাঁবুর প্রবেশ পথে যাবে। 14 এবং প্রভুর কাছে তার যা কিছু উৎসর্গ করার তা করবে। তার উৎসর্গ অবশ্যই হবে:
একটি নিখুঁত এক বছর বয়স্ক পুরুষ মেষশাবক যা হোমবলির জন্য উৎসর্গ করা হবে।
একটি নিখুঁত এক বছর বয়স্ক স্ত্রী মেষশাবক যা পাপার্থক বলির জন্য উৎসর্গ করা হবে।
একটি নিখুঁত মেষ যা মঙ্গল নৈবেদ্যর জন্য উৎসর্গ করা হবে।
15 এক ঝুড়ি রুটি যা খামিরবিহীনভাবে তৈরী (তেলের সঙ্গে খুব ভালো ময়দা মিলিয়ে তৈরী কেক।) এইসব কেকের ওপরে অবশ্যই তেল ছড়ানো থাকবে।
এইসব উপহারের সঙ্গেই শস্য নৈবেদ্য এবং পেয় নৈবেদ্য উৎসর্গ করা হবে।
16 “যাজক এই সকল দ্রব্যসামগ্রী প্রভুর সামনে উপস্থিত করে তখনই পাপস্খালনের জন্য বলি এবং হোমবলি উৎসর্গ করবেন। 17 যাজক খামিরবিহীন তৈরী এক ঝুড়ি রুটি প্রভুকে দেবেন। তারপর তিনি প্রভুর কাছে মঙ্গল নৈবেদ্য উৎসর্গের জন্য সেই পুং মেষটিকে হত্যা করবেন। যাজক এটিকে শস্য নৈবেদ্য ও পেয় নৈবেদ্যর সাথেই প্রভুকে উৎসর্গ করবেন।
18 “এরপর নাসরীয় সমাগম তাঁবুর প্রবেশ পথে যাবে। সেখানে সে তার এই উৎসর্গ করা চুল কেটে ফেলবে এবং যে আগুন মঙ্গল নৈবেদ্যর জন্য উৎসর্গীকৃত নৈবেদ্যর নীচে জ্বলছে তাতে সেই চুল ফেলে দেওয়া হবে।
19 “নাসরীয় তার চুল কেটে ফেলার পরে যাজক তাকে পুং মেষের একটি সেদ্ধ করা স্কন্ধ, একটি পিঠে আর একটি সরুচাকলী ঝুড়ি থেকে দেবেন। এই দুটিই খামির ছাড়া তৈরী করা হবে। 20 এর পর যাজক এইসব দ্রব্যসামগ্রী প্রভুর সামনে দোলাবেন। এটি হল দোলনীয় নৈবেদ্য। এইসব দ্রব্যসামগ্রী পবিত্র এবং এগুলো সবই যাজকের। এছাড়াও মেষের বুক এবং উরুও প্রভুর সামনে দোলানো হবে। এইসব দ্রব্যসামগ্রীও যাজকের। এর পর নাসরীয় ব্যক্তিটি দ্রাক্ষারস পান করতে পারে।
21 “যে ব্যক্তি নাসরীয় শপথ করবে বলে মনস্থ করেছে তার জন্য ঐগুলোই হল নিয়ম। ঐ ব্যক্তি অবশ্যই প্রভুকে ঐসব উপহার দেবে। এছাড়াও যদি কোনো ব্যক্তি আরও কিছু বেশী দিতে সক্ষম হয় এবং তা দেবার জন্য শপথ করে থাকে, তাহলে তাকে অবশ্যই তার শপথ রাখতে হবে। তবে তাকে অবশ্যই কমপক্ষে ঐসব জিনিসপত্র দিতেই হবে যা নাসরীয় শপথের নিয়মে তালিকাভুক্ত হয়েছে।”
যাজকের আশীর্বাদ
22 প্রভু মোশিকে বললেন, 23 “হারোণ এবং তার পুত্রদের বলে দাও যে, এভাবেই তারা ইস্রায়েলের লোকদের আশীর্বাদ করবে। তারা বলবে:
24 ‘প্রভু তোমাদের আশীর্বাদ করুন এবং রক্ষা করুন।
25 প্রভু তোমাদের প্রতি সদয় হোন
এবং তোমাদের করুণা প্রদর্শন করুন।
26 প্রভু তোমাদের প্রার্থনার উত্তর দিন
এবং তোমাদের শান্তি দিন।’
27 এরপর প্রভু বললেন, “ইস্রায়েলের লোকদের আশীর্বাদ করার জন্য হারোণ এবং তার পুত্ররা আমার নাম ব্যবহার করবে এবং আমি তাদের আশীর্বাদ করবো।”
পরিচালকের প্রতি: দায়ূদের একটি গীত।
40 আমি প্রভুকে ডেকেছিলাম, তিনি তা শুনেছেন।
তিনি আমার ডাক শুনেছেন।
2 তিনি আমাকে কবর থেকে টেনে তুলেছেন।
তিনি আমাকে সেই কাদাময় জায়গা থেকে টেনে তুলেছেন।
তিনি আমায় উদ্ধার করে, আমাকে শক্ত মাটিতে দাঁড় করিয়েছেন।
তিনি আমার পদস্খলন হতে দেন নি।
3 প্রভু আমার মুখে নতুন গান দিয়েছেন,
সেই গান দিয়ে আমি আমার ঈশ্বরের প্রশংসা করি।
বহুলোক দেখতে পাবে আমার কি হবে
এবং তারা ঈশ্বরের উপাসনা করবে। তাঁরা প্রভুকে বিশ্বাস করবে।
4 সেই ধন্য যে প্রভুর উপর বিশ্বাস রাখে।
যদি কেউ অপদেবতা এবং মূর্ত্তির দিকে সাহায্যের জন্য না যায় সে প্রকৃতই সুখী হবে।
5 প্রভু, আমাদের ঈশ্বর, আপনি অনেক আশ্চর্য কার্য করেছেন!
আমাদের জন্য আপনার ভীষণ ভালো পরিকল্পনা আছে।
কোন লোকই তার সব তালিকা করতে পারবে না!
আমি সেই সব জিনিসের কথা বার বার বলবো যা গুনে শেষ করা যায় না।
6 আপনি আমাকে প্রকৃত সত্য বাণী শোনবার কান দিয়েছেন।
হে প্রভু আপনি আমাকে এটা বুঝতে দিয়েছেন।
আপনি প্রকৃতপক্ষে উৎসর্গ বা শস্য নৈবেদ্য কোনটাই চান নি।
আপনি আসলে হোমবলি এবং পাপমোচনের নৈবেদ্যও চান না।
কিন্তু আপনি যা চান তা হল অন্য আরো কিছু।
7 তাই আমি বলেছি, “এই যে আমি, আমায় গ্রহণ করুন।
আমি এসেছি, আমার সম্পর্কে বইতে এমনই লেখা আছে।
8 হে ঈশ্বর, আপনি যা চান, আমি সেইগুলোই করতে চাই।
আমি আপনার শিক্ষামালাগুলো জানতে চাই।”
9 মহাসভায় মানুষের সামনে আমি জয়ের কথা বলেছি।
এবং প্রভু আপনি জানেন, সুসমাচার উচ্চারণ করা থেকে আমি কখনও বিরত হব না।
10 আপনার কৃত মহৎ কীর্তি সম্পর্কে আমি বলেছি।
আমার অন্তরেও আমি সে সব কথা গোপন রাখি নি।
প্রভু আমি লোকদের বলেছি, নিজেদের বাঁচানোর জন্য তারা আপনার ওপর নির্ভর করতে পারে।
আমি মহাসভায় আপনার করুণা ও বিশ্বস্ততা গোপন করি নি।
11 তাই, প্রভু আপনার করুণা আমার কাছে লুকোবেন না!
আপনার করুণা ও বিশ্বস্ততা দিয়ে আমায় রক্ষা করুন।
12 মন্দ লোকরা আমার চারদিকে জড় হয়েছে।
তাদের গুনে শেষ করা যাবে না!
আমি আমার পাপের আবর্ত্তে আটকে পড়েছি।
আমি তা থেকে পালাতে পারছি না।
আমার মাথার চুলের চেয়েও ওদের সংখ্যা বেশী।
আমি সাহস হারিয়েছি।
13 প্রভু আমার কাছে ছুটে আসুন, আমায় বাঁচান!
প্রভু তাড়াতাড়ি এসে আমায় সাহায্য করুন!
14 ঐসব মন্দ লোক আমায় হত্যা করতে চাইছে।
প্রভু ঐসব লোককে হতাশ ও লজ্জিত করুন।
ঐ লোকরা আমায় আঘাত করতে চাইছে।
ওরা যেন লজ্জায় ছুটে পালিয়ে যায়!
15 ঐ মন্দ লোকরা আমায় নিয়ে হাসাহাসি করে।
ঐসব লোক যেন অবমাননায় বোবা হয়ে যায়!
16 কিন্তু তারা, যারা আপনার কাছে আসে যেন সুখী হয় ও আনন্দ পায়।
তারা আপনার হাতে উদ্ধার পেতে ভালবাসে। অতএব তারা বলুক, “প্রভুর প্রশংসা কর!”
17 প্রভু, আমি একজন দরিদ্র ও অসহায় মানুষ।
আমায় সাহায্য করুন, আমায় রক্ষা করুন।
হে আমার ঈশ্বর, আর দেরী করবেন না!
পরিচালকের প্রতি। দায়ূদের একটি গীত।
41 সেই ব্যক্তি যে দীন দরিদ্রকে সফল হতে সাহায্য করে, সে বিপুল পরিমানে আশীর্বাদ পাবে।
সমস্যার সময় প্রভু তাকে উদ্ধার করবেন।
2 প্রভু সেই ব্যক্তিকে রক্ষা করবেন এবং জীবিত রাখবেন।
পৃথিবীতে সেই লোকই আশীর্বাদ ধন্য হবে।
তার সেই লোকের শত্রুর হাতে ঈশ্বর তাকে ধ্বংস হতে দেবেন না।
3 যখন সেই ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে থাকে, প্রভু তাকে শক্তি দেন।
সে বিছানায় অসুস্থ থাকতে পারে, কিন্তু প্রভু তাকে সুস্থ করে দেন!
4 আমি বলেছিলাম, “প্রভু, আমার প্রতি সদয় হোন,
আমি আপনার বিরুদ্ধে পাপ করেছি, আপনি আমায় ক্ষমা করে দিন, সুস্থ করে তুলুন।”
5 আমার শত্রুরা আমার সম্পর্কে খারাপ কথা বলছে।
তারা বলে, “যখন ও মারা যাবে তখন ওর নাম মুছে যাবে।”
6 লোকে আমাকে দেখতে আসে
কিন্তু তারা প্রকৃতই কি ভাবছে, তা আমাকে বলে না।
ওরা আমার সম্পর্কে খবর নিতে আসে
এবং ফিরে গিয়ে গুজব ছড়ায়।
7 আমার শত্রু আমার সম্পর্কে কানাঘুষো করে।
ওরা আমার বিরুদ্ধে খারাপ কাজ করার ষড়যন্ত্র করছে।
8 ওরা বলে, “ও নিশ্চয় কোন অন্যায় কাজ করেছিলো।
তাই ও অসুস্থ হয়েছে
এবং আর কখনও ভালো হয়ে উঠবে না।”
9 আমার প্রিয়তম বন্ধু, আমার সঙ্গে খেয়েছে।
আমি ওকে বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু এখন সেও আমার বিরুদ্ধে গিয়েছে।
10 তাই প্রভু আমার প্রতি সদয় হোন।
আমাকে উঠে দাঁড়াতে দিন, ওদের প্রাপ্য আমি ফেরৎ দেবো।
11 প্রভু শত্রুদের হাতে আমাকে আহত হতে দেবেন না।
তাহলে আমি বুঝবো আমাকে আঘাত করার জন্য আপনি ওদের পাঠান নি।
12 আমি নির্দোষ ছিলাম, তাই আপনি আমায় সহায়তা দিয়েছিলেন।
আমাকে উঠে দাঁড়াতে দিন, চিরদিন আপনার সেবা করতে দিন।
13 প্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বরের প্রশংসা কর!
তিনি চিরদিন ছিলেন, তিনি চিরদিন বিরাজিত থাকবেন।
আমেন।
নারীর প্রতি পুরুষের উক্তি
4 প্রিয়তমা আমার, তুমি অনন্যা!
সত্যি, তুমি সুন্দরী!
ঘোমটার অন্তরালে
তোমার চোখ দুটি যেন কপোতী।
তোমার চুল গিলিয়দ পর্বতের ঢাল বেয়ে নেমে আসা
মেষের পালের মতই।
2 স্নানের পর মেষের দল যেমন সারিবদ্ধ এবং সুবিন্যস্ত থাকে,
তোমার দাঁতগুলো তেমনি সুন্দর।
তারা প্রত্যেকেই যমজ শাবকের জন্ম দিয়েছে
এবং একটা মেষও তার শাবককে হারায়নি।
3 তোমার ঠোঁট রক্তিম সুতোর মত।
তোমার মুখখানি অনুপম ঘোমটার আড়ালে
তোমার গণ্ডদেশ যেন দু-আধখানা করা
ডালিম ফলের মত।
4 তোমার কণ্ঠদেশ পাথরের সারি দিয়ে বানানো
দায়ূদের স্তম্ভের মত।
শক্তিশালী বীরদের শত শত ঢাল ঝুলিয়ে রাখার জন্য
যে স্তম্ভ নির্মিত হয়,
তোমার কণ্ঠদেশ সেই স্তম্ভের মত সুন্দর।
5 তোমার স্তন দুটি
শালুক ফুলের মাঝে চরে বেড়ানো
যমজ হরিণ শাবকের মত।
6 দিনের ছায়া যখন মিলিয়ে আসবে,
দিনের শেষ বাতাস যখন প্রবাহিত হবে
তখন আমি সেই সুগন্ধির পাহাড়ে এবং সেই গুগ্গুলের পর্বতে যাবো।
7 প্রিয়তমা আমার, তুমি সর্বাঙ্গ সুন্দরী।
কোথাও তোমার এতটুকু খুঁত নেই!
8 বধূ আমার, আমার সঙ্গে লিবানোন থেকে এসো।
লিবানোন থেকে আমার সঙ্গে এসো।
অমানার পর্বত থেকে এসো,
শনীর ও হর্ম্মোণের চূড়া থেকে এসো,
সিংহের গুহাদেশ থেকে এসো,
এবং চিতাবাঘের পর্বত থেকে এসো!
9 প্রিয়া আমার, বধূ আমার,
তুমি আমায় উৎসাহিত করেছো।
তুমি আমার হৃদয়কে বন্দী করেছো।
তুমি তোমার অলঙ্কারের একটি মুক্তা দিয়ে,
তোমার নয়নের একটি কটাক্ষ দিয়ে আমার মন হরণ করেছো!
10 প্রিয়া আমার, বধূ আমার, তোমার ভালোবাসা কত মনোরম!
তোমার ভালোবাসা দ্রাক্ষারসের চেয়েও সুন্দর,
তোমার দেহের ঘ্রাণ
যে কোন সুগন্ধির চেয়েও উৎকৃষ্ট!
11 বধূ আমার, তোমার ওষ্ঠাধর মধুময়,
তোমার জিহ্বাগ্রে দুধ ও মধুর স্বাদ।
তোমার বেশভূষায় লিবানোনের সুগন্ধ আছে।
12 প্রিয়া আমার, বধূ আমার,
তুমি একটি সুরক্ষিত উদ্যানের মত পবিত্র।
তুমি একটি সুরক্ষিত সরোবরের মত
এবং বদ্ধ ঝর্ণার মত।
13 তোমার ডালপালাগুলি সুদৃশ্য ডালিম
এবং রসে ভরা হেন্না উদ্যানের মত।
14 যে গাছে মেহেন্দি, গন্ধদ্রব্য, জাফরান, রজন ইত্যাদি হয়,
সেই গাছের মতই তোমার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সুন্দর।
তোমার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সৌরভে ভরা চন্দন গাছের বাগানের মতোই সুন্দর।
15 তুমি উদ্যানের ঝর্ণার মত স্বচ্ছ টলটলে,
জলের প্রস্রবনের কুয়োর মত,
তুমি লিবানোনের পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝর্ণার মতোই সুন্দর।
নারীর উক্তি
16 হে উত্তরের বাতাস, তুমি প্রবাহিত হও!
হে দক্ষিণা বাতাস, তুমি এসো!
আমার বাগানের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হও
এবং এর সুমিষ্ট সৌরভ ছড়িয়ে দাও।
আমার প্রিয়তম তার বাগানে প্রবেশ করুক
এবং বাগানের সুন্দর ফলগুলো ভোজন করুক।
4 ঈশ্বর সেই লোকদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা এখনও আমাদের জন্য রয়েছে। এই সেই প্রতিশ্রুতি যে, আমরা ঈশ্বরের বিশ্রামে প্রবেশ করতে পারব। তাই আমাদের খুব সতর্ক থাকা দরকার, যেন তোমাদের মধ্যে কেউ ব্যর্থ না হও। 2 পরিত্রাণ লাভের জন্য সুসমাচার যেমন ওদের কাছে প্রচার করা হয়েছিল তেমনি আমাদের কাছেও প্রচার করা হয়েছে, তবু সেই সুসমাচার শিক্ষা শুনেও তাদের কোন শুভ ফল দেখা গেল না, কারণ তারা তা শুনে বিশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করে নি। 3 আমরা যারা বিশ্বাস করেছি, তারাই সেই বিশ্রামের স্থানে প্রবেশ করতে সক্ষম। ঈশ্বর যেমন বলেছিলেন,
“আমি ক্রুদ্ধ হয়ে শপথ করেছি:
‘এরা কখনও আমার বিশ্রামস্থলে প্রবেশ করতে পারবে না।’”(A)
একথা ঈশ্বর বলেছেন যদিও ঈশ্বরের সমস্ত কাজ জগৎ সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গেই সমাপ্ত হয়েছিল। 4 শাস্ত্রের কোন কোন জায়গায় ঈশ্বর সপ্তাহের সপ্তম দিনের বিষয়ে বলেছিলেন: “সৃষ্টির সমস্ত কাজ শেষ করে সপ্তম দিনে তিনি বিশ্রাম করলেন।”(B) 5 আবার শাস্ত্রের অন্য একস্থানে ঈশ্বর বলছেন: “আমার বিশ্রামে ঐ মানুষদের কখনই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।”
6 তবুও একথা এখনও সত্য যে কেউ সেই বিশ্রামে প্রবেশ করবে, কিন্তু সেই লোকেরা যারা প্রথমে সুসমাচারের কথা শুনেছিল, অবাধ্য হওয়ার কারণে সেখানে প্রবেশ করে নি। 7 তখন ঈশ্বর আবার একটি দিন স্থির করলেন, আর সেই দিনের বিষয়ে তিনি বললেন, “আজ”। ঈশ্বর এর বহুদিন পর রাজা দায়ূদের মাধ্যমে এই দিনটির বিষয়ে বলেছিলেন। যেমন এ বিষয়ে আগেই শাস্ত্রের কথা উল্লেখ করা হয়েছে:
“আজ যদি তোমরা ঈশ্বরের রব শোন,
তবে অতীত দিনের মতো তোমাদের হৃদয় কঠোর করো না।”(C)
8 যিহোশূয় তাদের ঈশ্বরের প্রতিশ্রুত বিশ্রামের মধ্যে নিয়ে যেতে পারেন নি। এবিষয়ে আমরা জানি কারণ ঈশ্বর এরপর আবার বিশ্রামের জন্য আর এক দিনের “আজ” কথাটি উল্লেখ করেছেন। 9 এতে বোঝা যায় যে ঈশ্বরের লোকদের জন্য সেই সপ্তম দিনে যে বিশ্রাম তা আসছে, 10 কারণ ঈশ্বর তাঁর কাজ শেষ করার পর বিশ্রাম করেছিলেন। তেমনি যে কেউ ঈশ্বরের বিশ্রামে প্রবেশ করে সেও ঈশ্বরের মত তার কাজ শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন করে। 11 তাই এস, আমরাও ঈশ্বরের সেই বিশ্রামে প্রবেশ করতে প্রাণপণ চেষ্টা করি, যাতে আমরা কেউ অবাধ্যতার পুরানো দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে পতিত না হই।
12 ঈশ্বরের বাক্য জীবন্ত ও সক্রিয়। তাঁর বাক্য দুপাশে ধারযুক্ত তলোয়ারের ধারের থেকেও তীক্ষ্ণ। এটা প্রাণ ও আত্মার গভীর সংযোগস্থল এবং সন্ধি ও অস্থির কেন্দ্র ভেদ করে মনের চিন্তা ও ভাবনার বিচার করে। 13 ঈশ্বরের সামনে কোন সৃষ্ট বস্তুই তাঁর অগোচরে থাকতে পারে না, তিনি সব কিছু পরিষ্কারভাবে দেখতে পান। তাঁর সাক্ষাতে সমস্ত কিছুই খোলা ও প্রকাশিত রয়েছে, আর তাঁরই কাছে একদিন সব কাজকর্মের হিসেব দিতে হবে।
ঈশ্বরের সামনে আসতে যীশু আমাদের সাহায্য করেন
14 আমাদের এক মহাযাজক আছেন যিনি স্বর্গে ঈশ্বরের সাথে বাস করতে গেছেন। তিনি যীশু, ঈশ্বরের পুত্র। তাই এসো আমরা বিশ্বাসে অবিচল থাকি। 15 আমাদের মহাযাজক যীশু আমাদের দুর্বলতার কথা জানেন। যীশু এই পৃথিবীতে সবরকমভাবে প্রলুব্ধ হয়েছিলেন। আমরা যেভাবে পরীক্ষিত হই যীশু সেইভাবেই পরীক্ষিত হয়েছিলেন, কিন্তু তিনি কখনও পাপ করেন নি। 16 সেইজন্যে বিশ্বাসে ভর করে করুণা সিংহাসনের সামনে এসো, যাতে আমাদের প্রয়োজনে আমরা দয়া ও অনুগ্রহ পেতে পারি।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International