M’Cheyne Bible Reading Plan
যাজকদের জন্য নিয়মাবলী
21 প্রভু মোশিকে বললেন, “হারোণের পুত্রদের অর্থাৎ যাজকদের এই বিষয়গুলি বলো: একজন যাজক অবশ্যই কোন মৃত ব্যক্তিকে স্পর্শ করে নিজেকে অশুচি করবে না। 2 কিন্তু যদি মৃত ব্যক্তিটি তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের একজন হয় তাহলে সে মৃতদেহ স্পর্শ করতে পারে। যদি মৃত ব্যক্তি তার মাতা কি পিতা, তার পুত্র বা কন্যা, তার ভাই বা 3 তার অবিবাহিত বোন (এই বোন ঘনিষ্ঠ কারণ তার স্বামী নেই, সে মারা গেলে তার জন্য যাজক নিজেকে অশুচি করতে পারে।) হয়, তবে যাজক নিজেকে অশুচি করতে পারে। 4 কিন্তু কেবল বৈবাহিক কারণে সম্পর্কযুক্ত মানুষের জন্য যাজক নিজেকে অশুচি করতে পারে না এবং নিজেকে অপবিত্র করতে পারে না।
5 “যাজকরা তাদের মাথা এমনভাবে কামাবে না যাতে তাদের টাক্ দেখা যায় অথবা তাদের দাড়ি কামাবে না। যাজকরা তাদের শরীরে অবশ্যই কোন কাটা ছেঁড়া করবে না। 6 যাজকদের তাদের ঈশ্বরের জন্য অবশ্যই পবিত্র হতে হবে। তারা অবশ্যই ঈশ্বরের নামকে শ্রদ্ধা জানাবে, কারণ তারাই রুটি এবং আগুনের দ্বারা তৈরী নৈবেদ্যসমূহ প্রভুর কাছে বয়ে নিয়ে যাবে; তাই তারা অবশ্যই পবিত্র হবে।
7 “একজন যাজক অবশ্যই একজন বেশ্যা অথবা একজন ভ্রষ্টা রমণীকে বিবাহ করবে না। সে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে এমন একজন রমণীকে বিবাহ করবে না। কারণ সে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে পবিত্র। 8 তোমরা অবশ্যই যাজককে সম্মান করবে কারণ সে ঈশ্বরের কাছে পবিত্র রুটি নিয়ে যায়। সে তোমাদের কাছে পবিত্র বলে গণ্য হবে, কারণ আমি পবিত্র! আমিই প্রভু এবং আমি তোমাদের পবিত্র করি!
9 “কোন যাজকের মেয়ে বারবণিতা হয়ে নিজেকে অশুচি করলে, সে তার পিতার লজ্জার কারণ হয় সুতরাং তাকে অবশ্যই আগুনে দগ্ধ হতে হবে।
10 “প্রধান যাজক, যাকে তার ভাইদের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে, অভিষেকের তেল যার মাথায় ঢালা হয়েছে এবং বিশেষ পোশাক পরার জন্য যাকে বাছা হয়েছে সে প্রকাশ্যে তার বিষাদ বোঝাতে যেন তার মাথার চুল এলোমেলো না করে এবং তার কাপড়-চোপড় না ছেঁড়ে। 11 মৃতদেহ স্পর্শ করে সে নিজেকে অশুচি করবে না এবং কোন মৃত দেহের কাছে যাবে না, এমনকি মৃতদেহ যদি তার নিজের পিতা বা মাতারও হয় তবুও না। 12 প্রধান যাজক ঈশ্বরের পবিত্র স্থানের বাইরে অবশ্যই যাবে না। তাতে সে অশুচি হতে পারে এবং তখন সে ঈশ্বরের পবিত্র স্থানকে অশুচি করতে পারে। কারণ অভিষেকের তেল প্রধান যাজকের মাথায় ঢেলে তাকে বাকী লোকদের থেকে আলাদা করা হয়েছিল। আমিই প্রভু!
13 “প্রধান যাজক অবশ্যই একজন রমনীকে বিবাহ করবে যে কুমারী। 14 প্রধান যাজক এমন কোন রমণীকে অবশ্যই বিবাহ করবে না যার সঙ্গে অন্য পুরুষের যৌন সম্পর্ক ছিল। প্রধান যাজেক অবশ্যই একজন বারবনিতা, স্বামী পরিত্যক্তা রমণী অথবা একজন বিধবাকে বিবাহ করবে না। প্রধান যাজক অবশ্যই তার নিজের লোকদের মধ্যে থেকে একজন কুমারীকে বিয়ে করবে। 15 এইভাবে লোকরা তাদের সন্তান-সন্ততিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে।[a] আমি প্রভু, প্রধান যাজককে তার বিশেষ কাজের জন্য পৃথক করেছি।”
16 প্রভু মোশিকে বললেন, 17 “হারোণকে বলো: পুরুষানুক্রমে তোমার বংশের মধ্যে কারও দৈহিক কোন দোষ থাকলে তারা অবশ্যই ঈশ্বরের কাছে বিশেষ রুটি বয়ে নিয়ে যাবে না। 18 কোন ব্যক্তি যার মধ্যে কিছু শারীরিক ত্রুটি আছে, অবশ্যই যাজক হিসেবে সেবা করতে পারবে না এবং আমার কাছে নৈবেদ্যসমূহ আনতে পারবে না। 19 অন্ধ কি খোঁড়া, কি মুখে খারাপ দাগ যুক্ত লোকরা বা লম্বা হাত পা সহ লোকরা, 20 পিঠে কুঁজ থাকা লোকরা, কি বামনরা, যাদের চোখের দোষ আছে, ক্ষত আছে এমন লোকরা, খারাপ চর্মরোগযুক্ত লোকরা এবং ক্ষতিগ্রস্ত অণ্ডকোষ আছে এমন লোকরা যাজক হিসাবে সেবা করতে পারবে না।
21 “হারোণের উত্তরপুরুষদের মধ্যে কারোর যদি কিছু দোষ থাকে, তাহলে সে প্রভুর কাছে আগুনের নৈবেদ্যসমূহ দিতে পারবে না। এবং সেই ব্যক্তি ঈশ্বরের কাছে বিশেষ রুটি নিয়ে যেতে পারবে না। 22 সেই ব্যক্তি যাজকদের পরিবারের, তাই সে পবিত্র রুটি আহার করতে পারে। সে অতি পবিত্র রুটিও খেতে পারে। 23 কিন্তু সে পর্দার ভেতর দিয়ে পবিত্রতম স্থানে যেতে পারবে না এবং বেদীর কাছে যাবে না কারণ তার মধ্যে কিছু দোষ আছে। সে আমার পবিত্র স্থানগুলিকে অবশ্যই অশুচি করবে না। আমি ঈশ্বর সেই সমস্ত স্থানসমুহকে পবিত্র করি।”
24 তারপর মোশি এই সমস্ত বিষয় হারোণ এবং হারোণের পুত্রদের এবং ইস্রায়েলের সমস্ত লোকদের বলল।
দায়ূদের একটি গীত।
26 প্রভু, আমার বিচার করুন। আমি যে সৎ পথে জীবনযাপন করেছি তা প্রমাণ করে দিন।
আমি কখনও প্রভুতে আস্থা রাখা থেকে বিরত হই নি।
2 প্রভু আমায় পরীক্ষা করুন,
আমার হৃদয় ও মনকে খুব ভালোভাবে দেখুন।
3 আমি সর্বদাই আপনার কোমল ভালোবাসা দেখতে পাই।
আপনার সত্যে আমি বাঁচি।
4 আমি মিথ্যাবাদী ও কপটাচারীদের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করি না।
আমি ঐসব অকেজো লোকদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হই না।
5 ঐসব অপরাধীদের দলগুলিকে আমি ঘৃণা করি।
ঐসব শয়তানদের দলে আমি যোগ দেবো না।
6 হে প্রভু আমি যে নিস্পাপ তা দেখাতে
এবং আপনার যজ্ঞবেদীতে যাওয়ার জন্য আমি আমার হাত ধুই।
7 প্রভু আমি আপনার প্রশংসা গান গাই।
আপনার সৃষ্টিকরা আশ্চর্য বিষয় সম্পর্কে আমি গান গাই।
8 প্রভু আমি আপনার মন্দিরকে ভালোবাসি।
আমি আপনার মহিমাময় তাঁবু ভালোবাসি।
9 প্রভু আমাকে ঐসব পাপীদের দলভুক্ত করবেন না।
ঐসব খুনীদের সঙ্গে আমার জীবন গ্রহণ করবেন না।
10 ঐ লোকগুলো সব সময় অন্যদের প্রতারিত করে।
খারাপ কাজ করার জন্য ওরা সর্বদাই উৎকোচ নিতে প্রস্তুত।
11 কিন্তু আমি নির্দোষ।
তাই হে ঈশ্বর, আমার প্রতি সদয় হোন এবং আমায় রক্ষা করুন।
12 সব বিপদ থেকে আমি সুরক্ষিত।
হে প্রভু, আমি আপনার মণ্ডলীগণের সামনে আপনার প্রশংসা করি।
দায়ূদের একটি গীত।
27 প্রভু, আপনিই আমার জ্যোতি এবং আমার পরিত্রাতা।
আমি কাউকেই ভয় পাবো না!
প্রভুই আমার জীবনের সুরক্ষা স্থান,
তাই কোন লোককেই আমি ভয় পাবো না।
2 মন্দ লোকেরা আমায় আক্রমণ করতে পারে
এবং আমার শত্রুরা আমায় ধ্বংস করবার চেষ্টা করতে পারে,
তখন তারা হোঁচট খেয়ে পড়ে যাবে।
3 যদি একদল সৈন্যও আমার চারদিকে ঘিরে থাকে, আমি ভয় করবো না।
এমনকি যুদ্ধে যদি লোকজন আমায় আক্রমণ করে, আমি ভয় করবো না। কেন? কারণ আমি প্রভুকে বিশ্বাস করি।
4 প্রভুর কাছ থেকে আমি কেবলমাত্র একটা জিনিসই চাইবো:
আমাকে সারাজীবন মন্দিরে তাঁর সৌন্দর্য্য দেখবার জন্য
এবং তাঁকে সাক্ষাৎ করবার জন্য
প্রভুর মন্দিরে বসে থাকতে দিন।
5 যখন আমি বিপদগ্রস্ত তখন প্রভুই আমায় রক্ষা করবেন।
তাঁর তাঁবুতেই তিনি আমায় লুকিয়ে রাখবেন।
তিনি আমাকে তাঁর নিরাপদ আশ্রয়ে তুলে নেবেন।
6 আমার শত্রুরা আমায় ঘিরে রয়েছে, কিন্তু ওদের পরাজিত করতে প্রভু আমায় সাহায্য করবেন!
তারপর আমি তাঁর তাঁবুতে বলি উৎসর্গ করবো।
আনন্দধ্বনি করে আমি উৎসর্গ নিবেদন করব।
প্রভুর সম্মানে আমি গান-বাজনা করবো।
7 প্রভু আমার কথা শুনুন।
আমায় উত্তর দিন এবং আমার প্রতি সদয় হোন।
8 প্রভু, আমি আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই।
আমার অন্তর থেকে আমি আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই।
আপনার সঙ্গে কথা বলার জন্য আমি আপনার সামনে এসেছি।
9 প্রভু, আপনার দাস আমি, আমার দিক থেকে আপনি মুখ ফিরিয়ে নেবেন না।
আমায় সাহায্য করুন এবং আমায় সরিয়ে দেবেন না!
আমায় ফেলে চলে যাবেন না! ঈশ্বর আমার, আপনিই আমার পরিত্রাতা।
10 আমার মা বাবা আমায় ছেড়ে চলে গেছেন।
কিন্তু প্রভু আমায় গ্রহণ করেছেন।
তিনি আমায় তাঁর আপনজন করে নিয়েছেন।
11 প্রভু আমার প্রচুর শত্রু আছে।
তাই আপনার পথ আমায় শেখান।
আমায় সঠিক কাজ করতে শেখান।
12 প্রভু, আমার বিরোধী পক্ষকে আমায় পরাজিত করতে দেবেন না।
কারণ মিথ্যে সাক্ষীরা আদালতে আমার বিরুদ্ধে কথা বলেছে।
আমার বিরুদ্ধে হিংসাত্মক কার্যকলাপ উদ্রেক করবার জন্য
তারা এটা করেছিল।
13 আমি প্রকৃতই বিশ্বাস করি যে, আমার মৃত্যুর পূর্বে[a] আমি প্রভুর ধার্মিকতা দেখে যাবো।
14 প্রভুর সাহায্যের জন্য অপেক্ষা কর।
শক্তিমান ও সাহসী হও
এবং প্রভুর সাহায্যের জন্য অপেক্ষা কর!
তবে কি মৃত্যুই শ্রেয়?
4 আমি দেখেছিলাম সূর্যের নীচে কিভাবে লোকের ওপর উৎপীড়ন করা হয়ে থাকে। আমি তাদের কান্না শুনেছিলাম। আমি এও দেখেছিলাম যে তাদের এই দুর্দশায় সান্ত্বনা দেওয়ার মতো কেউই নেই। আমি দেখে ছিলাম কিভাবে নিষ্ঠুর লোকরা সমস্ত ক্ষমতার অধিকারী হয়ে বসে আছে। তারা যাদের আঘাত করছে তাদের সাহায্যের জন্য কেউ পাশে নেই। 2 আমি ভেবে দেখলাম যে যারা বেঁচে আছে তাদের চেয়ে মৃত মানুষদের অবস্থা অনেক ভাল। 3 যে সমস্ত লোকরা জন্মের অব্যবহিত পরে মারা গেছে অথবা যারা এখনও জন্মায় নি, তাদের মধ্যে কোন একদল ভালো অবস্থায় আছে! কেন? কেননা এই সূর্যের নীচে যে সমস্ত মন্দ কাজ হয়ে থাকে তারা তা কখনই দেখেনি।
কঠিন শ্রম কেন করবে?
4 তারপর আমি ভেবেছিলাম, “লোকে কেন এত কঠিন পরিশ্রম করে?” আমি লক্ষ্য করেছিলাম যে লোকে সব সময় সফল হতে ও অন্য লোকদের থেকে ভালো হতে চেষ্টা করে। কেন? কারণ তারা ঈর্ষাপরায়ণ। তারা চায় না তার চেয়ে বেশী অন্য লোকে কিছু ভোগ করুক। এসবই অসার, হাওয়ার পেছনে ছোটা মাত্র।
5 কিছু লোক বলে, “হাত গুটিয়ে কিছু না করে বসে থাকাটা বোকামো। কাজ না করলে না খেতে পেয়ে মরতে হবে।” 6 এটা হয়তো সত্যি। কিন্তু সব সময় বেশী জিনিস পাওয়ার জন্য হাওয়ার পেছনে ছোটার থেকে অল্পে সন্তুষ্ট থাকা ভাল।
7 আমি সূর্যের নীচে আরো কিছু অর্থহীন জিনিস দেখলাম। 8 একজন ব্যক্তির পরিবার না থাকতে পারে। তার ভাই বা সন্তান না থাকতে পারে। কিন্তু তবুও সে কঠিন পরিশ্রম করে যাবে। তার যা আছে তা নিয়ে সে কখনও সন্তুষ্ট থাকবে না। সে ভাবতে পারে, “তবে কেন আমি আমার জীবন উপভোগ না করে কঠিন পরিশ্রম করব?” এটাও খুব খারাপ ও অর্থহীন।
বন্ধু ও পরিবার শক্তি জোগায়
9 একজনের চেয়ে দুজন লোক ভাল। দুজন লোক এক সঙ্গে কাজ করলে তার ফল ভাল হয়।
10 যদি কোন ব্যক্তি পড়ে যায়, অপর ব্যক্তি তাকে উঠতে সাহায্য করে। কিন্তু যে একা কাজ করে, সে যদি পড়ে তবে তাকে উঠতে সাহায্য করার মতো কেউই থাকে না।
11 যদি দুজন লোক এক সঙ্গে ঘুমোয় তারা উত্তাপ পাবে। কিন্তু যে একা শোয় সে উত্তাপ থেকে বঞ্চিত হবে।
12 যে একা তাকে সহজেই শত্রুরা হারিয়ে দেবে কিন্তু দুজন লোক এক সঙ্গে থাকলে তাদের হারানো সম্ভব নয়। তিন জন মানুষ একত্র হলে তাদের শক্তি আরো বেশী হবে। তারা হল এক সঙ্গে জড়ানো দড়ির তিনটি অংশের মতো। তাদের শক্তিকে ভাঙ্গা খুবই কঠিন।
মানুষ, রাজনীতি ও জনপ্রিয়তা
13 একজন দরিদ্র তরুণ নেতা যদি জ্ঞানী হয় তবে সে একজন বৃদ্ধ বোকা রাজা অপেক্ষা শ্রেয়। সেই বৃদ্ধ রাজা সতর্কবাণীতে কান দেন না। 14 সেই তরুণ শাসক রাজ্যের একজন গরীব নাগরিক হয়ে জন্মাতে পারেন। তিনি দেশের শাসন ভার নিতে কারাগার থেকে উঠে আসতে পারেন। 15 কিন্তু এ জীবনে আমি মানুষকে দেখে জেনেছি যে মানুষ সেই তরুণ নেতাকে অনুসরণ করবে। সেই হবে নতুন রাজা। 16 অনেক মানুষ এই তরুণকে অনুসরণ করবে। কিন্তু পরে এরাই আবার তাঁকে সহ্য করতে পারবে না। এটাও অর্থহীন, হাওয়ার পিছনে ছোটা।
দাসদের জন্য বিশেষ নির্দেশ
6 যারা দাস, তারা নিজের নিজের মনিবদের যথাযোগ্য সম্মান করুক। তা করলে ঈশ্বরের দান এবং আমাদের শিক্ষার নিন্দা হবে না। 2 যে সব দাসের মনিব বিশ্বাসী, তারা পরস্পর ভাই। তাই বলে দাসরা সম্মানের দিক দিয়ে মনিব ভাইদের কোনভাবে তুচ্ছ না করুক, এবং সেইসব দাসরা তাদের মনিবদের আরো ভাল করে সেবা করুক, কারণ যারা উপকার পাচ্ছে তারাও বিশ্বাসী।
তুমি লোকদের এইসব অবশ্য শেখাবে ও সেই অনুসারে কাজ করতে উৎসাহ দেবে।
ভ্রান্ত শিক্ষা ও সত্যিকারের ধন
3 কিছু লোক আছে যারা অন্যরকম শিক্ষা দেয়; তারা আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের সত্য শিক্ষার সঙ্গে একমত নয়, এবং যে শিক্ষা প্রকৃতপক্ষে ঈশ্বরের সেবার জন্য পথ দেখায় তা তারা গ্রহণ করে না। 4 যে ব্যক্তির শিক্ষা ভ্রান্ত, সে গর্বে পরিপূর্ণ ও অজ্ঞ। সে নিছক কথা নিয়ে রাগ ও তর্কাতর্কি করতে ভালবাসে। এটাই তার অসুস্থতা, যার ফলশ্রুতি হল ঈর্ষা, ঝগড়া, পরনিন্দা ও কুসন্দেহ। 5 এইসব লোকদের কাছ থেকে শুধু ঝগড়া শোনা যায়, এরা দুর্নীতিগ্রস্ত মনের মানুষ এবং সত্যকে হারিয়েছে। তারা মনে করে যে ঈশ্বরের সেবা করা ধনী হবার এক উপায়।
6 একথা সত্যি যে ঈশ্বরের সেবার ফলে মানুষ মহাধনী হতে পারে, যদি তার কাছে যা আছে তাতেই সে সন্তষ্ট থাকে। 7 কারণ আমরা জগতে কিছুই সঙ্গে করে নিয়ে আসিনি আর কোন কিছুই সঙ্গে করে নিয়ে যেতেও পারি না। 8 তাই অন্ন বস্ত্রের সংস্থান পেলে আমরা তাতেই সন্তষ্ট থাকব। 9 কিন্তু যাদের ধনী হবার ইচ্ছা, তারা প্রলোভনে এবং ফাঁদে পড়ে নানারকম মূর্খামির কাজ করে ও ক্ষতিকর বাসনায় আসক্ত হয় যা তাদের ধ্বংস ও বিনাশের পথে ঠেলে দেয়। 10 কারণ সকল মন্দের মূলে আছে অর্থের প্রতি আসক্তি। সেই অর্থের লালসায় কত লোক বিশ্বাস থেকে দূরে সরে গেছে; আর তার ফলে তারা নিজেদের জীবনে অনেক অনেক দুঃখ ব্যথা নিয়ে এসেছে।
কিছু জিনিস মনে রাখা উচিত
11 কিন্তু তুমি ঈশ্বরের লোক, তাই এইসব থেকে তুমি দূরে থেকো। সত্য পথে চলতে চেষ্টা কর, ঈশ্বরের সেবা কর। বিশ্বাস, ভালবাসা, ধৈর্য্য ও নম্রতা এইসব গুনের অধিকারী হবার জন্য চেষ্টা কর। 12 বিশ্বাস রক্ষা করার দৌড়ে জয়লাভ করতে প্রাণপন চেষ্টা কর। যে জীবন চিরায়ত তা পাবার বিষয়ে সুনিশ্চিত হও। তুমি সেই জীবন গ্রহণ করার জন্য আহুত। 13 অনেক সাক্ষীর সামনে এবং সেই যীশু খ্রীষ্টের সামনে আমি তোমাকে এই আদেশ করছি, পন্তীয় পীলাতের সামনে যীশুও সেই মহান সত্যের পক্ষে নির্ভীক স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন। 14 যা তোমাকে আদেশ করা হয়েছে, তা পালন কর। এখন থেকে প্রভু যীশু পুনরায় না আসা পর্যন্ত অনিন্দনীয় আচরণে তোমার দায়িত্ব পালন করে চল। 15 নিরুপিত সময়ে ঈশ্বর এসমস্ত সম্পন্ন করবেন; তিনি সেই পরম ধন্য ঈশ্বর, বিশ্বের একমাত্র শাসনকর্তা যিনি রাজার রাজা ও প্রভুর প্রভু। 16 যিনি অমরতার একমাত্র অধিকারী এবং অগম্য জ্যোতির মধ্যে বাস করেন, যাঁকে কেউ কোন দিন দেখতে পায় নি, পাবেও না। সম্মান ও অনন্ত পরাক্রম ও কর্তৃত্ত্ব যুগে যুগে তাঁরই হোক্। আমেন।
17 যারা এই যুগে ধনী, তাদের এই আদেশ দাও যেন তারা গর্ব না করে। সেই ধনীদের বলো তারা যেন অনিশ্চিত সম্পদের ওপর আস্থা না রাখে, কিন্তু ঈশ্বরের ওপর নির্ভর করুক, যিনি আমাদের উদার হাতে সব কিছু ভোগ করতে দিয়েছেন। ধনীদের বল তারা যেন সৎ কর্ম করে। 18 তারা যেন সৎ কাজ রূপ ধনে ধনী হয়ে ওঠে। তাদের উদার হতে ও সম্পদ ভাগ করে নিতে প্রস্তুত হতে বল। 19 এই কাজের দ্বারা তারা স্বর্গে সম্পদ গড়ে তুলবে, সম্পদের ভিতে গড়ে উঠবে তাদের ভবিষ্যত, তখন তারা প্রকৃত জীবনের অধিকারী হতে পারবে।
20 শোন তীমথিয়, তোমার ওপর ঈশ্বর যে ভার দিয়েছেন তা সযত্নে রক্ষা কর। যা তথাকথিত পাণ্ডিত্য নামে পরিচিত, সেই মূর্খ অসার কথা—বার্তার মধ্যে ও তর্কের মধ্যে যেও না। 21 কেউ কেউ জীবনে ঐ জ্ঞানের দাবি করে। ঐসব লোক বিশ্বাস থেকে দূরে সরে গেছে।
ঈশ্বরের অনুগ্রহ তোমাদের ওপর বিরাজ করুক।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International