M’Cheyne Bible Reading Plan
প্রতিমা পূজার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা
20 প্রভু মোশিকে বললেন, 2 “তুমি অবশ্যই ইস্রায়েলের লোকদের আরও এই বিষয়গুলি বলো: তোমাদের দেশের কোন মানুষ যদি মোলকের মূর্ত্তির সামনে তার শিশুদের মধ্যে একটিকে উৎসর্গ করে, তবে সেই মানুষটির অবশ্যই প্রাণদণ্ড হবে। যদি সেই ব্যক্তি ইস্রায়েলের নাগরিক হয় বা ইস্রায়েলে বাস করা একজন বিদেশী হয় তাতে কিছু যায় আসে না। তোমরা অবশ্যই সেই ব্যক্তিকে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করবে। 3 আমি সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়াব এবং তাকে তার লোকদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করব, কারণ সে তার শিশুকে মোলকের উদ্দেশ্যে দিয়েছে। সে আমার পবিত্র নামকে শ্রদ্ধা করেনি এবং আমার পবিত্র স্থানকে অশুচি করেছে। 4 কিন্তু সাধারণ মানুষ সেই ব্যক্তিকে উপেক্ষা করে এবং যে তার শিশুদের মোলককে দিয়েছে তাকে হত্যা না করে, 5 তাহলে আমি সেই ব্যক্তি এবং তার পরিবারের বিরোধিতা করব এবং তাকে তার লোকদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করব। যারা সেই ব্যক্তিকে অনুসরণ করে মোলকের পিছনে যায় আমি তাদেরও বিচ্ছিন্ন করব।
6 “যদি কোন ব্যক্তি ভুতুড়িয়া এবং মায়াবীদের কাছে উপদেশের জন্য যায় আমি তার বিরোধী হবো। সেই ব্যক্তি আমার প্রতি অবিশ্বাসী, তাই আমি তাকে তার লোকদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করব।
7 “তোমরা পৃথক হও! নিজেদের পবিত্র করো। কারন আমি পবিত্র! আমিই প্রভু, তোমাদের ঈশ্বর! 8 আমার বিধিগুলি স্মরণে রাখো এবং মেনে চলো। আমি প্রভু এবং আমিই সেই, যিনি তোমাদের পবিত্র করেন।
9 “যদি কোনো মানুষ তার পিতা কিম্বা মাতাকে অভিশাপ দেয়, তার প্রাণদণ্ড হবে। পিতামাতাকে অভিশাপ দিয়েছে বলে সে তার নিজের মৃত্যুর জন্য দায়ী!
যৌন পাপাদির জন্য শাস্তিসমুহ
10 “যদি কোন পুরুষের তার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক থাকে, তাহলে সেই পুরুষ এবং মহিলা দুজনেই ব্যভিচারের দোষে দোষী হবে। সেই পুরুষ এবং মহিলা দুজনের অবশ্যই যেন প্রাণদণ্ড হয়। 11 যদি কোন পুরুষের তার পিতার স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সংসর্গ থাকে, তাহলে পুরুষ এবং রমণী দুজনকে অবশ্যই যেন মেরে ফেলা হয়। তারা নিজেরা তাদের মৃত্যুর জন্য দায়ী, কারণ এই কাজ দ্বারা সেই পুরুষটির পিতাকে অপমান করা হয়।
12 “যদি একজন পুরুষের তার পুত্রবধূর সঙ্গে যৌন সংসর্গ থাকে, তাহলে দুজনকে অবশ্যই যেন মেরে ফেলা হয়। এ হল অনাচার, তারা তাদের নিজেদের মৃত্যুর জন্য দায়ী।
13 “যদি কোন পুরুষের অন্য এক পুরুষের সঙ্গে একজন স্ত্রীলোকের মত যৌন সম্পর্ক থাকে তবে এই দুজন পুরুষ এক ভয়ঙ্কর পাপ কার্য্যে লিপ্ত। তাদের অবশ্যই যেন মেরে ফেলা হয়। তারা তাদের নিজেদের মৃত্যুর জন্য দায়ী।
14 “কোন পুরুষের পক্ষে একই সাথে কোন স্ত্রীলোক এবং তার মাতাকে বিয়ে করা অত্যন্ত মন্দ কাজ। লোকেরা সেই মানুষটিকে অবশ্যই পোড়াবে এবং দুজন স্ত্রীলোককে আগুনে দেবে যেন এই ধরণের কুকর্ম আর কেউ না করে।
15 “যদি একজন মানুষ কোন এক জন্তুর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয় তবে সেই মানুষটি অবশ্যই প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং তোমরা অবশ্যই প্রাণীটিকেও হত্যা করবে। 16 যদি একজন স্ত্রীলোকের কোন এক জন্তুর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক থাকে, তাহলে তোমরা অবশ্যই স্ত্রীলোক ও প্রাণীটিকে হত্যা করবে। তারা অবশ্যই প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত হবে। তারা তাদের নিজেদের মৃত্যুর জন্য দায়ী।
17 “যদি কেউ তার বোন, তার সৎ মাতা বা সৎ পিতার মেয়েকে বিবাহ করে এবং একে অপরের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয় তবে এটা লজ্জাজনক বিষয়। তারা অবশ্যই প্রকাশ্যে শাস্তি পাবে। তারা অবশ্যই তাদের লোকদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হবে। যে মানুষ তার বোনের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করে, সে অবশ্যই তার পাপের জন্য শাস্তি পাবে!
18 “মাসিক রক্তস্রাবের সময় কোন রমণীর সঙ্গে যদি কোন পুরুষের যৌন সংসর্গ হয়, তাহলে পুরুষ এবং রমনী দুজনই তাদের লোকদের থেকে অবশ্যই বিচ্ছিন্ন হবে। তারা পাপ করেছে কারণ সেই পুরুষ রক্তের উৎসকে প্রকাশ করেছে এবং সেই স্ত্রী তার রক্তের উৎসকে অনাবৃত করেছে।
19 “তোমাদের মাতার বোন বা তোমাদের পিতার বোনের সঙ্গে অবশ্যই যৌন সম্পর্ক করবে না। সেটা হল গর্হিত আচার। তোমাদের পাপসমূহের জন্য তোমরা অবশ্যই শাস্তি পাবে।
20 “একজন পুরুষ অবশ্যই তার কাকার স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করবে না। এ কাজ তার কাকাকে অপমান করে। সেই পুরুষ এবং তার কাকার স্ত্রী তাদের পাপসমুহের জন্য শাস্তি পাবে। তারা সন্তান-সন্ততিহীন হবে এবং সেই অবস্থাতেই মারা যাবে।
21 “একজন পুরুষের পক্ষে তার নিজের ভ্রাতৃবধুকে বিবাহ করা অন্যায়। এ কাজ তার ভাইকে অসম্মান করে। তাদের সন্তান-সন্ততি থাকবে না।
22 “তোমরা অবশ্যই আমার সমস্ত বিধিসমুহ এবং নিয়মাবলি মনে রাখবে এবং সেগুলি মান্য করবে। আমি তোমাদের যে দেশে নিয়ে যাচ্ছি, সেই দেশে বসবাসকালে তোমরা আমার বিধিসমূহ এবং নিয়মাবলী মান্য করো, তাহলে সেই দেশ তোমাদের বিতাড়িত করবে না। 23 তোমাদের সামনে যে সব জাতিকে আমি সেই দেশ থেকে দূর করে দিচ্ছি, তাদের মত জীবনযাপন করো না। তারা ঐ সমস্ত পাপ কাজ করত তাই আমি তাদের ঘৃণা করলাম। 24 আমি তোমাদের বলেছি যে তোমরা তাদের জমি পাবে। আমি তা তোমাদের দেব। সেই দেশে খাদ্য ও পানীয়ের কোন অভাব হবে না। আমিই প্রভু তোমাদের ঈশ্বর!
“আমি তোমাদের জন্য জাতির থেকে পৃথক করে আমার বিশেষ লোকজন করে তুলেছি। 25 সুতরাং তোমরা অবশ্যই অশুচি প্রাণীদের থেকে শুচি প্রাণীদের এবং অশুচি পাখীদের থেকে শুচি পাখীদের আলাদা করে নেবে। ঐ সব অশুচি পাখী, প্রাণী এবং যারা মাটিতে বুক দিয়ে হাঁটে, তা আহার করে নিজেদের অশুচি করো না। আমি ঐসব প্রানীগুলোকে অশুচি বলে নির্দিষ্ট করেছি। 26 আমি তোমাদের অন্য জাতির থেকে আলাদা করে আমার নিজস্ব করে তুলেছি। তাই তোমরা অবশ্যই পবিত্র হবে! কেন? কারণ আমি প্রভু এবং আমি পবিত্র!
27 “কোন পুরুষ অথবা স্ত্রীলোক যদি ভুতুড়িয়া বা মায়াবী হয় তাকে অবশ্যই প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত হতে হবে। লোকরা তাদের পাথর দিয়ে হত্যা করবে। তারা নিজেরাই নিজেদের মৃত্যুর জন্য দায়ী হবে।”
দায়ূদের একটি গীত।
25 প্রভু, আমি নিজেকে আপনার হাতে সমর্পণ করেছি।
2 হে আমার ঈশ্বর, আমি আপনাতে আস্থা রাখি।
তাই আমাকে লজ্জিত করবেন না।
আমার শত্রুরা যেন আমার ওপর জয়লাভ না করে।
3 যদি কোন ব্যক্তি আপনার ওপর নির্ভর করে, সে কখনও হতাশাগ্রস্থ হবে না।
কিন্তু বিশ্বাসঘাতকরা হতাশ হবে।
তারা কিছুই পাবে না।
4 হে প্রভু, আপনার পথগুলি আমাকে দেখান।
আপনার পথ সম্পর্কে আমায় শিক্ষা দিন।
5 আমায় পরিচালিত করুন এবং আপনার সত্য সম্পর্কে আমায় শিক্ষা দিন।
আপনিই আমার ঈশ্বর, আমার পরিত্রাতা।
প্রতিদিন আমি আপনার ওপর নির্ভর করি।
6 হে প্রভু, আমার প্রতি দয়া করে আমায় স্মরণ করবেন।
যে কোমল ভালোবাসা আপনি আমায় চিরদিন দিয়ে এসেছেন সেই ভালোবাসা আমার প্রতি প্রদর্শন করুন।
7 আমার তরুণ বয়সের কৃত কুকর্ম ও পাপ আপনি স্মরণে রাখবেন না।
হে প্রভু, আপনার সুনামের জন্য, আমায় ভালোবেসে স্মরণ করবেন।
8 প্রভু প্রকৃতপক্ষেই ভাল এবং সৎ।
তিনি পাপীদের ঠিক পথে জীবনযাপন করবার শিক্ষা দেন।
9 যারা বিনীত, তাদেরই তিনি তাঁর পথগুলি শেখান।
তিনি ন্যায়পথে তাদের পরিচালিত করেন।
10 প্রভুই রাজা, যারা তাঁর চুক্তি এবং প্রতিশ্রুতি অনুসরণ করে
তিনি তাদের প্রতি সত্যনিষ্ঠ হন।
11 হে প্রভু, আমি অনেক পাপ কাজ করেছি।
কিন্তু আপনার মহত্ব দেখাবার জন্য, আমি যা যা করেছিলাম, সেগুলো সবই আপনি ক্ষমা করেছেন।
12 যদি কোন লোক প্রভুকেই অনুসরণ করবে বলে মনোনীত করে,
তাহলে ঈশ্বর তাকে বেঁচে থাকবার শ্রেষ্ঠ রাস্তা দেখাবেন।
13 সেই লোক ভাল জিনিস উপভোগ করতে পারবে,
এবং তাঁর সন্তানরা ঈশ্বরের প্রতিশ্রুত ভূখণ্ড পাবে।
14 প্রভু তাঁর গূঢ় কথা তাঁর অনুগামীদের বলেন।
তাঁর চুক্তি সম্পর্কে তিনি তাদের শিক্ষা দেন।
15 সাহায্যের জন্য আমি সর্বদাই প্রভুর দিকে চেয়ে থাকি।
তিনি সর্বদাই আমাকে সমস্যার জাল থেকে মুক্ত করেন।
16 হে প্রভু, আমি নিঃসহায় এবং নিঃসঙ্গ।
আমার দিকে মুখ ফেরান, আমায় কৃপা করুন।
17 আমাকে আমার সংকটসমূহ থেকে মুক্ত করুন।
আমার সমস্যাগুলির সমাধান করতে আমায় সাহায্য করুন।
18 আমার প্রচেষ্টা ও সমস্যার দিকে দৃষ্টিপাত করুন।
আমার সকল পাপ থেকে আমায় ক্ষমা করে দিন।
19 আমার যেসব শত্রু আছে তাদের দিকে দেখুন।
তারা আমায় ঘৃণা করে, আমায় আঘাত করতে চায়।
20 হে ঈশ্বর, আমায় রক্ষা করুন এবং আমায় উদ্ধার করুন।
আমি আপনার ওপর নির্ভর করি।
দয়া করে আমায় হতাশ করবেন না।
21 হে ঈশ্বর, আপনি প্রকৃতই ভাল।
আমি আপনাতে নির্ভর করি, তাই আমায় রক্ষা করুন।
22 হে ঈশ্বর, ইস্রায়েলের লোকদের,
তাদের শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করুন।
একটি সময় আছে
3 সব কিছুরই একটা নির্দিষ্ট সময় আছে। এবং সূর্যের নীচে একটা নির্দিষ্ট সময় সব কিছুই ঘটবে।
2 জন্মেরও যেমন একটি সময় আছে,
মৃত্যুরও তেমনি সময় আছে।
রোপণের সময় আছে
এবং তুলে ফেলারও সময় আছে।
3 হত্যার এবং সারিয়ে তোলার
একটা নির্দিষ্ট সময় আছে।
ধ্বংসেরও যেমন নির্দিষ্ট সময় আছে
তেমনি তৈরী করারও নির্দিষ্ট সময় আছে।
4 কান্নারও সময় আছে,
হাসারও সময় আছে।
দুঃখ পাবার যেমন সময় আছে,
তেমনি আনন্দে নাচ করারও সময় আছে।
5 অস্ত্র নামিয়ে রাখার,
আবার তা তুলে নেবারও নির্দিষ্ট সময় আছে।[a]
কাউকে আলিঙ্গন করার যেমন সময় আছে
আবার আলিঙ্গন না করে তাকে এড়িয়ে যাবারও সময় আছে।
6 কাউকে খোঁজার যেমন সময় আছে
আবার তা ফেলে দেবারও সময় আছে।
কাউকে রেখে দেওয়া
বা কাউকে ছুঁড়ে দেওয়ারও নির্দিষ্ট সময় আছে।
7 জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলার যেমন সময় আছে
তেমনি তা সেলাই করারও সময় আছে।
নীরব থাকারও যেমন সময় আছে
তেমনি সরব হওয়ারও সময় আছে।
8 ভালোবাসা
এবং ঘৃণা করারও সময় আছে।
যুদ্ধেরও একটি নির্দিষ্ট সময় আছে
আবার শান্তি রক্ষা করারও সঠিক সময় আছে।
ঈশ্বর তাঁর পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রণ করেন
9 একজন মানুষ কি তার কঠোর পরিশ্রমের কোন মূল্য পায় না? না! 10 আমি দেখেছি ঈশ্বর আমাদের সমস্ত কঠিন পরিশ্রমের কাজ করতে দেন। 11 ঈশ্বর আমাদের তাঁর পৃথিবী নিয়ে চিন্তা ভাবনা করার ক্ষমতা দিয়েছেন। কিন্তু আমরা ঈশ্বরের কাজের গতি প্রকৃতি সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত হতে পারি না এবং এখন ঈশ্বর সব কিছু সঠিক সময়ই করেন।
12 আমি জানি যে মানুষ সারা জীবন সুখে ও আনন্দে বেঁচে থাকতে পারবে—এটাই সবচেয়ে মহৎ কাজ। 13 ঈশ্বর চান প্রত্যেকে পানীয়, খাদ্য এবং তাদের কাজের মধ্যে আনন্দ খুঁজে পাক। এই হল ঈশ্বরের উপহার।
14 আমি জানি ঈশ্বর যা করেন তা চিরস্থায়ী হয়। মানুষ ঈশ্বরের কর্মকাণ্ডকে বাড়াতেও পারে না এবং কমাতেও পারে না। আর ঈশ্বর তা করেছেন কারণ যাতে মানুষ তাঁকে সম্মান জানায়। 15 অতীতে যে ঘটনাগুলি ঘটেছিল সেগুলিকে আমরা বদলাতে পারব না। ভবিষ্যতে যা ঘটার তা ঘটবে এবং আমরা তাকেও বদলাতে পারব না। কিন্তু ঈশ্বর দেখেন কি সাফল্যমণ্ডিত হয়েছে।[b]
16 আমি সূর্যের নীচে এই ঘটনাগুলির সাক্ষী। আদালতে সাধুতা ও নিষ্কলঙ্ক থাকা উচিৎ। কিন্তু আমি সেখানেও দুষ্টতা দেখেছি। 17 তাই আমি নিজেকে বলেছিলাম, “সব কিছুর পেছনেই ঈশ্বরের একটি সময়ানুযায়ী পরিকল্পনা আছে এবং ঈশ্বর নির্দিষ্ট সময়েই মানুষের কাজের বিচার করবেন। ঈশ্বর ভাল এবং খারাপ মানুষদের বিচার করবেন।”
মানুষ কি ঠিক পশুদেরই মতো?
18 মানুষ একে অন্যের সঙ্গে যা যা করে সেই বিষয়ে আমি ভেবেছিলাম এবং আমি নিজেকে বলেছিলাম, “ঈশ্বর মানুষকে পশুর মতোই দেখতে চান।” 19 মানুষ কি পশুদের চেয়ে শ্রেয়? না! কেন? কারণ সব কিছুই অর্থহীন। পশু এবং মানুষদের ক্ষেত্রে একই ব্যাপার ঘটে—উভয়েরই মৃত্যু আসে। মানুষ এবং পশুরা একই “নিঃশ্বাস” নেয়। একটি মৃত মানুষ ও মৃত পশুর মধ্যে কি কোনও পার্থক্য আছে? 20 মানুষ এবং পশুদের দেহ একই ভাবে বিলীন হয়। তারা মাটি থেকেই আসে এবং মাটিতেই ফিরে যায়। 21 কে জানে মানুষের আত্মার কি হয়? কে বলতে পারে পশুর কোন আত্মা যখন মাটির নীচে প্রবেশ করছে তখন হয়তো কোন মানুষের আত্মা ঈশ্বরের কাছে যাচ্ছে?
22 তাই আমি দেখে ছিলাম সব থেকে ভাল উপায় হল একজন মানুষ তার যা আছে এবং সে যা করেছে তাই নিয়ে আনন্দে মেতে থাকা। এবং একজন মানুষের তার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হওয়া উচিৎ নয়। কেন? কারণ কেউ সেই ব্যক্তিকে তার ভবিষ্যতে কি ঘটবে তা দর্শন করাতে পারবে না।
5 তোমার চেয়ে বয়োবৃদ্ধ কাউকে কখনও কঠোরভাবে তিরস্কার করবে না; তাকে পিতার মত মনে করে তার কাছে আবেদন কর। তোমার চেয়ে যারা কমবয়সী তাদের সাথে তোমার ভাইয়ের মত ব্যবহার করো। 2 বয়স্কা মহিলাদের মায়ের মতো দেখো। যুবতীদের সঙ্গে পূর্ণ বিশুদ্ধতার সাথে বোনের মত ব্যবহার করো।
বিধবাদের তত্ত্বাবধান সম্পর্কে
3 প্রকৃত বিধবারা যারা সত্যি একাকী ও বঞ্চিত তাদের সম্মান করো; 4 কিন্তু কোন বিধবার যদি ছেলেমেয়ে ও নাতি-নাতনী থাকে তাহলে তারা আগে ঘরের মানুষেরই প্রতি তাদের দায়িত্ব পালন করতে শিখুক। তা করলে তারা তাদের পিতামাতা ও পিতামহ, মাতামহের স্নেহের ঋণ শোধ করতে পারবে। এই কাজ ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করে। 5 প্রকৃত বিধবা যে পৃথিবীতে সহায়-সম্বলহীনা সে তো ঈশ্বরের ওপর ভরসা রেখে চলে। সে তো দিনরাত ঈশ্বরের কাছে সাহায্য লাভের জন্য প্রার্থনা জানায়। 6 যে বিধবা বিলাস ব্যসনেই দিন কাটায় তার কথা আলাদা, বলতে গেলে সে জীবিত থেকেও মৃত। 7 এইসব নির্দেশ তুমি বিশ্বাসীদের মনে করিয়ে দাও, যাতে কারো কোন বদনাম না হয়। 8 কোন লোক যদি তার আত্মীয় স্বজন আর বিশেষ করে তার পরিবারের লোকদের ভরণপোষন না করে, তার মানে সে বিশ্বাসীদের পথ থেকে সরে গেছে, সে তো অবিশ্বাসীর চেয়েও অধম।
9 বিধবাদের তালিকায় এমন বিধবাদের নাম লেখা চলে যাঁর বয়স কমপক্ষে ষাট বছর এবং যাঁর একটিমাত্র স্বামী ছিল এবং 10 যাঁর নানা সৎ কাজের জন্য সুনাম আছে অর্থাৎ যদি তিনি ছেলেমেয়েদের মানুষ করে থাকেন, যদি বিদেশীদের সেবা করে থাকেন, যদি ঈশ্বরের লোকদের পা ধুইয়ে থাকেন, যদি কষ্টে লোকদের সাহায্য করে থাকেন, যদি সমস্ত সৎ কাজের অনুসরণ করে থাকেন।
11 কোন তরুণী বিধবার নাম তুমি কিন্তু সেই তালিকায় তুলতে অস্বীকার করো। কারণ তাদের দৈহিক বাসনা খ্রীষ্ট ভক্তির চেয়ে প্রবল হয়ে উঠলে তারা আবার বিয়ে করতে চাইবে। 12 তা করলে তাদের প্রথম শপথ ভঙ্গের দায়ে তারা নিজেরাই নিজেদের ওপর শাস্তির কারণ হয়। 13 এ ছাড়া তারা বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়িয়ে অলস হতে শেখে, কেবল অলসই নয়, বরং বাচাল এবং অনধিকার চর্চা করতে ও যে কথা বলা উচিত নয় সেই কথা বলতে শেখে। 14 অতএব আমার ইচ্ছা আমাদের শত্রুদের তাদের নিন্দা করবার কোন সুযোগ না দিয়ে বরং যুবতী বিধবা আবার বিয়ে করুক, সন্তানের মা হোক্, ঘর সংসার করুক। 15 কারণ কয়েকজন বিধবা তো ইতিমধ্যেই ধর্মের পথ ছেড়ে শয়তানের পথে চলেছে।
16 যদি কোন বিশ্বাসী মহিলার পরিবারে বিধবারা থাকে, তবে মণ্ডলীকে বোঝাগ্রস্ত না করে তিনিই তাদের উপকার করুন, তাদের সাহায্য করুন, তার ফলে মণ্ডলী সেই সব বিধবাদের সাহায্য করতে পারবে যারা সত্যি নিরুপায়।
বয়স্ক এবং অন্যান্য বিষয়ের সম্পর্কে
17 যে সমস্ত প্রাচীনরা মণ্ডলী পরিচালনা করেন তাঁরা দ্বিগুণ সম্মানের যোগ্য, বিশেষ করে যাঁরা বাক্য প্রচার ও শিক্ষাদান করেন। 18 কারণ শাস্ত্র বলছে, “যে বলদ শস্য মাড়ে তার মুখ বন্ধ করো না।”(A) আর “যে কাজ করে সে তো তার পারিশ্রমিক লাভের যোগ্য।”(B)
19 কোন প্রাচীনের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ গ্রাহ্য করো না, যদি না দুই বা তিনজন সাক্ষী সেই অভিযোগ সমর্থন করে। 20 যে প্রাচীনরা পাপ করেই চলে তাদের মণ্ডলীতে সকলের সামনে তিরস্কার কর যাতে অন্যরা চেতনা লাভ করে।
21 আমি ঈশ্বরের, খ্রীষ্ট যীশুর মনোনীত স্বর্গদূতদের সামনে তোমাকে এই কাজ করতে দৃঢ় আদেশ দিচ্ছি। কিন্তু সত্য না জেনে তুমি কারো বিচার করো না এবং এটা সকলের ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য।
22 মণ্ডলীর সেবার জন্য কাউকে নিযুক্ত করতে ও তার ওপর হস্তার্পন করতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিও না। অপরের পাপের ভাগী হয়ো না। নিজেকে শুদ্ধভাবে রক্ষা কর।
23 তীমথিয়, তুমি শুধু জল খেও না, তার বদলে তুমি একটু দ্রাক্ষারস পান করো, কারণ তা তোমার পেটের জন্য ভাল হবে ও তোমার বার বার অসুখ হবে না।
24 কোন কোন লোকের পাপ সহজেই দেখা যায়, আর তাদের পাপ এই প্রমাণ করে যে তাদের বিচার হবে, আবার কোন কোন লোকের পাপ পরে স্পষ্টভাবে দেখা যায়। 25 অনুরূপভাবে মানুষের সৎ কাজও সহজে প্রকাশ পায়। এমনকি তাদের স্পষ্টভাবে দেখা না গেলেও তাদের চিরদিন ঢেকে রাখা যায় না।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International