M’Cheyne Bible Reading Plan
শরীর থেকে নির্গত বিষয়গুলির নিয়মাবলী
15 প্রভু মোশি আর হারোণকে আরও বললেন, 2 “ইস্রায়েলের লোকদের এটা বলো: যখন কোন পুরুষ তার শরীর থেকে তরল পদার্থ নির্গত করে তখন সেই ব্যক্তি অশুচি। 3 তার শরীর থেকে সেটা সাবলীলভাবে বেরিয়ে আসুক বা প্রবাহ বন্ধ হোক্ তাতে কিছু আসে যায় না।
4 “নির্গমণ হয়েছে এমন ব্যক্তি যদি কোন বিছানায় শোয় তবে তা অশুচি হয়ে পড়বে আর সে যা কিছুর ওপর বসবে তাও অশুচি হয়ে পড়ে। 5 যদি কোন ব্যক্তি, যার নির্গমণ হয়েছে তার বিছানা স্পর্শ করে, তাহলে সে অবশ্যই তার জামাকাপড় ধোবে এবং জলে স্নান করবে, তবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে। 6 যদি কোন ব্যক্তি যার নির্গমণ হয়েছে তার জায়গায় বসে, তাহলে সে অবশ্যই তার জামাকাপড় ধোবে এবং জলে স্নান করবে। সেও সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে। 7 আরও যদি কোন ব্যক্তি নির্গমণ হয়েছে এমন কাউকে ছুঁয়ে ফেলে, তাহলে সে অবশ্যই তার জামা কাপড় ধোবে এবং জলে স্নান করবে আর সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
8 “যার নির্গমণ হয়েছে সে যদি কোনো শুচি ব্যক্তির ওপর থুতু ফেলে তাহলে শুচি ব্যক্তিটি অবশ্যই তার জামা কাপড় ধোবে এবং জলে স্নান করবে। এই ব্যক্তিটি সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে। 9 যার নির্গমণ হয়েছে সেই ব্যক্তি যদি কোন জিনের ওপর বসে তাহলে সেটিও অশুচি হবে। 10 সুতরাং যদি কেউ নির্গমণ হয়েছে এমন কোন ব্যক্তির নীচে থাকা কোন কিছু স্পর্শ করে বা এই জিনিসগুলি বহন করে, তাহলে সে অবশ্যই তার জামাকাপড় ধোবে এবং জলে স্নান করবে। সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
11 “যদি এমন হয়, যে কোন ব্যক্তি, যার নির্গমণ হয়েছে সে তার হাত ধোয়নি কিন্তু অন্য একজনকে স্পর্শ করেছে, তাহলে সেই অপর ব্যক্তি অবশ্যই তার জামাকাপড় ধোবে এবং জলে স্নান করবে। সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
12 “নির্গমণ হয়েছে এমন কোন ব্যক্তি যদি মাটির গামলা ছোঁয়, তাহলে সেই গামলাটি অবশ্যই ভাঙতে হবে। আর সে কোন কাঠের গামলা ছুঁয়ে ফেললে সেই গামলা অবশ্যই জল দিয়ে ধুতে হবে।
13 “যখন নির্গমণ হয়েছে এমন ব্যক্তি সেরে ওঠে, তখন তাকে তার শুদ্ধিকরণ সম্পূর্ণ হবার জন্য সাত দিন অপেক্ষা করতে হবে। তারপর সে তার জামা কাপড় ধোবে এবং স্রোতের জলে শরীরকে স্নান করাবে। তা হলে সে শুচি হবে। 14 আট দিনের দিন সেই ব্যক্তিটি তার নিজের জন্য দুটি ঘুঘু বা দুটি বাচ্চা পায়রা আনবে। সমাগম তাঁবুর ঢোকার মুখে প্রভুর সামনে এনে সে সেই পাখী দুটি যাজককে দেবে। 15 যাজক পাখীগুলির একটিকে পাপ মোচনের নৈবেদ্য হিসেবে এবং আর একটিকে হোমবলির নৈবেদ্য হিসেবে উৎসর্গ করবে। এইভাবে যাজক প্রভুর সামনে লোকটিকে পবিত্র করবে।
16 “যদি কোন পুরুষ মানুষের বীর্যপাত ঘটে, সে তার সারা শরীর স্নানের জলে ধোবে, কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত সে অশুচি থাকবে। 17 যদি কাপড় বা কোন চামড়ার ওপর বীর্য পড়ে থাকে, তা হলে সে কাপড় বা চামড়া অবশ্যই জল দিয়ে ধুয়ে ফেলবে। এটা সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে। 18 যদি কোন পুরুষ কোন মহিলার সঙ্গে এক বিছানায় শোয় এবং বীর্যপাত ঘটে, তাহলে পুরুষ ও মহিলা দুজনেই জলে স্নান করবে। তারা সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
19 “মাসিক রক্তপাতের সময় কোন স্ত্রীলোক সাত দিন অশুচি থাকবে। যদি কোন ব্যক্তি তাকে স্পর্শ করে, সন্ধ্যা পর্যন্ত সেই ব্যক্তি অশুচি থাকবে। 20 মাসিক রক্তপাতের সময় সেই স্ত্রীলোক যা কিছুর ওপর শোবে, প্রত্যেকটি হবে অশুচি এবং সে যা কিছুর ওপর বসবে সেটাও হবে অশুচি। 21 যদি কোন ব্যক্তি স্ত্রীলোকটির বিছানা ছোঁয়, সেই ব্যক্তি অবশ্যই তার জামা কাপড় ধোবে এবং জলে স্নান করবে। সেও সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে। 22 মহিলাটি যা কিছুর ওপর বসেছে, সেগুলি যদি কোন লোক ছোঁয়, সেই লোকটি অবশ্যই জামা কাপড় ধোবে ও জলে স্নান করবে কিন্তু সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে। 23 লোকটি স্ত্রীলোকের বিছানা ছুঁলে বা স্ত্রীলোকটি যাতে বসেছে তার কোন কিছু স্পর্শ করলে, সেই লোকটি সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।
24 “যদি কোন ব্যক্তি কোন মহিলার সাথে মাসিক রক্তপাতের মধ্যেই যৌন সম্পর্ক করে, তাহলে স্ত্রীলোকটির অশুচিতা তার মধ্যে প্রবেশ করবে এবং লোকটি সাত দিন ধরে অশুচি থাকবে। লোকটি শুয়েছে এমন প্রত্যেকটি বিছানা অশুচি হবে।
25 “যদি কোন মহিলার অনেক দিন ধরে রক্তক্ষরণ হয়, এটি যদি তার মাসিক রক্তস্রাবের সময়ে না হয়, অথবা যদি তার মাসিক রক্তপাতের পরে রক্তক্ষরণ হয়, তাহলে সে মাসিক রক্তস্রাবের মতই অশুচি হবে। যতদিন তার রক্তস্রাব থাকবে, ততদিন সে অশুচি থাকবে। 26 যে কোন রক্তস্রাবের সময় যে কোন বিছানায় মহিলাটি শোবে, তা হবে তার মাসিক রক্তস্রাবের সময়কার বিছানায় মতই। যা কিছুর ওপর মেয়েটি বসবে তা অশুচি হবে। ঠিক যেমন তার মাসিক রক্তস্রাবের সময় সে অশুচি হয় সেরকমই। 27 যদি কোন ব্যক্তি সেইসব জিনিস ছোঁয়, সেই ব্যক্তি হবে অশুচি। লোকটি তার পোশাক-পরিচ্ছদ ধোবে এবং জলে স্নান করবে, কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত সে অশুচি থাকবে। 28 স্ত্রীলোকটি রক্তস্রাব বন্ধ হওয়ার পর অবশ্যই সাত দিন অপেক্ষা করবে; তারপর সে শুচি হবে। 29 আট দিনের দিন স্ত্রীলোকটি দুটি ঘুঘু অথবা দুটি বাচ্চা পায়রা আনবে। সমাগম তাঁবুর প্রবেশ মুখে যাজকের কাছে সেগুলি আনবে। 30 তখন যাজক একটি পাখীকে পাপ মোচনের নৈবেদ্য হিসেবে এবং অন্যটিকে হোমবলির নৈবেদ্য হিসেবে উপহার দেবে। এইভাবে যাজক প্রভুর সামনে তাকে শুচি করবে।
31 “সুতরাং অশুচি হওয়া বিষয়ে অবশ্যই তোমরা ইস্রায়েলের লোকদের সাবধান করবে। তাহলে তারা আমার পবিত্র তাঁবুকে অশুচি করে তাদের অশুচিতায় মারা পড়বে না।”
32 এই সমস্ত নিয়ম যাদের নির্গমণ হয়েছে এমন লোকদের জন্য। ঐ সব নিয়ম হল বীর্য্য পতনের ফলে অশুদ্ধ মানুষদের জন্য। 33 এবং ঐগুলি হল যে সমস্ত স্ত্রীলোক তাদের মাসিক রক্তস্রাবের সময় অশুচি হয় তাদের জন্য। উপরন্তু ঐ সমস্ত নিয়মাবলী সেই ব্যক্তির জন্য যে অপর এক অশুচি স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সংসর্গ করে।
পরিচালকের প্রতি: প্রভুর দাস দায়ূদের একটি গীত। প্রভু যখন দায়ূদকে শৌল এবং অন্যান্য শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন, তখন দায়ূদ এই গীতটি লিখেছিলেন।
18 তিনি বললেন, “প্রভু আমার শক্তি,
আমি আপনাকে ভালোবাসি!”
2 প্রভুই আমার শিলা, আমার দুর্গ, আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
আমার ঈশ্বর, আমার শিলা। আমি তাঁর কাছে নিরাপত্তার জন্য ছুটে যাই।
ঈশ্বরই আমার ঢালস্বরূপ। তাঁর শক্তি আমায় রক্ষা করে।
দুর্গম পাহাড়ে প্রভুই আমার গোপন আশ্রয়স্থল।
3 ওরা আমায় উপহাস করেছে।
কিন্তু আমি প্রভুর কাছে সাহায্য চেয়েছি
এবং আমার শত্রুদের কাছ থেকে রক্ষা পেয়েছি!
4 আমার শত্রুরা আমায় হত্যা করতে চাইছিল!
আমার চারপাশে ছিল মৃত্যুর দড়ি।
এক তীব্র বন্যা আমাকে পাতালের দিকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল।
5 আমার চারপাশে ছিল কবরের রজ্জুগুলি।
আমার সামনে পড়েছিল মৃত্যুর ফাঁদ।
6 ফাঁদে বদ্ধ হয়ে, আমি প্রভুর কাছে সাহায্য চাইলাম।
হ্যাঁ, আমি আমার ঈশ্বরকে ডাকলাম।
ঈশ্বর তাঁর মন্দিরে ছিলেন।
তিনি আমার কন্ঠস্বর শুনতে পেলেন।
তিনি আমার সাহায্যের জন্য কান্না শুনতে পেলেন।
7 সারা পৃথিবী কেঁপে উঠলো,
পর্বতের ভিতগুলো পর্যন্ত নড়ে উঠেছিল। কেন?
কারণ প্রভু ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন!
8 ঈশ্বরের নাক দিয়ে ধোঁয়া বেরিয়ে এলো।
ঈশ্বরের মুখ থেকে বেরিয়ে এলো জ্বলন্ত অগ্নিশিখা।
তাঁর দেহ থেকে জ্বলন্ত আগুন বিচ্ছুরিত হতে লাগলো।
9 আকাশমণ্ডল বিদীর্ণ করে প্রভু নীচে নেমে এলেন!
একটি ঘন কালো মেঘের ওপর তিনি দাঁড়িয়েছিলেন।
10 বাতাসের পাখায় চড়ে তিনি আকাশের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে উড়ে বেড়াচ্ছিলেন।
বাতাসের ওপর ভর করে, তিনি সুদূর শূন্যে ভেসে বেড়াচ্ছিলেন।
11 প্রভু একটা ঘন কালো মেঘের মধ্যে লুকিয়েছিলেন, সেই মেঘ তাঁকে তাঁবুর মত ঘিরেছিল।
তিনি ঘন বজ্রময় মেঘের মধ্যে লুকিয়েছিলেন।
12 তারপর মেঘ ভেদ করে ঈশ্বরের আলোকময় ঔজ্জ্বল্য বেরিয়ে এলো।
সেখানে বজ্রসহ শিলাবৃষ্টি এবং বিদ্যুতের ঝলকানি দেখা দিল।
13 আকাশ থেকে প্রভু বিদ্যুতের মত ঝলসে উঠলেন!
পরাৎপরের রব শোনা গেল।
সেখানে তখন শিলাবৃষ্টি এবং বজ্রসহ অগ্নিময় বিদ্যুতের ঝলক ছিল।
14 প্রভু তাঁর তীরসমূহ[a] নিক্ষেপ করে শত্রুদের ছত্রভঙ্গ করে দিলেন।
প্রভু তীরের মত ক্ষিপ্রগতিতে অনেকগুলো অশনিপাত করলেন এবং লোকরা বিভ্রান্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়লো।
15 প্রভু আপনি উচ্চস্বরে আপনার আজ্ঞা দিলেন
এবং তীব্র বেগে বাতাস বইতে শুরু করলো।
জল পেছনে সরে গেল এবং আমরা সমুদ্রের তলদেশ দেখতে সমর্থ হলাম।
আমরা পৃথিবীর ভিত দেখতে পেলাম।
16 প্রভু ওপর থেকে নীচে পৌঁছলেন এবং আমাকে রক্ষা করলেন।
প্রভু আমাকে গভীর জল থেকে টেনে তুললেন।
17 আমার শত্রুরা আমার চেয়ে শক্তিশালী ছিলো।
ওই সব লোক আমায় ঘৃণা করেছে।
আমার কাছে আমার শত্রুরা বেশ শক্তিশালীই ছিল, তাই ঈশ্বর আমায় রক্ষা করেছেন!
18 আমি সমস্যার মধ্যে নিমজ্জিত ছিলাম এবং আমার শত্রুরা আমায় আক্রমণ করেছিল।
কিন্তু আমাকে সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রভু সেখানে ছিলেন!
19 প্রভু আমায় ভালোবাসেন, তাই তিনি আমায় উদ্ধার করলেন।
তিনি আমায় নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে গেলেন।
20 আমি নিস্পাপ, তাই প্রভু আমাকে আমার যোগ্য পুরস্কার দেবেন।
আমি কোন অন্যায় কাজ করি নি, তাই তিনি আমার জন্য হিতকর কাজই করবেন।
21 কেন? কারণ আমি প্রভুর নির্দেশ পালন করেছি!
আমি ঈশ্বরের বিরুদ্ধে কোন পাপ করি নি।
22 আমি সর্বদাই প্রভুর নির্দেশসমূহ স্মরণে রাখি।
আমি তাঁর নির্দেশিত বিধি পালন করি!
23 তাঁর সামনে আমি সর্বদাই সৎ ও বিশুদ্ধ ছিলাম।
আমি নিজেকে অন্যায় কাজ থেকে দূরে রেখেছিলাম।
24 এই কারণে প্রভু আমাকে আমার পুরস্কার দেবেন!
কেন? কারণ আমি নির্দোষ!
প্রভু দেখেছেন, আমি কোন গর্হিত কাজ করি নি।
তাই আমার প্রতি তিনি হিতকর কাজই করবেন।
25 প্রভু, যদি কোন লোক প্রকৃতই আপনাকে ভালোবাসে আপনিও তাঁর প্রতি প্রকৃত ভালোবাসা প্রদর্শন করুন।
আপনার প্রতি কেউ যদি সৎ ও একনিষ্ঠ হয়, আপনিও তার প্রতি সৎ হন।
26 হে প্রভু, যারা ভাল এবং শুচি তাদের কাছে আপনিও ভাল এবং শুচি।
কিন্তু, নীচতম এবং ক্রুরতম ব্যক্তিকেও আপনি পরাক্রমী করতে পারেন।
27 প্রভু, নম্র লোকদের আপনি সাহায্য করেন।
কিন্তু উদ্ধত ও অহঙ্কারী লোকদের আপনি অবদমিত করেন।
28 প্রভু, আপনিই আমার প্রদীপ জ্বালান।
আমার ঈশ্বর, আমার চারদিকের অন্ধকারকে আলোকিত করেন!
29 আপনার সাহায্যে হে প্রভু, আমি সৈন্যদের সঙ্গে ছুটতে পারি।
ঈশ্বরের সাহায্য পেয়ে, আমি শত্রুদের দেওয়ালের ওপর চড়তে পারি।
30 ঈশ্বর সর্বদাই যা সঠিক তাই করে থাকেন।
প্রভুর বাক্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
যারা তাঁর ওপর বিশ্বাস রাখে, তিনি তাদের রক্ষা করেন।
31 প্রভু ছাড়া আর অন্য কোন ঈশ্বর নেই।
আমাদের প্রভু ছাড়া আর কোন শিলা নেই।
32 ঈশ্বর আমায় শক্তি দেন।
তিনি আমাকে পবিত্র জীবনযাপন করতে সাহায্য করেন।
33 ঈশ্বর আমাকে হরিণের মত দ্রুত দৌড়তে সাহায্য করেন।
উচ্চস্থানে তিনিই আমাকে অবিচল রাখেন।
34 ঈশ্বর আমাকে যুদ্ধের কৌশল শিক্ষা দেন,
তাই আমার বাহুগুলি একটি শক্তিশালী ধনুকে ছিলা পরাতে পারে।
35 ঈশ্বর আপনি আমায় রক্ষা করেছেন এবং জয়ী হতে সাহায্য করেছেন।
আপনার ডান হাত দিয়ে আপনি সহায়তা করেছেন।
আমার শত্রুকে পরাজিত করতে আপনি আমায় সাহায্য করেছেন।
36 আমার পা এবং গোড়ালি শক্ত করে দিন,
যেন আমি হোঁচট না খেয়ে দ্রুত দৌড়তে পারি।
37 আমি যেন আমার শত্রুদের তাড়া করতে পারি এবং তাদের ধরে ফেলতে পারি।
তাদের শেষ না করে আমি আর ফিরবো না!
38 আমি আমার শত্রুদের পরাজিত করবো। তারা আর উঠে দাঁড়াবে না।
আমার সব শত্রু আমার পায়ের নীচে পড়ে থাকবে।
39 ঈশ্বর, যুদ্ধে আপনিই আমাকে শক্তিশালী করেছেন।
আপনিই আমার শত্রুকে আমার সামনে ভূপতিত করেছেন।
40 আমার শত্রুদের পরাজিত করতে আপনি আমায় সাহায্য করেছেন
এবং আমি আমার বিরোধীদের বিনষ্ট করেছি!
41 আমার শত্রুরা সাহায্যের জন্য চিৎকার করেছিল।
কিন্তু তাদের সাহায্য করার কেউ ছিল না।
তারা এমনকি প্রভুকেও ডেকেছিল,
কিন্তু প্রভু তাদের উত্তর দেন নি।
42 আমি আমার শত্রুদের মেরে টুকরো টুকরো করে দিয়েছি।
তারা ধূলোর মত বাতাসে উড়ে গিয়েছিল।
আমি তাদের একেবারে খণ্ড বিখণ্ড করে ছেড়েছি।
43 যারা আমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে আমাকে তাদের হাত থেকে রক্ষা করুন।
আমাকে সেই সব জাতির নেতা বানিয়ে দিন।
যে সব লোকদের আমি জানি না, তারা আমার সেবা করবে।
44 সেই সব লোক আমার সম্পর্কে শোনামাত্রই আমার আজ্ঞাকারী হবে।
ঐ বিদেশীরা আমায় ভয় করবে।
45 ঐসব বিদেশীরা ভয়ে শুকিয়ে যাবে।
ভয়ে কম্পমান হয়ে ওরা ওদের গোপন ডেরা থেকে বেরিয়ে আসবে।
46 প্রভু জীবন্ত!
আমি আমার শিলার প্রশংসা করি। ঈশ্বর আমায় রক্ষা করেন।
তিনি মহান!
47 ঈশ্বর আমার জন্য আমার শত্রুদের শাস্তি দিয়েছেন।
তিনি লোকদের আমার অধীনে এনে দিয়েছেন।
48 প্রভু, আপনি শত্রুর হাত থেকে আমায় বাঁচিয়েছেন।
যারা আমার বিরুদ্ধে গিয়েছিল, তাদের পরাস্ত করতে আপনি আমায় সাহায্য করেছেন।
নিষ্ঠুর মানুষের হাত থেকে আপনি আমায় রক্ষা করেছেন।
49 হে প্রভু, এই কারণে আমি সকল জাতির কাছে আপনার প্রশংসা করি।
এই জন্যই আপনার নামে আমি স্তোত্র গান করি।
50 প্রভু তাঁর মনোনীত রাজাকে বহু যুদ্ধে জয়ী হতে সাহায্য করেন!
তাঁর মনোনীত রাজার প্রতি তিনি প্রকৃত ভালোবাসা দেখান।
তিনি দায়ূদ এবং তাঁর উত্তরপুরুষদের প্রতি চিরদিন বিশ্বস্ত থাকবেন!
29 যে ব্যক্তি প্রায়ই তিরস্কৃত হয় কিন্তু জেদ ধরে থাকে তাকে হঠাৎ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হয় এবং সে তার থেকে রক্ষা পাবে না।
2 যখন শাসক ভালো হয় তখন সবাই সুখে থাকে। কিন্তু মন্দ লোক কর্ত্তৃত্ব করলেই সকলে অভিযোগ জানায়।
3 যে ব্যক্তি জ্ঞানলাভে আগ্রহী সে তার পিতার সুখের কারণ হয়। কিন্তু যে ব্যক্তি বেশ্যালয়ে গিয়ে অর্থ ব্যয় করে সে অচিরেই তার ঐশ্বর্য হারাবে।
4 যদি রাজা ন্যায়পরায়ণ হন তবে সে দেশ শক্তিশালী হয়ে উঠবে। কিন্তু রাজা যদি জোর করে খুব ভারী কর প্রজার ওপর চাপান, তাহলে সেই দেশ দুর্বল হয়ে পড়বে।
5 যে মানুষ অন্য লোকদের তোষামোদ করে নিজের কার্য সিদ্ধ করতে চায় সে নিজের ফাঁদ নিজেই পাতে।
6 মন্দ লোকরা তাদের নিজেদের কুকর্মের ফাঁদে পড়ে। কিন্তু একজন ভাল মানুষ মনের সুখে গান গাইতে পারে।
7 ভালো লোক দরিদ্র মানুষের জন্য ভালো কিছু করতে চায়, কিন্তু মন্দ লোক তাদের নিয়ে মাথাই ঘামায় না।
8 উদ্ধত লোকরা একটি শহরে আগুন ধরিয়ে দিতে পারে, কিন্তু জ্ঞানী লোকরা জ্বলন্ত ক্রোধকে নির্বাপিত করে।
9 যদি একজন জ্ঞানী একজন মূর্খের সঙ্গে আলোচনা করে কোন সমস্যা মেটাতে চায় তাহলে সেই মূর্খ বোকার মতো তর্ক করতে থাকবে এবং তারা কখনোই এক মত হতে পারবে না।
10 খুনীরা সর্বদাই সৎ লোকদের ঘৃণা করে। মন্দ লোকরা সর্বদা ভাল লোকদের মেরে ফেলতে চেষ্টা করে।
11 একজন বোকা লোক সহজেই রেগে যায় কিন্তু জ্ঞানী মানুষ ধৈর্য্য ধরে নিজেকে সামলে রাখে।
12 একজন শাসক যদি মিথ্যাকে প্রশ্রয় দেয় তবে তার কর্মচারীরা দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে উঠবে।
13 একদিক থেকে দেখলে একজন দরিদ্র ব্যক্তি, আর একজন যে দরিদ্রদের কাছ থেকে চুরি করে, তারা একই; তারা দুজনেই প্রভুর সৃষ্টি।
14 যে রাজা দরিদ্রদের প্রতি ন্যায়পরায়ণ সে দীর্ঘকাল রাজত্ব করবে।
15 শাস্তি ও অনুশাসন দুইই শিশুদের পক্ষে ভাল। যদি কোন শিশুর অভিভাবক তাকে যা খুশী তাই করতে দেয় তবে সে তার মায়ের লজ্জার কারণ হয়।
16 যদি মন্দ লোকরা কর্ত্তৃত্ব করে তাহলে চতুর্দিকে পাপ কাজ হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভালো মানুষদের জয় হবেই।
17 তোমার পুত্র অন্যায় করলে তাকে শাস্তি দিও। তাহলে তাকে নিয়ে তুমি গর্ব করতে পারবে এবং সে তোমাকে কখনও লজ্জায় ফেলবে না।
18 যে দেশ ঈশ্বর দ্বারা পরিচালিত নয়, সেখানে কখনও শান্তি আসবে না। যে দেশ ঈশ্বরের বিধি মেনে চলে সেখানে সুখ বিরাজ করে।
19 তুমি শুধু কথা বলে তোমার ভৃত্যকে কিছু শেখাতে পারবে না। সে তোমাকে বুঝলেও অবজ্ঞা করতে পারে।
20 যে ব্যক্তি চিন্তা-ভাবনা না করে কথা বলে তার কোন আশা নেই। ঐ ব্যক্তির চেয়ে বরং একজন মূর্খের কিছু আশা থাকে।
21 তুমি যদি সব সময় তোমার ভৃত্য যা চায় তাই দিয়ে দাও, সে শেষ পর্যন্ত একজন ভালো ভৃত্য থাকবে না।
22 একজন রাগী মানুষ সমস্যার সৃষ্টি করে। যে খুব সহজেই রেগে যায় সে নানা অপরাধে দায়ী হয়।
23 যদি একজন ব্যক্তি নিজেকে অন্যদের তুলনায় অনেক ভালো মনে করে তাহলে সে নিজের পতনের কারণ হয়। কিন্তু যদি কোন ব্যক্তি বিনয়ী হয় তাহলে লোকে তাকে শ্রদ্ধা করে।
24 দুজন চোর এক সঙ্গে কাজ করলেও একে অপরের শত্রু হয়। একজন চোর আরেক জনকে শাসাবে যাতে যদি সে আদালতের চাপে সত্যি কথা বলতেও চায় তবুও ভয়েই বলতে পারে না।
25 ভয় হল ফাঁদের মতো। কিন্তু যদি তুমি প্রভুর ওপর বিশ্বাস রাখো তাহলে তুমি নিরাপদে থাকবে।
26 অনেক মানুষই রাজার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চায়। কিন্তু প্রভু সব সময় মানুষকে ন্যায্য বিচার দেন।
27 ভালো মানুষরা অসৎ মানুষকে ঘৃণা করে এবং মন্দ লোকরা সৎ মানুষদের ঘৃণা করে।
আমাদের জন্য প্রার্থনা করো
3 সবশেষে এই কথা বলছি, আমার ভাই ও বোনেরা, আমাদের জন্য প্রার্থনা করো। প্রার্থনা করো যেন প্রভুর শিক্ষা দ্রুত গতিতে বিস্তার লাভ করে, প্রার্থনা করো যেন লোকে সেই শিক্ষার সম্মান করে, যেমন সম্মান তোমরা করেছিলে। 2 প্রার্থনা করো যেন আমরা মন্দ ও খারাপ লোকদের হাত থেকে রক্ষা পাই। সবাই তো আর প্রভুকে বিশ্বাস করে না।
3 কিন্তু প্রভু বিশ্বস্ত, তিনিই তোমাদের শক্তি দেবেন ও মন্দ শক্তির (শয়তানের) হাত থেকে রক্ষা করবেন। 4 তোমাদের সম্বন্ধে প্রভুতে আমাদের এই দৃঢ় বিশ্বাস আছে যে, আমরা যা যা আদেশ করেছি সেই সমস্ত তোমরা পালন করছ ও আমরা জানি এর পরেও তা করবে। 5 আমরা প্রার্থনা করছি যেন প্রভু তোমাদের হৃদয়কে ঈশ্বরের ভালবাসার পথে ও খ্রীষ্টের ধৈর্য্য্যের পথে চালনা করেন।
কার্য্যের বাধ্যবাধকতা
6 আমার ভাই ও বোনেরা, আমরা আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে তোমাদের এই আদেশ দিচ্ছি যে, কোন ভাই যদি অলসভাবে দিন কাটায় এবং তোমরা আমাদের কাছ থেকে যে শিক্ষা পেয়েছ, সেই মত না চলে তবে তার কাছ থেকে দূরে থাক। 7 তোমরা নিজেরা জান যে আমরা যেমন চলি, তোমাদের তেমনি চলা উচিত। আমরা যখন তোমাদের ওখানে ছিলাম, আমরা অলস ছিলাম না। 8 কারো কাছ থেকে খাবার খেলে, আমরা তা মূল্য দিয়েই খেয়েছি। আমরা কাজ করতাম যেন কারো বোঝাস্বরূপ না হই। দিনে বা রাতে আমরা পরিশ্রম করেছি। 9 তোমাদের কাছ থেকে সাহায্য পাবার অধিকার আমাদের ছিল, কিন্তু আমরা নিজের হাতে কাজ করেছি, যেন আমরা আমাদের সংস্থান নিজেরা করে নিতে পারি; আর তোমাদের কাছে নিজেদের আদর্শরূপে দেখাতে চেয়েছিলাম যাতে তোমরা আমাদের অনুসরণ করতে পার। 10 কারণ আমরা যখন তোমাদের কাছে ছিলাম তখন তোমাদের এই আদেশ দিতাম যে, যদি কেউ কাজ করতে না চায়, তবে সে যেন না খায়।
11 তবু আমরা শুনতে পেয়েছি, তোমাদের মধ্যে কেউ কাজ করতে অস্বীকার করছে। তারা কিছুই করে না, কিন্তু তারা অন্যদের ব্যাপারে নাক গলায়। 12 এইরকম লোকদের আমরা প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে আদেশ ও উপদেশ দিচ্ছি যেন শান্তভাবে পরিশ্রম করে নিজেদের অন্ন নিজেরাই যোগাড় করে। প্রভু যীশুর নামে আমরা বিশেষভাবে তাদের বলছি তারা যেন এইভাবে চলে। 13 ভাই ও বোনেরা, সৎ কাজ করতে কখনও ক্লান্ত হয়ো না।
14 যদি কেউ এই চিঠিতে আমরা যা লিখেছি, তা না মানতে চায়, তবে তাকে চিনে রাখো, আর তার কাছ থেকে দূরে থাক, যেন সে লজ্জা পায়। 15 অথচ তার সঙ্গে শত্রুর মত আচরণ করো না, বরং তাকে ভাই বলে চেতনা দাও।
সমাপ্তি পদ
16 আমরা প্রার্থনা করি যে, শান্তির প্রভু নিজে সব সময় সব অবস্থায় তোমাদের শান্তি দান করুন। প্রভু তোমাদের সকলের সাথে থাকুন।
17 এই শুভেচ্ছা আমি পৌল নিজে হাতে লিখলাম; প্রত্যেক চিঠিতে এটাই চিহ্ন, আমি এইরকম লিখে থাকি।
18 আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ তোমাদের সকলের সঙ্গে থাকুক।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International