M’Cheyne Bible Reading Plan
চর্মরোগ সংক্রান্ত নিয়মাবলী
13 প্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন, 2 “কোন লোকের চামড়া যদি ফুলে থাকে বা তাতে খোস পাঁচড়া অথবা চকচকে দাগের মতো কিছু থাকে, যদি ক্ষত অংশটা কুষ্ঠ রোগের ঘায়ের মতো দেখতে হয়, তাকে অবশ্যই যাজক হারোণ বা তার যাজক পুত্রদের কাছে আনতে হবে। 3 চামড়ার ক্ষত স্থানটিকে যাজক অবশ্যই দেখবে। যদি ক্ষতের মধ্যেকার লোম সাদা হয়ে ওঠে এবং যদি চামড়ার ওপর থেকে ক্ষতস্থানটিকে গর্তের মতো মনে হয়, তবে তা কুষ্ঠরোগ। যাজক লোকটিকে দেখা শেষ করে তাকে অশুচি বলে ঘোষণা করবে।
4 “কিন্তু চামড়ায় সাদা দাগ যদি গভীর না হয় এবং ক্ষতস্থানের লোম যদি সাদা না হয় তাহলে সাত দিনের জন্যে যাজক সেই মানুষটিকে অন্য সব লোকদের থেকে আলাদা করবে। 5 সাত দিনের দিন যাজক অবশ্যই লোকটাকে দেখবে। যাজক যদি দেখে বোঝে যে ক্ষতস্থানের কোনো পরিবর্তন হয় নি এবং তা চামড়ার ওপর ছড়িয়ে পড়েনি, তাহলে আরও সাত দিনের জন্য লোকটাকে আলাদা করে রাখবে। 6 সাত দিন পর যাজক লোকটিকে আবার দেখবে। যদি ক্ষতস্থানটি শুকিয়ে যায় এবং চামড়ার ওপর না ছড়ায়, তখন যাজক সেই লোকটিকে শুচি বলে ঘোষণা করবে। এক্ষেত্রে ক্ষতস্থানটি শুধু হল খোস-পাঁচড়ার, সুতরাং লোকটি অবশ্যই তার কাপড়-চোপড় পরিষ্কার করে শুচি হবে।
7 “কিন্তু যদি লোকটি যাজকের কাছে নিজেকে শুচি দেখানোর পরে ক্ষতস্থানটি চামড়ায় আরও ছড়িয়ে পড়তে দেখে তা হলে লোকটি অবশ্যই যাজকের কাছে আবার আসবে। 8 যাজক আবার দেখবে যে ক্ষতস্থানটি চামড়ার ওপর ছড়িয়ে গেছে কিনা, আর তাহলে যাজক তাকে অশুচি বলে ঘোষণা করবে। সেটা তাহলে কুষ্ঠরোগ।
9 “যদি কোনো ব্যক্তির কুষ্ঠরোগ থাকে তাহলে তাকে অবশ্যই যাজকের কাছে আনতে হবে। 10 যাজক অবশ্যই লোকটিকে দেখবে যে চামড়ার ওপর কোন সাদা ফোলা অংশ আছে কিনা এবং লোমটাও সাদা হয়ে গেছে কিনা। যদি চামড়ার লোম সাদা হয়ে যায় এবং চামড়ার ফোলা জায়গা কাঁচা থাকে, 11 তাহলে তা কুষ্ঠরোগ। দীর্ঘ দিন ধরে যা লোকটির চামড়ায় থেকে গেছে, যাজক অবশ্যই তাকে অশুচি বলে ঘোষণা করবে। তাকে অন্য লোকদের থেকে অল্প সময়ের জন্য আলাদা করার প্রয়োজন নেই, কারণ লোকটি অশুচি।
12 “কখনও কখনও মাথা থেকে পা পর্যন্ত সারা শরীরে চর্মরোগ ছড়াতে পারে। সুতরাং যাজক অবশ্যই লোকটির সারা শরীর দেখবে। 13 যদি যাজক দেখে যে চর্মরোগ সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে গেছে এবং লোকটার চামড়া সাদা হয়ে গিযেছে, তাহলে যাজক অবশ্যই তাকে শুচি বলে ঘোষণা করবে। 14 কিন্তু যদি লোকটির চামড়া কাঁচা হয় তাহলে সে শুচি নয়। 15 যখন যাজক কোনো মানুষের চামড়া কাঁচা দেখে, সে অবশ্যই লোকটিকে অশুচি ঘোষণা করবে। কাঁচা চামড়া শুচি নয়। এটা হল কুষ্ঠরোগ।
16 “যদি কাঁচা চামড়া বদলায় এবং সাদা হয়ে যায়, তাহলে লোকটিকে যাজকের কাছে আসতে হবে। 17 যাজক লোকটিকে অবশ্যই দেখবে। যদি সংক্রামিত জায়গা সাদা হয়, তাহলে যাজক লোকটিকে অবশ্যই শুচি বলে ঘোষণা করবে। ঐ লোকটি শুচি।
18 “কোন ব্যক্তির চামড়ার ওপর ফোঁড়া হতে পারে এবং সে ফোঁড়া সেরে যেতে পারে। 19 পরে সেই ফোঁড়ার স্থানে সাদা রঙের ফোলা বা দগদগে লাল ডোরা টানা সাদা দাগ হতে পারে। লোকটি ঐ দাগ তখন যাজককে অবশ্যই দেখাবে। 20 যাজক অবশ্যই তা দেখবে। যদি ফোঁড়াটা চামড়া থেকে গর্তের মতো হয় এবং এর ওপরকার লোম সাদা হয়, তাহলে যাজক লোকটিকে অবশ্যই অশুচি ঘোষণা করবে। চিহ্নিত জায়গাটায় কুষ্ঠের ঘা শুরু হয়েছে। চামড়ায় এই ফোঁড়াটার ভেতর থেকে কুষ্ঠ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। 21 কিন্তু যদি যাজক জায়গাটায় কোন সাদা লোম না দেখে আর জায়গাটা চামড়ার মধ্যে গর্ত না করে থাকে, বরং যদি দেখা যায় শুকিয়ে যাচ্ছে, তাহলে যাজক লোকটাকে সাত দিনের জন্যে আলাদা করে রাখবে। 22 যদি চামড়ার আরও অংশে দাগ ছড়ায় তা হলে যাজক সেই লোকটিকে অবশ্যই অশুচি ঘোষণা করবে। এটা হল ঘা। 23 কিন্তু যদি চকচকে দাগটি এক জায়গাতেই থাকে এবং না ছড়ায় তা হলে বুঝতে হবে তা পুরানো ফোঁড়ারই ক্ষতচিহ্ন। যাজক অবশ্যই তাকে শুচি ঘোষণা করবে।
24-25 “কোন ব্যক্তির চামড়া আগুনে পুড়ে যেতে পারে। যদি চামড়ার কাঁচা অংশটি সাদা অথবা লাল ডোরাকাটা সাদা অংশ হয়, যাজক অবশ্যই তা দেখবে। যদি সাদা অংশটা চামড়ায় গর্তের মতো হয় এবং ঐ জায়গাটার লোম সাদা হয়ে যায় তাহলে তা কুষ্ঠরোগ। পোড়া অংশে কুষ্ঠ ছড়িয়ে পড়েছে। যাজক অবশ্যই ঐ লোকটিকে অশুচি ঘোষণা করবে। এটা হল কুষ্ঠরোগ। 26 কিন্তু যদি সেই চকচকে জায়গায় কোনো সাদা লোম না থাকে এবং ক্ষতস্থানটা চামড়ায় গর্ত সৃষ্টি না করে মিলিয়ে যায়, তাহলে যাজক অবশ্যই সাত দিনের জন্য লোকটাকে আলাদা করবে। 27 সাত দিনের দিন যাজক লোকটাকে আবার দেখবে। যদি ক্ষতস্থানটা চামড়ার ওপর ছড়িয়ে যায়, তাহলে যাজক ঘোষণা করবে যে লোকটা অশুচি। এটা কুষ্ঠরোগ। 28 কিন্তু যদি চকচকে দাগটি চামড়ায় না ছড়ায় এবং মিলিয়ে যায় তাহলে পোড়ার জন্যেই ফুলেছে বুঝতে হবে। এটা কেবলমাত্র পোড়ার ক্ষতচিহ্ন। যাজক অবশ্যই সেই ব্যক্তিকে শুচি বলে ঘোষণা করবে।
29 “কোন ব্যক্তির মাথার চামড়ায় বা দাড়িতে ঘা হলে, 30 যাজক চামড়ার এই সংক্রমণ অবশ্যই দেখবে। যদি চামড়া থেকে সংক্রমণের জায়গাটা গর্তের মতো হয় এবং যদি তার চারপাশের লোম হয় পাতলা ও হলদে, তাহলে যাজক সেই মানুষটিকে অবশ্যই অশুচি ঘোষণা করবে। এটা দাদ, খারাপ চর্মরোগ। 31 যদি রোগটা চামড়ার থেকে গর্ত হওয়ার মতো মনে না হয়, কিন্তু সেখানে কোনো কালো লোম না থাকে, তখন যাজক অবশ্যই লোকটিকে সাত দিনের জন্যে আলাদা করে দেবে। 32 সাতদিনের মাথায় যাজক সংক্রামিত জায়গাটা দেখবে। যদি রোগটা না ছড়ায় এবং সেখানে কোন হলদে লোম না জন্মায় এবং রোগটা চামড়া থেকে গর্তের মতো না হয়, 33 তাহলে লোকটা নিশ্চয়ই নিজেকে কামিয়ে নেবে; কিন্তু সে রোগের জায়গাটা কখনও কামাবে না। যাজক অবশ্যই লোকটিকে আরও সাত দিন আলাদা করে রাখবে। 34 সাত দিনের মাথায় যাজক অবশ্যই রোগটাকে দেখবে। যদি গোটা চামড়ায় রোগটা না ছড়ায় এবং যদি চামড়া থেকে সেটাকে গর্তের মত মনে না হয়, তাহলে যাজক লোকটিকে শুচি বলে ঘোষণা করবে। লোকটি অবশ্যই তার কাপড়-চোপড় ধৌত করবে এবং শুচি হবে। 35 কিন্তু শুচি হওয়ার পর লোকটির রোগ যদি চামড়ায় ছড়ায়, 36 তখন যাজক লোকটিকে আবার দেখবে। যদি রোগটা চামড়ায় ছড়িয়ে যায় যাজক হলুদ রঙের লোম দেখার প্রয়োজন বোধ করবে না। লোকটা অশুচি। 37 কিন্তু যদি যাজক মনে করে যে রোগটা সেরে গেছে এবং তার মধ্যে কালো লোম গজাতে শুরু করেছে, তাহলে রোগটা সেরে গেছে। লোকটা শুচি। যাজক অবশ্যই ঘোষণা করবে যে লোকটা শুচি।
38 “যদি কোন লোমের চামড়ায় সাদা সাদা দাগ থাকে, 39 তাহলে যাজক অবশ্যই ঐ সব দাগের জায়গাগুলো দেখবে। যদি লোকটার চামড়ায় ওপরকার দাগগুলো কেবলমাত্র অনুজ্জ্বল সাদাটে হয় তাহলে তা শুধুমাত্র ফুসকুড়ি বা ক্ষতিকারক নয়। ঐ ধরণের লোক শুচি।
40 “কোন মানুষের মাথার চুল পড়ে যেতে পারে; সে শুচি, এটা শুধু টাক পড়া। 41 কোন মানুষের মাথার দুপাশ থেকে চুল উঠে যেতে পারে; সে শুচি। এটা শুধুমাত্র আর এক ধরণের টাক পড়া। 42 কিন্তু যদি তার মাথার টাক পড়া চামড়ায় কোন লাল এবং সাদা দাগ থাকে, তাহলে তা চামড়ারই কোন রোগ বুঝতে হবে। 43 একজন যাজক অবশ্যই তাকে দেখবে। যদি সংক্রামিত ফোঁড়াটা লাল এবং সাদা হয়, আর যদি শরীরের অন্য সব অংশে কুষ্ঠ রোগের মতো দেখায় 44 তাহলে বুঝতে হবে লোকটির মাথার খুলিতে কুষ্ঠ হয়েছে, লোকটা অশুচি। যাজক অবশ্যই লোকটিকে অশুচি ঘোষণা করবে।
45 “যদি এক ব্যক্তির কুষ্ঠ রোগ থাকে, তাহলে সেই ব্যক্তি অন্য লোকদের সাবধান করে দেবে। সেই লোকটি চেঁচিয়ে বলবে, ‘অশুচি, অশুচি।’ লোকটির কাপড়ের দুই ধারের জোড়া অবশ্যই ছিঁড়ে ফেলা হবে। সে তার চুল অবিন্যস্ত করবে এবং মুখ ঢাকবে। 46 যতক্ষণ তার সংক্রামক ব্যাধি থাকবে ততক্ষণ লোকটি হবে অশুচি। সে অবশ্যই একা থাকবে। তার বাড়ী অবশ্যই শিবিরের বাইরে থাকবে।
47-48 “কিছু পোশাকের ওপর ছাতা পড়তে পারে। কাপড়টা মসীনা সুতোর অথবা উলে তৈরী, তাঁতে বোনা বা হাতে বোনা হতে পারে। এক টুকরো চামড়ার ওপর বা চামড়া থেকে তৈরী কোন জিনিসের ওপরেও ছাতা পড়তে পারে। 49 যদি ঐ ছত্রাকের রঙ সবুজ বা লাল হয় তাহলে এটা অবশ্যই একজন যাজককে দেখাতে হবে। 50 যাজক অবশ্যই ছাতা পড়া অংশটা দেখবে এবং সেই জিনিসটাকে আলাদা জায়গায় সাতদিন ধরে ফেলে রাখবে। 51-52 সাত দিনের মাথায় যাজক অবশ্যই ছাতা পড়া অংশটি দেখবে। ছাতা পড়া অংশটা চামড়ার বা কাপড়ের ওপর হোক্ তাতে তেমন কিছু যায় আসে না। যদি পোশাক তাঁতে বোনা বা হাতে বোনা হয় তাতেও কিছু যায় আসে না বা চামড়া কিসে ব্যবহৃত হচ্ছে সেটাও কোন ব্যাপার নয়। যদি ছাতা পড়া অংশটা ছড়ায় তাহলে সেই কাপড় বা চামড়া অশুচি। সংক্রমনটি অশুচি। যাজক অবশ্যই সেই কাপড় ও চামড়া পুড়িয়ে ফেলবে।
53 “যদি যাজক দেখে যে ছাতা পড়া অংশটি ছড়িয়ে পড়েনি, তখন কাপড় বা চামড়া অবশ্যই ধুতে হবে। চামড়া বা কাপড় যাই হোক্ না কেন, কোন ব্যাপার নয়। অথবা যদি কাপড় হাতে বোনা বা তাঁতে বোনা হয় তাতেও কিছু আসে যায় না। 54 যাজক লোকেদের অবশ্যই আদেশ দেবে সেই চামড়া বা কাপড়ের টুকরো ধুয়ে ফেলতে। তারপর যাজক আরো সাত দিনের জন্য কাপড় চোপড় আলাদা করে রাখবে। 55 এরপর যাজক অবশ্যই আবার দেখবে। যদি সেই অংশটি তখনও ছত্রাক দ্বারা সংক্রমিত হয়ে আছে বলে মনে হয়, তখন ছড়িয়ে না থাকা সত্ত্বেও তা অশুচি হবে এবং তোমাকে তা আগুনে পোড়াতে হবে।
56 “কিন্তু যদি ছাতা পড়া অংশটি ম্লান হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে যাজক অবশ্যই চামড়া বা কাপড়ের টুকরো থেকে সংক্রমিত অংশটি ছিঁড়ে বাদ দেবে। তাঁতে বা হাতে বোনা কাপড় হলেও কিছু আসে যায় না। 57 কিন্তু সেই চামড়ার বা কাপড়ের টুকরোয় ছাতা পড়া অংশ আবার দেখা দিতে পারে। যদি তাই ঘটে তখন বুঝতে হবে ছাতা পড়া অংশটা ছড়িয়ে পড়ছে। সেক্ষেত্রে তোমাকে সেই ছাতা পড়া জিনিস পুড়িয়ে ফেলতে হবে। 58 কিন্তু ধোয়ার পরে যদি ছাতা পড়া অংশ না দেখা দেয় তাহলে সেই চামড়ার বা কাপড়ের টুকরো শুচি। সে কাপড় তাঁতে বোনাই হোক্ অথবা হাতে বোনা সেটা কোন ব্যাপারই নয়। সেই কাপড় শুচি।”
59 ঐগুলি হল চামড়ার বা কাপড়ের টুকরোগুলির ওপরে ছাতা পড়ার ব্যাপারে নিয়মাবলী। কাপড় তাঁতে বা হাতে বোনা হতে পারে; কিন্তু তাতে কিছু আসে যায় না।
দায়ূদের একটি গীত।
15 প্রভু, কে আপনার পবিত্র তাঁবুতে থাকতে পারে?
কে আপনার পবিত্র পর্বতে থাকতে পারে?
2 একমাত্র তারাই পারে যারা পবিত্রভাবে জীবনযাপন করে, সৎ কাজ করে,
এবং তাদের অন্তর থেকে সত্য কথা বলে,
তারাই আপনার পবিত্র পর্বতে বাস করতে পারে।
3 এই ধরণের লোক, অন্যান্য মানুষ সম্পর্কে খারাপ কথা বলে না।
তারা তাদের প্রতিবেশীদের আঘাত করবার জন্য কোন কাজ করে না।
তারা তাদের খুব কাছের মানুষ সম্পর্কে লজ্জাজনক কিছু বলে না।
4 ঈশ্বরকে যারা খুশী করে না, তারা তাদের সম্মান করে না।
কিন্তু যারা প্রভুর সেবা করে, তারা তাদের সম্মান প্রদর্শন করে।
যদি তারা প্রতিবেশীর কাছে কোন প্রতিশ্রুতি করে,
তবে তারা তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করে।
5 যদি তারা কাউকে টাকা ধার দেয়,
তারা সেই ঋণের জন্য সুদ চায় না।
এমনকি, কেউ যদি তাদের নির্দোষ লোকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবার জন্য টাকা দিতে চায়
তবু তারা সে কাজ করতে অস্বীকার করে।
যে কেউ এইভাবে জীবনযাপন করে, সে সর্বদাই ঈশ্বরের কাছে থাকবে।[a]
দায়ূদের একটি মিকতাম।
16 হে ঈশ্বর, আমায় রক্ষা করুন।
কারণ আমি আপনার ওপর নির্ভর করি।
2 আমি প্রভুকে বলেছিলাম,
“প্রভু, আপনিই আমার সদাপ্রভু।
যা কিছু ভালো জিনিস এখন আমার আছে তা আপনার কাছ থেকেই এসেছে।”
3 পৃথিবীতে তাঁর অনুচরদের জন্য প্রভু বিস্ময়কর কাজ করেন।
প্রভু দেখিয়ে দেন যে প্রকৃতই তিনি ঐসব লোকেদের ভালোবাসেন।
4 কিন্তু যারা অন্যান্য দেবতার পূজা করতে ছুটে যায় তারা অনেক যন্ত্রণায় পড়বে।
যে রক্ত তারা ঐসব দেবমূর্ত্তিতে উৎসর্গ করে, আমি সেই উৎসর্গের সামিল হব না।
এমনকি আমি ঐসব দেবমূর্ত্তির নামও উচ্চারণ করবো না।
5 না, আমার ভাগের অংশ, আমার পানপাত্র প্রভুর কাছ থেকে আসে।
প্রভু আপনি আমায় সহায়তা দিয়েছেন।
আপনি আমায় আমার অংশ দিয়েছেন।
6 আমার অংশটুকু অবশ্যই চমৎকার।
আমার উত্তরাধিকার সত্যিই সুন্দর।
7 আমি প্রভুর প্রশংসা করি, কারণ তিনি আমায় উত্তমরূপে শিক্ষাদান করেছেন।
এমনকি নিশাকালে, তাঁর নির্দেশসমূহ তিনি আমার অন্তরের গভীরে রেখে যান।
8 আমি সর্বদাই প্রভুকে আমার সামনে রাখি।
আমি কখনই তাঁর দক্ষিণ পাশ ছেড়ে যাবো না।
9 তাই, আমার হৃদয় এবং আত্মা অত্যন্ত খুশী হবে।
আমার দেহও নিরাপদে বেঁচে থাকবে।
10 কেন? কারণ হে প্রভু পাতালে আপনি আমার আত্মা ছেড়ে চলে যাবেন না।
আপনার বিশ্বস্ত জনকে আপনি কবরে পচতে দেবেন না।
11 আপনি আমাকে বাঁচার প্রকৃত পথ সম্পর্কে শিক্ষা প্রদান করবেন।
হে প্রভু, শুধুমাত্র আপনার সঙ্গে থাকলেই জীবনের চরম শান্তি লাভ হবে।
আপনার ডানদিকে থাকতে পারলেই চিরন্তন সুখ আসবে।
27 তোমার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে মিথ্যে অহঙ্কার করো না। কারণ কাল কি হবে তা তোমার অজানা।
2 কখনও নিজের প্রশংসা নিজে করো না, অন্যকে তা করতে দাও।
3 একখণ্ড ভারী পাথর বা বালি বয়ে নিয়ে যাওয়া কঠিন। কিন্তু একজন মূর্খের ক্রোধের ফলস্বরূপ যে সংকটগুলি সৃষ্টি হয় তা সহ্য করা আরো কঠিন।
4 ক্রোধ নিষ্ঠুর ও নীচ এবং ধ্বংসের কারণ। কিন্তু ঈর্ষা এর থেকেও খারাপ।
5 গুপ্ত প্রেম অপেক্ষা খোলাখুলি সমালোচনা ভাল।
6 একজন বন্ধু তোমাকে তিরস্কার করে হয়তো আঘাত করতে পারে, কিন্তু সেটা তোমার নিজেরই ভালোর জন্য। কিন্তু একজন শত্রু যখন তোমাকে আঘাত করতে চায় তখন সে সদয় হয়ে মধুর ব্যবহার করে।
7 যদি তোমার খিদে না থাকে তবে তুমি মধুও খাবে না। কিন্তু যদি তোমার খিদে পায় তবে তুমি যে কোন খাবার, খারাপ খেতে হলেও খাবে।
8 বাড়ী থেকে দূরে থাকা একজন ব্যক্তি হল নীড় থেকে দূরে থাকা একটি পাখীর মত।
9 একটি সুগন্ধি সৌরভ একজনকে খুশী করতে পারে। কিন্তু একজন ভালো বন্ধু জীবনত্রাণ কারক উপদেশের চেয়েও মিষ্টি।
10 তোমার নিজের পিতার ও তোমার পিতার বন্ধুদের কথা কখনও ভুলো না। যদি তুমি সমস্যায় পড়ো তাহলে ঘর থেকে অনেক দূরে ভাইয়ের বাড়িতে সাহায্য চাইতে না গিয়ে তোমার প্রতিবেশীর কাছে সাহায্য চাও।
11 হে পুত্র, তুমি জ্ঞানী হয়ে আমাকে সুখী করো। তাহলেই আমি আমার সমালোচকদের সমালোচনার জবাব দিতে পারব।
12 যে জ্ঞানী সে বিপদের সম্ভাবনা দেখলে দূরে সরে যায় কিন্তু মূর্খ যোদ্ধা গিয়ে বিপদে ঝাঁপ দেয় এবং দুর্ভোগ পোহায়।
13 তুমি যদি অপরের ঋণের দায়িত্ব নাও তাহলে তুমি তোমার নিজের বস্ত্র হারাবে।
14 ভোর বেলা চিৎকার করে, “সুপ্রভাত” বলে সম্ভাষণ জানিয়ে তোমার প্রতিবেশীদের জাগিয়ে তুলো না! সে এটাকে আশীর্বাদ না ভেবে অভিশাপ ভাববে।
15 একজন ঝগড়াটে স্ত্রী হল বর্ষার দিনে অবিরাম ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি পড়ার মতো। 16 ঐ ধরণের স্ত্রীলোককে থামাতে যাওয়া হাওয়ার গতি রোধ করবার চেষ্টা করবার মতো। এ হল অনেকটা হাত দিয়ে তেল মুঠো করে ধরার চেষ্টা করবার মতো।
17 একটি লোহা আর এক টুকরো লোহার ওপর রেখে ছুরিতে ধার দেওয়া হয়। একই রকম ভাবে, বন্ধুরা পরস্পরকে সংশোধন করতে গিয়ে নিজেদের বিচক্ষণ করে তোলে।
18 যে মানুষ ডুমুর গাছের যত্ন নেয় সে তার ফলও ভোগ করে। এইভাবেই, যে ব্যক্তি তার প্রভুর সেবা করে, সে তার জন্য পুরস্কৃত হবে। তার মনিব তার দেখাশোনার ভার নেন।
19 ঠিক যে ভাবে জলের দিকে তাকালে একজন মানুষ নিজের চেহারা দেখতে পায় ঠিক সে ভাবেই একজন মানুষের মনের দিকে তাকালে তার স্বরূপ চেনা যায়।
20 মানুষের বাসনা কখনও পরিতৃপ্ত হয় না, একই রকম ভাবে, মৃত্যু ও ধ্বংসের স্থল তাদের কাছে ইতিমধ্যেই যা আছে তার থেকে সব সময় বেশী চায়।
21 মানুষ যেমন আগুনের দ্বারা সোনা ও রূপো পরিশুদ্ধ করে ঠিক সে ভাবেই মানুষের প্রশংসার দ্বারা একজন ব্যক্তিকে পরীক্ষা করা হয়।
22 তুমি একজন মূর্খকে পিষে গুঁড়ো করে ফেললেও কখনও তার বোকামি ঘোচাতে পারবে না।
23 তোমার মেষ ও ছাগলের পালের ওপর সতর্ক প্রহরার নজর রাখো। তাদের সমস্ত প্রয়োজনের প্রতি যত্ন নিও। 24 শুধু সম্পদই নয়, কোন দেশও চিরস্থায়ী নয়। 25 খড় কেটে ফেল আবার নতুন ঘাস গজাবে। পাহাড়ের গায়ে গজানো ঘাস কেটে ফেল। 26 তোমার মেষদের গা থেকে পশম নিয়ে পোশাক তৈরী করো। তুমি তোমার কিছু ছাগল বিক্রি করে দিয়ে কিছুটা জমি কেনো। 27 তোমার ও তোমার পরিবারের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে ছাগলের দুধ থাকবে। এতে তোমার স্ত্রী, ভৃত্যরা স্বাস্থ্যবতী হবে।
1 থিষলনীকীয় মণ্ডলীর উদ্দেশ্যে আমি পৌল, সীল ও তীমথিয় এই চিঠি লিখছি। তোমরা আমাদের ঈশ্বর পিতা ও প্রভু যীশু খ্রীষ্টের সঙ্গে যুক্ত।
2 পিতা ঈশ্বর ও প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ ও শান্তি তোমাদের সহবর্তী হোক্।
3 ভাই ও বোনেরা, তোমাদের জন্য আমরা সব সময় ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিয়ে থাকি আর আমাদের তাই-ই করা উচিত। কারণ তোমাদের বিশ্বাস আশ্চর্যজনক ভাবে বৃদ্ধিলাভ করেছে ও পরস্পরের প্রতি তোমাদের যে ভালবাসা তা দ্রুত বৃদ্ধিলাভ করছে। 4 বিভিন্ন ঈশ্বরের মণ্ডলীতে তোমাদের বিষয়ে আমরা গর্ব প্রকাশ করি; কিভাবে তোমরা বিশ্বাসে বলিষ্ঠ হয়ে উঠেছ ও বিশ্বাসে স্থির আছ এসব কথা আমরা তাদের বলি। তোমরা অনেক নির্যাতন সয়ে যাচ্ছো ও কষ্ট ভোগ করছ, তবুও তোমরা ধৈর্য্য্যে ও বিশ্বাসে স্থির আছ।
ঈশ্বরের বিচারের বিষয়ে পৌল বললেন
5 এইসব বিষয় ঈশ্বরের ন্যায়বিচারের স্পষ্ট প্রমাণ। ঈশ্বর চান তোমরা তাঁর রাজ্যের যোগ্য বলে গন্য হবে; আর সেই জন্যই তোমরা এত কষ্টভোগ করছ। 6 বাস্তবে ঈশ্বরের দৃষ্টিতে এটাই ন্যায়। যারা তোমাদের কষ্ট দেয়, তিনি তাদেরও প্রতিফলস্বরূপ কষ্ট দেবেন। 7 তোমরা যারা এখন কষ্ট পাচ্ছ, ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে তোমাদেরও বিশ্রাম দেবেন। যখন যীশু প্রকাশিত হবেন ও পরাক্রমশালী স্বর্গদূতদের সঙ্গে নিয়ে স্বর্গ থেকে নেমে আসবেন, তখন এইসব ঘটবে। 8 যারা ঈশ্বরকে জানে না এমন লোকদের শাস্তি দিতে তিনি স্বর্গ থেকে জ্বলন্ত অগ্নিসহ নেমে আসবেন। আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের সুসমাচারের নির্দেশ যারা পালন করে না, তিনি তাদেরও শাস্তি দেবেন। 9 তারা অনন্তকাল বিনাশরূপ শাস্তি ভোগ করবে। তারা প্রভুর সঙ্গে থাকতে পারবে না এবং তাঁর মহাপরাক্রমের মহিমা থেকে তাদের দূরে রাখা হবে। 10 সেইদিন যীশু তাঁর পবিত্র লোকদের দ্বারা মহিমান্বিত হতে আসবেন, আর যারা যীশুতে বিশ্বাস করেছে তারা সবাই যীশুতে চমৎকৃত হবে। বিশ্বাসী ভাই ও বোনেরা, তোমরাও সেই বিশ্বাসীবর্গের মধ্যে থাকবে, কারণ আমরা যে বাণী তোমাদের বলছি তাতে তোমরা বিশ্বাস করেছ।
11 আর এই কারণেই আমরা তোমাদের জন্য সর্বদা প্রার্থনা করে চলেছি, যেন ঈশ্বর যে পবিত্র জীবনযাপন করার উদ্দেশ্যে তোমাদের আহ্বান করেছেন তোমরা তার যোগ্য বলে বিবেচিত হও। আরো প্রার্থনা করি যেন তাঁর শক্তি দ্বারা তিনি তোমাদের সদিচ্ছায় পূর্ণ সমস্ত বাসনা পূর্ণ করেন ও তোমাদের বিশ্বাস হতে উৎপন্ন প্রত্যেক কাজকে আশীর্বাদ করেন; 12 যেন আমাদের ঈশ্বর ও প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ অনুসারে আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নাম তোমাদের মাধ্যমে মহিমান্বিত হয় আর তোমরাও তাতে মহিমান্বিত হও। সেই মহিমা আমাদের ঈশ্বর ও প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ থেকে লাভ হয়।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International