M’Cheyne Bible Reading Plan
ঈশ্বর যাজকদের গ্রহণ করলেন
9 আট দিনের দিন মোশি হারোণ ও তার পুত্রদের এবং সেই সাথে ইস্রায়েলের প্রবীণদেরও ডাকল। 2 মোশি হারোণকে বলল, “একটা ষাঁড় এবং একটা পুরুষ মেষ নিয়ে এসো। এই জন্তুদের মধ্যে অবশ্যই যেন কোন খুঁত না থাকে। ষাঁড়টা হবে পাপ মোচনের নৈবেদ্য আর মেষটা হবে হোমবলির নৈবেদ্য। ঐসব জন্তুদের প্রভুর কাছে নিবেদন করো। 3 ইস্রায়েলের লোকদের বলো, ‘পাপ মোচনের নৈবেদ্যর জন্য একটি পুরুষ ছাগল নাও এবং হোমবলির জন্য একটি বাছুর ও একটি মেষশাবক নাও। বাছুর ও ছাগ শিশু প্রত্যেকটির বয়স যেন এক বছর হয়। ঐ সমস্ত জন্তুদের মধ্যে অবশ্যই যেন কোন খুঁত না থাকে। 4 একটা ষাঁড় ও একটা পুরুষ মেষ মঙ্গল নৈবেদ্যর জন্য নাও। ঐসব জন্তু ছাড়াও তেল মেশানো শস্য নৈবেদ্য নেবে এবং এসব প্রভুর কাছে নিবেদন করবে, কারণ আজ প্রভু তোমাদের কাছে আবির্ভূত হবেন।’”
5 সুতরাং সমস্ত মানুষ সমাগম তাঁবুর কাছে এলো। মোশি যেমন আদেশ দিয়েছিল তারা সকলে সেই মত জিনিস আনলো। সমস্ত লোক প্রভুর সামনে দাঁড়াল। 6 মোশি বলল, “প্রভুর আজ্ঞা মতই তোমরা এগুলি করবে আর তখন প্রভুর মহিমা তোমাদের কাছে প্রকাশিত হবে।”
7 তারপর মোশি হারোণকে বলল, “যাও প্রভুর আজ্ঞা মতো কাজগুলি করো। বেদীর কাছে যাও এবং পাপ মোচনের নৈবেদ্য ও হোমবলির নৈবেদ্যগুলি নিবেদন করো, যাতে তুমি এবং তোমার লোকরা শুচি হও। লোকদের নৈবেদ্যগুলিও নাও এবং সেইসব পর্বগুলি পালন কর যেগুলি তাদের শুচি করে।”
8 সেইজন্য হারোণ বেদীর সামনে এসে পাপমোচনের নৈবেদ্যর জন্য ষাঁড়টাকে হত্যা করলো। এই পাপমোচনের নৈবেদ্য তার নিজেরই জন্য। 9 তারপর হারোণের পুত্ররা হারোণের কাছে রক্ত আনলো। হারোণ তার আঙুল রক্তে ডুবিয়ে তার বেদীর কোণগুলোয় ছড়িয়ে দিল, তারপর বেদীর মেঝেতে রক্ত ঢেলে দিল। 10 পাপমোচনের নৈবেদ্য থেকে হারোণ নিল চর্বি, বৃক্কগুলো এবং যকৃতের চর্বি অংশটা। প্রভু যেমন যেমন মোশিকে আজ্ঞা করেছিলেন সেইভাবে সে ঐ জিনিসগুলো বেদীর ওপর পোড়ালো। 11 হারোণ এরপর শিবিরের বাইরে আগুনে মাংস আর চামড়া পোড়াল। 12 পরে হোমবলির জন্য হারোণ জন্তুটিকে হত্যা করে টুকরো টুকরো করে কাটল। হারোণের পুত্ররা হারোণের কাছে রক্ত নিয়ে এলে হারোণ সেই রক্ত বেদীর চারপাশে ছিটিয়ে দিল। 13 হারোণের পুত্ররা হারোণকে হোমবলির টুকরোগুলো আর মাথাটা দিলে সে সেগুলো বেদীর ওপর পোড়াল। 14 হোমবলির ভিতরের অংশগুলো আর পাগুলিও ধুয়ে ফেলে সেইসব বেদীর ওপর পোড়াল।
15 তারপর হারোণ লোকদের নৈবেদ্যগুলি আনল। সে লোকদের পাপের জন্য নৈবেদ্য হিসেবে ছাগলটিকে হত্যা করে প্রথমটার মতই এটিকে নিবেদন করল। 16 প্রভুর নির্দেশমত সে দগ্ধ নৈবেদ্যটিকে নিয়ে এসে নিবেদন করল। 17 বেদীর কাছে শস্য নৈবেদ্য নিয়ে এসে সে এক মুঠো শস্য নিল এবং তা রোজ সকালে বেদীর ওপর যে বলি দেওয়া হত তার সাথে সাথে নিবেদন করল।
18 সে ষাঁড় এবং পুরুষ মেষটিকেও হত্যা করল। এসব হল লোকদের মঙ্গল নৈবেদ্য। হারোণের পুত্ররা হারোণের কাছে রক্ত আনলে সে এই রক্ত বেদীর চারপাশে ছড়িয়ে দিল। 19 তারা ষাঁড় আর মেষের চর্বি, লেজের চর্বি, ভিতরের অংশে ঢাকা দেওয়া চর্বি, বৃক্কগুলি এবং যকৃতের চর্বি অংশ আনল। 20 এইসব চর্বিগুলো ষাঁড় আর পুরুষ মেষের বুকের ওপর রাখা হলে হারোণ চর্বি অংশগুলো বেদীর ওপর পোড়াল। 21 হারোণ মোশির আজ্ঞামতো বক্ষদেশগুলি এবং ডান উরু প্রভুর সামনে দোলনীয় নৈবেদ্য হিসাবে দোলাল।
22 তারপর লোকদের উদ্দেশ্যে তার হাত ওপরে তুলে তাদের আশীর্বাদ করল। পাপ মোচনের নৈবেদ্য, হোমবলি এবং মঙ্গল নৈবেদ্য শেষ করার পর হারোণ বেদী থেকে নেমে এল।
23 মোশি এবং হারোণ সমাগম তাঁবুর ভিতরে এল। পরে তারা বাইরে এসে লোকদের আশীর্বাদ করল। তারপর প্রভুর মহিমা সমস্ত লোকের সামনে আবির্ভুত হল। 24 প্রভুর কাছ থেকে অগ্নি নির্গত হয়ে বেদীর ওপরকার হোমবলি ও চর্বি দগ্ধ করল। তখন সমস্ত মানুষ সেই নৈবেদ্য দহন দেখে চিৎকার করে উঠলো এবং মাটির দিকে মুখ নীচু করলো।
10 প্রভু, আপনি এত দূরে থাকেন কেন?
সমস্যা জর্জরিত মানুষ আপনাকে দেখতে পায় না।
2 অহঙ্কারী এবং দুষ্ট লোকরা মন্দ ফন্দি আঁটছে
এবং তারা দরিদ্র লোকেদের আঘাত করে।
3 মন্দ লোকরা যা চায় তার বড়াই করে।
ঐসব লোভী লোকরা ঈশ্বরের নিন্দা করে।
এইভাবেই মন্দ লোকেরা প্রকাশ করে যে তারা প্রভুকে ঘৃণা করে।
4 মন্দ লোকরা ঈশ্বরকে অনুসরণ করার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত দাম্ভিক।
তারা রাশি রাশি মন্দ ফন্দি আঁটে।
তারা এমন ভাব করে যেন ঈশ্বরের কোন অস্তিত্ব নেই।
5 মন্দ লোকরা সর্বদাই কুটিল কাজকর্ম করে।
এমনকি তারা ঈশ্বরের বিধিসকল ও মহান শিক্ষামালাকে লক্ষ্য করে না।[a]
ঈশ্বরের শত্রুরা তাঁর শিক্ষামালাকে উপেক্ষা করে।
6 ঐসব লোকজন মনে করে, কোনদিন ওদের খারাপ কিছু হবে না।
তারা বলে, “আমরা সব দিনই মজা করবো, আমাদের কোন শাস্তি হবে না।”
7 ঐসব লোকরা সর্বদা অভিশাপ দিচ্ছে।
অন্যান্য লোকজন সম্পর্কে তারা সর্বদাই কটু ও মিথ্যা কথা বলে চলেছে।
সর্বদাই তারা অহিতকর কাজ করার ফন্দি আঁটে।
8 ঐসব লোক অন্যান্য লোকদের ধরার জন্য গোপন স্থানে লুকিয়ে থাকে।
তারা লুকিয়ে থাকে, মানুষকে আঘাত করার জন্য খুঁজতে থাকে।
নির্দোষ লোকদের ওরা হত্যা করে।
9 মন্দ লোকরা সেই সব সিংহের মত
যারা তাদের আহার্য পশুকে ধরার জন্য ঘাপটি মেরে অপেক্ষা করতে থাকে।
তারা দরিদ্র লোকদের আক্রমণ করে।
মন্দ লোকদের তৈরী ফাঁদে দরিদ্র লোকরা ধরা পড়ে।
10 ঐসব লোক হতভাগ্য ও বিড়ম্বিত মানুষকে
বার বার আঘাত করে।
11 এই কারণে ভাগ্যহত লোকরা ভাবে, “ঈশ্বর আমাদের ভুলেই গেছেন
আমাদের থেকে তিনি চিরদিনের জন্য বিমুখ হয়েছেন!
আমাদের ওপর যা যা ঘটে চলেছে প্রভু তা দেখছেন না!”
12 প্রভু জেগে উঠুন এবং কিছু করুন!
ঈশ্বর, ঐসব মন্দ লোককে শাস্তি দিন!
ঐসব বঞ্চিত দরিদ্র লোকদের ভুলে যাবেন না!
13 মন্দ লোকরা কেন ঈশ্বরকে অবজ্ঞা করে?
কারণ তারা ভাবে, ঈশ্বর তাদের শাস্তি দেবেন না।
14 প্রভু, মন্দ লোকরা যে সব নির্দয় ও অহিতকর কাজ করে, নিশ্চয় আপনি তা দেখতে পান।
ঐসবের দিকে দেখুন এবং কিছু করুন!
সমস্যাগ্রস্ত মানুষ আপনার সাহায্যের দিকে চেয়ে রয়েছে।
হে প্রভু, আপনিই সেইজন যিনি অনাথদের সাহায্য করেন।
অতএব তাদের সাহায্য করুন!
15 প্রভু, মন্দ লোকদের বিনাশ করুন।
16 প্রভু চিরকালের এবং অনন্তকালের রাজা।
বিদেশী জাতিগুলি তাঁর দেশ থেকে অদৃশ্য হয়েছে।
17 হে প্রভু, দরিদ্র লোকরা কি চায় তা আপনি শুনেছেন।
তাদের প্রার্থনা শুনুন এবং তারা যা চায় তাই করুন!
18 প্রভু পিতৃ-মাতৃহীন সন্তানদের রক্ষা করুন।
দুঃখী লোকেদের অধিক যন্ত্রণার সম্মুখীন করবেন না।
এমন করুন যেন মন্দ লোকরা এখানে থাকতে ভয় পায়।
— 19 —
24 দুর্জন ব্যক্তিদের হিংসা কোরো না। তাদের কাছাকাছি থাকবার ইচ্ছেও করো না। 2 তারা সব সময় অন্যের ক্ষতির পরিকল্পনা করে। তারা প্রত্যেকে সমস্যা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করে বেড়ায়।
— 20 —
3 প্রজ্ঞা এবং বোধ দিয়ে গড়া একটি বাড়ী দৃঢ় হয়। 4 জ্ঞান দুর্লভ এবং সুন্দর সম্পদ দিয়ে ঘরগুলিকে ভরে দেয়।
— 21 —
5 প্রজ্ঞা মানুষকে বলবান করে তোলে। জ্ঞান মানুষকে আরো শক্তি দেয়। 6 যুদ্ধের আগে তোমাকে খুব সতর্কভাবে পরিকল্পনা করতে হবে। যদি তুমি যুদ্ধ জিততে চাও তাহলে তোমার অনেক উপদেষ্টার প্রয়োজন।
— 22 —
7 মূর্খরা কোনদিন জ্ঞানের মর্ম বুঝবে না। যখন মানুষ কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করে তখন মূর্খরা কিছুই বলতে পারে না।
— 23 —
8 যদি তুমি সব সময় সমস্যা সৃষ্টির পরিকল্পনা কর তাহলে অন্যরা তোমাকে জানবে একজন সমস্যা সৃষ্টির নায়ক হিসেবে এবং তারা আর তোমার কথা শুনবে না।
9 মূর্খ ব্যক্তি শুধু পাপের পরিকল্পনা করে। লোকরা ঘৃণাপূর্ণ লোকদের ঘৃণাই করে।
— 24 —
10 সঙ্কটের সময় তুমি যদি দুর্বল হয়ে পড়ো তাহলে তুমি সত্যি সত্যিই একজন দুর্বল লোক।
— 25 —
11 যদি লোকরা একজন ব্যক্তিকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে তাহলে তুমি সেই ব্যক্তিকে রক্ষা করার আপ্রাণ চেষ্টা করবে।
12 তুমি বলতে পারো না, “এটা আমার কাজ নয়।” প্রভু সব জানেন। তিনি এও জানেন তুমি কি কর এবং কেন কর। প্রভু তোমাকে লক্ষ্য করছেন। তোমার কাজ অনুযায়ী পুরস্কার দেবেন।
— 26 —
13 হে পুত্র আমার মধু খাও। মধু বড় উত্তম বস্তু। চাক ভাঙা মধু ভীষণ মিষ্টি। 14 একই রকম ভাবে, প্রজ্ঞা তোমার আত্মার জন্য ভাল। যদি তোমার জ্ঞান থাকে, তাহলে তোমার আশা থাকবে। সেই আশার কোন শেষ নেই।
— 27 —
15 একজন ভালো লোকের বাড়ীতে চোরের মত লুকিয়ে থেকে অপেক্ষা করো না। তার বাড়ী থেকে চুরি করো না। 16 যদি একজন সজ্জন ব্যক্তি সাত বারও পড়ে যায় তাহলেও সে আবার উঠে দাঁড়াতে সক্ষম হয়। কিন্তু দুষ্ট ব্যক্তিরা সব সময় সংকটের দ্বারা পরাজিত হবে।
— 28 —
17 শত্রুর বিপদে আনন্দিত হয়ো না। তোমার শত্রু পড়ে গেলে উল্লাস দেখিও না। 18 যদি তুমি তা করো তাহলে প্রভু তা দেখতে পাবেন এবং প্রভু তোমার প্রতি তুষ্ট হবেন না। তখন হয়তো প্রভু তোমার শত্রুকেই সাহায্য করতে এগিয়ে আসবেন।
— 29 —
19 দুর্জন ব্যক্তিদের তোমার চিন্তার কারণ হতে দিও না এবং দুর্জনদের প্রতি ঈর্ষা করো না। 20 ঐ দুর্জনদের কোন আশার প্রদীপ নেই। তাদের আলো অন্ধকারে পরিণত হবে।
— 30 —
21 পুত্র, রাজা এবং প্রভুকে সম্মান কোরো। যারা রাজা ও প্রভুর বিরুদ্ধে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ো না। 22 কেন? কারণ ঐ লোকগুলো শীঘ্রই ধ্বংস হয়ে যাবে। তুমি তো জানো না, যারা তাদের বিরুদ্ধে ঈশ্বর এবং রাজা তাদের জন্য কতখানি সমস্যা নিয়ে আসতে পারেন। তাদের ওপর হঠাৎ বিপর্যয় নেমে আসবে।
আরও নীতিকথা
23 এগুলি হল জ্ঞানবানদের উক্তি:
একজন বিচারককে নিরপেক্ষ হতেই হবে। চেনা লোক বলে তাকে সমর্থন করা বিচারকের উচিৎ নয়। 24 একজন দুষ্ট ব্যক্তিকে যদি বিচারক নির্দোষ বলে সাব্যস্ত করেন তাহলে লোকরা সেই বিচারককে অভিশাপ দেবে। এমনকি অন্য দেশের লোকরাও ঐ বিচারকের বিরুদ্ধে কথা বলবে। 25 কিন্তু কোন বিচারক যদি দোষী ব্যক্তিকে যোগ্য শাস্তি দান করেন তাহলে সবাই তার প্রশংসা করবে।
26 যথার্থ সৎ উত্তর মানুষকে খুশী করে। ঠিক যেন ওষ্ঠাধর চুম্বনের মতো।
27 তোমার জমিতে চারা রোপন করবার আগে ঘরবাড়ি তৈরী কোরো না। বসতি স্থাপন করবার আগে তোমার চাষবাসের সমস্ত ব্যবস্থা করে নেবে।
28 প্রকৃত কারণ না থাকলে কোন লোকের বিরুদ্ধে কথা বলো না। আর কখনও মিথ্যা কথা বোলো না।
29 বোলো না, “ও আমাকে আঘাত করেছে বলে আমিও ওকে আঘাত করব। আমার ক্ষতি করেছে বলে আমিও ওকে শাস্তি দেব।”
30 আমি একজন অলস লোকের জমির পাশ দিয়ে গেলাম। আমি একজন মূর্খের দ্রাক্ষা ক্ষেতের পাশ দিয়ে গেলাম। 31 সেই সব জমিগুলোতে কাঁটাঝোপ গজিয়ে উঠছিল। ঐ জমিগুলো আগাছা এবং কাঁটায় ভরে গিয়েছিল। এবং ভগ্ন স্তূপের মতো জমির চারপাশের প্রাচীর ভেঙে পড়েছিল। 32 আমি এইগুলির দিকে তাকালাম এবং তাদের সম্বন্ধে ভাবলাম। আমি এগুলি থেকে একটি শিক্ষা পেলাম। 33 আর একটু ঘুম, সামান্য বিশ্রাম, হাত জড়সড় করে তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় কাটানো। 34 এগুলি তোমাকে দ্রুত দরিদ্রে পরিণত করবে। তোমার আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না, যেন চোর এসে তোমার সব কিছু চুরি করে নিয়ে গিয়েছে। এইভাবে কানাকড়িহীন অবস্থায় তোমায় জীবন কাটাতে হবে।
3 যখন আমরা আর ধৈর্য্য ধরতে পারলাম না তখন আমরা আথীনীতে একাই থেকে যেতে মনস্থ করলাম। 2 তাই আমরা তীমথিয়কে তোমাদের কাছে পাঠালাম। তীমথিয় আমাদের ভাই, খ্রীষ্ট সম্পর্কে সুসমাচার প্রচারে তিনি আমাদের সাহায্য করেন। আমরা তাঁকে পাঠিয়েছিলাম যাতে তিনি তোমাদের বিশ্বাসকে দৃঢ় করতে ও তোমাদের উৎসাহ দিতে পারেন, 3 যাতে তোমাদের যে সব শারীরিক ও মানসিক ক্লেশের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে তাতে তোমরা হতাশ না হও। তোমরা নিজেরাই জান যে এসব শারীরিক ও মানসিক দুঃখকষ্ট আমাদের জীবনে ভোগ করতেই হবে। 4 আমরা যখন তোমাদের ওখানে ছিলাম, তখন তোমাদের বলেছিলাম যে আমাদের সকলকে দুঃখ কষ্টের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। তোমরা জান যে আমরা যেমন বলেছিলাম তেমনিই হয়েছে। 5 আর এইজন্য আর ধৈর্য্য ধরতে না পারাতে আমি তীমথিয়কে তোমাদের কাছে পাঠিয়ে জানতে চেয়েছিলাম যে তোমরা বিশ্বাসে স্থির আছ কি না। আমার মনে ভয় ছিল যে শয়তান মানুষকে নানা প্রলোভনে ফেলে, সে তোমাদের পরাজিত করেছে; তা করলে আমাদের সমস্ত পরিশ্রম পণ্ড হয়ে যেত।
6 তীমথিয় তোমাদের কাছ থেকে ফিরে এসে তোমাদের বিশ্বাস ও ভালবাসার শুভ সংবাদ আমাদের দিয়েছেন। তীমথিয় জানিয়েছেন যে তোমরা সব সময় আনন্দের সঙ্গে আমাদের মনে রেখেছ এবং আমাদের দেখবার জন্য তোমরা বড়ই ব্যগ্র। ঐ একই কথা আমরাও বলতে চাই—তোমাদের দেখবার জন্য আমরাও উৎসুক। 7 তাই ভাই ও বোনেরা, তোমরা বিশ্বাসে প্রভুতে স্থির আছ জেনে শত দুর্দশা ও কষ্টের মধ্যেও আমরা সান্ত্বনা পেয়েছি। 8 তোমরা প্রভুতে সুস্থির আছ জেনে আমরা হাঁপ ছেড়ে বাঁচলাম। 9 তোমাদের জন্য ঈশ্বরের সামনে আমাদের আনন্দের শেষ নেই, তাই আমরা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই; কিন্তু আমরা যে পরিমাণে আনন্দ পাই তার জন্য ঈশ্বরকে যথেষ্ট ধন্যবাদ দিতে পারি না। 10 আমরা তোমাদের জন্য দিনরাত খুব প্রার্থনা করে চলেছি। আমরা প্রার্থনা করি যেন আমরা তোমাদের ওখানে যেতে পারি ও তোমাদের বিশ্বাসকে সুদৃঢ় করার জন্য তোমাদের সব ত্রুটি দূর করতে পারি।
11 আমরা প্রার্থনা করছি যেন আমাদের ঈশ্বর ও পিতা স্বয়ং এবং আমাদের প্রভু যীশু তোমাদের কাছে যাবার জন্য আমাদের পথ সুগম করেন। 12 আমরা প্রার্থনা করছি যেন প্রভু তোমাদের প্রেম বৃদ্ধি করেন। যেন তোমাদের পরস্পরের মধ্যে ভালবাসা উপচে পড়ে এবং আমরা যেমন তোমাদের ভালবাসি তোমরাও তেমনি সমস্ত লোকদের ভালবাস। 13 আমরা প্রার্থনা করছি যেন তোমাদের হৃদয় সবল হয়। তাহলে আমাদের প্রভু যীশু যখন তাঁর পবিত্র দূতদের সঙ্গে নিয়ে ফিরে আসবেন, তখন তোমরা তাঁর সামনে পবিত্র ও নির্দোষ অবস্থায় দাঁড়াতে পারবে।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International