Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

M’Cheyne Bible Reading Plan

The classic M'Cheyne plan--read the Old Testament, New Testament, and Psalms or Gospels every day.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
যাত্রা 38

হোমবলির বেদী

38 তারপর বৎসলেল বাবলা কাঠ দিয়ে হোমবলির বেদী তৈরী করলেন। এটা ছিল 5 হাত লম্বা, 5 হাত চওড়া ও 3 হাত উচ্চতা বিশিষ্ট চৌকোনা আকারের। তারপর সে বেদীর প্রত্যেকটি কোণের জন্য একটি করে শৃঙ্গ বানালো এবং তাদের কোণায় জুড়ে দিল যাতে তা অখণ্ড হয় এবং বেদীটি পিতল দিয়ে ঢেকে দিল। সে বেদীতে ব্যবহারের সব সরঞ্জাম পিতল দিয়ে তৈরী করল। সে পাত্র, বেলচা, বাটি, কাঁটা চামচ, চাটু ইত্যাদি তৈরী করল। তারপর সে পিতল দিয়ে জালের মতো একটি ঝাঁঝরি তৈরী করল। বেদীর বেড়ের নীচে থেকে মাঝখান পর্যন্ত এই ঝাঁঝরি বসানো হল। তারপর সে বেদীটি বয়ে নিয়ে যাওয়ার খুঁটি লাগাবার জন্য ঝাঁঝরির চারকোণায় চারটি আংটা লাগাল। তারপর সে বাবলা কাঠ দিয়ে খুঁটি তৈরী করে পিতল দিয়ে মুড়ে দিল। বেদীটি বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য খুঁটিগুলো আংটার ভিতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হল। বেদীর ধারগুলো তৈরী করা হল তক্তা দিয়ে। এটা ছিল একটা খালি সিন্দুকের মতো ফাঁপা।

তারপর সে পিতল দিয়ে পাত্র এবং পাত্রের পায়া তৈরী করল। এটা মহিলাদের দেওয়া পিতলের আয়না থেকে নেওয়া হয়েছিল। এই মহিলারা সমাগম তাঁবুর প্রবেশ দরজায় সেবা করার জন্য এসেছিল।

পবিত্র তাঁবুর চারিদিকের প্রাঙ্গণ

তারপর সে প্রাঙ্গণের চারিদিকে পর্দার একটি দেওয়াল তৈরী করল। দক্ষিণ দিকে সে 100 হাত লম্বা পর্দার একটি দেওয়াল তৈরী করল। এই পর্দাগুলো ছিল মিহি শনের কাপড় দিয়ে তৈরী। 10 কুড়িটি খুঁটির সাহায্যে এই পর্দাগুলিতে অবলম্বন দেওয়া ছিল। খুঁটিগুলো ছিল 20টি পিতলের ভিত্তির উপর। খুঁটির আংটা ও পর্দার বন্ধনী ছিল রূপোর তৈরী। 11 উত্তর দিকের প্রাঙ্গণেও ছিল 100 হাত লম্বা পর্দার একটি দেওয়াল। সেখানে 20টি পিতলের ভিত্তির ওপর 20টি খুঁটি ছিল। খুঁটির আংটা ও পর্দার বন্ধনী ছিল রূপোর।

12 পশ্চিমদিকের প্রাঙ্গণে থাকল 50 হাত লম্বা পর্দার দেওয়াল। আর থাকল 10টি খুঁটি ও 10টি ভিত্তি। খুঁটির আংটা ও পর্দার বন্ধনী তৈরী করা হল রূপো দিয়ে।

13 প্রাঙ্গণের পূর্ব দিকে 50 হাত চওড়া। প্রাঙ্গণে প্রবেশের দরজা রাখা হল এই দিকেই। 14 প্রবেশ দরজার দিকের পর্দা ছিল 15 হাত লম্বা। এইদিকে তিনটি খুঁটি ও তিনটি ভিত্তি ছিল। 15 অন্যদিকের প্রবেশ দরজাও ছিল 15 হাত লম্বা। ঐদিকে তিনটি খুঁটি ও তিনটি পায়া ছিল। 16 প্রাঙ্গণের চারিদিকের সব পর্দাই ছিল মিহি শনের কাপড়ের তৈরী। 17 খুঁটির ভিত্তিগুলো ছিল পিতলের তৈরী। দণ্ডগুলির আংটা ও পর্দার বন্ধনী ছিল রূপো দিয়ে তৈরী। খুঁটির মাথাগুলো ছিল রূপো দিয়ে মোড়া। প্রাঙ্গণের সব খুঁটিতেই ছিল রূপোর পর্দাবন্ধনী।

18 প্রাঙ্গণের প্রবেশ দরজার পর্দা তৈরী করা হল মিহি শনের কাপড় দিয়ে। এবং নীল, বেগুনী ও লাল সুতো দিয়ে। পর্দার ওপর সুতোর কারুকার্যও করা হল। পর্দাটি ছিল 20 হাত লম্বা এবং 5 হাত উঁচু। এগুলো প্রাঙ্গণের চারিদিকের পর্দার সমান উঁচু। 19 পর্দা ঠেকা দেওয়া হল চারটি খুঁটি ও চারটি পিতলের পায়া দিয়ে। খুঁটির আংটা তৈরী করা হল রূপো দিয়ে। খুঁটির ওপরের দিক আর পর্দার বন্ধনী রূপোর। 20 পবিত্র তাঁবুর সমস্ত কীলকগুলো এবং প্রাঙ্গণের চারিদিকের পর্দাগুলো ছিল পিতলের তৈরী।

21 মোশি লেবীয়দের আদেশ দিল পবিত্র তাঁবু বা সাক্ষ্যের তাঁবু তৈরীর কাজে যা কিছু ব্যবহার করা হয়েছে তা একটি তালিকায় লিখে রাখতে। এই তালিকার দায়িত্ব দেওয়া হল যাজক হারোণের পুত্র ঈথামরকে।

22 যিহূদা বংশীয় হূরের পৌত্র ও উরির পুত্র বৎসলেল মোশিকে দেওয়া প্রভুর আদেশ অনুসারে সব কিছু তৈরী করল। 23 দান বংশীয় অহীষামকের পুত্র অহলীয়াব তাকে এই কাজে সাহায্য করল। সে একজন দক্ষ কারিগর ও কারুশিল্পী। সে মিহি শনের কাপড়, নীল, বেগুনী ও লাল সুতো বোনায় পারদর্শী ছিল।

24 এই পবিত্র স্থান নির্মাণের জন্য 2 টনেরও বেশী সোনা দেওয়া হয়েছিল। এটা ছিল সরকারি হিসাব অনুযায়ী ওজন।

25-26 যতজন লোককে গোনা হয়েছিল তারা সবাই আমলাতান্ত্রিক পরিমাণ অনুসারে 3.75 টন রূপো দিয়েছিল। কুড়ি বছর বা তার বেশী বয়সের লোকদের গোনা হয়েছিল। মোট 603,550 জন পুরুষ ছিল এবং প্রত্যেককে আমলাতান্ত্রিক পরিমাপ অনুসারে 1.5 আউন্স রূপো কর হিসেবে দিতে হয়েছিল। 27 তারা 3.75 টন রূপো ব্যবহার করে প্রভুর পবিত্র স্থান এবং পর্দার জন্য 100টি ভিত্তি তৈরী করেছিল। তারা পবিত্র স্থানের ভিত্তির জন্য এবং পর্দার পায়ার জন্য 3.75 টন রূপো ব্যবহার করেছিল। মোট 100টি ভিত্তি করা হয়েছিল। তারা প্রতিটি ভিত্তির জন্য 75 পাউণ্ড রূপো ব্যবহার করেছিল। 28 বাকি 50 পাউণ্ড রূপো দিয়ে আংটা পর্দার বন্ধনী তৈরী করেছিল এবং খুঁটির মাথা মুড়ে দিয়েছিল।

29 প্রভুকে 26.5 টনেরও বেশী পিতল নৈবেদ্য দেওয়া হয়েছিল। 30 ঐ পিতল দিয়ে সমাগম তাঁবুর প্রবেশ দরজার পায়া তৈরী করা হয়েছিল। পিতল দিয়ে, বেদী ও ঝাঁঝরি তৈরী হয়েছিল। বেদীতে প্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিসপত্র পিতল দিয়ে তৈরী করা হয়েছিল। 31 প্রাঙ্গণের চারিদিকের পর্দা ও প্রবেশ দরজার পর্দার পায়াও পিতল দিয়ে বানানো হয়েছিল। পবিত্র তাঁবুর খুঁটি এবং প্রাঙ্গণের চারদিকের পর্দার জন্য পিতল ব্যবহার করা হয়েছিল।

যোহন 17

শিষ্যদের জন্য যীশুর প্রার্থনা

17 এইসব কথা বলার পর যীশু স্বর্গের দিকে তাকিয়ে এই কথা বললেন, “পিতা, এখন সময় হয়েছে; তোমার পুত্রকে মহিমান্বিত কর, যেন তোমার পুত্রও তোমাকে মহিমান্বিত করতে পারে। সমস্ত মানুষের উপর পুত্রকে তুমি অধিকার দিয়েছ যাতে তিনি তাদের সকলকে অনন্ত জীবন দিতে পারেন। এই হল অনন্ত জীবন; তারা তোমাকে জানে যে তুমি একমাত্র সত্য ঈশ্বর ও তুমি যাঁকে পাঠিয়েছ সেই যীশু খ্রীষ্টকে জানে। তুমি যে কাজ করার দায়িত্ব আমায় দিয়েছিলে, তা আমি শেষ করেছি ও পৃথিবীতে তোমাকে মহিমান্বিত করেছি। তাই এখন তোমার সান্নিধ্যে আমায় মহিমান্বিত কর। হে পিতা, জগত সৃষ্টির পূর্বে তোমার কাছে আমার যে মহিমা ছিল, তুমি সেই মহিমায় এখন আমায় মহিমান্বিত কর।

“এই জগতের মধ্যে থেকে তুমি যে সব লোকদের আমায় দিয়েছ, আমি তাদের কাছে তোমার পরিচয় দিয়েছি। তারা তোমারই ছিল এবং তুমি তাদেরকে আমায় দিয়েছ, আর তারা তোমার শিক্ষানুসারে চলেছে। এখন তারা বুঝেছে যে তুমি যা কিছু আমায় দিয়েছ তা তোমার কাছ থেকেই এসেছে। তুমি আমায় যে শিক্ষা দিয়েছ তা আমি তাদের দিয়েছি, আর তা তারা গ্রহণও করেছে। তারা সত্যিই বুঝেছে যে আমি তোমারই কাছ থেকে এসেছি, আর তারা বিশ্বাস করে যে তুমি আমায় পাঠিয়েছ। আমি তাদের জন্য এখন প্রার্থনা করছি। আমি সারা জগতের জন্য প্রার্থনা করছি না, কেবল সেই সকল লোকদের জন্য প্রার্থনা করছি যাদের তুমি দিয়েছ, কারণ তারা তোমার। 10 আমার যা কিছু তা তোমার, আর তোমার যা তা আমার। আর এদের মাধ্যমে আমি মহিমান্বিত হয়েছি।

11 “আমি আর এই জগতে থাকছি না, কিন্তু তারা এই জগতে থাকছে, আমি তোমারই কাছে যাচ্ছি। পবিত্র পিতা, যে নাম তুমি আমায় দিয়েছ, তোমার সেই নামের শক্তিতে তুমি তাদের রক্ষা কর। আমরা যেমন এক, তেমনি তারা যেন সকলে এক হতে পারে। 12 আমি যখন তাদের সঙ্গে ছিলাম, আমি তাদের নিরাপদে রেখেছিলাম। তুমি আমায় যে নাম দিয়েছ সেই নামের শক্তিতে তখন আমি তাদের রক্ষা করেছিলাম। আমি তাদের সাবধানে রক্ষা করেছি। তাদের মধ্যে কেউ বিনষ্ট হয় নি, একমাত্র ব্যতিক্রম সেই লোকটি, ধ্বংস হওয়াই যার পরিণতি। শাস্ত্রের কথা সফল করার জন্যেই এই পরিণতি।

13 “এখন আমি তোমার কাছে আসছি, কিন্তু এই জগতে থাকতে থাকতে আমি এসব কথা বলছি, যেন তারা আমার যে আনন্দ তা পরিপূর্ণরূপে পায়। 14 আমি তাদের তোমার শিক্ষা জানিয়েছি, কিন্তু জগত সংসার তাদের ঘৃণা করে, কারণ তারা এই জগতের নয়, যেমন আমিও এই জগতের নই।

15 “তাদের এই জগত থেকে নিয়ে যাবার জন্য আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি না, কিন্তু তাদের মন্দ শক্তির হাত থেকে রক্ষা কর। 16 তারা এই জগতের নয়, যেমন আমিও এ জগতের নই। 17 সত্যের দ্বারা তোমার সেবার জন্য তুমি তাদের পবিত্র কর। তোমার বাক্যই সত্যস্বরূপ। 18 তুমি যেমন এ জগতে আমাকে পাঠিয়েছ, আমিও তাদের তেমনি জগতের মাঝে পাঠিয়েছি। 19 তাদের জন্য আমি তোমার সেবায় নিজেকে নিযুক্ত করেছি, যেন তারাও সত্যের মাধ্যমে তোমার সেবায় নিজেদের নিযুক্ত করতে পারে।

20 “আমি কেবল এদের জন্যই প্রার্থনা করছি না, এদের শিক্ষার মধ্য দিয়ে যারা আমায় বিশ্বাস করবে তাদের জন্যও করছি। 21 পিতা, যেমন তুমি আমাতে রয়েছ, আর আমি তোমাতে রয়েছি, তেমনি তারাও যেন এক হয়। তারা যেন আমাদের মধ্যে থাকে যাতে জগত সংসার বিশ্বাস করে যে তুমি আমাকে পাঠিয়েছ। 22 আর তুমি আমায় যে মহিমা দিয়েছ তা আমি তাদের দিয়েছি, যাতে আমরা যেমন এক, তারাও তেমনি এক হতে পারে। 23 আমি তাদের মধ্যে, আর তুমি আমার মধ্যে থাকবে, এইভাবে তারা যেন সম্পূর্ণভাবে এক হয়। জগত যাতে জানে যে তুমি আমায় পাঠিয়েছ। আর তুমি যেমন আমায় ভালবেসেছ, তেমনি তুমি তাদেরও ভালবেসেছ।

24 “পিতা, আমি চাই, আমি যেখানে আছি, তুমি যাদের আমায় দিয়েছ, তারাও যেন আমার সঙ্গে সেখানে থাকে। আর তুমি আমায় যে মহিমা দিয়েছ তারা আমার সেই মহিমা যেন দেখতে পায়, কারণ জগত সৃষ্টির আগেই তুমি আমায় ভালবেসেছ। 25 ন্যায়বান পিতা, জগত তোমায় জানে না, কিন্তু আমি তোমায় জানি। আর আমার এই শিষ্যরা জানে যে তুমি আমায় পাঠিয়েছ। 26 তুমি কে আমি তাদের কাছে তা প্রকাশ করেছি, আর এরপরেও আমি তাদের কাছে তা করতেই থাকব। তাহলে তুমি আমায় যেমন ভালবেসেছ, তারা একইভাবে অন্যদের ভালবাসবে আর আমি তাদের মধ্যেই থাকব।”

হিতোপদেশ 14

14 একজন জ্ঞানী মহিলা তার জ্ঞান দিয়েই নিজের সংসার তৈরী করে।

যে প্রভুকে সম্মান করে সে-ই সঠিক পথে জীবনযাপন করে। কিন্তু একজন অসৎ‌ লোক প্রভুকে ঘৃণা করে।

একজন বোকা লোকের কথাবার্তা তার নিজের সমস্যার কারণ হয়ে ওঠে। কিন্তু একজন জ্ঞানী লোকের কথাবার্তা তাঁকে রক্ষা করে।

চাষের কাজে বলদের অভাব দেখা দিলে শস্যভাণ্ডার খালি থাকবে। বৃহৎ‌‌ ফলনের জন্য মানুষ বলদের শক্তিকে ব্যবহার করতে পারে।

একজন সত্যবাদী কখনও মিথ্যে বলে না এবং সে একজন সাক্ষী হতে পারে। কিন্তু একজন অবিশ্বাসী লোক কখনও সত্যি বলে না এবং সে ভাল সাক্ষী হতে পারে না।

উদ্ধত লোকরা জ্ঞানের অন্বেষণ করতে পারে কিন্তু তারা কখনও তা খুঁজে পাবে না। কিন্তু যে সব লোকদের বোধ শক্তি আছে তারা তাড়াতাড়ি শিখতে পারে।

বোকাদের কাছ থেকে কিছুই শেখার নেই তাই বোকাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব কোরো না।

একজন বিচক্ষণ ও দক্ষ লোকের জীবনযাত্রা নিরীক্ষণ কর। কিন্তু একজন বোকা লোকের আঁকা-বাঁকা জীবন পথ প্রতারণাপূর্বক।

বোকা লোকরা তাদের বোকামির মাশুল দিতে গিয়ে হাসাহাসি করে। কিন্তু সৎ‌ লোকরা শীঘ্রই ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়।

10 একজন দুঃখী লোক শুধুই তার নিজের দুঃখ অনুভব করতে পারে। ঠিক তেমনি, কেউই অন্য লোকের হৃদয়ের অন্তঃস্থলের আনন্দে ভাগ বসাতে পারে না।

11 দুর্জনদের গৃহগুলির বিনাশ হবেই। কিন্তু সৎ‌ লোকদের বাড়ীগুলি উন্নতি করবে।

12 একটি সহজ রাস্তাকে[a] সঠিক রাস্তা বলে মনে হতে পারে কিন্তু সেটি মৃত্যুর দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

13 বিষাদে পূর্ণ একটি লোক হাসতে পারে, কিন্তু হাসি থামবার পরে দুঃখ আবার ফিরে আসে।

14 মন্দ কাজের জন্য পাপীদের পুরোদস্তুর শাস্তি ভোগ করতে হবে এবং ভালো কাজের জন্য সজ্জনরা পুরস্কৃত হবেই।

15 একজন মূর্খ যা শোনে তাই বিশ্বাস করে। কিন্তু একজন জ্ঞানী ব্যক্তি যা কিছু শোনে তা তার বুদ্ধি দিয়ে বিবেচনা করে।

16 একজন জ্ঞানী ব্যক্তি মন্দকে ভয় পায় এবং তাকে এড়িয়ে চলে। কিন্তু একজন বোকা লোক দৃঢ়তার সঙ্গে কুকর্মের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

17 যে সব লোক খুব সহজেই রেগে যায় তারা নির্বোধের মত আচরণ করে। কিন্তু জ্ঞানীরা হয় ধৈর্য্যশীল।

18 নির্বোধরা তাদের বোকামির জন্য শাস্তি পায়। কিন্তু জ্ঞানীরা তাঁদের জ্ঞানের জন্য পুরস্কৃত হয়।

19 দুর্জনদের বিরুদ্ধে সজ্জনদের জয় হবেই। দুর্জনরা সজ্জনদের কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হবেই।

20 দরিদ্রদের কোন বন্ধু ও প্রতিবেশী জোটে না কিন্তু ধনীরা বন্ধু-বান্ধব দ্বারা পরিবৃত হয়ে থাকে।

21 তোমার প্রতিবেশীদের ঘৃণা করো না। যদি সুখী হতে চাও তাহলে দরিদ্রদের প্রতি সদয় থাকো।

22 যদি কেউ খারাপ কাজ করার ফন্দি আঁটে তাহলে সে ভুল করবে। কিন্তু যে ভালো কাজ করার চেষ্টা করবে সে বন্ধু পাবে, সবাই তাকে ভালোবাসবে ও বিশ্বাস করবে।

23 কঠিন পরিশ্রম সব সময় কিছু লাভ আনবে। কিন্তু তুমি যদি কোন কাজ না করে শুধু কথা বল তাহলে তুমি দরিদ্র হয়ে যাবে।

24 জ্ঞানীরা সম্পদ দ্বারা পুরস্কৃত হয়। কিন্তু মুর্খরা পুরস্কৃত হয় বোকামির দ্বারা।

25 যে সত্য বলে সে মানুষকে সাহায্য করে আর যে মিথ্যে বলে সে অন্যদের আঘাত করে।

26 যে প্রভুকে সম্মান করে সে সুরক্ষা পায় এবং তার সন্তানরাও নিরাপদ থাকে।

27 প্রভুর প্রতি সম্মান প্রদর্শন সত্য জীবন নিয়ে আসে। এতে একটি ব্যক্তির জীবন মৃত্যুর ফাঁদ থেকে রক্ষা পায়। 28 যদি কোন রাজা অনেক মানুষকে শাসন করে তাহলে সে মহান। কিন্তু রাজার রাজ্যে যদি কোন মানুষ না থাকে তাহলে সেই রাজার কোন মূল্যই থাকে না।

29 ধৈর্য্যশীল একজন মানুষ ভীষণ সপ্রতিভ হয়। আর যে সহজে রেগে যায় সে তার মূর্খামির প্রমাণ দেয়।

30 মানসিক শান্তি দৈহিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। কিন্তু অন্যের প্রতি হিংসা শরীরকে রোগগ্রস্ত করে তোলে।

31 ঈশ্বরই প্রত্যেক মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। তাই যারা গরীবদের জন্য সংকটের সমস্যা সৃষ্টি করে তারা দরিদ্রদের সৃষ্টিকর্তাকে অপমান করে। যারা গরীবদের দয়া দেখায় তারা ঈশ্বরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে।

32 একজন দুষ্ট লোক তার কু-কর্মের দ্বারা পরাজিত হয়। কিন্তু একজন ভালো লোক তার মৃত্যুর সময়ও জিতে যায়।

33 জ্ঞানীরা সব সময় জ্ঞানসম্মত ভাবে চিন্তা-ভাবনা করে। কিন্তু মূর্খরা জ্ঞানের[b] কিছুই জানে না।

34 ভালোত্ব একটি দেশকে মহান করে তোলে। কিন্তু পাপ যে কোন মানুষকে লজ্জিত করে।

35 জ্ঞানী আধিকারিক পেলে রাজা সুখী হন। কিন্তু মূর্খ নেতাদের প্রতি রাজা ক্রুদ্ধ হন।

ফিলিপীয় 1

আমরা খ্রীষ্ট যীশুর দাস পৌল ও তীমথিয়, ফিলিপীতে খ্রীষ্ট যীশুতে যত ঈশ্বরের পবিত্র লোকরা আছেন তাঁদের কাছে এবং পালকবৃন্দ ও পরিচারকদের কাছে আমরা এই পত্র লিখছি।

আমাদের পিতা ঈশ্বর ও প্রভু যীশু খ্রীষ্ট তোমাদের অনুগ্রহ ও শান্তি দান করুন।

পৌলের প্রার্থনা

আমি যখনই তোমাদের কথা স্মরণ করি, তখনই ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিই। আমি তোমাদের সকলের জন্য সব সময় আনন্দের সঙ্গে প্রার্থনা করে থাকি। কারণ সুসমাচার প্রচারের কাজে তোমরা প্রথম দিন থেকে এ পর্যন্ত আমাকে সাহায্য করে আসছ। আমি এবিষয়ে নিশ্চিত যে ঈশ্বর তোমাদের অন্তরে শুদ্ধকাজ শুরু করেছেন। সেই শুদ্ধকাজ ঈশ্বর এখনও করে চলেছেন এবং খ্রীষ্টের আগমনের দিনে তা সম্পন্ন করবেন।

তোমাদের সকলের বিষয়ে আমার এমন চিন্তা করাই উপযুক্ত, কারণ তোমরা সর্বদা আমার অন্তরে আছ। তোমাদের কাছে থাকার এই অনুভূতি আমার জাগে কারণ আমি কারাগারে থাকি, বা সুসমাচারের পক্ষে কথা বলে তা দৃঢ়তার সঙ্গে প্রমাণ করি, তার দ্বারা তোমরা সকলে আমার সেই অনুগ্রহের ভাগী হও। ঈশ্বর জানেন যে তোমাদের দেখতে আমার কত আকাঙ্খা। খ্রীষ্ট যীশুর ভালবাসায় আমি তোমাদের সকলকে ভালবাসি।

তোমাদের জন্য আমার প্রার্থনা এই:

যেন তোমাদের ভালবাসা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায় এবং তোমরা সেই ভালবাসার সঙ্গে জ্ঞান ও বিচার বুদ্ধি লাভ কর। 10 তোমরা যেন ভাল ও মন্দের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পার আর যা ভাল তা বেছে নাও। এইভাবে চল যেন যীশু খ্রীষ্টের আগমনের দিন পর্যন্ত তোমরা শুদ্ধ ও নির্দোষ থাক। 11 খ্রীষ্টের মাধ্যমে তোমরা বিবিধ সৎ‌ গুণাবলীতে পূর্ণ হও, যার দ্বারা ঈশ্বরের প্রশংসা ও মহিমা হয়।

প্রভুর কাজের জন্য পৌলের দুঃখভোগ

12 ভাই ও বোনেরা, আমি তোমাদের একথা জানাতে চাই যে, আমার প্রতি যা ঘটেছে, তা বরং সুসমাচার প্রচারে সাহায্য করেছে। 13 এর ফলে সকল রক্ষীবাহিনী ও প্রত্যেকের কাছে এটি পরিষ্কার হয়ে গেছে যে আমি খ্রীষ্টে বিশ্বাসী বলে কারাগারে রয়েছি। 14 এছাড়াও প্রভুতে বিশ্বাসী আমার অনেক ভাই ভয় না পেয়ে অপরকে আরো বেশী খ্রীষ্টের বার্তা বলতে সাহসী হয়েছে।

15 তাদের মধ্যে কেউ কেউ ঈর্ষা ও বিবাদের মনোভাব নিয়ে সুসমাচার প্রচার করে, আবার অন্যরা যথার্থ সৎ‌ ইচ্ছায় তা প্রচার করে। 16 শেষের দলটি ভালবেসেই একাজ করছে, কারণ এরা জানে যে সুসমাচারের পক্ষ সমর্থন করার জন্যই ঈশ্বর আমাকে এখানে নিযুক্ত করেছেন। 17 কিন্তু অন্যরা সৎ‌ উদ্দেশ্য নয়, বরং নিজ নিজ স্বার্থ সিদ্ধির উদ্দেশ্যে খ্রীষ্টকে প্রচার করছে। এখানে আমার বন্দী অবস্থায় তারা তাদের প্রচার দেখিয়ে আমার মনে দুঃখ দিতে চায়। 18 কিন্তু তাতে আমার কি এসে যায়? আসল বিষয়টি হল সৎ‌ বা অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে যে ভাবেই হোক্ না কেন তারা লোকদের কাছে খ্রীষ্টেরই কথা বলছে। আমি চাই যে তারা লোকদের কাছে খ্রীষ্টের কথা বলে। ঠিক উদ্দেশ্য সামনে রেখেই তাদের একাজ করা উচিত। যদিও তারা একটা মিথ্যা ও ভুল উদ্দেশ্য নিয়ে তা করছে তবুও আমি খুশী কারণ তারা লোকদের কাছে খ্রীষ্টের কথা বলছে, আর আমি খুশীই থাকব।

19 তোমরা আমার জন্য প্রার্থনা করছ আর যীশু খ্রীষ্টের আত্মা আমায় সাহায্য করছেন, তাই আমি জানি যে এই সঙ্কট আমায় পরিত্রাণ এনে দেবে। 20 আমার আশা আকাঙ্খা এই যে আমি কোন বিষয়ে হতাশ হব না; কিন্তু সব সময়ের মত এখনও সেই সাহস করি যে আমি বেঁচে থাকি বা মরে যাই খ্রীষ্ট আমার দেহে মহিমান্বিত হবেন।

21 কারণ আমার কাছে আমার জীবন মানেই খ্রীষ্ট; আর মরণ হল লাভ। 22 এই দেহ নিয়ে যদি আমায় বেঁচে থাকতে হয় তবে আমি প্রভুর জন্য একাজ করার সুযোগ পাব। আমি কোনটা বেছে নেব, জীবন না মরণ? আমি জানি না। 23 আমি এই দোটানায় পড়েছি। আমি তো এখনই এ দেহ ত্যাগ করে খ্রীষ্টের সঙ্গে থাকতে চাই, কারণ এই তো শ্রেয়। 24 কিন্তু এই মরদেহে বেঁচে থাকা তোমাদের জন্য খুবই প্রয়োজন। 25 আমি জানি যে আমাকে তোমাদের প্রয়োজন আছে; তাই আমি জানি যে আমি বেঁচে থাকব, তোমাদের সকলের কাছেই থাকব। আমি তোমাদের বৃদ্ধি পেতে ও তোমাদের বিশ্বাসে আনন্দ পেতে সাহায্য করব; 26 এর ফলে যখন আমি আবার তোমাদের কাছে যাব তখন খ্রীষ্ট যীশুতে আমার সম্বন্ধে তোমাদের গর্ব করার আরো কারণ থাকবে।

27 কিন্তু যাইহোক্ না কেন, তোমরা খ্রীষ্টের সুসমাচারের যোগ্যরূপে আচরণ কর। আমি এসে তোমাদের দেখি বা তোমাদের থেকে দূরে থাকি, আমি যেন তোমাদের বিষয়ে শুনতে পাই যে, তোমরা এক আত্মার সুসমাচারের মধ্যে যে বিশ্বাস আছে তার পক্ষে কঠোর সংগ্রাম করছ, 28 আর যারা তোমাদের বিরোধিতা করছে তাদের ভয় পাচ্ছ না! এর দ্বারাই প্রমাণ হবে যে তাদের বিনাশ হচ্ছে; কিন্তু পরিত্রাণ দ্বারা তোমরা উদ্ধার লাভ করছ, আর এই উদ্ধার ঈশ্বরের কাছ থেকেই আসে। 29 তোমরা যে খ্রীষ্ট যীশুর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করতে পেরেছ, এই সম্মান ও সুযোগ ঈশ্বর তোমাদের দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, কিন্তু খ্রীষ্টের জন্য দুঃখভোগ করার সম্মানও তোমাদের দিয়েছেন। 30 আমি যখন তোমাদের ওখানে ছিলাম তখন সুসমাচার বিরোধী লোকদের সঙ্গে আমাকে কি রকম সংগ্রাম করতে হয়েছিল তা তোমরা জান এবং এখনও কঠোর সংগ্রাম চলছে আর তোমরাও সেই একই রকম সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যাচ্ছ।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International