M’Cheyne Bible Reading Plan
সাক্ষ্যসিন্দুক
37 বৎসলেল বাবলা কাঠ দিয়ে পবিত্র সিন্দুক তৈরী করল। সিন্দুকটি 2.5 হাত লম্বা, 1.5 হাত চওড়া আর 1.5 হাত উঁচু। 2 তারপর সে সিন্দুকের ভেতর ও বাইরের দিক খাঁটি সোনা দিয়ে মুড়ে দিল। সে সিন্দুকের চারিদিকে সোনার জরি দিয়েও ঘিরে দিল। 3 এরপর সে চারটি সোনার আংটা চারকোণায় রাখল সিন্দুকটি বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এর একদিকে দুটি আংটা লাগানো ছিল এবং দুটি আংটা লাগানো ছিল এর অন্য দিকে। 4 সিন্দুকটি বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাবলা কাঠের খুঁটি তৈরী করে সে সেগুলি খাঁটি সোনায় মুড়ে দিল। 5 তারপর সে পবিত্র সিন্দুকের প্রতিটি ধারে আংটাগুলির ভেতর দিয়ে খুঁটিগুলি ঢুকিয়ে দিল। 6 তারপর সে খাঁটি সোনা দিয়ে আচ্ছাদনটি তৈরী করল। এটা ছিল 2.5 হাত লম্বা ও 1.5 হাত চওড়া। 7 তারপর সে পেটানো সোনা দিয়ে দুটি করূব দূত তৈরী করল এবং সেগুলো আচ্ছাদনের দুধারে রেখে দিল। 8 তারপর সে করূব দূতের মূর্ত্তি দুটি পাপমোচন স্থানের আচ্ছাদনের সঙ্গে জুড়ে একত্র করল। 9 দূতরা ডানা আকাশে ছড়িয়ে পবিত্র সিন্দুকটিকে ঢেকে দিল। দূতরা পরস্পর মুখোমুখি হয়ে পাপমোচন স্থানের দিকে তাকিয়ে রইল।
বিশেষ টেবিল
10 বৎসলেল বাবলা কাঠ দিয়ে একটি 2 হাত লম্বা, 1 হাত চওড়া ও 1.5 হাত উঁচু টেবিল বানাল। 11 টেবিলের চারধার খাঁটি সোনার পাত দিয়ে সে মুড়ে দিল। এবং তার চারধারে একটি সোনার ঝালর লাগিয়ে দিল। 12 তারপর সে একটি 1 হাত চওড়া কাঠামো তৈরী করল টেবিলের সব ধার ঘিরে এবং কাঠামোর চারপাশে সোনার ঝালর লাগালো। 13 তারপর সে টেবিলের চারকোণায় চারপায়ায় চারটি সোনার আংটা লাগাল। 14 সে টেবিলটাকে বইবার জন্য আংটাগুলো কাঠামোর খুব কাছে আটকে দিল। 15 তারপর সে টেবিলটি বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাবলা কাঠের খুঁটি তৈরী করল। খাঁটি সোনা দিয়ে খুঁটিগুলিও মুড়ে দিল। 16 এরপর সে টেবিলে ব্যবহারের জন্য সোনার প্লেট, চামচ, বাটি ও কলসী বানাল। পেয় নৈবেদ্য ঢালার জন্য বাটি ও কলসী তৈরী করা হল।
বাতিদান
17 তারপর সে সোনার বাতিদানটি তৈরী করল। সে খাঁটি সোনা হাতুড়ি দিয়ে পেটালো এবং তৈরী করল বাতিদানের বিস্তৃত পাদানী। সে ফুল, পাতা, কুঁড়ি দিয়ে কারুকার্য করে সবকিছু একত্রে জুড়ে দিল। 18 বাতিদানের ছয়টি শাখা—একদিকে তিনটি অপরদিকে আরও তিনটি। 19 প্রতিটি ডালে থাকল তিনটি করে ফুল। সেগুলি কাঠ বাদামের ফুলের মতো। তাতে কুঁড়ি ও পাতা রাখা হল। 20 বাতিদানের দণ্ডে আরও চারটি ফুল রাখা হল কুঁড়ি ও পাপড়ি সমেত যা দেখতে বাদাম ফুলের মতো। 21 তাতে একেক দিকে তিনটি করে মোট ছয়টি ডালও রাখা হল। প্রতি জোড়া ডালগুলির নীচে যেগুলি বিস্তৃত পাদানীর সঙ্গে যুক্ত ছিল, সেখানে কুঁড়ি ও পাপড়িসহ একটি ফুল ছিল। 22 পুরো বাতিদানটি খাঁটি সোনায় ফুলপাতাসহ একসাথে জোড়া দিয়ে তৈরী করা হল। 23 এই বাতিদানের জন্য সাতটি প্রদীপ তৈরী করা হল। তারপর সে খাঁটি সোনা দিয়ে সলতের চিমটা ও শীষদানী পাত্র তৈরী করল। 24 সে মোট 75 পাউণ্ড খাঁটি সোনা ব্যবহার করে এই বাতিদান ও তার আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র তৈরী করল।
ধূপ জ্বালাবার বেদী
25 এরপর ধূপ-ধূনা পোড়াবার জন্য সে বাবলা কাঠ দিয়ে একটি ধূপদানী তৈরী করল। এটা ছিল 1 হাত লম্বা, 1 হাত চওড়া এবং 2 হাত উচ্চতা বিশিষ্ট একটি চৌকোনা জিনিস। ধূপদানের চারকোণের প্রতিটিতে একটি করে শৃঙ্গ ছিল। এই শৃঙ্গগুলি ও ধূপবেদী একটি অখণ্ড টুকরো ছিল। 26 সে ধূপদানের ওপর চারপাশ এবং শৃঙ্গগুলি খাঁটি সোনা দিয়ে মুড়ে দিল। তারপর ধূপদানের চারপাশ সোনার জরি দিয়ে মুড়ে দিল। 27 এই জরির নীচে দুধারে আংটা লাগানো হল। এই আংটা লাগানো হল বয়ে নিয়ে যাওয়ার খুঁটি ধরে রাখার জন্য। 28 সে এই খুঁটিগুলি বাবলা কাঠ দিয়ে তৈরী করে সোনা দিয়ে মুড়ে দিল।
29 তারপর সে একজন সুগন্ধি প্রস্তুতকারক যেমন করে সুগন্ধ তৈরী করে সেইভাবে পবিত্র অভিষেকের তেল এবং খাঁটি ও সুগন্ধি ধূপ-ধূনা তৈরী করল।
16 “আমি তোমাদের এসব বলছি যাতে তোমরা তোমাদের বিশ্বাস ত্যাগ না কর। 2 তারা তোমাদের সমাজ-গৃহ থেকে বহিষ্কৃত করবে। বলতে কি এমন সময় আসছে, যখন তারা তোমাদের হত্যা করে মনে করবে যে তারা ঈশ্বরের সেবা করছে। 3 তারা এরূপ কাজ করবে কারণ তারা না জানে আমাকে, না জানে পিতাকে। 4 কিন্তু আমি তোমাদের এসব কথা বললাম, যেন এসব ঘটবার সময় আসলে তোমরা মনে করতে পার যে, আমি তোমাদের এসব বিষয়ে আগেই সতর্ক করে দিয়েছিলাম।
পবিত্র আত্মার কাজ
“শুরুতেই আমি তোমাদের এসব কথা বলিনি, কারণ আমি তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে ছিলাম। 5 কিন্তু যিনি আমায় পাঠিয়েছেন এখন আমি তাঁর কাছে ফিরে যাচ্ছি, আর তোমাদের কেউ জিজ্ঞেস করছ না, ‘আপনি কোথায় যাচ্ছেন?’ 6 এখন আমি তোমাদের এসব কথা বললাম, তাই তোমাদের অন্তর দুঃখে ভরে গেছে। 7 কিন্তু আমি তোমাদের সত্যি বলছি; আমার যাওয়া তোমাদের পক্ষে ভাল, কারণ আমি যদি না যাই তাহলে সেই সাহায্যকারী তোমাদের কাছে আসবেন না। কিন্তু আমি যদি যাই তাহলে আমি তাঁকে তোমাদের কাছে পাঠিয়ে দেব।
8 “যখন সেই সাহায্যকারী আসবেন তখন তিনি পাপ, ন্যায়পরায়ণতা ও বিচার সম্পর্কে জগতের মানুষকে চেতনা দেবেন। 9 তিনি পাপ সম্পর্কে চেতনা দেবেন কারণ তারা আমাতে বিশ্বাস করে না। 10 ন্যায়পরায়ণতা সম্পর্কে বোঝাবেন কারণ এখন আমি পিতার কাছে যাচ্ছি, আর তোমরা আমায় দেখতে পাবে না। 11 বিচার সম্বন্ধে চেতনা দেবেন কারণ এই জগতের যে শাসক তার বিচার হয়ে গেছে।
12 “তোমাদের বলবার মতো আমার এখনও অনেক কথা আছে; কিন্তু সেগুলো তোমাদের গ্রহণ করার পক্ষে এখন অতিরিক্ত হয়ে যাবে। 13 সত্যের আত্মা যখন আসবেন, তখন তিনি সকল সত্যের মধ্যে তোমাদের পরিচালিত করবেন। তিনি নিজে থেকে কিছু বলেন না, কিন্তু তিনি যা শোনেন তাই বলেন, আর আগামী দিনে কি ঘটতে চলেছে তা তিনি তোমাদের কাছে বলবেন। 14 তিনি আমাকে মহিমান্বিত করবেন, কারণ আমি যা বলি তাই তিনি গ্রহণ করবেন এবং তোমাদের তা বলবেন। 15 যা কিছু পিতার, তা আমার। এই কারণেই আমি বলেছি যে সত্যের আত্মা আমার নিকট থেকে সবই গ্রহণ করবেন এবং তোমাদের তা বলবেন।
দুঃখ আনন্দে পরিণত হবে
16 “আর একটু পরে তোমরা আমাকে আর দেখতে পাবে না। অল্প একটু পরে আবার আমাকে দেখতে পাবে।”
17 তখন তাঁর শিষ্যদের মধ্যে কয়েকজন পরস্পরকে বলল, “উনি আমাদের কি বলতে চাইছেন, ‘কিছু পরে তোমরা আমায় দেখতে পাবে না, কিছু পরে তোমরা আবার আমায় দেখতে পাবে?’ এ কথারই বা অর্থ কি, ‘কারণ আমি পিতার কাছে যাচ্ছি’?” 18 তাঁরা আরও বললেন, “তিনি ‘অল্প কিছুকাল পরে’ বলতে কি বোঝাতে চাইছেন? তিনি কি বলছেন, আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না।”
19 তারা তাঁকে কি জিজ্ঞেস করতে চান তা যীশু বুঝতে পারলেন। তাই তিনি তাঁদের বললেন, “যখন আমি বললাম, ‘অল্প কিছু পরে তোমরা আমায় দেখতে পাবে না, আবার অল্প কিছু পরে আবার আমায় দেখতে পাবে, এর দ্বারা আমি কি বোঝাতে চাইছি এই নিয়েই কি পরস্পরের মধ্যে আলোচনা করছ’? 20 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমরা কাঁদবে, ব্যথিত হবে, কিন্তু জগত সংসার তাতে আনন্দিত হবে। তোমরা দুঃখে ভারাক্রান্ত হবে, কিন্তু তোমাদের দুঃখ আনন্দে পরিণত হবে।
21 “স্ত্রীলোক সন্তান প্রসবের সময় কষ্ট পায়, কারণ তখন তার প্রসব বেদনার সময়; কিন্তু যখন সে সন্তান প্রসব করে, তখন সে তার কষ্টের কথা ভুলে যায়, জগতে একজন জন্মগ্রহণ করল জেনে সে আনন্দিত হয়। 22 ঠিক সেই রকম, তোমরাও এখন দুঃখ পাচ্ছ, কিন্তু আমি তোমাদের আবার দেখা দেব, আর তোমাদের হৃদয় তখন আনন্দে ভরে যাবে। তোমাদের সেই আনন্দ কেউ তোমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারবে না। 23 সেদিন তোমরা আমার কাছে কিছু চাইবে না। আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমরা আমার নামে যদি পিতার কাছে কিছু চাও, তিনি তোমাদের তা দেবেন। 24 এ পর্যন্ত তোমরা আমার নামে কিছু চাও নি। তোমরা চাও, তাহলে তোমরা পাবে। তোমাদের আনন্দ তখন পূর্ণতায় ভরে যাবে।
জগত জয় করা হল
25 “আমি হেঁয়ালি করে তোমাদের এসব বলেছিলাম। সময় আসছে যখন আমি আর হেঁয়ালি করে তোমাদের কিছু বলব না, বরং পিতার বিষয় সরল ভাষায় তোমাদের কাছে ব্যক্ত করব। 26 সেই দিন যা চাইবার তা তোমরা আমার নামেই চাইবে, আর আমি তোমাদের বলছি না যে আমি তোমাদের হয়ে পিতার কাছে চাইব। 27 না, পিতা নিজেই তোমাদের ভালবাসেন, কারণ তোমরা আমায় ভালবেসেছ এবং তোমরা বিশ্বাস কর যে আমি ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছি। 28 আমি পিতার কাছ থেকে এই জগতে এসেছি, এখন আমি এ জগত ছেড়ে আবার পিতার কাছে ফিরে যাচ্ছি।”
29 তাঁর শিষ্যরা বললেন, “দেখুন, এখন আপনি স্পষ্টভাবে বলছেন, কোনরকম হেঁয়ালি করে বলছেন না। 30 এখন আমরা বুঝলাম যে আপনি সব কিছুই জানেন। কোন ব্যক্তি প্রশ্ন করার আগেই আপনি তার উত্তর দিতে পারেন। এজন্যই আমরা বিশ্বাস করি যে আপনি ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছেন।”
31 যীশু তাঁদের বললেন, “তাহলে তোমরা এখন বিশ্বাস করছ? 32 শোন, সময় আসছে, বলতে কি এসে পড়েছে, যখন তোমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে যে যার নিজের জায়গায় চলে যাবে, আর আমায় একা ফেলে পালাবে, তবু আমি একা নই, কারণ পিতা আমার সঙ্গে আছেন।
33 “আমি তোমাদের এসব কথা বললাম যাতে তোমরা আমার মধ্যে শান্তি পাও। জগতে তোমরা কষ্ট পাবে, কিন্তু সাহসী হও! আমিই জগতকে জয় করেছি!”
13 একজন জ্ঞানী পুত্র পিতার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনে। কিন্তু একজন অহঙ্কারী ব্যক্তি কারো কথা শোনে না। যে লোকরা তাকে সংশোধন করবার চেষ্টা করে সে তাদের কথা শোনে না।
2 ভালো লোকরা তাদের ভালো কথাবার্তার জন্য পুরস্কৃত হয়। কিন্তু দুষ্ট লোকরা সব সময় ভুল কাজ করতে চায়।
3 যে নিজের কথাগুলো সযত্নে রক্ষা করে সে তার জীবন রক্ষা করে। যে না ভেবে-চিন্তে কথা বলে সে তার নিজের ধ্বংস নিয়ে আসে।
4 অলস ব্যক্তিরা সর্বদা পাবার আকাঙ্খা করে কিন্তু তাদের আকাঙ্খা পূর্ণ হবে না। অথচ পরিশ্রমী ব্যক্তিরা যা চাইবে তাই তারা পেতে সক্ষম হবে।
5 সৎ লোকরা মিথ্যাকে ঘৃণা করে। দুর্জনরা লজ্জিত হবে।
6 ধার্মিকতা ভাল এবং সৎ মানুষকে রক্ষা করবে। কিন্তু যে সব লোক পাপ করতে ভালবাসে পাপ তাদের সর্বনাশ করে।
7 যাদের কিছু নেই তারা ধনী হওয়ার ভান করে। কিন্তু যারা সত্যিকারের ধনী তারা নিজেদের দরিদ্র বলে পরিচয় দেয়।
8 জীবন রক্ষার জন্য একজন ধনীকে হয়ত অনেক মূল্য দিতে হবে। কিন্তু গরীব লোকরা কখনও সেরকম হুমকি পায় না।
9 একজন ভালো লোকের আলো হাসিকে উজ্জ্বল করে। দুষ্ট লোকের প্রদীপ বিষাদে পরিণত হয়।
10 যারা নিজেদের অন্যদের থেকে শ্রেষ্ঠ বলে মনে করে তারাই সংকটের কারণ হয়। কিন্তু যারা অন্যদের উপদেশ গ্রহণ করে তারা জ্ঞানী।
11 যারা পয়সার জন্য ঠকায়, তারা শীঘ্রই সব পয়সা হারাবে। কিন্তু পরিশ্রমের বিনিময়ে যারা অর্থ রোজগার করে তাদের অর্থ ক্রমশঃ বৃদ্ধি পায়।
12 আশা যদি ক্রমাগত দূরে সরে যেতে থাকে তাহলে হৃদয় দুঃখিত হয়। আকাঙ্খিত বস্তু পাওয়া জীবন বৃক্ষের মত।
13 যে ব্যক্তি আদেশকে অবজ্ঞা করে সে ধ্বংস হয়। যে ব্যক্তি আদেশকে শ্রদ্ধা করবে সে পুরস্কৃত হবে।
14 জ্ঞানী ব্যক্তিদের শিক্ষামালা জীবনের সন্ধান দেয়। ঐ কথাগুলি তোমাকে মৃত্যু ফাঁদ এড়িয়ে যেতে সাহায্য করবে।
15 সৎ উদ্দেশ্যসমূহ গৌরব আনে। প্রতারণা নিয়ে আসে তার নিজস্ব পুরস্কার।
16 একজন জ্ঞানী ব্যক্তি কোন কাজ করার আগে চিন্তাভাবনা করে। কিন্তু একজন নির্বোধ তার কাজকর্মের মাধ্যমে নিজের বোকামির পরিচয় দেয়।
17 বিশ্বাস করা যায় না এমন দূত অনেক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু একজন বিশ্বাসী দূত আরোগ্য নিয়ে আসে।
18 যে নিজের ভুল থেকে শিক্ষা নেয় না সে অচিরেই গরীব হয় ও লজ্জিত বোধ করে। কিন্তু যে সংশোধন গ্রহণ করে সে লাভবান হবে।
19 যদি কেউ কিছু চেয়ে তা পেয়ে যায় তাহলে সে খুব আনন্দিত হয়। কিন্তু নির্বোধ লোকরা তাদের অসৎ পথ থেকে সরে আসতে ঘৃণা বোধ করে।
20 জ্ঞানীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করো তাহলে তুমিও জ্ঞানী হয়ে উঠবে। কিন্তু যদি তুমি নির্বোধদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করো তাহলে সমস্যায় পড়বে।
21 দুঃখ দুর্দশা পাপীদের তাড়া করে বেড়ায়, কিন্তু ভালো লোকদের জীবনে ভাল ঘটনাই ঘটে।
22 একজন সজ্জন ব্যক্তির যা সম্পদ থাকবে তা সে তার সন্তান ও নাতি-নাতনিদের দিয়ে যেতে পারবে। এবং পরিশেষে দুর্জনদের সব সম্পদও এক দিন সজ্জন ব্যক্তিদের আওতায় চলে আসবে।
23 একজন দরিদ্রের উর্বর জমি থাকতে পারে যা প্রচুর ফসল দেয়। কিন্তু ভুল সিদ্ধান্তের ফলে সে ক্ষুধার্ত থাকে।
24 যে নিজের সন্তানদের সত্যিকারের ভালোবাসে সে সন্তানদের ভুল ত্রুটিগুলো শুধরে দেয়। যদি তুমি তোমার পুত্রকে ভালবাসো তাহলে তাকে সঠিক পথে চলার শিক্ষা দাও।
25 ভালো লোকরা সব সময় প্রচুর পরিমাণে খেতে পাবে। কিন্তু দুর্জনরা ক্ষুধার্ত থেকে যাবে।
ছেলেমেয়ে এবং বাবা মা
6 ছেলেমেয়েরা, প্রভু যেভাবে চান সেইভাবে তোমাদের বাবা মাকে মেনে চলো; তোমাদের উচিত তাঁদের বাধ্য হওয়া। 2 আজ্ঞায় আছে, “তোমাদের মা-বাবাকে সম্মান করো।”(A) এটাই হল প্রতিশ্রুতিযুক্ত প্রথম আজ্ঞা। 3 সেই প্রতিশ্রুতি হচ্ছে: “তাহলে সবদিক দিয়ে তোমার মঙ্গল হবে ও তুমি মর্ত্যে দীর্ঘায়ু হবে।”(B)
4 তোমরা যারা সন্তানের বাবা, আমি তোমাদের বলছি, তোমরা তোমাদের সন্তানদের ক্রুদ্ধ করো না, বরং প্রভু যেমন চান সেইরূপ শাসন করে ও শিক্ষা দিয়ে তাদের মানুষ করে তোল।
ক্রীতদাস এবং মনিব
5 ক্রীতদাসরা, তোমরা তোমাদের এই জগতের মনিবদের ভয় ও শ্রদ্ধার সঙ্গে মান্য করো। তোমরা যেমন খ্রীষ্টের বাধ্য তেমনি আন্তরিকভাবে ও সত্য হৃদয়ে তাদেরও বাধ্য হও। 6 মানুষের অনুমোদনের জন্য কেবল তাদের চোখের সামনে যে তাদের সেবা করবে তা নয়, বরং খ্রীষ্টের ক্রীতদাসের মতো কাজ করো যে ক্রীতদাসরা ঈশ্বরের ইচ্ছা আন্তরিকভাবে পালন করছে। 7 ক্রীতদাস হিসেবে সমস্ত অন্তর দিয়ে এমনভাবে কাজ কর যেন তুমি মানুষকে নয়, ঈশ্বরকে সেবা করছ। 8 মনে রেখো, তুমি ক্রীতদাস বা স্বাধীন যাই হও না কেন, তোমার সমস্ত ভাল কাজের জন্য প্রভু তোমায় পুরষ্কার দেবেন।
9 ক্রীতদাসের মনিবরা, তোমাদের বলি, তোমাদের দাসদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করো। তাদের কড়া কথা বলো না। মনে রেখো, তাদের ও তোমাদের প্রভু স্বর্গে আছেন; আর সেই প্রভু সকলকেই সমানভাবে বিচার করেন।
ঈশ্বরের যুদ্ধ সজ্জা পরিধান করো
10 চিঠি শেষ করার আগে তোমাদের এই কথাই বলি, তোমরা প্রভুতে বলবান হও, তাঁরই মহাশক্তিতে শক্তিমান হও। 11 তোমরা ঈশ্বরের দেওয়া সমগ্র যুদ্ধসাজ পরে নাও, যেন দিয়াবলের সমস্ত কৌশলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পার। 12 রক্তমাংসের দেহধারী মানুষের সঙ্গে আমাদের সংগ্রাম নয়; শাসকগণ, কর্তৃত্ত্বের অধিকারীসকল, এই অন্ধকার যুগের মহাজাগতিক ক্ষমতার সঙ্গে এবং স্বর্গরাজ্যের মন্দ শক্তি সমূহের সঙ্গে আমাদের সংগ্রাম। 13 এইজন্যই ঈশ্বরের প্রতিটি যুদ্ধসাজ তোমাদের পরে নেওয়া দরকার, তাহলে শয়তানের আক্রমণের সামনে তোমরা স্থির হয়ে দাঁড়াতে পারবে, এবং যুদ্ধের শেষেও তোমরা দাঁড়িয়ে থাকবে।
14 সুতরাং শক্ত হয়ে দাঁড়াও, কোমর বেঁধে নাও; আর ন্যায়পরায়ণতার ঢালও নাও। 15 দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে সুসমাচারের শান্তির পাদুকা তোমাদের পায়ে পরে নাও। 16 এর দ্বারা তোমরা সেই মন্দ শক্তির সমস্ত রকমের অগ্নিবাণ নিভিয়ে দিতে পারবে; 17 আর পরিত্রাণরূপ শিরস্ত্রাণ ও পবিত্র আত্মার তলোয়ার, অর্থাৎ ঈশ্বরের শিক্ষা সঙ্গে নিও। 18 সবসময় পবিত্র আত্মাতে প্রার্থনা কর। সব রকম প্রার্থনায় প্রার্থনা করে তোমাদের যা প্রয়োজন সে সবই জানাও। এর জন্য সব সময় সজাগ থেকো, কখনও হাল ছেড়ে দিও না। ঈশ্বরের সমস্ত লোকদের জন্য প্রার্থনা কর।
19 আমার জন্য প্রার্থনা কর, যেন সুসমাচার প্রচারের সময় ঈশ্বর আমার মুখে উপযুক্ত কথা যোগান; আর আমি সাহসের সঙ্গে সুসমাচারের গোপন সত্য বলতে পারি। 20 সেই সুসমাচারের পক্ষে আমি কথা বলে চলেছি। এই কারাগারের মধ্যেও আমি সেই কাজ করে যাচ্ছি। প্রার্থনা কর, যেমন উচিত আমি যেন তেমনি নির্ভীকভাবে এই সুসমাচার প্রচার করে যাই।
শেষ শুভেচ্ছা
21 আমাদের প্রিয় ভাই তুখিক, যিনি প্রভুর কাজে একজন বিশ্বস্ত সেবক, তিনিই তোমাদের বলবেন, আমি কেমন আছি এবং কি করছি। 22 তাঁকে আমি তোমাদের কাছে এই জন্য পাঠালাম যেন তোমরা আমাদের সব খবর জানতে পার ও তা জেনে উৎসাহ পাও।
23 ভাইরা, পিতা ঈশ্বর ও প্রভু যীশু খ্রীষ্টের কাছ থেকে বিশ্বাস সহ ভালবাসা ও শান্তি তোমাদের সহবর্তী হোক্। 24 যারা আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে অশেষ ভালবাসায় ভালবাসে, ঈশ্বরের অনুগ্রহ তাদের সকলের সঙ্গে থাকুক।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International