M’Cheyne Bible Reading Plan
সোনার বাছুর
32 পর্বত থেকে মোশির নামতে দেরী হচ্ছে দেখে লোকরা উদ্বিগ্ন হয়ে হারোণকে ঘিরে ধরল। তারা বলল, “মোশি আমাদের পথ দেখিয়ে মিশর দেশ থেকে বার করে এনেছে কিন্তু আমরা তো এখান থেকে কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না যে মোশির কি হয়েছে। সুতরাং এসো, আমরা আমাদের নেতৃত্ব দেবার জন্য দেবতাদের তৈরী করি।”
2 হারোণ তখন ঐ লোকদের বলল, “তোমরা আমার কাছে তোমাদের স্ত্রী, পুত্র, কন্যাদের কানের সোনার দুল এনে দাও।”
3 সুতরাং সবাই তাদের স্ত্রী, পুত্র ও কন্যাদের কানের দুল এনে হারোণকে দিল। 4 হারোণ সবার কাছ থেকে সোনার দুলগুলো নিয়ে সেগুলো গলিয়ে একটি বাছুরের মূর্তি গড়ল। হারোণ বাটালি দিয়ে বাছুরের মূর্তি গড়ল এবং সোনা দিয়ে মূর্তিটির আচ্ছাদন তৈরী করল।
তখন লোকরা বলল, “হে ইস্রায়েল, এই তোমার দেবতা যিনি তোমাকে মিশর দেশ থেকে বাইরে এনেছেন।”
5 সব দেখার পর হারোণ বাছুরের মূর্তির সামনে একটি বেদী তৈরী করল। এরপর হারোণ ঘোষণা করে জানাল, “আগামীকাল প্রভুর সম্মানার্থে একটি বিশেষ চড়ুই ভাতি উৎসব পালন করা হবে।”
6 পরদিন খুব ভোরে লোকরা উঠে কিছু পশুকে মেরে হোমবলি ও মঙ্গল নৈবেদ্য দিল। তারপর তারা বসে পাত পেড়ে খাওয়া দাওয়া করে আনন্দ স্ফূর্তিতে মেতে উঠল।
7 ঠিক সেই সময়ে প্রভু মোশিকে বললেন, “তোমার লোকরা, যাদের তুমি মিশর দেশ থেকে বাইরে এনেছো, তারা মারাত্মক পাপ কাজে লিপ্ত হয়েছে। 8 আমার নির্দেশ সম্পূর্ণরূপে অগ্রাহ্য করে সোনা গলিয়ে তারা একটি বাছুরের মূর্তি তৈরী করেছে। তারা গলা সোনা দিয়ে তৈরী একটি বাছুরের মূর্তিকে পূজো করছে এবং তাকে নৈবেদ্য দিচ্ছে। আবার তারা বলছে, ‘ইস্রায়েল, এই হচ্ছে তোমার দেবতা যিনি তোমাকে মিশর থেকে বার করে এনেছেন।’”
9 প্রভু মোশিকে বললেন, “আমি ঐ লোকদের ভাল করে চিনি। ওরা ভীষণ জেদী ও উদ্ধত। 10 সুতরাং আমাকে একা থাকতে দাও। আমি তাদের ওপর ক্রুদ্ধ, আমি তাদের ধ্বংস করব। তারপর আমি তোমাকে দিয়ে একটা বড় জাতির সৃষ্টি করব।”
11 কিন্তু মোশি বিনয়ের সঙ্গে, প্রভু তার ঈশ্বরকে অনুরোধ করল, “আপনি ক্রোধ দিয়ে আপনার লোকদের ধ্বংস করবেন না। আপনি আপনার শক্তি ও পরাক্রম দিয়ে ঐ মানুষদের মিশর দেশ থেকে বাইরে এনেছিলেন। 12 কিন্তু আপনি যদি ওদের ধ্বংস করেন তাহলে মিশরীয়রা বলতে পারে, ‘প্রভু নিজের লোকদের জন্য খারাপ কিছু করার পরিকল্পনা করেছিলেন। তাই তিনি ঐ লোকদের মিশর থেকে বের করে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন পর্বতের ওপর নিয়ে গিয়ে তাদের হত্যা করতে। তিনি চেয়েছিলেন তাদের পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে।’ তাই আপনি তাদের ওপর রাগ করবেন না। দয়া করে আপনার মনকে বদলান। আপনার জনগণকে ধ্বংস করবেন না। 13 আপনার দাসগণ অব্রাহাম, ইস্হাক এবং যাকোবকে স্মরণ করুন। এবং আপনি তাদের কাছে নিজের নামে শপথ নিয়ে বলেছিলেন: ‘আমি প্রতিজ্ঞা করছি যে আকাশের অসংখ্য তারার মতো তোমাদের বংশ বৃদ্ধি হবে। এই দেশ তোমাদের বংশধরদের দিয়ে দেব। ওরা এখানে চিরকালের জন্য থাকবে।’”
14 তাই প্রভু তাঁর মন পরিবর্তন করলেন এবং তাঁর লোকদের ধ্বংস করবার ভীতি প্রদর্শন পালন করলেন না। 15 তখন মোশি ঘুরে দাঁড়াল এবং পর্বতের নীচে নামল। তার হাতে ছিল বন্দোবস্ত লেখা দুই পাথর ফলক। ঐ দুই পাথর ফলকের দুপাশেই লেখা ছিল প্রভুর নির্দেশগুলি। 16 ঈশ্বর নিজের হাতে ঐ দুই পাথর ফলক তৈরী করে নিজেই ঐ নির্দেশগুলি লিখেছেন।
17 যিহোশূয় শিবিরের গভীরে লোকজনের কোলাহল শুনতে পেল এবং মোশিকে বলল, “মনে হচ্ছে শিবিরের লোকরা যুদ্ধ করছে।”
18 উত্তরে মোশি বলল, “এই কোলাহল কোন যুদ্ধ জয়ের উল্লাস নয় আবার পরাজয়ের কান্নাও নয়। আমি কিন্তু গান বাজনা শুনতে পাচ্ছি।”
19 মোশি সেই শিবিরের কাছে গেল। সে দেখল সোনার বাছুরের মূর্তিটি এবং লোকরা তা নিয়ে নাচানাচি করছে। এসব দেখে মোশি রেগে গেল, রাগের চোটে হাত থেকে পাথর ফলকগুলি নীচে ফেলে দিল এবং পর্বতের পাদদেশে তাদের ভেঙ্গে চূর্ণবিচূর্ণ করে দিল। 20 মোশি সেই সোনার বাছুরের মূর্তিকে আগুনে ছুঁড়ে ফেলে দিল। তারপর আগুনে সেই মূর্তি গলে গেলে সেই ছাই জলে মিশিয়ে ইস্রায়েলের লোকদের সেই জল পান করতে বাধ্য করল।
21 মোশি হারোণকে বলল, “এই লোকরা তোমার সঙ্গে কি করেছিল যে তুমি ওদের এমন পাপের দিকে ঠেলে দিলে?”
22 হারোণ উত্তর দিল, “মহাশয়, রাগ করো না। তুমি তো জানো এরা সব সময়ই ভুল পথে পা বাড়ায়। 23 ওরা আমায় বলেছিল, ‘মোশি আমাদের মিশর দেশ থেকে নেতৃত্ব দিয়ে বের করে আনলেও এখন কিন্তু তার কোন খবর পাওয়া যাচ্ছে না। তাই আমাদের জন্য এমন দেবতাসমূহ তৈরী করে দাও যারা আমাদের নেতৃত্ব দেবে।’ 24 তখন আমি ওদের বলেছিলাম, ‘যদি তোমাদের কোন সোনার দুল থাকে তাহলে আমাকে সব দাও।’ ওরা আমাকে সোনার দুল দিলে আমি সেগুলো আগুনে ফেলে দিলে আগুন থেকে ঐ বাছুরটি বার হয়ে এলো।”
25 মোশি দেখল হারোণ লোকদের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে এবং তারা স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠেছে। লোকরা বন্য হয়ে উঠেছে। এবং তাদের সমস্ত শত্রুরা এই বোকামী দেখতে পেয়েছে। 26 তাই মোশি সেই শিবিরের প্রবেশ দ্বারে দাঁড়িয়ে বলে উঠল, “কেউ যদি প্রভুকে অনুসরণ করতে চাও তাহলে আমার কাছে এসো।” এবং লেবি বংশজাত লোকরা সবাই দৌড়ে মোশির কাছে চলে এল।
27 তখন মোশি তাদের বলল, “প্রভু ইস্রায়েলের ঈশ্বর কি বলেন তা আমি তোমাদের বলব: ‘প্রত্যেকে তার নিজের নিজের তরবারি হাতে তুলে নিয়ে শিবিরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে গিয়ে সমস্ত লোকদের হত্যা করে তাদের শাস্তি দাও। প্রত্যেকে তার বন্ধু ভাই এবং প্রতিবেশীকে হত্যা করবে।’”
28 লেবি বংশজাত প্রত্যেক মানুষ মোশির নির্দেশ পালন করল। সেই দিন অন্তত 3000 ইস্রায়েলবাসীকে হত্যা করা হয়েছিল। 29 তখন মোশি বলল, “আজ থেকে প্রভু তোমাদের তাঁর সেবার জন্য উৎসর্গ করেছেন এবং আজ তিনি তোমাদের আশীর্বাদ করেছেন কারণ তোমরা প্রত্যেকে তোমাদের পুত্রদের এবং ভাইদের বিরুদ্ধে ঝগড়া করেছ।”
30 পরদিন সকালে মোশি সবাইকে বলল, “তোমরা মারাত্মক পাপ কাজ করেছো কিন্তু এখন আমি প্রভুর কাছে যাব এবং চেষ্টা করব যাতে তিনি তোমাদের এই পাপকে ক্ষমা করে দেন।” 31 সুতরাং মোশি আবার প্রভুর কাছে ফিরে গিয়ে বলল, “প্রভু অনুগ্রহ করে শুনুন। ওরা সোনার দেবতা তৈরী করে মারাত্মক পাপ করেছে। 32 এখন আপনি ওদের এই পাপকে ক্ষমা করে দিন। যদি আপনি ওদের ক্ষমা না করেন তাহলে আপনার লেখা পুস্তক[a] থেকে আমার নাম মুছে দিন।”
33 প্রভু মোশিকে বললেন, “যে আমার বিরুদ্ধে পাপ কাজ করেছে আমি কেবল তার নামই আমার পুস্তক থেকে কেটে ফেলব। 34 তাই এখন তুমি নীচে গিয়ে লোকদের যে দেশে নিয়ে যেতে বলেছি সেই দেশে নিয়ে যাও। আমার দূত তোমাদের আগে পথ দেখাতে দেখাতে যাবে, পাপীর যখন বিনাশের সময় হবে তখন সে শাস্তি পাবেই।” 35 তাই প্রভু লোকদের ওপর একটি মহামারী ছড়িয়ে দিলেন কারণ তারা হারোণকে বাছুরের মূর্তি তৈরী করতে বাধ্য করেছিল।
লাসারের মৃত্যু
11 লাসার নামে একটি লোক অসুস্থ ছিলেন; তিনি বৈথনিয়া গ্রামে থাকতেন। সেই গ্রামেই মরিয়ম ও তাঁর বোন মার্থাও থাকতেন। 2 এই মরিয়মই বহুমূল্য সুগন্ধি আতর যীশুর উপরে ঢেলে নিজের চুল দিয়ে তাঁর পা মুছিয়ে দিয়েছিলেন। লাসার ছিলেন এই মরিয়মেরই ভাই। 3 তাই লাসারের বোনেরা একটি লোক পাঠিয়ে যীশুকে বলে পাঠালেন, “প্রভু, আপনার প্রিয় বন্ধু লাসার অসুস্থ।”
4 যীশু একথা শুনে বললেন, “এই রোগে তার মৃত্যু হবে না; কিন্তু তা ঈশ্বরের মহিমার জন্যই হবে, যেন ঈশ্বরের পুত্র মহিমান্বিত হন।” 5 যীশু মার্থা, তার বোন ও লাসারকে ভালবাসতেন। 6 তাই তিনি যখন শুনলেন যে লাসার অসুস্থ, তখন যেখানে ছিলেন সেই জায়গায় আরো দুদিন রয়ে গেলেন। 7 এরপর তিনি শিষ্যদের বললেন, “চল, আমরা আবার যিহূদিয়াতে যাই।”
8 তাঁর শিষ্যরা তাঁকে বললেন, “গুরু, সম্প্রতি সেখানকার লোকেরা আপনাকে পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলতে চাইছিল। তবে কেন আপনি আবার সেখানে যেতে চাইছেন?”
9 এর উত্তরে যীশু বললেন, “দিনে বারো ঘন্টা আলো থাকে। কেউ যদি দিনের আলোতে চলে তবে সে হোঁচট খেয়ে পড়ে যায় না, কারণ সে জগতের আলো দেখতে পায়। 10 কিন্তু কেউ যদি রাতের আঁধারে চলে তবে সে হোঁচট খায়, কারণ তার সামনে কোন আলো নেই।”
11 তিনি একথা বলার পর তাদের আবার বললেন, “আমাদের বন্ধু লাসার ঘুমিয়ে পড়েছে; কিন্তু আমি তাকে জাগাতে যাচ্ছি।”
12 তখন তাঁর শিষ্যরা তাঁকে বললেন, “প্রভু, সে যদি ঘুমিয়ে থাকে তবে সে ভাল হয়ে যাবে।” 13 যীশু লাসারের মৃত্যুর বিষয়ে বলছিলেন, কিন্তু তাঁরা মনে করলেন তিনি তাঁর স্বাভাবিক ঘুমের কথা বলছেন।
14 তাই যীশু তখন তাদের স্পষ্ট করে বললেন, “লাসার মারা গেছে। 15 আর তোমাদের কথা ভেবে আমি আনন্দিত যে আমি সেখানে ছিলাম না, কারণ এখন তোমরা আমাকে বিশ্বাস করবে। চল, এখন আমরা তার কাছে যাই।”
16 তখন থোমা (যাঁকে দিদুমঃ বলে) অন্য শিষ্যদের উদ্দেশ্য করে বললেন, “চল, আমরাও যাবো, আমরাও যীশুর সঙ্গে মরব।”
বৈথনিয়াতে যীশু
17 যীশু বৈথনিয়াতে এসে জানতে পারলেন যে গত চারদিন ধরে লাসার কবরে আছেন। 18 বৈথনিয়া থেকে জেরুশালেমের দূরত্ব ছিল প্রায় দুই মাইল। 19 তাই ইহুদীদের অনেকেই মার্থা ও মরিয়মকে তাঁদের ভাইয়ের মৃত্যুর পর সান্ত্বনা দিতে এসেছিল।
20 মার্থা যখন শুনলেন যে যীশু এসেছেন, তখন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন, কিন্তু মরিয়ম ঘরেই থাকলেন। 21 মার্থা যীশুকে বললেন, “প্রভু, আপনি যদি এখানে থাকতেন তাহলে আমার ভাই মরত না। 22 কিন্তু এখনও আমি জানি যে, আপনি ঈশ্বরের কাছে যা কিছু চাইবেন, ঈশ্বর আপনাকে তাই দেবেন।”
23 যীশু তাঁকে বললেন, “তোমার ভাই আবার উঠবে।”
24 মার্থা তাঁকে বললেন, “আমি জানি শেষ দিনে পুনরুত্থানের সময় সে আবার উঠবে।”
25 যীশু মার্থাকে বললেন, “আমিই পুনরুত্থান, আমিই জীবন। যে কেউ আমাকে বিশ্বাস করে, সে মরবার পর জীবন ফিরে পাবে। 26 যে কেউ জীবিত আছে ও আমায় বিশ্বাস করে, সে কখনও মরবে না। তুমি কি একথা বিশ্বাস কর?”
27 মার্থা তাঁকে বললেন, “হ্যাঁ, প্রভু! আমি বিশ্বাস করি যে জগতে যাঁর আসার কথা আছে আপনিই সেই খ্রীষ্ট, ঈশ্বরের পুত্র।”
যীশু কাঁদলেন
28 এই কথা বলার পর মার্থা সেখান থেকে চলে গেলেন ও তার বোন মরিয়মকে একান্তে ডেকে বললেন, “গুরু এসেছেন, আর তিনি তোমায় ডাকছেন।” 29 মরিয়ম একথা শুনে তাড়াতাড়ি করে যীশুর কাছে গেলেন। 30 যীশু তখনও গ্রামের মধ্যে ঢোকেন নি। মার্থা যেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন তিনি সেখানেই ছিলেন। 31 যে ইহুদীরা মরিয়মের সঙ্গে বাড়িতে ছিল ও তাঁকে সান্ত্বনা দিচ্ছিল, তারা যখন দেখল যে মরিয়ম তাড়াতাড়ি করে উঠে বাইরে যাচ্ছেন, তখন তারাও তাঁর পিছনে পিছনে চলল। তারা মনে করল যে তিনি হয়তো লাসারের কবরের কাছে যাচ্ছেন ও সেখানে গিয়ে কাঁদবেন। 32 যীশু যেখানে ছিলেন, মরিয়ম সেখানে এসে তাঁকে দেখে তাঁর পায়ের ওপর পড়ে বললেন, “প্রভু, আপনি যদি এখানে থাকতেন, আমার ভাই মরত না।”
33 যীশু যখন দেখলেন যে মরিয়ম কাঁদছেন আর তাঁর সঙ্গে যে সব ইহুদীরা এসেছিল তারাও কাঁদছে, তখন তিনি দুঃখিত হয়ে উঠলেন এবং অন্তরে গভীরভাবে বিচলিত হলেন। 34 তখন তিনি বললেন, “তোমরা তাকে কোথায় রেখেছ?”
তারা বললেন, “প্রভু, আসুন, এসে দেখুন।”
35 যীশু কেঁদে ফেললেন।
36 তখন সেই ইহুদীরা সকলে বলতে লাগল, “দেখ! উনি লাসারকে কত ভালোবাসতেন।”
37 কিন্তু তাদের মধ্যে আবার কেউ কেউ বলল, “যীশু তো অন্ধকে দৃষ্টিশক্তি দিয়েছেন তাহলে কেন তিনি লাসারকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচালেন না?”
যীশু লাসারকে জীবন দান করেন
38 এরপর যীশু আবার অন্তরে বিচলিত হয়ে উঠলেন। লাসারকে যেখানে রাখা হয়েছিল, যীশু সেই কবরের কাছে গেলেন। কবরটি ছিল একটা গুহা, যার প্রবেশ পথ একটা পাথর দিয়ে ঢাকা ছিল। 39 যীশু বললেন, “ঐ পাথরটা সরিয়ে ফেল।”
সেই মৃত ব্যক্তির বোন মার্থা বললেন, “প্রভু চারদিন আগে লাসারের মৃত্যু হয়েছে। এখন পাথর সরালে এর মধ্য থেকে দুর্গন্ধ বার হবে।”
40 যীশু তাঁকে বললেন, “আমি কি তোমায় বলিনি, যদি বিশ্বাস কর তবে ঈশ্বরের মহিমা দেখতে পাবে?”
41 এরপর তারা সেই পাথরখানা সরিয়ে দিল, আর যীশু উর্দ্ধ দিকে তাকিয়ে বললেন, “পিতা, আমি তোমায় ধন্যবাদ দিই, কারণ তুমি আমার কথা শুনেছ। 42 আমি জানি তুমি সব সময়ই আমার কথা শুনে থাক। কিন্তু আমার চারপাশে যাঁরা দাঁড়িয়ে আছে তাদের জন্য আমি একথা বলছি, যেন তারা বিশ্বাস করে যে তুমি আমায় পাঠিয়েছ।” 43 এই কথা বলার পর যীশু জোর গলায় ডাকলেন, “লাসার বেরিয়ে এস!” 44 মৃত লাসার সেই কবর থেকে বাইরে এল। তার হাত-পা টুকরো কাপড় দিয়ে তখনও বাঁধা ছিল আর তার মুখের ওপর একখানা কাপড় জড়ানো ছিল।
যীশু তখন তাদের বললেন, “বাঁধন খুলে দাও এবং ওকে যেতে দাও।”
ইহুদী নেতারা যীশুকে হত্যার চক্রান্ত করতে লাগল
(মথি 26:1-5; মার্ক 14:1-2; লূক 22:1-2)
45 তখন মরিয়মের কাছে যারা এসেছিল, সেই সব ইহুদীদের মধ্যে অনেকে যীশু যা করলেন তা দেখে যীশুর ওপর বিশ্বাস করল। 46 কিন্তু তাদের মধ্যে কয়েকজন ফরীশীদের কাছে গিয়ে যীশু যা করেছিলেন তা তাদের জানালো। 47 এরপর প্রধান যাজক ও ফরীশীরা পরিষদের এক মহাসভা ডেকে সেখানে নিজেদের মধ্যে বলাবলি করল, “আমরা এখন কি করব? এই লোকটা তো অনেক অলৌকিক চিহ্নকার্য করছে। 48 আমরা যদি ওকে এইভাবেই চলতে দিই তাহলে তো সকলেই এর ওপর বিশ্বাস করবে। তখন রোমীয়রা এসে আমাদের এই মন্দির ও আমাদের জাতিকে ধ্বংস করবে।”
49 কিন্তু তাদের মধ্যে একজন, যাঁর নাম কায়াফা, যিনি সেই বছরের জন্য মহাযাজকের পদ পেয়েছিলেন, তাদের বললেন, “তোমরা কিছুই জানো না। 50 আর তোমরা এও বোঝ না যে গোটা জাতি ধ্বংস হওয়ার পরিবর্তে সেই মানুষের মৃত্যু হওয়া তোমাদের পক্ষে মঙ্গলজনক হবে।”
51 একথা কায়াফা যে নিজের থেকে বললেন তা নয়, কিন্তু সেই বছরের জন্য মহাযাজক হওয়াতে তিনি এই ভাববাণী করলেন, যে সমগ্র জাতির জন্য যীশু মৃত্যুবরণ করতে যাচ্ছেন। 52 যীশু যে কেবল ইহুদী জাতির জন্য মৃত্যুবরণ করবেন তা নয়, সারা জগতে যে সমস্ত ঈশ্বরের সন্তানরা চারদিকে ছড়িয়ে আছে, তাদের সকলকে একত্রিত করার জন্য যীশু মৃত্যুবরণ করবেন।
53 তাই সেই দিন থেকে তারা যীশুকে হত্যা করার জন্য চক্রান্ত করতে লাগল। 54 যীশু তখন প্রকাশ্যে ইহুদীদের মধ্যে চলাফেরা বন্ধ করে দিলেন। তিনি সেখান থেকে মরুপ্রান্তরের কাছে ইফ্রয়িম নামে এক শহরে চলে গেলেন এবং সেখানে তিনি তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে থাকলেন।
55 ইহুদীদের নিস্তারপর্ব এগিয়ে আসছিল, আর অনেক লোক নিজেদের শুচি করবার জন্য নিস্তারপর্বের আগেই দেশ থেকে জেরুশালেমে গেল। 56 তারা সেখানে যীশুর খোঁজ করতে লাগল। তারা মন্দির চত্বরে দাঁড়িয়ে পরস্পর বলাবলি করতে লাগল, “তোমরা কি মনে কর? তিনি কি এই পর্বে আসবেন?” 57 প্রধান যাজকরা ও ফরীশীরা এই আদেশ দিল যে, যীশু কোথায় আছেন তা যদি কেউ জানে তবে তাদের যেন জানানো হয় যাতে তারা তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারে।
প্রজ্ঞা, এক ধার্মিক রমণী
8 শোন! প্রজ্ঞা কি তোমাকে ডাকছে?
হ্যাঁ, বোধ তোমাকে ডাকছে।
2 মহিলাটি (প্রজ্ঞা) পাহাড়ের চূড়ায়,
সড়কের ধারে, সকল পথের সংযোগস্থলে দাঁড়িয়ে।
3 সে নগরের প্রধান ফটকগুলির সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
সেখান থেকেই সে উচ্চস্বরে ডাক দিচ্ছে।
4 প্রজ্ঞা বলছে, “হে মানবগণ, আমি তোমাদের ডাকছি।
চিৎকার করে সমস্ত লোককে ডাকছি।
5 যদি তোমরা অবোধ হও, বুদ্ধিমান হওয়ার চেষ্টা কর।
নির্বোধরা বোঝার চেষ্টা কর।
6 শোন! আমি যেসব জিনিসের শিক্ষা দিই তা গুরুত্বপূর্ণ।
আমি যা বলি তা সঠিক।
7 আমার কথাগুলি সত্য।
আমি ক্ষতিকারক মিথ্যাকে ঘৃণা করি।
8 আমি যা বলি তা সঠিক, আমি মিথ্যা কথা বলি না।
আমার কথাগুলোয় কোন মিথ্যা বা ভুল নেই।
9 আমার কথাগুলি, যাদের বোধশক্তি আছে
সেই সব লোকের কাছে পরিষ্কার।
জ্ঞানবানরা আমার উপদেশ বুঝতে সক্ষম।
10 আমার অনুশাসন গ্রহণ কর। তার মূল্য রূপার চেয়েও বেশী।
সেটি উৎকৃষ্টতম সোনার চেয়েও মূল্যবান।
11 জ্ঞান, দূর্মূল্য মুক্তার চেয়েও দামী।
মানুষের অভীষ্ট কোন বস্তুই তার সমকক্ষ নয়।
প্রজ্ঞা যা করে
12 “আমি প্রজ্ঞা।
আমি সুবিচারের সঙ্গে বাস করি।
আমি সুপরিকল্পনা এবং জ্ঞান খুঁজে পেয়েছি।
13 প্রভুকে শ্রদ্ধা জানানোর অর্থ হল পাপকে ঘৃণা করা।
সেইসব মানুষ যারা নিজেকে অন্যের চেয়ে শ্রেষ্ঠ মনে করে আমি তাদের ঘৃণা করি।
আমি পাপের পথ এবং মিথ্যাভাষীকে ঘৃণা করি।
14 আমি মানুষকে সুবুদ্ধি এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা প্রদান করি।
আমিই সুবিবেচনা এবং ক্ষমতার আধার!
15 রাজারা শাসনকার্যে আমাকে ব্যবহার করেন।
ন্যায্য আইন বানাতে শাসকরা আমাকে ব্যবহার করেন।
16 পৃথিবীর সমস্ত ভাল শাসক
তাঁদের অধীনস্থ সমস্ত লোককে শাসন করতে আমাকে ব্যবহার করেন।
17 যে সব লোক আমাকে ভালোবাসে আমিও তাদের ভালোবাসি।
যারা সযত্নে আমার অন্বেষণ করে তারা আমাকে খুঁজে পাবে।
18 আমার দেবার মত ধনসম্পদ ও সম্মান রয়েছে।
আমি সত্যিকারের সম্পদ এবং সাফল্য প্রদান করি।
19 আমি যে সব জিনিস দিই তা খাঁটি সোনার চেয়েও ভালো
এবং আমার উপহারসমূহ খাঁটি রূপোর চেয়েও ভালো।
20 আমি ধর্মের পথে চলি।
আমি ন্যায় বিচারের পথ ধরে চলি।
21 যারা আমাকে ভালোবাসে আমি তাদের সম্পদ দিই।
হ্যাঁ, আমি তাদের ঘরবাড়ি ধনসম্পদে পরিপূর্ণ করে তুলি।
22 “বহুকাল আগে, শুরুতে প্রভু অন্য আর কিছু সৃষ্টি করবার আগে
আমাকে সৃষ্টি করেছিলেন।
23 আমিই আদি। আমাকে সবার আগে সৃষ্টি করা হয়েছিল।
পৃথিবীর আগে আমাকে সর্বপ্রথম সৃষ্টি করা হয়েছিল।
24 মহাসাগরের আগে আমাকে গঠন করা হয়েছিল।
সেখানে জল সৃষ্টির আগে আমাকে সৃষ্টি করা হয়েছিল।
25 আমি পর্বতসমূহের আগে জন্মেছিলাম। আমি পাহাড়সমূহের আগে জন্মেছিলাম।
26 প্রভুর পৃথিবী সৃষ্টির আগে আমি জন্মেছিলাম, ভূমি তৈরীর আগে আমি জন্মেছিলাম।
ঈশ্বরের পৃথিবীতে প্রথম ধূলিকনা সৃষ্টি করার আগে আমি জন্মেছিলাম।
27 প্রভু যখন আকাশ তৈরী করেন
সেই সময় আমি ছিলাম।
প্রভু যখন ভূমির চারদিকে একটি বৃত্ত এঁকেছিলেন এবং সাগরের সীমারেখা স্থির করেছিলেন তখন আমি ছিলাম।
28 মেঘ সৃষ্টির আগে আমি রূপ পেয়েছিলাম।
ঈশ্বর যখন সাগরে জল ঢালছিলেন, আমি সেখানে ছিলাম।
29 প্রভু যখন সমুদ্রসমূহে জলের সীমা নির্ধারণ করেছিলেন
সে সময়ে আমি সেখানে ছিলাম।
সমুদ্রের তরঙ্গদল কখনই প্রভুর নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘন করে না।
প্রভু যখন পৃথিবীর ভিত্তিস্থাপন করেন, তখন আমি ছিলাম।
30 আমি একজন দক্ষ কর্মীর মত প্রভুর পাশে ছিলাম।
আমার জন্যই প্রভু প্রতি দিন আনন্দবোধ করেছেন।
আমি তাঁর সঙ্গে সব সময় হাসি মুখে থেকেছি।
31 তাঁর জগৎ আমাকে খুশি করে।
আমি মানবজাতির সঙ্গ সুখ অনুভব করি।
32 “আমার পুত্রগণ, এখন আমার কথাগুলি শোন!
এবং তোমরাও আমার আশীর্বাদ পাবে!
33 আমার শিক্ষামালা শোন এবং জ্ঞানী হয়ে ওঠো।
ওগুলোকে অগ্রাহ্য কোরো না।
34 যে আমার কথা মেনে চলবে সে ধন্য হবে।
এমন একজন লোক প্রতি দিন আমার দরজার দিকে লক্ষ্য করে।
সে আমার দরজার পথে প্রতীক্ষা করে।
35 যে আমাকে খুঁজে পায় সে জীবন লাভ করে।
সে প্রভুর কাছ থেকে ভালো জিনিস পাবে!
36 কিন্তু যে ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে পাপ করে সে নিজেকে আঘাত করে।
যে সব লোক আমাকে ঘৃণা করে
তারা মৃত্যুকে ভালোবাসে!”
1 খ্রীষ্ট যীশুর প্রেরিত পৌলের কাছ থেকে এই চিঠি। ঈশ্বরের ইচ্ছাক্রমে আমি একজন প্রেরিত।
ঈশ্বরের পবিত্র লোকেরা যারা ইফিষে বাস করে এবং খ্রীষ্ট যীশুতে বিশ্বাসী, তাদের কাছে এই চিঠি লিখছি।
2 আমাদের পিতা ঈশ্বর ও প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ ও শান্তি তোমাদের সহবর্তী হোক্।
খ্রীষ্টের মাধ্যমে আত্মিক আশীর্বাদ লাভ
3 আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ঈশ্বর ও পিতার প্রশংসা হোক্। তিনি খ্রীষ্টে আমাদের স্বর্গীয় স্থানে সমস্ত আত্মিক আশীর্বাদে পূর্ণ করেছেন। 4 জগৎ সৃষ্টির পূর্বে ঈশ্বর তাঁর পবিত্র, নির্দোষ এবং প্রেমময় লোক হবার জন্য আমাদের খ্রীষ্টের মধ্য দিয়ে বেছে নিলেন। 5 জগৎ সৃষ্টির পূর্বেই ঈশ্বর ঠিক করেছিলেন যে আমরা খ্রীষ্টের মাধ্যমে তাঁর সন্তান হব। এ কাজ ঈশ্বর নিজেই সম্পন্ন করতে চেয়েছিলেন, আর তাতেই তিনি খুশী হলেন। 6 ঈশ্বরের এই মহান অনুগ্রহ তাঁর প্রশংসার কারণ হয়ে উঠেছে; আর এই অনুগ্রহ ঈশ্বর আমাদের মুক্তহস্তে দান করেছেন। তিনি যাকে ভালবাসেন সেই খ্রীষ্টের মাধ্যমেই এই অনুগ্রহ ঈশ্বর আমাদের মুক্তহস্তে দান করেছেন।
7 খ্রীষ্টের রক্তের দ্বারা আমরা মুক্ত হয়েছি। ঈশ্বরের মহানুগ্রহের ফলে আমাদের পাপসমূহ ক্ষমা পেয়েছে। 8 সেই অনুগ্রহ ঈশ্বর আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে দিয়েছেন। সমস্ত জ্ঞান ও অন্তর্দৃষ্টির সাথে, 9 নিজেই তাঁর গোপন পরিকল্পনা আমাদের কাছে প্রকাশ করেছেন, আর এই ছিল ঈশ্বরের ইচ্ছা এবং তিনি তা খ্রীষ্টের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পরিকল্পনা করলেন। 10 তাঁর নিরূপিত সময়ে ঈশ্বর এই পরিকল্পনা করেছিলেন যে স্বর্গ ও মর্ত্যের সব কিছুই খ্রীষ্টের সঙ্গে সংযুক্ত হবে; আর খ্রীষ্ট হবেন সবার মস্তক।
11 ঈশ্বরের লোক হবার জন্য আমরা খ্রীষ্টে মনোনীত হয়েছিলাম। ঈশ্বর পূর্বেই স্থির করেছিলেন যে আমরা তাঁর আপনজন হব, তাই ছিল ঈশ্বরের অভিপ্রায়। ঈশ্বর যা চান বা যা করার সিদ্ধান্ত নেন, তাঁর ইচ্ছানুসারে তা সম্পন্ন করেন। 12 খ্রীষ্টের ওপর যারা প্রত্যাশা করেছে তাদের মধ্যে আমরা অগ্রণী। আমাদের মনোনীত করা হয়েছে যেন আমরা ঈশ্বরের মহিমার প্রশংসা করি। 13 খ্রীষ্টেতে তোমরা তোমাদের পরিত্রাণের জন্য সেই সুসমাচারের সত্য বার্তা শুনেছিলে এবং তোমরা খ্রীষ্টে বিশ্বাস করেছিলে; আর তোমাদের পবিত্র আত্মা দান করে ঈশ্বর তোমাদের ওপর তাঁর নিজের মালিকানার ছাপ দিয়েছেন। 14 ঈশ্বর তাঁর নিজস্ব লোকদের যা কিছু দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেই পবিত্র আত্মা হল তার জামিনস্বরূপ, আর যারা ঈশ্বরের লোক তারা এর মাধ্যমে পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করবে। এ সবকিছুর একমাত্র লক্ষ্য হল তাঁর মহিমায় প্রশংসা যোগ করা।
পৌলের প্রার্থনা
15-16 এইজন্য আমি আমার প্রার্থনায় তোমাদের সর্বদা স্মরণ করি ও তোমাদের জন্য সর্বদা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই। আমি প্রভু যীশুর ওপর তোমাদের বিশ্বাসের কথাও সমস্ত ঈশ্বরের লোকদের প্রতি তোমাদের ভালবাসার কথা শুনেছি। 17 আমি ঈশ্বরের কাছে তোমাদের জন্য নিরন্তর প্রার্থনা করছি যেন, আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মহিমাময় পিতা তোমাদের সেই আত্মা দেন, যা তোমাদের বিজ্ঞ করবে এবং ঈশ্বরকে তোমাদের কাছে প্রকাশ করবে যাতে তোমরা তাঁকে ভালভাবে জানতে পার।
18 আমি প্রার্থনা করছি যেন তোমরা আপন আপন হৃদয়ে ঐশ্বরিক জ্ঞান লাভ করতে পার, তাহলে ভবিষ্যতে কি প্রত্যাশার জন্য ঈশ্বর তোমাদের আহ্বান করেছেন তা তোমরা জানতে পারবে। যে আশীর্বাদ ঈশ্বর তাঁর পবিত্র লোকদের দেবার জন্য স্থির করেছেন তা কত সম্পদশালী ও প্রতাপশালী তা তোমরা বুঝতে পারবে। 19 আমরা যারা বিশ্বাসী, আমাদের মধ্যে ঈশ্বরের যে মহাশক্তি কাজ করছে তাও তোমরা জানতে পারবে। 20 সেই মহাশক্তি দ্বারা ঈশ্বর খ্রীষ্টকে মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত করেছেন ও তাঁর ডানপাশে স্বর্গীয় স্থানে বসিয়েছেন। 21 ঈশ্বর খ্রীষ্টকে সমস্ত রাজা, মহারাজা, শাসনকর্তা ও মহান নেতাদের থেকে এবং প্রত্যেক শীর্ষ স্থানীয় শক্তির উর্দ্ধে খ্রীষ্টকে স্থাপন করেছেন, কেবল এই কালে নয়, আগামীকালেও। 22 ঈশ্বর সবকিছুই খ্রীষ্টের চরণের নীচে স্থাপন করেছেন। তাঁকেই সকলের ওপরে মস্তক স্বরূপ করে মণ্ডলীকে দান করেছেন। 23 মণ্ডলী হল খ্রীষ্টের দেহ; আর তাঁর পরিপূর্ণতা সব কিছুই সমস্ত দিকে দিয়ে পূর্ণ করে।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International