M’Cheyne Bible Reading Plan
বৎসলেল এবং অহলীয়াব
31 তখন প্রভু মোশিকে বললেন, 2 “আমার বিশেষ কাজের জন্য আমি যিহূদা বংশীয় একজনকে নির্বাচন করেছি। তার নাম হল বৎসলেল। বৎসলেল হল হূরের পৌত্র এবং উরির পুত্র। 3 আমি বৎসলেলকে ঈশ্বরের আত্মা, পটুতা, দক্ষতা এবং সমস্ত রকমের কলা ও শিল্পের জ্ঞান দিয়ে ভরে দিয়েছি। 4 বৎসলেল একজন ভাল শিল্পকার এবং সে সোনা, রূপো ও পিতল থেকে নানা জিনিসপত্র তৈরী করতে পারে। 5 বৎসলেল নানা মণি মাণিক্য কাটতে ও তাতে খোদাই করে সুন্দর অলঙ্কার তৈরী করতে পারে। সে কাঠের শিল্পকর্মেও পারদর্শী। বৎসলেল সব ধরণের কাজ করতে পারে। 6 বৎসলেলের সঙ্গে কাজ করার জন্য আমি অহলীয়াবকে নির্বাচন করেছি। অহলীয়াব হল দান পরিবারগোষ্ঠীর অহীষামকের পুত্র। আমি বাকী কারিগরদের সব রকম দক্ষতা দিয়েছি যাতে ওরা তোমাকে দেওয়া আমার নির্দেশগুলো পালন করতে পারে:
7 সমাগম তাঁবু,
সাক্ষ্যসিন্দুক,
সাক্ষ্য সিন্দুকের ওপরের আচ্ছাদন এবং সমাগম তাঁবুর সমস্ত আসবাবপত্র।
8 টেবিল ও তার ওপর রাখা যাবতীয় সব কিছু,
আনুষঙ্গিক অংশসহ
খাঁটি সোনার বাতিস্তম্ভটি এবং ধূপবেদী।
9 হোমবলির বেদী এবং বেদীতে ব্যবহৃত জিনিসপত্র।
হাত পা ধোয়ার পাত্র ও পাত্রের নীচের পায়া।
10 যাজক হারোণের জন্য বোনা বিশেষ পোশাক পরিচ্ছদ
এবং হারোণের পুত্ররা যখন যাজকের কাজ করবে তখন তাদের জন্য বোনা বিশেষ পোশাক পরিচ্ছদ।
11 সুগন্ধি অভিষেকের তেল,
পবিত্র স্থানে ব্যবহারের সুগন্ধি ধূপ।
আমি তোমাকে ঠিক যেভাবে নির্দেশ দিয়েছি ঠিক সেইভাবেই তাদের এই জিনিসগুলো তৈরী করতে হবে।”
বিশ্রামের দিন
12 প্রভু মোশিকে বললেন, 13 “ইস্রায়েলের লোকদের এই কথাগুলি বলো: তোমরা অবশ্যই আমার বিশ্রামের দিন বিধি অনুসারে পালন করবে। তোমরা এটা অবশ্যই করবে কারণ প্রজন্মের পর প্রজন্ম এটা তোমার এবং আমার মধ্যে একটি প্রতীক চিহ্ন হিসাবে বিরাজ করবে। এই চিহ্ন দেখাবে যে, আমিই প্রভু, তোমাদের পবিত্র করেছি।
14 “এই বিশ্রামের দিনকে একটি বিশেষ দিনের মর্যাদা দেবে। যদি কেউ এই বিশেষ বিশ্রামের দিনকে অন্য একটি সাধারণ দিনের মতো পালন করে তাহলে তাকে অবশ্যই হত্যা করতে হবে। যদি কেউ এই বিশ্রামের দিনেও কাজ করে, তাহলে তাকে তার লোকদের থেকে বিতাড়িত করতে হবে। 15 কাজ করার জন্য সপ্তাহের বাকি ছয় দিন নির্দিষ্ট থাকবে কিন্তু সপ্তম দিনটি হবে বিশেষ বিশ্রামের দিন। এই দিনটি তোলা থাকবে প্রভুর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের দিন হিসেবে। এই বিশেষ বিশ্রামের দিনে কেউ কাজ করলে তার মৃত্য়ু অনিবার্য। 16 বিশ্রামের দিনটিকে সর্বদা মনে রেখে ইস্রায়েলের মানুষ বিশেষ দিন হিসেবে পালন করবে। তারা সর্বদা এটা মেনে চলবে। এটা হল আমার ও তাদের মধ্যে এক চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত। 17 বিশ্রামের দিনটি একটি চিরস্থায়ী চিহ্ন হিসেবে বেঁচে থাকবে আমার ও ইস্রায়েলের লোকদের মধ্যে। প্রভু সপ্তাহের ছয় দিন পরিশ্রম করে এই স্বর্গ ও মর্ত্য তৈরী করেছেন। কিন্তু সপ্তম দিনে তিনি বিশ্রাম ও অবসরের মধ্যে কাটিয়েছেন।”
18 সীনয় পর্বতে এরপর প্রভু মোশির সঙ্গে কথোপকথন শেষ করলেন। তারপর তিনি বন্দোবস্ত লেখা দুটো সমান্তরাল পাথর ফলক মোশিকে দিলেন। ঈশ্বর নিজের হাতে ঐ দুই পাথর ফলকে লিখেছেন।
মেষপালক ও মেষপাল
10 যীশু বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি; যদি কেউ সদর দরজা দিয়ে মেষ খোঁয়াড়ে না ঢোকে এবং তার পরিবর্তে অন্য কোন ভাবে টপকে ঢোকে, তবে সে একজন চোর বা ডাকাত; 2 কিন্তু যে ব্যক্তি দরজা দিয়ে ঢোকে সে মেষপালক। 3 দারোয়ান তাকে দরজা খুলে দেয়, আর মেষরা তার কন্ঠস্বর শোনে। সে তার নিজের মেষগুলিকে নাম ধরে ডাকে আর তাদের বাইরে নিয়ে যায়। 4 সে যখন তার নিজের সব মেষদের বার করে নেয়, তখন সে তাদের আগে আগে চলে, আর মেষরা তার পেছনে পেছনে চলতে থাকে, কারণ তারা তার কন্ঠস্বর চেনে। 5 কিন্তু মেষরা যাকে জানে না এমন লোকের পেছনে যাবে না, বরং তারা তার থেকে দূরে পালিয়ে যাবে, কারণ তারা অচেনা লোকের কন্ঠস্বর চেনে না।”
6 যীশু তাদের এই দৃষ্টান্তটি বললেন; কিন্তু তিনি যে কি বলতে চাইছেন তা তারা বুঝতে পারল না।
যীশুই উত্তম মেষপালক
7 তখন যীশু আবার তাদের বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি; আমি মেষদের জন্য খোঁয়াড়ের দরজা স্বরূপ। 8 যারা আমার আগে এসেছে তারা সব চোর ডাকাত, কিন্তু মেষরা তাদের ডাক শোনে নি। 9 আমিই দরজা। যদি কেউ আমার মধ্য দিয়ে ঢোকে তবে সে রক্ষা পাবে। সে ভেতরে আসবে এবং বাইরে গেলে তার চারণভূমি পাবে। 10 চোর কেবল চুরি, খুন ও ধ্বংস করতে আসে। আমি এসেছি, যাতে লোকেরা জীবন লাভ করে, আর যেন তা পরিপূর্ণ ভাবেই লাভ করে।”
11 “আমিই উত্তম মেষপালক। উত্তম পালক মেষদের জন্য তার জীবন সমর্পণ করে। 12 কোন বেতনভূক কর্মচারী প্রকৃত মেষপালক নয়। মেষরা তার নিজের নয়, তাই সে যখন নেকড়ে বাঘ আসতে দেখে তখন মেষদের ফেলে রেখে পালায়। আর নেকড়ে বাঘ তাদের আক্রমণ করে এবং তারা ছড়িয়ে পড়ে। 13 বেতনভূক কর্মচারী পালায়, কারণ বেতনের বিনিময়ে সে কাজ করে, মেষদের জন্য তার কোন চিন্তাই নেই।
14-15 “আমিই উত্তম পালক। আমি আমার মেষদের জানি আর আমার মেষরা আমায় জানে। ঠিক যেমন আমার পিতা আমাকে জানেন, আমিও আমার পিতাকে জানি; আর আমি মেষদের জন্য আমার জীবন সঁপে দিই। 16 আমার এমন আরো অনেক মেষ আছে যারা এই খোঁয়াড়ের নয়। আমি অবশ্যই তাদেরও আনব, তারাও আমার কথা শুনবে আর তারা তখন সকলে এক পাল হবে আর তাদের পালকও হবেন একজন। 17 এই কারণেই পিতা আমায় ভালবাসেন, কারণ আমি আমার প্রাণ দান করি যেন আবার তা পেতে পারি। 18 কেউ আমার কাছ থেকে তা হরণ করে নিতে পারবে না, বরং আমি তা স্ব-ইচ্ছাতেই করছি। এটা দান করার অধিকার আমার আছে এবং আবার তা ফিরে পাওয়ার অধিকারও আমার আছে। আমার পিতার কাছ থেকেই আমি এইসব শুনেছি।”
19 এইসব কথার কারণে জনগণের মধ্যে এ নিয়ে মতবিরোধ হল। 20 তাদের মধ্যে অনেকে বলল, “ওকে ভূতে পেয়েছে, ও পাগল। ওর কথা কেন শুনছ?”
21 আবার অন্যরা বলল, “যাদের ভূতে পায় তারা তো এমন কথা বলে না। ভূত নিশ্চয়ই অন্ধকে দৃষ্টিশক্তি দান করতে পারে না, পারে কি?”
ইহুদীরা যীশুর বিরুদ্ধে গেল
22 এরপর জেরুশালেমে প্রতিষ্ঠার পর্ব[a] এল, তখন ছিল শীতকাল। 23 যীশু মন্দির চত্বরে শলোমনের বারান্দাতে পায়চারি করছিলেন। 24 কিছু ইহুদী তাঁর চারপাশে জড়ো হয়ে তাঁকে বলল, “তুমি আর কতকাল আমাদের অনিশ্চয়তার মধ্যে রাখবে? তুমি যদি মশীহ হও তাহলে আমাদের স্পষ্ট করে বল।”
25 এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, “আমি তোমাদের ইতিমধ্যেই বলেছি, আর তোমরা তা বিশ্বাস করছ না। আমি আমার পিতার নামে যে সব অলৌকিক কাজ করি সেগুলিই আমার বিষয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছে। 26 কিন্তু তোমরা বিশ্বাস করো না, কারণ তোমরা আমার পালের মেষ নও। 27 আমার মেষরা আমার কন্ঠস্বর শোনে। আমি তাদের জানি, আর তারা আমার অনুসরণ করে। 28 আমি তাদের অনন্ত জীবন দিই, আর তারা কখনও বিনষ্ট হয় না, আমার হাত থেকে কেউ তাদের কেড়ে নিতেও পারবে না। 29 আমার পিতা, যিনি তাদেরকে আমায় দিয়েছেন, তিনি সবার ও সবকিছু থেকে মহান,[b] আর কেউ পিতার হাত থেকে কিছুই কেড়ে নিতে পারবে না। 30 আমি ও পিতা, আমরা এক।”
31 ইহুদীরা তাঁকে মারবার জন্য আবার পাথর তুলল। 32 যীশু তাদের বললেন, “পিতার শক্তিতে আমি অনেক ভাল কাজ করেছি, তার মধ্যে কোন্ কাজটার জন্য তোমরা পাথর মারতে চাইছ?”
33 ইহুদীরা এর উত্তরে তাঁকে বলল, “তুমি যে সব ভাল কাজ করেছ, তার জন্য আমরা তোমায় পাথর মারতে চাইছি না। কিন্তু আমরা তোমাকে পাথর মারতে চাইছি এই জন্য যে, তুমি ঈশ্বর নিন্দা করেছ। তুমি একজন মানুষ, অথচ নিজেকে ঈশ্বর বলে দাবী করছ।”
34 যীশু তাদের বললেন, “তোমাদের বিধি-ব্যবস্থায় কি একথা লেখা নেই যে, ‘আমি বলেছি তোমরা ঈশ্বর?’(A) 35 শাস্ত্রে তাদেরই ঈশ্বর বলেছিল যাদের কাছে ঈশ্বরের বাণী এসেছিল। আর শাস্ত্র সব সময়ই সত্য। 36 আমিই সেই ব্যক্তি, পিতা যাঁকে মনোনীত করে জগতে পাঠালেন। আমি বলেছি, ‘আমি ঈশ্বরের পুত্র।’ তবে তোমরা কেন বলছ যে আমি ঈশ্বর নিন্দা করছি? 37 আমি যদি আমার পিতার কাজ না করি, তাহলে আমায় বিশ্বাস করো না। 38 কিন্তু আমি যখন সেইসব কাজ করছি তখনও যদি তোমরা আমাকে বিশ্বাস না করো, তাহলে সেই সব কাজকে বিশ্বাস কর। তাহলে তোমরা জানতে পারবে ও বুঝতে পারবে যে পিতা আমাতে আছেন আর আমি পিতার মধ্যে আছি।”
39 এরপর তারা আবার তাঁকে গ্রেপ্তার করতে চেষ্টা করল, কিন্তু তিনি তাদের হাত এড়িয়ে চলে গেলেন।
40 যর্দনের অপর পারে যেখানে যোহন বাপ্তাইজ করছিলেন, যীশু সেখানে আবার গেলেন ও সেখানে থাকলেন। 41 বহুলোক তাঁর কাছে আসতে থাকল, আর তারা বলাবলি করতে লাগল, “যোহন কোন অলৌকিক কাজ করেন নি বটে; কিন্তু এই মানুষটির বিষয়ে যোহন যা বলেছেন, সে সবই সত্য।” 42 আর সেখানে অনেকেই যীশুর ওপর বিশ্বাস করল।
প্রজ্ঞা তোমাকে ব্যভিচার থেকে রক্ষা করবে
7 পুত্র আমার, আমার কথাগুলো মনে রেখো। আমার আদেশ ভুলো না। 2 তুমি যদি আমার আদেশ পালন কর তুমি বাঁচবে। আমার এই শিক্ষামালা যেন তোমার জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে ওঠে। 3 আমার শিক্ষা এবং আদেশ সর্বদা মনে রেখো। আমার শিক্ষামালা তোমার আঙুলের চারপাশে বেঁধে রাখো। তোমার হৃদয়ে খচিত করে রাখো। 4 প্রজ্ঞাকে তোমার প্রেমিক[a] হিসেবে বিবেচনা করো এবং বোধকে তোমার সব চেয়ে ভাল বন্ধু বলে বিবেচনা করবে। 5 তাহলে প্রজ্ঞা এবং বোধ তোমাকে “পরস্ত্রী” থেকে রক্ষা করবে। প্রজ্ঞা তোমাকে সেই ব্যভিচারিণীর হাত থেকেও রক্ষা করবে যে মধুর বাক্য বলে।
6 এক দিন আমি আমার জানালার বাইরে বহু নির্বোধ যুবককে দেখতে পেলাম। 7 ঐ যুবকদের মধ্যে এক বুদ্ধিহীন যুবকও আমার নজরে পড়লো। 8 সে এক কু-রমণীর বাড়িতে গেল। সে ঐ রমণীর বাড়ির সামনে দিয়ে হাঁটতে লাগল। 9 তখন সূর্য অস্ত যাচ্ছে। অন্ধকার নেমে আসছে। রাত শুরু হচ্ছিল। 10 ঐ রমণী যুবকের সঙ্গে দেখা করতে বাড়ির বাইরে এল। তার সাজসজ্জা বারবণিতার মতো। সে ঐ যুবকের সঙ্গে সারা রাত কাটানোর পরিকল্পনা করেছিল। 11 সে ছিল একজন বিদ্রোহীসুলভ, অমার্জিত নারী। সে কখনও ঘরে থাকতে ভালবাসত না! 12 সে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে লাগল। সে রাস্তার প্রতিটি বাঁকে অপেক্ষা করছিল। 13 সে ঐ যুবককে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করল। সেই লজ্জাহীন ঐ যুবকের চোখের দিকে তাকিয়ে বলল, 14 “আমাকে আজ মঙ্গলার্থক বিসর্জন দিতে হয়েছে। আমি আমার মানত পূর্ণ করেছি। 15 বাড়ীতে আমার কাছে এখনও অমাবস্যার নৈবেদ্যর খাবার প্রচুর পরিমাণে পড়ে রয়েছে। তাই তোমাকে সেখানে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। অনেক খোঁজাখুঁজি এবং প্রতীক্ষার পর অবশেষে তোমাকে পেলাম! 16 আমি আমার শয্যায় নতুন চাদর পেতেছি। মিশরীয় সেই সূতীর বিছানার চাদরগুলি খুব সুন্দর। 17 আমি আমার শয্যার ওপর মস্তকি, ঘৃতকুমারী ও দারুচিনির সুগন্ধি ছড়িয়েছি! 18 এস, আমরা সারারাত ধরে যৌনক্রীড়ায় মত্ত হই। আমরা সকাল পর্যন্ত প্রণয়জ্ঞাপন করব। 19 আমার স্বামী ঘরে নেই। তিনি বাণিজ্য করতে দূরে যাত্রা করেছেন। 20 তিনি প্রচুর অর্থ সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছেন। বহুদিন ঘরে ফিরবেন না। আগামী পূর্ণিমার আগে তাঁর ফেরার সম্ভাবনা নেই।”
21 ঐ ব্যভিচারিণী যুবকটিকে প্রলুদ্ধ করবার চেষ্টা করছিল। তার মনোরম মধুর বচনে যুবকটি বিপথগামী হল। 22 এবং নির্বোধ যুবকটি ঐ ব্যাভিচারিণীর ফাঁদে পা দিল। গরু যে ভাবে কসাইখানার দিকে পা বাড়ায়, হরিণ যেমন ব্যাধের পেতে রাখা ফাঁদের দিকে এগিয়ে যায়, সেই ভাবে সে ঐ পরস্ত্রীর দিকে এগিয়ে গেল। 23 ঐ যুবকটি ছিল একজন শিকারীর তীরবিদ্ধ হরিণের মত। সে ছিল জালের দিকে উড়ে যাওয়া একটি পাখীর মত। তার পরিণাম যে তার জীবনহানি ঘটাবে এ কথা ঐ যুবকটি ভাবতেও পারে নি।
24 প্রিয় পুত্রগণ, আমার কথা শোন। আমার কথাগুলো মন দিয়ে শোন। 25 কোন পাপীয়সী রমণীর মোহজালে আবদ্ধ হয়ো না। তার পথ অনুসরণ কোরো না। 26 সে অগুনতি মানুষের পতন ঘটিয়েছে। সে অসংখ্য মানুষকে ধ্বংস করেছে। 27 তার গৃহ সাক্ষাৎ মৃত্যুপুরী। তার জীবনযাপনের পদ্ধতি মানুষকে সরাসরি মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়।
একে অপরকে সাহায্য করো
6 আমার ভাই ও বোনেরা, তোমাদের মধ্যে কেউ যদি হঠাৎ পাপে পড়ে তবে তোমরা যাঁরা আত্মিক ভাবাপন্ন তারা অবশ্যই তাকে ঠিক পথে আনতে সাহায্য করবে। একাজ অত্যন্ত নম্রভাবে করতে হবে; কিন্তু তোমরা নিজেরাও সাবধানে থেকো, পাছে তোমরাও পরীক্ষায় পড়। 2 তোমরা একে অপরের ভার বহন কর, এই রকম করলে বাস্তবে খ্রীষ্টের বিধি-ব্যবস্থাই পালন করবে। 3 কোন ব্যক্তি যদি প্রকৃতপক্ষে ভাল না হয়েও নিজেকে অন্যদের থেকে ভাল মনে করে তাহলে সে নিজেকে প্রতারণা করছে। 4 অপর লোকের সঙ্গে নিজের তুলনা না করে প্রত্যেকের উচিত নিজের কাজ যাচাই করে দেখা, তবে সে যা করছে তাই নিয়ে গর্ব করতে পারবে। 5 কারণ প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার নিজের দায়িত্ব নিতে হবে।
যেমন বুনবে তেমন কাটবে
6 যে ব্যক্তি শিক্ষকের কাছ থেকে ঈশ্বরের বার্তার বিষয়ে শিক্ষা লাভ করে, তার উচিত সেই শিক্ষককে তার সমস্ত উত্তম বিষয়ের সহভাগী করে প্রতিদান দেওয়া। কারণ প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার নিজের দায়িত্ব নিতে হবে।
7 তোমরা নিজেদের বোকা বানিও না। ঈশ্বরকে ঠকানো যায় না। যেমন বুনবে, তেমন কাটবে। 8 যে নিজ পাপ প্রকৃতির বীজ রোপন করে সে তার থেকে সংগ্রহ করবে। কিন্তু যে পবিত্র আত্মার বীজ বুনবে সে পবিত্র আত্মার কাছ থেকে অনন্ত জীবন পাবে। 9 ভাল কাজ করতে করতে আমরা যেন ক্লান্ত না হয়ে পড়ি, কারণ নিরুপিত সময়ে আমরা ফসল রূপে অনন্ত জীবন পাব। হাল ছাড়লে চলবে না। 10 সুযোগ পেলে আমাদের সব লোকের প্রতি ভাল কাজ করা উচিত, বিশেষ করে বিশ্বাসীর গৃহের পরিজনদের প্রতি।
পৌলের চিঠির শেষ কথা
11 দেখ কত বড় বড় অক্ষরে নিজের হাতে আমি এই চূড়ান্ত কথাগুলি লিখছি। 12 যারা তোমাদের সুন্নত করার চেষ্টায় আছে তাদের উদ্দেশ্য অন্যদের কাছে নাম কেনার। তারা এটা করে যাতে খ্রীষ্টের ক্রুশের জন্য তারা অত্যাচারিত না হয়। 13 যারা সুন্নত করেছে তারা নিজেরাও বিধি-ব্যবস্থা ঠিক মতো পালন করে না অথচ তারাই তোমাদের সুন্নত করাতে চাইছে; উদ্দেশ্য, তোমাদের সুন্নত করানোর মাধ্যমে বশ করতে পারলে এই কাজ নিয়ে তারা গর্ব করার সুযোগ পাবে।
14 শুধু আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ক্রুশ ছাড়া আমার গর্ব করার মতো কিছুই নেই। যীশুর ক্রুশীয় মৃত্যুর দ্বারা আমি জগতের কাছে ক্রুশবিদ্ধ আর জগত আমার কাছে ক্রুশবিদ্ধ। 15 কারো সুন্নত করা হল কি হল না সেটা বড় বিষয় নয় কিন্তু এটা জরুরী যে এক নতুন সৃষ্টি হোক্।[a] 16 ঈশ্বরের লোকেরা যারাই এই নিয়ম মানে তাদের ওপর শান্তি ও দয়া বর্ষিত হোক্।
17 চিঠি লেখা শেষ করার আগে আমার অনুরোধ, যেন কেউ আর আমাকে কষ্ট না দেয়, কারণ ইতিমধ্যেই আমি আমার দেহে খ্রীষ্টের ক্ষত চিহ্ন বহন করছি।
18 আমার ভাই ও বোনেরা, আমি প্রার্থনা করি যে প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ তোমাদের আত্মার মধ্যে বিরাজ করুক। আমেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International