M’Cheyne Bible Reading Plan
যাজকের পোশাক
28 প্রভু মোশিকে বললেন, “তোমার ভাই হারোণ ও তার পুত্রগণ নাদব, অবীহূ, ইলীয়াসর এবং ঈথামরকে তোমার কাছে আসতে বলো। তারাই যাজকরূপে ইস্রায়েলের লোকদের হয়ে আমাকে সেবা করবে।
2 “তোমার ভাই হারোণের জন্য একটি বিশেষ ধরণের পোশাক বানাবে। ঐ পোশাক হারোণকে বিশেষ সম্মান ও গৌরব প্রদান করবে। 3 কয়েকজন দক্ষ দর্জি সেই পোশাক তৈরী করবে। আমি সেই দর্জিদের বিশেষ জ্ঞান ও দক্ষতা প্রদান করেছি। সেই দর্জিদের বলো হারোণের জন্য বিশেষ পোশাক তৈরী করতে। এই পোশাকই প্রমাণ করবে সেই যাজক আমাকে বিশেষ ভাবে সেবা করছে। তখন সে আমাকে যাজকের মতোই সেবা করবে। 4 তাদের যে পোশাকগুলি বানাতে হবে তা হল এই: একটি বক্ষাবরণ, একটি এফোদ, একটি নীল রঙের পরিচ্ছদ এবং একটি সাদা বোনা বস্ত্র, একটি পাগড়ি এবং একটি কোমর বন্ধনী। এই বিশেষ পোশাক পরিচ্ছদগুলি বানানো হবে হারোণ ও তার পুত্রদের জন্য। এই পোশাক পরার পরেই ওরা আমায় যাজক হিসেবে সেবা করতে পারবে। 5 পোশাকগুলিতে ব্যবহার হবে সোনার জরি, মসৃণ মসীনা এবং লাল, নীল, বেগুনী সুতো।
এফোদ এবং কোমর বন্ধনী
6 “এফোদ বানাতে সোনার জরি, মসৃণ শনের কাপড় ও লাল, নীল, বেগুনী সুতো ব্যবহার করবে। দক্ষতার সঙ্গে অতি যত্নে তা তৈরী করতে হবে। 7 এফোদের প্রতিটি কাঁধে একটি করে কাঁধ পট্টি থাকবে। এফোদের দুই কোণার সঙ্গে কাঁধ পট্টি সংযুক্ত হবে।
8 “এফোদের জন্য কোমর বন্ধনী তৈরীর সময় দর্জীদের সতর্ক থাকতে হবে। এফোদের মতো কোমর বন্ধনীতেও সোনার জরি, মসৃণ শণের কাপড় ও লাল, নীল, বেগুনী সুতো ব্যবহার করা হবে।
9 “দুটো গোমেদমনি নাও এবং তার ওপর ইস্রায়েলের পুত্রদের নাম খোদাই কর। 10 ছয় জনের নাম এক মণিতে ও অন্য ছয় জনের নাম অপর মণিতে খোদাই করবে। নাম খোদাই করার সময় বয়স অনুযায়ীবড় থেকে ছোট এইভাবে পর পর সাজাবে। 11 শীলমোহরের মতো নামগুলো খোদাই করে সোনা দিয়ে বাঁধিযে নেবে। 12 এবারে ঐ দুটি মণি এফোদের দুই কাঁধে লাগাবে। হারোণ যখন প্রভুর সামনে দাঁড়াবে তখন সে ইস্রায়েলের পুত্রদের নামের স্মারক হিসেবে ঐ বিশেষ আচ্ছাদনটি পরবে। 13 এফোদের দুই কাঁধে যাতে খোদাই করা মণি দুটি সঠিকভাবে আটকে থাকে তার জন্য খাঁটি সোনা ব্যবহার করবে। 14 খাঁটি সোনার দুটি শিকল তৈরী কর, প্রত্যেকটি দড়ির মত পাকানো এবং তাদের ঐ মণি দুটির সঙ্গে আটকে দাও।
বক্ষাবরণ
15 “মহাযাজকের জন্য বক্ষাবরণ তৈরী করবে। দক্ষ দর্জিরা এফোদের মতোই যত্ন করে বক্ষাবরণ তৈরী করবে। বক্ষাবরণ তৈরী হবে সোনার জরি, মসৃণ মসীনা কাপড় ও লাল, নীল, বেগুনী সুতো দিয়ে। 16 বক্ষাবরণটিকে চারকোণা করবার জন্য অবশ্যই দুবার ভাঁজ করতে হবে। এর দৈর্ঘ্য হবে 1 বিঘৎ ও প্রস্থ হবে 1 বিঘৎ। 17 বক্ষাবরণে চার সারিতে মণিমানিক্য বসাও। প্রথম সারিতে থাকবে চূনী, পীতমণি ও মরকত। 18 দ্বিতীয় সারিতে থাকবে পদ্মরাগ, নীলকান্ত ও পান্না। 19 তৃতীয় সারিতে থাকবে পোখরাজ, যিস্ম ও কটাহেলা। 20 চতুর্থ সারিতে থাকবে বৈদুর্য্য, গোমেদ ও সূর্য্যকান্ত মণি। এই মণিগুলি নিজের নিজের সারিতে সোনায় আঁটা থাকবে। 21 বারোটি মণির ওপর ইস্রায়েলের সন্তানদের নাম আলাদা আলাদা করে খোদাই থাকবে। সীলমোহরের মতো ঐ মণিগুলিতে বারোজনের নাম খোদাই করা থাকবে।
22 “বক্ষাবরণের ওপরের অংশটির জন্য খাঁটি সোনা দিয়ে প্রত্যেকটিকে দড়ির মত পাকিয়ে শেকল তৈরী কর। 23 দুটো সোনার আংটা লাগানো থাকবে বক্ষাবরণের দুই কোণে। 24 দুটো সোনার চেন বক্ষাবরণের দুপাশের আংটায় লাগাবে। 25 পাকানো শেকল দুটির অন্য প্রান্ত এফোদের কাঁধের পট্টিগুলোর সঙ্গে অবশ্যই সামনে দিয়ে জোড়া থাকবে। 26 আরও দুটো সোনার আংটা বানিয়ে বক্ষাবরণের অন্য দুই প্রান্তে লাগাবে। এফোদের পরে বক্ষাবরণের ভিতর ভাগে এই আংটা থাকবে। 27 আরও দুটো সোনার আংটা এফোদের সামনের দিকে কাঁধের পট্টির নীচে লাগাবে। এফোদের কোমর বন্ধনীর ওপরে এই আংটা স্থাপন করতে হবে। 28 বক্ষাবরণ থেকে এফোদ যাতে খসে পড়ে না যায় তার জন্য বক্ষাবরণের আংটার সঙ্গে এফোদের আংটা নীল রঙের ফিতে দিয়ে বেঁধে নেবে। এইভাবে বক্ষাবরণ কোমর বন্ধনীর কাছাকাছি থেকে এফোদকেও ধরে রাখতে সক্ষম হবে।
29 “হারোণ পবিত্র স্থানে প্রবেশ করলে তাকে বক্ষাবরণ পরতেই হবে। এইভাবে যখন সে প্রভুর সামনে দাঁড়াবে তখন সে তার বক্ষের ওপর স্মারক হিসেবে ইস্রায়েলের বারোজন সন্তানের নাম পরে থাকবে। 30 আর সেই বক্ষাবরণের অভ্যন্তরে উরীম ও তূম্মীম রাখবে। প্রভুর সামনে গেলে সর্বদা সেগুলি হারোণের হৃদয়ের ওপর থাকবে। এইভাবে হারোণ প্রভুর সামনে ইস্রায়েলের সন্তানদের বিচার প্রতিনিয়ত নিজের হৃদয়ের ওপর বয়ে নিয়ে বেড়াবে।
যাজকদের অন্যান্য পোশাক
31 “এফোদের জন্য একটি সম্পূর্ণরূপে নীল রঙের আলখাল্লা তৈরী করবে। 32 আলখাল্লার মাঝখান দিয়ে মাথা ঢোকানোর জন্য একটি ছিদ্র করবে এবং এই ছিদ্রটির চারধার জুড়ে একটি বোনা কাপড়ের টুকরো সেলাই করে দাও যাতে এটি ছিঁড়ে না যায়। এই কাপড় ছিদ্রটির চারদিকে গলাবন্ধনীর কাজ করবে, ফলে তা ছিঁড়ে যাবে না। 33 লাল, নীল, বেগুনী সুতো দিয়ে ডালিমের মতো সুতোর গোলা তৈরী কর এবং আলখাল্লার নীচে ঝুলিয়ে দেবে আর সুতোর বলের মাঝখানে সোনার ছোট ছোট ঘন্টা লাগাবে। 34 পুরো আলখাল্লার নীচের চারিদিকে এই রকম একটা করে সুতোর গোলা ও একটা করে সোনার ঘন্টা লাগানো হবে। 35 যাজকরূপে প্রভুকে সেবা করার সময় হারোণ এই আলখাল্লাটি পরবে। প্রভুর সামনে দাঁড়ানোর জন্য হারোণ পবিত্র স্থানের দিকে এগোলে ঐ ঘন্টাগুলি বাজবে এবং পবিত্র স্থান ছেড়ে বাইরে আসবার সময়ও ঘন্টাগুলি বাজবে। এইভাবে হারোণ কখনও মারা যাবে না।
36 “নির্মল সোনার ফলক বানিয়ে তাতে শীলমোহরের মতো জনগণের উদ্দেশ্যে খোদাই করবে এই কথাগুলি: এটি প্রভুর কাছে উৎসর্গীকৃত। 37 সোনার ফলকটিকে নীল ফিতেতে আবদ্ধ করবে। পাগড়ির ওপর চারিদিকে নীল ফিতে বাঁধা থাকবে। পাগড়ির সামনের দিকে থাকবে সোনার ফলকটি। 38 হারোণ পাগড়ি সমেত ঐ সোনার ফলকটি মাথায় পরবে। আর তা সবসময় হারোণের মাথায় থাকবে। তার ফলে ইস্রায়েলের লোকরা প্রভুকে যে সমস্ত উপঢৌকন দেবে হারোণ তা দোষ মুক্ত করে সব কিছু পবিত্র করে তুলবে যাতে সেই সমস্ত উপঢৌকন প্রভু গ্রহণ করতে পারেন।
39 “মসৃণ সাদা মসীনা সুতো দিয়ে আরও একটা আলখাল্লা বুনবে। পাগড়িও বানাবে মসৃণ মসীনা কাপড়ের। চিহ্নিত কোমর বন্ধনী বানাবে। 40 হারোণের পুত্রদের জন্যও গায়ের পোশাক, কোমর বন্ধনী ও পাগড়ি বানাবে। এই পোশাকই তাদের গৌরবান্বিত ও সম্মানিত করবে। 41 এই পোশাকগুলি তোমার ভাই হারোণ ও তার পুত্রদের পরাবে। যাজক হিসেবে অভিষেকের জন্য তাদের গায়ে বিশেষ সুগন্ধি তেল ছেটাবে। এইভাবে তারা পবিত্র হবে এবং প্রভুর সেবা করার যোগ্য যাজক হয়ে উঠবে।
42 “যাজকদের নগ্নতা ঢাকার জন্য শরীরের ভেতরের পোশাক মসৃণ মসীনা কাপড়ে তৈরী হবে। এই ভেতরের পোশাক তাদের জঙ্ঘা থেকে কোমর পর্যন্ত ঢেকে রাখবে। 43 সমাগম তাঁবুতে প্রবেশের সময় হারোণ ও তার পুত্রদের অবশ্যই এই পোশাকগুলি পরাতে হবে। পবিত্র স্থানে প্রভুর সেবার উদ্দেশ্যে বেদীর কাছে আসতে হলে তাদের এই পোশাক পরতে হবে। তারা যদি এই পোশাক না পরে তাহলে তাদের মরতে হবে কারণ তারা অপরাধী। এই পোশাক পরার বিধি হারোণ ও তার পরবর্তী বংশধরদের চিরস্থায়ীভাবে মেনে চলতেই হবে।”
যীশু ও তাঁর ভাইরা
7 এরপর যীশু গালীলের চারদিকে ভ্রমণ করছিলেন। তিনি যিহূদিয়ায় ভ্রমণ করতে চাইলেন না, কারণ ইহুদীরা তাঁকে খুন করবার সুযোগ খুঁজছিল। 2 এই সময় ইহুদীদের কুটিরবাস পর্ব[a] এগিয়ে আসছিল। 3 তখন তাঁর ভাইরা তাঁকে বলল, “তুমি এই জায়গা ছেড়ে যিহূদিয়াতে ঐ উৎসবে যাও যাতে তুমি যে সব অলৌকিক কাজ করছ তা তোমার শিষ্যরাও দেখতে পায়। 4 কারণ কেউ যদি প্রকাশ্যে নিজেকে তুলে ধরতে চায় তবে সে নিশ্চয়ই তার কাজ গোপন করবে না। তুমি যখন এত সব মহত্ কাজ করছ তখন নিজেকে জগতের কাছে প্রকাশ কর। যেন সবাই তা দেখতে পায়।” 5 তাঁর ভাইরাও তাঁকে বিশ্বাস করত না।
6 যীশু তাঁর ভাইদের বললেন, “আমার নিরূপিত সময় এখনও আসে নি; কিন্তু তোমাদের যাওয়ার জন্য যে কোন সময় সঠিক, এখনই তোমরা যেতে পার। 7 জগত সংসার তোমাদের ঘৃণা করতে পারে না, কিন্তু আমাকে ঘৃণা করে। কারণ পৃথিবীর লোকেরা, যারা মন্দ কাজ করে, সেই সব লোকদের বিরুদ্ধে আমি সাক্ষ্য দিই। 8 তোমরা পর্বে যাও, আমি এখন এই উৎসবে যাচ্ছি না, কারণ আমার নিরূপিত সময় এখনও আসে নি।” 9 এই কথা বলার পর তিনি গালীলেই রয়ে গেলেন।
10 তাঁর ভাইরা উৎসবে চলে গেল। পরে তিনিও সেখানে গেলেন, কিন্তু তিনি প্রকাশ্যে সেই পর্বে না গিয়ে গোপনে সেখানে গেলেন। 11 ইহুদী নেতারা উৎসবে এসে তাঁর খোঁজ করতে লাগল। তারা বলাবলি করতে লাগল, “সেই লোকটা গেল কোথায়?”
12 আর জনতার মধ্যে তাঁকে নিয়ে নানা রকম গুজব ছড়াতে লাগল। কেউ কেউ বলল, “আরে তিনি খুব ভালো লোক।” কিন্তু আবার অন্যরা বলল, “না, না, ও লোকদের ঠকাচ্ছে।” 13 কিন্তু ইহুদী নেতাদের ভয়ে তাঁর বিষয়ে প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলতে চাইল না।
জেরুশালেমে যীশুর শিক্ষা
14 পর্বের আধা-আধি সময়ে যীশু মন্দিরে গিয়ে লোকদের মাঝে শিক্ষা দিতে লাগলেন। 15 ইহুদীরা এতে খুব আশ্চর্য হয়ে বলল, “এই লোক কোন কিছু অধ্যয়ন না করেই কিভাবে এত সব জ্ঞান লাভ করল?”
16 এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, “আমি যা শিক্ষা দিই তা আমার নিজস্ব নয়। যিনি আমায় পাঠিয়েছেন এসব সেই ঈশ্বরের কাছ থেকে পাওয়া। 17 যদি কেউ ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করতে চায় তাহলে সে জানবে আমি যা শিক্ষা দিই তা ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছে, না আমি নিজের থেকে এসব কথা বলছি। 18 যদি কেউ নিজের ভাবনার কথা নিজে বলে, তাহলে সে নিজেই নিজেকে সম্মানিত করতে চায়; কিন্তু যে তার প্রেরণ কর্তার গৌরব চায়, সেই লোক সত্যবাদী, তার মধ্যে কোন অসাধুতা নেই। 19 মোশি কি তোমাদের কাছে বিধি-ব্যবস্থা দেন নি? কিন্তু তোমরা কেউই সেই বিধি-ব্যবস্থা পালন কর না। তোমরা কেন আমাকে হত্যা করতে চাইছ?”
20 জনতা উত্তর দিল, “তোমাকে ভূতে পেয়েছে, কে তোমাকে হত্যা করতে চাইছে?”
21 এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, “আমি একটা অলৌকিক কাজ করেছি, আর তোমরা সকলে আশ্চর্য হয়ে গেছ। 22 মোশিও তোমাদের সুন্নতের বিধি-ব্যবস্থা দিয়েছিলেন। যদিও মুলতঃ সেই বিধি-ব্যবস্থা মোশির নয় কিন্তু এই বিধি-ব্যবস্থা প্রাচীন পিতৃপুরুষদের কাছ থেকে এসেছে। আর তোমরা বিশ্রামবারেও শিশুদের সুন্নত করে থাকো। 23 মোশির বিধি-ব্যবস্থা যেন লঙ্ঘন করা না হয়, এই যুক্তিতে বিশ্রামবারেও যদি কোন মানুষের সুন্নত করা চলে, তাহলে আমি বিশ্রামবারে একটা মানুষকে সম্পূর্ণ সুস্থ করেছি বলে তোমরা আমার ওপর এত ক্রুদ্ধ হয়েছ কেন? 24 বাহ্যিকভাবে কোন কিছু দেখেই তার বিচার করো না। যা সঠিক সেই হিসাবেই ন্যায় বিচার কর।”
লোকেরা সংশয়গ্রস্ত যীশুই কি খ্রীষ্ট?
25 তখন জেরুশালেমের লোকেদের মধ্যে কেউ কেউ বলল, “এই লোককেই না ইহুদী নেতারা হত্যা করতে চাইছে? 26 কিন্তু দেখ! এ তো প্রকাশ্যেই শিক্ষা দিচ্ছে; কিন্তু তারা তো এঁকে কিছুই বলছে না। এটা কি হতে পারে যে নেতারা সত্যিই জানে যে, ইনি সেই খ্রীষ্ট? 27 আমরা জানি ইনি কোথা থেকে এসেছেন; কিন্তু মশীহ যখন আসবেন তখন কেউ জানবে না তিনি কোথা থেকে এসেছেন।”
28 তখন যীশু মন্দিরে শিক্ষা দিতে দিতে বেশ চেঁচিয়ে বললেন, “তোমরা আমায় জান, আর আমি কোথা থেকে এসেছি তাও তোমরা জান। তবু বলছি, আমি নিজের থেকে আসি নি, তবে যিনি আমায় পাঠিয়েছেন তিনি সত্য; আর তোমরা তাঁকে জান না। 29 কিন্তু আমি তাঁকে জানি, কারণ তিনি আমায় পাঠিয়েছেন। আমি তাঁরই কাছ থেকে এসেছি।”
30 তখন তারা তাঁকে গ্রেপ্তার করার জন্য চেষ্টা করতে লাগল। তবু কেউ তাঁর গায়ে হাত দিতে সাহস করল না, কারণ তখনও তার সময় আসে নি। 31 কিন্তু সেই জনতার মধ্যে থেকে অনেকেই তাঁর ওপর বিশ্বাস করল; আর বলল, “মশীহ এসে কি তাঁর চেয়েও বেশী অলৌকিক চিহ্ন করবেন?”
ইহুদীরা যীশুকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করল
32 ফরীশীরা শুনল যে সাধারণ লোক যীশুর বিষয়ে চুপি চুপি এইসব আলোচনা করছে। তখন প্রধান যাজকরা ও ফরীশীরা যীশুকে ধরে আনবার জন্য মন্দিরের কয়েকজন পদাতিককে পাঠাল। 33 তখন যীশু বললেন, “আমি আর অল্প কিছুকাল তোমাদের সঙ্গে আছি; তারপর যিনি আমায় পাঠিয়েছেন তাঁর কাছে ফিরে যাব। 34 তোমরা আমার খোঁজ করবে, কিন্তু আমার খোঁজ পাবে না, কারণ আমি যেখানে থাকব তোমরা সেখানে আসতে পারো না।”
35 ইহুদী নেতারা তখন পরস্পর বলাবলি করতে লাগল, “সে এমন কোথায় যাবে যে আমরা ওকে খুঁজলেও পাব না? গ্রীকদের শহরে যে সব ইহুদীরা বসবাস করছে, ও কি তাদের কাছে যাবে আর সেখানে গিয়ে গ্রীকদেব কাছে শিক্ষা দেবে? নিশ্চয়ই নয়। 36 ও যে কথা বলল তার মানে কি যে, ‘তোমরা আমার খোঁজ করবে কিন্তু আমায় পাবে না?’ আর ‘আমি যেখানে যাব, তোমরা সেখানে আসতে পার না?’”
যীশু পবিত্র আত্মার বিষয়ে বললেন
37 পর্বের শেষ দিন, যে দিনটি বিশেষ দিন, সেই দিন যীশু উঠে দাঁড়িয়ে চেঁচিয়ে বললেন, “কারোর যদি পিপাসা পেয়ে থাকে তবে সে আমার কাছে এসে পান করুক। 38 শাস্ত্রে এ কথা বলে, যে আমার ওপর বিশ্বাস করে তার অন্তর থেকে জীবন্ত জলের নদী বইবে।” 39 যীশু পবিত্র আত্মা সম্পর্কে এই কথা বললেন, “সেই পবিত্র আত্মা তখনও দেওয়া হয় নি, কারণ যীশু তখনও মহিমান্বিত হন নি; কিন্তু পরে যারা যীশুকে বিশ্বাস করে তারা সেই আত্মা পাবে।”
যীশুকে নিয়ে লোকদের মধ্যে তর্ক
40 সমবেত জনতা যখন এই কথা শুনল তখন তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলল, “ইনি সত্যিই সেই ভাববাদী।”
41 অন্যরা বলল, “ইনি মশীহ (খ্রীষ্ট)।”
এ সত্ত্বেও কেউ কেউ বলল, “খ্রীষ্ট গালীলী থেকে আসবেন না। 42 শাস্ত্রে কি একথা লেখা নেই যে খ্রীষ্টকে দায়ূদের বংশধর হতে হবে; আর দায়ূদ যে বৈৎলেহম শহরে থাকতেন, তিনি সেখান থেকে আসবেন?” 43 তাঁর জন্য এইভাবে লোকদের মধ্যে মতভেদের সৃষ্টি হল। 44 কেউ কেউ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে চাইল; কিন্তু কেউ তাঁর গায়ে হাত দিতে সাহস করল না।
ইহুদী নেতাদের অবিশ্বাস
45 তখন মন্দিরের সেই পদাতিকরা, প্রধান যাজক ও ফরীশীদের কাছে ফিরে গেল। তাঁরা মন্দিরের সেই পদাতিককে জিজ্ঞেস করলেন, “তোমরা তাঁকে ধরে আনলে না কেন?”
46 পদাতিকরা বলল, “উনি যে সব কথা বলছিলেন কোন মানুষ কখনও সেই ধরণের কথা বলেনি!”
47 তখন ফরীশীরা বললেন, “তাহলে তোমরাও কি ঠকে গেলে? 48 ফরীশী বা নেতাদের মধ্যে এমন কেউ কি ছিলেন যিনি তাঁর ওপর বিশ্বাস করেছেন? 49 কিন্তু এইসব লোকেরা বিধি-ব্যবস্থার কিছুই জানে না। তারা অভিশপ্ত এবং ঈশ্বরের কৃপা থেকে বঞ্চিত।”
50 তখন এই নেতাদের একজন নীকদীম, যিনি ফরীশীদের মধ্যে একজন, তাঁদের বললেন, তিনিই আগে একবার যীশুর কাছে গিয়েছিলেন। 51 কোন ব্যক্তির কথা না শুনে আমরা আমাদের বিধি-ব্যবস্থায় তার বিচার করতে পারি না। সে কি করেছে তা না জেনে আমরা তার বিচার করতে পারি না।
52 এর উত্তরে তারা তাকে বলল, “তুমি নিশ্চয়ই গালীলী থেকে আসো নি, তাই না? শাস্ত্র পড়ে দেখো তাহলে জানবে যে গালীলী থেকে কোন ভাববাদীর আবির্ভাব হয় নি।”
ব্যভিচারিণীর বিচার
53 এরপর ইহুদী নেতারা সেখান থেকে যে যার বাড়ি চলে গেলেন।
জ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা
4 পুত্রগণ, তোমাদের পিতার শিক্ষাসমূহ মনোযোগ সহকারে শোন। মনোযোগ দিলে তবেই এই হিতোপদেশগুলি বুঝতে পারবে! 2 কেন? কারণ আমার এই উপদেশগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই শিক্ষামালা কখনও ভুলে যেও না।
3 এক সময় আমিও তোমাদের মত যুবক ছিলাম! আমি আমার পিতার ছোট পুত্র এবং আমার মাতার একমাত্র সন্তান ছিলাম। 4 এবং আমার পিতা আমাকে এই জিনিসগুলি শিখিয়েছিলেন। তিনি আমাকে বলেছিলেন, “আমি যা বলি তা মনে রেখো। আমার আদেশ পালন কর, তাহলে বাঁচতে পারবে! 5 বিবেচনাশক্তি এবং জ্ঞান লাভ করো! কখনও আমার কথা ভুলো না। সর্বদা আমার উপদেশ মেনে চলবে। 6 জ্ঞান থেকে দূরে সরে থেকো না। তাহলে জ্ঞান তোমাকে রক্ষা করবে। জ্ঞানকে ভালোবাসো এবং জ্ঞান তোমাকে নিরাপদে রাখবে।
7 “তুমি যে মূহুর্ত থেকে জ্ঞান অর্জন করার সংকল্প করেছ তখন থেকেই জ্ঞানের পর্ব শুরু হয়েছে। অতএব তোমার সমস্ত প্রয়াস ব্যবহার করে, এমনকি তোমার সমস্ত বিষয় সম্পত্তির বিনিময়েও জ্ঞান অর্জন করবার চেষ্টা করো! তাহলে তুমি ক্রমশঃ বুদ্ধিমান হয়ে উঠবে। 8 জ্ঞানকে ভালোবাস, জ্ঞানই তোমাকে মহান করে তুলবে। জ্ঞানকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলো এবং জ্ঞান তোমাকে সম্মান এনে দেবে। 9 জ্ঞানই সর্বশ্রেষ্ঠ বস্তু যা তোমার জীবনে ঘটতে পারে।”
10 পুত্র, আমার কথা শোন। আমার আদেশ মেনে চললে তোমার আয়ু বাড়বে। 11 আমি তোমাকে প্রজ্ঞা বা জ্ঞান সম্পর্কে বোঝাচ্ছি। আমি তোমাকে সৎ পথে নিয়ে যাচ্ছি। 12 এই পথকে অনুসরণ করো। তাহলে তুমি কখনও ফাঁদে পড়বে না। তুমি দৌড়বে কিন্তু কখনও হোঁচট খাবে না। তুমি যাই কর না কেন, তুমি নিরাপদ থাকবে। 13 এই শিক্ষাগুলি সর্বদা মনে রেখো। এগুলি ভুলে যেও না। ওগুলি তোমার জীবন!
14 দুষ্ট লোকরা যে পথে হাঁটে, সে পথে হেঁটো না। অসৎভাবে জীবনযাপন কোরো না। পাপীদের অনুকরণ কোরো না। 15 পাপ থেকে দূরে থেকো। তার কাছে যেও না। ওটা ছাড়িয়ে সোজা হয়ে হেঁটো। 16 কোনও দুষ্কর্ম না করা পর্যন্ত পাপীদের চোখে ঘুম আসে না। অপরের ক্ষতি না করে তারা বিশ্রাম নিতে পারে না। 17 পাপ এবং অন্যের ক্ষতি না করে তারা বাঁচতে পারে না।
18 ধার্মিক ব্যক্তিদের জীবনযাপনের পথ সূর্যোদয়ের আলোর মত। দুপুরে সে তার পূর্ণদীপ্তি পাওয়া পর্যন্ত উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়। 19 পাপী লোকরা অন্ধকার রাতের মত। তারা আঁধারে হারিয়ে যায় এবং কি কারণে তাদের পতন হয় তা তারা দেখতেও পায় না।
20 পুত্র, আমার, আমি যা বলছি তা মন দিয়ে শোন। আমার উপদেশের প্রতি মনোনিবেশ কর। 21 আমার কথাগুলি যেন তোমাকে ত্যাগ না করে। আমি যা সব বলি তা মনে রেখো। সেগুলি তোমার হৃদয়ে সম্পদ করে রেখো। 22 যারা আমার শিক্ষামালা শোনে তারা জীবন লাভ করে। আমার কথাগুলি তাদের শরীরে সুস্বাস্থ্য নিয়ে আসে। 23 সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তুমি যা ভাবছ সে সম্পর্কে সজাগ থেকো। তোমার ভাবনাই তোমার ভাগ্য নিয়ন্তা।
24 কখনও মিথ্যা কথা বলো না। সত্যকে কলুষিত করো না। 25 তোমার সামনে যে সব ভালো এবং জ্ঞানগর্ভ আদর্শ রয়েছে তা থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিও না। 26 যা করছ তার সম্বন্ধে সতর্ক থাকবে। সৎ জীবনযাপন কর। 27 সোজা পথ যা ভাল এবং সঠিক তা ত্যাগ কোরো না। কিন্তু সর্বদা পাপ থেকে দূরে থেকো।
বিশ্বাসের মাধ্যমে ঈশ্বরের আশীর্বাদ লাভ
3 ওহে অবুঝ গালাতীয়ের লোকেরা! তোমাদের কে যাদু করেছে? ক্রুশের ওপর যীশু খ্রীষ্টের মৃত্যুর কথা তোমাদের তো স্পষ্ট করেই বোঝানো হয়েছিল। 2 কেবল আমার এই কথাটির জবাব দাও যে তোমরা কিভাবে পবিত্র আত্মা পেয়েছিলে? বিধি-ব্যবস্থা পালনের দ্বারা কি পেয়েছিলে? না সুসমাচার শুনে ও তাতে বিশ্বাস করাতেই পবিত্র আত্মা পেয়েছিলে? 3 তোমরা কি এতই অবোধ যে, পবিত্র আত্মায় খ্রীষ্টীয় জীবন শুরু করে এখন তা স্থুল দৈহিক শক্তির ওপর নির্ভর করে শেষ করতে চাও? 4 তোমরা কি বৃথাই এত রকম অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গেছ? আমি আশা করি তা বৃথা হবে না। 5 তোমরা বিধি-ব্যবস্থা পালন করেছিলে বলেই কি ঈশ্বর তোমাদের পবিত্র আত্মা দিয়েছিলেন এবং তোমাদের মধ্যে অলৌকিক কাজ করেছিলেন, না তোমরা সুসমাচার শুনে বিশ্বাস করেছিলে বলে?
6 অব্রাহামের সম্পর্কে শাস্ত্র যেমন বলে: “অব্রাহাম ঈশ্বরের ওপর বিশ্বাস করেছিলেন এবং ঈশ্বর তাঁর বিশ্বাসকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন, তার ফলে ঈশ্বরের সাক্ষাতে অব্রাহাম ধার্মিক প্রতিপন্ন হয়েছিলেন।”(A) 7 তোমাদের জানা ভাল, যে যারা বিশ্বাসের পথে চলে তারাই অব্রাহামের প্রকৃত সন্তান। 8 পবিত্র শাস্ত্রে এবিষয়ে আগেই লেখা ছিল যে, অইহুদী লোকদের ঈশ্বর তাদের বিশ্বাসের দ্বারা ধার্মিক প্রতিপন্ন করবেন। আগে থেকেই এই সুসমাচার অব্রাহামকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, “অব্রাহাম, সমস্ত জাতি তোমার মাধ্যমে আশীর্বাদ পাবে।”(B) 9 অব্রাহাম বিশ্বাস করে যেমন আশীর্বাদ পেয়েছেন তেমনি যে সমস্ত লোক এখন বিশ্বাস করছে তারাও সেই আশীর্বাদ লাভ করছে।
10 যারা ঈশ্বরের সামনে ধার্মিক প্রতিপন্ন হতে বিধি-ব্যবস্থা পালনের ওপর নির্ভর করে, তাদের ওপর অভিশাপ থাকে। কারণ শাস্ত্র বলে: “বিধি-ব্যবস্থায় যে সকল লেখা আছে তার সব কটি যে পালন না করে সে শাপগ্রস্ত!”(C) 11 এখন এটা পরিষ্কার যে বিধি-ব্যবস্থার দ্বারা ঈশ্বরের কাছে ধার্মিক প্রতিপন্ন হওয়া যায় না। কারণ শাস্ত্র বলে: “ধার্মিক ব্যক্তি বিশ্বাসের জন্যই বাঁচবে।”[a]
12 কিন্তু বিধি-ব্যবস্থার সঙ্গে বিশ্বাসের কোন সম্পর্ক নেই, বরং শাস্ত্র বলে, “যে বিধি-ব্যবস্থা পালন করে, সে তার মধ্য দিয়েই জীবন পাবে।”[b] 13 বিধি-ব্যবস্থা আমাদের ওপর যে অভিশাপ চাপিয়ে দিয়েছে তার থেকে খ্রীষ্ট আমাদের উদ্ধার করেছেন। খ্রীষ্ট আমাদের স্থানে দাঁড়িয়ে নিজের ওপর সেই অভিশাপ গ্রহণ করলেন। কারণ শাস্ত্র বলছে: “যার দেহ গাছে টাঙ্গানো হয় সে শাপগ্রস্ত।”(D) 14 খ্রীষ্ট এই কাজ সম্পন্ন করলেন যাতে যে আশীর্বাদ অব্রাহাম লাভ করেছিলেন তা খ্রীষ্টের মাধ্যমে অইহুদীরাও লাভ করে, এবং যেন বিশ্বাসের দ্বারা আমরা সেই প্রতিশ্রুত আত্মাকে পাই।
বিধি-ব্যবস্থা ও প্রতিশ্রুতি
15 আমার ভাই ও বোনেরা, আমি তোমাদের কাছে সাধারণ একটি উদাহরণ দিচ্ছি: দুজনের মধ্যে একটা চুক্তির কথা চিন্তা কর। সেই চুক্তি একবার বৈধ হয়ে গেলে কেউ তা বাতিল করতে পারে না বা তাতে কোন কিছু যোগ করতে পারে না। 16 ঈশ্বর, অব্রাহাম ও তাঁর বংশধরকে আশীর্বাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। লক্ষ্য কর যে এখানে “বংশধর” বলা হয়েছে, “বংশধরদের” নয়, যেন অনেককে নয় বরং একজনকে অর্থাৎ খ্রীষ্টকে নির্দেশ করা হয়। 17 আমি এটাই বলতে চাই যে ঈশ্বর অব্রাহামের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন, আর তার চারশো তিরিশ বছর পরে বিধি-ব্যবস্থা এসেছিল। তাই বিধি-ব্যবস্থা এসে পূর্বেই যে চুক্তি ঈশ্বরের সাথে অব্রাহামের হয়েছিল তা বাতিল করতে পারে না।
18 যদি উত্তরাধিকার বিধি-ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করত তাহলে তা আর প্রতিশ্রুতির ওপর নির্ভরশীল হত না; কিন্তু ঈশ্বর মুক্ত হস্তে এই উত্তরাধিকার অব্রাহামকে তাঁর প্রতিশ্রুতির মধ্যে দিয়েছিলেন।
19 তাহলে বিধি-ব্যবস্থা কিসের জন্য? অপরাধ কি, এটা বোঝাবার জন্য বিধি-ব্যবস্থা সেই বংশধরের (অব্রাহামের) আসা পর্যন্ত যোগ করা হল, যাকে সেই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। মানুষের কাছে সেই বিধি-ব্যবস্থা পৌঁছে দিতে স্বর্গদূতরা মোশিকে মধ্যস্তরূপে ব্যবহার করেছিলেন। 20 কিন্তু কেবলমাত্র একজন থাকলে কোন মধ্যস্থের দরকার হয় না; আর ঈশ্বর এক।
মোশির বিধি-ব্যবস্থার উদ্দেশ্য
21 তাহলে কি বিধি-ব্যবস্থা ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতির বিরুদ্ধে? নিশ্চয়ই নয়! যদি এমন বিধি-ব্যবস্থা থাকত যা মানুষকে জীবন দান করতে পারে, তবে বিধি-ব্যবস্থা পালন করেই আমরা ধার্মিক হতে পারতাম। 22 কিন্তু এ সত্য নয়, কারণ শাস্ত্র দেখাচ্ছে যে সকলে পাপের কাছে বন্দী এবং লোকেরা বিশ্বাসের মাধ্যমেই সেই প্রতিশ্রুত আশীর্বাদ পেতে পারে। যারা যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাস করবে, তাদের উদ্দেশ্যেই এই প্রতিশ্রুতি দেওয়া রয়েছে।
23 এই বিশ্বাস আসার আগে আমরা বিধি-ব্যবস্থার অধীনে বন্দী ছিলাম। আমাদের কোন স্বাধীনতা ছিল না, যে পর্যন্ত না ঈশ্বর আমাদের কাছে সেই বিশ্বাসের কথা জানালেন। 24 খ্রীষ্টের কাছে আসার জন্য বিধি-ব্যবস্থাই ছিল আমাদের কঠোর অভিভাবক, যেন বিশ্বাসের মাধ্যমে আমরা ঈশ্বরের সাক্ষাতে ধার্মিক বলে গণিত হই। 25 এখন যখন বিশ্বাস আমাদের মধ্যে এসেছে, তখন আমরা আর বিধি-ব্যবস্থার অধীন নই।
26-27 কারণ তোমাদের মধ্যে যাদের খ্রীষ্টে বাপ্তিস্ম হয়েছে, তাদের সবাই খ্রীষ্টকে পরিধান করেছে। খ্রীষ্ট যীশুর মাধ্যমে বিশ্বাস দ্বারা তোমরা সকলেই ঈশ্বরের সন্তান। 28 এখন খ্রীষ্ট যীশুতে যারা আছে তাদের মধ্যে পুরুষ বা স্ত্রীতে কোন ভেদাভেদ নেই, ইহুদী কি গ্রীক, স্বাধীন অথবা দাসের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। কারণ খ্রীষ্ট যীশুতে তোমরা এক। 29 তোমরা খ্রীষ্টের, তাই তোমরা অব্রাহামের বংশধর; সুতরাং অব্রাহামের কাছে ঈশ্বর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তোমরাও তার উত্তরাধিকারী হবে।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International