M’Cheyne Bible Reading Plan
হোমবলির জন্যে বেদী
27 প্রভু মোশিকে বললেন, “বাবলা কাঠের একটি বেদী বানাবে। বেদীখানা হবে চৌকো আকারের। বেদীটি উচ্চতায় হবে 3 হাত, লম্বায় হবে 5 হাত এবং চওড়ায় হবে 3 হাত। 2 বেদীর চার কোণার প্রত্যেকটির জন্য একটি করে শিখর বানাও এবং প্রত্যেকটি শিখর বেদীর কোনায় যুক্ত কর যাতে তারা অখণ্ড হয়। তারপর ওটিকে পিতলের পাত দিয়ে মুড়ে দাও।
3 “বেদীর সমস্ত যন্ত্রপাতি এবং বাসন-কোসন পিতল দিয়ে তৈরী কর। বেদী থেকে ছাই তুলে নেওয়ার জন্য পাত্র, তার বেলচাসমূহ, সিঞ্চনকারী পাত্রসমূহ, আঁকশি এবং উনুন তৈরী কর। ব্যবহারের পর বেদীর হোমবলির ছাই দিয়ে এগুলো পরিষ্কার করবে। 4 বেদীর জন্য ছাকনীর আকারের একটি ঝাঁঝরি রাখবে। ঝাঁঝরির চারকোণার জন্য পিতলের আংটা বানাবে। 5 বেদীর নীচে এই ঝাঁঝরি রাখবে। কিন্তু এর উচ্চতা হবে বেদীর মধ্যভাগ পর্যন্ত।
6 “বেদীর জন্য পিতলে মোড়া বাবলা কাঠের খুঁটি ব্যবহার করবে। 7 বেদীর দুপাশে লাগানো আংটার মধ্যে খুঁটি ঢুকিয়ে বেদীকে যেখানে ইচ্ছে বয়ে নিয়ে বেড়াও। 8 খালি ধারগুলিতে কাঠের তক্তা ব্যবহার করে বেদীটি একটি শূন্য সিন্দুকের আকারে বানাও। এবং পর্বতে আমি যেভাবে দেখালাম ঠিক সেইভাবেই বানাবে।
পবিত্র তাঁবুর প্রাঙ্গণে আদালত চত্বর
9 “পবিত্র তাঁবুর জন্য একটি আদালত চত্বর বানাবে। দক্ষিণ দিকে 100 হাত লম্বা পর্দা দেওয়া দেওয়াল থাকবে। এই পর্দা মসৃণ শনের কাপড়ের তৈরী হওয়া চাই। 10 কুড়িটি খুঁটি এবং খুঁটিগুলোর নীচে 20টি পিতলের ভিত্তি তৈরী কর। আংটা এবং পর্দার দণ্ডগুলি রূপো দিয়ে তৈরী কর। 11 উত্তরদিকেও একইভাবে 100 হাত লম্বা একটি পর্দার দেওয়াল থাকবে। এর জন্য অবশ্যই 20টি খুঁটি ও 20টি পিতলের ভিত্তি থাকবে। এই খুঁটিগুলির জন্য আংটাসমূহ ও পর্দার দণ্ডগুলি হবে রূপোর তৈরী।
12 “আদালত চত্বরের পশ্চিম দিকে 50 হাত লম্বা পর্দা থাকবে। আর এর জন্য চাই দশটি খুঁটি ও পায়া। 13 পূর্ব দিকেও 50 হাত লম্বা পর্দা থাকবে। 14 এই পূর্ব দিকটিই হবে প্রবেশ পথ। প্রবেশ পথের একদিকে থাকবে 15 হাত লম্বা পর্দা। তার জন্যও চাই তিনটি খুঁটি ও পায়া। 15 অন্যদিকেও করতে হবে একই ব্যাপার। সেই 15 হাত লম্বা পর্দা ও তার জন্য চাই 3টি খুঁটি ও 3টি পায়া।
16 “আদালত চত্বরের পথটি ঢাকতে বানাবে 20 হাত লম্বা পর্দা। পর্দা তৈরী হবে মিহি মসীনাবস্ত্রের এবং লাল, নীল, বেগুনী ও লাল সুতোর এবং তাতে সুন্দর চিত্র ফুটিয়ে তুলবে। পর্দাটি টাঙ্গানোর জন্য চারটি খুঁটি ও চারটি পায়া থাকবে। 17 উঠোনের চারিদিকের সমস্ত খুঁটি পর্দার রূপোর দণ্ড দিয়ে যুক্ত হবে। খুঁটির ওপর পর্দা টাঙ্গানোর আংটাগুলি হবে রূপোর এবং খুঁটির নীচে পায়াগুলি হবে পিতলের। 18 আদালত চত্বরটি হবে 100 হাত লম্বা ও 50 হাত চওড়া। আদালত চত্বরের চারিদিকে 5 হাত উচ্চতার টানা পর্দার দেওয়াল থাকবে। পর্দাটি হবে মিহি মসীনা কাপড়ের। খুঁটির নীচের পায়াগুলি হবে পিতলের। 19 পবিত্র তাঁবু তৈরীর যাবতীয় জিনিসপত্র হবে পিতলের। উঠোনের চারিদিকের, পর্দায় ব্যবহারের জন্য কীলকগুলি পিতলের তৈরী হবে।
প্রদীপ জ্বালানোর তেল
20 “ইস্রায়েলের লোকদের আদেশ করো, তারা যেন প্রত্যেক সন্ধ্যায় যে প্রদীপ জ্বালানো হবে তার জন্য সব থেকে ভাল জলপাইয়ের তেল নিয়ে আসে। 21 হারোণ ও তার পুত্রদের কাজ হল প্রতি সন্ধ্যায় প্রভুর সামনে প্রদীপ জ্বালানোর জন্য প্রদীপ তৈরী করে রাখা। আর সাক্ষ্য সিন্দুকের ঘরের বাইরে পর্দা দিয়ে বিভাজন করা অন্য একটি ঘরে বা সমাগম তাঁবুর ঘরে তারা সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত সর্বদা প্রভুর সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখবে। ইস্রায়েলের লোকরা এবং তাদের পরবর্তী উত্তরপুরুষরা এই চিরস্থায়ী বিধি মেনে চলবে।”
যীশু পাঁচ হাজারের বেশী লোককে খাওয়ালেন
(মথি 14:13-21; মার্ক 6:30-44; লূক 9:10-17)
6 এরপর যীশু গালীল হ্রদের অপর পারে গেলেন, এই হ্রদকে তিবিরিয়াও বলে। 2 বহু লোক তাঁর পেছনে পেছনে চলতে লাগল, কারণ রোগীদের সুস্থ করতে তিনি যে সব অলৌকিক চিহ্ন করতেন তা তারা দেখেছিল। 3 যীশু এবং তাঁর শিষ্যরা পাহাড়ের উপরে গিয়ে সেখানে বসলেন। 4 সেই সময় ইহুদীদের নিস্তারপর্ব এগিয়ে আসছিল।
5 যীশু যখন দেখলেন বহু লোক তাঁর কাছে আসছে তখন তিনি ফিলিপকে বললেন, “এই লোকদের খেতে দেবার জন্য আমরা কোথায় রুটি কিনতে পাব?” 6 যীশু তাঁকে পরীক্ষা করবার জন্যই একথা বললেন, কারণ যীশু কি করবেন তা তিনি আগেই জানতেন।
7 ফিলিপ যীশুকে বললেন, “প্রত্যেকের হাতে এক টুকরো করে রুটি দিতে গেলে সারা মাসের রোজগারে রুটি কিনলেও তা যথেষ্ট হবে না।”
8 যীশুর শিষ্যদের মধ্যে আর একজন, যার নাম আন্দ্রিয়, ইনি শিমোন পিতরের ভাই, তিনি যীশুকে বললেন, 9 “এখানে একটা ছোট ছেলে আছে, যার কাছে যবের পাঁচটা রুটি আর ছোট দুটো মাছ আছে, কিন্তু এত লোকের জন্য নিশ্চয়ই সেগুলি যথেষ্ট হবে না।”
10 যীশু বললেন, “লোকদের বসিয়ে দাও।” সেই জায়গায় অনেক ঘাস ছিল। তখন সব লোকেরা বসে গেল। সেখানে প্রায় পাঁচ হাজার পুরুষ ছিল। 11 এরপর যীশু সেই রুটি কখানা নিয়ে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন এবং যারা সেখানে বসেছিল তাদের সেগুলি ভাগ করে দিলেন। আর তিনি মাছও ভাগ করে দিলেন। যে যত চাইল তত পেল।
12 তারা পরিতৃপ্ত হলে, যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, “যে সব টুকরো টাকরা পড়ে আছে তা জড়ো কর, যেন কোন কিছু নষ্ট না হয়।” 13 তখন তাঁরা সে সব জড়ো করলেন। লোকেরা খাবার পরে যবের সেই পাঁচ খানা রুটির টুকরো-টাকরা যা পড়ে ছিল শিষ্যরা তা জড়ো করলে বারো টুকরী ভর্ত্তি হয়ে গেল।
14 লোকেরা যীশুকে এই অলৌকিক চিহ্ন করতে দেখে বলতে লাগল, “জগতে যাঁর আগমনের কথা আছে ইনি নিশ্চয়ই সেই ভাববাদী।”
15 এতে যীশু বুঝলেন লোকেরা তাঁকে রাজা করবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাই তিনি তাদের ছেড়ে একাই সেই পাহাড়ে উঠে গেলেন।
যীশু জলের ওপর দিয়ে হাঁটলেন
(মথি 14:22-27; মার্ক 6:45-52)
16 সন্ধ্যা হলে যীশুর শিষ্যরা হ্রদের ধারে নেমে গেলেন। 17 তাঁরা একটা নৌকায় উঠে হ্রদের অপর পারে কফরনাহূমের দিকে যেতে থাকলেন। তখন অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল, আর যীশু তখনও তাদের কাছে আসেন নি। 18 আর খুব জোরে ঝোড়ো বাতাস বইছিল, ফলে হ্রদে বড় বড় ঢেউ উঠছিল। 19 এরই মধ্যে তিন চার মাইল নৌকা বেয়ে যাবার পর যীশুর শিষ্যরা দেখলেন, যীশু জলের ওপর দিয়ে হেঁটে আসছেন। তিনি যখন নৌকার কাছাকাছি এলেন, তখন শিষ্যরা খুব ভয় পেয়ে গেলেন। 20 কিন্তু তিনি তাঁদের বললেন, “এই যে আমি; ভয় পেও না।” 21 তখন তাঁরা খুশী হয়ে যীশুকে নৌকাতে তুলে নিলেন। আর তাঁরা যেখানে যাচ্ছিলেন নৌকা তখনই সেখানে পৌঁছে গেল।
লোকেরা যীশুকে খুঁজতে লাগল
22 হ্রদের অপর পারে যে জনতা ছিল, পরের দিন তারা বুঝতে পারল যে কেবলমাত্র একটা নৌকাই সেখানে ছিল আর যীশু তাঁর শিষ্যদের নিয়ে তাতে ওঠেন নি। তাঁর শিষ্যরা নিজেরাই চলে গিয়েছিলেন। 23 কিন্তু যেখানে প্রভুকে ধন্যবাদ দেওয়ার পর লোকেরা রুটি খেয়েছিল, সেইখানে তখন তিবিরিয়া থেকে কয়েকটা নৌকা এল। 24 কিন্তু যখন লোকেরা দেখল যে যীশু বা তাঁর শিষ্যরা কেউই সেখানে নেই, তখন তারা নৌকায় চড়ে যীশুর খোঁজে কফরনাহূমে চলে গেল।
যীশুই আমাদের জীবন রুটি
25 তারা হ্রদের অপর পারে যীশুকে দেখতে পেয়ে বলল, “গুরু, আপনি এখানে কখন এসেছেন?”
26 এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমরা অলৌকিক চিহ্ন দেখেছ বলে যে আমার খোঁজ করছ তা নয়, কিন্তু তোমরা রুটি খেয়ে তৃপ্ত হয়েছিলে বলেই আমার খোঁজ করছ। 27 খাদ্যের মতো নশ্বর বস্তুর জন্য কাজ করো না। কিন্তু যে খাদ্য প্রকৃতই স্থায়ী ও যা অনন্ত জীবন দান করে, তার জন্য কাজ কর যা মানবপুত্র তোমাদের দেবেন। কারণ পিতা ঈশ্বর তোমাদের দেখিয়েছেন যে তিনি মানবপুত্রের সঙ্গেই আছেন।”
28 তারা তাঁকে বলল, “ঈশ্বরের কাজ করার জন্য আমাদের কি করতে হবে?”
29 এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, “ঈশ্বর যাঁকে পাঠিয়েছেন তোমরা যেন তাঁকে বিশ্বাস কর। এই হল ঈশ্বরের কাজ।”
30 তারা তাঁকে বলল, “আপনি কি এমন অলৌকিক কাজ করছেন, যা দেখে আমরা জানতে পারব যে আপনিই সেই ব্যক্তি যাঁকে ঈশ্বর পাঠিয়েছেন ও আপনার ওপর বিশ্বাস করব? 31 আমাদের পিতৃপুরুষরা মরুপ্রান্তরে মান্না খেয়েছিল। যেমন শাস্ত্রে লেখা আছে: ‘তিনি তাদের খাবার জন্য স্বর্গ থেকে রুটি দিলেন।’”(A)
32 তখন যীশু তাদের বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, মোশি স্বর্গ থেকে সেই রুটি তোমাদের দেন নি, কিন্তু আমার পিতাই স্বর্গ থেকে সত্যিকারের রুটি তোমাদের দেন। 33 স্বর্গ থেকে নেমে এসে যিনি জগত সংসার জীবন দান করেন তিনিই ঈশ্বরের দেওয়া রুটি।”
34 তারা তাঁকে বলল, “মহাশয়, সেই রুটি সব সময় আমাদের দিন।”
35 যীশু তাদের বললেন, “আমিই সেই রুটি যা জীবন দান করে। যে কেউ আমার কাছে আসে সে কখনও ক্ষুধার্ত হবে না, আর যে কেউ আমার ওপর বিশ্বাস রাখে কখনও তার পিপাসা পাবে না। 36 কিন্তু আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমরা আমায় দেখেছ অথচ আমায় বিশ্বাস কর না। 37 পিতা আমাকে যাদের দেন, তারা প্রত্যেকেই আমার কাছে আসবে। আর যারা আমার কাছে আসে, আমি তাদের কখনই ফিরিয়ে দেব না। 38 কারণ আমি আমার খুশী মত কাজ করতে স্বর্গ থেকে নেমে আসি নি, যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁর ইচ্ছা পূর্ণ করতে এসেছি। 39 যিনি আমায় পাঠিয়েছেন তাঁর ইচ্ছা এই যে যাদের তিনি আমায় দিয়েছেন তাদের একজনকেও যেন আমি না হারাই; বরং শেষ দিনে যেন তাদের সকলকে আমি উত্থিত করি। 40 আমার পিতা এই চান, যে কেউ তাঁর পুত্রকে দেখে ও তাঁকে বিশ্বাস করে, সে যেন অনন্ত জীবন লাভ করে; আর আমিই তাকে শেষ দিনে ওঠাব।”
41 তখন ইহুদীরা যীশুর সম্পর্কে গুঞ্জন শুরু করল, কারণ তিনি বলেছিলেন, “আমিই সেই রুটি যা স্বর্গ থেকে নেমে এসেছে।” 42 তারা বলল, “তিনি কি যোষেফের ছেলে নন? আমরা কি এর বাবা মাকে চিনি না? তাহলে এখন কেমন করে তিনি বলছেন, ‘আমি স্বর্গ থেকে নেমে এসেছি?’”
43 এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, “নিজেদের মধ্যে ওসব বচসা বন্ধ কর। 44 যিনি আমায় পাঠিয়েছেন সেই পিতা না আনলে কেউই আমার কাছে আসতে পারে না; আর আমিই তাকে শেষ দিনে জীবিত করে তুলব। 45 ভাববাদীদের পুস্তকে লেখা আছে: ‘তারা সকলেই ঈশ্বরের কাছে শিক্ষা লাভ করবে।’(B) যে কেউ পিতার কাছে শুনে শিক্ষা পেয়েছে সেই আমার কাছে আসে। 46 আমি বলছি না যে, কেউ পিতাকে দেখেছেন। কেবলমাত্র যিনি পিতার কাছ থেকে এসেছেন তিনিই পিতাকে দেখেছেন।
47 “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যে কেউ বিশ্বাস করেছে সেই অনন্ত জীবন পেয়েছে। 48 আমিই সেই রুটি যা জীবন দেয়। 49 তোমাদের পিতৃপুরুষরা মরুপ্রান্তরে মান্না খেয়েছিল, কিন্তু তবু তারা মারা গিয়েছিল। 50 এ সেই রুটি যা স্বর্গ থেকে নেমে আসে, আর কেউ যদি তা খায়, তবে সে মরবে না। 51 আমিই সেই জীবন্ত রুটি যা স্বর্গ থেকে নেমে এসেছে। কেউ যদি এই রুটি খায় তবে সে চিরজীবি হবে। যে রুটি আমি দেব তা হল আমার দেহের মাংস। তা আমি দিই যাতে জগত জীবন পায়।”
52 এই কথা শুনে ইহুদীদের মধ্যে তর্ক বেধে গেল। তারা বলতে লাগল, “এই লোকটা কেমন করে তার দেহের মাংস আমাদের খেতে দিতে পারে?”
53 যীশু তাদের বললেন, “আমি তোমাদের সত্যিই বলছি; তোমরা যদি মানবপুত্রের মাংস না খাও ও তাঁর রক্ত পান না কর, তাহলে তোমাদের মধ্যে জীবন নেই। 54 যে কেউ আমার মাংস খায় ও আমার রক্ত পান করে সে অনন্ত জীবন পায়, আর শেষ দিনে আমি তাকে ওঠাবো। 55 আমার মাংসই প্রকৃত খাদ্য ও আমার রক্তই প্রকৃত পানীয়। 56 যে আমার মাংস খায় ও আমার রক্ত পান করে সে আমার মধ্যে থাকে, আর আমিও তার মধ্যে থাকি।
57 “যেমন জীবন্ত পিতা আমাকে পাঠিয়েছেন, আর পিতার জন্য আমি জীবিত আছি, ঠিক সেরকম যে আমাকে খায় সে আমার দরুন জীবিত থাকবে। 58 এ সেই রুটি যা স্বর্গ থেকে নেমে এসেছিল। এটা তেমন রুটি নয় যা তোমাদের পিতৃপুরুষরা খেয়েছিল এবং তা সত্ত্বেও পরে তারা সকলে মারা গিয়েছিল। এই রুটি যে খায় সে চিরজীবি হবে।”
59 কফরনাহূমের সমাজ-গৃহে শিক্ষা দেবার সময় যীশু এইসব কথা বললেন।
অনন্ত জীবনের বাক্যসকল
60 যীশুর শিষ্যদের মধ্যে অনেকে তাঁর এই কথা শুনে বলল, “এ বড়ই কঠিন কথা; কে এ গ্রহণ করতে পারে?”
61 যীশু অন্তরে টের পেলেন যে তাঁর শিষ্যরা এই বিষয় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছে। তাই তিনি তাদের বললেন, “এই শিক্ষায় কি তোমরা ধাক্কা পেয়েছ? 62 তবে মানবপুত্র আগে যেখানে ছিলেন উর্দ্ধে সেখানে তাঁকে ফিরে যেতে দেখলে তোমরা কি বলবে? 63 আত্মাই জীবন দান করে, রক্ত মাংসের শরীর কোন উপকারে আসে না। আমি তোমাদের সকলকে যে সব কথা বলেছি তা হল আধ্যাত্মিক আর তাই জীবন দান করে। 64 কিন্তু তোমাদের মধ্যে এমন কিছু লোক আছে যারা বিশ্বাস করে না।” কারণ যীশু শুরু থেকেই জানতেন কে কে তাঁকে বিশ্বাস করে না, আর কেই বা তাঁকে শত্রুর হাতে ধরিয়ে দেবে। 65 তাই তিনি বললেন, “এজন্য আমি তোমাদের বলেছি, ‘পিতা ইচ্ছা না করলে কেউই আমার কাছে আসতে পারে না।’”
66 এই কারণেই তাঁর শিষ্যদের মধ্যে অনেকে পিছিয়ে গেল, তাঁর সঙ্গে চলাফেরা বন্ধ করে দিল।
67 তখন যীশু সেই বারোজন প্রেরিতকে বললেন, “তোমরাও কি চলে যেতে চাইছ?”
68 শিমোন পিতর বললেন, “প্রভু, আমরা কার কাছে যাব? আপনার কাছে সেই বাণী আছে যা অনন্ত জীবন দান করে। 69 আমরা বিশ্বাস করি ও জানি যে আপনিই সেই পবিত্র একজন, যিনি ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছেন।”
70 এর উত্তরে যীশু তাঁদের বললেন, “আমি কি তোমাদের বারোজনকে মনোনীত করি নি? তবু তোমাদের মধ্যে একজন দিয়াবল আছে।” 71 তিনি শিমোন ঈষ্করিয়োতের ছেলে যিহূদার বিষয়ে বলছিলেন, কারণ যিহূদা সেই বারো জনের মধ্যে একজন হলেও পরে যীশুকে শত্রুর হাতে তুলে দেবে।
সৎভাবে জীবনযাপন তোমার আয়ু বৃদ্ধি করবে
3 পুত্র আমার, আমার শিক্ষা ভুলো না। আমি তোমাকে যা করতে বলি তা সযত্নে মনে রেখো। 2 আমার কথাগুলি তোমাকে দীর্ঘ এবং সমৃদ্ধিপূর্ণ জীবন প্রদান করবে।
3 ভালোবাসাকে কখনও পরিত্যাগ করো না। সর্বদা সৎ এবং বিশ্বস্ত থাকবে। এই জিনিসগুলিকে তোমার নিজের অঙ্গীভূত করে নাও। এইগুলি তোমার কন্ঠে জড়িয়ে রাখো, তোমার হৃদয়ে লিখে রাখো। 4 তাহলেই তুমি ঈশ্বর এবং মানুষের কাছে বিচক্ষণ এবং পুণ্যবান সাব্যস্ত হবে।
5 ঈশ্বরকে পরিপূর্ণভাবে বিশ্বাস কর। নিজের জ্ঞানের ওপর নির্ভর কোরো না। 6 তুমি যা কিছু করবে তাতে সর্বদা ঈশ্বরকে এবং তাঁর ইচ্ছাকে স্মরণ করবে। তাহলেই তিনি তোমাকে সাহায্য করবেন। 7 নিজের বুদ্ধি বিবেচনার ওপর নির্ভর কোরো না। ঈশ্বরকে ভক্তি কর এবং পাপ থেকে দূরে থাকো। 8 যদি তুমি এই কথাগুলি পালন কর তাহলে তুমি উপকৃত হবে ঠিক যেমন ওষুধ শরীরকে নিরাময করে অথবা যেমন একমাত্র া তরল পানীয় তোমাকে শক্তি দেয়।
9 তোমার যথাসর্বস্ব সমর্পণ করে প্রভুকে ধন্য কর। তোমার শস্যের উৎকৃষ্টতম ফসলগুলি প্রভুর সামনে উৎসর্গ কর। 10 তাহলে তোমার যাবতীয় প্রয়োজন প্রভুই মিটিয়ে দেবেন। তোমার গোলা শস্যে ভরে যাবে এবং তোমার ভাণ্ডারে দ্রাক্ষারস উপচে পড়বে।
11 আমার পুত্র, কখনও কখনও তোমার ভুলত্রুটি তোমাকে দেখিয়ে দেবার জন্য প্রভু তোমাকে শাসন করবেন। এই শাস্তির জন্য রাগ কোরো না। ঐ শাস্তি থেকে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা কোরো। 12 কেন? কারণ ঈশ্বর কেবল তাঁর স্নেহাস্পদদেরই সংশোধন করেন। হ্যাঁ, ঈশ্বর আমাদের পিতার মত, তিনি তাঁর প্রিয়তম সন্তানকেই শোধরানোর চেষ্টা করেন।
13 যে ব্যক্তি প্রজ্ঞা লাভ করেছে, সে সুখী হবে। যখন সে বোধশক্তিপ্রাপ্ত হবে, তখন সে আশীর্বাদধন্য হবে। 14 প্রজ্ঞা থেকে যে লাভ আসে তা রূপোর চেয়েও ভালো। প্রজ্ঞা থেকে যে লাভ হয় তা সূক্ষ্ম সোনার চেয়েও ভালো! 15 প্রজ্ঞার মূল্য মণি-মাণিক্যের চেয়েও বেশী। তোমার অভীষ্ট কোন বস্তুই প্রজ্ঞার মত অমূল্য নয়।
16 প্রজ্ঞা তোমাকে ধনসম্পদ, সম্মান এবং দীর্ঘজীবন এনে দেবে। 17 জ্ঞানী লোকরা শান্তিপূর্ণ, সুখী জীবনযাপন করে। 18 প্রজ্ঞা হল জীবন বৃক্ষের মত। প্রজ্ঞাকে যারা গ্রহণ করবে, তারা সুখী ও মনোরম জীবনযাপন করবে। জ্ঞানী ব্যক্তিরাই যথার্থ সুখী হবে!
19 প্রজ্ঞা এবং বোধকে প্রভু আকাশ এবং পৃথিবী সৃষ্টি করবার জন্য ব্যবহার করেছেন। 20 মহাসমুদ্র এবং মেঘরাশি যা বৃষ্টি দেয় তা প্রভুর জ্ঞানের দ্বারাই সৃষ্ট।
21 পুত্র আমার, প্রজ্ঞাকে তোমার দৃষ্টির অগোচর হতে দিও না! তোমার চিন্তা এবং পরিকল্পনা করবার ক্ষমতাকে বুদ্ধিমানের মত রক্ষা কর। 22 প্রজ্ঞা এবং বোধ তোমাকে জীবন দান করবে এবং তোমার জীবনকে আরও সুন্দর করে তুলবে। 23 তাহলে তুমি নিরাপদে জীবনযাপন করবে এবং কখনও পতিত হবে না। 24 বিছানায় শুতে যাবার সময় তুমি ভয় পাবে না। তুমি শান্তিতে বিশ্রাম নিতে পারবে। 25 দুষ্ট লোকদের দ্বারা সৃষ্ট আশাতীত বিপদের কথা ভেবে ভয় পেও না। 26 প্রভু তোমার সঙ্গে থাকবেন এবং তোমাকে ফাঁদে পড়া থেকে আটকে দেবেন।
27 যখনই সম্ভব হবে, যাদের তোমার সাহায্যের দরকার, তাদের ভালো করো। 28 তোমার প্রতিবেশী যদি তোমার কাছে কিছু চায় এবং তা যদি তোমার কাছে থাকে, তাহলে সেটা তখনই তাকে দিয়ে দিও। প্রতিবেশীকে সেটা পরের দিন নিতে আসতে বোলো না।
29 তোমার প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে দুষ্ট পরিকল্পনা কোরো না। সে তোমার কাছাকাছি থাকে এবং সে তোমাকে বিশ্বাস করে!
30 কোন উপযুক্ত কারণ ছাড়া কাউকে আদালতে তুলো না। সে যদি তোমার কোন অনিষ্ট না করে এটা কোরো না।
31 হিংসাত্মক লোকদের হিংসা কোরো না এবং তাদের পথ অনুসরণ করবার সিদ্ধান্ত নিও না। 32 কেন? কারণ প্রভু দুষ্ট, অসাধু লোকদের ঘৃণা করেন এবং সৎ ও ভালো লোকদের ভালবাসেন।
33 দুষ্ট লোকদের পরিবারগুলির ওপর প্রভুর অভিশাপ রয়েছে। কিন্তু ধার্মিক লোকদের গৃহগুলিকে তিনি আশীর্বাদ করেন।
34 যারা অপরকে নিয়ে পরিহাস করে সেই দাম্ভিক ব্যক্তিদের প্রভু শাস্তি দেন। প্রভু বিনয়ী ব্যক্তিদের প্রতি দয়াশীল।
35 জ্ঞানী লোকরা এমন জীবনযাপন করে যা সম্মান আনে। কিন্তু নির্বোধরা এমন জীবনযাপন করে যার পরিণতি লজ্জা।
অন্য প্রেরিতরা পৌলকে গ্রহণ করলেন
2 তারপর চৌদ্দ বছর পর আমি আবার জেরুশালেমে গেলাম। আমি বার্ণবার সঙ্গে গেলাম আর তীতকেও সঙ্গে নিলাম। 2 ঈশ্বরের কাছ থেকে প্রাপ্ত আদেশ অনুসারে আমি সেখানে গেলাম। সেখানকার বিশ্বাসীদের নেতৃবর্গের কাছে এক গোপন সভায় অইহুদীদের কাছে যে সুসমাচার প্রচার করে থাকি তার ব্যাখ্যা করলাম। আমি চেয়েছিলাম যে তারা যেন বুঝতে পারে আমি কি কাজ করছি, যেন অতীতে যে কাজ করেছিলাম ও বর্তমানে আমি যা করছি তা বৃথা না হয়ে থাকে।
3 এর ফলস্বরূপ তীত, যিনি আমার সঙ্গে ছিলেন, তিনি একজন গ্রীক হওয়া সত্ত্বেও এই নেতৃবর্গ তীতকে সুন্নত করার জন্য জোর করলেন না। 4 এইসব সমস্যা নিয়ে কথা বলার দরকার ছিল, কারণ কিছু ভণ্ড বিশ্বাসী গোপনে গুপ্তচরের মতো আমাদের দলে ঢুকে পড়েছিল এবং খ্রীষ্ট যীশুতে আমাদের কতটা স্বাধীনতা আছে তা জানবার চেষ্টা করছিল, যাতে আমাদের তাদের দাস করতে পারে। 5 সেই ভণ্ড বিশ্বাসী ভাইরা যা চেয়েছিল তার কোন কিছুতেই আমরা মত দিই নি, যাতে সুসমাচার দ্বারা যে সত্য প্রকাশিত হয়েছিল তা তোমাদের সাথে থাকে।
6 মণ্ডলীতে যাদের খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হচ্ছিল তাদের কাছ থেকেও আমি নতুন কোন কিছু জানতে পারি নি। তাঁরা যেই হোন না কেন তাতে আমার কিছু এসে যায় না। ঈশ্বরের কাছে সবাই সমান আর তিনি কারও মুখাপেক্ষী নন। 7 কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ নেতারা দেখলেন যে ঈশ্বর আমাকে একটি বিশেষ কাজের ভার দিয়েছিলেন, যেমনটি পিতরকে দিয়েছিলেন। ঈশ্বর পিতরকে ইহুদীদের কাছে সুসমাচার প্রচারের ভার দিয়েছিলেন। কিন্তু ঈশ্বর আমাকে অ-ইহুদীদের কাছে সুসমাচার প্রচার করার ভার দিয়েছিলেন। 8 ইহুদীদের জন্য প্রেরিতের কাজ করতে ঈশ্বর পিতরকে ক্ষমতা দিয়েছিলেন, তিনিই আবার আমাকেও প্রেরিতের কাজ করবার ক্ষমতা দিয়েছিলেন, কিন্তু যারা ইহুদী নয় তাদের জন্য। 9 যাকোব, পিতর এবং যোহন আপাতদৃষ্টিতে নেতা ছিলেন এবং তাঁরা যখন দেখলেন যে ঈশ্বর আমাকে প্রচারের একটি বিশেষ অনুগ্রহ দান করেছেন, তখন তাঁরা বার্ণবা এবং আমাকে তাদের সহভাগী হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। তাঁরা আমাদের বললেন, “আমরা এই ব্যবস্থায় সম্মত যে, আমরা, অর্থাৎ পৌল এবং বার্ণবা অ-ইহুদীদের কাছে প্রচারে যাব; আর তাঁরা অর্থাৎ যাকোব, পিতর ও যোহন ইহুদীদের কাছে যাবেন।” 10 তাঁরা কেবলমাত্র একটি বিষয়ে আমাদের অনুরোধ করলেন, যেন যারা দরিদ্র তাদের মনে রাখি। এ কাজটি করতে আমিও খুব উদগ্রীব ছিলাম।
পৌল পিতরের ভুল দেখিয়ে দেন
11 কিন্তু যখন পিতর আন্তিয়খিয়ায় এলেন, আমি সরাসরি তাঁর বিরোধিতা করলাম, কারণ তিনি স্পষ্টতই ভুল দিকে ছিলেন। 12 আন্তিয়খিয়ায় আসার পর প্রথমে তিনি অইহুদীদের সঙ্গে পানাহার ও মেলামেশা করতেন কিন্তু যাকোবের কাছে থেকে কিছু ইহুদী সেখানে এলে পিতর অইহুদীদের সঙ্গে পানাহার বন্ধ করে দিলেন। তিনি অইহুদীদের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করে নিজেকে পৃথক রাখলেন। তিনি সেই সমস্ত ইহুদীদের কথা মনে করে ভয় পাচ্ছিলেন, যারা মনে করত সব অইহুদী লোকদের সুন্নত হওয়া দরকার। 13 এরপর অন্যান্য অইহুদীরা পিতরের সঙ্গে এই ভণ্ডামিতে এমন মাত্রায় যোগ দিলেন যে বার্ণবাও এদের ভণ্ডামির দ্বারা প্রভাবিত হলেন। 14 আমি যখন দেখলাম যে তাঁরা সুসমাচারের সত্য অনুসারে সোজা পথে চলছেন না, তখন আমি পিতরকে সম্বোধন করে সবার সামনে বললাম: “আপনি একজন ইহুদী হয়ে যদি ইহুদীদের রীতিনীতি পালন না করেন, তবে যারা অইহুদী তাদের ইহুদীদের মতো সব কিছু পালন করতে জোর করছেন কেন?”
15 আমরা জন্মসূত্রে ইহুদী, অইহুদী পাপী নই। 16 তবু আমরা জানি যে মানুষ ঈশ্বরের সামনে বিধি-ব্যবস্থা পালনের দ্বারা নয় বরং যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাস দ্বারা ঈশ্বরের সাক্ষাতে নির্দোষ গণিত হয়, তাই আমরা যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাস করেছি, যাতে আমরা ঈশ্বরের সামনে বিধি-ব্যবস্থা পালনের দ্বারা নয় বরং খ্রীষ্টে বিশ্বাসী বলেই নির্দোষ গণিত হই। কারণ কেউই বিধি-ব্যবস্থা পালনের দ্বারা ঈশ্বরের সামনে নির্দোষ বলে বিবেচিত হয় না।
17 কিন্তু আমরা ইহুদীরা খ্রীষ্টে নির্দোষ বিবেচিত হতে গিয়ে যদি অইহুদীদের মত নিজেদের পাপী দেখাই, তবে তার অর্থ কি এই যে খ্রীষ্ট পাপকে উৎসাহিত করেন? কখনই না। 18 কারণ যা আমি ভেঙে ফেলেছি তা যদি আবার গঠন করি, তাহলে আমি নিজেকে নিয়ম ভঙ্গকারী হিসাবে প্রমাণ করি। 19 বিধি-ব্যবস্থার দিক থেকে আমি মৃত এবং বিধি-ব্যবস্থা হল আমার মৃত্যুর কারণ। এটা হয়েছে যাতে আমি ঈশ্বরের জন্য বাঁচি। আমি খ্রীষ্টের সঙ্গে ক্রুশবিদ্ধ হয়েছি। 20 সুতরাং আমি আর জীবিত নই, কিন্তু খ্রীষ্টই আমার মধ্যে জীবিত আছেন; আমার দেহের মধ্যে যে জীবন আমি এখন যাপন করি, এ কেবল ঈশ্বরের পুত্রের ওপর বিশ্বাসের দ্বারাই করি, যিনি আমাকে ভালবেসেছেন এবং আমার জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। 21 ঈশ্বরের অনুগ্রহ আমি প্রত্যাখান করি না, কারণ যদি বিধি-ব্যবস্থার দ্বারা ঈশ্বরের সামনে নির্দোষ গণিত হওয়া যায়, তবে খ্রীষ্ট মিথ্যাই প্রাণ দিয়েছিলেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International