M’Cheyne Bible Reading Plan
পবিত্র তাঁবু
26 প্রভু মোশিকে বললেন, “পবিত্র তাঁবুটি তৈরী করবে 10টি পর্দা দিয়ে। পর্দাগুলি তৈরী হবে মসৃণ শনের কাপড়ে এবং নীল, বেগুনী ও লাল সুতোয়। একজন দক্ষ কারিগর পর্দাটি বুনবে এবং তাতে সে করূব দূতের চিত্র সেলাই করবে। 2 প্রত্যেকটি পর্দা একই রকম আকৃতির তৈরী করবে। প্রত্যেকটি পর্দা দৈর্ঘ্যে 28 হাত ও প্রস্থে 4 হাত হবে। 3 এক ভাগ করবার জন্য 5টি পর্দাকে যুক্ত করো। পর্দাগুলি সমান দু ভাগে ভাগ করবে। 4 এক ভাগের শেষ পর্দাটির ধার জুড়ে ফাঁস তৈরী করবার জন্য নীল কাপড় ব্যবহার কর। 5 দুই ভাগের শেষ পর্দা দুটিতে 50টি নীল কাপড়ের ঝালর থাকবে। 6 পর্দাগুলিকে একত্রে যুক্ত করবার জন্য 50টি সোনার আংটা তৈরী কর। এটা পবিত্র তাঁবুটিকে একসঙ্গে যুক্ত করবে একটি অখণ্ড তাঁবু করবার জন্য।
7 “একটি তাঁবু তৈরী করবার জন্য ছাগলের লোম দিয়ে তৈরী এগারোটি পর্দা ব্যবহার করো। এই তাঁবুটি হবে আগের পবিত্র তাঁবুর আচ্ছাদন। 8 এই সমস্ত পর্দাগুলি অবশ্যই একই আকৃতির হবে। প্রত্যেকটি পর্দা হবে 30 হাত লম্বা এবং 4 হাত চওড়া। 9 এগারোটি পর্দা দুভাগে ভাগ করে এক ভাগে পাঁচটা ও অন্য ভাগে ছয়টি পর্দা রাখবে। পবিত্র তাঁবুর সামনে ষষ্ঠ পর্দাটি ভাঁজ করে রাখবে। 10 প্রতিটি ভাগের শেষে পর্দার নীচে 50টি ফাঁস লাগাও। 11 এবার পর্দাগুলি একত্র করার জন্য 50টি পিতলের আংটা তৈরী করবে এবং একসঙ্গে সেগুলি টাঙ্গাবে। 12 এই তাঁবুর শেষ পর্দাটির অর্ধেক অবশ্যই পবিত্র তাঁবুর পিছন দিকে ঝুলে থাকবে। 13 অন্য দিকেও 1 হাত করে পর্দা পবিত্র তাঁবুর ভূমিদেশ থেকে নীচের দিকে ঝুলে থাকবে। এইভাবে পবিত্র তাঁবুকে পরবর্তী তাঁবুটি চারিদিক থেকে আচ্ছাদনের মতো ঘিরে থাকবে। 14 ভেতরের তাঁবু থেকে বাইরের তাঁবুতে যাওয়ার জন্য দুখানি চামড়ার ছাদ তৈরী করবে। একটি হবে পুং মেষের পাকা চামড়ায তৈরী এবং অন্যটি হবে উৎকৃষ্ট চামড়ার।
15 “পবিত্র তাঁবুটিকে খাড়া করে রাখার জন্য বাবলা কাঠের একটি কাঠামো তৈরী করবে। 16 ঐ কাঠামোটি হবে 10 হাত উঁচু ও 1.5 হাত চওড়া। 17 প্রত্যেকটি কাঠামোর নীচে দুটো পায়া থাকবে। পবিত্র তাঁবুর প্রত্যেকটি কাঠামো একই আকারের হবে। 18 পবিত্র তাঁবুর দক্ষিণ দিকের জন্য 20টি কাঠামো বানাবে। 19 কাঠামোগুলির নীচে লাগানোর জন্য রূপো দিয়ে 40টি ভূমিমূল তৈরী করবে। প্রত্যেকটি কাঠামোর গোড়ায় দুটি করে রূপোর পায়া বা ভূমিমূল থাকবে। 20 উত্তর দিকের জন্য আরও 20টি কাঠামো তৈরী করবে। 21 একই রকম ভাবে কুড়িটি কাঠামোর দুটি করে পায়ার জন্য আরও 40টি রূপোর পায়া তৈরী করে লাগাবে। 22 পবিত্র তাঁবুর পিছন দিক অর্থাৎ পশ্চিম দিকের জন্য আরও ছয়খানি কাঠামো বানাবে। 23 পবিত্র তাঁবুর পিছন দিকে দুই কোণের জন্য দুখানি কাঠামো বানাবে। 24 দুই কোণার কাঠামো দুখানি পরস্পরের সঙ্গে নীচের দিকে যুক্ত থাকবে। ওপরে একটি কড়া এই দুখানি কাঠামোকে একত্রে ধরে রাখবে। দু দিকের কোণাতেই একই রকম হবে। 25 এই রকম মোট আটটি কাঠামো থাকবে এবং 16টি রূপোর পায়া থাকবে।
26 “পবিত্র তাঁবুর কাঠামোগুলি জোড়া লাগানোর জন্য বাবলা কাঠ ব্যবহার করবে। পবিত্র তাঁবুর প্রথম দিকে পাঁচটি জোড়া তক্তা থাকবে। 27 অন্যদিকেও পাঁচটি তক্তা জোড়া দেওয়া থাকবে। এবং পিছনদিকেও পাঁচটি জোড়া তক্তা থাকবে। 28 তক্তাগুলির মাঝখানে একটি কেন্দ্রস্থিত হুড়কো লাগাতে হবে।
29 “কাঠামোগুলি তারপর সোনা দিয়ে মুড়ে দেবে। তক্তাগুলি আটকানোর জন্য আংটা ব্যবহার করবে। আংটাগুলিও অবশ্যই সোনার হবে। কীলকগুলিকে সোনা দিয়ে ঢেকে দাও। 30 এইভাবে পর্বতের ওপর দেখানো পরিকল্পনা অনুযায়ী অবশ্যই তোমাদের পবিত্র তাঁবুটি তৈরী করতে হবে।
পবিত্র তাঁবুর অভ্যন্তর
31 “পবিত্র তাঁবুর ভেতর বিভাজনের জন্য মসৃণ শনের কাপড়ের পর্দা বানাবে। ঐ পর্দার ওপর অবশ্যই করূব দূতের চেহারা থাকতে হবে। লাল, নীল, বেগুনী সূতোর কারুকার্য্যে তা ফুটে উঠবে। 32 বাবলা কাঠের চারটি খুঁটি তৈরী করে সোনা দিয়ে তাও মুড়ে দেবে। চারটে খুঁটিতে সোনার আংটা লাগাবে। খুঁটিরে নীচে রূপোর পায়া লাগাবে। এবার পর্দাটি সোনার আংটায় লাগিয়ে টাঙ্গিয়ে দেবে খুঁটির সঙ্গে। 33 পর্দাটি সোনার আংটাগুলির নীচে টাঙিয়ে দাও। তারপর ঠিক পর্দার পিছনে সাক্ষ্যসিন্দুক রাখবে। টাঙানো পর্দা দিয়ে পবিত্র স্থান এবং অতি পবিত্র স্থানের মধ্যে বিভাজন করবে। 34 অতি পবিত্র স্থান হিসাবে সাক্ষ্যসিন্দুকের ওপর একটি আবরণ রাখবে।
35 “পবিত্র স্থানে পর্দার উল্টো দিকে নির্মিত বিশেষ টেবিলটি রাখবে। টেবিলটি বসানো হবে পবিত্র তাঁবুর উত্তর দিকে। এবার দীপদানটিকে বসাবে দক্ষিণ দিকে টেবিলের থেকে খানিকটা দূরে।
পবিত্র তাঁবুর দরজা
36 “এবারে একটি পর্দা দিয়ে পবিত্র তাঁবুর প্রবেশ পথ ঢেকে দেবে। পর্দাটি বানাবে লাল, নীল, বেগুনী সুতো ও মসৃণ শনের কাপড় দিয়ে। এবং তাতে চিত্র ফুটিয়ে তুলবে। 37 এই পর্দা টাঙানোর জন্য সোনার আংটা বানাবে। এবং বাবলা কাঠের পাঁচটি খুঁটি বানাবে। সেগুলিও সোনার পাতে মোড়া থাকবে। পাঁচটি খুঁটির পায়া পিতল দিয়ে বানাবে।”
পুকুরপাড়ে এক পঙ্গুকে যীশু আরোগ্যদান করলেন
5 এরপর ইহুদীদের এক বিশেষ পর্বের সময় এলে যীশু জেরুশালেমে গেলেন। 2 জেরুশালেমে মেষ ফটকের কাছে একটা পুকুর ছিল। ইব্রীয়তে সেই পুকুরটিকে “বৈথেসদা” বলা হত। এই পুকুরটির পাঁচটি চাঁদনী ঘাট ছিল; 3 ঘাটের সেইসব চাতালে অনেক অসুস্থ লোক শুয়ে থাকত; তাদের মধ্যে কেউ কেউ অন্ধ, কেউ কেউ খোঁড়া এমনকি পঙ্গু রোগীও থাকত।[a] 4 [b] 5 সেখানে একজন লোক ছিল যে আটত্রিশ বছর ধরে রোগে ভুগছিল। 6 যীশু তাকে সেখানে পড়ে থাকতে দেখলেন। তিনি জানতেন যে সে দীর্ঘদিন ধরে রোগে ভুগছে, তাই তাকে বললেন, “তুমি কি সুস্থ হতে চাও?”
7 সেই অসুস্থ লোকটি বলল, “মহাশয় আমার এমন কোন লোক নেই, জল কেঁপে ওঠার সময় যে আমাকে পুকুরে নামিয়ে দেবে। আমি ওখানে পৌঁছানোর আগেই কেউ না কেউ আমার আগে পুকুরে নেমে পড়ে।”
8 যীশু তাকে বললেন, “ওঠ! তোমার বিছানা গুটিয়ে নাও, হেঁটে বেড়াও।” 9 লোকটি সঙ্গে সঙ্গে ভাল হয়ে গেল, আর তার বিছানা তুলে নিয়ে হাঁটতে থাকল।
এ ঘটনা বিশ্রামবারে ঘটল, 10 তাই যে লোকটি আরোগ্য লাভ করেছিল তাকে ইহুদীরা বলল, “আজ বিশ্রামবার, এভাবে তোমার বিছানা বয়ে বেড়ানো বিধি-ব্যবস্থা বিরুদ্ধ কাজ হচ্ছে।”
11 সে তখন তাদের বলল, “যিনি আমাকে সারিয়ে তুলেছেন তিনি বলেছিলেন, ‘তোমার বিছানা তুলে নিয়ে হেঁটে বেড়াও।’”
12 তারা সেই লোকটিকে জিজ্ঞেস করল, “কে তোমাকে বলেছে যে তোমার বিছানা গুটিয়ে নিয়ে হেঁটে বেড়াও?”
13 কিন্তু যে লোকটি আরোগ্যলাভ করেছিল সে জানত না, তিনি কে। কারণ সেই জায়গায় অনেক লোক ভীড় করেছিল এবং যীশু সেখান থেকে চলে গিয়েছিলেন।
14 পরে যীশু মন্দিরের মধ্যে সেই লোকটিকে দেখতে পেয়ে তাকে বললেন, “দেখ, তুমি এখন সুস্থ হয়ে গেছ; আর পাপ কোরো না, যাতে তোমার আরও খারাপ কিছু না হয়!”
15 এরপর সেই লোকটি ইহুদীদের কাছে গিয়ে বলল যে, যীশুই তাকে আরোগ্য দান করেছেন।
16 আর এই কারণেই ইহুদীরা যীশুকে নির্যাতন করতে শুরু করল; কারণ তিনি বিশ্রামবারে এইসব কাজ করছিলেন। 17 তখন যীশু তাদের বললেন, “আমার পিতা সব সময় কাজ করে চলেছেন, তাই আমিও কাজ করি।”
18 তখন ইহুদীরা যীশুকে হত্যা করার জন্য আরো দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে উঠল। তারা বলল, “তিনি যে কেবল বিশ্রামবারে বিধি-ব্যবস্থার বিরুদ্ধ কাজ করছিলেন তাই নয়, তিনি ঈশ্বরকে তাঁর পিতা বলে সম্বোধন করেছিলেন। আর এইভাবে তিনি নিজেকে ঈশ্বরের সমান জাহির করছিলেন।”
ঈশ্বরের ক্ষমতা যীশুর আছে
19 এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি পুত্র নিজে থেকে কিছু করতে পারেন না। পিতাকে যা করতে দেখেন কেবল তাই করতে পারেন। পিতা যা কিছু করেন পুত্রও তাই করেন। 20 পিতা পুত্রকে ভালবাসেন, আর পিতা যা কিছু করেন তা পুত্রকে দেখান আর এর থেকে আরো মহান মহান কাজ পুত্রকে তিনি দেখাবেন, তখন তোমরা আশ্চর্য হয়ে যাবে। 21 পিতা মৃতদের জীবন দান করেন, তেমনি পুত্রও যাকে ইচ্ছা করেন তাকে জীবন দেন।
22 “পিতা কারও বিচার করেন না, কিন্তু সমস্ত বিচারের ভার তিনি পুত্রকে দিয়েছেন, 23 যাতে পিতাকে যেমন সমস্ত লোক সম্মান করে তেমনি পুত্রকেও সম্মান করে। যে পুত্রকে সম্মান করে না, সে পিতাকেও সম্মান করে না, কারণ পিতাই সেইজন যিনি পুত্রকে পাঠিয়েছেন।
24 “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যে কেউ আমার কথা শোনে, আর যিনি আমায় পাঠিয়েছেন তাঁর ওপর বিশ্বাস করে সে অনন্ত জীবন লাভ করে এবং সে অপরাধী বলে বিবেচিত হবে না। সে মৃত্যু থেকে জীবনে উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। 25 আমি তোমাদের সত্যি বলছি সময় আসছে; বলতে কি এসে গেছে, যখন মৃতেরা ঈশ্বরের পুত্রের রব শুনবে, আর যারা শুনবে তারা বাঁচবে। 26 পিতার নিজের যেমন জীবন দান করার ক্ষমতা রয়েছে ঠিক তেমনই তিনি তাঁর পুত্রকেও জীবন দান করার ক্ষমতা দিয়েছেন। 27 এবং পিতা সেই পুত্রের হাতেই সমস্ত বিচারের অধিকার দিয়েছেন, কারণ এই পুত্রই মানবপুত্র।
28 “এই কথা শুনে তোমরা অবাক হয়ো না, কারণ সময় আসছে, যারা কবরের মধ্যে আছে তারা সবাই মানবপুত্রের রব শুনবে। 29 তারপর তারা তাদের কবর থেকে বাইরে আসবে। যারা সৎ কর্ম করেছে তারা উত্থিত হবে ও অনন্ত জীবন লাভ করবে। আর যারা মন্দ কাজ করেছিল তারা পুনরুত্থিত হবে এবং দোষী বলে বিবেচিত হবে।
30 “আমি নিজের থেকে কিছুই করতে পারি না। আমি (ঈশ্বরের কাছ থেকে) যেমন শুনি তেমনি বিচার করি; আর আমি যা বিচার করি তা ন্যায়, কারণ আমি আমার ইচ্ছামতো কাজ করি না, বরং যিনি (ঈশ্বর) আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁরই ইচ্ছাপূরণ করার চেষ্টা করি।
যীশু ইহুদীদের সাথে কথা বলতে থাকলেন
31 “আমি যদি আমার নিজের পক্ষে সাক্ষ্য দিই তবে আমার সেই সাক্ষ্য সত্য বলে গৃহীত হবে না। 32 অন্য একজন আছেন যিনি আমার পক্ষে সাক্ষ্য দেন এবং আমি জানি, যে সাক্ষ্যই তিনি দেন না কেন তা সত্য।
33 “তোমরা সকলেই যোহনের কাছে লোক পাঠিয়েছ আর তিনি সত্যের পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন। 34 কিন্তু আমি কোন মানুষের সাক্ষ্যের ওপর নির্ভর করি না। তবু আমি এসব কথা বলছি, যাতে তোমরা উদ্ধার পেতে পার। 35 যোহন ছিলেন সেই প্রদীপের মতো যা জ্বলে এবং আলো দেয়; আর তোমরা কিছু সময়ের জন্য তার সেই আলো উপভোগ করে আনন্দিত হয়েছিলে।
36 “কিন্তু যোহনের সাক্ষ্য থেকে আরো বড় সাক্ষ্য আমার আছে; কারণ পিতা যে সব কাজ আমায় করতে দিয়েছেন, সে সব কাজ আমিই করছি, আর সেই সব কাজই প্রমাণ করছে যে পিতা আমায় পাঠিয়েছেন। 37 পিতা, যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, এমনকি আমার পক্ষে সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন, তোমরা কেউই কখনও তাঁর রব শোননি, তাঁর আকারও দেখনি। 38 আর তাঁর শিক্ষাও তোমাদের অন্তরে নেই, কারণ ঈশ্বর যাঁকে পাঠিয়েছেন, তোমরা তাঁকে বিশ্বাস করো না। 39 তোমরা সকলেই খুব মনোযোগ সহকারে শাস্ত্রগুলি পড়, কারণ তোমরা মনে করো সেগুলির মধ্য দিয়েই তোমরা অনন্ত জীবন লাভ করবে আর সেই শাস্ত্রগুলিই আমার বিষয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছে। 40 তবু তোমরা সেই জীবন লাভ করতে আমার কাছে আসতে চাও না।
41 “মানুষের প্রশংসা আমি গ্রহণ করি না। 42 আমি তোমাদের সকলকেই জানি আর এও জানি যে তোমরা ঈশ্বরকে ভালোবাসো না। 43 আমি আমার পিতার নামে এসেছি, তবু তোমরা আমায় গ্রহণ করো না; কিন্তু অন্য কেউ যদি তার নিজের নামে আসে তাকে তোমরা গ্রহণ করবে। 44 তোমরা কিভাবে বিশ্বাস করতে পারো? তোমরা তো একজন অন্য জনের কাছ থেকে প্রশংসা পেতে চাও। আর যে প্রশংসা একমাত্র ঈশ্বরের কাছে থেকে আসে আর খোঁজ তোমরা করো না। 45 মনে করো না যে আমিই সেই ব্যক্তি যে পিতার কাছে তোমাদের ওপর দোষারোপ করব। তোমাদের সাহায্য করবেন বলে যে মোশির ওপর তোমরা আশা রাখো তিনিই তোমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন। 46 তোমরা যদি মোশিকে বিশ্বাস করতে তবে আমাকেও বিশ্বাস করতে, কারণ মোশি তা আমার বিষয়েই লিখেছেন। 47 তোমরা যখন মোশির লেখায় বিশ্বাস করো না, তখন আমি যা বলি তা কেমন করে বিশ্বাস করবে?”
প্রজ্ঞার কথা শোন
2 পুত্র আমার, আমি যা বলি তা গ্রহণ কর। আমার আদেশগুলি মনে রেখো। 2 প্রজ্ঞার কথা শোন এবং সর্বতোভাবে বোঝার চেষ্টা কর। 3 জ্ঞানকে ডাকো। বোধকে চিৎকার করে ডাকো। 4 রূপোর মত প্রজ্ঞার অন্বেষণ কর। গুপ্তধনের মত তাঁকে খুঁজে বেড়াও। 5 তুমি যদি এগুলি কর, তাহলে তুমি প্রভুকে শ্রদ্ধা করতে শিখবে। তুমি ঈশ্বরের জ্ঞান খুঁজে পাবে।
6 প্রভু আমাদের প্রজ্ঞা দান করেন। জ্ঞান এবং বোধশক্তি তাঁরই মুখ থেকে নিঃসৃত হয়। 7 তিনি সৎ ও ধার্মিক ব্যক্তিদের রক্ষা করেন। 8 যারা অন্যদের প্রতি ভদ্র আচরণ করে তাদেরও তিনি রক্ষা করেন। জ্ঞান ও বোধ তাঁর মুখ থেকে নিঃসৃত হয়।
9 তাই, প্রভু তোমাকে তাঁর জ্ঞান প্রদান করবেন। তখন তুমি ভালো, ন্যায় ও সঠিক বলতে কি বোঝায় তা বুঝতে সক্ষম হবে। 10 প্রজ্ঞা তোমার হৃদয়ে প্রবেশ করবে এবং তোমার আত্মা জ্ঞানের মহিমায় সুখী হবে।
11 প্রজ্ঞা তোমাকে রক্ষা করবে এবং বিবেচনাশক্তি তোমাকে পাহারা দেবে। 12 প্রজ্ঞা এবং বোধ তোমাকে পাপী লোকদের মত ভুল পথে চলার হাত থেকে নিবৃত্ত করবে। যারা এমন কথা বলে যা ধ্বংসের কারণ তাদের কাছ থেকে জ্ঞান তোমাকে রক্ষা করবে। 13 এই পাপী লোকরা সততার পথ ত্যাগ করেছে এবং এখন অন্ধকারের (পাপ) পথ অনুসরণ করছে। 14 তারা পাপ কাজ করতেই ভালোবাসে এবং কুপথকে উপভোগ করে। 15 ঐ পাপীদের বিশ্বাস করা যায় না। তারা মিথ্যা কথা বলে এবং লোকদের প্রতারণা করে। কিন্তু তোমার জ্ঞান ও বোধ তোমাকে সব সময় এইসব জিনিসগুলি থেকে দূরে রাখবে।
16 প্রজ্ঞা তোমাকে ঐ অপরিচিতা রমণী থেকে দূরে রাখবে। সেই বিজাতীয়া, যে চাটুকারিতার সাহায্যে তোমাকে পাপের পথে প্রলুদ্ধ করে, তার হাত থেকে তোমাকে রক্ষা করবে প্রজ্ঞা। 17 যৌবনে সে বিয়ে করেছিল, কিন্তু পরবর্তীকালে সে স্বামীকে পরিত্যাগ করেছে। ঈশ্বরকে সাক্ষী রেখে বিবাহের শপথকে সে ভুলে গিয়েছে। 18 এখন, তুমি যদি তার ঘরে ঢোক তাহলে সেটা তোমাকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাবে! তুমি যদি মেয়ে-মানুষটাকে অনুসরণ কর সে তোমাকে কবরের দিকে পরিচালিত করবে! 19 সে নিজেই কবরের মত। যে সব পুরুষরা তার বাড়ীতে ঢুকবে তারা তাদের জীবন হারাবে এবং আর কখনও ফিরে আসবে না।
20 প্রজ্ঞা তোমাকে ধার্মিকদের পথ অনুসরণ করতে সাহায্য করবে। প্রজ্ঞা তোমাকে সৎভাবে জীবনযাপনে সাহায্য করবে। 21 সৎ এবং ধার্মিক লোকরা তাদের নিজেদের দেশে বসবাস করতে পারবে। সৎ, নির্দোষ লোকরা তাদের দেশে বাস করতে পারবে। 22 কিন্তু শয়তান লোকদের বাসভূমি তাদের হাতছাড়া হবে। যারা মিথ্যা কথা বলে এবং প্রতারণা করে তারা নিজেদের দেশ থেকে বিতাড়িত হবে।
1 প্রেরিত পৌলের কাছ থেকে শুভেচ্ছা; প্রেরিতহবার জন্য কোন মানুষ বা মানুষের মাধ্যমে আমাকে মনোনীত করা হয় নি, বরং যীশু খ্রীষ্ট ও পিতা ঈশ্বর, যিনি যীশুকে মৃতদের মধ্য থেকে উত্থিত করেছেন, তাঁর মাধ্যমেই আমি প্রেরিত পদে মনোনীত হয়েছি। 2 আমি পৌল এবং অন্য ভাইরা যাঁরা আমার সাথে আছেন, আমরা গালাতীয়ার[a] মণ্ডলীদের উদ্দেশ্যে এই চিঠি লিখছি।
3 আমাদের পিতা ঈশ্বর ও প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ, দয়া ও শান্তি তোমাদের ওপর বর্তাক। 4 যীশু আমাদের পাপের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন, যাতে, যে মন্দ জগতে আমরা বাস করি তার থেকে যেন তিনি আমাদের রক্ষা করতে পারেন। আমাদের পিতা ঈশ্বর তাই চেয়েছিলেন। 5 যুগে যুগে ঈশ্বরের মহিমা হোক্। আমেন।
কেবলমাত্র একটিই সত্য সুসমাচার
6 আমি তোমাদের দেখে আশ্চর্য হচ্ছি যে, যিনি খ্রীষ্টের অনুগ্রহের মাধ্যমে তোমাদের আহ্বান করেছিলেন তোমরা সেই ঈশ্বরের কাছ থেকে কত শীঘ্র সরে গিয়ে এক ভিন্ন সুসমাচারে বিশ্বাস করছ। 7 এটা সুসমাচারের কোন ভাষান্তর নয় কিন্তু কিছু লোক তোমাদের বিভ্রান্ত করছে। তারা খ্রীষ্টের সুসমাচারকে বিকৃত করতে চাইছে। 8 আমরা তোমাদের কাছে যে সত্য সুসমাচার প্রচার করেছি তার থেকে ভিন্ন কোন সুসমাচার যদি আমাদের কেউ বা কোন স্বর্গদূত এসেও প্রচার করে, তবে সে অভিশপ্ত হোক্। 9 এর আগেও আমরা একথা বলেছি; সেই একই কথা আবার বলছি; তোমরা যে সুসমাচার গ্রহণ করেছিলে তাছাড়া অন্য কোন সুসমাচার যদি কেউ তোমাদের কাছে প্রচার করে তবে এমন ব্যক্তি অভিশপ্ত হোক্।
10 তোমাদের কি মনে হয় আমাকে গ্রহণ করার জন্য আমি লোকদের কাছে চেষ্টা চালাচ্ছি? তা নয়, বরং একমাত্র ঈশ্বরকেই আমি সন্তুষ্ট করতে চাইছি। আমি কি মানুষকে খুশী করতে চাইছি? আমি যদি মানুষকে খুশী করতে চাইতাম তাহলে খ্রীষ্টের দাস হতাম না।
পৌলের কর্ত্তৃত্ব ঈশ্বর হতে পাওয়া
11 ভাইরা, আমি চাই তোমরা জান যে, যে সুসমাচার আমি তোমাদের কাছে প্রচার করেছি তা কোন মানুষের মতানুযায়ী নয়। 12 কারণ সেই বার্তা আমি কোন মানুষের কাছ থেকে পাই নি; কোন মানুষ আমাকে তা শেখায় নি, বরং যীশু খ্রীষ্টই আমার কাছে তা প্রকাশ করেছেন।
13 তোমরা তো শুনেছ আমি আগে কেমন জীবনযাপন করতাম। আমি ইহুদী ধর্মমতাবলম্বী ছিলাম। আমি নির্মমভাবে ঈশ্বরের মণ্ডলীকে নির্যাতন করে তা ধ্বংস করতে চেষ্টা করেছিলাম। 14 ইহুদী ধর্মচর্চায় সমসাময়িক ও আমার সমবয়সী অন্যান্য ইহুদীদের থেকে আমি অনেক এগিয়েছিলাম, কারণ পূর্বপুরুষদের পরম্পরাগত রীতিনীতি পালনে আমার যথেষ্ট উদ্যোগ ছিল।
15 আমার জন্মাবার আগে থেকেই ঈশ্বর আমাকে বেছে নেন এবং নিজ অনুগ্রহে তাঁর সেবা করার জন্য আমাকে ডাকেন। 16 আমি যেন অইহুদীদের কাছে তাঁর পুত্রের বিষয় সুসমাচার প্রচার করি সেইজন্য ঈশ্বর তাঁর পুত্রের বিষয়ে আমার কাছে প্রকাশ করতে মনস্থ করলেন। ঈশ্বর যখন আমাকে ডাকলেন তখন আমি কোন মানুষের সঙ্গে পরামর্শ করি নি, 17 এমন কি আমার আগে যাঁরা প্রেরিত হয়েছিলেন তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে আমি জেরুশালেমে যাই নি; কিন্তু কাল বিলম্ব না করে আমি আরব দেশে চলে গেলাম। পরে দম্মেশক শহরে ফিরে গেলাম।
18 তারপর তিন বছর বাদে পিতরের সঙ্গে পরিচিত হতে জেরুশালেমে যাই ও পিতরের সঙ্গে আমি পনেরো দিন থাকি। 19 সেখানে আমি প্রভুর ভাই যাকোব ছাড়া আর কোন প্রেরিতকে দেখি নি। 20 ঈশ্বর জানেন যে যেসব কথা আমি লিখছি সেগুলি মিথ্যা নয়। 21 তারপর আমি সুরিয়ার ও কিলিকিয়ার অঞ্চলগুলিতে চলে যাই।
22 এর পূর্বে যিহূদার কোন খ্রীষ্ট মণ্ডলী আমায় ব্যক্তিগতভাবে চিনত না। 23 তারা শুধু আমার সম্বন্ধে শুনেছিল, “যে লোকটি আগে আমাদের নির্যাতন করত, সে এখন সেই বিশ্বাসের বাণী প্রচার করছে, যা সে পূর্বে ধ্বংস করতে চেয়েছিল।” 24 আর তারা আমার কারণে ঈশ্বরের প্রশংসা করতে লাগল।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International