Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

M’Cheyne Bible Reading Plan

The classic M'Cheyne plan--read the Old Testament, New Testament, and Psalms or Gospels every day.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
যাত্রা 12:22-51

22 এক আঁটি করে এসোব নিয়ে পাত্রে রাখা রক্তে ডুবিয়ে তা দিয়ে দরজার কাঠামোর ওপর ও পাশের দিক রঙ করো। সকালের আগে কেউ নিজের বাড়ী ত্যাগ করবে না। 23 এই সময়, প্রভু মিশরের ভেতর দিয়ে মিশরীয়দের হত্যা করতে যাবেন। যখন তিনি দরজার কাঠামোর পাশে ও ওপরে রক্তের প্রলেপ দেখবেন, তখন তিনি সেই দরজাগুলোর ওপর দিয়ে যাবেন। প্রভু ধ্বংসকারীকে তোমাদের বাড়ীতে এসে আঘাত করতে দেবেন না। 24 তোমরা অবশ্যই এই আদেশ মনে রাখবে, এই নিয়ম তোমাদের ও তোমাদের উত্তরপুরুষদের জন্য চিরকাল থাকবে। 25 যখন তোমরা প্রভুর প্রতিশ্রুতি মত তাঁর দেওয়া ভূখণ্ডে যাবে তখন তোমাদের এই জিনিসগুলি অবশ্যই মনে রাখতে হবে। 26 যখন তোমাদের সন্তানরা জিজ্ঞাসা করবে, ‘আমরা কেন এই উৎসব করছি?’ 27 তখন তোমরা বলবে, ‘এই নিস্তারপর্ব প্রভুকে সম্মান জানাবার জন্য। কেন? কারণ যখন আমরা মিশরে ছিলাম তখন প্রভু আমাদের ইস্রায়েলবাসীদের বাড়ীগুলিকে নিস্তার দিয়েছিলেন। প্রভু মিশরীয়দের হত্যা করেছিলেন কিন্তু আমাদের লোকদের বাড়ীগুলো রক্ষা করেছিলেন।’”

সুতরাং লোকে নত হয়ে প্রভুর উপাসনা করল। 28 প্রভু মোশি ও হারোণকে এই আদেশ দিয়েছিলেন তাই ইস্রায়েলবাসী প্রভুর আদেশমতো কাজ করল।

29 মধ্যরাতে মিশরের সমস্ত প্রথম নবজাতক পুত্রদের প্রভু হত্যা করেছিলেন। ফরৌণের প্রথমজাত পুত্র থেকে জেলের বন্দীর প্রথমজাত পুত্র পর্যন্ত। সমস্ত পশুর প্রথমজাত শাবককেও হত্যা করা হল। 30 সেই রাতে মিশরের প্রত্যেক ঘরে কেউ না কেউ মারা গেল। ফরৌণ, তাঁর কর্মচারী ও মিশরের সমস্ত লোক উচ্চস্বরে কান্না শুরু করল।

ইস্রায়েলীয়দের মিশর ত্যাগ

31 তাই, সেই রাতে ফরৌণ মোশি ও হারোণকে ডেকে বললেন, “উঠে পড়, আমাদের সকলকে ছেড়ে দাও এবং চলে যাও। তুমি ও তোমার ইস্রায়েলের লোকরা যা ইচ্ছা তাই করতে পার। তোমরা যেমন বলেছিলে, গিয়ে প্রভুর উপাসনা কর। 32 তোমাদের চাহিদা মতো সমস্ত গরু ও মেষের দল তোমরা নিয়ে যেতে পারো। যাও! যখন তোমরা যাবে আমায় আশীর্বাদ করার জন্য প্রভুর কাছে প্রার্থনা করো।” 33 মিশরীয়রা তাদের তাড়াতাড়ি চলে যাবার জন্য মিনতি করল। কেন? কারণ তারা বলল, “তোমরা না চলে গেলে আমরা সকলে মারা যাব!”

34 ইস্রায়েলীয়রা তাদের রুটিতে খামির দেবার সময় পেল না। তারা ভিজে ময়দার তালের পাত্র কাপড়ে জড়িয়ে কাঁধে বয়ে নিয়ে চলল। 35 তারপর ইস্রায়েলের লোকরা মোশির কথামতো তাদের মিশরীয় প্রতিবেশীদের কাছে গিয়ে কাপড় ও সোনা রূপার তৈরী জিনিস চাইল।

36 প্রভু মিশরীয়দের ইস্রায়েলীয়দের প্রতি দয়ালু করে তুললেন যাতে মিশরীয়রা তাদের ধনসইদ ইস্রায়েলবাসীদের হাতে তুলে দেয়! এইভাবে, ইস্রায়েলীয়রা মিশরীয়দের লুন্ঠন করল।

37 ইস্রায়েলের লোকরা রামিষেষ থেকে সুক্কোতে যাত্রা করল। শিশুরা ছাড়াই সেখানে প্রায় 600,000 লোক ছিল। 38 সেখানে প্রচুর মেষ, গবাদি পশু এবং জিনিসপত্র ছিল। তাদের সঙ্গে অনেক অ-ইস্রায়েলীয় লোক গিয়েছিল। 39 যেহেতু তাদের মিশরের বাইরে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল, সেই হেতু তারা মাখা ময়দায়়, যেটা তারা মিশর থেকে এনেছিল, খামির মেশাবার সময় পায়নি। এবং যাত্রার জন্য কোন বিশেষ খাবার প্রস্তুত করারও সময় হয় নি। তাই তারা খামিরবিহীন রুটিই সেঁকে নিয়েছিল।

40 ইস্রায়েলীয়বাসীরা 430 বছর ধরে মিশরে বাস করেছিল। 41 প্রভুর সৈন্যরা[a] 430 বছর পর সেই বিশেষ দিনে মিশর ত্যাগ করেছিল। 42 তাই সেটা ছিল একটি বিশেষ রাত্রি কারণ প্রভু তাদের মিশর থেকে বাইরে বার করে আনার জন্য লক্ষ্য রাখছিলেন। সেইভাবে, সমস্ত ইস্রায়েলবাসীরা প্রভুকে সম্মান জানানোর জন্য চিরকাল এই বিশেষ রাতটির প্রতি লক্ষ্য রাখবে।

43 প্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন, “এই হল নিস্তারপর্বের বলির নিয়মাবলী: কোন বিদেশী এই নিস্তারপর্বে আহার করবে না। 44 কিন্তু যদি কোন ব্যক্তি কোন দাস কেনে এবং তাকে সুন্নৎ করায় তাহলে সেই দাস নিস্তারপর্ব খেতে পারবে। 45 কিন্তু যে লোক তোমার দেশের একজন সাময়িক বাসিন্দা বা ভাড়া করা কর্মী তার নিস্তারপর্ব ভোজ খাওয়া উচিৎ‌ নয়। এই নিস্তারপর্ব শুধুমাত্র ইস্রায়েলের লোকদের জন্য।

46 “প্রত্যেক পরিবার একটি বাড়ীতেই আহার করবে। কোনও খাবার বাড়ীর বাইরে যাবে না, মেষ শাবকের কোন হাড় ভাঙ্গবে না। 47 সমস্ত ইস্রায়েল প্রজাতির মানুষ এই উৎসব পালন করবে। 48 যদি ইস্রায়েলীয় ছাড়া অন্য কোন উপজাতির লোক তোমাদের সঙ্গে থাকে এবং তোমাদের খাবারে ভাগ বসাতে চায় তবে তাকে এবং তার পরিবারের প্রত্যেক পুরুষকে সুন্নৎ করাতে হবে। তাহলে সে অন্যান্য ইস্রায়েলীয়দের সমকক্ষ হয়ে যাবে এবং তাদের সঙ্গে খাবার ভাগ করে খেতে পারবে। কিন্তু যদি কোন ব্যক্তির সুন্নৎ না করানো হয় তবে সে এই খাবার আহার করতে পারবে না। 49 এই নিয়ম সকলের জন্যই প্রযোজ্য। এই নিয়মটি ইস্রায়েলীয় অথবা অ-ইস্রায়েলীয় সকলের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য।”

50 তাই প্রভু মোশি ও হারোণকে যা আদেশ দিয়েছিলেন সমস্ত ইস্রায়েলের লোক তা পালন করল। 51 তাই সেই দিন প্রভু এইভাবে দলে দলে ইস্রায়েলবাসীদের মিশর দেশ থেকে বাইরে বার করে আনলেন।

লূক 15

স্বর্গে আনন্দ

(মথি 18:12-14)

15 অনেক করআদায়কারী ও পাপী লোকেরা প্রায়ই যীশুর কথা শোনার জন্য আসত। এতে ফরীশী ও ব্যবস্থার শিক্ষকরা এই বলে তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করতে লাগল, “এই লোকটা জঘন্য পাপী লোকদের সঙ্গে মেলামেশা ও খাওয়া দাওয়া করে।”

তখন যীশু তাদের কাছে এই দৃষ্টান্ত দিলেন, “যদি তোমাদের মধ্যে কারোর একশোটি ভেড়া থাকে, তার মধ্যে থেকে একটা হারিয়ে যায়, তবে সে কি মাঠের মধ্যে বাকি নিরানব্বইটা রেখে যেটা হারিয়ে গেছে তাকে না পাওয়া পর্যন্ত তার খোঁজ করবে না? আর যখন সে ঐ ভেড়াটাকে খুঁজে পায়, তখন তাকে আনন্দের সঙ্গে কাঁধে তুলে নেয়। তারপর বাড়ি এসে তার বন্ধুবান্ধব ও প্রতিবেশীদের ডেকে বলে, ‘এস, আমার সঙ্গে তোমরাও আনন্দ কর, কারণ আমার যে ভেড়াটা হারিয়ে গিয়েছিল তাকে আমি খুঁজে পেয়েছি।’ আমি তোমাদের বলছি, ঠিক সেইভাবে নিরানব্বই জন ধার্মিক, যাদের মন পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই তাদের থেকে একজন পাপী যদি ঈশ্বরের কাছে মন ফিরায়, তাকে নিয়ে স্বর্গে মহানন্দ হয়।

“ধর, কোন একজন স্ত্রীলোকের দশটা রূপোর সিকির একটা হার ছিল। তার মধ্য থেকে সে যদি একটা হারিয়ে ফেলে, তাহলে সে কি প্রদীপ জ্বেলে সেই সিকিটি না পাওয়া পর্যন্ত ঘরের প্রতিটি জায়গা ভাল করে ঝাঁট দিয়ে খুঁজে দেখবে না? আর সে তা খুঁজে পেলে তার বন্ধু-বান্ধব ও প্রতিবেশীদের ডেকে বলবে, ‘এস, আমার সঙ্গে আনন্দ কর, কারণ আমার যে সিকিটি হারিয়ে গিয়েছিল তা আমি খুঁজে পেয়েছি।’ 10 আমি তোমাদের বলছি, ঠিক এইভাবে একজন পাপী যখন মন-ফিরায়, তখন ঈশ্বরের স্বর্গদূতদের সামনে আনন্দ হয়।”

গৃহত্যাগী ছেলে

11 এরপর যীশু বললেন, “একজন লোকের দুটি ছেলে ছিল। 12 ছোট ছেলেটি তার বাবাকে বলল, ‘বাবা, সম্পত্তির যে অংশ আমার ভাগে পড়বে তা আমায় দিয়ে দাও।’ তখন বাবা দুই ছেলের মধ্যে সম্পত্তি ভাগ করে দিলেন।

13 “কিছু দিন পর ছোট ছেলে তার সমস্ত কিছু নিয়ে দূর দেশে চলে গেল। সেখানে সে উচ্ছৃঙ্খল জীবন-যাপন করে সমস্ত টাকা পয়সা উড়িয়ে দিল। 14 তার সব টাকা পয়সা খরচ হয়ে গেলে সেই দেশে ভীষণ দুর্ভিক্ষ দেখা দিল আর সেও অভাবে পড়ল। 15 তাই সে সেই দেশের এক ব্যক্তির কাছে দিন মজুরীর একটা কাজ চাইল। সেই ব্যক্তি তাকে তার শুয়োর চরাবার জন্য মাঠে পাঠিয়ে দিল। 16 শুয়োর যে শুঁটি খায় তা খেয়ে সে তার পেট ভরাতে চাইত, কিন্তু কেউ তাকে তাও দিত না।

17 “শেষ পর্যন্ত একদিন তার চেতনা হল, আর সে বলল, ‘আমার বাবার কাছে কত মজুর পেট ভরে খেতে পায় আর এখানে আমি খিদের জ্বালায় মরছি। 18 আমি উঠে আমার বাবার কাছে যাব, তাকে বলব, বাবা, আমি ঈশ্বরের বিরুদ্ধে ও তোমার বিরুদ্ধে অন্যায় পাপ করেছি। 19 তোমার ছেলে বলে পরিচয় দেবার কোন যোগ্যতা আর আমার নেই। তোমার চাকরদের একজনের মতো করে তুমি আমায় রাখ!’ 20 এরপর সে উঠে তার বাবার কাছে গেল।

ছেলের প্রত্যাবর্তন

“সে যখন বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে আছে, এমন সময় তার বাবা তাকে দেখতে পেলেন, বাবার অন্তর দুঃখে ভরে গেল। বাবা দৌড়ে গিয়ে ছেলের গলা জড়িয়ে ধরে তাকে চুমু খেলেন। 21 ছেলে তখন তার বাবাকে বলল, ‘বাবা, আমি ঈশ্বরের দৃষ্টিতে ও তোমার কাছে অন্যায় ও পাপ করেছি। তোমার ছেলে বলে পরিচয় দেবার যোগ্যতা আমার নেই।’

22 “কিন্তু তার বাবা চাকরদের ডেকে বললেন, ‘তাড়াতাড়ি কর, সব থেকে ভাল জামাটা নিয়ে এসে একে পরিয়ে দাও। এর হাতে আংটি ও পায়ে জুতো পরিয়ে দাও। 23 হৃষ্টপুষ্ট একটা বাছুর নিয়ে এসে সেটা কাট, আর এস, আমরা সবাই মিলে খাওয়া-দাওয়া করি, আনন্দ করি! 24 কারণ আমার এই ছেলেটা মারা গিয়েছিল আর এখন সে জীবন ফিরে পেয়েছে! সে হারিয়ে গিয়েছিল, এখন তাকে খুঁজে পাওয়া গেছে।’ এই বলে তারা সকলে আনন্দ করতে লাগল।

বড় ছেলের প্রতিক্রিয়া

25 “সেই সময় তাঁর বড় ছেলে মাঠে ছিল। বাড়ির কাছাকাছি এসে সে বাজনা আর নাচের শব্দ শুনতে পেল। 26 তখন সে একজন চাকরকে ডেকে জিজ্ঞাসা করল, ‘কি ব্যাপার, এসব কি হচ্ছে?’ 27 চাকরটি বলল, ‘আপনার ভাই এসেছে, আর সে সুস্থ শরীরে নিরাপদে ফিরে এসেছে বলে আপনার বাবা হৃষ্টপুষ্ট বাছুর কেটে ভোজের আয়োজন করেছেন।’

28 “এই শুনে বড় ছেলে খুব রেগে গেল, সে বাড়ির ভেতরে যেতে চাইল না। তখন তার বাবা বেরিয়ে এসে তাকে সান্ত্বনা দিলেন। 29 কিন্তু সে তার বাবাকে বলল, ‘দেখ, এত বছর ধরে আমি তোমাদের সেবা করেছি, কখনও তোমার কথার অবাধ্য হই নি। তবু আমার বন্ধুদের সঙ্গে একটু আমোদ করার জন্য তুমি আমায় কখনও একটা ছাগলও দাও নি। 30 কিন্তু তোমার এই ছেলে যে বেশ্যাদের পেছনে তোমার টাকা উড়িয়ে দিয়েছে, সে যখন এল তখন তুমি তার জন্য হৃষ্টপুষ্ট বাছুর কাটলে।’

31 “তার বাবা তাকে বললেন, ‘বাছা, তুমি তো সব সময় আমার সঙ্গে সঙ্গে আছ; আর আমার যা কিছু আছে সবই তো তোমার। 32 কিন্তু আমাদের আনন্দিত হয়ে উৎসব করা উচিত, কারণ তোমার এই ভাই মরে গিয়েছিল আর এখন সে জীবন ফিরে পেয়েছে। সে হারিয়ে গিয়েছিল, এখন তাকে খুঁজে পাওয়া গেছে।’”

ইয়োব 30

30 “কিন্তু এখন, যারা আমার চেয়েও বয়সে ছোট তারা আমাকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করে।
    এবং তাদের পিতারা এতোই অপদার্থ ছিল যে, আমার মেষগুলোকে যে কুকুর পাহারা দেয়—আমি ওদের সেই কুকুরের সঙ্গেও রাখতে চাইনি।
ঐসব যুবকের পিতারা এতোই দুর্বল যে ওরা আমার সাহায্যে আসবে না।
    তারা এখন বৃদ্ধ ও ক্লান্ত হয়েছে, তাদের পেশীগুলো এখন আর শক্ত ও মজবুত নেই।
তারা মৃত মানুষের মতো অনাহারে শুকিয়ে রয়েছে।
    তাই তারা মরুভূমির শুকনো ধূলো খায়।
তারা মরুভূমির নোনা মাটির গাছ উপড়ে নেয়।
    তারা মরুভূমির এক রকম গাছের শিকড় খায়।
তারা তাদের দল থেকে বিতাড়িত হয়েছে।
    লোকে এমন ভাবে ওদের দিকে চিৎকার করে যেন ওরা চোর।
তারা নদীর শুকনো উপত্যকায়, পাহাড়ের গুহায়
    অথবা মাটির গর্তে বাস করতে বাধ্য হয়।
তারা মরুভূমির ঝোপঝাড়ে গাধার মত ডাক ছাড়ে
    এবং কাঁটাঝোপের নীচে গাদাগাদি করে জমা হয়।
তারা নামহীন একদল অপদার্থ লোক
    যারা নিজেদের দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে!

“এখন ঐসব লোকদের পুত্ররা আমায় নিয়ে গান বেঁধে আমায় উপহাস করে।
    আমার নামটাই এখন ওদের কাছে একটা বাজে শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
10 এখন ঐ যুবকরা আমায় ঘৃণা করে এবং আমার থেকে দূরে দাঁড়ায়।
    তারা নিজেদের আমার থেকে ভালো মনে করে।
    তারা, এমনকি আমার মুখে থুতুও দেয়!
11 ঈশ্বর আমার ধনুক থেকে গুণ (ছিলা) কেড়ে নিয়ে আমায় দুর্বল করে দিয়েছেন।
    ঐ মন্দ লোকরা ওদের সমস্ত ক্রোধ নিয়ে আমার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে।
12 তারা আমার ডানদিক থেকে আক্রমণ করে।
    তারা আমাকে লাথি মেরে ফেলে দিয়েছে।
    আমার মনে হয় যেন একটা শহরকে আক্রমণ করা হল: আমাকে আক্রমণ করে ধ্বংস করার জন্য তারা আমার প্রাচীরে একটা রাস্তা তৈরী করেছে।
13 তারা আমার রাস্তা ছিন্ন-ভিন্ন করে দিয়েছে।
    তারা আমাকে ধ্বংস করতে সফল হয়েছে। তাদের থামাবার কেউ নেই।
14 তারা একটা সৈন্যদলের মত যারা দেওয়াল ভেঙে একটা বড় গর্ত করেছে
    এবং পাথর কুচির ওপর দিয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে আমার ঘাড়ে পড়েছে।
15 সন্ত্রাস আমাকে গ্রাস করেছে।
    আমার সম্মান বাতাসের মত মুছে গেছে।
    আমার নিরাপত্তা মেঘের মতোই অদৃশ্য হয়ে গেছে।

16 “আমার জীবন প্রায় শেষ হয়ে এসেছে এবং আমি খুব শীঘ্রই মারা যাবো।
    দুর্ভোগের দিন আমাকে আঁকড়ে ধরেছে।
17 রাতে আমার হাড়ে ব্যথা করে।
    আমার যন্ত্রণা বন্ধ হয় না।
18 ঈশ্বর আমার বস্ত্র কেড়ে নিয়েছেন,
    এবং আমার বস্ত্র মুচড়ে বিকৃত আকার করে দিয়েছেন।
19 ঈশ্বর আমায় কাদায় ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন
    এবং আমি ধূলা ও ছাই এর মত হয়ে গিয়েছি।

20 “ঈশ্বর, আপনার সাহায্যের জন্য আমি আপনার কাছে কাঁদি কিন্তু আপনি শোনেন না।
    আমি দাঁড়িয়ে পড়ে প্রার্থনা করি, কিন্তু আমার দিকে আপনি কোন মনোযোগ দেন না।
21 ঈশ্বর, আপনি আমার প্রতি নীচ ব্যবহার করেছেন।
    আমাকে আঘাত করবার জন্য আপনি আপনার ক্ষমতা ব্যবহার করেছেন।
22 ঈশ্বর, আপনি শক্তিশালী বাতাসকে আমাকে উড়িয়ে নিয়ে যেতে দিয়েছেন।
    আপনি আমাকে ঝড়ের মধ্যে ফেলেছেন।
23 আমি জানি আপনি আমায় মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাবেন।
    প্রত্যেকটি জীবন্ত ব্যক্তি অবশ্যই মারা যাবে।

24 “কিন্তু, যে ইতিমধ্যেই বিধ্বস্ত ও সাহায্যের জন্য কাতর আর্জি জানাচ্ছে,
    তাকে নিশ্চয়ই কোন লোক আঘাত করবে না।
25 ঈশ্বর, আপনি জানেন যে, যে লোকরা সংকটে পড়েছিলো আমি তাদের জন্য কেঁদেছিলাম।
    আপনি জানেন যে দরিদ্র লোকেদের জন্য আমার অন্তর কতখানি কাতর ছিলো।
26 কিন্তু যখন আমি ভালো জিনিস চাইলাম, তখন বিনিময়ে খারাপ জিনিস পেলাম।
    যখন আমি আলো চাইলাম, অন্ধকার এলো।
27 আমি ভেতরে ভেতরে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছি।
    আমার দুর্ভোগ শেষ হচ্ছে না।
    আমি দিনের পর দিন ভুগে চলেছি।
28 আমি সব সময়ই দুঃখী এবং বিমর্ষ।
    আমি মণ্ডলীর মধ্যে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে সাহায্য চাই।
29     মরুভূমির বুনো কুকুর এবং উটপাখীর মত
    আমি বরাবরই নিঃসঙ্গ।
30 আমার চামড়া পুড়ে খোসা হয়ে উঠে যাচ্ছে।
    জ্বরে আমার দেহ উত্তপ্ত হয়ে আছে।
31 আমার বীণা দুঃখের গান গাইতে শুরু করেছে।
    আমার বাঁশিও দুঃখের কান্নায় ভরে উঠেছে।

1 করিন্থীয় 16

অন্য বিশ্বাসীদের জন্য অর্থ সংগ্রহ

16 এখন ঈশ্বরের লোকদের দেবার জন্য অর্থ সংগ্রহের বিষয় বলছি: গালাতীয়ার মণ্ডলীকে আমি যেমন বলেছিলাম তোমরাও তেমন করবে; সপ্তাহের প্রথম দিন রবিবার তোমরা তোমাদের উপার্জন থেকে সঙ্গতি অনুসারে যতটা সম্ভব বাঁচিয়ে সেই অর্থ গৃহে বিশেষ কোন স্থানে আলাদা করে জমাবে। তাহলে আমি যখন আসব তখন অর্থ সংগ্রহ করার প্রয়োজন হবে না। আমি যখন পৌঁছব, তখন তোমরা যাদের যোগ্য বলে মনে করবে তাদের হাত দিয়ে সেই অর্থ জেরুশালেমে পাঠাবে। আমার লেখা চিঠি পরিচয়পত্র হিসাবে তারা নিয়ে যাবে; আর আমার যাওয়া যদি ঠিক বলে মনে হয় তবে তারা আমার সঙ্গেই যাবে।

পৌলের পরিকল্পনা

আমি মাকিদনিয়া হয়ে যাবার পরিকল্পনা করছি। মাকিদনিয়ার মধ্য দিয়ে যাবার পথে তোমাদের ওখানে যাব। সম্ভব হলে হয়তো কিছুদিন তোমাদের ওখানে থেকে যাব। শীতকালটা হয়তো তোমাদের ওখানেই কাটাব। এরপর তোমাদের কাছ থেকে আমি যেখানে যাব, আমার সেখানে যাবার ব্যবস্থায় তোমরা সাহায্য করতে পারবে। এখন যাত্রাপথে তোমাদের সঙ্গে দেখা করতে চাই না। প্রভুর ইচ্ছা হলে তোমাদের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটাবার ইচ্ছা আছে। পঞ্চাশত্তমীর দিন পর্যন্ত আমি ইফিষে থাকব। কারণ এখানে যে কাজে ফল পাওয়া যায় সেই রকম কাজের জন্য একটা মস্ত বড় সুযোগ আমার সামনে এসেছে, যদিও এখানে অনেকে বিরোধিতা করছে।

10 তীমথিয় তোমাদের কাছে যেতে পারেন, তাঁকে আদর যত্ন করো। দেখো তোমাদের সঙ্গে তিনি যেন নির্ভয়ে থাকতে পারেন। তিনিও আমার মতো প্রভুর কাজ করছেন, কেউ যেন তাঁকে তাচ্ছিল্য না করে। 11 তাঁকে তোমরা তাঁর যাত্রা পথে শান্তিতে এগিয়ে দিও, যেন তিনি আমার কাছে আসতে পারেন। ভাইদের সঙ্গে নিয়ে তিনি আমার কাছে আসবেন এই প্রত্যাশায় আছি।

12 এখন আমি তোমাদের ভাই আপল্লোর বিষয়ে বলি: আমি তাঁকে অনেক ভাবে উৎসাহিত করেছি যেন তিনি অন্যান্য ভাইদের সঙ্গে তোমাদের কাছে যান। কিন্তু এটা পরিষ্কার যে তোমাদের কাছে যাবার ইচ্ছা তাঁর এখন নেই। তিনি সুযোগ পেলেই তোমাদের কাছে যাবেন।

পৌলের চিঠির শেষ কথা

13 তোমরা সতর্ক থেকো, বিশ্বাসে স্থির থেকো, সাহস যোগাও, বলবান হও। 14 তোমরা যা কিছু কর তা ভালবাসার সঙ্গে কর।

15 আমার ভাইরা, আমি তোমাদের কাছে একটা অনুরোধ করছি, তোমরা স্তিফান ও তাঁর পরিবারের বিষয়ে জান। আখায়াতে (গ্রীসে) তাঁরাই প্রথম খ্রীষ্টানুসারী হন। এখন তাঁরা খ্রীষ্টানুসারীদের সেবায় নিজেদের নিয়োগ করেছেন। ভাইরা, তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ, 16 তোমরা এইরকম লোকদের, যারা প্রভুর সেবায় নিযুক্ত আছেন, তাঁদের নেতৃত্ব মেনে নাও।

17 আমি খুব খুশী কারণ স্তিফান, ফর্তুনাত আর আখায়া এখানে এসে তোমাদের না থাকার অভাব পূর্ণ করে দিয়েছেন। 18 তাঁরা তোমাদের মতো আমার আত্মাকে তৃপ্ত করেছেন। তাই তোমরা এরূপ লোকদের চিনতে ভুল করো না।

19 এশিয়ার সমস্ত মণ্ডলী তোমাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। আক্কিলা ও প্রিষ্কা আর তাঁদের বাড়িতে যারা উপাসনার জন্য সমবেত হন তাঁরা সকলে তোমাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। 20 তোমরা পরস্পর একে অপরকে পবিত্র চুম্বনে শুভেচ্ছা জানিও।

21 আমি পৌল, আমি নিজের হাতে এই শুভেচ্ছা বাণী লিখে পাঠালাম।

22 প্রভুকে যে ভালবাসে না তার ওপর অভিশাপ নেমে আসুক।

আমাদের প্রভু আসুন।

23 প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ তোমাদের সঙ্গে থাকুক।

24 খ্রীষ্ট যীশুতে তোমাদের সকলের জন্য আমার ভালবাসা রইল।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International