M’Cheyne Bible Reading Plan
প্রথম জাতকের মৃত্যু
11 প্রভু তখন মোশিকে বললেন, “মিশর এবং ফরৌণের বিরুদ্ধে আমি আরেকটি বিপর্যয় বয়ে আনব। তারপর, সে তোমাদের সবাইকে পাঠিয়ে দেবে। বস্তুত সে তোমাদের চলে যেতে বাধ্য করবে।[a] 2 তুমি ইস্রায়েলের লোকদের এই বার্তা পাঠাবে: ‘নারী ও পুরুষ নির্বিশেষে তোমরা নিজের নিজের প্রতিবেশীদের কাছ থেকে সোনা ও রূপোর অলঙ্কার চাইবে। 3 প্রভু মিশরীয়দের তোমাদের প্রতি দয়ালু করে তুলবেন। মিশরের লোকরা, এমনকি ফরৌণের কর্মচারীরা মোশিকে এক মহান ব্যক্তির মর্যাদা দেবে।’”
4 মোশি লোকদের জানাল, “প্রভু বলেছেন, ‘আজ মধ্যরাত নাগাদ আমি মিশরের মধ্যে দিয়ে যাব। 5 এবং তার ফলে মিশরীয়দের সমস্ত প্রথমজাত পুত্ররা মারা যাবে। রাজা ফরৌণের প্রথমজাত পুত্র থেকে শুরু করে যাঁতাকলে শস্য পেষনকারিণী দাসীর প্রথমজাত পুত্র পর্যন্ত সবাই মারা যাবে। এমনকি পশুদেরও প্রথম শাবক মারা যাবে। 6 তারপর সমস্ত মিশরে এমন জোরে কান্নার রোল উঠবে যা অতীতে কখনও হয় নি এবং যা ভবিষ্যতেও কখনও হবে না। 7 কিন্তু ইস্রায়েলের লোকদের কোনরকম ক্ষতি হবে না। এমন কি কোনো কুকুর পর্যন্ত ইস্রায়েলীয়দের অথবা তাদের পশুদের দিকে ঘেউ ঘেউ করে চিৎকার করবে না।’ এর ফলে, তোমরা বুঝতে পারবে আমি মিশরীয়দের থেকে ইস্রায়েলীয়দের সঙ্গে কতখানি অন্যরকম আচরণ করি। 8 তখন তোমাদের সমস্ত (মিশরীয় কর্মচারীরা) নতজানু হবে এবং আমার উপাসনা করবে। তারা বলবে, ‘তুমি তোমার সমস্ত লোককে তোমার সঙ্গে নিয়ে চলে যাও।’ তখন মোশি ক্রোধে ফরৌণকে ছেড়ে চলে গেল।”
9 প্রভু এরপর মোশিকে আরও বললেন যে, “ফরৌণ তোমার কথা শোনে নি। কেন শোনে নি? শোনে নি বলেই তো আমি মিশরের ওপর আমার মহাশক্তির প্রভাব দেখাতে পেরেছিলাম।” 10 মোশি ও হারোণ ফরৌণের কাছে গিয়েছিল এবং এই সমস্ত অলৌকিক কাজগুলো করেছিল। কিন্তু প্রভু ফরৌণের হৃদয়কে উদ্ধত করেছিলেন যাতে সে ইস্রায়েলীয়দের তার দেশ থেকে যেতে না দেয়।
নিস্তারপর্ব
12 মোশি ও হারোণ মিশরে থাকার সময় প্রভু তাদের বললেন, 2 “এই মাস হবে তোমাদের জন্য বছরের প্রথম মাস। 3 এই আদেশ সমস্ত ইস্রায়েলবাসীর জন্য: এই মাসের দশম দিনে প্রত্যেকে তার বাড়ীর জন্য একটি করে পশু জোগাড় করবে। পশুটি একটি মেষ অথবা একটি ছাগলও হতে পারে। 4 যদি তার বাড়ীতে একটি গোটা পশুর মাংস খাওয়ার মতো যথেষ্ট লোক না থাকে তবে সে তার কিছু প্রতিবেশীকে মাংস ভাগ করে খাওয়ার জন্য নিমন্ত্রণ করবে। প্রত্যেকের খাওয়ার জন্য যথেষ্ট মাংস থাকবে। 5 পশুটিকে হতে হবে একটি এক বছরের পুংশাবক এবং সম্পূর্ণরূপে স্বাস্থ্যবান। 6 মাসের চতুর্দশ দিন পর্যন্ত এই পশুটির ওপর তোমাদের নজর রাখতে হবে। সেই দিন ইস্রায়েলীয় মণ্ডলীর সমস্ত লোকরা এই পশুটিকে গোধুলি বেলায় হত্যা করবে। 7 তোমরা এই প্রাণীর রক্ত সংগ্রহ করে, যে বাড়ীতে লোকরা ভোজ খাবে সেই বাড়ীর দরজার কাঠামোর ওপরে ও পাশে এই রক্ত লাগিয়ে দেবে।
8 “এই দিন রাতে তোমরা মেষটিকে পুড়িয়ে তার মাংস খাবে। তোমরা তেঁতো শাক ও খামিরবিহীন রুটিও খাবে। 9 মেষটিকে কাঁচা অথবা জলে সিদ্ধ করা অবস্থায় তোমাদের খাওয়া উচিৎ হবে না, কিন্তু আগুনের তাপে সেঁকবে। মেষশাবকটির মাথা, পা এবং ভিতরের অংশ সব কিছুই অক্ষুন্ন থাকবে। 10 তোমরা সব মাংস রাতের মধ্যেই খেয়ে শেষ করবে। যদি পরদিন সকালে কিছু অবশিষ্ট থাকে তবে তা পুড়িয়ে ফেলবে।
11 “যখন তোমরা আহার করবে তখন তোমরা যাত্রার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে থাকার পোশাকে থাকবে। তোমাদের পায়ে জুতো থাকবে, হাতে ছড়ি থাকবে এবং তোমরা তাড়াহুড়ো করে খাবে। কারণ এ হল প্রভুর নিস্তারপর্ব।
12 “আমি মিশরীয়দের প্রথমজাত শিশুগুলিকে এবং তাদের সমস্ত পশুর প্রথমজাত শাবকগুলিকে হত্যা করব। এইভাবে, আমি মিশরের সমস্ত দেবতাদের ওপর রায় দেব যাতে তারা জানতে পারে যে আমিই প্রভু। 13 কিন্তু তোমাদের দরজায় লাগানো রক্ত একটি বিশেষ চিহ্নের কাজ করবে। যখন আমি ঐ রক্ত দেখব তখন আমি তোমাদের বাড়ীগুলোর ওপর দিয়ে চলে যাব। আমি শুধু মিশরের লোকদের ক্ষতি করব। এইসব মারাত্মক রোগে তোমাদের কোন ক্ষতি হবে না।
14 “তাই তোমরা সবসময় মনে রাখবে যে আজ তোমাদের একটি বিশেষ ছুটির দিন। তোমাদের উত্তরপুরুষরা এই ছুটির দিনের মাধ্যমে প্রভুকে সম্মান জানাবে। 15 এই ছুটিতে তোমরা সাতদিন ধরে খামিরবিহীন রুটি খাবে, ছুটির প্রথম দিনে তোমরা তোমাদের বাড়ী থেকে সমস্ত খামির সরিয়ে ফেলবে। এই ছুটিতে পুরো সাত দিন ধরে কেউ কোন খামির খাবে না। যদি কেউ সেটা খায় তবে সেই ব্যক্তিকে ইস্রায়েলীয়দের থেকে আলাদা করে দেওয়া হবে। 16 এই ছুটির প্রথম ও শেষ দিনে পবিত্র সমাগম অনুষ্ঠিত হবে। তোমরা এই দিনগুলোতে কোন কাজ করবে না। তোমরা এই দিনগুলিতে একমাত্র তোমাদের আহারের জন্য খাদ্য তৈরী করতে পারবে। 17 তোমরা খামিরবিহীন রুটির উৎসবের কথা মনে রাখবে। কেন? কারণ এই দিন আমি তোমাদের সব লোককে দলে দলে মিশর থেকে বের করে এনেছিলাম, তাই তোমাদের সব উত্তরপুরুষ এই দিনটি স্মরণ করবে, এই নিয়ম চিরকাল থাকবে। 18 তাই প্রথম মাসের চতুর্দশ দিন বিকেলে তোমরা খামিরবিহীন রুটি খাওয়া শুরু করবে। তোমরা ঐ রুটিটি ঐ মাসের একবিংশ দিনের সন্ধ্যা পর্যন্ত খাবে। 19 সাতদিন ধরে তোমাদের ঘরে কোন খামির থাকবে না, যে কোন ব্যক্তি সে ইস্রায়েলের নাগরিক হোক্ বা বিদেশী যে এই সময় খামির খাবে তাকে ইস্রায়েলের বাকি লোকদের থেকে আলাদা করে দেওয়া হবে। 20 এই ছুটিতে তোমরা অবশ্যই খামির খাবে না, তোমরা যেখানেই থাক না কেন খামিরবিহীন রুটি খাবে।”
21 তাই মোশি ইস্রায়েলীয়দের সমস্ত প্রবীণদের ডেকে বলল, “তোমাদের পরিবারের জন্য মেষশাবক জোগাড় কর এবং নিস্তারপর্বের জন্য মেষশাবকটিকে হত্যা কর।
বিশ্রামবারে আরোগ্যদান করা কি উচিত?
14 এক বিশ্রামবারে যীশু ফরীশীদের একজন নেতৃস্থানীয় লোকের বাড়িতে নিমন্ত্রণ খেতে গেলেন। সেখানে সমবেত লোকেরা যীশুর প্রতি লক্ষ্য রাখছিল। 2 যীশুর সামনে একটি লোক ছিল যে উদরী রোগে ভুগছিল। 3 যীশু তখন ব্যবস্থার শিক্ষক ও ফরীশীদের লক্ষ্য করে জিজ্ঞেস করলেন, “বিশ্রামবারে কাউকে সুস্থ করা কি বিধিসম্মত?” 4 কিন্তু তারা সকলে চুপ করে রইল। তখন যীশু সেই অসুস্থ লোকটিকে ধরে তাকে সুস্থ করলেন, পরে বিদায় নিলেন। 5 এরপর তিনি তাদের দিকে লক্ষ্য করে বললেন, “তোমাদের মধ্যে কারোর সন্তান বা গরু যদি বিশ্রামবারে কুয়োয় পড়ে যায় তাহলে তোমরা কি সঙ্গে সঙ্গে তাকে সেখান থেকে টেনে তুলবে না?” 6 তারা কেউ এই কথার জবাব দিতে পারল না।
নিজেকে বড় করে তুলো না
7 যীশু দেখলেন নিমন্ত্রিত অতিথিরা কিভাবে নিজেরাই ভোজের শ্রেষ্ঠ আসন দখল করার চেষ্টা করছে। তাই তিনি তাদের কাছে এই দৃষ্টান্তটি নিয়ে বললেন, 8 “বিয়ের ভোজে যখন কেউ তোমাদের নিমন্ত্রণ করে তখন সেখানে গিয়ে সম্মানের আসনটা দখল করে বসবে না। কারণ তোমার চেয়ে হয়তো আরো সম্মানিত কাউকে নিমন্ত্রণ করা হয়েছে। 9 তা করলে যিনি তোমাদের উভয়কেই নিমন্ত্রণ করেছেন, তিনি এসে তোমায় বলবেন, ‘এঁকে তোমার জায়গাটা ছেড়ে দাও!’ তখন তুমি লজ্জায় পড়বে, কারণ তোমাকে সবচেয়ে নীচু জায়গায় বসতে হবে।
10 “কিন্তু তুমি যখন নিমন্ত্রিত হয়ে যাও, সেখানে গিয়ে সবচেয়ে নীচু জায়গায় বসবে। যিনি তোমায় নিমন্ত্রণ করেছেন তিনি এসে এরকম দেখে তোমায় বলবেন, ‘বন্ধু এস, এই ভাল আসনে বস।’ তখন নিমন্ত্রিত অন্য সব অতিথিদের সামনে তোমার সম্মান হবে। 11 যে কেউ নিজেকে সম্মান দিতে চায় তাকে নত করা হবে, আর যে নিজেকে নত করে তাকে সম্মানিত করা হবে।”
কি করলে তুমি পুরস্কৃত হবে
12 তখন যে তাঁকে নিমন্ত্রণ করেছিল, তাকে যীশু বললেন, “তুমি যখন ভোজের আয়োজন করবে তখন তোমার বন্ধু, ভাই, আত্মীয়স্বজন বা ধনী প্রতিবেশীদের নিমন্ত্রণ করো না, কারণ তারা তোমাকে পাল্টা নিমন্ত্রণ করে প্রতিদান দেবে। 13 কিন্তু তুমি যখন ভোজের আয়োজন করবে তখন দরিদ্র, খোঁড়া, বিকলাঙ্গ ও অন্ধদের নিমন্ত্রণ করো। 14 তাতে যাদের প্রতিদান দেবার ক্ষমতা নেই, সেই রকম লোকদের নিমন্ত্রণ করার জন্য ধার্মিকদের পুনরুত্থানের সময় ঈশ্বর তোমায় পুরস্কার দেবেন।”
এক বিরাট ভোজের কাহিনী
(মথি 22:1-10)
15 যারা খেতে বসেছিল তাদের মধ্যে একজন এই কথা শুনে যীশুকে বলল, “ঈশ্বরের রাজ্যে যারা খেতে বসবে তারা সকলে ধন্য।”
16 তখন যীশু তাকে বললেন, “একজন লোক এক বিরাট ভোজের আয়োজন করেছিল আর সে অনেক লোককে নিমন্ত্রণ করেছিল। 17 ভোজ খাওয়ার সময় হলে সে তার দাসকে দিয়ে নিমন্ত্রিত লোকদের বলে পাঠাল, ‘তোমরা এস! কারণ এখন সবকিছু প্রস্তুত হয়েছে!’ 18 তারা সকলেই নানা অজুহাত দেখাতে শুরু করল। প্রথম জন তাকে বলল, ‘আমায় মাপ কর, কারণ আমি একটা ক্ষেত কিনেছি, তা এখন আমায় দেখতে যেতে হবে।’ 19 আর একজন বলল, ‘আমি পাঁচ জোড়া বলদ কিনেছি, এখন সেগুলি একটু পরখ করে নিতে চাই, তাই আমি যেতে পারব না; আমায় মাপ কর।’ 20 এরপর আর একজন বলল, ‘আমি সবে মাত্র বিয়ে করেছি, সেই কারণে আমি আসতে পারব না।’
21 “সেই দাস ফিরে গিয়ে তার মনিবকে একথা জানালে, তার মনিব রেগে গিয়ে তার দাসকে বলল, ‘যাও, শহরের পথে পথে, অলিতে গলিতে গিয়ে গরীব, খোঁড়া, পঙ্গু ও অন্ধদের ডেকে নিয়ে এস।’
22 “এরপর সেই দাস মনিবকে বলল, ‘প্রভু, আপনি যা যা বলেছেন তা করেছি, তা সত্ত্বেও এখনও অনেক জায়গা আছে।’ 23 তখন মনিব সেই দাসকে বলল, ‘এবার তুমি গ্রামের পথে পথে, বেড়ার ধারে ধারে যাও, যাকে পাও তাকেই এখানে আসবার জন্য জোর কর, যেন আমার বাড়ি ভরে যায়। 24 আমি তোমাদের বলছি, যাদের প্রথমে নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল, তাদের কেউই আমার এই ভোজের স্বাদ পাবে না!’”
প্রথমে পরিকল্পনা কর
(মথি 10:37-38)
25 যীশুর সঙ্গে সঙ্গে এক বিরাট জনতা চলেছিল, তাদের দিকে ফিরে যীশু বললেন, 26 “যদি কেউ আমার কাছে আসে অথচ তার বাবা, মা, স্ত্রী, সন্তান, ভাই-বোন, এমন কি নিজের প্রাণকেও আমার চেয়ে বেশী ভালবাসে সে আমার শিষ্য হতে পারবে না। 27 যে কেউ নিজের ক্রুশ কাঁধে তুলে নিয়ে আমায় অনুসরণ না করে, সে আমার শিষ্য হতে পারে না।
28 “তোমাদের মধ্যে কেউ যদি উঁচু একটি ঘর তুলতে চায়, তবে সে কি প্রথমে তা নির্মাণ করতে কত খরচ পড়বে তার হিসাব করে দেখবে না, যে তা শেষ করার মতো যথেষ্ট অর্থ তার আছে কি না? 29 তা না হলে সে ভিত গাঁথবার পর যদি তা শেষ করতে না পারে, তবে যারা সেটা দেখবে তারা সবাই তাকে নিয়ে ঠাট্টা করবে, আর বলবে, 30 এই লোকটা গাঁথতে শুরু করেছিল ঠিকই কিন্তু শেষ করতে পারল না।
31 “যদি একজন রাজা আর একজন রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যায়, তবে সে প্রথমে বসে চিন্তা করবে না যে তার মাত্র দশ হাজার সৈন্য বিপক্ষের বিশ হাজার সৈন্যের মোকাবিলা করতে পারবে কিনা? 32 যদি তা না পারে তবে তার শত্রু পক্ষ দূরে থাকতেই সে তার প্রতিনিধি পাঠিয়ে সন্ধির প্রস্তাব দেবে।
33 “ঠিক সেই রকম ভাবে তোমাদের মধ্যে যে কেউ তার সর্বস্ব ত্যাগ না করে, সে আমার শিষ্য হতে পারে না।”
তোমার প্রভাব যেন নষ্ট না হয়
(মথি 5:13; মার্ক 9:50)
34 “লবণ ভাল, তবে লবণের নোনতা স্বাদ যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে তা কি আবার নোনতা করা যায়? 35 তখন তা না জমির জন্য, না সারের গাদার জন্য উপযুক্ত থাকে, লোকে তা বাইরেই ফেলে দেয়।
“যার শোনার মতো কান আছে সে শুনুক।”
ইয়োব তাঁর কথা অব্যাহত রাখলেন
29 ইয়োব তাঁর কথোপকথন চালিয়ে গেলেন। ইয়োব বললেন:
2 “কয়েক মাস আগে আমার জীবন যেমন ছিলো, আমার জীবন তেমন হোক্ এই আশা করি।
সেই সময় ঈশ্বর আমার ওপর নজর রাখতেন, আমার বিষয়ে তিনি যত্ন নিতেন।
3 সেই সময় ঈশ্বর আমার ওপর জ্যোতি প্রদান করতেন।
তাই আমি অন্ধকারেও পথ হাঁটতে পারতাম। ঈশ্বর আমাকে বাঁচার প্রকৃত পথ দেখাতেন।
4 যে দিনগুলিতে আমি সফলকাম হয়েছিলাম, এবং ঈশ্বর আমার সঙ্গে ছিলেন, আমি সেই দিনগুলির আশায় থাকি।
সেই দিনগুলিতে ঈশ্বর আমার গৃহকে আশীর্বাদ করেছিলেন।
5 যখন ঈশ্বর, সর্বশক্তিমান আমার সঙ্গে ছিলেন এবং আমার সন্তান-সন্ততি আমার চারপাশে ছিল,
আমি সেই দিনগুলি আকাঙ্খা করি।
6 তখন জীবনটা খুব সুন্দর ছিল।
তখন আমি ননী দিয়ে আমার পা ধুয়েছি, তখন আমার কাছে প্রচুর পরিমাণে উত্তম মানের জলপাই তেল ছিল।
7 “তখন এমনি দিন ছিল যখন শহরের প্রবেশদ্বারে সর্বসাধারণের সভায়
আমি বয়স্ক লোকদের সঙ্গে বসতাম।
8 সেখানে প্রত্যেকে আমায় শ্রদ্ধা করতো।
যুবকরা যখন আমাকে দেখতে পেতো তখন তারা সরে দাঁড়াতো।
এমনকি বৃদ্ধরাও উঠে দাঁড়াত।
আমার প্রতি শ্রদ্ধা দেখাবার জন্য ওরা উঠে দাড়াত।
9 জন নেতারা কথা বলা বন্ধ করে দিত
এবং ঠোঁটের ওপর হাত দিয়ে অন্যান্য লোকদের চুপ করতে ইঙ্গিত করতো।
10 এমনকি গুরুত্বপূর্ণ নেতারাও মৃদু স্বরে কথা বলতেন।
হ্যাঁ, মনে হতো, তাঁদের জিভ যেন তালুতে আটকে গেছে।
11 আমি যা বলতাম লোকে তা শুনতো এবং আমার সম্পর্কে তারা ভালো কথা বলতো। আমি কি করতাম লোকে দেখতো এবং তারা আমার প্রশংসা করতো।
12 কেন? কারণ যখন দরিদ্র লোক সাহায্য চেয়েছে, আমি সাহায্য করেছি।
এবং যে অনাথদের দেখাশোনা করার কেউ নেই, তাদের আমি সাহায্য করেছি।
13 মৃতপ্রায় মানুষ আমাকে আশীর্বাদ করেছে।
সমস্যা-জর্জর বিধবাকে আমি সাহায্য করেছি।
14 সঠিক পথে জীবনযাপনই আমার বস্ত্র ছিল।
আমার শিরস্ত্রাণ ছিল আমার ন্যায়।
15 আমি অন্ধের কাছে চোখের মত ছিলাম।
তারা যেখানে যেতে চাইতো আমি নিয়ে যেতাম।
আমি খঞ্জলোকের কাছে তাদের পায়ের মত ছিলাম।
তারা যেখানে যেতে চাইত আমি বয়ে নিয়ে যেতাম।
16 আমি দরিদ্র লোকদের পিতার মত ছিলাম।
যাদের আমি একটুও চিনতাম না তাদেরও আমি সাহায্য করেছি, আদালতে তাদের মামলা জিতিয়েছি।
17 আমি দুষ্ট ব্যক্তির ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ করেছি
এবং তাদের হাত থেকে নির্দোষ লোকদের বাঁচিয়েছি।
18 “আমি সর্বদাই আমার পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভেবেছি,
আমি দীর্ঘ জীবন বেঁচে থেকে বৃদ্ধ হব।
19 আমি ভেবেছি আমি সেই বৃক্ষের মত স্বাস্থ্যবান ও প্রাণবন্ত হব
যে গাছের শিকড়ে প্রচুর জল আছে এবং যার শাখাপ্রশাখা শিশিরে সিক্ত হয়ে থাকে।
20 আমি ভেবেছি প্রত্যেকটি নতুন দিন উজ্জ্বলতর হবে
এবং নতুন সম্ভাবনায় ভরে উঠবে।
21 “অতীতে লোকরা আমার কথা শুনতো।
আমার উপদেশের অপেক্ষায় তারা চুপ করে থাকতো।
22 যারা আমার কথা শুনত, আমার বলা শেষ হওয়ার পর তাদের আর কিছুই বলার থাকতো না।
আমার কথা সুন্দর ভাবে তাদের কানে প্রবেশ করতো।
23 যেমন করে লোক বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করে, তেমনি তারা আমার বলার অপেক্ষায় থাকতো।
তারা যেন বসন্তের বৃষ্টির মত আমার বাক্য-ধারা পান করতো।
24 আমি যখনই ওদের সঙ্গে হেসে কথা বলেছি ওরা এত অবাক হয়ে যেত যে, আমি যে ওদের সঙ্গে কথা বলছি ওরা এটা বিশ্বাসই করতে পারত না।
আমার হাসিতে ওরা ভাল বোধ করেছে।
25 যদিও আমি তাদের নেতা ছিলাম তবু আমি তাদের সঙ্গে থাকাই পছন্দ করতাম।
আমি সভাসদসহ একজন রাজার মত, দুর্দশাগ্রস্ত লোকদের দুঃখের মধ্যে তাদের শান্তি দিতাম।
খ্রীষ্টর সম্বন্ধে সুসমাচার
15 আমার ভাই ও বোনেরা, তোমাদের কাছে আমি যে সুসমাচার প্রচার করেছি, এখন আমি সে কথা তোমাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। তোমরা এই বার্তা গ্রহণ করেছ ও সবল আছ। 2 এই বার্তার মাধ্যমে তোমরা উদ্ধার পেয়েছ, অবশ্য তোমরা যদি তা ধরে রাখ এবং তাতে পূর্ণরূপে বিশ্বাস রাখ। তা না করলে তোমাদের বিশ্বাস বৃথা হয়ে যাবে।
3 আমি যে বার্তা পেয়েছি তা গুরুত্বপূর্ণ মনে করে তোমাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। সেগুলি এইরকম: শাস্ত্রের কথা মতো খ্রীষ্ট আমাদের পাপের জন্য মরলেন, 4 এবং তাঁকে কবর দেওয়া হয়েছিল। আবার শাস্ত্রের কথা মতো মৃত্যুর তিন দিন পর তাঁকে মৃতদের মধ্যে থেকে জীবিত করা হল। 5 আর তিনি পিতরকে দেখা দিলেন এবং পরে সেই বারোজন প্রেরিতকে দেখা দিলেন। 6 এরপর তিনি একসঙ্গে সংখ্যায় পাঁচশোর বেশী বিশ্বাসী ভাইদের দেখা দিলেন। তাদের মধ্যে বেশীর ভাগ লোক এখনও জীবিত আছেন। কিছু লোক হয়তো এতদিনে মারা গেছেন। 7 এরপর তিনি যাকোবকে দেখা দিলেন এবং পরে প্রেরিতদের সকলকে দেখা দিলেন। 8 সব শেষে আমাকেও অসময়ে জন্মেছি যে আমি, সেই আমাকেও দেখা দিলেন।
9 প্রেরিতরা আমার থেকে মহান, কারণ ঈশ্বরের মণ্ডলীকে আমি নির্যাতন করতাম; প্রেরিত নামে পরিচিত হবার যোগ্যও আমি নই। 10 কিন্তু এখন আমি যা হয়েছি, তা ঈশ্বরের অনুগ্রহের গুনেই হয়েছে। আমার প্রতি তাঁর যে অনুগ্রহ তা নিষ্ফল হয় নি, বরং আমি তাদের সকলের থেকে অধিক পরিশ্রম করেছি। তবে আমি যে এই কাজ করেছিলাম তা নয়; কিন্তু আমার মধ্যে ঈশ্বরের যে অনুগ্রহ ছিল তাতেই তা সম্ভব হয়েছে। 11 সুতরাং আমি বা অন্যরা যারাই তোমাদের কাছে প্রচার করে থাকি না কেন, সকলে একই সুসমাচার প্রচার করেছিলাম, যা তোমরা বিশ্বাস করেছ।
আমাদের মৃত্যু থেকে ওঠানো হবে
12 কিন্তু আমরা যদি প্রচার করে থাকি যে খ্রীষ্ট মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থিত হয়েছেন, তখন তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ কি করে বলছে যে মৃতদের পুনরুত্থান নেই? 13 মৃতদের যদি পুনরুত্থান না হয়, তাহলে খ্রীষ্টও তো উত্থিত হন নি, 14 আর খ্রীষ্ট যদি পুনরুত্থিত না হয়ে থাকেন তাহলে তো আমাদের সেই সুসমাচার ভিত্তিহীন, আর তোমাদের বিশ্বাসও ভিত্তিহীন। 15 আবার আমরা যে ঈশ্বরের বিষয়ে মিথ্যা সাক্ষী দিচ্ছি, সেই দোষে আমরা দোষী সাব্যস্ত হব, কারণ আমরা ঈশ্বরের বিষয়ে প্রচার করতে গিয়ে একথা বলেছি যে তিনি খ্রীষ্টকে মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থিত করেছেন। 16 মৃতদের পুনরুত্থান যদি না হয়, তবে খ্রীষ্টও মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হন নি; 17 আর খ্রীষ্ট যদি পুনরুত্থিত না হয়ে থাকেন, তাহলে তোমাদের বিশ্বাসের কোন মূল্য নেই, তোমরা এখনও তোমাদের পাপের মধ্যেই আছ। 18 হ্যাঁ, আর খ্রীষ্টানুসারী যারা মারা গেছে তারা সকলেই বিনষ্ট হয়েছে। 19 খ্রীষ্টের প্রতি প্রত্যাশা যদি শুধু এই জীবনের জন্যই হয়, তবে অন্য লোকদের চেয়ে আমাদের দশা শোচনীয় হবে।
20 কিন্তু সত্যিই খ্রীষ্ট মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থিত হয়েছেন, আর যেসব ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে তিনি তাদের মধ্যে প্রথম ফসল। 21 কারণ একজন মানুষের মধ্য দিয়ে যেমন মৃত্যু এসেছে, মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থানও তেমনিভাবেই একজন মানুষের দ্বারা এসেছে। 22 কারণ আদমে যেমন সকলের মৃত্যু হয়, ঠিক সেভাবে খ্রীষ্টে সকলেই জীবন লাভ করবে। 23 কিন্তু প্রত্যেকে তার পালাক্রমে জীবিত হবে; খ্রীষ্ট, যিনি অগ্রনী, তিনি প্রথমে মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত হলেন, আর এরপর যারা খ্রীষ্টের লোক তারা তাঁর পুনরুত্থানের সময়ে জীবিত হয়ে উঠবে। 24 এরপর খ্রীষ্ট যখন প্রত্যেক শাসনকর্তার কর্ত্তৃত্ব ও পরাক্রমকে পরাস্ত করে পিতা ঈশ্বরের হাতে রাজ্য সঁপে দেবেন তখন সমাপ্তি আসবে।
25 কারণ যতদিন না ঈশ্বর তাঁর সমস্ত শত্রুকে খ্রীষ্টের পদানত করছেন, ততদিন খ্রীষ্টকে রাজত্ব করতে হবে। 26 শেষ শত্রু হিসেবে মৃত্যুও ধ্বংস হবে। 27 কারণ, “ঈশ্বর সব কিছুই তাঁর অধীনস্থ করে তাঁর পায়ের তলায় রাখবেন।” যখন বলা হচ্ছে যে, “সব কিছু” তাঁর অধীনস্থ করা হয়েছে, তখন এটি স্পষ্ট যে ঈশ্বর নিজেকে বাদ দিয়ে সব কিছু খ্রীষ্টের অধীনস্থ করেছেন। 28 সব কিছু খ্রীষ্টের অধীনস্থ হলে পুত্র ঈশ্বরের অধীনস্থ হবেন। যেন ঈশ্বর, যিনি তাঁকে সব কিছুর ওপর কর্ত্তৃত্ব করতে দিয়েছেন, তিনিই সর্বেসর্বা হন।[a]
29 কিন্তু যারা মৃত লোকদের উদ্দেশ্যে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করে তাদের কি হবে? মৃতেরা যদি কখনও পুনরুত্থিত না হয়, তাহলে তাদের জন্য এই লোকেরা কেন বাপ্তাইজ হয়?
30 আমরাই বা কেন প্রতি মুহূর্তে বিপদের সম্মুখীন হই? 31 আমি প্রতিদিন মরছি। খ্রীষ্ট যীশুতে তোমাদের জন্য আমার যে গর্ব আছে তারই দোহাই দিয়ে আমি বলছি, একথা সত্য। 32 যদি শুধু মানবিক স্তরে ইফিষের সেই হিংস্র পশুদের সঙ্গে যুদ্ধ করে থাকি তাহলে আমার কি লাভ হয়েছে? কিছুই না। মৃতদের যদি পুনরুত্থান নেই তবে, “এস ভোজন পান করি কারণ কাল তো আমরা মরবই।”(A)
33 ভ্রান্ত হয়ো না, “অসৎ সঙ্গ সচ্চরিত্র নষ্ট করে।” 34 চেতনায় ফিরে এস, পাপ কাজ বন্ধ কর, কারণ তোমাদের মধ্যে কিছু লোক আছে যারা ঈশ্বর সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অজ্ঞ। তোমাদের লজ্জা দেবার জন্যই আমি একথা বলছি।
আমাদের কি রকম দেহ হবে
35 কিন্তু কেউ কেউ জিজ্ঞাসা করবে, “মৃতেরা কি করে পুনরুত্থিত হয়? তাদের কি রকম দেহই বা হবে?” 36 কি নির্বোধের মত প্রশ্ন! তোমরা যে বীজ বোনো, তা না মরা পর্যন্ত জীবন পায় না। 37 তুমি যা বোনো, যে “দেহ” উৎপন্ন হবে তুমি তা বোনো না, তার বীজ মাত্র বোনো, সে গমের বা অন্য কিছুর হোক্। 38 তারপর ঈশ্বরের ইচ্ছানুসারে তিনি তার জন্য একটা দেহ দেন। প্রতিটি বীজের জন্য তাদের নিজের নিজের দেহ দেন। 39 সকল প্রাণীর মাংস এক রকমের নয়; কিন্তু মানুষের এক রকমের মাংস, পশুদের আর এক ধরণের মাংস, পক্ষীদের আবার অন্য রকমের মাংস। 40 সেই রকম স্বর্গীয় দেহগুলি যেমন আছে, তেমনি পার্থিব দেহগুলিও আছে। স্বর্গীয় দেহগুলির এক প্রকার ঔজ্জ্বল্য, আবার পার্থিব দেহগুলির অন্যরকম। 41 সূর্যের এক প্রকারের ঔজ্জ্বল্য, চাঁদের আর এক ধরণের, আবার নক্ষত্রদের অন্য ধরণের। একটা নক্ষত্র থেকে অন্য নক্ষত্রের ঔজ্জ্বল্য ভিন্ন।
42 মৃতদের পুনরুত্থানও সেই রকম। যে দেহ কবর দেওয়া হয় তা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, যে দেহ পুনরুত্থিত হয় তা অক্ষয়। 43 যে দেহ মাটিতে কবর দেওয়া হয়, তার কোন কদর থাকে না, যে দেহ পুনরুত্থিত হয় তা গৌরবজনক। যে দেহ মাটিতে কবরস্থ হয়, তা দুর্বল, যে দেহ পুনরুত্থিত হয় তা শক্তিশালী। 44 যে দেহ মাটিতে কবরস্থ হয় তা জৈবিক দেহ; আর যে দেহ পুনরুত্থিত হয় তা আত্মিক দেহ।
যখন জৈবিক দেহ আছে, তখন আত্মিক দেহও আছে। 45 শাস্ত্রে এই কথাও বলছে: “প্রথম মানুষ (আদম) সজীব প্রাণী হল;”(B) আর শেষ আদম (খ্রীষ্ট) জীবনদায়ক আত্মা হলেন। 46 যা আত্মিক তা প্রথম নয় বরং যা জৈবিক তাই প্রথম; যা আত্মিক তা এর পরে আসে। 47 প্রথম মানুষ আদম এলেন পৃথিবীর ধূলো থেকে, দ্বিতীয় মানুষ (খ্রীষ্ট) এলেন স্বর্গ থেকে। 48 মৃত্তিকার মানুষটি যেমন ছিল, পৃথিবীর অন্যান্য মানুষও তেমন; আর স্বর্গীয় মানুষরা সেই স্বর্গীয় মানুষ খ্রীষ্টের মত। 49 আমরা যেমন মৃত্তিকার সেই মানুষদের মতো গড়া, তেমন আবার আমরা সেই স্বর্গীয় মানুষ খ্রীষ্টের মত হব।
50 আমার ভাই ও বোনেরা, তোমাদের বলছি: আমাদের রক্ত মাংস ঈশ্বরের রাজ্যের অধিকারী হতে পারে না। যা কিছু ক্ষয়শীল তা অক্ষয়তার অধিকারী হতে পারে না। 51 শোন, আমি তোমাদের এক নিগূঢ়তত্ত্ব বলি। আমরা সকলে মরব এমন নয়, কিন্তু আমাদের সকলেরই রূপান্তর ঘটবে। 52 এক মুহূর্তের মধ্যে যখন শেষ তূরী বাজবে তখন চোখের পলকে তা ঘটবে। হ্যাঁ, তূরী বাজবে, তাতে মৃতেরা সকলে অক্ষয় হয়ে উঠবে, আর আমরা সকলে রূপান্তরিত হব। 53 কারণ এই ক্ষয়শীল দেহকে অক্ষয়তার পোশাক পরতে হবে; আর এই পার্থিব নশ্বর দেহ অবিনশ্বরতায় ভুষিত হবে। 54 এই ক্ষয়শীল দেহ যখন অক্ষয়তার পোশাক পরবে আর এই পার্থিব দেহ যখন অবিনশ্বরতায় ভূষিত হবে তখন শাস্ত্রে যে কথা লেখা আছে তা সত্য হবে:
“মৃত্যু জয়ে কবলিত হল।”(C)
55 “মৃত্যু তোমার জয় কোথায়?
মৃত্যু তোমার হুল কোথায়?”(D)
56 মৃত্যুর হুল পাপ আর পাপের শক্তি আসে বিধি-ব্যবস্থা থেকে। 57 কিন্তু ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিই। তিনিই আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে আমাদের বিজয়ী করেন।
58 তাই আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, সুস্থির ও সুদৃঢ় হও। প্রভুর কাজে নিজেকে সব সময় সম্পূর্ণভাবে সঁপে দাও, কারণ তোমরা জান, প্রভুর জন্য তোমাদের পরিশ্রম নিষ্ফল হবে না।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International