M’Cheyne Bible Reading Plan
মিশরে যাকোবের পরিবার
1 যাকোব তাঁর পুত্রদের নিয়ে মিশরের পথে চললেন। পুত্রদের সঙ্গে তাদের নিজ নিজ পরিবারও ছিল। ইস্রায়েলের পুত্ররা হল: 2 রূবেণ, শিমিয়োন, লেবি, যিহূদা 3 ইষাখর, সবূলূন, বিন্যামীন, 4 দান, নপ্তালি, গাদ এবং আশের। 5 যাকোবের সবশুদ্ধ 70 জন উত্তরপুরুষ ছিল। যোষেফ তাঁর বারোজন পুত্রের একজন, কিন্তু তিনি আগে থেকে মিশরে ছিলেন। 6 পরে যোষেফ তাঁর ভাইরা এবং ঐ প্রজন্মের প্রত্যেকেই মারা গেলেও 7 ইস্রায়েলের লোকদের অসংখ্য সন্তান ছিল। তাদের লোকসংখ্যা খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে গিয়েছিল। ফলস্বরূপ মিশর দেশটি ইস্রায়েলীয়তে ভরে গিয়েছিল।
ইস্রায়েলের লোকদের সমস্যা
8 সেই সময় একজন নতুন রাজা মিশর শাসন করতে লাগলেন। এই রাজা যোষেফকে চিনতেন না। 9 রাজা তাঁর প্রজাদের উদ্দেশ্যে বললেন, “ইস্রায়েলের লোকদের দিকে চেয়ে দেখ, ওরা সংখ্যায় অসংখ্য এবং আমাদের থেকে বেশী শক্তিশালী! 10 তাদের শক্তিবৃদ্ধি বন্ধ করবার জন্য আমাদের কিছু একটা চতুরতার সাহায্য নিতেই হবে। কারণ, এখন যদি যুদ্ধ লাগে তাহলে ওরা আমাদের পরাজিত করবার জন্য ও আমাদের দেশ থেকে বার করে দেবার জন্য আমাদের শত্রুদের সঙ্গে হাত মেলাতে পারে।”
11 মিশরের লোকরা তাই ইস্রায়েলের লোকদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলার ফন্দি আঁটল। অতএব ইস্রায়েলীয়দের তত্ত্বাবধান করবার জন্য মিশরীয়রা ক্রীতদাস মনিবদের নিয়োগ করল। এই দাস শাসকরা ইহুদীদের দিয়ে জোর করে রাজার জন্য পিথোম ও রামিষেষ নামে দুটি শহর নির্মাণ করাল। এই দুই শহরে রাজা শস্য এবং অন্যান্য জিনিসপত্র মজুত করে রাখলেন।
12 মিশরীয়রা ইস্রায়েলীয়দের কঠিন পরিশ্রম করতে বাধ্য করল। কিন্তু তাদের যত বেশী কঠিন পরিশ্রম করানো হতে থাকল ততই ইস্রায়েলের লোকদের সংখ্যাবৃদ্ধি এবং বিস্তার ঘটতে থাকল। ফলে মিশরীয়রা ইস্রায়েলের লোকদের আরও বেশী ভয় পেতে শুরু করল। 13 আর সেইজন্য তারা উদ্বিগ্ন হয়ে ইস্রায়েলের লোকদের প্রতি আরও বেশী নির্দয় হয়ে উঠল। ফলস্বরূপ মিশরীয়রা ইস্রায়েলীয়দের আরো কঠিন পরিশ্রম করতে বাধ্য করল।
14 মিশরীয়রা ইস্রায়েলীয়দের জীবন দুর্বিসহ করে তুলল। তারা ইস্রায়েলীয়দের ইঁট তৈরি করবার জন্য গাদা গাদা ভারী ঢালাই এর মিশ্রণ বহন করতে এবং মাঠে লাঙল চালাতে বাধ্য করেছিল। তারা ইস্রায়েলীয়দের সব রকমের কঠিন কাজ করতে বাধ্য করেছিল।
ঈশ্বরকে অনুসরণকারী ধাইমাগণ
15 ইস্রায়েলীয় মহিলাদের সন্তান প্রসবে সাহায্য করবার জন্য দুজন ধাইমা ছিল। তাদের দুজনের নাম ছিল শিফ্রা ও পূয়া। 16 স্বয়ং রাজা এসে সেই দুই ধাইমাকে বললেন, “দেখছি তোমরা বরাবর হিব্রু মহিলাদের সন্তান প্রসবের সময় সাহায্য করে চলেছো। দেখ, যদি কেউ কন্যা সন্তান প্রসব করে তাহলে ঠিক আছে, তাকে বাঁচিয়ে রেখ, কিন্তু পুত্র সন্তান হলে সঙ্গে সঙ্গেই সেই সদ্যোজাত পুত্র সন্তানকে হত্যা করবে।”
17 কিন্তু ধাইমা দুজন ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস রেখে রাজার আদেশ অমান্য করে পুত্র সন্তানদের বাঁচিয়ে রাখল। 18 রাজা এবার তাদের ডেকে পাঠিয়ে বললেন, “তোমরা এটা কি করলে? কেন তোমরা আমার অবাধ্য হয়েছ এবং পুত্র সন্তানদের বাঁচিয়ে রেখেছ?”
19 ধাইমারা রাজাকে বলল, “হে রাজা, ইস্রায়েলীয় মহিলারা মিশরের মহিলাদের থেকে অনেক বেশী শক্তিশালী। আমরা তাদের সাহায্যের জন্য পৌঁছাবার আগেই ইস্রায়েলীয় মহিলারা সন্তান প্রসব করে ফেলে।” 20-21 ঈশ্বর ঐ ধাইমাদের এই আচরণে খুশী হলেন। তাই ঈশ্বর ধাইমাদের আশীর্বাদ করলেন এবং তাদের নিজেদের পরিবার তৈরী করতে দিলেন। ইস্রায়েলীয়রা সংখ্যায় আরও বাড়তে থাকল এবং আরও শক্তিশালী হয়ে উঠল।
22 পরে ফরৌণ নিজস্ব লোকদের আদেশ দিলেন, “তোমরা কন্যা সন্তান বাঁচিয়ে রাখতে পারো। কিন্তু পুত্র সন্তান হলে তাকে নীলনদে ছুঁড়ে ফেলতে হবে।”
যীশু দিয়াবল দ্বারা পরীক্ষিত হন
(মথি 4:1-11; মার্ক 1:12-13)
4 এরপর যীশু পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হয়ে যর্দন নদী থেকে ফিরে এলেন: আর আত্মার পরিচালনায় প্রান্তরের মধ্যে গেলেন। 2 সেখানে চল্লিশ দিন ধরে দিয়াবল তাঁকে প্রলোভনে ফেলতে চাইল। সেই সময় তিনি কিছুই খাদ্য গ্রহণ করেন নি। ঐ সময় পার হয়ে গেলে যীশুর খিদে পেল।
3 তখন দিয়াবল তাঁকে বলল, “তুমি যদি ঈশ্বরের পুত্র হও, তবে এই পাথরটিকে রুটি হয়ে যেতে বল।”
4 এর উত্তরে যীশু তাকে বললেন, “শাস্ত্রে লেখা আছে:
‘মানুষ কেবল রুটিতেই বাঁচে না।’”(A)
5 এরপর দিয়াবল তাঁকে একটা উঁচু জায়গায় নিয়ে গেল আর মুহূর্তের মধ্যে জগতের সমস্ত রাজ্য দেখাল। 6 দিয়াবল যীশুকে বলল, “এইসব রাজ্যের পরাক্রম ও মহিমা আমি তোমায় দেব, কারণ এই সমস্তই আমাকে দেওয়া হয়েছে, আর আমি যাকে চাই তাকেই এসব দিতে পারি। 7 এখন তুমি যদি আমার উপাসনা কর তবে এসবই তোমার হবে।”
8 এর উত্তরে যীশু তাকে বললেন, “শাস্ত্রে লেখা আছে:
‘তুমি কেবল তোমার প্রভু ঈশ্বরকেই উপাসনা করবে,
কেবল তাঁরই সেবা করবে!’”(B)
9 এরপর দিয়াবল তাঁকে জেরুশালেমে নিয়ে গিয়ে মন্দিরের চূড়ার ওপরে দাঁড় করিয়ে বলল, “তুমি যদি ঈশ্বরের পুত্র হও, তবে এখান থেকে লাফ দিয়ে নীচে পড়। 10 কারণ শাস্ত্রে লেখা আছে:
‘ঈশ্বর তাঁর স্বর্গদূতদের তোমার বিষয়ে আদেশ দেবেন
যেন তারা তোমাকে রক্ষা করে।’(C)
11 আরো লেখা আছে:
‘তারা তোমাকে তাদের হাতে করে তুলে ধরবে
যেন তোমার পায়ে পাথরের আঘাত না লাগে।’”(D)
12 এর উত্তরে যীশু তাকে বললেন, “শাস্ত্রে একথাও বলা হয়েছে: ‘তুমি তোমার প্রভু ঈশ্বরের পরীক্ষা করো না।’”(E)
13 এইভাবে দিয়াবল তাঁকে সমস্ত রকমের প্রলোভনে ফেলার চেষ্টা করে, আরো ভাল সুযোগের অপেক্ষায় যীশুকে ছেড়ে চলে গেল।
যীশু লোকজনকে শিক্ষা দিলেন
(মথি 4:12-17; মার্ক 1:14-15)
14 যীশু পবিত্র আত্মার পরিচালনায় গালীলে ফিরে গেলে ঐ সংবাদ সেই অঞ্চলের সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ল। 15 তিনি তাদের সমাজ-গৃহে শিক্ষা দিতে লাগলেন, আর সবাই তাঁর প্রশংসা করতে লাগল।
যীশু তাঁর নিজের নগরে গেলেন
(মথি 13:53-58; মার্ক 6:1-6)
16 এরপর যীশু নাসরতে গেলেন, এখানেই তিনি প্রতিপালিত হয়েছিলেন। তাঁর রীতি অনুসারে বিশ্রামবারে তিনি সমাজ-গৃহে[a] গিয়ে সেখানে শাস্ত্র পাঠ করার জন্য উঠে দাঁড়ালেন।
17 তাঁর হাতে ভাববাদী যিশাইয়র লেখা পুস্তকটি দেওয়া হল। তিনি পুস্তকটি খুলে সেই অংশটি পেলেন, যেখানে লেখা আছে:
18 “প্রভুর আত্মা আমার ওপর আছেন
কারণ দীন দরিদ্রের কাছে সুসমাচার প্রচারের জন্য তিনিই আমায় নিযুক্ত করেছেন।
তিনি আমাকে বন্দীদের কাছে স্বাধীনতার কথা
ও অন্ধদের কাছে দৃষ্টি ফিরে পাবার কথা ঘোষণা করতে পাঠিয়েছেন;
আর নির্যাতিতদের মুক্ত করতে বলেছেন।
19 এছাড়া প্রভুর অনুগ্রহ দানের বৎসরের কথা ঘোষণা করতেও পাঠিয়েছেন।”(F)
20 এরপর তিনি পুস্তকটি গুটিয়ে সেখানকার সহায়কদের হাতে দিয়ে বসলেন। সে সময় যারা সমাজ-গৃহে ছিল, তাদের সকলের দৃষ্টি তাঁর ওপর গিয়ে পড়ল। 21 তখন তিনি তাদের বললেন, “শাস্ত্রের এই কথা যা তোমরা শুনলে তা আজ পূর্ণ হল।”
22 সকলেই তাঁর খুব প্রশংসা করল, তাঁর মুখে অপূর্ব সব কথা শুনে তারা আশ্চর্য হয়ে গেল। তারা বলল, “এ কি যোষেফের ছেলে নয়?”
23 তখন তিনি তাদের বললেন, “তোমরা নিশ্চয়ই আমার বিষয়ে প্রচলিত প্রবাদটি বলবে, ‘চিকিৎসক, আগে নিজেকে সুস্থ কর। কফরনাহূমে যে সমস্ত কাজ করেছ বলে আমরা শুনেছি সে সব এখন এখানে নিজের গ্রামেও কর দেখি!’” 24 তারপর যীশু বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, কোন ভাববাদী তাঁর নিজের গ্রামে গ্রাহ্য হন না।
25-26 “সত্যি বলতে কি এলিয়র সময়ে যখন সাড়ে তিন বছর ধরে আকাশ রুদ্ধ ছিল এবং সারা দেশে ভয়ঙ্কর দুর্ভিক্ষ চলছিল, সেই সময ইস্রায়েল দেশে অনেক বিধবা ছিল। কিন্তু তাদের কারো কাছে এলিয়কে পাঠানো হয় নি, কেবল সীদোন প্রদেশে সারিফতে সেই বিধবার কাছেই তাঁকে পাঠানো হয়েছিল।
27 “আবার ভাববাদী ইলীশায়ের সময়ে ইস্রায়েল দেশে অনেক কুষ্ঠরোগী ছিল, কিন্তু তাদের কেউ সুস্থ হয় নি, কেবল সুরীয় নামান সুস্থ হয়েছিল।”
28 এই কথা শুনে সমাজ-গৃহের সমস্ত লোক রেগে আগুন হয়ে গেল। 29 তারা উঠে যীশুকে নগরের বাইরে বার করে দিল আর নগরটি যে পাহাড়ের ওপর ছিল তার শেষ প্রান্তে তাঁকে ঠেলে নিয়ে গেল, যেন পাহাড়ের চূড়া থেকে তাঁকে নীচে ফেলে দিতে পারে। 30 কিন্তু তিনি তাদের মাঝখান দিয়ে চলে গেলেন।
অশুচি আত্মায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে যীশু সুস্থ করলেন
(মার্ক 1:21-28)
31 এরপর যীশু গালীলের কফরনাহূম শহরে গেলেন। সেখানে তিনি বিশ্রামবারে তাদের শিক্ষা দিচ্ছিলেন। 32 তাঁর দেওয়া শিক্ষায় তারা আশ্চর্য হয়ে গেল, কারণ তাঁর শিক্ষা ছিল ক্ষমতাযুক্ত।
33 সেই সমাজগৃহে অশুচি আত্মায় পাওয়া একজন লোক ছিল, সে চিৎকার করে বলে উঠল, 34 “ওহে নাসরতীয় যীশু! আমাদের কাছে আপনার কি দরকার? আপনি কি আমাদের ধ্বংস করতে এসেছেন? আমি জানি আপনি কে, আপনি ঈশ্বরের পবিত্র ব্যক্তি!” 35 যীশু তাকে ধমক দিয়ে বললেন, “চুপ করো! আর ওর মধ্য থেকে বার হয়ে যাও!” তখন সেই অশুচি আত্মা লোকটিকে সকলের মাঝখানে আছড়ে ফেলে দিয়ে তার কোন ক্ষতি না করে তার মধ্যে থেকে বার হয়ে গেল।
36 এই দেখে লোকেরা অবাক হয়ে নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে লাগল, “এর মানে কি? সম্পূর্ণ ক্ষমতা ও কর্ত্তৃত্বের সঙ্গে তিনি অশুচি আত্মাদের হুকুম করেন আর তারা বার হয়ে যায়।” 37 তাঁর বিষয়ে এই কথা সেই অঞ্চলের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ল।
যীশু এক স্ত্রীলোককে আরোগ্যদান করলেন
(মথি 8:14-17; মার্ক 1:29-34)
38 যীশু সমাজ-গৃহ থেকে বেরিয়ে শিমোনের বাড়িতে গেলেন। সেখানে শিমোনের শাশুড়ী খুব জ্বরে ভুগছিলেন, তাই তারা এসে তাঁকে অনুরোধ করল যেন তিনি তাঁকে সুস্থ করেন। 39 তখন যীশু তাঁর কাছে দাঁড়িয়ে জ্বরকে ধমক দিলেন, এর ফলে জ্বর ছেড়ে গেল, আর তিনি তখনই উঠে তাদের খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করতে লাগলেন।
আরো বহু লোককে যীশু সুস্থ করলেন
40 সূর্য অস্ত যাবার সময় লোকরা তাদের বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের লোকজন, যারা নানা রোগে অসুস্থ ছিল তাদের যীশুর কাছে নিয়ে এল। যীশু তাদের প্রত্যেকের ওপরে হাত রেখে তাদের সুস্থ করলেন। 41 তাদের অনেকের মধ্যে থেকে ভূত বার হয়ে এল। তারা চিৎকার করে বলতে লাগল, “আপনি ঈশ্বরের পুত্র।” কিন্তু তিনি তাদের ধমক দিলেন, তাদের কথা বলতে দিলেন না, কারণ তারা জানত যে তিনিই সেই খ্রীষ্ট।
যীশু অন্যান্য শহরে গেলেন
(মার্ক 1:35-39)
42 ভোর হলে যীশু সেই জায়গা ছেড়ে এক নির্জন জায়গায় চলে গেলেন। কিন্তু বিরাট জনতা তাঁর খোঁজ করতে লাগল; আর তিনি যেখানে ছিলেন সেখানে এসে হাজির হল এবং তিনি যেন তাদের কাছ থেকে চলে না যান সেজন্য তাঁকে আটকাতে চেষ্টা করল। 43 কিন্তু তিনি তাদের বললেন, “ঈশ্বরের রাজ্যের এই সুসমাচার আমাকে অন্যান্য শহরেও বলতে হবে, কারণ এরই জন্য আমাকে পাঠানো হয়েছে।”
44 এরপর তিনি যিহূদিযার বিভিন্ন সমাজ-গৃহে প্রচার করতে লাগলেন।
বিল্দদ ইয়োবকে উত্তর দিলেন
18 তখন শূহীয় বিল্দদ উত্তর দিলেন:
2 “ইয়োব, কখন তুমি কথা বলা বন্ধ করবে?
শান্ত হও এবং শোন। আমাদের কিছু বলতে দাও।
3 কেন তুমি আমাদের বোবা গরুর মতো নির্বোধ ভাবছো?
4 ইয়োব, তোমার ক্রোধ শুধু মাত্র তোমাকেই আহত করছে।
লোকে কি শুধু তোমার জন্য পৃথিবী ত্যাগ করবে?
তুমি কি মনে কর, যে শুধু তোমাকে খুশী করতে ঈশ্বর পর্বতকে সরাবেন?
5 “হ্যাঁ, মন্দ লোকের আলো চলে যাবে।
তার আগুন দগ্ধ করা বন্ধ করে দেবে।
6 তার ঘরের আলো অন্ধকারে পরিণত হবে।
তার নিকটের আলোও নিভে যাবে।
7 তার পদক্ষেপগুলো আর দৃঢ় ও দ্রুত হবে না।
কিন্তু সে আস্তে আস্তে দুর্বলের মত হাঁটবে।
তার নিজের মন্দ বুদ্ধিই ওর পতন ঘটাবে।
8 তার নিজের পা-ই তাকে ফাঁদের দিকে নিয়ে যাবে।
সে ফাঁদের ওপর দিয়েই হাঁটবে এবং ধরা পড়বে।
9 একটা ফাঁদ নিশ্চয়ই ওর পা ধরবেই।
একটা ফাঁদ তাকে আঁকড়ে ধরবেই।
10 মাটির কোন একটা দড়ি তাকে ফাঁদে ফেলবেই।
তার ফাঁদ রাস্তায় ওর জন্য অপেক্ষা করছে।
11 তার চার দিকেই ভয়ঙ্করতা প্রতীক্ষা করছে।
প্রত্যেকটি পদক্ষেপেই ভয় ওকে অনুসরণ করবে।
12 মন্দ সমস্যাসমূহ ওর জন্য ক্ষুধার্তের মত অপেক্ষা করছে।
ওর পতন হলেই ধ্বংস ও দুর্বিপাক ওর জন্য ওত পেতে আছে।
13 ভয়ঙ্কর অসুখ তার গায়ের চামড়া খেয়ে ফেলবে।
ঐ অসুখ ওর হাত, পা পচিয়ে দেবে।
14 দুষ্ট লোককে তার ঘরের নিরাপত্তা থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
যে ভয়ঙ্করের রাজা তার সঙ্গে দেখা করার জন্য ওকে নিয়ে যাওয়া হবে।
15 তার ঘরে কিছুই পড়ে থাকবে না।
কেন? জ্বলন্ত গন্ধক ওর বাড়ীর চারপাশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
16 ওর নিম্নস্থ শিকড় শুকিয়ে যাবে,
ওর উর্ধস্থ ডালপালাও শুকিয়ে যাবে।
17 পৃথিবীর মানুষ ওকে স্মরণে রাখবে না।
কোন লোকই আর ওর নাম উল্লেখ করবে না।
18 লোকে তাকে আলো থেকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেবে।
তারা ওকে ওর জগৎ থেকে তাড়িয়ে দেবে।
19 ওর কোন পুত্র বা পৌত্র থাকবে না।
ওর বাড়ীর কেউই বেঁচে থাকবে না।
20 তার প্রতি কি হয়েছিল দেখে পশ্চিমের লোকরা চমকে উঠবে।
পূর্বের লোকরাও ভয়ে আড়ষ্ট হয়ে যাবে।
21 দুষ্ট লোকদের বাড়িতে সেটা প্রকৃতই ঘটবে।
যারা ঈশ্বর সম্পর্কে কোন কিছু গ্রাহ্য করে না তাদের ঠিক এই রকমই ঘটবে!”
মণ্ডলীতে নৈতিক সমস্যা
5 একথা সত্যি শোনা যাচ্ছে যে তোমাদের মধ্যে যৌন পাপ রয়েছে। এমন যৌন পাপ যা বিধর্মীদের মধ্যেও দেখা যায় না; একজন নাকি তার সত্মার সঙ্গে অবৈধ জীবনযাপন করছে। 2 তোমরা তবুও নিজেদের বিষয়ে গর্ব করছ। এর পরিবর্তে তোমাদের কি মর্মাহত হওয়া উচিত ছিল না? এমন পাপ কাজ যে করেছে তাকে তোমাদের সহভাগীতা থেকে বার করে দেওয়া উচিত ছিল। 3 দৈহিকভাবে আমি উপস্থিত না থাকলেও আত্মাতে আমি তোমাদের সঙ্গেই আছি। যে এই রকম অন্যায় কাজ করেছে, তোমাদের মধ্যে উপস্থিত থেকেই আমি তার বিচার করেছি। 4 প্রভু যীশুর নামে তোমরা একত্রিত হও। সে সভায় আমি আত্মাতে উপস্থিত থাকব, আর প্রভু যীশুর পরাক্রম তোমাদের মধ্যে বিরাজ করবে। 5 তখন সেই লোককে শাস্তির জন্য শয়তানের হাতে সঁপে দিও যেন তার পাপময় দেহ ধ্বংস হয়; কিন্তু যেন প্রভু যীশুর দিনে তার আত্মা উদ্ধার লাভ করে।
6 তোমাদের গর্ব করা শোভা পায় না। তোমরা তো এ কথা জান যে, “একটুখানি খামির ময়দার সমস্ত তালটাকে ফাঁপিয়ে তোলে।” 7 তোমাদের মধ্য থেকে পুরানো খামির বার করে ফেল, যেন তোমরা এক নতুন তাল হতে পার। খ্রীষ্টীয়ান হিসাবে তোমরা তো খামিরবিহীন রুটির মতোই, কারণ খ্রীষ্ট, যিনি আমাদের নিস্তারপর্বীয় মেষশাবক, তিনি আমাদের জন্য বলি হয়েছেন। 8 তাই এস, আমরা নিস্তারপর্বের ভোজ সেই রুটি দিয়ে পালন করি যার মধ্যে সেই পুরানো খামির নেই। সেই পুরানো খামির হল পাপ ও দুষ্টতা; কিন্তু এস আমরা সেই রুটি গ্রহণ করি যার মধ্যে খামির নেই, এ হল আন্তরিকতা ও সত্যের রুটি।
9 আমার আগের চিঠিতে আমি তোমাদের লিখেছিলাম যেন তোমরা যৌন পাপে লিপ্ত লোকেদের সঙ্গে মেলামেশা না কর। 10 তবে হ্যাঁ, এই জগতের যারা নষ্ট চরিত্রের লোক, লোভী, ঠগবাজ বা প্রতিমাপূজক তাদের কথা অবশ্য বলিনি, কারণ তাহলে তো তোমাদের জগতের বাইরে চলে যেতে হবে। 11 তবে আমি এখন লিখছি যে, যে কেউ নিজেকে বিশ্বাসী বলে পরিচয় দেয়, অথচ নষ্ট চরিত্রের লোক, লোভী, প্রতিমাপূজক, নিন্দুক, মাতাল বা ঠগবাজ এরকম লোকের সঙ্গে মেলামেশা করো না। এমন কি তার সঙ্গে খাওয়া-দাওয়াও করো না।
12-13 বাইরের লোকদের বিচার করার আমার কি দরকার? কিন্তু মণ্ডলীর ভেতরের লোকদের বিচার করা কি তোমাদের উচিত নয়? যারা মণ্ডলীর বাইরের লোক তাদের বিচার ঈশ্বর করবেন। শাস্ত্র বলছে, “তোমাদের মধ্য থেকে দুষ্ট লোককে বার করে দাও।”(A)
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International