M’Cheyne Bible Reading Plan
ঈশ্বর ইস্রায়েলকে আশ্বাস দিলেন
46 ইস্রায়েল মিশর দেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলেন। প্রথমে তিনি বের্-শেবাতে গেলেন। সেখানে ইস্রায়েল তাঁর পিতা ইস্হাকের ঈশ্বরের উপাসনা করলেন এবং বলি দিলেন। 2 রাত্রে ঈশ্বর স্বপ্নে যাকোবের সঙ্গে কথা বললেন। ঈশ্বর বললেন, “যাকোব, যাকোব।”
ইস্রায়েল উত্তর দিলেন, “এই যে আমি।”
3 তখন ঈশ্বর বললেন, “আমি ঈশ্বর, তোমার পিতার ঈশ্বর! মিশরে যেতে ভয় করো না। মিশরে আমি তোমাকে এক মহাজাতিতে পরিণত করব। 4 আমি তোমার সঙ্গে মিশরে যাব আর তোমাকে সেখান থেকে ফিরিয়ে আনব। তুমি মিশরে মারা যাবে কিন্তু যোষেফ তোমার সঙ্গে থাকবে। তুমি মারা গেলে যোষেফই তার নিজের হাত দিয়ে তোমার চোখ বুজিয়ে দেবে।”
ইস্রায়েল মিশরে গেলেন
5 তারপর যাকোব বের্-শেবা ছেড়ে মিশরের দিকে যাত্রা করলেন। ইস্রায়েলের পুত্ররা নিজেদের পিতা যাকোবকে এবং প্রত্যেকে নিজের পুত্র কন্যা ও স্ত্রীদের নিয়ে মিশরে চললেন। ফরৌণ যে মালবাহী গাড়ীগুলো পাঠিয়েছিলেন সেইগুলো করেই তাঁরা গেলেন। 6 তাঁরা তাঁদের পশুপাল এবং কনান দেশে তাঁদের যা যা ছিল সব নিয়ে চললেন। সুতরাং ইস্রায়েল মিশরে তাঁর সমস্ত সন্তান এবং তাদের পরিবার নিয়েই গেলেন। 7 তাঁর সঙ্গে ছিল তাঁর পুত্ররা এবং নাতিরা, তাঁর কন্যারা এবং নাতনিরা। সুতরাং তাঁর সমস্ত পরিবার তাঁর সাথে মিশরে গেলেন।
যাকোবের পরিবার
8 ইস্রায়েলের পুত্ররা এবং তাঁর বংশধররা যাঁরা তাঁর সঙ্গে মিশরে গিয়েছিলেন তাঁদের নামগুলি এই:
রূবেণ ছিলেন জ্যেষ্ঠ পুত্র। 9 রূবেণের পুত্ররা ছিলেন হনোক, পল্লু, হিষ্রোণ ও কর্মি।
10 শিমিয়োনের পুত্ররা ছিলেন যিমূয়েল, যামীন, ওহদ, যাখীন, সোহর আর এছাড়া শৌল। (শৌলের মা ছিলেন একজন কনানীয় স্ত্রীলোক।)
11 লেবীর পুত্ররা ছিলেন গের্শোন, কহাৎ ও মরারি।
12 যিহূদার পুত্ররা হলেন এর, ওনন, শেলা, পেরস ও সেরহ। (এর ও ওনন কনান দেশেই মারা গিয়েছিল।) পেরসের পুত্ররা হলেন হিষ্রোণ ও হামূল।
13 ইষাখরের পুত্ররা হলেন তোলয়, পুয, যোব ও শিম্রোণ। 14 সবূলূনের পুত্ররা হলেন সেরদ, এলোন ও যহলোল।
15 রূবেণ, শিমিয়োন, লেবি, যিহূদা, ইষাখর ও সবূলূন ছিলেন যাকোব ও লেয়ার সন্তানগণ। পদ্দম্-অরামে লেয়ার এই সন্তানরা জন্মেছিল। তার দীনা নামে একটি কন্যাও ছিল। তার পরিবারে মোট সদস্য সংখ্যা ছিল 33 জন।
16 গাদের পুত্ররা ছিলেন সিফিয়োন, হগি, শূনী, ইষ্বোন, এরি, অরোদী ও অরেলী।
17 আশেরের পুত্ররা ছিলেন যিন্না, যিশ্বা, যিশবি, বরিয় এবং তাদের বোন সেরহ। বরিয়ের পুত্ররা অর্থাৎ হেবর ও মল্কীয়েলও ছিলেন।
18 যাকোবের এই পুত্ররা ছিলেন তাঁর স্ত্রী দাসী সিল্পার। (সিল্পাই সেই দাসী যাকে লাবন তাঁর কন্যা লেয়ার সাথে দিয়েছিলেন।) তাঁর পরিবারের মোট সদস্য ছিলেন 16 জন।
19 বিন্যামীনও যাকোবের সঙ্গে ছিলেন। বিন্যামীন ছিলেন যাকোব ও রাহেলের পুত্র। (যোষেফও রাহেলের পুত্র। কিন্তু যোষেফ ইতিমধ্যে মিশরে ছিলেন।)
20 মিশরে যোষেফের দুই পুত্র হয়। তাদের নাম মনঃশি ও ইফ্রয়িম। (যোষেফের স্ত্রীর নাম ছিল আসনৎ। তিনি ছিলেন ওন শহরের যাজক পোটীফরের কন্যা।)
21 বিন্যামীনের পুত্ররা হল বেলা, বেখর, অস্বেল, গেরা, নামন, এহী, রোশ, মুপ্পীম, হুপ্পীম ও অর্দ।
22 এঁরা ছিলেন যাকোব ও তার স্ত্রী রাহেলের সন্তান। পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা 14 জন।
23 দানের পুত্র ছিলেন হূশীম।
24 নপ্তালির পুত্র ছিলেন যহসিয়েল, গূনি, বেৎসর ও শিল্লেম।
25 এঁরা ছিলেন যাকোব ও বিল্হার সন্তান। (বিল্হা-ই সেই দাসী যাকে লাবন তাঁর কন্যা রাহেলের সাথে পাঠিয়েছিলেন।) এই পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ছিল সাত।
26 সরাসরি যাকোব হতে উৎপন্ন উত্তরপুরুষদের মোট 66 জন তাঁর সঙ্গে মিশরে গিয়েছিলেন। (এই সংখ্যার মধ্যে যাকোবের পুত্রদের স্ত্রীদের গণনা করা হয় নি।) 27 আবার যোষেফেরও দুই সন্তান ছিলেন যাঁরা মিশরে জন্মেছিলেন। সুতরাং মিশরে যাকোবের পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা হল 70 জন।
ইস্রায়েল মিশরে পৌঁছালেন
28 যোষেফের সঙ্গে কথা বলার জন্য যাকোব যিহূদাকে তাঁর আগে পাঠালেন। এর পরে যাকোব এবং তাঁর পুত্ররা গোশন প্রদেশে পৌঁছোলেন। যিহূদা গোশন প্রদেশে যোষেফের সঙ্গে কথা বলতে গেলেন। যাকোব এবং তাঁর পরিবারের লোকজন এরপর সেই প্রদেশে পৌঁছালেন। 29 যোষেফ যখন শুনলেন যে তাঁর পিতা আসছেন তখন তিনি রথ প্রস্তুত করে গোশন প্রদেশে তাঁর পিতা ইস্রায়েলের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। যোষেফ তাঁর পিতাকে দেখে গলা জড়িয়ে ধরে বহুক্ষণ কাঁদলেন।
30 তখন ইস্রায়েল যোষেফকে বললেন, “এখন আমি শান্তিতে মরতে পারব। আমি তোমার মুখ দেখলাম এবং জানলাম যে তুমি এখনও জীবিত।”
31 যোষেফ তাঁর ভাইদের এবং পিতার পরিবারের বাকীদের বললেন, “আমি ফরৌণকে বলতে যাচ্ছি যে তোমরা এখানে এসেছ। আমি ফরৌণকে বলব, ‘আমার ভাইরা এবং পিতার পরিবারের বাকী সবাই কনান দেশ ছেড়ে এখানে আমার কাছে এসেছেন। 32 পরিবারের সবাই মেষপালক। তারা সবসময়ই মেষপাল ও গো-পাল রেখে থাকে। তারা তাদের পশু ও আর যা কিছু তাদের ছিল সবই তাদের সঙ্গে নিয়ে এসেছেন।’ 33 ফরৌণ তোমাদের ডাকলে জিজ্ঞেস করবে, ‘তোমরা কি কাজ কর?’ 34 তোমরা তাকে বলবে, ‘আমরা মেষপালক। সারাজীবন ধরেই আমরা মেষ পালন করে আসছি। আমাদের আগে আমাদের পূর্বপুরুষরা মেষপালক ছিলেন।’ ফরৌণ তোমাদের গোশন প্রদেশে থাকতে দেবেন। মিশরীয়রা মেষপালকদের পছন্দ করেন না, সেইজন্য তোমাদের গোশন প্রদেশে থাকাটাই ভাল হবে।”
যীশুর পুনরুত্থানের খবর
(মথি 28:1-8; লূক 24:1-12; যোহন 20:1-10)
16 বিশ্রাম শেষ হলে মরিয়ম মগ্দলীনী, যাকোবের মা মরিয়ম সুগন্ধি মশলা কিনলেন যেন গিয়ে যীশুর দেহে মাখাতে পারেন। 2 সপ্তাহের প্রথম দিন ভোরে, ঠিক সূর্য ওঠার পরই তাঁরা সমাধিগুহার কাছে গেলেন। 3 তাঁরা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছিলেন, “কে আমাদের জন্য সমাধিগুহার মুখ থেকে পাথরটি সরিয়ে দেবে?”
4 তখন তাঁরা দেখতে পেলেন যে পাথরটা সরানো রয়েছে। সেই পাথরটা মস্ত বড় ছিল। 5 পরে তাঁরা সমাধিগুহার ভিতরে গিয়ে দেখলেন, একজন যুবক ডানদিকে সাদা পোশাক পরে বসে আছেন; তাতে তারা ভয়ে চমকে উঠলেন।
6 তখন তিনি তাঁদের বললেন, “ভয় পেও না। তোমরা তো নাসরতীয় যীশুর খোঁজ করছ যাকে ক্রুশে বিদ্ধ করা হয়েছিল? তিনি বেঁচে উঠেছেন! তিনি এখানে নেই। দেখ, এখানে তাঁকে রাখা হয়েছিল। 7 যাও, পিতর ও তাঁর অন্যান্য শিষ্যদের বল গিয়ে, দেখ তিনি তোমাদের আগেই গালীলে যাচ্ছেন। তিনি যেমন তোমাদের বলেছিলেন, ঠিক সেখানে তাঁকে দেখতে পাবে।”
8 তখন তাঁরা সমাধিগুহা থেকে বেরিয়ে দৌড়ালেন, কারণ তাঁরা ভীষণ ভয় পেয়েছিলেন এবং কিছুই বুঝে উঠতে পারলেন না। তাঁরা কাউকে কিছু বললেন না, কারণ তাঁরা ভয় পেয়েছিলেন।[a]
শিষ্যদের মধ্যে কেউ কেউ যীশুর দেখা পেলেন
(মথি 28:9-10; যোহন 20:11-18; লূক 24:13-35)
9 তাঁর পুনরুত্থানের পর সপ্তাহের প্রথম দিনে অর্থাৎ রবিবার ভোরে, তিনি প্রথমে মগ্দলীনী মরিয়মকে দেখা দিলেন, যার থেকে তিনি সাতটা ভূতকে তাড়িয়েছিলেন। 10 মরিয়ম গিয়ে যাঁরা যীশুর সঙ্গে থাকতেন তাঁদের এই কথা বললেন। তাঁরা তখনও শোকে কাঁদছিলেন; 11 কিন্তু যখন শুনলেন যে যীশু বেঁচে আছেন এবং তাঁকে দেখা দিয়েছেন, তাঁরা ঐ কথা বিশ্বাস করলেন না।
12 পরে তাদের মধ্যে দুজন যখন গ্রামের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন এমন সময় তিনি তাঁদের দেখা দিলেন, আর তাঁকে অন্যরকম দেখাল। 13 তাঁরা গিয়ে অন্য বাকী সব শিষ্যদের এটা জানালেন, কিন্তু তাঁদের কথাতেও তাঁরা বিশ্বাস করলেন না।
প্রেরিতদের সঙ্গে যীশুর কথোপকথন
(মথি 28:16-20; লূক 24:36-49; যোহন 20:19-23; প্রেরিত 1:6-8)
14 পরে সেই এগারোজন শিষ্য যখন খেতে বসেছেন, তিনি তাঁদের কাছে দেখা দিলেন। তিনি তাঁদের অবিশ্বাস ও কঠোর মনোভাবের জন্য তিরস্কার করলেন, কারণ তিনি বেঁচে ওঠার পর যাঁরা তাঁকে দেখেছিলেন, তাঁদের কথায়ও তাঁরা বিশ্বাস করেন নি।
15 আর তিনি তাঁদের বললেন, “তোমরা সমস্ত পৃথিবীতে যাও, এবং সব লোকের কাছে সুসমাচার প্রচার কর। 16 যারা বিশ্বাস করে বাপ্তাইজ হবে, তারা রক্ষা পাবে, কিন্তু যারা বিশ্বাস করবে না, তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হবে। 17 যারা বিশ্বাস করবে এই চিহ্নগুলি তাদের অনুবর্তী হবে। আমার নামে তারা ভূত তাড়াবে; নতুন নতুন ভাষায় কথা বলবে; 18 হাতে করে সাপ তুলবে এবং মারাত্মক কিছু খেলেও তাদের কোন ক্ষতি হবে না; আর তারা অসুস্থ লোকের ওপর হাত রাখলে তারা সুস্থ হবে।”
যীশুর পুনরায় স্বর্গারোহণ
(লূক 24:50-53; প্রেরিত 1:9-11)
19 তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পর প্রভু যীশুকে স্বর্গে তুলে নেওয়া হল এবং তিনি ঈশ্বরের ডানদিকে বসলেন। 20 আর তাঁরা গিয়ে সব জায়গায় সুসমাচার প্রচার করতে লাগলেন, এবং প্রভু তাঁদের সঙ্গে কাজ করলেন, আর অলৌকিক কাজের মধ্য দিয়ে তাঁর সুসমাচারের সত্যতা প্রমাণ করলেন।
সোফরকে ইয়োবের উত্তর
12 তখন ইয়োব তাদের উত্তর দিলেন:
2 “আমি নিশ্চিত যে তুমি ভেবেছো,
তুমিই একমাত্র জ্ঞানী লোক।
তুমি ভেবেছো যখন তুমি মারা যাবে
তখন প্রজ্ঞা তোমার সঙ্গে চলে যাবে।
3 কিন্তু তোমারই মতো
আমারও একটি মন আছে।
আমি তোমার চেয়ে নিকৃষ্ট নই।
সকলে ইতিমধ্যেই জানে তুমি কি বলছিলে।
4 “এই মাত্র আমার বন্ধুরা আমায় উপহাস করলো।
তারা বলল, ‘সে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিল এবং সে তার উত্তর পেয়ে গেছে, এই কারণেই তার ক্ষেত্রে এমন সব মন্দ ঘটনা ঘটলো।’
আমি একজন সৎ লোক, আমি নির্দোষ।
কিন্তু তবুও তারা আমায় উপহাস করে।
5 যাদের কোন সমস্যা নেই, সেই সব লোক যাদের সমস্যা থাকে তাদের উপহাস করে।
এইসব লোকরা নিমজ্জমান লোককে আঘাত করে।
6 কিন্তু ছিনতাইবাজদের তাঁবু নির্বিঘ্নে থাকে।
যারা ঈশ্বরকে উত্যক্ত করে তারা শান্তিতেই থাকে।
তাদের নিজস্ব শক্তিই তাদের একমাত্র ঈশ্বর।
7 “কিন্তু পশুদের জিজ্ঞাসা কর,
তারা তোমায় শিক্ষা দেবে।
কিংবা, আকাশের পাখীদের জিজ্ঞাসা কর,
তারা তোমায় বলে দেবে।
8 অথবা পৃথিবীর সঙ্গে কথা বল
সে তোমায় শিক্ষা দেবে।
কিংবা সমুদ্রের মাছদের,
তোমার সঙ্গে কথা বলতে দাও।
9 এইসব প্রাণীর প্রত্যেকেই জানে যে ঈশ্বর তাদের সৃষ্টি করেছেন।
10 প্রত্যেকটি প্রাণী যারা বেঁচে রয়েছে, প্রত্যেকটি মানুষ যারা নিঃশ্বাস নিচ্ছে
তারা ঈশ্বরের শক্তির অধীনে রয়েছে।
11 জিভ কি খাদ্যের স্বাদ গ্রহণ করে না?
কান কি তার শোনা শব্দের অর্থ গ্রহণ করে না?
12 কিছু লোক বলে, ‘বয়স্ক লোকদের মধ্যে প্রজ্ঞা খুঁজে পাওয়া যায়।
দীর্ঘ আয়ু জীবন সম্পর্কে বোধ আনে।’
13 কিন্তু প্রজ্ঞা এবং ক্ষমতা ঈশ্বরেরই আছে।
সদুপদেশ ও বোধ দুইই তাঁর।
14 ঈশ্বর যদি কোন কিছুকে ভেঙে দেন, লোকে তা আর গড়তে পারে না।
যদি ঈশ্বর কোন লোককে হাজতে রাখেন কোন লোকই তাকে কারামুক্ত করতে পারে না।
15 ঈশ্বর যদি বৃষ্টিকে নিয়ন্ত্রণ করেন তাহলে এই পৃথিবী শুকিয়ে যাবে।
ঈশ্বর যদি বৃষ্টিকে অঝোরে ঝরতে দেন পৃথিবীতে বন্যা বয়ে যাবে।
16 ঈশ্বর শক্তিশালী এবং তাঁর গভীর প্রজ্ঞা আছে।
যে প্রতারিত হয় সে এবং প্রতারক দুজনেই ঈশ্বরের।
17 ঈশ্বর তাঁর সার্বভৌমত্ব প্রদর্শনের জন্য
জ্ঞানী ও দক্ষ ব্যক্তিদের বোকা প্রতিপন্ন করেন।
18 একজন রাজা হয়তো লোকদের জেলে বন্দী করতে পারে।
কিন্তু ঈশ্বর তাদের কারামুক্ত করেন এবং তাদের শক্তিশালী করেন।
19 ঈশ্বর যাজকদের পদচ্যুত করেন এবং যারা মনে করে তারা যথাযথভাবে শিকড় গেড়েছে তাদের উল্টে ফেলে দেন।
20 ঈশ্বর নির্ভর যোগ্য পরামর্শদাতাকেও নীরব করিয়ে দেন।
বয়স্ক মানুষের প্রজ্ঞাও তিনি হরণ করেন।
21 ঈশ্বর নেতাদের গুরুত্ব হ্রাস করান।
তিনি শাসকের ক্ষমতা কেড়ে নেন।
22 ঈশ্বর গোপনতম গোপন কথাটি প্রকাশ করেন।
অন্ধকার এবং মৃত্যুময স্থানেও তিনি আলো পাঠান।
23 ঈশ্বর জাতিদের বৃহৎ এবং শক্তিশালী করেন,
এবং তিনিই ঐ জাতিদের ধ্বংস করেন।
তিনি একটি জাতিকে বিরাট বড় হতে দেন
এবং তিনিই জাতির লোকদের ছড়িয়ে দেন।
24 ঈশ্বরই নেতাদের বোকা বানান।
তিনি তাদের উদ্দেশ্যবিহীনভাবে মরুভূমিতে পরিভ্রমণ করান।
25 সে সব নেতাদের অবস্থা হয় অন্ধকারে পথ হাতড়ে বেড়ানো লোকদের মত।
ঈশ্বর ওদের সেই নেশাগ্রস্ত লোকের মত করে তোলেন যে জানে না সে কোথায় যাচ্ছে।”
পৌলের ব্যক্তিগত শুভেচ্ছাবার্তা
16 এখন আমি খ্রীষ্টেতে আমাদের বোন ফৈবীর জন্য বলছি। কিংক্রিয়াস্থ মণ্ডলীতে তিনি একজন বিশেষ সেবিকা। 2 আমি অনুরোধ করি তোমরা প্রভুতে তাঁকে গ্রহণ করো। ঈশ্বরের লোকরা যেভাবে অপরকে গ্রহণ করে সেইভাবেই তাঁকে গ্রহণ করো। কোন ব্যাপারে যদি তিনি তোমাদের সাহায্য চান তবে তাঁকে সাহায্য করো। তিনি অনেক লোককে, এমনকি আমাকেও খুব সাহায্য করেছেন।
3 যীশু খ্রীষ্টের সেবায় আমার সহকর্মী প্রিষ্কা ও আক্কিলাকে শুভেচ্ছা জানিও। 4 তারা তাদের জীবন বিপন্ন করে আমার জীবন বাঁচিয়েছিল। কেবল আমিই যে তাদের কাছে কৃতজ্ঞ তা নয়, সমগ্র অইহুদী মণ্ডলীও তাদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে।
5 তাদের গৃহে যে মণ্ডলী সমবেত হন, তাদেরও শুভেচ্ছা জানিও।
আমার প্রিয় বন্ধু ইপেনিতকেও শুভেচ্ছা জানাও, এশিয়ার মধ্যে সেই প্রথম ধর্মান্তরিত হয়ে খ্রীষ্ট ধর্ম গ্রহণ করে।
6 মরিয়মকে শুভেচ্ছা জানিও কারণ সে তোমাদের সকলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছে।
7 আন্দ্রনীক ও যূনিয়কে শুভেচ্ছা জানিও, তাঁরা আমার স্বজাতি, আমার সঙ্গে তাঁরা কারাগারে বন্দী ছিলেন। তাঁরা প্রেরিতদের মধ্যে বিশিষ্ট ব্যক্তি। আমার আগেই তাঁরা খ্রীষ্টে ছিলেন।
8 প্রভুতে আমার প্রিয় বন্ধু আমপ্লিয়াতকে শুভেচ্ছা জানিও। 9 উর্ব্বানকে শুভেচ্ছা জানিও, তিনি খ্রীষ্টতে আমাদের সহকর্মী।
আমার প্রিয় বন্ধু স্তাখুকে শুভেচ্ছা জানিও। 10 আপিল্লিকে শুভেচ্ছা জানিও, তিনি একজন পরীক্ষা সিদ্ধ খ্রীষ্টীয়ান।
আরিষ্টবুলের পরিবারের সকলকে আমার শুভেচ্ছা জানিও। 11 হেরোদিয়ান, যিনি আমার মতোই একজন ইহুদী, তাঁকে শুভেচ্ছা জানিও;
নার্কিসের পরিবারের মধ্যে যারা প্রভুর, তাদের সকলকে আমার শুভেচ্ছা জানিও। 12 ত্রুফেণা এবং ক্রুফোষাকে শুভেচ্ছা জানিও, এই মহিলারা প্রভুর জন্য খুবই পরিশ্রম করেন।
আমার সেই প্রিয় বান্ধবী পর্ষীকে শুভেচ্ছা জানিও, যিনি প্রভুর জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন।
13 রূফকে শুভেচ্ছা জানিও। সে প্রভুতে এক বিশেষ ব্যক্তি, তার মাকে শুভেচ্ছা জানিও। তিনিও আমার মায়ের মতো;
14 আর অসুংক্রিত, ফ্রিগোন, হর্ম্মিপাত্রোবা, হর্ম্মা ও তাদের সঙ্গে সমবিশ্বাসী ভাইদেরও আমার শুভেচ্ছা জানিও।
15 ফিললগ, যুলিয়া, নীরিয় ও তার বোন ওলুম্প ও তাঁদের সঙ্গে যে সব ঈশ্বরের ভক্তরা আছেন তাঁদেরও আমার শুভেচ্ছা জানিও।
16 পবিত্র চুম্বন দিয়ে পরস্পরকে শুভেচ্ছা জানিও।
এখানকার সব খ্রীষ্টমণ্ডলী তোমাদের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে।
17 ভাই ও বোনেরা, আমি তোমাদের বিশেষভাবে অনুরোধ করছি, যারা দলাদলি সৃষ্টি করে ও পাপকে প্ররোচিত করে তাদের প্রতি লক্ষ্য রাখতে। তোমরা যে সত্য শিক্ষা পেয়েছ তারা তার বিরোধী। এমন লোকদের থেকে দূরে থেকো। 18 এমন লোকরা আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের সেবা করে না। তারা নিজেদের খুশী করতেই কাজ করে চলেছে। তারা মোলায়েম ও মিষ্টি-মিষ্টি কথা বলে সেই লোকদের ভুলিয়ে থাকে, যারা মন্দ জানে না। 19 তোমাদের বাধ্যতার কথা সবাই শুনেছে আর সেইজন্য আমি তোমাদের ওপরে খুশী হয়েছি। আমি চাই তোমরা সবাই যা ভাল তা চিনে গ্রহণ কর এবং মন্দ থেকে দূরে থাক।
20 শান্তির ঈশ্বর শীঘ্রই তোমাদের পায়ের নীচে শয়তানকে পিষে ফেলবেন।
আমাদের প্রভু যীশুর অনুগ্রহ তোমাদের সবার সঙ্গে থাকুক।
21 আমার সহকর্মী তীমথি তোমাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন; আর আমার মত জাতিতে ইহুদী লুকিয়, যাসোন ও সোষিপাত্র তোমাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে।
22 আমি তর্ত্তিয়, পৌলের হয়ে এই চিঠিটি লিখছি, আমিও প্রভুর নামে তোমাদের শুভেচ্ছা জানাই।
23 আমি যাঁর আতিথ্য গ্রহণ করেছি, যাঁর বাড়িতে গোটা মণ্ডলী সমবেত হয় সেই গাইয়াসও তোমাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। ইরাস্ত, যিনি এই শহরের কোষাধ্যক্ষ ও আমাদের ভাই কার্ত্ত তাঁরাও তোমাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। 24 [a]
25 যীশু খ্রীষ্টের বিষয়ে যে সুসমাচার আমি প্রচার করি, সেই সুসমাচারের মধ্য দিয়ে তোমাদের স্থির রাখবার ক্ষমতা ঈশ্বরের আছে। অনেক যুগ ধরে ঈশ্বর তাঁর গোপন উদ্দেশ্যের বিষয় কারোর কাছে জ্ঞাত করেন নি; কিন্তু এখন সুসমাচারের মাধ্যমে তা প্রকাশ পেয়েছে; আর আমি সেইমত তা প্রচার করেছি। 26 অনন্ত ঈশ্বরের আদেশ মতো ভাববাদীদের বাণীর মধ্য দিয়ে সব জাতির লোকদের কাছে তা জানানো হয়েছে যেন তারা খ্রীষ্টের ওপর বিশ্বাস করে ঈশ্বরের বাধ্য হতে পারে। 27 যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে চিরকাল একমাত্র প্রজ্ঞাবান ঈশ্বরের মহিমা হোক্। আমেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International