Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

M’Cheyne Bible Reading Plan

The classic M'Cheyne plan--read the Old Testament, New Testament, and Psalms or Gospels every day.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
আদি 41

ফরৌণের স্বপ্ন

41 দু বছর পর ফরৌণ একটা স্বপ্ন দেখলেন। দেখলেন তিনি নীল নদীর ধারে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। স্বপ্নে নদী থেকে সাতটা গরু উঠে এসে ঘাস খেতে লাগল। গরুগুলো ছিল হৃষ্টপুষ্ট, দেখতেও ভালো। এরপর নদী থেকে আরও সাতটা গরু উঠে এসে পাড়ের হৃষ্টপুষ্ট গরুগুলোর গা ঘেঁসে দাঁড়াল। কিন্তু ঐ গরুগুলো রোগা ছিল, দেখতেও অসুস্থ। সেই সাতটা অসুস্থ গরু সাতটা হৃষ্টপুষ্ট গরুগুলোকে খেয়ে ফেলল। তখনই ফরৌণের ঘুম ভেঙ্গে গেল।

ফরৌণ আবার শুতে গেলেন; আবার স্বপ্ন দেখলেন। এইবার দেখলেন একটা গাছে সাতটা শীষ বেড়ে উঠছে। শীষগুলো পুষ্ট এবং শস্যে ভরা। তারপর দেখলেন আরও সাতটা শীষ উঠছে। কিন্তু শীষগুলো অপুষ্ট আর পূবের বাতাসে ঝলসে গেছে। এরপর ঐ রোগা রোগা সাতটা শীষ পুষ্ট সাতটা শীষকে খেয়ে ফেলল। ফরৌণের ঘুম আবার ভেঙ্গে গেল। তিনি বুঝলেন যে তিনি স্বপ্ন দেখছিলেন। পরের দিন সকালে রাতে দেখা স্বপ্নগুলোর জন্য ফরৌণের মন অস্থির হয়ে উঠল। তাই তিনি মিশরের সমস্ত যাদুকর ও জ্ঞানী লোকদের ডেকে পাঠালেন। ফরৌণ তাঁর স্বপ্ন তাদের বললেন কিন্তু কেউ তার অর্থ বলতে পারল না।

ভৃত্যটি যোষেফের কথা বলল

তখন পানপাত্রবাহকের যোষেফের কথা মনে পড়ল। ভৃত্যটি ফরৌণকে বলল, “আমার সাথে যা ঘটেছিল তা মনে পড়ছে। 10 আপনি আমার ও রুটিওয়ালার উপর রেগে গিয়েছিলেন এবং আমাদের বন্দী করেছিলেন। 11 তারপর এক রাতে সে ও আমি স্বপ্ন দেখলাম। প্রত্যেকটি স্বপ্নের আলাদা অর্থ ছিল। 12 আমাদের সাথে কারাগারে এক ইব্রীয় যুবক ছিল। সে ছিল রক্ষীদের অধিকারী ভৃত্য। আমরা তাকে আমাদের স্বপ্ন বললে সে তার মানে বলে দিল। 13 আর সে যা বলল বাস্তবে তাই-ই ঘটল। সে বলেছিল যে আমি মুক্তি পেয়ে আবার পুরানো কাজ ফিরে পাব—ঘটলও তাই। রুটিওয়ালা সম্বন্ধে বলেছিল যে সে মারা যাবে—ঘটলও তাই।”

স্বপ্নের ব্যাখ্যা করতে যোষেফের ডাক পড়ল

14 তাই ফরৌণ যোষেফকে ডেকে পাঠালে দুজন রক্ষী দ্রুত তাকে কারাগার থেকে বার করে আনল। যোষেফ দাড়ি কামালেন, পরিষ্কার জামা পরলেন। তারপর ফরৌণের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। 15 ফরৌণ যোষেফকে বললেন, “আমি একটা স্বপ্ন দেখেছি কিন্তু কেউ তার ব্যাখ্যা করতে পারছে না। আমি শুনেছি যে তুমি স্বপ্ন শুনলে তার ব্যাখ্যা করতে পার।”

16 উত্তরে যোষেফ বললেন, “আমি পারি না! কিন্তু হয়তো ফরৌণের জন্য ঈশ্বর তার অর্থ বলে দেবেন।”

17 তখন ফরৌণ যোষেফকে বলতে লাগলেন, “আমার দেখা স্বপ্নে আমি নীল নদীর ধারে দাঁড়িয়েছিলাম। 18 তখন নদী থেকে সাতটা গরু উঠে এসে ঘাস খেতে শুরু করল। গরুগুলো ছিল হৃষ্টপুষ্ট, দেখতেও সুন্দর। 19 তারপর আমি নদী থেকে আরও সাতটি গরু উঠে আসতে দেখলাম। কিন্তু এই গরুগুলো রোগা রোগা, দেখতেও অসুস্থ। ঐরকম বিশ্রী গরু আমি মিশরে কখনও দেখি নি। 20 তারপর রোগা অসুস্থ গরুগুলো প্রথমে আসা হৃষ্টপুষ্ট গরুগুলোকে খেয়ে ফেলল। 21 কিন্তু তাও তাদের চেহারা রোগা আর অসুস্থই রইল। দেখে মনেই হবে না যে তারা সেই মোটা মোটা গরুগুলো খেয়েছে। তারপর আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল।

22 “আমার পরের স্বপ্নে আমি দেখলাম একটা গাছে সাতটা শীষ বেড়ে উঠছে। শীষগুলো পুষ্ট শস্যের দানায় ভরা। 23 তারপর সেগুলোর পরে সাতটা আরও শীষ উঠে এলো। কিন্তু এগুলো রোগা আর পূবের বাতাসে ঝলসানো ছিল। 24 এরপর সেই অপুষ্ট শীষগুলো পুষ্ট শীষগুলোকে খেয়ে ফেলল।

“আমার যাদুকরদের আমি এই স্বপ্নগুলো বললাম বটে কিন্তু তারা তার অর্থ বলতে পারল না। স্বপ্নগুলোর অর্থ কি?”

যোষেফ স্বপ্নের ব্যাখ্যা করলেন

25 তখন যোষেফ ফরৌণকে বললেন, “এই দুই স্বপ্নের বিষয়টা এক। ঈশ্বর শীঘ্রই যা করতে চলেছেন তা আপনার কাছে প্রকাশ করেছেন। 26 উভয় স্বপ্নের প্রকৃত অর্থ এক। সাতটা ভাল গরু এবং সাতটা ভাল শীষ সাতটা ভাল বছরকে বোঝাচ্ছে। 27 আর সাতটা রোগা গরু, সাতটা অপুষ্ট শীষ বোঝায় সাতটা দুর্ভিক্ষের বছর। সাতটা ভাল বছরের পর দুর্ভিক্ষের সাত বছর আসবে। 28 শীঘ্র যা ঘটতে চলেছে ঈশ্বর তাই-ই আপনাকে দেখিয়েছেন। যে ভাবে আমি বললাম ঈশ্বর সেইভাবেই এসব ঘটাবেন। 29 সাত বছর মিশরে প্রচুর শস্য উৎপন্ন হবে। 30 কিন্তু তারপর আসবে দুর্ভিক্ষের সাতটা বছর। মিশরের লোকরা ভুলে যাবে অতীতে কত শস্যই না হত। এই দুর্ভিক্ষে দেশ নষ্ট হবে। 31 লোকরা ভুলে যাবে শস্যের প্রাচুর্য্য বলতে কি বোঝায়।

32 “ফরৌণ, আপনি একটি বিষয় নিয়ে দুটি স্বপ্ন দেখেছন। কারণ ঈশ্বর যে সত্যিই তা ঘটাতে চলেছেন তা আপনাকে দেখাতে চাইলেন। আর তিনি শীঘ্রই তা ঘটাবেন। 33 তাই ফরৌণ, আপনার উচিৎ‌ একজন সুবুদ্ধি ও জ্ঞানবান লোক খুঁজে তাকে মিশর দেশের জন্য নিযুক্ত করা। 34 তারপর আপনি অন্য লোকদের নিয়োগ করুন যেন তারা খাদ্য সংগ্রহ করে। সাতটি ভাল বছরের প্রত্যেকটি লোক তাদের উৎ‌পন্ন শস্যের এক পঞ্চমাংশ সেই লোকদের দিক। 35 এইভাবে ঐ লোকরা ঐ সাতটি ভাল বছরে প্রচুর খাদ্য সংগ্রহ করে প্রয়োজন না পড়া পর্যন্ত শহরে শহরে সংগ্রহ করে রাখবে। এইভাবে ফরৌণ, আপনার অধীনে ঐ খাদ্য আসবে। 36 তারপর দুর্ভিক্ষের সাত বছরে মিশর দেশের জন্য খাদ্য থাকবে। আর দুর্ভিক্ষে মিশর ধ্বংস হয়ে যাবে না।”

37 এই পরিকল্পনা ফরৌণের মনপুতঃ হল আর তাঁর আধিকারিকরাও মেনে নিল। 38 তারপর ফরৌণ তাদের বললেন, “ঐ কাজ করার জন্যে মনে হয় না আমরা যোষেফের থেকে আর ভাল কাউকে পাব! ঈশ্বরের আত্মা তার সঙ্গে রয়েছে আর সেই জন্যই সে জ্ঞানবান!”

39 তাই ফরৌণ যোষেফকে বললেন, “ঈশ্বর তোমাকে এই সমস্ত যখন জানিয়েছেন তখন তোমার মত জ্ঞানী আর কে হতে পারে? 40 আমি তোমাকে আমার নিয়ন্ত্রণের জন্য নিযুক্ত করলাম, সমস্ত লোক তোমার আদেশ পালন করবে। ক্ষমতার দিক থেকে কেবল আমি তোমার চেয়ে বড় থাকব।”

41 ফরৌণ যোষেফকে বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজ্যপাল করলেন। ফরৌণ যোষেফকে বললেন, “আমি তোমাকে সমগ্র মিশরের রাজ্যপাল হিসেবে নিযুক্ত করলাম।”

42 তারপর ফরৌণ তাঁর আংটি খুলে যোষেফের হাতে পরিয়ে দিলেন। সেই আংটিতে রাজকীয় ছাপ ছিল। ফরৌণ তাকে মিহি কার্পাসের পোশাক দিলেন এবং তার গলায় সোনার হার পরিয়ে দিলেন। 43 ফরৌণ যোষেফকে দ্বিতীয় রথে চড়তে দিলেন। রক্ষকরা যোষেফের রথের আগে আগে যেতে যেতে লোকদের বলতে থাকল, “যোষেফের সামনে হাঁটু গাড়ো।”

এইভাবে যোষেফ সমগ্র মিশরের রাজ্যপাল হলেন। 44 ফরৌণ তাকে বললেন, “আমি রাজা ফরৌণ, সুতরাং আমি যা চাই তাই করব কিন্তু মিশরের আর কেউ তোমার আজ্ঞা ছাড়া হাত অথবা পা তুলতে পারবে না।”

45 ফরৌণ যোষেফের আর এক নাম সাফনত্‌-পানেহ রাখলেন। ফরৌণ যোষেফকে আসনৎ‌‌ নামে এক কন্যার সঙ্গে বিয়েও দিলেন। সে ছিল ওন নামক শহরে যাজক পোটীফরের কন্যা। এইভাবে যোষেফ সমস্ত মিশর দেশের রাজ্যপাল হলেন।

46 যোষেফের 30 বছর বয়সে তিনি মিশর দেশের রাজার সেবা করতে শুরু করলেন। তিনি সমস্ত মিশর দেশ ঘুরলেন। 47 সাত বছর মিশরে খুব ভাল শস্য উৎপন্ন হল। 48 আর ঐ সাত বছর ধরে যোষেফ মিশরে খাবার সঞ্চয় করলেন। প্রত্যেক শহরে শহরে যোষেফ সেই শহরের আশেপাশের ক্ষেতে যা জন্মাত তার থেকে সংগ্রহ করতেন। 49 যোষেফ সমুদ্রের বালির মত এত শস্য সংগ্রহ করলেন যে তা মাপা গেল না কারণ তা মাপা সম্ভব ছিল না। 50 যোষেফের স্ত্রী আসনৎ ছিলেন ওন শহরের যাজকের কন্যা। দুর্ভিক্ষের প্রথম বছর আসার আগেই যোষেফ এবং আসনতের দুটি পুত্র হল। 51 প্রথম পুত্রের নাম রাখা হল মনঃশি। যোষেফ এই নাম দিলেন কারণ তিনি বললেন, “ঈশ্বর আমার সমস্ত কষ্ট ও আমার বাড়ীর সমস্ত চিন্তা ভুলে যেতে দিলেন।” 52 যোষেফ দ্বিতীয় পুত্রের নাম রাখলেন ইফ্রয়িম। যোষেফ এই নাম রাখলেন কারণ তিনি বললেন, “আমার মহাকষ্টের মধ্যেও ঈশ্বর আমাকে ফলবান করেছেন।”

দুর্ভিক্ষের সময় এল

53 সাত বছর লোকরা খাদ্যের জন্য প্রচুর শস্য পেল। তারপর সেই বছরগুলো শেষ হল। 54 এবার দুর্ভিক্ষের সাতটা বছর শুরু হল ঠিক যেমনটি যোষেফ বলেছিলেন। সেই অঞ্চলের কোন দেশে কোথাও কোন খাদ্য শস্য জন্মালো না। কিন্তু মিশরের লোকদের জন্য যথেষ্ট খাদ্য ছিল। কারণ যোষেফ শস্য জমা করে রেখেছিলেন। 55 দুর্ভিক্ষের সময় শুরু হলে লোকরা খাদ্যের জন্য ফরৌণের কাছে এসে কান্নাকাটি করল। ফরৌণ মিশরীয়দের বললেন, “যাও যোষেফকে গিয়ে জিজ্ঞেস কর কি করতে হবে।”

56 সব জায়গায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে যোষেফ গুদাম থেকে লোকদের শস্য বিক্রি করতে শুরু করলেন। দুর্ভিক্ষ মিশরেও ভয়াবহ রূপ নিল। 57 সর্বত্রই সেই দুর্ভিক্ষ প্রবল হল, ফলে মিশরের আশেপাশের দেশ থেকেও লোকরা শস্য কিনতে এলো।

মার্ক 11

রাজার মতো যীশুর জেরুশালেমে প্রবেশ

(মথি 21:1-11; লূক 19:28-40; যোহন 12:12-19)

11 এরপর তাঁরা জেরুশালেমের কাছাকাছি পৌঁছে জৈতুন পর্বতমালায় বৈৎফগী ও বৈথনিয়া গ্রামে এলেন। সেখানে পৌঁছে তিনি তাঁর শিষ্যদের মধ্যে দুজনকে আগে পাঠিয়ে দিলেন। তিনি তাঁদের বললেন, “তোমরা তোমাদের সামনের ঐ গ্রামে যাও, গ্রামে ঢুকেই দেখবে একটা বাচ্চা গাধা বাঁধা আছে, যাতে কেউ কখনও বসে নি। সেই গাধাটাকে খুলে আন। যদি কেউ তোমাদের জিজ্ঞাসা করে, ‘কেন তুমি গাধাটি খুলছ?’ তখন তাকে বলবে, ‘এটা প্রভুর কাজে লাগবে আর সে তখনই সেটা পাঠিয়ে দেবে।’”

তাঁরা সেখানে গেলেন এবং দেখলেন দরজার কাছে রাস্তার ওপর একটা গাধা বাঁধা আছে। তখন তাঁরা দড়িটাকে খুলতে লাগলেন, আর কিছু লোক সেখানে দাঁড়িয়েছিল, তারা তাঁদের বলল, “তোমরা কি করছ, গাধার বাচ্চাটাকে খুলছ কেন?” তাতে যীশু যেমন বলেছিলেন, তাঁরা সেইমতো উত্তর দিলেন, তখন লোকেরা আর কিছু বলল না, গাধার বাচ্চাটাকে নিয়ে যেতে দিল।

তাঁরা গাধার বাচ্চাটাকে যীশুর কাছে নিয়ে এসে গাধাটির উপরে তাদের জামাকাপড় পেতে দিলেন এবং যীশু তার উপরে বসলেন। তখন অনেকে তাদের জামাকাপড় রাস্তায় পেতে দিল আর অন্যেরা মাঠ থেকে পাতা ঝরা গাছের ডালপালা কেটে এনে রাস্তার উপরে ছড়িয়ে দিল। আর যে সমস্ত লোক আগে এবং পেছনে যাচ্ছিল তারা চেঁচিয়ে বলতে লাগল,

“‘হোশান্না!’[a]
    ‘ধন্য তিনি, যিনি প্রভুর নামে আসছেন!’(A)

10 “আমাদের পিতৃপুরুষ দায়ূদের যে রাজ্য আসছে,
    তা ধন্য! হোশান্না!

স্বর্গে ঈশ্বরের মহিমা হোক্।”

11 তিনি জেরুশালেমে ঢুকে মন্দিরে গেলেন। সেখানে চারদিকের সমস্ত কিছু লক্ষ্য করলেন; কিন্তু সন্ধ্যে হয়ে যাওয়ায় বারোজন প্রেরিতকে সঙ্গে নিয়ে তিনি বৈথনিয়াতে ফিরে গেলেন।

বিশ্বাসযুক্ত প্রার্থনার বিষয়ে শিক্ষা

(মথি 21:18-19)

12 পরের দিন বৈথনিয়া ছেড়ে আসার সময় তাঁর খিদে পেল। 13 দূর থেকে তিনি একটি পাতায় ভরা ডুমুর গাছ দেখে তাতে কিছু ফল পাবেন ভেবে তার কাছে গেলেন, কিন্তু গাছটির কাছে গেলে পাতা ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেলেন না; কারণ তখন ডুমুর ফলের মরশুম নয়। 14 তখন তিনি গাছটিকে বললেন, “এখন থেকে তোমার ফল আর কেউ কোন দিন খাবে না!” এই কথা তাঁর শিষ্যেরা শুনতে পেলেন।

যীশু মন্দিরে গেলেন

(মথি 21:12-17; লূক 19:45-48; যোহন 2:13-22)

15 পরে তাঁরা জেরুশালেমে গেলেন; আর মন্দিরের মধ্যে ঢুকে যারা কেনা-বেচা করছিল সেইসব ব্যবসায়ীদের বাইরে বার করে দিলেন। তিনি পোদ্দারদের টেবিল এবং যারা পায়রা বিক্রি করছিল তাদের আসন উল্টে দিলেন। 16 তিনি মন্দিরের মধ্যে দিয়ে কাউকে কোন জিনিস নিয়ে যেতে দিলেন না। 17 তিনি শিক্ষা দিয়ে তাদের বললেন, “এটা কি লেখা নেই ‘আমার মন্দিরকে সমগ্র জাতির উপাসনা গৃহ বলা হবে?’(B) কিন্তু তোমরা এটাকে ‘দস্যুদের আস্তানায় পরিণত করেছ।’(C)

18 প্রধান যাজকরা এবং ব্যবস্থার শিক্ষকরা এই কথা শুনে তাঁকে হত্যা করার রাস্তা খুঁজতে থাকল, কারণ তারা তাঁকে ভয় করত, যেহেতু তাঁর শিক্ষায় সমগ্র লোক আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিল 19 সেই দিন সন্ধ্যে হলেই যীশু ও তাঁর শিষ্যরা মহানগরীর বাইরে গেলেন।

বিশ্বাসের শক্তি

(মথি 21:20-22)

20 পরের দিন সকালে যেতে যেতে তাঁরা দেখলেন, সেই ডুমুর গাছটি মূল থেকে শুকিয়ে গেছে। 21 পিতর আগের দিনের কথা মনে করে তাঁকে বললেন, “হে গুরু, দেখুন, আপনি যে ডুমুর গাছটিকে অভিশাপ দিয়েছিলেন সেটি শুকিয়ে গেছে।”

22 তখন যীশু বললেন, “ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখ! 23 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, কেউ যদি ঐ পাহাড়কে বলে, ‘উপরে যাও এবং সমুদ্রে গিয়ে পড়,’ আর তার মনে কোন সন্দেহ না থাকে এবং সে যদি বিশ্বাস করে যে সে যা বলছে তা হবে, তাহলে ঈশ্বর তার জন্য তাই করবেন। 24 এইজন্য আমি তোমাদের বলি, তোমরা যা কিছুর জন্য প্রার্থনা কর, যদি বিশ্বাস কর যে, তোমরা তা পেয়েছ, তাহলে তোমাদের জন্য তা হবেই। 25 আর তোমরা যখনই প্রার্থনা করতে দাঁড়াও, যদি কারোর বিরুদ্ধে তোমাদের কোন কথা থাকে, তাকে ক্ষমা কর, যাতে তোমাদের স্বর্গের পিতাও তোমাদের সমস্ত পাপ ক্ষমা করেন।” 26 [b]

যীশুর কর্ত্তৃত্বের বিষয়ে ইহুদী নেতাদের সন্দেহ

(মথি 21:23-27; লূক 20:1-8)

27 পরে তাঁরা জেরুশালেমে ফিরে এলেন। আর যখন তিনি মন্দিরের মধ্যে দিয়ে হাঁটছেন, সেই সময় প্রধান যাজকরা, ব্যবস্থার শিক্ষকরা ও বয়স্ক ইহুদী নেতারা তাঁর কাছে এলেন। 28 তাঁরা তাকে বললেন, “কোন ক্ষমতায় তুমি এসব করছ? এসব করতে তোমাকে কেই বা এই ক্ষমতা দিয়েছে?”

29 যীশু তাঁদের বললেন, “আমি তোমাদের একটা প্রশ্ন করছি, যদি তোমরা উত্তর দিতে পারো, তাহলে আমি তোমাদের বলব কোন ক্ষমতায় এসব করছি। 30 যোহন যে বাপ্তাইজ করেছিলেন তা করার অধিকার তিনি স্বর্গ থেকে পেয়েছিলেন না মানুষের কাছ থেকে পেয়েছিলেন? আমাকে বলো।”

31 তখন তাঁরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বললেন, “যদি আমরা বলি, ‘স্বর্গ থেকে,’ তাহলে বলবে ‘তবে তোমরা তাকে বিশ্বাস কর নি কেন?’ 32 কিন্তু যদি আমরা বলি, ‘মানুষের কাছ থেকে,’ তাহলে জনসাধারণ আমাদের ওপর রেগে যাবে।” (তাঁরা জনসাধারণকে ভয় করতেন কারণ জনসাধারণের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে যোহন একজন ভাববাদী।)

33 তাই তাঁরা যীশুকে বললেন, “আমরা জানি না।”

তখন যীশু তাঁদের বললেন, “তবে আমিও কোন্ ক্ষমতায় এসব করছি, তা তোমাদের বলব না।”

ইয়োব 7

ইয়োব বললেন, “পৃথিবীতে মানুষকে কঠিন সংগ্রাম করতে হয়।
    তাদের জীবন একজন কঠোর পরিশ্রমী শ্রমিকের জীবনের মত।
মানুষ সেই ক্রীতদাসের মত, যে প্রচণ্ড গরমের দিনে সারাদিন পরিশ্রমের পর একটু শীতল ছায়া চায়।
    মানুষ একজন ভাড়াটে শ্রমিকের মত যে বেতনের দিনের জন্য অপেক্ষা করে।
তাই, ঠিক একটি ক্রীতদাস ও শ্রমিকের মত আমাকে মাসের পর মাস নৈরাশ্য দেওয়া হয়েছে।
    আমাকে দুঃখভরা রাতগুলি গুনে দেওয়া হয়েছে।
যখন আমি শুই, আমি ভাবি,
    ‘আবার কতক্ষণ পরে জেগে উঠবো?’
রাত্রি প্রলম্বিত হয়।
    সূর্য ওঠা পর্যন্ত আমি ছটফট করি।
আমার দেহ কৃমিকীট ও আবর্জনার মণ্ড দিয়ে আবৃত।
    আমার চামড়া ফেটে যায় ও রস গড়ায়।

“আমার জীবন, তাঁতির মাকুর থেকেও দ্রুত অতিবাহিত হয়ে যাচ্ছে।
    এবং আশাহীন ভাবে আমার জীবন শেষ হচ্ছে।
স্মরণে রেখো, আমার জীবন একটি নিশ্বাস মাত্র।
    আর কখনও আমি ভালো কিছু দেখবো না।
এবং যদিও তুমি এখন আমায় দেখছ তুমি আমাকে দেখবে না,
    তুমি আমাকে খুঁজতে থাকবে কিন্তু আমি থাকবো না।
মেঘ চলে যায় এবং বিলুপ্ত হয়। একই ভাবে, একজন লোক কবরে চলে যায়।
    সে আর ফিরে আসে না।
10 তার পুরোনো বাড়ীতে সে আর কখনই ফিরে আসবে না।
    তার বাড়ী তাকে আর চিনতে পারবে না।

11 “তাই আমি চুপ করে থাকবো না!
    আমি কথা বলবো, আমার আত্মা কষ্ট পাচ্ছে!
    আমি অভিযোগ করবো কারণ আমার আত্মা বীতশ্রদ্ধ হয়ে গেছে।
12 ঈশ্বর, কেন আপনি আমায় পাহারা দিচ্ছেন?
    আমি কি সমুদ্র বা সমুদ্র দানব?
13 যখন আমি বলি আমার বিছানা আমাকে আরাম দেবে,
    আমার চৌকি আমাকে বিশ্রাম ও শান্তি দেবে
14 তখন স্বপ্ন দেখিয়ে আপনি আমায় ভয় পাওয়ান।
    ভয়াবহ স্বপ্ন দর্শন করিয়ে আপনি আমায় ভীত করেন।
15 তাই ফাঁসি যাওয়াটাই আমি এখন শ্রেয় বলে মনে করি।
    এমন ভাবে বেঁচে থাকার চেয়ে আমার মরে যাওয়াই ভাল।
16 আমি আমার জীবনকে বাতিল করে দিয়েছিলাম।
    আমি চিরদিন বেঁচে থাকতে চাই না।
আমাকে একা থাকতে দিন।
    আমার জীবন শুধুই একটি বয়ে যাওয়া নিঃশ্বাস।
17 ঈশ্বর, কেন মানুষ আপনার কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ?
    কেন আপনি তাকে এত লক্ষ্য করেন?
18 কেন প্রতিদিন সকালে আপনি মানুষ পরীক্ষা করেন?
    কেন প্রতি মূহুর্তে লোকদের যাচাই করেন?
19 ঈশ্বর, আপনি কি আমার উপর থেকে আপনার দৃষ্টি সরিয়ে নেবেন না?
    আপনি কি এক পলকের জন্যও আমাকে একা ছাড়বেন না?
20 ঈশ্বর, আপনি মানুষের ওপর নজর রাখেন।
    আমি অন্যায় করেছি, ভাল।
আমি আপনার প্রতি কি করতে পারি?
    কেন আমি আপনার বোঝা হয়ে উঠেছি?
21 অপরাধ করার জন্য কেন আপনি আমায় ক্ষমা করছেন না?
    আমার পাপের জন্য কেন আপনি আমায় ক্ষমা করছেন না?
আমি খুব তাড়াতাড়ি মরে গিয়ে কবরে যাবো।
    তখন আপনি আমায় খুঁজবেন, কিন্তু আমি তখন চলে যাবো।”

রোমীয় 11

ঈশ্বর তাঁর লোকদের ভুলে যান নি

11 তাহলে আমি জিজ্ঞাসা করি, “ঈশ্বর কি তাঁর লোকদের দূরে সরিয়ে দিয়েছেন?” নিশ্চয়ই না, কারণ আমিও অব্রাহামের বংশধর, বিন্যামীন গোষ্ঠীর একজন ইস্রায়েলী।

পূর্বেই ঈশ্বর যাদের তাঁর নিজের লোক বলে মনোনীত করেছিলেন তাদের তিনি দূরে সরিয়ে দেন নি। শাস্ত্রে এলিয় সম্বন্ধে কি বলে তোমরা কি জান না? এলিয় যখন ইস্রায়েলীদের বিরুদ্ধে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন, তখন তিনি বললেন, “প্রভু তারা তোমার ভাববাদীদের হত্যা করেছে, তোমার সমস্ত যজ্ঞবেদী ধ্বংস করেছে। আমিই একমাত্র ভাববাদী এখনও জীবিত আছি আর লোকরা আমার প্রাণনাশের চেষ্টা করছে।”(A) কিন্তু ঈশ্বর তখন এলিয়কে কি উত্তর দিয়েছিলেন? ঈশ্বর বললেন, “এখনও আমার সাত হাজার লোককে বাঁচিয়ে রেখেছি, যারা আমার উপাসনা করে। এই সাত হাজার লোক বালের সামনে জানুপাত করে নি।”(B)

ঠিক সেই ভাবেই এখনও কিছু লোক আছে, ঈশ্বর যাদের নিজ অনুগ্রহে মনোনীত করেছেন। ঈশ্বর যদি তাঁর লোকদের অনুগ্রহে মনোনীত করেছেন, তবে তাদের কৃতকর্মের ফলে তারা ঈশ্বরের লোক বলে গন্য হয় নি, কারণ তাই যদি হত তবে ঈশ্বরের অনুগ্রহ আর অনুগ্রহ হত না।

তবে ব্যাপারটি দাঁড়াল এই: ইস্রায়েলীয়রা ঈশ্বরের সাক্ষাতে ধার্মিক প্রতিপন্ন হতে চাইলেও সফলকাম হয় নি। কিন্তু ঈশ্বর যাদের মনোনীত করলেন, তারাই ঈশ্বরের সাক্ষাতে ধার্মিক প্রতিপন্ন হল। বাকি ইস্রায়েলীয়রা তাদের অন্তঃকরণ কঠোর করে তুলল ও ঈশ্বরের কথা অমান্য করল।

শাস্ত্রে তাই লেখা আছে:

“ঈশ্বর তাদের এক জড়তার আত্মা দিয়েছেন।”(C)

“ঈশ্বর তাদের চক্ষু রুদ্ধ করেছেন, তাই তারা চোখে সত্য দেখতে পায় না।
    ঈশ্বর তাদের কান বন্ধ করে দিয়েছেন, তাই তারা কানে সত্য শুনতে পায় না,
এ কথা আজও সত্যি।”(D)

দায়ূদ এ সম্বন্ধে বলেছেন:

“তাদের ভোজ হোক্ ফাঁদের মতো, জালের মতো যা তাদের ধরে।
    তাদের পতন হোক্ ও তারা দণ্ড ভোগ করুক্।
10 তাদের চোখ রুদ্ধ হয়ে যাক্ যাতে তারা দেখতে না
    পায় আর তারা কষ্টের ভারে সর্বদা নুয়ে থাকুক।”(E)

11 আমি বলি ইহুদীরা হোঁচট খেয়েছিল। সেই হোঁচট খেয়ে তারা কি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল? না। বরং তাদের ভুলের জন্যই অইহুদীরা পরিত্রাণ পেয়েছে। এটা ইহুদীদের ঈর্ষাতুর করে তোলার জন্য ঘটেছিল। 12 ইহুদীদের সেই ভুল, জগতের জন্য মহা আশীর্বাদ নিয়ে এসেছে। ইহুদীরা যা হারাল তাদের সেই ক্ষতি অইহুদীদের সমৃদ্ধ করল। তবে একথা নিশ্চিত যে পর্যাপ্ত সংখ্যক ইহুদীরা যদি ঈশ্বরের দিকে মন দেয় তবে জগত কত না আশীর্বাদ পূর্ণ হবে।

13 এখন আমি অইহুদীদের বলছি, আমি অইহুদীদের জন্য একজন প্রেরিত, আর আমি এই কাজ সাধ্যমত করব। 14 আমি আশা রাখি যে আমার স্বজাতীয় ইহুদীদের এতে অন্তর্জ্বালা হবে আর হয়তো সেইভাবে কিছু লোককে আমি সাহায্য করতে পারব, যেন তারা উদ্ধার পায়। 15 ঈশ্বর ইহুদীদের থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে জগতের অন্য লোকদের মিত্র করে নিলেন। তাই ঈশ্বর ইহুদীদের আবার যখন গ্রহণ করবেন তার ফল কি হতে পারে? সে কি মৃতের জীবন পাওয়ার মত অবস্থা হবে না? 16 ময়দার তালের থেকে তৈরী প্রথম রুটি যদি ঈশ্বরকে নিবেদন করা হয় তাহলে পুরো তালটাই পবিত্র; আর একটি গাছের শিকড় পবিত্র হলে তার সব শাখাই পবিত্র হবে।

17 সেই জলপাই গাছের কয়েকটি শাখা ভেঙে গেলে সেই জায়গায় তোমার মত বুনো জলপাইয়ের এক শাখা, ঐ গাছে কলম করে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এখন তুমি আসল জলপাই গাছের বাকী শাখা প্রশাখার সঙ্গে শেকড়ের রস ও জীবনী শক্তি টেনে নিচ্ছ। 18 সুতরাং, তুমি সেই ভাঙা শাখাগুলির চেয়ে নিজেকে উন্নত ভেবে গর্ব করো না; কিন্তু যদি কর তাহলে মনে রেখো যে শেকড়কে তুমি ধারণ করছ না বরং শেকড়ই তোমাকে ধারণ করে আছে। 19 তাহলে তুমি বলতেই পার যে তোমাকে কলম লাগাবার জন্যেই শাখাগুলো ভাঙা হয়েছিল। 20 হ্যাঁ, ঠিক। ঈশ্বরে বিশ্বাস ছিল না বলেই তাদের ভাঙ্গা হয়েছিল, আর তোমার বিশ্বাস ছিল বলেই তুমি সেই গাছের অংশরূপে আছ, এর জন্য গর্ব না করে বরং ভয় কর। 21 ঈশ্বর যখন সেই প্রকৃত শাখাগুলিই কেটে ফেলেছিলেন তখন বিশ্বাস না থাকলে তিনি তোমাকেও রেহাই দেবেন না।

22 তাহলে ঈশ্বরের দয়ার ভাব ও কঠোরভাব দেখ। যারা আর ঈশ্বরের অনুগামী হয় না তাদের তিনি দণ্ড দেন। কিন্তু ঈশ্বর তোমার প্রতি দয়াবান হন যদি তুমি তাঁর দয়ায় অবস্থান করতে থাক। যদি না থাক তাহলে তোমাকে সেই প্রকৃত গাছ থেকে কেটে ফেলা হবে; 23 আর ইহুদীরা যদি ঈশ্বরের কাছে ফিরে আসে, তাঁকে বিশ্বাস করে তবে ঈশ্বর ইহুদীদের আবার গ্রহণ করবেন। তারা যেখানে ছিল ঈশ্বর তাদের সেখানে আবার জুড়ে দেবেন। 24 বুনো জলপাই গাছের শাখা স্বাভাবিকভাবে উত্তম জলপাই গাছে লাগানো হয় না; কিন্তু তোমরা অইহুদীরা বুনো জলপাই গাছের শাখার মত হলেও তোমাদের সকলকে উত্তম জলপাই গাছের সঙ্গে যুক্ত করা হল। সুতরাং ইহুদীরা উত্তম জলপাই গাছের শাখা-প্রশাখা বলে তাদের ভেঙে ফেলা হলেও তাদের নিজস্ব উত্তম গাছের সঙ্গে আবার কত সহজেই না যুক্ত করা যাবে।

25 ভাই ও বোনেরা, আমি চাই যে তোমরা নিগূঢ় সত্য বোঝ যাতে নিজের চোখে নিজেকে জ্ঞানী না মনে কর। এই হল সত্য যে ইস্রায়েলীয়দের কিছু অংশ শক্তগ্রীব হয়েছে। অইহুদীদের সংখ্যা পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ইহুদীদের সেই মনোভাব বদলাবে না। 26 এইভাবে সমগ্র ইস্রায়েলের উদ্ধার হবে। শাস্ত্রে লেখা আছে:

“সিয়োন থেকে ত্রাণকর্তা আসবেন।
    তিনি যাকোবের বংশ থেকে সব অধর্ম দূর করবেন।
27 আর তখন এই লোকদের সব পাপ হরণ করে
    আমি তাদের সঙ্গে আমার চুক্তি স্থাপন করব।”(F)

28 সুসমাচার গ্রহণ করতে অস্বীকার করে ইহুদীরা ঈশ্বরের শত্রু হয়েছে। তোমরা যাঁরা অইহুদী তোমাদের সাহায্য করতেই এমন হয়েছে; কিন্তু বেছে নেবার দিক থেকে ইহুদীরা এখনও ঈশ্বরের মনোনীত লোক। তাদের পিতৃপুরুষদের কাছে ঈশ্বর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেই সুবাদে তিনি তাদের ভালবাসেন। 29 ঈশ্বর কাউকে আহ্বান জানিয়ে ও দান করে অনুশোচনা করেন না। 30 একসময় তোমরা ঈশ্বরের অবাধ্য ছিলে, কিন্তু এখন ইহুদীদের অবাধ্যতার জন্য তোমরা তাঁর করুণা পেয়েছ। 31 ঠিক তেমনই তোমরা করুণা পেয়েছ বলে ইহুদীরা ঈশ্বরের অবাধ্য হয়েছে যাতে ইহুদীরা ঈশ্বরের করুণা পেতে পারে। 32 ঈশ্বর তাদের সকলকেই অবাধ্যতায় বন্দী করে রেখেছেন যাতে তিনি সকলের প্রতি দয়া করতে পারেন।

ঈশ্বরের প্রশংসা

33 হ্যাঁ, ঈশ্বর তাঁর করুণায় কতো ধনবান, তাঁর জ্ঞান ও প্রজ্ঞা কতো গভীর তার বিচারের ব্যাখ্যা কেউ করতে পারে না। তাঁর পথ কেউ বুঝতে পারে না। 34 শাস্ত্রে যেমন বলে,

“প্রভুর মন কে জেনেছে?
    কেই বা তাঁর মন্ত্রণাদাতা হয়েছে?”(G)

35 “আর কে-ই বা প্রথমে ঈশ্বরকে কিছু দান করেছে?
    এমন কে আছে যার কাছে ঈশ্বর ঋণী?”(H)

36 কারণ ঈশ্বরই সবকিছু নির্মাণ করেছেন; সবকিছু তাঁর মধ্য দিয়েই অস্তিত্ব পেয়েছে এবং তাঁর জন্যই রয়েছে। চিরকাল ঈশ্বরের মহিমা অটুট থাকুক! আমেন।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International