M’Cheyne Bible Reading Plan
30 রাহেল দেখল যে সে যাকোবকে কোন সন্তান দিতে পারে নি। রাহেল তাই তার বোন লেয়ার প্রতি ঈর্ষান্বিত হল। তাই রাহেল যাকোবকে বলল, “আমায় সন্তান দিন নতুবা আমি মারা যাব!”
2 যাকোব রাহেলের প্রতি ক্রুদ্ধ হল। সে বলল, “আমি ঈশ্বর নই। ঈশ্বরই তোমার গর্ভ রুদ্ধ করে রেখেছেন।”
3 তারপর রাহেল বলল, “আপনি আমার দাসী বিল্হাকে নিন। তার সাথে শয়ন করুন এবং সে আমার জন্য সন্তান প্রসব করবে। তাহলে আমি তার মাধ্যমে মাতা হতে পারব।”
4 তাই রাহেল বিল্হাকে যাকোবের কাছে পাঠাল। যাকোব বিল্হার সঙ্গে যৌন সহবাস করল। 5 বিল্হা গর্ভবতী হয়ে যাকোবের জন্য এক পুত্রের জন্ম দিল।
6 রাহেল বলল, “ঈশ্বর আমার প্রার্থনা শুনেছেন। তিনি তাই আমায় এক পুত্র দিতে মনস্থ করলেন।” তাই রাহেল এই সন্তানের নাম দান রাখল।
7 বিল্হা আবার গর্ভবতী হয়ে দ্বিতীয় পুত্রের জন্ম দিল। 8 রাহেল বলল, “আমি আমার বোনের সঙ্গে ভারী প্রতিদ্বন্দিতা করেছি এবং আমি জিতেছি।” তাই সে সেই পুত্রের নাম দিল নপ্তালি।
9 লেয়া দেখলেন যে তাঁর আর সন্তান হবার সম্ভাবনা নেই। তাই তিনি তাঁর দাসী সিল্পাকে যাকোবকে দিলেন। 10 এবার সিল্পার এক পুত্র হল। 11 লেয়া বললেন, “আমি খুবই সৌভাগ্যবতী।” তাই তিনি এই পুত্রের নাম গাদ রাখলেন। 12 সিল্পা আর একটি পুত্রের জন্ম দিল। 13 লেয়া বললেন, “আমি অত্যন্ত আনন্দিত! এখন হতে স্ত্রী লোকরা আমায় ধন্যা বলবে।” তাই তিনি তার নাম আশের রাখলেন।
14 গম কাটার সময় রূবেণ ক্ষেতে গিয়ে একটি বিশেষ ধরণের ফুল[a] দেখতে পেল। রূবেণ সেই ফুলগুলি তার মা লেয়ার কাছে নিয়ে এল। কিন্তু রাহেল লেয়াকে বলল, “তোমার পুত্রের আনা ঐ ফুলের কিছু আমাকে দাও।”
15 লেয়া উত্তরে বললেন, “তুমি এর মধ্যেই আমার স্বামীকে নিয়ে নিয়েছ। এখন তুমি আমার পুত্রের ফুলগুলিও নিতে চাইছ?”
কিন্তু রাহেল বলল, “তুমি তোমার পুত্রের আনা ফুল আমায় দিলে আজ রাত্রে আমার স্বামীর সঙ্গে সহবাস করতে পাবে।”
16 ক্ষেত থেকে রাতে যাকোব বাড়ী ফিরল। লেয়া তাকে দেখে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বাইরে এলেন। তিনি বললেন, “আজ রাতে তুমি আমার সঙ্গে শোবে। আমি তোমার জন্য মূল্য হিসাবে আমার পুত্রের ফুল দিয়ে দিয়েছি।” তাই সেই রাত্রে যাকোব লেয়ার সঙ্গে শয়ন করল।
17 এরপর ঈশ্বরের দয়ায় লেয়া আবার গর্ভবতী হলেন। তিনি পঞ্চম পুত্রের জন্ম দিলেন। 18 লেয়া বললেন, “আমি আমার দাসীকে আমার স্বামীর কাছে পাঠানোর বেতন হিসাবে ঈশ্বর আমাকে এই সন্তান দিলেন।” তিনি সেই পুত্রের নাম ইষাখর রাখলেন।
19 লেয়া আবার গর্ভবতী হয়ে ষষ্ঠ পুত্রের জন্ম দিলেন। 20 লেয়া বললেন, “ঈশ্বর আমাকে অপূর্ব উপহার দিলেন। এখন নিশ্চয়ই যাকোব আমাকে গ্রহণ করবেন কারণ আমি তাঁকে দুটি পুত্র দিয়েছি।” তাই লেয়া সেই পুত্রের নাম সবূলূন রাখলেন।
21 পরে লেয়া একটি কন্যার জন্ম দিলেন। তিনি তার নাম রাখলেন দীণা।
22 এবার ঈশ্বর রাহেলের প্রার্থনা শুনলেন। ঈশ্বর রাহেলের গর্ভ মুক্ত করলেন। 23-24 রাহেল গর্ভবতী হয়ে এক পুত্রের জন্ম দিল। রাহেল বলল, “ঈশ্বর আমার লজ্জা দূর করেছেন” এবং এক পুত্র দিয়েছেন। তাই রাহেল ঈশ্বর আমাকে আর একটি পুত্র দিন, একথা বলে তার নাম রাখল যোষেফ।
লাবনের সঙ্গে যাকোবের চালাকি
25 যোষেফের জন্মের পর যাকোব লাবনকে বলল, “এবার আমাকে আমার বাড়ী ফিরতে দিন। 26 আমাকে আমার স্ত্রী ও পুত্রদের নিয়ে যেতে দিন। আমি 14 বছর পরিশ্রম করে তাদের আপনার কাছ থেকে লাভ করেছি। আপনি জানেন আমি ভালভাবেই আপনার সেবা করেছি।”
27 লাবন তাকে বললেন, “এখন আমায় কিছু বলতে দাও! আমি জানি তোমার জন্যই প্রভু আমায় মনোনীত করেছেন। 28 আমায় বল তোমার পারিশ্রমিক হিসাবে কি দিতে হবে আর আমি তোমায় তা দেব।”
29 যাকোব উত্তরে বলল, “আপনি জানেন যে আমি আপনার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমার তত্ত্বাবধানে আপনার পশুবল ভালই রয়েছে এবং বৃদ্ধি পেয়েছে। 30 যখন আমি এসেছিলাম তখন আপনার অল্পই ছিল। কিন্তু এখন আপনার প্রচুর হয়েছে। প্রতিবার আমি আপনার জন্য কিছু কাজ করলে প্রভু আপনাকে আশীর্বাদ করেছেন। এখন সময় এসেছে আমার নিজের জন্য কাজ করার। সময় এসেছে আমার নিজের গৃহ তৈরীর।”
31 লাবন জিজ্ঞাসা করলেন, “তাহলে আমি তোমায় কি দেব?”
যাকোব উত্তরে বলল, “আমি আপনার কাছ থেকে কিছু চাই না। কেবল চাই আপনি আমার শ্রমের বেতন দিন। কেবল এই একটি কাজ করুন; আমি ফিরে গিয়ে আপনার মেষপালের যত্ন নেব। 32 কিন্তু আজকে আমাকে আপনার সমস্ত পশুপালের মধ্যে দিয়ে যেতে দিন এবং যে সমস্ত মেষের গায়ে গোল গোল দাগ এবং ডোরা কাটা দাগ রয়েছে তাদের প্রত্যেককে নিতে দিন। আর সমস্ত কালো ছাগ শিশুও আমাকে নিতে দিন। এবং গোল গোল দাগ ও ডোরা কাটা দাগ রয়েছে এমন সমস্ত স্ত্রী ছাগ শিশুও আমার হোক্। সেই হবে আমার বেতন। 33 তাহলে আমি আপনার প্রতি বিশ্বস্ত কিনা তা সহজেই বুঝতে পারবেন। আপনি এসে আমার পশুপাল দেখতে পারেন। যদি কোন ছাগ চিত্র বিচিত্র না হয় এবং মেষ কালো রঙের না হয় তাহলেই আপনি বুঝতে পারবেন যে আমি চুরি করেছি।”
34 লাবন বললেন, “এতে আমার সম্মতি রয়েছে। তুমি যা চাইলে আমরা সেই মত করব।” 35 কিন্তু সেই দিন লাবন সমস্ত চিত্র বিচিত্র পুং ছাগল এবং চিতল স্ত্রী ছাগলগুলিকে লুকিয়ে ফেললেন এবং কালো মেষগুলিকে লুকিয়ে ফেললেন। লাবন তাঁর পুত্রদের সেই সমস্ত পাহারা দিতে বললেন। 36 তাই তাঁর পুত্ররা চিত্র-বিচিত্র সেই সকল পশু নিয়ে তাদের অন্য এক জায়গায় চরিয়ে নিয়ে তিন দিন পথের দূরত্ব বজায় রাখলেন। বাকী পশু যা পড়ে রইল যাকোব তার যত্ন নিল। কিন্তু সেই পালে চিত্র বিচিত্র অথবা রঙীন কোন পশুই ছিল না।
37 তাই যাকোব ঝাউ ও বাদাম গাছের কচি ডালপালা কাটল এবং ডালের ছাল কিছুটা করে ছাড়াল যাতে ডোরা কাটা দেখায়। 38 যাকোব সেই ডালগুলি পশুদের জল খাওয়ার জায়গার সামনে রাখল। পশুরা সেইস্থানে জল পান করতে এলে 39 সঙ্গমও করল। এরপর সেই ডালের সামনে সঙ্গম করা পশুদের চিত্র বিচিত্র, ডোরাকাটা অথবা কালো শাবক জন্মাল।
40 পশুপালের জন্য সমস্ত পশুর মধ্যে থেকে যাকোব চিত্র বিচিত্র ও কালো পশুদের পৃথক করল। যাকোব তার পশুদের লাবনের পশুদের থেকে আলাদা করে রাখল। 41 যে কোন সময় বলবান পশুরা সঙ্গম করলে যাকোব সেই ডালগুলি তাদের সামনে রাখত। বলবান পশুরা সেই ডালপালার সামনে সঙ্গম করত। 42 কিন্তু দুর্বল পশুরা সঙ্গম করলে যাকোব সেখানে ডালগুলি রাখত না। তাই দুর্বল পশুদের শাবকগুলি লাবনের হল। আর বলবান পশুদের শাবকগুলি হল যাকোবের। 43 এইভাবে যাকোব বেশ ধনী হয়ে উঠল। তার অনেক পশু, ভৃত্য, উট এবং গাধা হল।
যীশুর আগমনের প্রস্তুতি
(মথি 3:1-12; লূক 3:1-9, 15-17; যোহন 1:19-28)
1 ঈশ্বর পুত্র[a] যীশু খ্রীষ্টের সুসমাচারের সুচনা: 2 ভাববাদী যিশাইয়র পুস্তকে যেমন লেখা আছে,
“শোন! আমি নিজের সহায়কে তোমার আগে পাঠাবো।
সে তোমার জন্য পথ প্রস্তুত করবে।”(A)
3 “মরুপ্রান্তরে একজনের রব ঘোষণা করছে,
‘তোমরা প্রভুর জন্য পথ প্রস্তুত কর,
তাঁর জন্য পথ সরল কর।’”(B)
4 তাই বাপ্তিস্মদাতা যোহন এলেন, তিনি মরুপ্রান্তরে লোকদের বাপ্তিস্ম[b] দিচ্ছিলেন। তিনি প্রচার করেছিলেন যেন লোকেরা পাপের ক্ষমা পাবার জন্য মন-ফেরায় ও বাপ্তিস্ম নেয়। 5 তাতে যিহূদিয়া ও জেরুশালেমের সমস্ত মানুষ তাঁর কাছে যেতে শুরু করল। তারা নিজের নিজের পাপ স্বীকার করে যর্দন নদীতে তাঁর কাছে বাপ্তাইজ হতে লাগল।
6 যোহন উটের লোমের তৈরী কাপড় পরতেন। তাঁর কোমরে চামড়ার কোমর বন্ধনী ছিল এবং তিনি পঙ্গপাল ও বনমধু খেতেন।
7 তিনি প্রচার করতেন, “আমার পরে এমন একজন আসছেন, যিনি আমার থেকে শক্তিমান, আমি নীচু হয়ে তাঁর পায়ের জুতোর ফিতে খোলার যোগ্য নই। 8 আমি তোমাদের জলে বাপ্তাইজ করলাম কিন্তু তিনি তোমাদের পবিত্র আত্মায় বাপ্তাইজ করবেন।”
যীশুর বাপ্তিস্ম
(মথি 3:13-17; লূক 3:21-22)
9 সেই সময় যীশু গালীলের নাসরৎ থেকে এলেন আর যোহন তাঁকে যর্দন নদীতে বাপ্তাইজ করলেন। 10 জল থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তিনি দেখলেন, আকাশ দুভাগ হয়ে গেল এবং পবিত্র আত্মা কপোতের মতো তাঁর ওপর নেমে আসছেন। 11 আর স্বর্গ থেকে এই রব শোনা গেল, “তুমিই আমার প্রিয় পুত্র। আমি তোমাতে খুবই সন্তুষ্ট।”
যীশুর পরীক্ষা
(মথি 4:1-11; লূক 4:1-13)
12 এরপরই আত্মা যীশুকে প্রান্তরে নিয়ে গেলেন। 13 সেখানে তিনি চল্লিশ দিন ছিলেন, সেই সময় শয়তান তাঁকে প্রলুদ্ধ করছিল। তিনি বন্য পশুদের সঙ্গে থাকতেন আর স্বর্গদূতরা এসে তাঁর সেবা করতেন।
গালীলে যীশুর কাজ শুরু
(মথি 4:12-17; লূক 4:14-15)
14 যোহন কারাগারে বন্দী হবার পর যীশু গালীলে গেলেন; আর সেখানে তিনি ঈশ্বরের সুসমাচার প্রচার করলেন। 15 যীশু বললেন, “সময় এসে গেছে; ঈশ্বরের রাজ্য খুব কাছে। তোমরা পাপের পথ থেকে মন ফেরাও এবং ঈশ্বরের সুসমাচারে বিশ্বাস কর।”
যীশু কিছু শিষ্য মনোনীত করলেন
(মথি 4:18-22; লূক 5:1-11)
16 গালীল হ্রদের পাশ দিয়ে যেতে যেতে যীশু শিমোন এবং তার ভাই আন্দ্রিয়কে হ্রদে জাল ফেলতে দেখলেন, কারণ তাঁরা মাছ ধরতেন। 17 যীশু তাঁদের বললেন, “ওহে তোমরা আমার সঙ্গে এস, আমি তোমাদের মাছ নয়, ঈশ্বরের জন্য মানুষ ধরতে শেখাব।” 18 আর তখনই শিমোন এবং আন্দ্রিয় তাঁদের জাল ফেলে রেখে যীশুকে অনুসরণ করলেন।
19 এরপর তিনি কিছুটা দূর গালীল হ্রদের পাশ দিয়ে এগিয়ে গেলে সিবদিয়ের ছেলে যাকোব ও তার ভাই যোহনকে দেখতে পেলেন। তাঁরা তাঁদের নৌকায় বসে জাল ঠিক করছিলেন। 20 যীশু তাঁদের ডাকলেন, তাঁরাও সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের বাবা সিবদিয়কে ভাড়াটে মজুরদের সঙ্গে নৌকায় রেখে যীশুর সঙ্গে চললেন।
এক অশুচি আত্মাগ্রস্ত লোকের আরোগ্যলাভ
(লূক 4:31-37)
21 এরপর তাঁরা কফরনাহূম শহরে গেলেন। পরদিন শনিবার সকালে, অর্থাৎ বিশ্রামবারে তিনি সমাজ-গৃহে গিয়ে লোকদের শিক্ষা দিতে শুরু করলেন। 22 যীশুর শিক্ষা শুনে সবাই আশ্চর্য হলেন, কারণ তিনি ব্যবস্থার শিক্ষকের মতো নয় কিন্তু সম্পূর্ণ কর্ত্তৃত্ব সম্পন্ন ব্যক্তির মতোই শিক্ষা দিতেন। 23 সেই সমাজ-গৃহে হঠাৎ অশুচি আত্মায় পাওয়া এক ব্যক্তি চেঁচিয়ে বলল, 24 “হে নাসরতীয় যীশু! আপনি আমাদের কাছে কি চান? আপনি কি আমাদের ধ্বংস করতে এসেছেন? আমি জানি আপনি কে, আপনি ঈশ্বরের সেই পবিত্র ব্যক্তি!”
25 কিন্তু যীশু তাকে ধমক দিয়ে বললেন, “চুপ কর! এই লোকটার ভেতর থেকে বেরিয়ে এসো!” 26 সঙ্গে সঙ্গে সেই অশুচি আত্মা ঐ লোকটাকে দুমড়ে মুচড়ে প্রচণ্ড জোরে চিৎকার করে লোকটির মধ্যে থেকে বেরিয়ে এল।
27 এতে প্রত্যেকে অবাক হয়ে নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে লাগল, “এ কি ব্যাপার? এটা কি একটা নতুন শিক্ষা? সম্পূর্ণ কর্ত্তৃত্বের সঙ্গে তিনি শিক্ষা দেন, এমনকি অশুচি আত্মাদের আদেশ করেন এবং তারা তাঁর আদেশ মানে।” 28 আর গালীলের সমস্ত অঞ্চলে তাঁর কথা ছড়িয়ে পড়ল।
যীশু বহুলোককে সুস্থ করলেন
(মথি 8:14-17; লূক 4:38-41)
29 তখন যীশু ও তাঁর শিষ্যরা সমাজ-গৃহ ছেড়ে যাকোব এবং যোহনকে সঙ্গে নিয়ে সোজা শিমোন এবং আন্দ্রিয়ের বাড়িতে গেলেন।। 30 সেখানে শিমোনের শাশুড়ী জ্বরে শয্যাশায়ী ছিলেন। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে শিমোনের শাশুড়ীর জ্বরের কথা যীশুকে বললেন। 31 যীশু তাঁর কাছে গেলেন এবং তাঁর হাত ধরে উঠিয়ে বসালেন, সঙ্গে সঙ্গে তাঁর জ্বর ছেড়ে গেল এবং তিনি তাঁদের সেবা করতে লাগলেন।
32 সূর্য অস্ত যাওয়ার পর সন্ধ্যে হলে, লোকেরা অনেক অসুস্থ ও ভূতে-পাওয়া লোককে যীশুর কাছে নিয়ে এল। 33 আর শহরের সমস্ত লোক সেই বাড়ির দরজায় জমা হল। 34 তিনি বহু অসুস্থ রোগীকে নানা প্রকার রোগ থেকে সুস্থ করলেন এবং লোকদের মধ্যে থেকে বহু ভূত তাড়ালেন। কিন্তু তিনি ভুতদের কোন কথা বলতে দিলেন না, কারণ তারা তাঁকে চিনত।
সুসমাচার প্রচারের জন্য যীশুর প্রস্তুতি
(লূক 4:42-44)
35 পরের দিন ভোর হবার আগে, রাত থাকতে থাকতে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়লেন আর নির্জন স্থানে গিয়ে প্রার্থনায় কাটালেন। 36 শিমোন ও তাঁর সঙ্গী যাঁরা যীশুর সঙ্গে ছিলেন, তাঁকে খুঁজতে বেরিয়ে পড়লেন। 37 পরে যীশুকে দেখতে পেয়ে বললেন, “সবাই আপনার খোঁজ করছে।”
38 কিন্তু তিনি তাদের বললেন, “চল, আমরা অন্য শহরে যাই। যেন সেখানেও আমি প্রচার করতে পারি, কারণ সেই জন্যই আমি এসেছি।” 39 তাই তিনি সমস্ত গালীল প্রদেশে বিভিন্ন সমাজ-গৃহে গিয়ে প্রচার করতে ও ভূত ছাড়াতে লাগলেন।
যীশু এক কুষ্ঠ রোগীকে সুস্থ করলেন
(মথি 8:1-4; লূক 5:12-16)
40 একদিন এক কুষ্ঠরোগী তাঁর কাছে এসে হাঁটু গেড়ে বিনীতভাবে তাঁর সাহায্য চাইল। সে যীশুকে বলল, “আপনি ইচ্ছে করলে আমাকে ভাল করে দিতে পারেন।”
41 যীশু তার প্রতি মমতায় পূর্ণ হয়ে হাত বাড়িয়ে তাকে স্পর্শ করে বললেন, “আমি তা-ই চাই, তুমি ভাল হয়ে যাও।” 42 আর সঙ্গে সঙ্গে তার কুষ্ঠ রোগ তাকে ছেড়ে গেল এবং সে সুস্থ হল।
43 যীশু তাকে তখনই বিদায় দিলেন। 44 তিনি তাকে দৃঢ়ভাবে বললেন, “দেখ, একথা কাউকে বলো না, কিন্তু যাজকের কাছে নিজেকে দেখাও এবং কুষ্ঠরোগ থেকে সুস্থ হওয়ার জন্য মোশির বিধান অনুযায়ী ঈশ্বরকে উপহার দাও, এতে সকলে জানতে পারবে যে তুমি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছ।”[c] 45 কিন্তু সে বাইরে গিয়ে তার সুস্থ হওয়ার কথা এত বেশী প্রচার করতে ও চারদিকে বলতে লাগল যে যীশু আর প্রকাশ্যে কোন শহরে প্রবেশ করতে পারলেন না। কাজেই তিনি শহরের বাইরে নির্জনে থেকে গেলেন আর লোকরা চারদিক থেকে তাঁর কাছে আসতে লাগল।
মর্দখয়ের সম্মান প্রাপ্তি
6 সেদিন রাতে রাজার চোখে কিছুতেই ঘুম আসছিল না। রাজা তখন তাঁর এক ভৃত্যকে ডেকে (রাজাদের ইতিহাস বই) থেকে যেখানে রাজাদের রাজত্ব কালের সব ঘটনা নথিভুক্ত করা আছে তা পড়ে শোনাতে বললেন। 2 ভৃত্যটি তখন রাজাকে, রাজার আধিকারিক বিগ্থন ও তেরশ যারা প্রবেশপথ পাহারা দিত, তাদের দুষ্ট চক্রান্তের কথা এবং মর্দখয়ের কথা, যে চক্রান্তের কথা শুনতে পেয়েছিল এবং প্রাসাদে জানিয়ে দিয়েছিল তা পড়ে শোনালো।
3 রাজা জিজ্ঞেস করলেন, “মর্দখয়কে এর জন্য কি সম্মান এবং পুরস্কার দেওয়া হয়েছে?”
ভৃত্যরা রাজাকে জানালো, “মর্দখয়ের জন্য কিছুই করা হয়নি।”
4 ঠিক সে সময় হামন রাজপ্রাসাদের বহির্দ্বারে প্রবেশ করলেন। হামন, তখন মর্দখয়কে ফাঁসি দেবার জন্য রাজার অনুমোদন নিতে এসেছিলেন। রাজা বাইরে পায়ের আওয়াজ পেয়ে জানতে চাইলেন, “এইমাত্র প্রাঙ্গণের ভেতরে কে এলো?” 5 ভৃত্যরা উত্তর দিল, “হামন চাতালে দাঁড়িয়ে আছেন।”
রাজা বললেন, “তাকে ভেতরে নিয়ে এসো।”
6 হামন ভেতরে আসার পর রাজা তাঁর কাছে জানতে চাইলেন, “হামন, রাজা কাউকে সম্মান দিতে চাইলে তা কিভাবে দেওয়া উচিৎ?”
হামন মনে মনে ভাবলো, “আমি ছাড়া সম্মান পাওয়ার আর কে আছে? আমি নিশ্চিত, রাজা নিশ্চয়ই আমাকে সম্মান জানানোর কথা ভাবছেন।”
7 হামন তখন রাজাকে বললেন, “মহারাজ আপনি যদি কাউকে সম্মান দেখাতে চান তাহলে, 8 আপনার ভৃত্যদের আপনার নিজের পরা একটি পোশাক ও আপনার নিজের চড়া একটি ঘোড়া আনতে বলুন। ঘোড়াটির মাথায় ভৃত্যরা একটি রাজমুকুট পরিয়ে দিক। 9 এরপর আপনার কোন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে এই রাজপোশাকটি, মহারাজ যে ব্যক্তিকে সম্মান জানাতে চান তাকে পরতে সাহায্য করতে বলুন এবং সেই নেতাকে বলুন ঐ ব্যক্তিকে সেই ঘোড়ার ওপর বসিয়ে সারা শহরের রাস্তায় এই বলে ঘুরে বেড়াতে, ‘রাজা যাঁকে সম্মান দেখাতে চান তাঁর জন্য এটা করা হল।’”
10 রাজা তখন হামনকে আদেশ দিলেন, “তাড়াতাড়ি গিয়ে ঐ ইহুদী মর্দখয়ের জন্য একটি ঘোড়া ও পোশাকের ব্যবস্থা কর। যাও, মর্দখয় প্রাসাদের প্রবেশ পথের কাছে অপেক্ষা করে আছে। তুমি যেভাবে বলেছো, সেভাবে তাঁকে সম্মান দেখাও।”
11 হামন গিয়ে রাজার পোশাক ও ঘোড়া নিয়ে এলেন। তারপর মর্দখয়কে নিজে সেই পোশাক পরিয়ে, ঘোড়ায় চড়িয়ে, শহরের প্রতিটি রাস্তায় যেতে যেতে বলতে লাগলেন, “রাজা যাঁকে সম্মান দেখাতে চান এভাবেই দেখান!”
12 এরপর মর্দখয় আবার রাজদ্বারেই ফিরে গেলেন কিন্তু অপমানিত হামন লজ্জায় বাড়ি ফিরে এলেন। বাড়ি ফিরে এসে লজ্জায় ও অপমানে মুখ ঢাকলেন। 13 তিনি তাঁর স্ত্রী ও বন্ধুদের সব কথা খুলে বললেন। হামনের স্ত্রী ও বন্ধুরা হামনকে বললো, “মর্দখয় যদি ইহুদী হয় তাহলে তোমার পক্ষে জয়লাভ করা অসম্ভব। তোমার পতন শুরু হয়েছে এবং এভাবে তুমি নিশ্চিত শেষ হয়ে যাবে।”
14 সকলে মিলে যখন হামনকে এসব কথা বলছে তখন রাজার নপুংসক পরিচারকরা এসে ইষ্টেরের ভোজসভার জন্য হামনকে তাড়াতাড়ি আসতে বললেন।
1 যীশু খ্রীষ্টের দাস পৌলের কাছ থেকে ঈশ্বর আমাকে প্রেরিত হবার জন্য আহ্বান করেছেন।
সমস্ত মানুষের কাছে ঈশ্বরের সুসমাচার প্রচারের জন্য আমাকে মনোনীত করা হয়েছিল। 2 ঈশ্বর বহুপূর্বেই মানুষের কাছে এই সুসমাচার পৌঁছে দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এই প্রতিশ্রুতি দিতে ঈশ্বর তাঁর ভাববাদীদের ব্যবহার করেছিলেন। পবিত্র শাস্ত্রে এই প্রতিশ্রুতির কথা লেখা ছিল। 3-4 ঈশ্বরের পুত্র আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের বিষয়ই হল এই সুসমাচার। মানবরূপে তিনি দায়ূদের বংশে জন্মেছিলেন; কিন্তু যীশু খ্রীষ্ট যে ঈশ্বরের পুত্র তা পবিত্র আত্মার মাধ্যমে দেখানো হল। মৃতদের মধ্য হতে মহাপরাক্রমে তাঁর পুনরুত্থানও প্রমাণ করে যে তিনি ঈশ্বরের পুত্র।
5 খ্রীষ্টের মাধ্যমে ঈশ্বর আমাকে প্রেরিতের এই বিশেষ কাজ দিয়েছেন, যেন সর্বজাতির লোকদের আমি বিশ্বাস ও বাধ্যতার পথে নিয়ে যাই। একাজ আমি খ্রীষ্টের জন্যই করেছি। 6 রোমানবাসীরা, তোমরাও তাদের মধ্যে যীশু খ্রীষ্টের আহুত লোক হিসাবে আছ।
7 হে রোমনিবাসীগণ, তোমরা যারা ঈশ্বরের পবিত্র লোক হবার জন্য আহুত তাদের সকলকে এই চিঠি লিখছি। তোমরা তাঁর ভালবাসার পাত্র।
আমাদের ঈশ্বর পিতা ও প্রভু যীশু খ্রীষ্ট হতে তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ ও শান্তি নেমে আসুক।
ধন্যবাদের প্রার্থনা
8 প্রথমেই আমি তোমাদের সকলের জন্য যীশু খ্রীষ্টের মধ্য দিয়ে আমার ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই কারণ তাঁর প্রতি তোমাদের এই মহাবিশ্বাসের কথা জগতের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। 9-10 আমার প্রার্থনার সময় প্রতিবারই আমি তোমাদের মনে করি। ঈশ্বর জানেন যে একথা সত্য। আমি তাঁর পুত্র বিষয়ক সুসমাচার লোকদের কাছে প্রচার দ্বারা আত্মাতে ঈশ্বরের উপাসনা করি। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি যেন তোমাদের সবার কাছে যাবার অনুমতি পাই; আর ঈশ্বর যদি ইচ্ছা করেন তবেই তা সম্ভব হবে। 11 আমি তোমাদের দেখার জন্য বড়ই উৎসুক। তোমাদের শক্তিশালী করে তোলার জন্য আমি সকলকে কিছু আত্মিক বর দিতে চাই। 12 আমি বলতে চাই আমাদের যে বিশ্বাস রয়েছে, তার দ্বারা যেন পরস্পর উদ্ধুদ্ধ হই।
13 ভাই ও বোনরা, আমি চাই যে তোমরা জান যে আমি বহুবার তোমাদের কাছে যেতে চেষ্টা করেছি, কিন্তু বাধা পেয়েছি। আমি তোমাদের কাছে যেতে চেয়েছি যাতে তোমাদের আত্মিকভাবে বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করতে পারি। অন্যান্য অইহুদী লোকদের আমি যেমন সাহায্য করেছি, তেমনি আমি তোমাদেরও সাহায্য করতে চাই।
14 আমার উচিত সকলের সেবা করা, তা সে গ্রীক হোক্ বা না হোক্, বিজ্ঞ বা মূর্খ হোক্। 15 এই কারণেই রোমে তোমাদের কাছে সুসমাচার প্রচার করবার জন্য আমি এত আগ্রহী।
16 সুসমাচারের জন্য আমি গর্ববোধ করি। সুসমাচারই হল সেই শক্তি, যে শক্তির দ্বারা ঈশ্বর তাঁর বিশ্বাসীদের উদ্ধার করেন; প্রথমে ইহুদীদের পরে অইহুদীদের। 17 ঈশ্বর কি করে মানুষকে নির্দোষ বলে গ্রহণ করেন, তা এই সুসমাচারের মধ্য দিয়েই দেখানো হয়েছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিশ্বাস দ্বারাই মানুষ ঈশ্বরের সামনে নির্দোষ বলে গন্য হয়। শাস্ত্র যেমন বলে, “বিশ্বাসের দ্বারা যে ব্যক্তি ঈশ্বরের সামনে ধার্মিক প্রতিপন্ন হয়েছে সে অনন্ত জীবনের অধিকারী হবে।”[a]
সকলেই অন্যায় করেছে
18 মানুষ নিজের অধর্ম দিয়ে ঈশ্বরের সত্যকে চেপে রাখে, তাই মানুষের কৃত সকল মন্দ এবং অন্যান্য কাজের জন্য স্বর্গ থেকে মানুষের উপর ঈশ্বরের ক্রোধ প্রকাশ পায়। ঈশ্বর সম্পর্কে যা জানা যেতে পারে তা পরিষ্কারভাবে তারা জেনেছে। 19 তাছাড়া মানুষের পক্ষে ঈশ্বরকে যতখানি জানা সম্ভব, তা তো তিনি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন।
20 ঈশ্বর সম্পর্কে এমন এমন বিষয় আছে যা মানুষ চোখে দেখতে পায় না, যেমন তাঁর অনন্ত পরাক্রম ও সেই সমস্ত বিষয়, যার কারণে তিনি ঈশ্বর। জগৎ সৃষ্টির শুরু থেকে ঈশ্বরের নানা কাজে সে সব প্রকাশিত হয়েছে। ঈশ্বরের সৃষ্ট বস্তুর মধ্যে ঐসব পরিষ্কারভাবেই বোঝা যাচ্ছে। তাই মানুষ যে মন্দ কাজ করছে তার জন্য উত্তর দেবার পথ তার নেই।
21 লোকরা ঈশ্বরকে জানত, কিন্তু তারা ঈশ্বরের গৌরব গান করেনি এবং তাঁকে ধন্যবাদও দেয় নি। লোকদের চিন্তাধারা অসার হয়ে গেছে এবং তাদের নির্বোধ মন অন্ধকারে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। 22 তারা নিজেদের বিজ্ঞ বলে পরিচয় দিলেও তারা মূর্খ। 23 তারা চিরজীবি ঈশ্বরের গৌরব করার পরিবর্তে, নশ্বর মানুষ, পাখি, চতুষ্পদের ও সরীসৃপের মূর্ত্তিগুলির উপাসনা করে সেই গৌরব তাদের দিয়েছে।
24 তারা ঈশ্বরকে প্রত্যাখ্যান করেছে বলে ঈশ্বর তাদের খুশি মতো পাপের পথে চলতে দিলেন এবং তাদের অন্তরের কামনা বাসনা অনুসারে মন্দ কাজ করতে ছেড়ে দিলেন। ফলে তারা তাদের দেহকে পরস্পরের সঙ্গে অসঙ্গত সংসর্গে ব্যবহার করে যৌনপাপে পূর্ণ হয়েছে। 25 ঈশ্বরের সত্যকে ফেলে তারা মিথ্যা গ্রহণ করেছে; আর সৃষ্টিকর্তাকে ছেড়ে দিয়ে তারা তাঁর সৃষ্ট বস্তুকে উপাসনা করেছে। চিরকাল ঈশ্বরের প্রশংসা করা উচিত। আমেন।
26 লোকরা ঐসব মন্দ কাজে লিপ্ত ছিল বলে ঈশ্বর তাদের ছেড়ে দিলেন ও তাদের লজ্জাজনক অভিলাষের পথে চলতে দিলেন। নারীরা পুরুষের সঙ্গে স্বাভাবিক সংসর্গ ত্যাগ করে নিজেদের মধ্যে যৌন সংসর্গে লিপ্ত হয়েছে। 27 ঠিক একইভাবে পুরুষরাও স্ত্রীদের সঙ্গে স্বাভাবিক সংসর্গ ছেড়ে দিয়ে অপর পুরুষের জন্য লালায়িত হয়ে লজ্জাকর কাজ করেছে; আর এই পাপ কাজের শাস্তি তারা তাদের শরীরেই পেয়েছে।
28 তারা ঈশ্বরের সম্বন্ধে সত্য জ্ঞান থাকা মোটেই গুরুত্বপুর্ণ বলে মনে করে নি। তাই ঈশ্বর তাদের ছেড়ে দিয়েছেন যাতে তারা নিজেদের অসার চিন্তায় ডুবে থাকে এবং যেসব কাজ তাদের করা উচিত নয় তা করে। 29 সেই লোকদের জীবন সব রকমের পাপ, অসাধুতা, স্বার্থপরতা ও হিংসায় ভরা। তাদের জীবন দ্বেষ, হত্যা, বিবাদ, মিথ্যা ছল ও দুর্বুদ্ধিতে পূর্ণ। 30 তারা ঈশ্বর ঘৃণাকারী, দুর্বিনীত, উদ্ধত, আত্মশ্লাঘী, মন্দ বিষয়ের উৎপাদক, পিতামাতার আদেশ অমান্যকারী। 31 তারা নির্বোধ, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারী, স্নেহরহিত ও নির্দয়। 32 তারা ঈশ্বরের বিধি-ব্যবস্থা জানে। তারা জানে যে বিধি-ব্যবস্থা বলে, যারা এমন আচরণ করে তারা মৃত্যুর যোগ্য। কিন্তু তা জেনেও তারা সেই সব মন্দ কাজ করে চলে। তাদের ধারণা, যারা ঐসব মন্দ কাজ করে তারা সবাই ঠিকই করেছে।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International