M’Cheyne Bible Reading Plan
অবীমেলকের কাছে ইস্হাকের মিথ্যাভাষণ
26 একবার দুর্ভিক্ষ হল। অব্রাহামের সময় যেমন হয়েছিল এই দুর্ভিক্ষটা তেমনই ছিল। তখন ইস্হাক পলেষ্টীয়দের অবীমেলকের সঙ্গে দেখা করার জন্য গরারে গেলেন। 2 প্রভু ইস্হাককে দর্শন দিলেন এবং বললেন, “মিশরে যেও না। আমি তোমায় যে দেশে বাস করার পরামর্শ দিচ্ছি সেই দেশে বাস করো। 3 সেই দেশে থাকো এবং আমি তোমার সঙ্গে থাকব। আমি তোমায় আশীর্বাদ করব। এই যত জমিজমা দেখছ সব আমি তোমায় ও তোমার পরিবারকে দেব। তোমার পিতা অব্রাহামকে আমি যা-যা প্রতিজ্ঞা করেছিলাম সে সব কথা আমি রাখব। 4 আকাশের তারার মত তোমার উত্তরপুরুষরা হবে অসংখ্য এবং তোমার পরিবার এই সমস্ত জমির মালিক হবে। তোমার উত্তরপুরুষদের মাধ্যমে পৃথিবীর সমস্ত জাতি আমার আশীর্বাদ পাবে। 5 তোমার পিতা অব্রাহাম আমার কথা, আমার আদেশ, আমার বিধি, আমার নিয়ম সব কিছু পালন করেছিল এবং আমি তাকে যা যা করতে বলেছিলাম সব করেছিল বলে আমি এটা করব।”
6 সুতরাং ইস্হাক গরারে থেকে গেলেন এবং সেখানেই বাস করতে লাগলেন। 7 ইস্হাকের স্ত্রী রিবিকা ছিল অপূর্ব সুন্দরী। গরারের বাসিন্দারা রিবিকার সম্পর্কে ইস্হাককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে লাগল। ইস্হাক বললেন, “ও আমার বোন।” রিবিকাকে তার স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিতে ইস্হাক ভয় পেলেন। ইস্হাকের ভয় হল যে রিবিকাকে পাওয়ার জন্য তারা তাঁকে হত্যা করতে পারে।
8 তারপর ইস্হাক সেখানে বহুদিন থেকেছিলেন। একদিন অবীমেলক জানালা দিয়ে ইস্হাক ও তার স্ত্রী রিবিকাকে খেলা করতে দেখলেন। 9 তখন অবীমেলক ইস্হাককে ডেকে পাঠালেন। অবীমেলক বললেন, “এই নারী আসলে তোমার স্ত্রী। আমায় কেন মিথ্যে করে বলেছিলে যে এ তোমার বোন?”
ইস্হাক বললেন, “আমি ভয় পেয়েছিলাম যে একে স্ত্রী বলে পরিচয় দিলে ওকে পাওয়ার জন্য আপনি আমায় হত্যা করবেন।”
10 অবীমেলক বললেন, “আমাদের প্রতি অত্যন্ত অন্যায় অবিচার করেছ। আমাদের মধ্যে কেউ যদি তোমার স্ত্রীকে শয্যাসঙ্গিনী করতো তাহলে সে মহাপাপের ভাগী হত।”
11 সুতরাং অবীমেলক তাঁর সমস্ত প্রজাদের সাবধান করে দিলেন। তিনি বললেন, “কেউ এই লোকটির বা এর স্ত্রীর কোন ক্ষতি করবে না। যদি কেউ এদের কোনও ক্ষতি করে তাহলে তার শাস্তি হবে মৃত্যু।”
ইস্হাক ধনী হলেন
12 ইস্হাক তাঁর ক্ষেতে চাষ করলেন। এবং সে বছর খুব ভাল ফসল হল। প্রভু তাঁকে খুব আশীর্বাদ করলেন। 13 ইস্হাক ধনী হলেন। তিনি আরও অনেক ধন উপার্জন করলেন। এভাবে তিনি একজন অত্যন্ত ধনবান ব্যক্তি হলেন। 14 তিনি প্রচুর মেষপাল ও গো-পালের মালিক হলেন। তাঁর বিশাল ধন ও অনেক দাস-দাসী ছিল। সমস্ত পলেষ্টীয় মানুষরা তাঁকে ঈর্ষা করতে লাগল। 15 ফলে অনেক কাল আগে অব্রাহাম ও তাঁর লোকজন যেসব কূপ খনন করেছিলেন সেগুলো পলেষ্টীয়রা বুজিয়ে ফেলল। 16 এমনকি অবীমেলক পর্যন্ত ইস্হাককে বললেন, “আমাদের দেশ ছেড়ে চলে যাও। তুমি আমাদের অপেক্ষা অনেক বেশী শক্তিশালী হয়ে গেছ।”
17 সুতরাং ইস্হাক সেই স্থান ত্যাগ করে সঙ্কীর্ণ গরার নদীর ধারে এসে শিবির স্থাপন করলেন। ইস্হাক সেখানে অবস্থান করে সেখানেই বসবাস করতে লাগলেন। 18 এর বহুকাল আগে অব্রাহাম প্রচুর কূপ বা জলাশয় খনন করেছিলেন। অব্রাহাম মারা গেলে পলেষ্টীয়রা সেইসব কূপ মাটি দিয়ে বুজিয়ে ফেলেছিল। 19 তখন ইস্হাক ফিরে গিয়ে আবার সেই কূপগুলি খনন করলেন। ইস্হাকের ভৃত্যরাও ছোট নদীটির কাছে একটা কূপ খনন করল এবং তারা সেই কূপের মধ্যে একটি জলের ঝর্ণা দেখতে পেল। 20 গরার উপত্যকায় যারা মেষ চরাত তাদের সঙ্গে ইস্হাকের লোকজনদের বিবাদ বাধল। তারা বলল, “এই জল আমাদের।” তাই ইস্হাক ঐ কূপটির নাম দিলেন এষক। তিনি কূপটির ঐ নাম দিলেন, কারণ ঐখানেই তর্কাতর্কিটা হয়েছিল।
21 ইস্হাকের লোকরা আর একটি কূপ খনন করল। সেই কূপ নিয়ে ইস্হাকের লোকদের সঙ্গে স্থানীয় লোকদের আবার বিবাদ বাধল। তাই ইস্হাক ঐ কূপটির নাম দিলেন সিটনা।
22 সেখান থেকে সরে গিয়ে ইস্হাক আবার একটি কূপ খনন করলেন। এবার ঐ কূপ নিয়ে কেউ বিবাদ করতে এল না। তাই ইস্হাক ঐ কূপটির নাম দিলেন রহোবোত্। ইস্হাক বললেন, “এবার প্রভু আমাদের জন্য একটা জায়গা পেয়েছেন। এখানেই আমরা বহুগুণ হব ও সফল হব।”
23 সেখান থেকে ইস্হাক গেলেন বের্-শেবাতে। 24 সেই রাত্রে প্রভু ইস্হাকের সঙ্গে কথা বললেন। প্রভু বললেন, “আমি তোমার পিতা অব্রাহামের ঈশ্বর। ভয় পেও না। আমি তোমার সঙ্গে আছি এবং তোমায় আশীর্বাদ করছি। তোমার পরিবারকে আমি এক মহান পরিবারে পরিণত করব। আমার বিশ্বস্ত সেবক অব্রাহামের জন্য আমি একাজ করব।” 25 সুতরাং ইস্হাক এক বেদী নির্মাণ করে সেখানে প্রভুর উপাসনা করলেন। ইস্হাক সেই জায়গায় তাঁবু স্থাপন করলেন আর তাঁর পরিচারকরা সেখানে কূপ খনন করলো।
26 গরার থেকে অবীমেলক এলেন ইস্হাকের সঙ্গে দেখা করতে। অবীমেলকের সঙ্গে তাঁর উপদেষ্টা অহূষত্ এবং তাঁর সৈন্যাধ্যক্ষ ফীকোলও এলেন।
27 ইস্হাক জিজ্ঞাসা করলেন, “আমার কাছে এসেছেন কেন? আগে আপনি আমার সঙ্গে বন্ধুর মত ব্যবহার করেন নি। এমনকি আপনার রাজ্য থেকে আপনি আমায় তাড়িয়ে দিয়েছিলেন।”
28 উত্তরে তাঁরা বললেন, “এখন আমরা জেনেছি যে প্রভু আপনার সঙ্গে আছেন। আমরা মনে করি যে আমাদের মধ্যে একটা চুক্তি হওয়া উচিৎ। আমরা চাই আপনি আমাদের কাছে শপথ নিন। 29 আমরা আপনাকে কখনও আঘাত করি নি। আপনিও দিব্য করুন যে আমাদের কখনও আঘাত করবেন না। আমরা আপনাকে বহিষ্কার করেছিলাম। এখন এটা পরিষ্কার যে প্রভু আপনাকে আশীর্বাদ করেছেন।”
30 সুতরাং ইস্হাক অভ্যাগতদের জন্য এক ভোজসভার আয়োজন করলেন। সবাই পরিতৃপ্তির সঙ্গে পানভোজন করলেন। 31 পরদিন খুব সকালে তাঁরা একে অপরের কাছে একটি প্রতিজ্ঞা করলেন। তারপর তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে বিদায় নিলেন।
32 সেইদিন ইস্হাকের ভৃত্যরা এসে তারা যে কূপ খনন করেছিল তার কথা জানাল। তারা বলল, “ঐ কূপের মধ্যে জল পাওয়া গেছে।” 33 তাই ইস্হাক ঐ কূপের নাম দিলেন শিবিয়া এবং এখনও ঐ নগরী বের্-শেবা নামে পরিচিত।
এষৌর পত্নীগণ
34 এষৌর যখন 40 বছর বয়স হল তখন সে দুজন হিত্তীয় রমণীকে বিবাহ করল। একজন ছিল বেরির কন্যা যিহূদীত্। অন্যজন ছিল এলনের কন্যা বাসমৎ। 35 এই বিবাহ দুটিতে ইস্হাক এবং রিবিকা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছিলেন।
দশজন কনের দৃষ্টান্তমূলক গল্প
25 “স্বর্গরাজ্য কেমন হবে, তা দশজন কনের সঙ্গে তুলনা করা চলে, যারা তাদের প্রদীপ নিয়ে বরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বার হল। 2 তাদের মধ্যে পাঁচজন ছিল নির্বোধ আর অন্য পাঁচজন ছিল বুদ্ধিমতী। 3 সেই নির্বোধ কনেরা তাদের বাতি নিল বটে কিন্তু সঙ্গে তেল নিল না। 4 অপরদিকে বুদ্ধিমতী কনেরা তাদের প্রদীপের সঙ্গে পাত্রে তেলও নিল। 5 বর আসতে দেরী হওয়াতে তারা সকলেই তন্দ্রায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ল।
6 “কিন্তু মাঝরাতে চিৎকার শোনা গেল, ‘দেখ, বর আসছে! তাকে বরণ করতে এগিয়ে যাও।’
7 “সেই কনেরা তখন উঠে তাদের প্রদীপ ঠিক করল। 8 কিন্তু নির্বোধ কনেরা বুদ্ধিমতী কনেদের বলল, ‘তোমাদের তেল থেকে আমাদের কিছু তেল দাও, কারণ আমাদের প্রদীপ নিভে যাচ্ছে।’
9 “এর উত্তরে সেই বুদ্ধিমতী কনেরা বলল, ‘না। তেল যা আছে তাতে হয়তো আমাদের ও তোমাদের কুলোবে না, তোমরা বরং যারা তেল বিক্রি করে তাদের কাছে গিয়ে নিজেদের জন্য তেল কিনে আনো।’
10 “তারা যখন তেল কেনার জন্য বাইরে যাচ্ছে, এমন সময় বর এসে উপস্থিত হল, তখন যে কনেরা প্রস্তুত ছিল তারা বরের সঙ্গে বিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করল। তারপর দরজা বন্ধ করে দেওয়া হল।
11 “শেষে অন্য কনেরা এসে বলল, ‘শুনছেন, আমাদের জন্য দরজা খুলে দিন।’
12 “কিন্তু এর উত্তরে বর বলল, ‘সত্যি বলছি, আমি তোমাদের চিনি না।’
13 “তাই তোমরা সজাগ থেকো, কারণ তোমরা সেই দিন বা মুহূর্ত্তের কথা জান না, কখন মানবপুত্র ফিরে আসবেন।
তিনজন দাসের কাহিনী
(লূক 19:11-27)
14 “স্বর্গরাজ্য এমন একজন লোকের মতো, যিনি বিদেশে যাবার আগে চাকরদের ডেকে সম্পত্তির ভার তাদের হাতে দিয়ে গেলেন। 15 তিনি একজনকে পাঁচ থলি মোহর, আর একজনকে দু থলি মোহর এবং আর একজনকে এক থলি মোহর দিলেন। যার যেমন ক্ষমতা সেই অনুসারে দিয়ে তিনি বিদেশে চলে গেলেন। 16 যে পাঁচ থলি মোহর পেয়েছিল, সে সঙ্গে সঙ্গে সেই টাকা খাটাতে শুরু করল, আর তাই দিয়ে আরো পাঁচ থলি মোহর লাভ করল। 17 যে লোক দু’থলি মোহর পেয়েছিল সেও সেই টাকা খাটিয়ে আরো দু’থলি মোহর রোজগার করল। 18 কিন্তু যে এক থলি মোহর পেয়েছিল, সে গিয়ে মাটিতে গর্ত খুঁড়ে তার মনিবের টাকা সেই গর্তে পুঁতে রাখল।
19 “অনেক দিন পর সেই চাকরদের মনিব ফিরে এসে তাদের কাছে হিসাব চাইলেন। 20 যে পাঁচ থলি মোহর পেয়েছিল, সে আরো পাঁচ থলি মোহর এনে বলল, ‘হুজুর, আপনি আমাকে পাঁচ থলি মোহর দিয়েছিলেন, দেখুন আমি তাই দিয়ে আরো পাঁচ থলি মোহর রোজগার করেছি।’
21 “তার মনিব তখন তাকে বললেন, ‘বেশ, তুমি উত্তম ও বিশ্বস্ত দাস। তুমি এই সামান্য বিষয়ে বিশ্বস্ত থাকাতে আমি তোমার হাতে অনেক বিষয়ের ভার দেব। এস, তোমার মনিবের আনন্দের সহভাগী হও।’
22 “এরপর যে দু থলি মোহর পেয়েছিল, সেও তার মনিবের কাছে এসে বলল, ‘হুজুর, আপনি আমায় দু থলি মোহর দিয়েছিলেন, দেখুন আমি তাই দিয়ে আরো দু থলি মোহর রোজগার করেছি।’
23 “তার মনিব তাকে বললেন, ‘বেশ! তুমি উত্তম ও বিশ্বস্ত দাস। তুমি সামান্য বিষয়ের উপর বিশ্বস্ত হলে, তাই আমি আরো অনেক কিছুর ভার তোমার ওপর দেব। এস, তুমি তোমার মনিবের আনন্দের সহভাগী হও।’
24 “এরপর যে লোক এক থলি মোহর পেয়েছিল সে তার মনিবের কাছে এসে বলল, ‘হুজুর আমি জানি আপনি বড় কড়া লোক। আপনি যেখানে বীজ বোনেন নি সেখানে কাটেন; আর যেখানে কোন বীজ ছড়ান নি সেখান থেকে শস্য সংগ্রহ করেন: 25 তাই আমি ভয়ে আপনার দেওয়া মোহরের থলি মাটিতে পুঁতে লুকিয়ে রেখেছিলাম। আপনার যা ছিল তা নিন।’
26 “এর উত্তরে তার মনিব তাকে বললেন, ‘তুমি দুষ্ট ও অলস দাস! তুমি তো জানতে আমি যেখানে বুনি না সেখানেই কাটি; আর তুমি এও জান যেখানে আমি বীজ ছড়াই না সেখান থেকেই সংগ্রহ করি। 27 তাই তোমার উচিত ছিল মহাজনদের কাছে আমার টাকা জমা রাখা, তাহলে আমি এসে আমার টাকার সঙ্গে কিছু সুদও পেতাম।’
28 “তাই তোমরা এর কাছ থেকে, ‘ঐ মোহর নিয়ে যার দশ থলি মোহর আছে তাকে দাও। 29 হ্যাঁ, যার আছে তাকে আরো দেওয়া হবে, তাতে তার প্রচুর হবে। কিন্তু যার নেই, তার যা আছে তাও তার কাছে থেকে নিয়ে নেওয়া হবে।’ 30 তোমরা ঐ অকর্মন্য দাসকে অন্ধকারে বাইরে ফেলে দাও; সেখানে লোকেরা কান্নাকাটি করে ও যন্ত্রণায় দাঁতে দাঁত ঘষে।
মানবপুত্র সকল লোকের বিচার করবেন
31 “মানবপুত্র যখন নিজ মহিমায় মহিমান্বিত হয়ে তাঁর স্বর্গদূতদেব সঙ্গে নিয়ে এসে মহিমার সিংহাসনে বসবেন, 32 তখন সমস্ত জাতি তাঁর সামনে জড়ো হবে। রাখাল যেমন ভেড়া ও ছাগল আলাদা করে, তেমনি তিনি সব লোককে দুভাগে ভাগ করবেন। 33 তিনি নিজের ডানদিকে ভেড়াদের রাখবেন আর বাঁদিকে ছাগলদের রাখবেন।
34 “এরপর রাজা তাঁর ডানদিকের যারা তাদের বলবেন, ‘আমার পিতার আশীর্বাদ পেয়েছ, তোমরা এস! জগত সৃষ্টির শুরুতেই যে রাজ্য তোমাদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে, তার অধিকার গ্রহণ কর। 35 কারণ আমি ক্ষুধিত ছিলাম, তোমরা আমায় খেতে দিয়েছিলে। আমি পিপাসিত ছিলাম আর তোমরা আমাকে পান করবার জল দিয়েছিলে। আমি অচেনা আগন্তুক রূপে এসেছিলাম আর তোমর আমায় আশ্রয় দিয়েছিলে। 36 যখন আমার পরনে কোন কাপড় ছিল না, তখন তোমরা আমায় পোশাক পরিয়েছিলে। আমি অসুস্থ ছিলাম, তোমরা আমার সেবা করেছিলে। আমি কারাগারে ছিলাম, তোমর আমায় দেখতে এসেছিলে।’
37 “এর উত্তরে যারা ভাল তারা বলবে, ‘প্রভু, কখন আমরা আপনাকে ক্ষুধার্ত দেখে খেতে দিয়েছিলাম, পিপাসিত দেখে জল পান করতে দিয়েছিলাম? 38 কখনই বা আপনাকে অচেনা আগন্তুক দেখে আতিথেয়তা করেছিলাম অথবা আপনার পরনে কাপড় নেই দেখে পোশাক পরিয়েছিলাম? 39 আর কখনই বা অসুস্থ বা কারাগারে আছেন দেখে আপনাকে দেখতে গিয়েছিলাম?’
40 “এর উত্তরে রাজা তাদের বলবেন, ‘আমি তোমাদের সত্যি বলছি, আমার এই তুচ্ছতমদের মধ্যে যখন কোন একজনের প্রতি তোমরা এরূপ করেছিলে, তখন আমারই জন্য তা করেছিলে।’
41 “এরপর রাজা তাঁর বাম দিকের লোকদের বলবেন, ‘ওহে অভিশপ্তরা, তোমরা আমার কাছ থেকে দূর হও, দিয়াবল ও তার দূতদের জন্য যে ভয়াবহ অনন্ত আগুন প্রস্তুত করা হয়েছে, তার মধ্যে গিয়ে পড়। 42 কারণ আমি যখন ক্ষুধার্ত ছিলাম, তখন তোমরা আমায় খেতে দাও নি। আমার যখন পিপাসা পেয়েছিল, তখন আমায় জল দাও নি। 43 আমি অচেনা আগন্তুকরূপে এসেছিলাম, কিন্তু তোমরা আমার আতিথেয়তা করনি। আমার পোশাক ছিল না, কিন্তু তোমরা আমায় পোশাক দাও নি। আমি অসুস্থ ছিলাম ও কারাগারে গিয়েছিলাম, কিন্তু তোমরা আমার খোঁজ নাও নি।’
44 “এর উত্তরে তারা তাঁকে বলবে, ‘প্রভু, কবে আপনাকে ক্ষুধার্ত, কি পিপাসিত, কি আগন্তুকরূপে দেখে অথবা কবেই বা আপনার পরনে কাপড় ছিল না, বা আপনি অসুস্থ ছিলেন ও কারাগারে গিয়েছিলেন বলে আমরা আপনার সাহায্য করিনি?’
45 “এ কথার উত্তরে রাজা বলবেন, ‘আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমরা যখন এই অতি সামান্য যারা তাদের কোন একজনের প্রতি তা করনি, তখন আমারই প্রতি তা কর নি।’
46 “এরপর অধার্মিক লোকেরা যাবে অনন্ত শাস্তি ভোগ করতে, কিন্তু ধার্মিকরা প্রবেশ করবে অনন্ত জীবনে।”
ইষ্টের রাণী হলেন
2 পরে রাজা অহশ্বেরশের রাগ কমলে বষ্টী কি কি করেছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে তিনি কি নির্দেশ দিয়েছেন, সে কথা তাঁর মনে পড়লো। 2 রাজার ব্যক্তিগত ভৃত্যরা তখন তাঁর জন্য সুন্দরী কুমারী কন্যা অনুসন্ধানের প্রস্তাব করলো। তারা বলল, “প্রথমে মহারাজ স্বয়ং তাঁর শাসনাধীন প্রত্যেকটি প্রদেশে একজন নেতা বেছে নেবেন। 3 এরপর সেই নেতারা তাদের অঞ্চলের সুন্দরী কুমারীদের রাজধানী শূশনে নিয়ে আসবে। তারপর এদের সকলকে রাখা হোক্ রাজঅন্তঃপুরচারিণীদের সঙ্গে মহিলাদের দায়িত্বে যে আছে সেই রাজার নপুংসক হেগয়ের তত্ত্বাবধানে। তারপর তাদের রূপ পরিচর্যা করা হবে। 4 তারপর রাজা তাদের মধ্যে একজনকে রাণী বষ্টীর (শূন্য) পদে অভিষিক্ত করবেন।” রাজার এই প্রস্তাব মনে ধরায় তিনি এতে সম্মত হলেন।
5 এসময়ে রাজধানী শূশনে মর্দখয় নামে বিন্যামীনের পরিবারের এক ইহুদী ব্যক্তি বাস করতেন। মর্দখয় ছিলেন যায়ীরের পুত্র ও কীশের পৌত্র। 6 বাবিল-রাজ নবূখদ্নিৎসর যিহূদা-রাজ যিহোয়াকিনকে অন্যান্য ইহুদীদের সঙ্গে এবং মর্দখয়ের সঙ্গে জেরুশালেম থেকে বন্দী করে নিয়ে যান। 7 মর্দখয়ের হদসা নামে একটি সম্পর্কিত বোন ছিল। পিতা-মাতা না থাকায় মর্দখয় তাকে নিজের কন্যা স্নেহে প্রতিপালন করেন। এই মিষ্টি, রূপসী, স্বাস্থ্যবতী রমণীর আরেকটি নাম ছিল ইষ্টের।
8 রাজ্যে রাজার আদেশ জারি হবার পর রাজধানী শূশনে হেগযের তত্ত্বাবধানে যেসব যুবতীদের আনা হয়েছিল তাদের মধ্যে ইষ্টেরও ছিলেন। 9 হেগয় ইষ্টেরকে পছন্দ করতো। ক্রমে সে হেগয়ের বেশ প্রিয়পাত্রী হয়ে ওঠে এবং হেগয় যত্নসহকারে ইষ্টেরের খাবারদাবার ও রূপ পরিচর্যার ব্যবস্থা করে। রাজপ্রাসাদ থেকে সাত জন পরিচারিকাকে বেছে নিয়ে হেগয় তাদের ইষ্টেরের পরিচর্যায় নিয়োগ করে। তারপর হেগয়, ইষ্টের ও তার সাত পরিচারিকাকে সেখানে স্থানান্তরিত করে যেখানে রাজার মহিলারা বাস করত। 10 ইষ্টের যে ইহুদী সেকথা ও কাউকে বলেনি। মর্দখয় তাকে তার পারিবারিক বৃত্তান্ত প্রকাশ করতে বারণ করেছিল, সুতরাং সে কারো কাছে কিছু খুলে বলে নি। 11 প্রত্যেক দিন মর্দখয় এসে রাজঅন্তঃপুরচারিণীদের বাসস্থানের আশেপাশে ঘোরাফেরা করতেন। ইষ্টের কেমন আছে আর তার জীবণে কী ঘটছে জানার জন্যই মর্দখয় রোজ আসতেন।
12 রাজা অহশ্বেরশের সামনে উপস্থিত হবার আগে প্রতিটি মেয়েকে এক বছর ধরে রূপচর্চা করতে হোত। রূপচর্চার জন্য তাদের ছ’মাস সুগন্ধী তেল মাখতে হত এবং তারপর আরো ছ’মাস অন্য উৎকৃষ্টতম সুগন্ধি মাখতে হত। 13 শুধু মাত্র এভাবেই প্রতিটি যুবতী রাজার সামনে যেতে পারতো! এসময়ে একটি মেয়ের যা কিছু প্রয়োজন রাজঅন্তঃপুর থেকে তা দেওয়া হতো। 14 সন্ধ্যায় রাজপ্রাসাদে ঢোকার পর, মেয়েটিকে পর দিন ভোরে প্রাসাদের আরেকটি অংশে, যেখানে অন্য মহিলারা থাকত সেখানে ফিরে আসতে হতো। এরপর তাকে শাশ্গস নামে আরেকজন নপুংসকের তত্ত্বাবধানে রাখা হতো। শাশ্গস ছিল রাজার উপপত্নীদের তত্ত্বাবধায়ক। যতক্ষণ পর্যন্ত না রাজা সন্তুষ্ট হয়ে স্বয়ং ঐ মেয়েদের ডেকে পাঠাতেন ততক্ষণ তারা কখনও রাজার কাছে ফিরে যেতে পারতো না।
15 ইষ্টেরের যখন রাজার কাছে যাবার পালা এলো, ইষ্টের কোন কিছু চাইলেন না। শুধু তিনি নপুংসক হেগয়ের পরামর্শ চাইলেন যে, তাঁর সঙ্গে করে কি নিয়ে যাওয়া উচিৎ। (ইষ্টের ছিলেন মর্দখয়ের পোষ্যপুত্রী, তিনি ছিলেন তার মামা অবীহয়িলের কন্য।) ইষ্টেরকে যেই দেখতো সেই পছন্দ করতো। 16 অতঃপর রাজা অহশ্বেরশের রাজত্বের সপ্তম বছরের দশম মাসে অর্থাৎ টেবেৎ মাসে ইষ্টেরকে রাজার সামনে নিয়ে আসা হল।
17 রাজা অন্যান্য মেয়েদের চেয়ে সব চেয়ে বেশি ইষ্টেরকেই ভালবাসলেন এবং তিনি দ্রুত তাঁর প্রিয়তমা হয়ে উঠলেন। এরপর রাজা অহশ্বেরশ ইষ্টেরের মাথায় মুকুট পরিয়ে তাঁকে রাণী বষ্টীর আসনে রাণী হিসেবে অভিষিক্ত করলেন। 18 ইষ্টেরের সম্মানে রাজা তাঁর রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ গণ্যমান্য ও সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য একটি বড় ভোজসভার আয়োজন করলেন। এছাড়াও প্রত্যেকটি প্রদেশে ছুটি ঘোষণা করা হল ও দাতা রাজা অহশ্বেরশ তাঁর লোকদের অনেক উপহার পাঠালেন।
চক্রান্তের কথা জানতে পারলেন মর্দখয়
19 সমস্ত মেয়েরা যখন দ্বিতীয় বারের জন্য এক সঙ্গে জড়ো হল, মর্দখয় তখন রাজদ্বারের কাছেই বসেছিলেন। 20 ইষ্টের যে ইহুদী তা ইষ্টের তখনও গোপন রেখেছিলেন। নিজের পরিবারের ইতিহাসও তিনি কাউকে জানান নি, কারণ মর্দখয় তাঁকে সত্য প্রকাশ করতে বারণ করেছিলেন। বরাবরের মতো ইষ্টের মর্দখয়কে মান্য করা অব্যাহত রাখল যেমনটি সে করত যখন মর্দখয় তার যত্ন নিত।
21 মর্দখয় যখন রাজপ্রাসাদের দ্বারের কাছে বসেছিলেন তিনি শুনতে পেলেন বিগ্থন ও তেরশ নামে রাজার দুই আধিকারিক যারা দরজায় পাহারায় ছিল, রাজার প্রতি ক্রুদ্ধ হয়ে তাঁকে হত্যা করার চক্রান্ত করছে। 22 মর্দখয় এই চক্রান্তের কথা শুনতে পেয়ে তা ইষ্টেরকে জানালেন এবং রাণী ইষ্টের একথা জানালেন স্বয়ং রাজাকে। রাণী ইষ্টের রাজাকে একথাও বললেন যে মর্দখয় এই চক্রান্তের কথা জানতে পেরেছে। 23 অনুসন্ধান করে দেখা গেল, মর্দখয় যে খবর জানিয়েছেন তা সঠিক। তখন ঐ দুই দ্বাররক্ষীকে একটি স্তম্ভে ঝুলিয়ে ফাঁসি দেওয়া হল। এই সমস্ত ঘটনা রাজার সামনে রচিত রাজাগনের ইতিহাস গ্রন্থে নথিবদ্ধ করা আছে।
পৌল কৈসরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাইলেন
25 ফীষ্ট সেই প্রদেশে এলেন, এর তিনদিন পর তিনি কৈসরিয়া থেকে জেরুশালেমে গেলেন। 2 সেখানে প্রধান যাজকরা ও ইহুদী সমাজপতিরা তাঁর কাছে এসে পৌলের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ জানাল। 3 ফীষ্টের কাছে তারা এই আবেদন জানাল যেন তিনি পৌলকে জেরুশালেমে পাঠাবার ব্যবস্থা করেন। তারা এই অনুগ্রহ দেখানোর অনুরোধ করেছিল কারণ তারা পথেই পৌলকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিল। 4 কিন্তু ফীষ্ট বললেন, “না, পৌল কৈসরিয়ায় বন্দী হয়ে আছে এবং আমি শীঘ্রই কৈসরিয়ায় যাব। 5 তাই তোমাদের মধ্যে যারা ক্ষমতায় আছে, তারা আমার সঙ্গে সেখানে চলুক। এই লোকটি যদি কিছু ভুল করে থাকে তবে তা সেখানেই পেশ করুক।”
6 ফীষ্ট জেরুশালেমে প্রায় আট দশদিন থাকার পর কৈসরিয়ায় চলে গেলেন। পরের দিন তিনি বিচারালয়ে নিজের আসনে বসে পৌলকে সেখানে হাজির করতে হুকুম করলেন। 7 পৌল সেখানে এলে জেরুশালেম থেকে যেসব ইহুদীরা এসেছিল তারা চারপাশে ঘিরে দাঁড়িয়ে তাঁর বিরুদ্ধে এমন সব জঘন্য অপরাধের কথা বলতে লাগল, যার কোন প্রমাণ তারা নিজেরাই দিতে পারল না। 8 পৌল আত্মপক্ষ সমর্থন করে বললেন, “আমি ইহুদীদের বিধি-ব্যবস্থা বা মন্দির কিংবা কৈসরের বিরুদ্ধে কোন অপরাধ করি নি।”
9 কিন্তু ইহুদীদের কাছে সুনাম পাবার আশায় ফীষ্ট পৌলকে বললেন, “তুমি কি জেরুশালেমে গিয়ে সেখানে আমার সামনে এসব বিষয়ে তোমার বিচার হয় তা চাও?”
10 পৌল বললেন, “আমি কৈসরের বিচারালয়ে দাঁড়িয়ে আছি, এখানেই আমার বিচার হওয়া উচিত। আমি ইহুদীদের বিরুদ্ধে কিছুই করি নি, একথা আপনি ভালোভাবেই জানেন। 11 আমি যদি কোন অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হই ও মৃত্যুদণ্ড পাবার যোগ্য হই, তবে আমি মৃত্যু থেকে রক্ষা পাবার জন্য বলব না। কিন্তু এরা আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করছে, এসব যদি সত্য না হয় তবে এদের হাতে কেউ আমাকে তুলে দিতে পারবে না, কারণ আমি কৈসরের কাছে আপীল করছি!”
12 তখন ফীষ্ট তাঁর পরামর্শদাতাদের সঙ্গে কথা বললেন, পরে ফীষ্ট পৌলকে বললেন, “তুমি কৈসরের কাছে আপীল করেছ, তোমাকে কৈসরের কাছে পাঠানো হবে।”
ফীষ্ট দ্বারা রাজা আগ্রিপ্পাকে পৌল সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ
13 এর কিছু দিন পর রাজা আগ্রিপ্প ও বর্ণীকী কৈসরিয়ায় এসে ফীষ্টের সঙ্গে দেখা করলেন। 14 তাঁরা সেখানে বেশ কিছু দিন থাকলেন। রাজার কাছে ফীষ্ট পৌলের বিষয় এইভাবে বললেন, “ফীলিক্স কোন একজন লোককে এখানে বন্দী করে রেখেছেন। 15 আমি যখন জেরুশালেমে ছিলাম, সেই সময় ইহুদীদের প্রধান যাজকরা ও সমাজপতিরা তার বিরুদ্ধে আবেদন করে বিচার ও শাস্তি চেয়েছিল। 16 আমি তাদের বলেছিলাম যে, যার নামে অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে, সে যতক্ষণ পর্যন্ত না অভিযোগকারীদের সামনে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে পাচ্ছে, ততক্ষণ কোন লোককে তাদের হাতে তুলে দেওয়া রোমানদের নিয়ম নয়।
17 “আর তারা আমার সঙ্গে এখানে এলে, আমি আর দেরী না করে, পরদিনই সেই বন্দীকে বিচারের জন্য আমার বিচারালয়ে আনাই। 18 যখন তারা দাঁড়িয়ে তাকে দোষী সাব্যস্ত করতে গেল তখন তাঁর বিরুদ্ধে যে রকম দোষের কথা আমি অনুমান করেছিলাম, তার অভিযোগকারীরা সেই রকম কোন দোষই দেখাতে পারল না। 19 তার সাথে তাদের ধর্ম সম্বন্ধে এবং যীশু নামে এক ব্যক্তি যিনি মারা গিয়েছিলেন কিন্তু যাকে পৌল জীবিত বলে প্রচার করত সে সম্বন্ধে কিছু মতপার্থক্য ছিল। 20 আমি বুঝে উঠতে পারলাম না যে এই ধরণের প্রশ্নগুলির উত্তর কিভাবে অনুসন্ধান করা হবে, তাই তাকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘তুমি কি জেরুশালেমে গিয়ে সেখানে এই বিষয়ের বিচার হোক্ তাই চাও?’ 21 কিন্তু পৌল কৈসরের কাছে বিচার চেয়ে কারাগারে থাকার জন্য আপীল করায়, যতদিন না আমি তাকে কৈসরের কাছে পাঠাতে পারছি ততদিন কারাগারে রাখার নির্দেশ দিয়েছি।”
22 আগ্রিপ্প বললেন, “হ্যাঁ, আমিও নিজে তার কথা শুনতে চেয়েছিলাম।”
ফীষ্ট বললেন, “বেশ, কালই শুনবেন।”
23 পরদিন রাজা আগ্রিপ্প ও বর্নীকী খুব জাঁকজমকের সাথে এসে সভা ঘরে ঢুকলেন, তাঁদের সঙ্গে সেনাপতিরা ও শহরের গন্যমান্য লোকরাও ছিলেন। ফীষ্টের হুকুমে পৌলকে সেখানে নিয়ে আসা হল।
24 তখন ফীষ্ট বললেন, “রাজা আগ্রিপ্প ও আমাদের সঙ্গে যাঁরা উপস্থিত আছেন তাঁরা এই লোককে দেখছেন, যার বিরুদ্ধে এখানকার ও জেরুশালেমের সমস্ত ইহুদী সমাজ আমার কাছে চিৎকার করছে যে এই লোকের আর বেঁচে থাকা উচিৎ নয়। 25 কিন্তু এর মৃত্যুদণ্ডের যোগ্য কোন অপরাধই আমি পাই নি। এ যখন নিজে সম্রাটের কাছে আপীল করেছে, তখন আমি সেখানে একে পাঠাব বলে স্থির করেছি। 26 কিন্তু সম্রাটের কাছে এর বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কি বলব তা জানি না। সেইজন্য আমি আপনাদের সামনে, বিশেষ করে রাজা আগ্রিপ্পর সামনে একে হাজির করেছি যাতে একে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর আমি কিছু পাই যে সম্বন্ধে লিখতে পারি। 27 কারণ বন্দীকে পাঠাবার সময় তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিবরণ না দেওয়া আমি যুক্তিযুক্ত বলে মনে করি না।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International