Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

M’Cheyne Bible Reading Plan

The classic M'Cheyne plan--read the Old Testament, New Testament, and Psalms or Gospels every day.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
আদি 19

লোটের অতিথিগণ

19 1-2 সেদিন সন্ধ্যায় সদোম নগরে দুজন দূত এলেন। তখন লোট নগরের প্রবেশ পথে বসেছিলেন। তিনি দূতদের আসতে দেখলেন। লোট ভাবলেন যে তারা সাধারণ পথিক, নগরের মধ্য দিয়ে কোথাও যাচ্ছে। লোট উঠে গিয়ে তাঁদের অভিবাদন করে বললেন, “মহাশয়গণ, অনুগ্রহ করে একবার আমার বাড়ীতে আসুন এবং আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন। সেখানে আপনারা হাত-পা ধুয়ে রাত্রিবাস করতে পারেন। তাহলে কাল সকালে আবার আপনাদের গন্তব্যস্থল অভিমুখে যাত্রা করতে পারবেন।”

দূত দুজন বললেন, “না, আমরা চকেই রাত্রিবাস করব।”

কিন্তু লোট নিজের বাড়ীতে তাঁদের নিয়ে যাওয়ার জন্যে পীড়াপীড়ি করতে লাগলেন। তাই দূতরা শেষ পর্যন্ত লোটের বাড়ীতে থেকে যেতে রাজী হলেন। তাঁরা লোটের বাড়ীতে গেলেন। লোট তাঁদের কিছু পানীয় দিলেন। লোট তাঁদের রুটি বানিয়ে দিলেন এবং তাঁরা সেই রুটি খেলেন।

সেদিন সন্ধ্যায় ঘুমোতে যাওয়ার ঠিক আগে, নগরের নানা প্রান্ত থেকে নানা বয়সের বহু লোক লোটের বাড়িতে এল। সদোমের সেইসব লোকেরা লোটের বাড়ী ঘিরে ফেলল এবং লোটকে চিৎকার করে ডাকতে লাগল। তারা বলল, “আজ সন্ধ্যায় যারা এসেছে, কোথায় তারা? তাদের বাইরে নিয়ে এস—আমরা তাদের সাথে যৌন সহবাস করতে চাই।”

লোট বাইরে বেরিয়ে এসে দরজা বন্ধ করে দিলেন। সেই জনতার উদ্দেশ্যে লোট বললেন, “না! বন্ধুরা, আমি মিনতি করছি, এমন খারাপ কাজ কোরো না। দেখ, আমার দুটি মেয়ে আছে—কোনও পুরুষ তাদের স্পর্শ করে নি। তোমাদের জন্য আমি নিজের কন্যাদের দেব। তোমরা তাদের নিয়ে যা খুশী করতে পারো। কিন্তু দয়া করে এই অতিথি দুজনের প্রতি কিছু কোরো না। এই দুজন আমার ঘরে এসেছে এবং আমার অবশ্যই এদের রক্ষা করা উচিৎ‌।”

যেসব লোকেরা লোটের বাড়ী ঘিরে রেখেছিল তারা উত্তর দিল, “আমাদের পথ থেকে সরে যাও।” তারপর তারা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করল, “এই লোকটা একদিন অতিথি হিসেবে আমাদের নগরে বাস করতে এসেছিল। এখন জ্ঞান দিচ্ছে, আমরা কি করব না করব!” তখন সেই লোকেরা লোটকে বলল, “এখন তোমার প্রতি ওদের চেয়ে আরও বেশী খারাপ ব্যবহার করব।” অতএব সেই জনতা লোটের দিকে এগিয়ে যেতে থাকল। ক্রমে দরজা ভেঙ্গে ফেলার উপক্রম।

10 কিন্তু যে দুজন পুরুষ লোটের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন তাঁরা হঠাৎ‌‌ দরজা খুলে বেরিয়ে এসে লোটকে ভেতরে টেনে নিয়ে গেলেন এবং ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিলেন। 11 তারপর তাঁরা বাইরের মারমুখো জনতার জন্য কিছু একটা করলেন। ফলে যুবক, বৃদ্ধ, সব বদমাশ লোকেরা অন্ধ হয়ে গেল। এর ফলে যারা বাড়ির ভেতর জোর করে ঢোকার চেষ্টা করছিল তারা ভেতরে ঢোকার দরজাই খুঁজে পেল না।

সদোম হতে পলায়ন

12 অতিথি দুজন লোটকে জিজ্ঞেস করলেন, “তোমার পরিবারের আর কেউ কি এই শহরে বাস করে? তোমার জামাই, ছেলে, মেয়ে কিংবা পরিবারের আর কেউ কি এখানে আছে? যদি থাকে তাহলে তাদের এখনই এই জায়গা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য বলো। 13 আমরা এই নগর ধ্বংস করে দেব। এই নগর যে কত খারাপ তা প্রভু শুনেছেন। তাই এই নগর ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য তিনি আমাদের পাঠিয়েছেন।”

14 তখন লোট বেরিয়ে গিয়ে তাঁর অন্যান্য মেয়েদের যারা বিয়ে করেছে সেই মেয়েদের স্বামীদের অর্থাৎ‌ জামাইদের সঙ্গে কথা বললেন। লোট বলল, “তাড়াতাড়ি করো! এক্ষুনি এই জায়গা ছেড়ে চলে যাও! প্রভু এখনই এই জায়গা ধ্বংস করবেন।” কিন্তু তারা ভাবল, লোট বোধহয় তামাশা করছেন।

15 পরদিন ভোরে সেই দূতরা লোটকে তাড়া দিলেন। তাঁরা বললেন, “এই নগরবাসীদের শাস্তি দেওয়া হবে। সুতরাং তুমি, তোমার স্ত্রী এবং যে দুজন মেয়ে তোমার কাছে থাকে তাদের নিয়ে শীঘ্রই এই জায়গা ছেড়ে চলে যাও। তাহলে এই নগরের সঙ্গে তোমরা আর ধ্বংস হবে না।”

16 কিন্তু লোটের সব গুলিয়ে গেল এবং তিনি নগর ছেড়ে যাওয়ার ব্যাপারে তাড়া করলেন না। সুতরাং ঐ দুজন লোট এবং তাঁর স্ত্রীর এবং দুই মেয়ের হাত চেপে ধরলেন। ঐ দুজন লোট এবং তাঁর পরিবারকে নিরাপদে নগরের বাইরে নিয়ে গেলেন। লোট এবং তাঁর পরিবারের প্রতি প্রভু দয়ালু ছিলেন। 17 তাই ঐ দুজন লোট এবং তাঁর পরিবারকে নগরের বাইরে নিয়ে এলেন। তাঁরা নগরের বাইরে চলে এলে সেই দুজন দুতের একজন বললেন, “এবার প্রাণ বাঁচাবার জন্য তোমরা দৌড় দাও! আর পেছনের দিকে তাকাবে না। উপত্যকার কোনও জায়গাতে দাঁড়াবে না। যতক্ষণ না ঐ পর্বতে পৌঁছবে ততক্ষণ শুধুই দৌড়বে। থামলে, নগরের সঙ্গে তোমরাও ধ্বংস হয়ে যাবে!”

18 কিন্তু লৌট এই দুজনকে বললেন, “মহাশয়গণ, দয়া করে আমায় অত দূরে দৌড়ে যেতে বলবেন না! 19 আমি আপনাদের সেবকমাত্র, তবু আমার প্রতি আপনাদের অসীম দয়া। দয়া করে আমার জীবন রক্ষা করেছেন। কিন্তু ঐ পর্বত পর্যন্ত সমস্ত পথ দৌড়োবার ক্ষমতা আমার নেই। যদি আমি খুব ধীরে যাই তবে বিপদ ঘটবে এবং আমি নিহত হব! 20 দেখুন, এখানে কাছেই একটা খুব ছোট শহর আছে। আমি সেই শহর পর্যন্ত দৌড়ে বেঁচে যেতে পারি।”

21 দূত লোটকে বললেন, “ভালো কথা আমি তোমার অনুরোধ স্বীকার করেছি। আমি তোমাকে সেটা করতে দেব। আমি ঐ শহর ধ্বংস করব না। 22 কিন্তু সেখানে শীঘ্রই দৌড়ে যাও। যতক্ষণ না নিরাপদে ঐ শহরে তুমি পৌঁছোচ্ছ ততক্ষণ সদোম ধ্বংস করতে পারব না।” (ঐ শহরের নাম সোয়র কারণ শহরটি খুব ছোট।)

সদোম ও ঘমোরা ধ্বংস হল

23 সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে লোট সোয়রে পৌঁছলেন। 24 একই সময়ে প্রভু সদোম ও ঘমোরা ধ্বংস করা শুরু করলেন। প্রভু আকাশ থেকে আগুন আর জ্বলন্ত গন্ধক বর্ষণ শুরু করলেন। 25 অর্থাৎ‌ প্রভু ঐ নগরগুলি ধ্বংস করলেন। সমস্ত গাছপালা, সমস্ত লোকজন, সমগ্র উপত্যকাটাই প্রভু ধ্বংস করলেন।

26 লোট যখন স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে দৌড়ে পালাচ্ছিলেন তখন লোটের স্ত্রী নিষেধ ভুলে একবার পেছনে নগরের দিকে তাকালেন এবং তখনই লবণের মূর্ত্তি হয়ে গেলেন।

27 খুব সকালে অব্রাহাম আগে যেখানটাতে প্রভুর সামনে দাঁড়িয়েছিলেন সেই স্থানটিতে তিনি আবার গিয়ে দাঁড়ালেন। 28 অব্রাহাম সদোম এবং ঘমোরার দিকে তাকিয়ে দেখলেন। সমগ্র উপত্যকার ওপর দৃষ্টিপাত করে অব্রাহাম দেখলেন যে সমস্ত উপত্যকা থেকে ধোঁয়া উঠছে। দেখে মনে হল বিশাল অগ্নিকাণ্ডের ফলস্বরূপ ঐ ধোঁয়া।

29 ঈশ্বর উপত্যকার সমস্ত নগর ধ্বংস করলেন। কিন্তু ঈশ্বর ঐ নগরগুলি ধ্বংস করার সময় অব্রাহামের কথা মনে রেখেছিলেন এবং তিনি অব্রাহামের ভ্রাতুষ্পুত্রকে ধ্বংস করেন নি। লোট ঐ উপত্যকার নগরগুলির মধ্যে বাস করছিলেন। কিন্তু নগরগুলি ধ্বংস করার আগে ঈশ্বর লোটকে অন্যত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।

লোট এবং তাঁর দুই মেয়ে

30 সোয়রে বাস করতে লোটের ভয় করছিল। তাই তিনি ও তাঁর দুই মেয়ে পর্বতে বাস করতে চলে গেলেন। সেখানে তাঁরা একটা গুহার মধ্যে বাস করতে লাগলেন। 31 দুজনের মধ্যে যে মেয়ে বড় সে একদিন ছোট বোনকে বলল, “পৃথিবীতে সর্বত্র স্ত্রী ও পুরুষ বিয়ে করে এবং তাদের সন্তানাদি হয়। কিন্তু আমাদের পিতা বৃদ্ধ হয়েছেন এবং আমাদের সন্তানাদি দিতে পারে এমন অন্য পুরুষ এখানে নেই। 32 তাই আমরা পিতাকে প্রচুর দ্রাক্ষারস পান করিয়ে বেহুঁশ করিয়ে দেব। তারপর তাঁর সঙ্গে আমরা যৌনসঙ্গম করব। আমাদের পরিবার রক্ষা করার জন্য আমরা এইভাবে আমাদের পিতার সাহায্য নেব!”

33 সেই রাত্রে দু মেয়ে তাদের পিতার কাছে গেল এবং তাঁকে প্রচুর দ্রাক্ষারস পান করতে দিল। তারপর বড় মেয়ে পিতার বিছানায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে যৌন সঙ্গম করল। লোট এমন নেশাগ্রস্ত ছিলেন যে তাঁর বিছানায় কে কখন এল এবং কে কখন গেল কিছুই বুঝতে পারলেন না।

34 পরদিন ছোট বোনকে বড় বোন বলল, “গত রাত্রে আমি পিতার সঙ্গে এক বিছানায় শুয়েছি। আজ রাতে আবার তাঁকে দ্রাক্ষারস পান করিয়ে বেহুঁশ করে দেব। তাহলে তুমি তাঁর সঙ্গে যৌন সঙ্গম করতে পারবে। এভাবে আমরা সন্তানাদি পেতে আমাদের পিতার সাহায্য নেব। এতে আমাদের বংশধারা অব্যাহত থাকবে।” 35 সুতরাং সেই রাত্রে দু মেয়ে আবার পিতাকে নেশাতে বেহুঁশ করে দিল। তারপর ছোট মেয়ে পিতার বিছানায় গিয়ে পিতার সঙ্গে যৌন সঙ্গম করল। এবারেও লোট এমন নেশাগ্রস্ত ছিলেন যে জানতে পারলেন না কে তার বিছানায় এল, কে গেল।

36 লোটের দু মেয়েই গর্ভবতী হল। তাদের পিতাই তাদের সন্তানাদির পিতা। 37 বড় মেয়ের হল এক পুত্র সন্তান। তার নাম হল মোয়াব। বর্তমানে যে মোয়াবীয় জাতি আছে তাদের আদিপুরুষ হলেন মোয়াব। 38 ছোট মেয়েও এক পুত্র সন্তানের জন্ম দিল। তার নাম বিন্-অম্মি। বর্তমানে যে অম্মোন জাতি আছে তাদের আদিপুরুষ হলেন বিন্-অম্মি।

মথি 18

কে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ

(মার্ক 9:33-37; লূক 9:46-48)

18 সেই সময় যীশুর শিষ্যরা তাঁর কাছে এসে বললেন, “প্রভু, স্বর্গরাজ্যের মধ্যে শ্রেষ্ঠ কে?”

তখন যীশু একটি শিশুকে ডেকে তাঁদের মধ্যে দাঁড় করিয়ে বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যতদিন পর্যন্ত না তোমাদের মনের পরিবর্তন ঘটিয়ে এই শিশুদের মতো হবে, ততদিন তোমরা কখনই স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে না। তাই, যে কেউ নিজেকে নত-নম্র করে শিশুর মতো হয়ে ওঠে, সেই স্বর্গরাজ্যের মধ্যে শ্রেষ্ঠ।

“আর যে কেউ এরকম কোন সামান্য সেবককে আমার নামে গ্রহণ করে, সে আমাকেই গ্রহণ করে।

পাপের বিষয়ে যীশুর সতর্কতা

(মার্ক 9:42-48; লূক 17:1-2)

“এই রকম নম্র মানুষদের মধ্যে যারা আমাকে বিশ্বাস করে, তাদের কারও বিশ্বাসে যদি কেউ বিঘ্ন ঘটায়, তবে তার গলায় ভারী একটা যাঁতা বেঁধে সমুদ্রের অতল জলে তাকে ডুবিয়ে দেওয়াই তার পক্ষে ভাল হবে। ধিক্ এই জগত সংসার! কারণ এখানে কত রকমেরই না প্রলোভনের জিনিস আছে। প্রলোভন জগতে থাকবে ঠিকই, কিন্তু ধিক্ সেই মানুষকে যার দ্বারা তা আসে।

“তাই তোমার হাত কিংবা পা যদি তোমার প্রলোভনে পড়ার কারণ স্বরূপ হয়, তবে তা কেটে ফেলো। দুহাত ও পা নিয়ে নরকের অনন্ত আগুনে পড়ার চেয়ে বরং নুলো বা খোঁড়া হয়ে অনন্ত জীবনে প্রবেশ করা ভাল। তোমার চোখ যদি তোমাকে প্রলোভনের পথে টেনে নিয়ে যায়, তবে তা উপড়ে ফেলে দিও। দুচোখ নিয়ে নরকের আগুনে পড়ার চেয়ে বরং কানা হয়ে অনন্ত জীবনে প্রবেশ করা তোমার পক্ষে ভাল।

যীশু হারিয়ে যাওয়া ভেড়ার দৃষ্টান্ত দিলেন

(লূক 15:3-7)

10 “দেখো, তোমরা আমার এই নম্র মানুষদের মধ্যে একজনকেও তুচ্ছ করো না, কারণ আমি তোমাদের বলছি যে স্বর্গে তাদের স্বর্গদূতেরা সব সময় আমার স্বর্গীয় পিতার মুখের দিকে চেয়ে আছেন। 11 [a]

12 “তোমরা কি মনে কর? যদি কোন লোকের একশোটি ভেড়া থাকে, আর তার মধ্যে যদি একটা ভুল পথে চলে যায় তবে সে কি নিরানব্বইটাকে পাহাড়ের ধারে রেখে দিয়ে সেই হারানো ভেড়াটা খুঁজতে যাবে না? 13 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যখন সে সেই ভেড়াটা খুঁজে পায় তখন যে নিরানব্বইটা ভুল পথে যায় নি, তাদের চেয়ে যেটা হারিয়ে গিয়েছিল তাকে ফিরে পেয়ে সে বেশী আনন্দ করে। 14 ঠিক সেই ভাবে, তোমাদের পিতা যিনি স্বর্গে আছেন, তিনি চান না, যে এই ছোটদের মধ্যে একজনও হারিয়ে যায়।

যখন কেউ কোন অন্যায় করে

(লূক 17:3)

15 “তোমার ভাই যদি তোমার বিরুদ্ধে কোন অন্যায় করে, তবে তার কাছে একান্তে গিয়ে তার দোষ দেখিয়ে দাও। সে যদি তোমার কথা শোনে, তবে তুমি তাকে আবার তোমার ভাই বলে ফিরে পেলে। 16 কিন্তু সে যদি তোমার কথা না শোনে, তবে আরো দু-একজনকে সঙ্গে নিয়ে তার কাছে যাও, যেন ঐ দুজন কিংবা তিনজন সাক্ষীর কথায় প্রত্যেকটা বিষয় সত্য বলে প্রমাণিত হয়। 17 সে যদি তাদের কথা শুনতে না চায়, তবে মণ্ডলীতে তা জানাও। আর সে যদি মণ্ডলীর কথাও শুনতে না চায়, তবে সে তোমার কাছে বিধর্মী ও কর আদায়কারীর মত হোক্।

18 “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, পৃথিবীতে তোমরা যা বেঁধে রাখবে, স্বর্গেও তা বাঁধা হবে। আর পৃথিবীতে তোমরা যা খুলে দেবে স্বর্গেও তা খুলে দেওয়া হবে। 19 আমি তোমাদের আবার বলছি, পৃথিবীতে তোমাদের মধ্যে দুজন যদি একমত হয়ে কোন বিষয় নিয়ে প্রার্থনা কর, তবে আমার স্বর্গের পিতা তাদের জন্য তা পূরণ করবেন। 20 একথা সত্য, কারণ আমার অনুসারীদের মধ্যে দুজন কিংবা তিনজন যেখানে আমার নামে সমবেত হয়, সেখানে তাদের মাঝে আমি আছি।”

ক্ষমার বিষয়ে দৃষ্টান্ত

21 তখন পিতর যীশুর কাছে এসে তাঁকে বললেন, “প্রভু, আমার ভাই আমার বিরুদ্ধে কতবার অন্যায় করলে আমি তাকে ক্ষমা করব? সাত বার পর্যন্ত করব কি?”

22 যীশু তাঁকে বললেন, “আমি তোমাকে বলছি, কেবল সাত বার নয়, কিন্তু সাতকে সত্তর দিয়ে গুণ করলে যতবার হয় ততবার।”

23 “স্বর্গরাজ্য এভাবে তুলনা করা যায়, যেমন একজন রাজা যিনি তাঁর দাসদের কাছে হিসাব মিটিয়ে দিতে বললেন। 24 তিনি যখন হিসাব নিতে শুরু করলেন, তখন তাদের মধ্যে একজন লোককে আনা হল যে রাজার কাছে দশ হাজার রৌপ্যমুদ্রা ধারত। 25 কিন্তু তার সেই ঋণ শোধ করার ক্ষমতা ছিল না। তখন সেই মনিব রাজা হুকুম করলেন যেন সেই লোকটাকে তার স্ত্রী ও ছেলেমেয়েকে আর তার যা কিছু আছে সমস্ত বিক্রি করে পাওনা আদায় করা হয়।

26 “তাতে সেই দাস মাটিতে উপুড় হয়ে পড়ে মনিবের পা ধরে বলল, ‘আমার ওপর ধৈর্য্য ধরুন, আমি আপনার সমস্ত ঋণই শোধ করে দেব’ 27 সেই কথা শুনে সেই দাসের প্রতি মনিবের অনুকম্পা হল, তিনি তার সব ঋণ মকুব করে দিয়ে তাকে মুক্ত করে দিলেন।

28 “কিন্তু সেই দাস ছাড়া পেয়ে বাইরে গিয়ে তার একজন সহকর্মীর দেখা পেল, যে তার কাছে প্রায় একশো মুদ্রা ধারত। সেই দাস তখন তার গলা টিপে ধরে বলল, ‘তুই যে টাকা ধার করেছিস তা শোধ কর।’

29 “তখন তার সহকর্মী তার সামনে উপুড় হয়ে অনুনয় করে বলল, ‘আমার প্রতি ধৈর্য্য ধর। আমি তোমার সব ঋণ শোধ করে দেব।’

30 “কিন্তু সে তাতে রাজী হল না, বরং ঋণ শোধ না করা পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটকে রাখল। 31 তার অন্য সহকর্মীরা এই ঘটনা দেখে খুবই দুঃখ পেল, তাই তারা গিয়ে তাদের মনিবের কাছে যা যা ঘটেছে সব জানাল।

32 “তখন সেই মনিব তাকে ডেকে বললেন, ‘তুমি দুষ্ট দাস! তুমি আমায় অনুরোধ করলে আর আমি তোমার সব ঋণ মকুব করে দিলাম। 33 আমি যেমন তোমার প্রতি দয়া দেখিয়েছিলাম তেমনি তোমার সহকর্মীর প্রতিও কি তোমার দয়া করা উচিত ছিল না?’ 34 তখন তার মনিব ক্রুদ্ধ হয়ে সমস্ত ঋণ শোধ না করা পর্যন্ত তাকে শাস্তি দিতে কারাগারে দিয়ে দিলেন।

35 “তোমরা প্রত্যেকে যদি তোমাদের ভাইকে অন্তর দিয়ে ক্ষমা না কর, তবে আমার স্বর্গের পিতাও তোমাদের প্রতি ঠিক ঐভাবে ব্যবহার করবেন।”

নহিমিয় 8

বিধি পাঠ করলেন ইষ্রা

শেষ পর্যন্ত বছরের সপ্তম মাসে ইস্রায়েলের সমস্ত বাসিন্দা এক জায়গায় জড়ো হল। এরা সকলে একই উদ্দেশ্য নিয়ে একত্রে এসেছিল যেন জলদ্বারের সামনে খোলা চত্বরে তারা ছিল একটি মানুষ। এরা সকলে মিলে শিক্ষক ইষ্রাকে মোশির বিধিপুস্তকটি আনতে অনুরোধ করল। উল্লেখ্য প্রভু ইস্রায়েলের বাসিন্দাদের জন্য যে বিধিনির্দেশগুলি দেন তা এই গ্রন্থে লিপিবদ্ধ ছিল। সকলের অনুরোধে ইষ্রা জনসমক্ষে বিধিপুস্তকটি বার করলেন। এটি ছিল সপ্তম মাসের প্রথম দিন; ঐ জনসমাগমে ছিল পুরুষ, মহিলা এবং ঈশ্বরের বিধি শোনা ও বোঝার মত বয়স হয়েছে এমন ব্যক্তিরা। ইষ্রা তখন জলদ্বারের সামনের খোলা চত্বরের দিকে মুখ করে জোর গলায় ভোর থেকে শুরু করে দুপুর পর্যন্ত বিধিপুস্তকটি পাঠ করে শোনালেন। উপস্থিত সকলেই পূর্ণ মনোযোগ সহকারে তা শুনল।

ইষ্রা একটি উঁচু কাঠের মঞ্চের ওপর দাঁড়িয়ে এগুলি পাঠ করছিলেন। পাটাতনটি এই উপলক্ষেই বিশেষভাবে বানানো হয়েছিল। ইষ্রার ডানদিকে দাঁড়িয়ে ছিলেন মত্তিথিয়, শেমা, অনায়, ঊরিয়, হিল্কিয় ও মাসেয় এবং তাঁর বাঁদিকে ছিলেন পদায়, মীশায়েল, মল্কিয়, হশুম, হশবদ্দানা, সখরিয় ও মশুল্লম।

যেহেতু ইষ্রা উঁচু পাটাতনের ওপর দাঁড়িয়ে ছিলেন সকলেই তাঁকে দেখতে পাচ্ছিল। তিনি বিধিপুস্তকটি খোলার সঙ্গে সঙ্গে সমবেত সকলে উঠে দাঁড়াল। প্রথমে ইষ্রা প্রভু, মহান ঈশ্বরের প্রশংসা করলেন। তখন উপস্থিত সবাই হাত তুলে বলল, “আমেন, আমেন।” তারপর মাথা নীচু করে হাঁটু মুড়ে বসে প্রভুর প্রশংসা করল।

7-8 ঐসব লেবীয়রা ছিলেন যেশূয়, বানি, শেরেবিয়, যামীন, অক্কুব, শব্বথয়, হোদিয়, মাসেয়, কলীট, অসরীয়, যোষাবদ, হানন এবং পলায়। তাঁরা বিধিপুস্তকটি থেকে পাঠ করলেন এবং সহজ ভাষায় সেটি লোকদের বুঝিয়ে দিলেন যাতে যা পড়া হল তারা তার অর্থ বুঝতে পারে।

এরপর শাসক নহিমিয়, যাজক ও শিক্ষক ইষ্রা এবং যে সব লেবীয়রা শিক্ষাদান করছিলেন তাঁরা সকলে বক্তব্য রাখলেন। তাঁরা বললেন, “আজকের দিনটি তোমাদের প্রভু ঈশ্বরের পক্ষে একটি বিশেষ দিন।[a] আজ যেন কেউ মন খারাপ না করে বা চোখের জল না ফেলে।” তাঁদের একথা বলার কারণ হল যে: যখন তাঁরা ঈশ্বরের বিধিপুস্তকটি পড়ে শোনাচ্ছিলেন তখন অনেকেই কাঁদছিল।

10 নহিমিয় বললেন, “যাও তোমরা সকলে মশলাদার ভারী খাদ্য ও সুমিষ্ট পানীয়গুলি উপভোগ করো। আজকের দিনটি প্রভুর কাছে একটি বিশেষ দিন বলে যারা রান্না করেনি তাদেরও খাবার দিও। মন খারাপ করো না কারণ প্রভুর আনন্দ তোমাদের মনকে শক্তিশালী করবে।”

11 লেবীয়বর্গরা লোকদের শান্ত হতে সাহায্য করল। তারা বলল, “চুপ কর এবং শান্ত হও। আজ একটি বিশেষ দিন। মন খারাপ করো না।”

12 তখন উপস্থিত সবাই মিলে বিশেষ ভোজসভায় যোগ দিয়ে খাবার ও পানীয় ভাগ করে খেল। প্রত্যেকেই খুব খুশী ছিল এবং সকলে মিলে এই বিশেষ দিনটি উদ্‌যাপন করল। শেষ পর্যন্ত শিক্ষকরা তাদের সকলকে প্রভুর যে সমস্ত বিধিগুলি বোঝানোর চেষ্টা করছিল তা বুঝতে পারল।

13 তারপর ঐ একই মাসের দ্বিতীয় দিনে প্রত্যেকটি পরিবার প্রধান ইষ্রা, যাজকবর্গ ও লেবীয়দের সঙ্গে দেখা করতে গেল। সকলেই বিধিগুলি সম্পর্কে পড়াশোনা করার জন্য ইষ্রাকে ঘিরে ধরল।

14-15 বিধিগুলি পড়াশোনা করার পর তারা, মোশির মাধ্যমে প্রভু ইস্রায়েলের লোকদের, বছরের সপ্তম মাসে কুটির থেকে যে একটি উৎসব পালন করবার আজ্ঞা দিয়েছিলেন, তা জানতে পারল। জেরুশালেমে ফেরবার পথে, তারা বিভিন্ন শহরের মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে, লোকদের বলবে: “পর্বত থেকে জলপাই, গুলমেঁদি ও খর্জুর এবং ছায়া শাখাগুলি কাট। বিধিটিতে যেমন বলা আছে ঐ শাখাগুলি ব্যবহার করে পর্ব পালন করবার জন্য অস্থায়ী কুটির তৈরী কর। বিধিতে যেমন বলা আছে তেমনভাবে কর।”

16 একথা শোনার পর লোকরা গিয়ে এইসব গাছের শাখা সংগ্রহ করে নিজেরা নিজেদের জন্য অস্থায়ী কুটির বানালো। তারা তাদের বাড়ির ছাদে, উঠোনে, মন্দির প্রাঙ্গনে, জলদ্বারের কাছে ও ইফ্রয়িম-দ্বারের কাছে উন্মুক্ত স্থানে কুটিরগুলি বানালো। 17 বন্দীদশা থেকে ইস্রায়েলে ফিরে আসা সমস্ত ব্যক্তিরাই এই কুটিরগুলি বানিয়ে তাতে বাস করল। নূনের পুত্র যিহোশূয়ের সময় থেকে সেই দিন পর্যন্ত ইস্রায়েলীয়রা এরকম ভাবে ও এত আনন্দ করে কুটির পর্ব পালন করে নি!

18 পর্বের প্রত্যেকদিন, প্রথম দিন থেকে শেষ দিন পর্য্যন্ত রোজ ইষ্রা এদের কাছে বিধিপুস্তক পাঠ করে শোনালেন। বিধি অনুসারে ইস্রায়েলের বাসিন্দারা সাতদিন ধরে পর্ব পালন করার পর, অষ্টম দিনের দিন একটি বিশেষ সভার জন্য মিলিত হল।

প্রেরিত 18

করিন্থে পৌল

18 এরপর পৌল আথীনী ছেড়ে করিন্থে এলেন। সেখানে আক্কিলা নামে এক ইহুদীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়, তিনি ছিলেন পন্ত দেশের লোক। সম্প্রতি তিনি তাঁর স্ত্রী প্রিষ্কিল্লাকে নিয়ে ইতালী থেকে এসেছিলেন, কারণ ক্লৌদিয় সমস্ত ইহুদীদের রোম ছেড়ে যাবার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পৌল তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। তাঁরা তাঁবু নির্মাণ করতেন যেমন পৌলও করতেন। এইজন্য তিনি তাঁদের সঙ্গে কাজ করতে লাগলেন।

প্রতি বিশ্রামবারে পৌল সমাজ-গৃহে ইহুদী ও গ্রীকদের সঙ্গে কথা বলতেন। পৌল চেষ্টা করতেন যেন এইসব লোকরা যীশুতে বিশ্বাসী হয়। সীল ও তীমথিয় যখন মাকিদনিয়া থেকে করিন্থে এলেন, তখন পৌল সুসমাচার প্রচারের জন্য তাঁর সমস্ত সময় দিলেন। যীশুই যে ঈশ্বরের খ্রীষ্ট এই প্রমাণ তিনি ইহুদীদের দিচ্ছিলেন। কিন্তু ইহুদীরা পৌলের শিক্ষার বিরোধিতা করে তাঁকে গালাগাল দিতে লাগল। তখন তিনি তাঁর পোশাকের ধুলো ঝেড়ে তাদের বললেন, “তোমাদের যদি উদ্ধার না হয় তার জন্য তোমরা দায়ী। আমি দায়মুক্ত! এরপর আমি অইহুদীদের কাছে যাব!”

পৌল সেখান থেকে চলে গিয়ে সমাজ-গৃহের পাশে তিতিয় যুষ্ট নামে এক ঈশ্বরভক্ত অইহুদীর বাড়িতে উঠলেন; ইনি সত্য ঈশ্বরের উপাসনা করতেন। সমাজ-গৃহের পরিচালক ক্রীষ্প ও তাঁর পরিবারের সকলে প্রভু যীশুতে বিশ্বাসী হল। করিন্থের আরো অনেকে পৌলের কথা শুনল, বিশ্বাস করল ও বাপ্তিস্ম নিল।

এক রাতে এক দর্শনে প্রভু পৌলকে বললেন, “ভয় পেয়ো না! কিন্তু কথা বলে যাও, চুপ করে থেকো না! 10 আমি তোমার সঙ্গে আছি; কেউ তোমার ক্ষতি করতে পারবে না, কারণ এই শহরে আমার লোকরা আছে।” 11 তাই পৌল সেখানে থেকে দেড় বছর ধরে তাদের ঈশ্বরের বাণী শিক্ষা দিলেন।

পৌলকে গাল্লিয়োর সামনে আনা হল

12 গাল্লিযো যখন আখায়ার রাজ্যপাল ছিলেন, তখন ইহুদীদের কিছু লোক জোট পাকিয়ে পৌলের বিরুদ্ধে দাঁড়াল। তারা পৌলকে বিচারালয়ে নিয়ে হাজির করল। 13 এই ইহুদীরা গাল্লিযোকে বলল, “এই লোকটি আমাদের বিধি-ব্যবস্থার বিরুদ্ধে অন্য এক পদ্ধতিতে ঈশ্বরের উপাসনা করতে শিক্ষা দিচ্ছে!”

14 পৌল সেই সময় যখন কিছু বলতে যাচ্ছেন, তখন গাল্লিযো ইহুদীদের উদ্দেশ্যে বললেন, “হে ইহুদীরা শোন! এ যদি কোন অপরাধ বা মারাত্মক রকম অন্যায় কোন কাজ করত তবে তোমাদের কথা শোনা আমার পক্ষে যুক্তিযুক্ত হত। 15 কিন্তু তোমরা যখন কোন ব্যক্তির নাম, তার বাণী বা তোমাদের বিধি-ব্যবস্থার বিষয়ে বিচারের প্রশ্ন তুলছ, তখন তোমরাই এর বিচার কর, আমি ওসব বিষয়ের বিচারকর্তা হতে চাই না!” 16 এই বলে তিনি তাদের সকলকে বিচারালয় থেকে যেতে বললেন।

17 তখন তারা সমাজ-গৃহে পরিচালক সোস্থিনীকে ধরে বিচারালয়ের সামনে প্রচণ্ড মারল; কিন্তু গাল্লিযো সে বিষয়ে ভ্রুক্ষেপ করলেন না।

পৌলের আন্তিয়খিয়ায় প্রত্যাবর্তন

18 পৌল সেই শহরে আরো কিছুদিন থাকার পর ভাইদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সমুদ্র পথে সুরিয়ার দিকে রওনা দিলেন। তাঁর সঙ্গে আক্কিলা ও প্রিষ্কিল্লাও ছিল। এক মানত পুরণ করতে পৌল কিংক্রিয়াতে এসে মাথা কামিয়ে ফেললেন। 19 সেখান থেকে তাঁরা ইফিষে পৌঁছালেন। প্রিষ্কিল্লা ও আক্কিলাকে সেখানে রেখে পৌল সমাজ-গৃহে গেলেন আর ইহুদীদের সঙ্গে শাস্ত্র আলোচনা করতে লাগলেন। 20 তারা সেখানে তাঁকে আরো কিছুদিন থাকার জন্য অনুরোধ করল বটে কিন্তু তিনি তাতে রাজী হলেন না। 21 সেখান থেকে যাবার সময় তিনি তাদের বললেন, “ঈশ্বরের ইচ্ছা হলে আমি আবার তোমাদের কাছে আসব।” এরপর তিনি ইফিষ থেকে সমুদ্র যাত্রা করলেন।

22 তিনি কৈসরিয়া শহরে পৌঁছলেন। এরপর জেরুশালেমে সকলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে শুভেচ্ছা জানাবার পর পৌল সেখান থেকে আন্তিয়খিয়া শহরে গেলেন। 23 আন্তিয়খিয়ায় পৌল কিছু সময় থাকলেন। তারপর আন্তিয়খিয়া ছেড়ে গালাতিয়া ও ফরুগিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন শহরে ভ্রমণ করে সেইসব স্থানের অনুগামীদের নতুন শক্তি জাগিয়ে তুললেন।

ইফিষে ও আখায়াতে আপল্লো

24 আপল্লো নামে একজন ইহুদী ইফিষে এলেন, ইনি আলেকসান্দ্রীয় নগরে জন্মেছিলেন। তিনি শিক্ষিত মানুষ ছিলেন এবং শাস্ত্র খুব ভাল করে জানতেন। 25 আপল্লো প্রভুর পথের বিষয়ে শিক্ষা পেয়েছিলেন। তিনি আত্মার আবেগে কথা বলতেন এবং যীশুর বিষয়ে নির্ভুলভাবে শিক্ষা দিতেন, কিন্তু তিনি কেবল যোহনের বাপ্তিস্মের বিষয়েই জানতেন। 26 আপল্লো যখন সমাজ-গৃহে নির্ভীকভাবে প্রচার করছিলেন, সেই সময় প্রিষ্কিল্লা ও আক্কিলা তাঁর কথা শুনে তাঁকে একান্তে ডেকে নিয়ে গিয়ে ঈশ্বরের পথের বিষয়ে আরো নিখুঁতভাবে বুঝিয়ে দিলেন।

27 আপল্লো আখায়াতে যেতে চাইলে খ্রীষ্ট বিশ্বাসী ভাইরা তাঁকে সে বিষয়ে উৎসাহ দিলেন। তাঁরা আখায়ার খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের চিঠি লিখে দিলেন যেন তাঁরা আপল্লোকে সাদরে গ্রহণ করেন। তিনি সেখানে পৌঁছালে যারা অনুগ্রহের মাধ্যমে বিশ্বাসী হয়েছিল, আপল্লো তাদের অনেককে সাহায্য করলেন। 28 তিনি প্রকাশ্য বিতর্ক সভায় দৃঢ়তার সঙ্গে ইহুদীদের হারিয়ে দিলেন এবং শাস্ত্র থেকে প্রমাণ করলেন যে, যীশুই হলেন সেই খ্রীষ্ট।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International