Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

M’Cheyne Bible Reading Plan

The classic M'Cheyne plan--read the Old Testament, New Testament, and Psalms or Gospels every day.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
2 বংশাবলি 13

যিহূদার রাজা অবিয়

13 যারবিয়ামের ইস্রায়েলে রাজত্বের 18 বছরের মাথায় অবিয় ইস্রায়েলের নতুন রাজা হলেন। তিনি মোট তিন বছর জেরুশালেমে রাজত্ব করেছিলেন। অবিয়র মা মীখায়া ছিলেন গিবিয়ার ঊরীয়েলের কন্যা। অবিয় আর যারবিয়ামের মধ্যেও যুদ্ধ হয়েছিল। অবিয়র সেনাবাহিনীতে 400,000 বীর সৈনিক ছিল। অবিয় তাদের নিয়ে যুদ্ধে যান। ইতিমধ্যে যারবিয়াম 800,000 বীর সেনা নিয়ে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে রইলেন।

অবিয় ইফ্রয়িমের পার্বত্য অঞ্চলে সমারয়িম পাহাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে বললেন, “যারবিয়াম আর ইস্রায়েলের অন্য সবাই, তোমরা আমার কথা শোনো। তোমরা নিশ্চয়ই জানো যে প্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর দায়ূদ ও তাঁর উত্তরপুরুষদের সঙ্গে একটি দৃঢ় চুক্তি[a] করেছিলেন এবং চিরদিনের জন্য তাদের ইস্রায়েলের ওপর রাজা হিসেবে কর্তৃত্ব করার অধিকার দিয়েছিলেন। কিন্তু নবাটের পুত্র যারবিয়াম তাঁর প্রকৃত রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন। যারবিয়াম আসলে দায়ূদের পুত্র শলোমনের অধীনস্থ একজন ভৃত্য ছিল। তারপর স্বার্থান্বেষী অপদার্থ কিছু লোক আর যারবিয়াম মিলে রহবিয়ামের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিলেন। যেহেতু রহবিয়ামের তখন অল্প বয়স এবং যথেষ্ট অভিজ্ঞতা ছিল না তাই তিনি যারবিয়ামকে বাধা দিতে পারেননি।

“আর এখন তোমরা সকলে মিলে ভাবছো দায়ূদের সন্তানদের দ্বারা শাসিত প্রভুর রাজ্যকে যুদ্ধে হারাবে! তোমাদের সঙ্গে অনেক লোক আর দেবতা হিসেবে যারবিয়ামের তৈরী ঐ ‘সোনার বাছুরগুলো’ আছে। তোমরা প্রভুর যাজক-লেবীয় আর হারোণের বংশধরদের তাড়িয়ে দিয়ে পৃথিবীর অন্যান্য জাতির মতো নিজেরা নিজেদের যাজক বেছে নিয়েছো। এখন যে খুশি সেই একটা ষাঁড় আর সাতটা মেষ এনে এইসব মূর্ত্তিগুলোর যাজক হয়ে বসতে পারে।

10 “কিন্তু আমাদের প্রভুই আমাদের ঈশ্বর। আমরা যিহূদাবাসীরা কখনও প্রভুকে অবজ্ঞা করিনি বা তাঁকে পরিত্যাগ করিনি। আমাদের এখানে কেবলমাত্র হারোণের বংশধররা লেবীয়দের প্রভুর সেবা করেন। 11 তাঁরাই সকাল সন্ধ্যায় হোমবলি উৎসর্গ করেন, ধুপধূনো দিয়ে থাকেন এবং মন্দিরের সোনার টেবিলে তাঁরাই রুটি নিবেদন করেন আর সোনার বাতিদানগুলোর যত্ন নিয়ে থাকেন যাতে তাদের আলো কখনও নিভে না যায়। আমরা পরম শ্রদ্ধা ভরে আমাদের প্রভুর সেবা করি, কিন্তু তোমরা তাঁকেই পরিত্যাগ করেছ। 12 প্রভু তাই আমাদের সহায়। তিনিই আমাদের প্রকৃত শাসক। তাঁর যাজকরাও আমাদের অনুগত। তাঁরা যখন কাড়া-নাকাড়া, শিঙা বাজান প্রভুর ভক্তরা তাঁর কাছে আসার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। শোনো ইস্রায়েলবাসীরা, তোমরা তোমাদের পূর্বপুরুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো না। তোমরা কখনোই সফল হতে পারবে না।”

13 কিন্তু যারবিয়াম অবিয়র সেনাবাহিনীর পেছনে লুকিয়ে থাকার জন্য এবং তাদের পেছন থেকে আক্রমণ করবার জন্য কিছু সৈন্য পাঠিয়ে দিলেন। সুতরাং যারবিয়ামের মুখ্য সৈন্যদল, অবিয়র সেনাবাহিনীর মুখোমুখি হল এবং তিনি তাঁর পেছনেও অতর্কিত আক্রমণের জন্য সৈন্য মোতায়েন রাখলেন। 14 তখন অবিয়র সেনাবাহিনী বুঝতে পারল যে সামনে পেছনে দুদিক থেকেই যারবিয়ামের সেনারা তাদের ঘিরে ফেলেছে আর যিহূদার লোকরা এবং প্রভুর যাজকরা সকলে মিলে শিঙা বাজাচ্ছে, প্রভুর উদ্দেশ্যে সাহায্যের জন্য আর্তনাদ করছে। 15 তখন অবিয়র সেনারা যুদ্ধের হুংকার দিতে লাগলো এবং শেষ পর্যন্ত প্রভু যারবিয়ামের ইস্রায়েলীয় সেনাবাহিনীকেই পরাজিত করলেন। 16 ইস্রায়েলীয়রা, যিহূদাদের থেকে পালাতে লাগলো। 17 ইস্রায়েলের 500,000 বাছাই করা সৈন্য অবিয় এবং তার সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হল। 18 অর্থাৎ‌ ইস্রায়েলীয়রা পরাজিত হল এবং যিহূদাদের জয় হল। যিহূদারা যুদ্ধে জিতলো কারণ তারা তাদের পূর্বপুরুষের আদরনীয় ঈশ্বরের ওপর নির্ভর করেছিল।

19 অবিয়র সেনাবাহিনী যারবিয়ামের সেনাবাহিনীকে তাড়া করে বার করে দিল এবং যারবিয়ামের কাছ থেকে বৈথেল, যিশানা, ইফ্রোণ শহরগুলি এবং চারপাশের গ্রামগুলি দখল করে নিল।

20 অবিয়র জীবদ্দশায় যারবিয়াম আর তাঁর ক্ষমতা ফিরে পান নি। প্রভু যারবিয়ামকে আঘাত করেছিলেন এবং তিনি মারা গিয়েছিলেন। 21 কিন্তু অবিয় এমশঃ শক্তিশালী হয়ে ওঠেন। তিনি 14 জন মহিলাকে বিয়ে করেন আর তাঁর 22 জন পুত্র ও 16 জন কন্যা হয়েছিল। 22 অবিয় যা কিছু করেছিলেন এবং যেরকম ব্যবহার করেছিলেন তা ভাববাদী ইদ্দোরের লেখা কাহিনী থেকে জানতে পারা যায়।

প্র.বা. 3

সার্দ্দির মণ্ডলীর কাছে যীশুর পত্র

“সার্দ্দিস্থ মণ্ডলীর স্বর্গদূতদের কাছে এই কথা লেখ:

“ঈশ্বরের সপ্ত আত্মা ও সপ্ত তারা যার আছে তিনি বলেন:

“আমি জানি তোমার সব কাজের কথা। লোকেরা বলে তুমি নাকি জীবন্ত, কিন্তু বাস্তবে তুমি মৃত! এখন জাগো। যেটুকু বাকি বিষয় মৃতকল্প হল তাকে শক্তিশালী কর; কারণ তোমার কোন কাজ আমার ঈশ্বরের দৃষ্টিতে সিদ্ধ বলে দেখিনি। তাই যে শিক্ষা তুমি পেয়েছ ও শুনেছ তা মনে রেখো এবং তার বাধ্য হও। তোমার মন-ফিরাও! তুমি যদি সচেতন না হও, তবে চোর যেমন আসে সেইরকম হঠাৎ‌ আমি তোমার কাছে এসে হাজির হব; কোন্ সময় যে আমি আসব তা তুমি জানতেও পারবে না।

“যাই হোক্, সার্দ্দিতে তবু এমন কিছু লোক তোমার দলে আছে যারা তাদের বস্ত্র কলুষিত করে নি; তারা শুভ্র বস্ত্র পরে আমার সঙ্গে চলাফেরা করবে, কারণ তারা তার যোগ্য। যে জয়ী হয়, সে ঐরকম শুভ্র পোশাক পরবে; আর আমি কোন মতেই তার নাম জীবন পুস্তক থেকে মুছে ফেলব না, আমি স্বীকার করব যে সে আমার। আমার পিতার সামনে ও তাঁর স্বর্গদূতদের সামনে আমি একথা বলব। আত্মা মণ্ডলীগুলিকে কি বলছেন যার শোনার মতো কান আছে সে শুনুক।

ফিলাদিলফিয়ার মণ্ডলীর কাছে যীশুর পত্র

“ফিলাদিলফিয়ার মণ্ডলীর স্বর্গদূতদের কাছে লেখ:

“যিনি পবিত্র ও যিনি সত্য তিনি তোমায় একথা বলছেন। তাঁর কাছে দায়ূদের চাবি আছে; তিনি খুললে কেউ তা বন্ধ করতে পারে না বা বন্ধ করলে কেউ তা খুলতে পারে না। তিনিই একথা বলছেন:

“আমি তোমার সব কাজের কথা জানি। শোন, আমি তোমার সামনে একটি খোলা দরজা রাখছি, এই দরজা কেউ বন্ধ করতে পারে না। আমি জানি যদিও তুমি দুর্বল, তবু তুমি আমার শিক্ষা অনুসারে চলেছ, আর তুমি আমার নাম অস্বীকার কর নি। শোন! শয়তানের দলের যে লোকরা ইহুদী না হয়েও মিথ্যাভাবে নিজেদের ইহুদী বলে তাদের আমি তোমার পায়ের সামনে নিয়ে এসে প্রণাম করাব। আমি তাদের জানাবো যে আমি তোমাকে ভালবেসেছি। 10 কারণ ধৈর্য্য সহকারে সহ্য করবার যে আদেশ আমি দিয়েছিলাম তা তুমি পালন করেছ। এই পৃথিবীবাসী লোকদের পরীক্ষার্থে সমস্ত জগতের ওপর যে মহাকষ্ট ঘনিয়ে আসছে, আমি তোমাকে সেই পরীক্ষার সময় নিরাপদেই রাখব। পৃথিবীর লোকদের পরীক্ষার জন্যই এই মহাকষ্ট আসবে।

11 “আমি শিগ্গির আসছি। তোমার যা আছে তা ধরে রাখ, যেমন চলছ তেমনি চলতে থাক, যেন কেউ তোমার বিজয়মুকুট কেড়ে নিতে না পারে। 12 যে বিজয়ী হয় তাকে আমি আমার ঈশ্বরের মন্দিরে একটি স্তম্ভ করব, আর তাকে কখনও সেই মন্দির থেকে বাইরে যেতে হবে না। তার ওপর আমি আমার ঈশ্বরের নাম আর আমার ঈশ্বরের নগরের নাম লিখব। সেই নগর হল নতুন জেরুশালেম। সেই নগর ঈশ্বরের কাছ থেকে স্বর্গ হতে নেমে আসছে। আমার নতুন নামও আমি তার ওপর লিখে দেব। 13 আত্মা মণ্ডলীগুলিকে কি বলছেন যার শোনার মত কান আছে সে শুনুক।

লায়দিকেয়াস্থ মণ্ডলীর কাছে যীশুর পত্র

14 “লায়দিকেয়াস্থ মণ্ডলীর স্বর্গদূতের কাছে এই কথা লেখ:

“যিনি আমেন,[a] যিনি বিশ্বস্ত ও সত্যসাক্ষী, যিনি ঈশ্বরের সৃষ্টির উৎস তিনি বলেন:

15 “আমি জানি তুমি কি করছ, তুমি না ঠাণ্ডা না গরম; তুমি হয় ঠাণ্ডা নয় গরম হলেই ভাল হত। 16 তোমার অবস্থা ঈষদুষ্ণ, না ঠাণ্ডা না গরম, তাই আমার মুখ থেকে তোমাকে আমি থু থু করে ফেলে দেব। 17 তুমি বল, “আমি ধনবান, আমি ধনসঞ্চয় করেছি, আমার কিছুরই অভাব নেই,” কিন্তু জান না যে তুমি দুর্দশাগ্রস্থ, করুণার পাত্র, দরিদ্র, অন্ধ ও উলঙ্গ। 18 আমি তোমাকে এক পরামর্শ দিই, তুমি আমার কাছ থেকে আগুনে নিখাদ করা খাঁটি সোনা কেনো, যেন প্রকৃত ধনবান হতে পার। আমি তোমাকে বলছি আমার কাছ থেকে সাদা পোশাক কেনো, যেন তোমার লজ্জাজনক উলঙ্গতা ঢাকা পড়ে। আমি তোমাকে চোখে দেখার জন্য মলম কিনতে বলি, তাহলে তুমি ঠিক দেখতে পাবে।

19 “আমি যত লোককে ভালবাসি তাদের সংশোধন ও শাসন করি। তাই উদ্যোগী হও ও মন-ফেরাও। 20 দেখ, দরজাতে দাঁড়িয়ে আমি ঘা দিই। কেউ যদি আমার গলা শুনে দরজা খুলে দেয়, তবে আমি তার ঘরের ভেতরে যাব ও তার সঙ্গে আহারে বসব, আর সেও আমার সঙ্গে আহার করবে।

21 “আমি জয়ী হয়ে যেমন আমার পিতার সঙ্গে তাঁর সিংহাসনে বসেছি, সেইরূপ যে জয়ী হয়, তাকেও আমি আমার সাথে আমার সিংহাসনে বসতে দেব। 22 আত্মা মণ্ডলীগুলিকে কি বলছেন, যার শোনার মতো কান আছে সে শুনুক।”

হগয় 1

মন্দির নির্মাণের সময় এল

দারিয়াবস রাজার রাজত্বকালের দ্বিতীয় বছরের ষষ্ঠ মাসের প্রথম দিনে প্রভু হগয় ভাববাদীর মধ্য দিয়ে সরুব্বাবিলের ও যিহোশূযের কাছে কথা বললেন। সরুব্বাবিল ছিলেন শল্টীয়েলের পুত্র এবং যিহূদার রাজ্যপাল এবং যিহোশূয় ছিলেন মহাযাজক। এই হল সেই বার্তা। সর্বশক্তিমান প্রভু এই কথা বলেন, “যিহূদার লোকে বলে যে প্রভুর মন্দির পুনঃনির্মাণ করার সময় এখনও আসেনি।”

হগয় আবার প্রভুর কাছ থেকে এই বার্তা পেলেন। “তোমরা কি মনে কর তোমাদের সুন্দর বাড়িতে বাস করার এইটাই সময়, যখন কিনা প্রভুর এই মন্দির ধ্বংসস্থান হয়ে রয়েছে? প্রভু সর্বশক্তিমান বলেন, ‘নিজের পথ সম্পর্কে সতর্কভাবে চিন্তা কর! তোমরা অনেক বীজ বপন করেছ বটে কিন্তু অল্পই ফসল তুলেছ। তোমরা খাও-দাও কিন্তু তৃপ্ত হও না। তোমরা পান করছ বটে কিন্তু মত্ত হচ্ছ না। তোমরা কাপড় পরছ বটে কিন্তু উষ্ণ হচ্ছ না। যে টাকা উপায় করে সে ছেঁড়া থলিতে টাকা রাখছে।’”

সর্বশক্তিমান প্রভু এই কথা বলেন, “তোমাদের ব্যবহার ও অভিজ্ঞতা সম্বন্ধে চিন্তা করো! ওঠ, পাহাড়ে গিয়ে কিছু কাঠ নিয়ে এসে আমার মন্দির তৈরী করো। প্রভু বলেছিলেন, ‘তাহলে আমি মন্দির নিয়ে খুশী হব এবং তাতে সম্মানিত হব।’”

সর্বশক্তিমান প্রভু বলেছেন, “তোমরা প্রভুর ফসলের আশা করেছিলে কিন্তু অল্পই সংগ্রহ করলে। আর সেই অল্প ফসল তোমরা তোমাদের ঘরে আনবার পর আমি তা ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিলাম। এর কারণ কি? সর্বশক্তিমান প্রভু বলেন, এর কারণ আমার গৃহ ধ্বংসের মধ্যে পড়ে আছে যখন কি না তোমরা প্রত্যেকে নিজের নিজের বাড়ী নিয়ে ব্যস্ত। 10 এই জন্য তোমাদেরই কারণে আকাশ বৃষ্টি দেবে না এবং ভূমি ফসল উৎপন্ন করবে না।”

11 প্রভু বলেন, “আমি ভূমি ও পাহাড়কে আজ্ঞা দিচ্ছি যেন তা শুকিয়ে যায়। শস্য, নতুন দ্রাক্ষারস, অলিভ তেল এবং পৃথিবীতে যা কিছু উৎপন্ন হয় সে সব ধ্বংস হয়ে যাবে। লোকজন ও পশুরা দুর্বল হয়ে পড়বে। লোকদের সমস্ত কঠোর পরিশ্রম ব্যর্থ হবে।”

নতুন মন্দিরে কাজ শুরু হল

12 প্রভু শল্টীয়েলের পুত্র সরুব্বাবিলের সঙ্গে এবং যিহোষাদকের পুত্র, মহাযাজক যিহোশূয়র সঙ্গে কথা বলার জন্য হগয়কে পাঠিয়েছিলেন। এই লোকরা এবং সমস্ত জনগণ তাদের ঈশ্বর প্রভুর কন্ঠ এবং ভাববাদী হগয়ের কথা শুনেছিল। লোকরা তাদের প্রভু ঈশ্বরের প্রতি ভয় ও সম্মান দেখালো।

13 হগয় ছিলেন একজন দূত যাঁকে প্রভু ঈশ্বর জনগণের কাছে তাঁর বার্তা পৌঁছে দেবার জন্য বার্তাবাহক হিসেবে পাঠিয়েছিলেন। প্রভু বলেন, “আমি তোমাদের সঙ্গে আছি!”

14 পরে প্রভু ঈশ্বর শল্টীয়েলের পুত্র সরুব্বাবিল যিনি যিহূদার অধ্যক্ষ ছিলেন তাকে, যিহোষাদকের পুত্র যিহোশূয় মহাযাজককে ও লোকদের আত্মাকে উত্তেজিত করলেন। তাই তারা এলো এবং তাদের ঈশ্বর, প্রভু সর্বশক্তিমানের মন্দির গঠনের কাজ শুরু করল। 15 দারিয়াবস রাজার রাজত্ব কালের দ্বিতীয় বছরের ষষ্ঠ মাসের 24তম দিনে তারা এই কাজ করতে আরম্ভ করেছিল।

যোহন 2

কান্না নগরে বিবাহ

তৃতীয় দিনে গালীলের কান্না নগরে একটা বিয়ে হচ্ছিল এবং যীশুর মা সেখানে ছিলেন। সেই বিয়ে বাড়িতে যীশু ও তাঁর শিষ্যদের নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল। যখন সমস্ত দ্রাক্ষারস ফুরিয়ে গেল, তখন যীশুর মা তাঁর কাছে এসে বললেন, “এদের আর দ্রাক্ষারস নেই।”

যীশু বললেন, “হে নারী, তুমি আমায় কেন জিজ্ঞাসা করছ কি করা উচিত? আমার সময় এখনও আসেনি।”

তাঁর মা চাকরদের বললেন, “ইনি তোমাদের যা কিছু করতে বলেন তোমরা তাই কর।”

ইহুদী ধর্মের রীতি অনুসারে আনুষ্ঠানিকভাবে হাত পা ধোয়ার জন্য সেই জায়গায় ছটা পাথরের জলের জালা বসানো ছিল। এই জালাগুলির প্রতিটিতে আশি থেকে একশ লিটার জল ধরত।

যীশু সেই চাকরদের বললেন, “এই জালাগুলিতে জল ভরে আন।” তখন তারা জালাগুলি কানায় কানায় ভরে দিল।

তারপর যীশু তাদের বললেন, “এর থেকে কিছুটা নিয়ে ভোজের কর্তার কাছে নিয়ে যাও।”

তখন তারা তাই করল। জল, যা দ্রাক্ষারসে পরিণত হয়েছিল, ভোজের কর্তা তা আস্বাদ করলেন। সেই দ্রাক্ষারস কোথা থেকে এল তা তিনি জানতেন না; কিন্তু যে চাকররা জল এনেছিল তারা তা জানত। তারপর তিনি বরকে ডাকলেন। 10 তিনি বললেন, “সাধারণতঃ প্রথমে লোকে ভাল দ্রাক্ষারস পরিবেশন করে আর অতিথিরা যখন মাতাল হয়ে ওঠে তখন তাদের নিম্নমানের দ্রাক্ষারস পরিবেশন করা হয়, অথচ আমি দেখছি তোমরা ভাল দ্রাক্ষারস এখনও রেখে দিয়েছ।”

11 এই প্রথম অলৌকিক চিহ্ন করে গালীলের কান্না নগরে যীশু তাঁর মহিমা প্রকাশ করলেন; আর তাঁর শিষ্যেরা তাঁর ওপর বিশ্বাস করল।

12 পরে তিনি তাঁর মা, ভাইদের ও শিষ্যদের সঙ্গে কফরনাহূম শহরে গেলেন। সেখানে তাঁরা অল্প কিছু দিন থাকলেন।

যীশু মন্দিরে

(মথি 21:12-13; মার্ক 11:15-17; লূক 19:45-46)

13 ইহুদীদের নিস্তারপর্ব পালনের সময় এগিয়ে এলে যীশু জেরুশালেমে গেলেন। 14 তিনি দেখলেন মন্দিরের মধ্যে লোকেরা গরু, ভেড়া ও পায়রা বিক্রি করছে; আর পোদ্দাররা বসে আছে, এরা লোকের টাকা নিয়ে বদল ও ব্যবসা করত। 15 তখন তিনি কিছু দড়ি দিয়ে একটা চাবুক তৈরী করে তা দিয়ে গরু, ভেড়া সমেত এইসব লোকদের মন্দির চত্বর থেকে বাইরে বার করে দিলেন আর পোদ্দারদের টাকা পয়সা সব ছড়িয়ে টেবিল উল্টিয়ে দিলেন। 16 যারা পায়রা বিক্রি করছিল তাদের বললেন, “এখান থেকে এসব নিয়ে যাও! আমার পিতার এই গৃহকে বাজারে পরিণত কোরো না!”

17 তাঁর শিষ্যদের মনে পড়ল শাস্ত্রে লেখা আছে:

“তোমার গৃহের প্রতি আমার উৎসাহ আমাকে গ্রাস করবে।”(A)

18 ইহুদীরা তখন এর জবাবে তাঁকে বলল, “তোমার যে এসব করার অধিকার আছে তার প্রমাণ স্বরূপ কি কোন অলৌকিক চিহ্ন আমাদের দেখাতে পার?”

19 এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, “তোমরা এই মন্দির ভেঙে ফেলো, আমি তিন দিনের মধ্যে একে আবার গড়ে তুলব।”

20 তখন ইহুদীরা বলল, “এই মন্দির নির্মাণ করতে ছেচল্লিশ বছর লেগেছিল আর তুমি কিনা তিন দিনের মধ্যে এটা গড়ে তুলবে?”

21 কিন্তু যে মন্দিরের কথা তিনি বলছিলেন তা হচ্ছে তাঁর দেহ। 22 যখন তিনি মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থিত হলেন, তখন তাঁর শিষ্যদের মনে পড়ল যে তিনি এই কথাই বলেছিলেন, তখন তাঁরা যীশুর বিষয়ে শাস্ত্রের কথা ও যীশুর বাক্যে বিশ্বাস করলেন।

23 নিস্তারপর্বের জন্য যীশু যখন জেরুশালেমে ছিলেন, তখন বহুলোক তাঁর ওপর বিশ্বাস করল, কারণ যীশু সেখানে যেসব অলৌকিক চিহ্নকার্য করছিলেন তা তারা দেখল। 24 কিন্তু যীশু নিজে তাদের ওপর কোন আস্থা রাখেন নি, কারণ তিনি এইসব লোকদের ভালভাবেই জানতেন। 25 কোন লোকের কাছ থেকে মানুষের সম্বন্ধে কিছু জানার তাঁর প্রয়োজন ছিল না, কারণ মানুষের অন্তরে কি আছে তিনি তা জানতেন।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International