Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

M’Cheyne Bible Reading Plan

The classic M'Cheyne plan--read the Old Testament, New Testament, and Psalms or Gospels every day.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
2 বংশাবলি 11-12

11 রহবিয়াম জেরুশালেমে এসে যিহূদা ও বিন্যামীনের উপজাতিগুলির থেকে বেছে 180,000 সেনা জোগাড় করলেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে নিজের জন্য রাজ্য দখল করা। কিন্তু প্রভু ভাববাদী শময়িয়র সঙ্গে কথা বললেন এবং বললেন, “শময়িয় যাও, গিয়ে রহবিয়াম আর যিহূদা ও বিন্যামীনে বসবাসকারী ইস্রায়েলীয়দের গিয়ে বলো আমি বলেছি, প্রভু বলেন, ‘তোমরা তোমাদের ভাইদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ না করে বাড়িতে ফিরে যাও কারণ আমার অভিপ্রায়েই এই ঘটনা ঘটেছে।’” প্রভুর বার্তা শুনে যারবিয়ামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ না করে রহবিয়াম ও তাঁর সেনাবাহিনীর সবাই যে যার বাড়ি ফিরে গেল।

রহবিয়াম যিহূদাকে সুদৃঢ় করলেন

রহবিয়াম নিজে জেরুশালেমে বাস করতেন। তিনি শত্রুপক্ষের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবার জন্য যিহূদায় অনেক সুদৃঢ় শহর বানিয়েছিলেন। 6-10 তিনি যিহূদা ও বিন্যামীনের বৈৎ‌লেহম, ঐটম, তকোয়, বৈৎ‌-সুর, সেখো, অদুল্লম, গাৎ‌, মারেশা, সীফ, অদোরয়িম, লাখীশ, অসেকা, সরা, অয়ালোন ও হিব্রোণ প্রমুখ শহরগুলো শক্তিশালী করেন। 11 এই শহরগুলো শক্তিশালী করবার পর তিনি এই শহরগুলির জন্য সেনাপতিসমূহ নিয়োগ করলেন এবং তাদের খাবার, তেল, দ্রাক্ষারস ইত্যাদি সরবরাহ করেছিলেন এবং 12 এই সমস্ত শহরগুলোতে রহবিয়াম ঢাল এবং বর্শাসমূহ রেখেছিলেন যাতে তারা শহরগুলি প্রতিরক্ষা করতে পারে। সুতরাং শহরগুলি রহবিয়ামের অধিকারভুক্ত ছিল।

13 যাজকগণ এবং ইস্রায়েলের উত্তর এবং দক্ষিণাঞ্চলের জনগোষ্ঠীর লোকেরা ও লেবীয়রা এলেন এবং রহবিয়ামকে সমর্থন করবার জন্য তাঁর সঙ্গে যোগ দিলেন। 14 লেবীয়রা তাঁদের নিজস্ব চাষ আবাদের জমি ও ঘাস জমি ছেড়ে যিহূদা এবং জেরুশালেমে চলে এসেছিলেন, কারণ যারবিয়াম ও তাঁর পুত্ররা তাঁদের প্রভুর যাজক হিসেবে কাজ করতে দেননি।

15 বেদীতে তাঁর তৈরী বাছুর ও ছাগলের মূর্ত্তিগুলোর সামনে পূজো করার জন্য তিনি নিজের পছন্দমতো যাজকদের নিয়োগ করেছিলেন। 16 লেবীয়রা যখন ইস্রায়েল ত্যাগ করে চলে গেলেন তখন ইস্রায়েলের ধর্মভীরু পরিবারগোষ্ঠীর সদস্যরাও জেরুশালেমে তাঁদের পূর্বপুরুষের প্রভুর কাছে বলিদান করার জন্য চলে এলেন। 17 জেরুশালেমে এসে এই লোকরা যিহূদাকে শক্তিশালী করল এবং রহবিয়ামকে তিন বছরের জন্য সহায়তা দিল, কারণ তারা দায়ূদ ও শলোমনের মতো ঈশ্বরকে মান্য করে জীবনযাপন করেছিল।

রহবিয়ামের পরিবারবর্গ

18 রহবিয়াম দায়ূদের পুত্র যিরীমোতের কন্যা মহলৎ‌কে বিয়ে করেছিলেন। মহলতের মাতা অবীহয়িল ছিলেন যিশয়ের পৌত্রী, ইলীয়াবের কন্যা। 19 রহবিয়াম আর মহলতের পুত্রদের নাম ছিল: যিয়ূশ, শমরিয় এবং সহম। 20 এরপর, রহবিয়াম অবশালোমের কন্যা মাখাকে বিয়ে করেন। তাঁদের দুজনের পুত্রের নাম হল: অবিয়, অত্তয়, সীষ এবং শলোমীৎ। 21 রহবিয়ামের 18 জন স্ত্রী ও 60 জন উপপত্নী থাকলেও তিনি তাঁর স্ত্রী মাখাকেই সবচেয়ে বেশী ভালবাসতেন। সব মিলিয়ে রহবিয়ামের 28 জন পুত্র ও 60 জন কন্যা হয়েছিল।

22 তাঁর পুত্রদের মধ্যে রহবিয়াম অবিয়কে যুবরাজ, তার ভাইদের মধ্যে নেতা বলে ঘোষণা করেন কারণ তিনি তাকেই পরবর্তী রাজা করতে চেয়েছিলেন। 23 বিচক্ষণতার সঙ্গে রহবিয়াম তাঁর পুত্রদের যিহূদা ও বিন্যামীনের সমস্ত জায়গায়, দূর্গসম্বলিত সমস্ত শহরে পাঠিয়েছিলেন এবং তাদের সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়েছিলেন। তিনি তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করতে চেষ্টা করেছিলেন।

মিশর রাজ শীশকের জেরুশালেম আক্রমণ

12 এমশঃ রহবিয়াম তাঁর রাজ্যের ভিত সুদৃঢ় করে একজন ক্ষমতাশালী রাজায় পরিণত হলেন। কিন্তু এরপর রহবিয়াম ও যিহূদার পরিবারগোষ্ঠী প্রভুর বিধি ও নির্দেশ অমান্য করতে শুরু করলেন।

এর ফলস্বরূপ প্রভুর ইচ্ছেয় মিশরের রাজা শীশক রহবিয়ামের রাজত্বের পঞ্চম বছরে জেরুশালেম আক্রমণ করলেন। শীশকের সঙ্গে ছিল 12,000 রথসমূহ এবং 60,000 ঘোড়-সওয়ার সহ একটি বিশাল সেনাবাহিনী। শীশকের সেনাবাহিনীতে এত লূবীয, সুক্কীয়, কূশীয় লোক ছিল যে তাদের গোনা যেত না। জেরুশালেমে এসে উপস্থিত না হওয়া পর্যন্ত শীশক যিহূদার সমস্ত দূর্গ নগরীগুলি দখল করতে লাগলেন।

সেই সময়ে, ভাববাদী শময়িয়, রহবিয়াম ও যিহূদার নেতৃবৃন্দ যাঁরা শীশকের আক্রমণের কারণে জেরুশালেমে এসে জড়ো হয়েছিলেন তাদের কাছে গেলেন এবং বললেন, “প্রভু বলেছেন: ‘রহবিয়াম, তুমি ও যিহূদার লোকেরা আমায় ত্যাগ করেছো, অতএব একইভাবে আমিও তোমাদের শীশকের বিরুদ্ধে আমার সাহায্য ছাড়াই যুদ্ধ করতে ছেড়ে দিয়েছি।’”

তখন রহবিয়াম ও যিহূদার নেতারা বিনম্র হলেন, অনুতাপ করলেন এবং বললেন, “প্রভু তো ঠিক কথাই বলেছেন, আমরা পাপাত্মা।”

প্রভু যখন দেখলেন যে রাজা ও তাঁর নেতারা বিনীত হয়েছেন এবং অনুশোচনা করেছেন তখন তিনি শময়িয়কে বললেন, “যেহেতু রাজা ও নেতারা বিনীত হয়েছেন ও অনুতপ্ত হয়েছেন, আমি ওদের ধ্বংস করবো না, কিন্তু জেরুশালেমকে শীশকের সেনাবাহিনীর হাত থেকে মুক্তি দিয়ে আমার ক্রোধের থেকে তাদের কয়েকজনকে অব্যাহতি দেব। কিন্তু তবুও, তারা তার দাস হবে, যাতে তারা বুঝতে পারে যে আমাকে সেবা করা আর একজন পার্থিব রাজাকে সেবা করার মধ্যে তফাত্‌ আছে।”

মিশররাজ শীশক জেরুশালেম আক্রমণ করে প্রভুর মন্দিরের সমস্ত ধনসম্পদ লুঠ তো করলেনই, রাজপ্রাসাদের যাবতীয় সম্পদও তিনি অপহরণ করে সঙ্গে নিয়ে গেলেন। রাজা শলোমনের বানানো সোনার ঢালগুলোও শীশক নিয়ে যান। 10 তার জায়গায় রহবিয়াম পিতলের ঢালগুলি রাখলেন এবং সেগুলো রাজপ্রাসাদের দ্বাররক্ষীদের দায়িত্বে রেখে দিলেন। 11 যখন তিনি প্রভুর মন্দিরে যেতেন তারা এগুলো বার করতো, পরে আবার দ্বাররক্ষীদের ঘরেই তুলে রাখতো।

12 যেহেতু রহবিয়াম বিনীত হয়েছিলেন এবং যা করেছিলেন তার জন্য অনুতপ্ত হয়েছিলেন, প্রভু তাঁর ক্রোধ সরিয়ে নিলেন এবং তাদের সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করলেন না কারণ যিহূদায় কিছু ধার্মিকতা তখনও বাকী ছিল।

13 রাজা রহবিয়াম এমশঃ জেরুশালেমে নিজেকে ক্ষমতাশালী রাজা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তিনি 41 বছর বয়সে রাজা হয়েছিলেন এবং ইস্রায়েলের সমস্ত অঞ্চলগুলির মধ্যে থেকে প্রভু যে স্থানটিতে নিজের নাম রাখার জন্য বেছে নিয়েছিলেন সেই জেরুশালেমে 17 বছর রাজত্ব করেছিলেন। রহবিয়ামের মা নয়মা ছিলেন একজন অম্মোনীয়া। 14 রহবিয়াম বিভিন্ন অসৎ‌ কর্মে লিপ্ত হয়েছিলেন কারণ তিনি অন্তঃকরণ থেকে প্রভুকে অনুসরণ করেন নি।

15 তাঁর রাজত্বের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত রহবিয়াম যা কিছু করেছিলেন সেসবই ভাববাদী শময়িয় আর ইদ্দোর লেখা পারিবারিক ইতিহাস থেকে জানতে পারা যায়। রহবিয়াম ও যারবিয়ামের রাজত্বকালে, দুজনের মধ্যে সব সময়েই যুদ্ধ লেগে থাকতো। 16 মৃত্যুর পর দায়ূদ নগরীতে রহবিয়ামকে তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে সমাহিত করা হয়। তারপর তাঁর পুত্র অবিয় নতুন রাজা হলেন।

প্র.বা. 2

ইফিষের মণ্ডলীর কাছে যীশুর পত্র

“ইফিষে মণ্ডলীর স্বর্গদূতদের উদ্দেশ্যে লেখ:

“যিনি তাঁর ডান হাতে সাতটি তারা ধরে থাকেন আর যিনি সাতটি সুবর্ণ দীপাধারের মাঝে যাতায়াত করেন তিনি বলছেন:

“আমি জানি তুমি কি করেছ। তুমি কঠোর পরিশ্রম করেছ, ধৈর্য্য সহকারে সহ্য করেছ। তুমি যে দুষ্ট লোকদের সহ্য করতে পার না তাও আমি জানি। যারা প্রেরিত নয় অথচ নিজেদের প্রেরিত বলে দাবী করে তুমি তাদের পরীক্ষা করেছ, আর তারা যে মিথ্যাবাদী তা জেনেছ। আমি জানি তোমার ধৈর্য্য্য্য আছে; আর আমার নামের জন্য দুঃখকষ্ট সহ্য করেছ, ক্লান্ত হয়ে পড়ো নি।

“তবু তোমার বিরুদ্ধে আমার এই অভিযোগ আছে: তোমার যে ভালবাসা প্রথমে ছিল তা তুমি হারিয়ে ফেলেছ। তাই তুমি চিন্তা করে দেখ কোথা থেকে তোমার পতন হয়েছে। অনুতাপ কর, আর শুরুতে যেসব কাজ করতে তাতে ফিরে যাও। তুমি যদি অনুতাপ না কর তবে আমি তোমার কাছে আসব ও তোমার দীপাধারটি তার স্থান থেকে সরিয়ে দেব। কিন্তু একটি গুণ তোমার আছে, তুমি নীকলায়তীয়দের[a] কাজ ঘৃণা কর, তাদের কাজ আমিও ঘৃণা করি।

“যার শোনার মত কান আছে সে শুনুক আত্মা মণ্ডলীগুলিকে কি বলছেন। যে বিজয়ী হয় আমি তাকে জীবন বৃক্ষের ফল খাওয়ার অধিকার দেব। এই বৃক্ষ রয়েছে ঈশ্বরের বাগানে।

স্মুর্ণার মণ্ডলীর কাছে যীশুর পত্র

“স্মুর্ণার মণ্ডলীর স্বর্গদূতদের কাছে এই কথা লেখ:

“যিনি আদি ও অন্ত, যিনি মারা গিয়েছিলেন এবং পুনরায় জীবিত হলেন, তিনি এই কথা বলছেন।

“আমি তোমার দুঃখভোগ ও দারিদ্র্যের কথা জানি; কিন্তু সত্যি তুমি ধনবান! তোমাদের নামে লোকে যে সব মন্দ কথা বলে তা আমি জানি। সেই সব লোক নিজেদের ইহুদী বলে কিন্তু তারা সত্যিকারের ইহুদী নয়, বরং শয়তানের দলের লোক। 10 তোমাকে যে সমস্ত দুঃখভোগ করতে হবে তাতে ভয় পেও না। আমি তোমাকে বলছি তোমাদের পরীক্ষা করার জন্য দিয়াবল তোমাদের কাউকে কাউকে কারাগারে পুরবে। দশ দিন পর্যন্ত তোমাদের কষ্ট হবে। যদি মরতে হয় তবু আমার প্রতি বিশ্বস্ত থেকো। যদি তুমি বিশ্বস্ত থাক তাহলে আমি তোমাকে জীবন-মুকুট দেব।

11 “আত্মা মণ্ডলীগুলিকে কি বলছেন যার শোনার মত কান আছে সে শুনুক। যে জয়ী হয়, সে দ্বিতীয়বার মৃত্যু-আঘাত পাবে না।

পর্গাম মণ্ডলীর কাছে যীশুর পত্র

12 “পর্গাম মণ্ডলীর স্বর্গদূতদের কাছে লেখ:

“যাঁর হাতে তীক্ষ্ণ দ্বিধার তরোয়াল তিনি বলেন: 13 আমি জানি তুমি কোথায় বাস করছ। তুমি সেইখানে বাস করছ, যেখানে শয়তানের সিংহাসন রয়েছে। কিন্তু আমার প্রতি তুমি বিশ্বস্ত আছ। এমনকি আন্তিপাসের সময়ও আমার প্রতি তোমার যে বিশ্বাস তা অস্বীকার কর নি। আন্তিপাস আমার এক বিশ্বস্ত সাক্ষী যে তোমাদের নগরে নিহত হয়েছিল। তোমাদের নগর সেইখানে যেখানে শয়তান বাস করে।

14 “তবু তোমাদের বিরুদ্ধে আমার কয়েকটি কথা বলার আছে। তোমাদের মধ্যে এমন কিছু লোককে তোমরা সহ্য করেছ যারা বিলিয়মের শিক্ষা অনুসারে চলে। ইস্রায়েলকে কি করে পাপে ফেলা যায় তা বিলিয়ম শিখিয়েছিল। সেই লোকরা প্রতিমার সামনে উৎসর্গ করা খাদ্য খেয়ে ও ব্যভিচার করে পাপ করেছিল। 15 হ্যাঁ, তোমাদের মধ্যেও বেশ কিছু লোক নীকলায়তীয়দের শিক্ষা অনুসারে চলে। 16 তাই বলি, তুমি মন ফিরাও না হলে আমি শীঘ্রই তোমার কাছে আসব; আর আমার মুখের তরবারি দিয়ে তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করব।

17 “আত্মা মণ্ডলীগুলিকে কি বলছেন যার শোনার মতো কান আছে সে শুনুক।

“যে জীবনে জয়ী হয়, তাকে আমি গুপ্ত মান্নার অংশ খেতে দেব এবং আমি তাদের প্রত্যেককে একটি করে সাদা পাথর দেব। সেই পাথরের ওপর একটা নতুন নাম লেখা আছে যা অন্য কেউ জানতে পারবে না, কেবল যে তা পাবে সেই জানতে পারবে।

থুয়াতীরার মণ্ডলীর কাছে যীশুর পত্র

18 “থুয়াতীরাস্থ মণ্ডলীর স্বর্গদূতের কাছে এই কথা লেখ:

“যিনি ঈশ্বরের পুত্র, যাঁর চোখ আগুনের শিখার মতো ও যাঁর পা উজ্জ্বল পিতলের মতো, তিনি এই কথা বলছেন:

19 “আমি তোমার বিশ্বাস, প্রেম, পরিচর্যা ও ধৈর্য্য্যের বিষয় জানি। প্রথমে তুমি যা করেছিলে তার থেকে এখন যে আরও বেশী কাজ করছ তাও আমি জানি। 20 তবু তোমার বিরুদ্ধে এই আমার অভিযোগ: ঈষেবল নামে সেই স্ত্রীলোককে তুমি তার ইচ্ছামতো চলতে দিচ্ছ। সে নিজেকে ভাববাদিনী বলে। সে আমার লোকদের শিক্ষা দিয়ে ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে। ঈষেবল আমার লোকদের ব্যভিচার করতে ও প্রতিমার কাছে উৎসর্গ করা বলির মাংস খেতে প্রলুদ্ধ করছে। 21 আমি তাকে মন ফেরাবার জন্য সময় দিয়েছিলাম কিন্তু সে তার ব্যভিচারের জন্য অনুতাপ করতে চায় না।

22 “তাই আমি তাকে রোগশয্যায় ফেলব আর যারা তার সঙ্গে ব্যভিচার করেছে, তারা যদি তার সঙ্গে করা পাপ কাজের জন্য অনুতাপ না করে তবে তাদেরও মহাকষ্টের মধ্যে ফেলব। 23 আমি তার সন্তানদের ওপর মহামারী এনে তাদের মেরে ফেলব, তাতে সমস্ত মণ্ডলী জানতে পারবে, আমিই একজন যে সমস্ত লোকের মন ও হৃদয় সকল জানি। তোমরা প্রত্যেকে যা করেছ তার প্রতিফল আমি তোমাদের প্রত্যেককে দেব।

24 “থুয়াতীরাতে বাকী লোক, তোমরা যারা তার এই ভুল শিক্ষার অনুসারী হও নি, লোকে যাকে শয়তানের নিগূঢ়তত্ত্ব বলে, তা যারা শেখে নি, সেই তোমাদের ওপর অন্য কোন ভার চাপিয়ে দিচ্ছি না। কেবল এইটুকু বলি 25 যা তোমাদের আছে, তা আমি ফিরে না আসা পর্যন্ত শক্ত করে ধরে থাক।

26 “আর যে জয় করে ও শেষ পর্যন্ত আমার ইচ্ছা অনুসারে চলে তাকে আমি আমার সমস্ত জাতির ওপরে কর্তৃত্ত্ব করতে অধিকার দেব। 27 তাতে সে লৌহদণ্ডের দ্বারা তাদের শাসন করবে। মাটির পাত্র ভাঙার মতো সে তাদের ভেঙে চুরমার করবে।[b] 28 পিতার কাছ থেকে আমি তেমন ক্ষমতাই পেয়েছি, আমি তাকে ভোরের তারাও দেব। 29 আত্মা মণ্ডলীগুলিকে কি বলছেন, যার শোনার মত কান আছে সে শুনুক।

সফনিয় 3

জেরুশালেমের ভবিষ্যৎ

জেরুশালেম, তোমার লোকেরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল! তারা অন্যদের আঘাত করেছিল এবং তোমাকে পাপে কলঙ্কিত করা হয়েছে। তোমার লোকেরা আমার কথা শোনেনি! তারা আমার শিক্ষা গ্রহণ করেনি। জেরুশালেম প্রভুতে বিশ্বাস করেনি। জেরুশালেম তার ঈশ্বরের কাছে যায় নি। জেরুশালেমের নেতারা গর্জনকারী সিংহের মতো। তার বিচারকরা ক্ষুধার্ত নেকড়ের মতো যে নেকড়ে সন্ধ্যেবেলায় মেষদের আক্রমণ করতে আসে আর দেখে সকালবেলায় কিছুই পড়ে নেই। তার ভাববাদীরা আরও অধিকতর জিনিষে অধিকার পাওয়ার জন্য সবসময় গোপন পরিকল্পনা করছে। তার যাজকরা পবিত্র বস্তু এমনভাবে ব্যবহার করেছিল যেন তারা পবিত্র নয়। তারা ঈশ্বরের বিধির বিরুদ্ধে উগ্র আচরণ করেছিল। ঈশ্বর এখনও পর্যন্ত সেই শহরে আছেন এবং তিনি এখনও তাদের প্রতি অনুগত। ঈশ্বর কোন ভুল কাজ করেন না। তিনি তাঁর প্রজাদের সাহায্য করে যান। প্রতিদিন সকালে ভালো সিদ্ধান্ত নেবার জন্য তিনি লোকেদের সাহায্য করেন। কিন্তু ঐ খারাপ লোকেরা তাদের খারাপ কাজের জন্য মোটেই লজ্জিত নয়।

ঈশ্বর বলেছিলেন, “আমি পুরো জাতিদের ধ্বংস করেছি। আমি আত্মরক্ষার অট্টালিকাগুলি ধ্বংস করেছি। আমি রাস্তাগুলি ধ্বংস করেছি এবং এখন আর কেউই সেখানে যেতে পারে না। তাদের শহরগুলি শূন্য এবং সেখানে আর কেউ কখনও বাস করে না। আমি তোমাদের এই কথাগুলি বলছি যেন তোমরা এর থেকে শিক্ষা পাও। আমি চাই তোমরা আমাকে ভয় পাও এবং আমাকে সম্মান কর। যদি তোমরা তা করো, তাহলে তোমাদের বাড়ী কখনই ধ্বংস হবে না। যদি তোমরা এই কাজ কর, তাহলে আমি তোমাদের কখনোই আমার পরিকল্পনা অনুযায়ী ধ্বংস করব না।” কিন্তু ঐ খারাপ লোকেরা একই ধরণের খারাপ কাজ আরও বেশী করে করতে চাইছে, যা তারা ইতিমধ্যেই করেছে!

প্রভু বলেছেন, “সেজন্যে একটু অপেক্ষা করো, যাতে আমি দাঁড়িয়ে তোমাদের বিচার করতে পারি। অন্য বহুজাতির থেকে লোক আনা এবং তোমাদের শাস্তি দেবার জন্য তাদের ব্যবহার করা অবশ্যই কর্তব্য আমার। আমি তোমাদের বিরুদ্ধে আমার ক্রোধ দেখানোর জন্য ঐ লোকেদের ব্যবহার করবো। আমি তাদের দ্বারা দেখাব যে আমি কতখানি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এবং পুরো দেশটি ধ্বংস হয়ে যাবে! তখন আমি অন্যান্য জাতির লোকেদের পরিবর্তন করব যাতে তারা শুদ্ধ মুখে, শুদ্ধ ভাষায় প্রভুকে ডাকে। তারা কাঁধে কাঁধ দিয়ে একজন লোকের মত মিলিত হবে এবং আমাকে উপাসনা করবে। 10 কূশ দেশের নদীর ওপার থেকে লোকজন সরাসরি চলে আসবে। চারিদিকে ছড়িয়ে পড়া আমার লোকেরা আমার কাছে আসবে। আমার উপাসনাকারীরা আমার কাছে তাদের উপহার নিয়ে আসবে।

11 “তখন জেরুশালেম, যেসব খারাপ কাজগুলো তোমার লোকেরা আমার বিরুদ্ধে করেছে তার জন্য আর তোমাকে লজ্জিত হতে হবে না। কেন? কারণ আমি জেরুশালেম থেকে সেইসব খারাপ লোকদের দূর করে দেব। আমি সেইসব অহঙ্কারী লোকদের সরিয়ে নিয়ে যাবো। আমার এই পবিত্র পর্বতে ঐসব অহঙ্কারী লোকেদের কেউই থাকবে না। 12 যারা নম্র ও বিনীত শুধুমাত্র সেইসব লোকেদেরই আমি আমার শহরে বাস করতে দেব এবং তারা প্রভুর নামে আস্থা রাখবে। 13 ইস্রায়েলীয়রা যারা বেঁচে আছে, তারা মন্দ কাজ করবে না। তারা কখনই প্রবঞ্চিত করার চেষ্টা করবে না। তারা মেষের মত হবে যারা খায় আর শান্তিতে শুয়ে থাকে—এবং কেউই তাদের বিরক্ত করে না।”

একটি আনন্দের গান

14 জেরুশালেম, খুশী হও এবং উপভোগ কর।
    ইস্রায়েল আনন্দে চিৎকার করো।
জেরুশালেম সুখে থাকো এবং মজা করো।
15 কেন? কারণ প্রভু তোমাদের শাস্তি দেওয়া বন্ধ করেছেন!
    তিনি তোমাদের শত্রুদের শক্তিশালী উচ্চ অট্টালিকাগুলি ধ্বংস করেছিলেন!
ইস্রায়েলের রাজা, প্রভু তোমার সঙ্গে আছেন।
    কোন অঘটনের বিষয়ে তোমার দুশ্চিন্তা করার দরকার নেই।
16 সেই সময়ে, জেরুশালেমকে বলা হবে,
    “শক্ত হও, ভয় পেও না!
17 তোমার প্রভু ঈশ্বর তোমার সঙ্গে আছেন।
    তিনি শক্তিশালী সৈন্যের মতো।
    তিনি তোমাকে রক্ষা করবেন।
তিনি দেখাবেন তিনি তোমাকে কতটা ভালোবাসেন।
    তিনি তোমার সঙ্গে কতটা সুখী তা দেখাবেন।
তিনি তোমার ওপর এত খুশী হবেন যে, তিনি গান গাইবেন ও নাচবেন।”
18 প্রভু বলেছিলেন, “আমি তোমার লজ্জাকে দূর করে দেবো।
    আমি ঐসব লোকদের তোমাকে আঘাত করা থেকে থামাবো।
19 সেই সময়ে, যেসব লোক তোমাকে আঘাত করে তাদের আমি শাস্তি দেব।
    আমি আমার আঘাত পাওয়া লোকদের রক্ষা করব।
    যেসব লোকেরা ছুটে পালাতে বাধ্য হয়েছিল তাদের আমি ফিরিয়ে আনবো।
এবং আমি তাদের বিখ্যাত করে তুলবো।
    সব জায়গার লোক তাদের প্রশংসা করবে।
20 সেই সময়ে, আমি তোমাদের ফিরিয়ে আনবো।
    আমি তোমাদের সবাইকে একসঙ্গে ফিরিয়ে আনবো।
আমি তোমাদের বিখ্যাত করে তুলব এবং সব জায়গার লোক তোমাদের প্রশংসা করবে।
    আর সেটা তখনই ঘটবে যখন আমি কয়েদীদের তোমাদের নিজের চোখের সামনে দিয়ে ফিরিয়ে আনবো।”
প্রভু ঐ কথাগুলো বলেছিলেন।

যোহন 1

যীশুর পৃথিবীতে আগমন

আদিতে বাক্য[a] ছিলেন, বাক্য ঈশ্বরের সঙ্গে ছিলেন আর সেই বাক্যই ছিলেন ঈশ্বর। সেই বাক্য আদিতে ঈশ্বরের সঙ্গে ছিলেন। তাঁর মাধ্যমেই সব কিছুর সৃষ্টি হয়েছিল এবং এর মধ্যে তাঁকে ছাড়া কোন কিছুরই সৃষ্টি হয় নি। তাঁর মধ্যে জীবন ছিল; আর সেই জীবন জগতের মানুষের কাছে আলো নিয়ে এল। সেই আলো অন্ধকারের মাঝে উজ্জ্বল হয়ে উঠল; আর অন্ধকার সেই আলোকে জয় করতে পারে নি।

একজন লোক এলেন তাঁর নাম যোহন; ঈশ্বর তাঁকে পাঠিয়েছিলেন। তিনি সেই আলোর বিষয়ে সাক্ষ্য দেবার জন্য সাক্ষী রূপে এলেন যাতে তাঁর মাধ্যমে সকল লোক সেই আলোর কথা শুনে বিশ্বাস করতে পারে। যোহন নিজে সেই আলো ছিলেন না; কিন্তু তিনি এসেছিলেন যাতে লোকদের কাছে সেই আলোর বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে পারেন। প্রকৃত যে আলো, তা সকল মানুষকে আলোকিত করতে পৃথিবীতে এসেছিলেন।

10 সেই বাক্য জগতে ছিল এবং এই জগত তাঁর দ্বারাই সৃষ্ট হয়েছিল; কিন্তু জগত তাঁকে চিনতে পারে নি। 11 যে জগত তাঁর নিজস্ব সেখানে তিনি এলেন, কিন্তু তাঁর নিজের লোকরাই তাঁকে গ্রহণ করল না। 12 কিন্তু কিছু লোক তাঁকে গ্রহণ করল এবং তাঁকে বিশ্বাস করল। যারা বিশ্বাস করল তাদের সকলকে তিনি ঈশ্বরের সন্তান হবার অধিকার দান করলেন। 13 ঈশ্বরের এই সন্তানরা প্রাকৃতিক নিয়ম অনুসারে কোন শিশুর মতো জন্ম গ্রহণ করে নি। মা-বাবার দৈহিক কামনা-বাসনা অনুসারেও নয়, ঈশ্বরের কাছ থেকেই তাদের এই জন্ম।

14 বাক্য মানুষের রূপ ধারণ করলেন এবং আমাদের মধ্যে বসবাস করতে লাগলেন। পিতা ঈশ্বরের একমাত্র পুত্র হিসাবে তাঁর যে মহিমা, সেই মহিমা আমরা দেখেছি। সেই বাক্য অনুগ্রহ ও সত্যে পরিপূর্ণ ছিলেন। 15 যোহন তাঁর সম্পর্কে মানুষকে বললেন, “ইনিই তিনি যাঁর সম্বন্ধে আমি বলেছি। ‘যিনি আমার পরে আসছেন, তিনি আমার থেকে মহান, কারণ তিনি আমার অনেক আগে থেকেই আছেন।’”

16 সেই বাক্য অনুগ্রহ ও সত্যে পূর্ণ ছিলেন। আমরা সকলে তাঁর থেকে অনুগ্রহের ওপর অনুগ্রহ পেয়েছি। 17 কারণ মোশির মাধ্যমে বিধি-ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু অনুগ্রহ ও সত্যের পথ যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে এসেছে। 18 ঈশ্বরকে কেউ কখনও দেখেনি; কিন্তু একমাত্র পুত্র, যিনি পিতার কাছে থাকেন, তিনিই তাঁকে প্রকাশ করেছেন।

যোহন যীশু সম্পর্কে লোকেদের বললেন

(মথি 3:1-12; মার্ক 1:1-8; লূক 3:1-9, 15-17)

19 জেরুশালেমের ইহুদীরা কয়েকজন যাজক ও লেবীয়কে যোহনের কাছে পাঠালেন। তাঁরা এসে যোহনকে জিজ্ঞেস করলেন, “আপনি কে?” 20 যোহন একথার জবাব খোলাখুলিভাবেই দিলেন; তিনি উত্তর দিতে অস্বীকার করলেন না। তিনি স্পষ্টভাবে স্বীকার করলেন, “আমি সেই খ্রীষ্ট নই।”

21 তখন তাঁরা তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, “তাহলে আপনি কে? আপনি কি এলিয়?”

যোহন বললেন, “না, আমি এলিয় নই।”

ইহুদীরা জিজ্ঞেস করলেন, “তবে আপনি কি সেই ভাববাদী?”

যোহন এর জবাবে বললেন, “না।”

22 তখন তাঁরা বললেন, “তাহলে আপনি কে? আমাদের বলুন যাতে যারা আমাদের পাঠিয়েছে তাদের জবাব দিতে পারি। আপনার নিজের বিষয়ে আপনি কি বলেন?”

23 ভাববাদী যিশাইয় যা বলেছিলেন তা উল্লেখ করে যোহন বললেন,

“আমি তাঁর রব, যিনি মরু প্রান্তরে চিৎকার করে বলছেন,
    ‘তোমার প্রভুর জন্য পথ সোজা কর!’”(A)

24 যাদের পাঠানো হয়েছিল তাদের মধ্যে কিছু ফরীশী সম্প্রদায়ের লোক ছিল। 25 তাঁরা যোহনকে বললেন, “আপনি যদি সেই খ্রীষ্ট নন, এলিয় নন, ভাববাদীও নন, তাহলে আপনি বাপ্তাইজ করছেন কেন?”

26 এর উত্তরে যোহন বললেন, “আমি জলে বাপ্তাইজ করছি। তোমাদের মধ্যে একজন দাঁড়িয়ে আছেন যাঁকে তোমরা চেন না। 27 তিনিই সেই লোক যিনি আমার পরে আসছেন। আমি তাঁর পায়ের চটির ফিতে খোলবার যোগ্য নই।”

28 যর্দন নদীর অপর পারে বৈথনিয়াতে যেখানে যোহন লোকেদের বাপ্তাইজ করছিলেন, সেইখানে এইসব ঘটেছিল।

যীশু, ঈশ্বরের মেষশাবক

29 পরের দিন যোহন যীশুকে তাঁর দিকে আসতে দেখে বললেন, “ঐ দেখ, ঈশ্বরের মেষশাবক, যিনি জগতের পাপরাশি বহন করে নিয়ে যান! 30 ইনিই সেই লোক, যাঁর বিষয়ে আমি বলেছিলাম, ‘আমার পরে একজন আসছেন, কিন্তু তিনি আমার থেকে মহান, কারণ তিনি আমার অনেক আগে থেকেই আছেন।’ 31 এমনকি আমিও তাঁকে চিনতাম না, কিন্তু ইস্রায়েলীয়রা যেন তাঁকে খ্রীষ্ট বলে চিনতে পারে এইজন্য আমি এসে তাদের জলে বাপ্তাইজ করছি।”

32-34 এরপর যোহন তাঁর সাক্ষ্যে বললেন, “আমি নিজেও খ্রীষ্ট কে তা জানতাম না। কিন্তু লোকদের জলে বাপ্তাইজ করতে ঈশ্বর আমাকে পাঠালেন। ঈশ্বর আমাকে বললেন, ‘তুমি দেখতে পাবে এক ব্যক্তির উপর পবিত্র আত্মা এসে অধিষ্ঠান করছেন। আর তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি পবিত্র আত্মাতে বাপ্তাইজ করবেন।’” যোহন বললেন, “আমি পবিত্র আত্মাকে স্বর্গ থেকে নেমে আসতে দেখেছি। সেই আত্মা কপোতের আকারে এসে যীশুর উপর বসলেন। আমি তা দেখেছি আর তাই আমি লোকদের বলি, ‘তিনিই ঈশ্বরের পুত্র।’”

যীশুর প্রথম শিষ্যদল

35 পরদিন যোহন তাঁর দুজন শিষ্যের সঙ্গে আবার সেখানে এলেন। 36 যীশুকে সেখান দিয়ে যেতে দেখে তিনি বললেন, “ঐ দেখ, ঈশ্বরের মেষশাবক!”

37 তাঁর সেই দুজন শিষ্য যোহনের কথা শুনে যীশুর অনুসরণ করতে লাগলেন। 38 যীশু পিছন ফিরে সেই দুজনকে অনুসরণ করতে দেখে তাঁদের জিজ্ঞেস করলেন, “তোমরা কি চাও?”

তাঁরা যীশুকে বললেন, “রব্বি, আপনি কোথায় থাকেন?” (“রব্বি” কথাটির অর্থ “গুরু।”)

39 যীশু তাঁদের বললেন, “এস দেখবে।” তখন তাঁরা গিয়ে দেখলেন তিনি কোথায় থাকেন। আর সেই দিনের বাকি সময়টা তাঁরা যীশুর কাছে কাটালেন। তখন সময় ছিল প্রায় বিকাল চারটে।

40 যোহনের কথা শুনে যে দুজন লোক যীশুর পিছনে পিছনে গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে একজন হচ্ছেন শিমোন পিতরের ভাই আন্দ্রিয়। 41 আন্দ্রিয় সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ভাই শিমোনের দেখা পেয়ে তাকে বললেন, “আমরা মশীহের দেখা পেয়েছি।” (“মশীহ” কথাটির অর্থ “খ্রীষ্ট।”)

42 আন্দ্রিয়, শিমোন পিতরকে যীশুর কাছে নিয়ে এলেন। যীশু তাঁর দিকে তাকিয়ে বললেন, “তুমি যোহনের ছেলে শিমোন, তোমাকে কৈফা বলে ডাকা হবে।” (“কৈফা” কথাটির অর্থ “পিতর।”)

43 পরের দিন যীশু গালীলে যাবেন বলে ঠিক করলেন। সেখানে তিনি ফিলিপের দেখা পেয়ে তাঁকে বললেন, “আমার অনুসরণ কর।” 44 আন্দ্রিয় ও পিতর যে অঞ্চলে থাকতেন ফিলিপ ছিলেন সেই বৈৎসৈদার লোক। 45 ফিলিপ এবার নথনেলকে দেখতে পেয়ে বললেন, “আমরা এমন একজনের দেখা পেয়েছি যার কথা মোশি ও ভাববাদীরা বিধি-ব্যবস্থায় লিখে রেখে গেছেন। তিনি নাসরৎ নিবাসী যোষেফের ছেলে যীশু।”

46 নথনেল তাঁকে বললেন, “নাসরৎ! নাসরৎ থেকে কি ভাল কিছু আসতে পারে?”

ফিলিপ বললেন, “এস দেখে যাও।”

47 যীশু দেখলেন নথনেল তাঁর দিকে আসছেন। তখন তিনি তাঁর বিষয়ে বললেন, “এই দেখ একজন প্রকৃত ইস্রায়েলীয়, যার মধ্যে কোন ছলনা নেই।”

48 নথনেল তাঁকে বললেন, “আপনি কেমন করে আমাকে চিনলেন?”

এর উত্তরে যীশু বললেন, “ফিলিপ আমার সম্পর্কে তোমায় বলার আগে তুমি যখন ডুমুর গাছের তলায় বসেছিলে, আমি তখনই তোমায় দেখেছিলাম।”

49 নথনেল বললেন, “গুরু, আপনিই ঈশ্বরের পুত্র, আপনিই ইস্রায়েলের রাজা।”

50 যীশু উত্তরে বললেন, “আমি তোমাকে ডুমুর গাছের তলায় দেখেছিলাম বলেই কি তুমি আমাকে বিশ্বাস করলে? এর চেয়েও আরো অনেক মহত্ জিনিস তুমি দেখতে পাবে!” 51 পরে যীশু তাঁকে আরও বললেন, “সত্যি সত্যিই আমি তোমাদের বলছি। তোমরা একদিন দেখবে স্বর্গ খুলে গেছে, আর ‘ঈশ্বরের দূতরা’ মানবপুত্রের ওপর দিয়ে উঠে যাচ্ছেন আর নেমে আসছেন।”[b]

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International