Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

M’Cheyne Bible Reading Plan

The classic M'Cheyne plan--read the Old Testament, New Testament, and Psalms or Gospels every day.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
যিহোশূয় 18-19

বাকী জমি-জায়গার বিভাজন

18 সমস্ত ইস্রায়েলবাসী শীলোতে জড়ো হল। সেখানে তারা একটা সমাগম তাঁবু প্রতিষ্ঠা করল। ইস্রায়েলীয়রাই সেই দেশটা চালাত। সে দেশে সমস্ত শত্রুকে তারা হারিয়েছিল। কিন্তু সেই সময় সাতটা ইস্রায়েলীয় পরিবারগোষ্ঠী তখনও ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতি মতো জমিজায়গা পায় নি।

তাই যিহোশূয় তাদের বললেন, “জমির জন্য তোমরা এতদিন অপেক্ষা করে বসে আছ কেন? তোমাদের প্রভু তোমাদের পিতৃপুরুষের ঈশ্বর তোমাদের তা দিয়েই দিয়েছেন। তাই বলছি প্রত্যেক পরিবারগোষ্ঠী থেকে তিনজন করে লোক বেছে নাও। আমি তাদের জায়গাটা ভালো করে দেখার জন্য পাঠাব। তারা সেখানকার বর্ণনা লিখে নিয়ে আমার কাছে ফিরে আসবে। তারা জায়গাটা সাত ভাগে ভাগ করবে। যিহূদার লোকরা পাবে দক্ষিনাংশ, যোষেফের লোকরা পাবে উত্তর অংশ। তোমরা অবশ্যই জায়গাটার বর্ণনা করে সেটাকে সাত ভাগে ভাগ করবে। মানচিত্রটা আমার কাছে আনবে। তারপর আমরা প্রভু, আমাদের ঈশ্বরকেই তা ঠিক করতে বলব কে কোন জমি পাবে।[a] লেবীয় যাজকরা জমির কোন অংশ পাবে না। যাজক হিসাবে তাদের কাজ হচ্ছে প্রভুর সেবা করা। এই তাদের অংশ। গাদ, রূবেণ এবং মনঃশির অর্ধেক পরিবারগোষ্ঠী ইতিমধ্যেই প্রতিশ্রুত জমিজায়গা পেয়ে গিয়েছে। তারা বাস করে যর্দন নদীর পূর্বদিকে। প্রভুর দাস মোশি ইতিমধ্যেই তাদের জমিজায়গা দিয়ে দিয়েছেন।”

জায়গা দেখার জন্য মনোনীত লোকরা বার হয়ে গেল যাতে তারা জমির বর্ণনা দিতে পারে। যিহোশূয় তাদের বললেন, “তোমরা সেই জায়গায় যাও, ভালো করে দেখ আর সেখানকার একটা বর্ণনা লিখে নিয়ে এসো। তারপর শীলোতে আমার সঙ্গে দেখা করো। আমি তখন ঘুঁটি চালার ব্যবস্থা করব। যেন প্রভুই তোমাদের মধ্যে জমি ভাগ করে দেন।”

তাই লোকরা সেই দেশে গেল, জায়গাটা ঘুরে ফিরে তারা দেখল এবং যিহোশূয়র জন্য একটা বর্ণনা তারা লিখল। তারা ঐ সমস্ত শহরগুলির একটি তালিকা প্রস্তুত করল এবং তারপর ভূখণ্ডটিকে সাত ভাগে ভাগ করল। মানচিত্র এঁকে নিয়ে তারা শীলোতে যিহোশূয়র কাছে ফিরে গেল। 10 যিহোশূয় সেখানে শীলোতে প্রভুর সামনে তাদের জন্য ঘুঁটি চাললেন। এইভাবেই তিনি জমি ভাগাভাগি করে প্রত্যেক পরিবারগোষ্ঠীকে তাদের অংশ দিলেন।

বিন্যামীনের জন্য জমিজায়গা

11 বিন্যামীন পরিবারগোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছিল যিহূদা এবং যোষেফের জায়গার মাঝখানের জমি। বিন্যামীনের প্রত্যেকটি পরিবারগোষ্ঠীই নিজের নিজের জায়গা পেয়ে গিয়েছিল। বিন্যামীনের জন্য মনোনীত জায়গাগুলো হল: 12 যর্দন নদী থেকে শুরু করে উত্তরের সীমানা, যা যিরীহোর উত্তর দিক ঘেঁষে গিয়ে পশ্চিমে পাহাড়ী অঞ্চলের দিকে চলে গেছে। সীমানাটি বৈৎ‌-আবনের ঠিক পূর্বদিক পর্যন্ত এগিয়ে গেছে। 13 দক্ষিণে লূস (বৈথেল) পর্যন্ত সীমানা গেছে। তারপর সীমা গেছে অষ্টারোৎ-অদ্দরের দিকে। অষ্টারোৎ-অদ্দর হচ্ছে নিম্ন বৈৎ‌-হোরোণের দক্ষিণে পাহাড়ী জায়গায়। 14 বৈৎ‌-হোরোণের দক্ষিণে পাহাড়ে এসে সীমানা দক্ষিণে বাঁক নিয়ে পাহাড়ের পশ্চিমদিকে চলে গেছে। সীমানা গিয়েছে কিরিয়ৎ-বালে (কিরিয়ৎ যিয়ারীম)। এই শহরটা যিহূদার লোকদের এটা পশ্চিম সীমা।

15 কিরিয়ৎ-যিয়ারীম থেকে শুরু হয়েছে দক্ষিণ সীমা, গেছে নিপ্তোহ নদীর দিকে। 16 তারপর রফায়ীম উপত্যকার উত্তরে বেন-হিন্নোম উপত্যকার কাছে পাহাড়ের নীচে চলে গেছে এই সীমা। সীমানাটি যিবুষীয়দের শহরের ঠিক দক্ষিণদিকে হিন্নোম উপত্যকা পর্যন্তও বিস্তৃত হয়েছে। তারপর সেটি গেছে ঐন্-রোগেল পর্যন্ত। 17 সেখান থেকে সীমা ঘুরে উত্তরদিকে গেছে ঐন্-শেমশে, গলীলোত (অদুম্মীম গিরিজর্থের কাছে) পর্যন্ত। সেখান থেকে মহাশিলার দিকে; রূবেণের পুত্র বোহনের জন্যই এর নাম রাখা হয়েছে। 18 এই সীমা বৈৎ‌-অরাবার উত্তরদিকে খাড়ি পর্যন্ত এসে যর্দন উপত্যকায় নেমে গেছে। 19 তারপর বৈৎ‌-হগ্লার উত্তরে আর শেষ হয়েছে মৃত সাগরের উত্তর উপকূলে। এখানেই যর্দন নদী সাগরে পড়েছে। আর এটাই হচ্ছে দক্ষিণ সীমা।

20 যর্দন নদী হচ্ছে পূর্ব সীমা। সুতরাং এটাই হচ্ছে বিন্যামীনের পরিবারগোষ্ঠীর জন্য বিলি করা জমিজায়গা। এইসব হচ্ছে এদের জমি-জায়গার সব দিকের সীমানা।

21 প্রত্যেক পরিবারই জমি-জায়গা পেয়েছিল। এইসব হচ্ছে তাদের শহর:

যিরীহো, বৈৎ‌-হগ্লা, এমক-কশিশ, 22 বৈৎ‌-অরাবা, সমারয়িম, বৈথেল, 23 অব্বীম, পারা, অফ্রা, 24 কফর-আম্মোনী, অফ্নি এবং গেবা। সেখানে 12 টি শহর এবং তাদের ঘিরে সব মাঠঘাট ছিল।

25 বিন্যামীনের পরিবারগোষ্ঠী এ ছাড়াও পেয়েছিল

গিবিয়োন, রামা, বেরোত্‌, 26 মিস্পী, কফীরা, মোৎসা, 27 রেকম, যির্পেল, তরলা, 28 সেলা, এলফ, যিবুষদের শহর (জেরুশালেম) গিবিয়াৎ এবং কিরিয়াৎ। মাঠঘাট নিয়ে 14টি শহর।

বিন্যামীনের পরিবারগোষ্ঠী এই সমস্ত জায়গা পেল।

শিমিয়োনের জন্য জমি-জায়গা

19 তারপর যিহোশূয় শিমিয়োনের পরিবারগোষ্ঠীর প্রত্যেক পরিবারকে জমি-জায়গা দিলেন। সে সব জমি ছিল যিহূদার এলাকার ভেতরে। তারা পেয়েছিল বের্-শেবা (শেবাও বলা যেতে পারে), মোলাদা, হৎসর-শূয়াল, বালা, এৎ‌সম, ইল্তোলদ, বথূল, হর্মা, সিক্লগ, বৈৎ‌-মর্কাবোৎ, হৎসর-সূষা, বৈৎ‌-লবায়োৎ এবং শারূহণ। চারপাশের মাঠঘাট নিয়ে 13টি শহর।

তারা আরও যে সব শহর পেয়েছিল সেগুলো হচ্ছে: ঐন, রিম্মোণ, এখর এবং আশন। চারপাশের মাঠঘাট নিয়ে চারটে শহর। এছাড়া তারা বালৎ-বের (নেগেভের রামো) পর্যন্ত সমস্ত শহরের চারপাশের মাঠ-ঘাট পেল। তাছাড়াও বালৎ-বের পর্যন্ত সমস্ত শহরের চতুর্দিকের মাঠ। তাহলে এই হচ্ছে শিমিয়োনের পরিবারগোষ্ঠীর এলাকা। প্রত্যেক পরিবারই জমি-জায়গা পেয়েছিল। শিমিয়োনের জমির অংশ যিহূদার এলাকার মধ্যেই ছিল। যিহূদার লোকরা দরকারের চেয়ে অনেক বেশী জমি পেয়েছিল। তাই তাদের জমির কিছু অংশ শিমিয়োনের লোকরা পেয়েছিল।

সবূলূনের জন্য জমি-জায়গা

10 এরপর জমি-জায়গা পেয়েছিল সবূলূন পরিবারগোষ্ঠী। এই গোষ্ঠীর প্রত্যেক পরিবারই পূর্ব প্রতিশ্রুতি মতো জমি-জায়গা পেয়েছিল। সবূলূনের সীমানা ছিল সুদূর সারীদ অবধি। 11 তারপর সীমানাটি পশ্চিম মুখে মারালার দিকে গেছে এবং দব্বেশৎ‌ ছুঁয়েছে। তারপর সীমা চলে গেছে যক্লিয়ামের উপত্যকা বরাবর। 12 তারপর সীমানা গেছে পূর্বদিকে বেঁকে সারীদ থেকে কিশ্লোৎ‌-তাবোর পর্যন্ত, সেখান থেকে দাবরৎ আর যাফিয়ে। 13 আরও পূর্বদিকে গাৎ-হেফর এবং এৎ‌-কাৎসীনে, শেষ হয়েছে রিম্মোণে। তারপর সীমানা ঘুরে গেছে নেয়ের দিকে। 14 নেয়ে থেকে আবার বেঁকে গিয়ে উত্তরে হন্নাখোন হয়ে যিপ্তেল উপত্যকার দিকে চলে গেছে। 15 এই চৌহদ্দির মধ্যে যেসব শহর রয়েছে সেগুলো হচ্ছে কটত্‌, নহলাল, শিম্রোণ, য়িদালা এবং বৈৎ‌লেহম। মাঠঘাট নিয়ে মোট 12 টি শহর।

16 এই হল সবূলূনের শহরসমূহ আর মাঠঘাট। এই পরিবারের প্রত্যেকেই এইসব জায়গার ভাগ পেয়েছিল।

ইষাখরের জন্য জমি-জায়গা

17 দেশের চতুর্থ অংশ দেওয়া হয়েছিল ইষাখর পরিবারগোষ্ঠীকে। প্রত্যেক পরিবারই জমির ভাগ পেয়েছিল। 18 এদের দেওয়া হয়েছিল যিষ্রিয়েল, কসুল্লোৎ, শূনেম, 19 হফারয়িম, শীয়োন, অনহরৎ, 20 রব্বীৎ, কিশিয়োন, এবস, 21 রেমৎ, ঐন্-গন্নীম, ঐন্-হদ্দা এবং বৈৎ‌-পৎসেস।

22 জমির সীমানা হচ্ছে তাবর, শহৎসূমা এবং বৈৎ‌-শেমশ। শেষ হয়েছে যর্দন নদীতে। মোট 16টি শহর আর তাদের চারপাশের মাঠঘাট। 23 এইসব শহর ইষাখরের পরিবারগোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছিল। প্রত্যেক পরিবারই জমির ভাগ পেয়েছিল।

আশেরদের জন্য জমিজায়গা

24 দেশের পঞ্চম ভাগ আশের পরিবারগোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছিল। সকলেই জমির অংশ পেয়েছিল। 25 তাদের দেওয়া হয়েছিল হিল্কত্‌, হলী, বেটন, অক্ষক, 26 অলম্মেলক, অমাদ আর মিশাল।

পশ্চিম সীমা গেছে কর্মিল পর্বত এবং শীহোর-লিব্নত্‌ পর্যন্ত। 27 তারপর সীমানা মোড় নিয়েছে পূর্ব মুখে। এটি গেছে বৈৎ‌-দাগোন পর্যন্ত। এটি সবূলূন এবং যিপ্তেল উপত্যকা ছুঁয়েছে। তারপর এটি বৈৎ‌-এমক এবং নীয়েলের উত্তরদিকে চলে গেছে। সীমানাটি কাবুলের উত্তরদিকে বিস্তৃত হয়েছে। 28 সীমানা গেছে এব্রোণ, রহোব, হম্মোন এবং কান্না পর্যন্ত। এইভাবে বৃহত্তর সীদোন অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত। 29 এরপর সীমানা রামার দক্ষিণদিকে ফিরে গেছে। সীমানাটি এগিয়ে গেছে শক্তিশালী সোর শহর পর্যন্ত। তারপর ঘুরে গেছে পশ্চিম দিকে হোষায়, শেষ হয়েছে অকষীবের কাছে সমুদ্রে। 30 তাছাড়া উম্মা, অফেক এবং রহোব এইসব অঞ্চল।

মোট 22টি শহর আর তাদের চারপাশের মাঠঘাট। 31 এইসব শহর আর মাঠঘাট ছিল আশের পরিবারগোষ্ঠীর জন্য। প্রত্যেক পরিবারগোষ্ঠীই জমির অংশ পেয়েছিল।

নপ্তালির জন্য জমিজায়গা

32 দেশের ষষ্ঠ অংশ পেল নপ্তালি পরিবারগোষ্ঠী। প্রত্যেক পরিবারই জমির অংশ পেয়েছিল। 33 তাদের জায়গার সীমানা শুরু হয়েছে সানন্নীমের কাছে একটা বিরাট গাছ থেকে। গাছটা হেলফের কাছে অদামী-নেকব এবং যবনিয়েলের ভেতর দিয়ে সীমানা লক্কুম হয়ে যর্দন নদীতে শেষ হয়েছে। 34 সীমাটি অসনোৎ‌-তাবোরে এসে আবার পশ্চিমদিকে ফেরৎ‌ গেছে। এটি হুক্কোকের কাছে উপত্যকা থেকে বেরিয়ে এসেছে। সবূলূন ছিল সীমাটির উত্তর দিকে, আশন ছিল পশ্চিমে। যিহূদাতে যর্দন নদী ছিল সীমাটির পূর্ব সীমা। 35 এইসব সীমানার মধ্যে কয়েকটা শক্তিশালী শহর রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে: সিদ্দীম, সের, হম্মৎ‌, রক্কৎ‌, কিন্নেরৎ‌, 36 অদামা, রামা, হাৎসোর, 37 কেদশ, ইদ্রিয়ী, ঐন্-হাৎসোর, 38 যিরোণ, মিগ্দল-এল, হোরেম, বৈৎ‌-অনাৎ এবং বৈৎ‌-শেমশ—মোট 19টি শহর এবং চারপাশের মাঠঘাট।

39 এইসব শহর আর মাঠঘাট নপ্তালি পরিবারগোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছিল। প্রত্যেক পরিবারগোষ্ঠীই জমির ভাগ পেয়েছিল।

দানের জন্য জমিজায়গা

40 এরপর জমি-জায়গা দেওয়া হল দান পরিবারগোষ্ঠীকে। প্রত্যেক পরিবারগোষ্ঠীই জমি পেয়েছিল। 41 তাদের দেওয়া হয়েছিল এইসব জায়গা: সরা, ইষ্টায়োল, ঈর্-শেমশ, 42 শালবীন, অয়ালোন, যিৎ‌লা, 43 এলোন, তিম্না, ইক্রোণ, 44 ইল্তকী, গিব্বথোন, বালৎ‌, 45 যিহূদ, বনে-বরক, গাৎ‌-রিম্মোণ, 46 মেযর্কোণ, রক্কোন এবং যাফোর নিকটবর্তী জায়গাগুলো।

47 কিন্তু দানের লোকদের জায়গা পেতে ঝামেলায় পড়তে হয়েছিল। শত্রুরা ছিল শক্তিশালী। তাদের তারা সহজে হারাতে পারে নি। সেই জন্য দানের লোকরা লেশমের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিল। লেশম জয় করে তারা সেখানকার লোকদের হত্যা করে। এইভাবে তারা লেশম শহরে বাস করেছিল। জায়গাটার নাম পাল্টে রাখলো দান। কারণ তাদের পরিবারগোষ্ঠীর পিতৃপুরুষের নাম ছিল দান। 48 এইসব শহর ও মাঠঘাট দান পরিবারগোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছিল। প্রত্যেক পরিবারই জমি-জায়গার ভাগ পেয়েছিল।

যিহোশূয়র জন্য জমি-জায়গা

49 এইভাবে দলপতিরা জমি-জায়গা ভাগ বাঁটোয়ারা করে বিভিন্ন পরিবারগোষ্ঠীকে দিয়েছিল। ভাগাভাগির কাজ শেষ হলে সমস্ত ইস্রায়েলবাসী নূনের পুত্র যিহোশূয়কে কিছু জমি দেবে বলে ঠিক করলো। 50 প্রভু আদেশ দিয়েছিলেন তিনি যেন এই জমি-জায়গা পান। তাই ইস্রায়েলবাসীরা যিহোশূয়কে দিল পাহাড়ী দেশ ইফ্রয়িমের তিম্নৎ‌-সেরহ নামক শহর। এই শহরটা ছিল যিহোশূয়র পছন্দ। তাই শহরটাকে বেশ ভালো করে মজবুত করে তৈরী করে, তিনি সেখানে বাস করতে থাকলেন।

51 এইভাবে ইস্রায়েলের সমস্ত পরিবারগোষ্ঠীকে এইসব জায়গা ভাগাভাগি করে দেওয়া হল। যাজক ইলিয়াসর নূনের পুত্র যিহোশূয় এবং প্রত্যেক পরিবারগোষ্ঠীর প্রধানরা জমি-জায়গা ভাগাভাগি করার জন্য শীলোতে একত্র হয়েছিলেন। সমাগম তাঁবুর দরজায় প্রভুর সামনে তাঁরা সকলে সমবেত হয়েছিলেন। এইভাবে তাঁরা জমি-জায়গা ভাগাভাগির কাজ শেষ করেছিলেন।

গীতসংহিতা 149-150

149 প্রভুর প্রশংসা কর!
প্রভু নতুন যা করেছেন তার জন্য একটা নতুন গান গাও!
    যেখানে তাঁর অনুগামীরা একসঙ্গে জড় হয়, সেই সমাজে তাঁর প্রশংসা কর।
ইস্রায়েলকে তাদের স্রষ্টাকে নিয়ে আনন্দ করতে দাও।
    সিয়োনের লোককে তাদের রাজাকে নিয়ে আনন্দ করতে দাও।
লোকেরা বীণা ও খঞ্জনী বাজাক
    এবং নাচতে নাচতে ঈশ্বরের প্রশংসা করুক!
ঈশ্বর তাঁর লোকদের প্রতি প্রসন্ন।
    ঈশ্বর তাঁর বিনম্র লোকদের জন্য এক বিস্ময়কর জিনিস করেছেন।
    তিনি তাদের রক্ষা করেছেন!
হে ঈশ্বর অনুগামীরা, তোমাদের জয়কে উপভোগ কর!
    বিছানায় যাওয়ার পরে পর্যন্ত সুখী হও।

লোকজনকে চিৎকার করে প্রভুর প্রশংসা করতে দাও
    এবং তাদের হাতে তরবারি ধরতে দাও।
ওরা ওদের শত্রুদের শাস্তি দিতে যাক।
    ওরা ওই সব লোকদের শাস্তি দিতে যাক।
ঈশ্বরের লোকরা ওদের রাজাদের এবং বড় বড় নেতাদের
    লোহার শিকল দিয়ে শৃঙ্খলিত করবে।
ঈশ্বরের নির্দেশ মতই ঈশ্বরের লোকরা ওদের শাস্তি দেবে।
    ঈশ্বরের সমস্ত অনুগামীরা, তাঁকে সম্মান জানাও।

প্রভুর প্রশংসা কর!

150 প্রভুর প্রশংসা কর!
ঈশ্বরের মন্দিরে তাঁর প্রশংসা কর!
    স্বর্গে তাঁর ক্ষমতার প্রশংসা কর!
ঈশ্বর যে সব মহৎ‌‌ কাজ করেন, তার জন্য তাঁর প্রশংসা কর!
    তাঁর সকল মহত্বের জন্য তাঁর প্রশংসা কর!
শিঙা ও বাঁশির সাহায্যে তাঁর প্রশংসা কর!
    বীণা ও লীরা বাজিয়ে তাঁর প্রশংসা কর!
খঞ্জনি বাজিয়ে নাচ করতে করতে তাঁর প্রশংসা কর!
    তন্ত্রবাদ্যযন্ত্র ও বাঁশি বাজিয়ে তাঁর প্রশংসা কর!
করতালের উচ্চ ধ্বনিতে তাঁর প্রশংসা কর!
    কান ফাটানো করতালের শব্দে তাঁর প্রশংসা কর!

প্রত্যেকটি জীব তোমরা তাঁর প্রশংসা কর!

প্রভুর প্রশংসা কর!

যিরমিয় 9

যদি আমার মাথা ভর্ত্তি জল থাকতো,
    যদি আমার চোখ অশ্রু-জলের ঝর্ণা হতো
    তাহলে আমি আমার লোকেদের ধ্বংসের জন্য সারা দিনরাত কাঁদতাম।

মরুভূমির মাঝে আমার যদি একটা ছোট্ট বাড়ি থাকতো,
    যেখানে পথিক ক্লান্ত হয়ে রাত কাটায়,
তাহলে আমি আমার লোকদের ত্যাগ করতে পারতাম।
    তাদের কাছ থেকে সরে যেতে পারতাম।
কারণ তারা ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বস্ত নয়,
    তারা প্রত্যেকে ঈশ্বরের বিরুদ্ধাচরণ করেছে।

“জিহ্বা হল তাদের ধনুকের মতো।
    আর সেখান থেকে তীরের মতো উড়ে আসে এক রাশি মিথ্যে।
এই দেশে সত্য নয়, চারিদিকে কেবল মিথ্যেরই জয়জয়কার।
এখানকার লোকরা একটা পাপ থেকে আরেকটা পাপের পথে হেঁটেছে।
    তারা আমাকে জানে না।”
প্রভু এই কথাগুলি বললেন।

“প্রতিবেশীদের লক্ষ্য কর!
    নিজের ভাইকেও বিশ্বাস করো না।
কারণ তারা প্রত্যেকে ঠগ, প্রতারক,
    প্রত্যেক প্রতিবেশীই ওর পিছনে কথা বলে।
প্রত্যেকে তার প্রতিবেশীকে মিথ্যে বলে।
    কেউ সত্যি কথা বলে না।
যিহূদার লোকরা শুধু
    মিথ্যেই বলতে শিখেছে।
যতক্ষণ না তারা খুব ক্লান্ত হয়ে ফিরে এলো
    ততক্ষণ তারা পাপ আচার চালিয়ে গিয়েছিল।
মন্দ মন্দকেই অনুসরণ করে
    এবং মিথ্যে অনুসরণ করে মিথ্যাকে।
লোকরা আমাকে চিনতে অস্বীকার করেছিল।”
    প্রভু এই কথাগুলি বললেন।

সুতরাং প্রভু সর্বশক্তিমান বললেন:
“খাঁটি ধাতু কি না তা বোঝার জন্য একজন শ্রমিক আগুনে গালিয়ে দেখে।
যেহেতু আমার আর অন্য কোন বিকল্প নেই
    তাই আমি যিহূদার লোকদের এইভাবেই পরীক্ষা করব।
    আমার লোকরা পাপ করেছে।
তীক্ষ্ণ তীরের ফলার মতো তাদের জিহ্বা।
    তা থেকে শুধু মিথ্যেই উচ্চারিত হয়।
প্রত্যেক ব্যক্তি তার প্রতিবেশীর সঙ্গে বন্ধুভাবে কথা বলে,
    কিন্তু সে গোপনে তাকে আঘাত করবার পরিকল্পনা করে।
যিহূদার লোকদের আমি শাস্তি দেবই।”
    এই হল প্রভুর বার্তা।
“তুমি জানো এই ধরণের লোককে আমার শাস্তি দেওয়া উচিৎ‌।
    তাদের যোগ্য শাস্তিই আমি দেব।”

10 আমি (যিরমিয়) পাহাড়দের জন্য আর্ত চিৎকার করে উঠবো।
    শূন্য জমির জন্য শোকের গান গাইব।
    কারণ জীবিত সব কিছু সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
কোন মানুষ এখন সেখানে হাঁটে না।
    কোন গবাদি পশুর আওয়াজ সেখানে শোনা যাবে না।
পশু এবং পাখীরা
    দূরে কোথাও চলে গিয়েছে।

11 “আমি (প্রভু) জেরুশালেম শহরকে জঞ্জালের স্তূপে পরিণত করব।
    এ হবে শেয়ালদের দেশ।
যিহূদার সমস্ত শহরকে আমি ধ্বংস করব
    যাতে সেখানে কেউ বাস করতে না পারে।”

12 এই জিনিসগুলি বোঝার মতো কোন যথেষ্ট জ্ঞানী ব্যক্তি আছে কি? প্রভুর দ্বারা শিক্ষণপ্রাপ্ত এমন কিছু লোক আছে কি যারা প্রভুর বার্তা ব্যাখ্যা করতে পারবে? কেন সেই দেশটি ধ্বংস হয়ে গেল? কেন তা শূন্য মরুভূমিতে পরিণত হয়েছিল? সেখানে কোন মানুষ কেন যেতে পারে না?

13 প্রভু প্রশ্নগুলির উত্তর দিয়েছেন। প্রভু বলেছেন, “এসবগুলো ঘটেছে কারণ যিহূদার লোকরা আমার শিক্ষামালা অনুসরণ করা ছেড়ে দিয়েছিল। আমি তাদের শিক্ষামালা দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমার কথা শুনতে অস্বীকার করেছিল। তারা আমার শিক্ষামালাকে অনুসরণ করেনি। 14 একগুঁয়ে, জেদী, যিহূদার লোকরা নিজের মতো করে চলেছিল। তারা বালের মূর্ত্তি অনুসরণ করেছিল। মূর্ত্তিদের অনুসরণ করার শিক্ষা তাদের পিতারাই দিয়েছিল।”

15 তাই প্রভু সর্বশক্তিমান, ইস্রায়েলের ঈশ্বর বলেন: “শীঘ্রই আমি যিহূদার লোকদের তিক্ত খাদ্য খেতে বাধ্য করব। আমি তাদের বিষাক্ত জল পান করতে বাধ্য করব। 16 অন্য সমস্ত দেশে আমি যিহূদার লোকদের ছড়িয়ে দেব। অদ্ভুত দেশগুলিতে তারা বাস করবে। তারা এবং তাদের পিতারা কখনোই ঐ সব দেশের কথা শোনেনি বা জানে না। আমি লোকদের তরবারি হাতে পাঠাবো। তারা যিহূদার সব লোকদের হত্যা করবে।”

17 সর্বশক্তিমান প্রভু বলেন:
    “এখন এইগুলি নিয়ে ভাবো!
অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ায় কাঁদার জন্য ভাড়াটে মহিলাদের ডাকো (রুদালি)।
    যে মহিলারা ভালো কাঁদতে পারে তাদের পাঠাও।
18 লোকরা বলল,
‘তাড়াতাড়ি সেই মহিলারা আসুক
এবং তাদের আমার জন্য কাঁদতে দাও।
    তাদের কান্না দেখে আমাদেরও চোখ থেকে ঝর্ণা বয়ে যাবে।’

19 “সিয়োন থেকে চিৎকার করে কান্নার শব্দ শোনা যাচ্ছে।
    ‘আমরা সত্যিই ধ্বংস হয়ে গিয়েছি!
    আমরা সত্যিই লজ্জিত!
আমাদের দেশ ছেড়ে আমাদের চলে যেতেই হবে।
    কারণ ঘরবাড়ি সব ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়ে গিয়েছে।’”

20 যিহূদার মহিলারা এখন প্রভুর বার্তা শোন।
    শোন প্রভুর মুখ নিঃসৃত শব্দ।
প্রভু বলছেন, তোমরা তোমাদের মেয়েদের শেখাও কি করে চিৎকার করে কাঁদতে হয়।
    প্রত্যেক মহিলাকেই এই শোক সঙ্গীত গাওয়া শিখতে হবে।
21 “প্রতিটি ঘরের জানালা দিয়ে মৃত্যু ভেতরে এসেছে।
    মৃত্যু আমাদের প্রাসাদগুলিতে এসেছে।
মৃত্যু এসেছে রাস্তায় খেলতে থাকা আমাদের সন্তানদের কাছে।
    মৃত্যু এসেছে যুবকদের প্রকাশ্য সমাবেশে।”

22 যিরমিয়, এই কথা বল: “প্রভু বলেন,
‘গোবরের মতো মৃতদেহগুলি মাঠে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে।
    চাষীদের কাটা শস্যের মতো মাটিতে পড়ে থাকবে মৃতদেহ।
    কিন্তু কেউ তাদের একত্রিত করবে না।’”

23 প্রভু বলেন,
“বিজ্ঞ ব্যক্তিদের তাদের জ্ঞানের বড়াই করা উচিৎ‌ নয়।
    শক্তিশালী ব্যক্তিদের তাদের শক্তির বড়াই করা উচিৎ‌ নয়।
    ধনী ব্যক্তিদের তাদের ধন নিয়ে বড়াই করা উচিৎ‌ নয়।
24 কিন্তু যদি কেউ বড়াই করতে চায় তাহলে তাদের এগুলির জন্য বড়াই করতে দাও
    যে সে আমাকে জানতে শিখেছে তা নিয়ে সে বড়াই করুক।
তাকে বড়াই করতে দাও যে সে বোঝে যে আমি প্রভু,
    আমি দয়ালু এবং ন্যায়নিষ্ঠ
এবং আমিই পৃথিবীতে ভালো কাজ করি।
    ওগুলিকে আমি ভালোবাসি।”
এই হল প্রভুর বার্তা।

25 এই বার্তাটি প্রভুর কাছ থেকে এসেছে, “সময় আসছে যখন আমি শাস্তি দেব সমস্ত লোকদের যারা শুধুমাত্র শারীরিকভাবে সুন্নৎ করেছে। 26 আমি মিসর, যিহূদা, ইদোম, অম্মোন, মোয়াব এই সমস্ত দেশগুলির লোক এবং মরুভূমিতে বাস করা লোকদের কথা বলছি। ঐ সব দেশগুলির লোকরা শরীরে সত্যিকারের সুন্নৎ করেনি। আর ইস্রায়েলের পরিবারবর্গের লোকরা তাদের হৃদয়ের সুন্নৎ করেনি।”

মথি 23

যীশু ধর্মীয় নেতাদের সমালোচনা করলেন

(মার্ক 12:38-40; লূক 11:37-52; 20:45-47)

23 এরপর যীশু লোকদের ও তাঁর শিষ্যদের বললেন, “মোশির বিধি-ব্যবস্থার ব্যাখ্যা দেবার অধিকার ব্যবস্থার শিক্ষক ও ফরীশীদের আছে। তাই তারা যা যা বলে, তা তোমরা করো এবং মেনে চলো: কিন্তু তারা যা করে তোমরা তা করো না। আমি একথা বলছি, কারণ তারা যা বলে তারা তা করে না। তারা ভারী ভারী বোঝা যা বওয়া কঠিন, তা লোকদের কাঁধে চাপিয়ে দেয়; কিন্তু সেগুলো সরাবার জন্য নিজেরা একটা আঙ্গুলও নাড়াতে চায় না।

“তারা যা কিছু করে সবই লোক দেখানোর জন্য। তারা শাস্ত্রের পদ লেখা তাবিজ বড় করে তৈরী করে, আর নিজেদের ধার্মিক দেখাবার জন্য পোশাকের প্রান্তে লম্বা লম্বা ঝালর লাগায়। তারা ভোজসভায় সম্মানের জায়গায় এবং সমাজ-গৃহে গুরুত্বপূর্ণ আসনে বসতে ভালবাসে। তারা হাটে-বাজারে লোকদের কাছ থেকে সম্মানসূচক অভিবাদন ও ‘গুরু’ ডাক শুনতে খুবই ভালবাসে।

“কিন্তু তোমরা দেখো, লোকে যেন তোমাদের ‘শিক্ষক’ বলে না ডাকে, কারণ একজনই তোমাদের শিক্ষক, আর তোমরা সকলে পরস্পর ভাই বোন। এই পৃথিবীতে কাউকে ‘পিতা’ বলে ডেকো না, কারণ তোমাদের পিতা একজনই, তিনি স্বর্গে থাকেন। 10 কেউ যেন তোমাদের আচার্য্য বলে না ডাকে, কারণ তোমাদের আচার্য্য একজনই, তিনি খ্রীষ্ট। 11 তোমাদের মধ্যে যে সব থেকে শ্রেষ্ঠ, সে তোমাদের সেবক হবে। 12 যে কেউ নিজেকে বড় করে, তাকে নত করা হবে। আর যে কেউ নিজেকে নত করে, তাকে উন্নত করা হবে।

13 “ধিক্ ব্যবস্থার শিক্ষক ও ফরীশীর দল, তোমরা ভণ্ড! তোমরা লোকদের জন্য স্বর্গরাজ্যের দরজা বন্ধ করে রাখছ, নিজেরাও তাতে প্রবেশ করো না, আর যারা প্রবেশ করতে চেষ্টা করছে তাদেরও প্রবেশ করতে দিচ্ছ না। 14 [a]

15 “ধিক্ ব্যবস্থার শিক্ষক ও ফরীশীর দল, তোমরা ভণ্ড! একজন লোককে নিজেদের ধর্মমতে নিয়ে আসার জন্য তোমরা জলে স্থলে ঘুরে বেড়াও। আর সে যখন তোমাদের ধর্মে আসে, তখন তোমরা নিজেদের চেয়ে তাকে দ্বিগুণ নরকের উপযুক্ত করে তোল।

16 “ধিক্ ব্যবস্থার শিক্ষক ও ফরীশীর দল, তোমরা ভণ্ড! তোমরা নিজেরা অন্ধ অথচ অন্যদের পথ দেখাও। তোমরা বলে থাক, ‘কেউ যদি মন্দিরের দিব্যি দেয়, তবে তাতে কিছু এসে যায় না। কিন্তু কেউ যদি মন্দিরের সোনার দিব্যি দেয়, তবে সে সেই শপথে বাঁধা পড়ল; তাকে অবশ্যই তা পূরণ করতে হবে।’ 17 মূর্খ অন্ধের দল! কোনটা শ্রেষ্ঠ, মন্দিরের সোনা অথবা মন্দির, যা সেই সোনাকে পবিত্র করে?

18 “তোমরা আবার একথাও বলে থাক, ‘কেউ যদি যজ্ঞবেদীর নামে শপথ করে, তাহলে সেই শপথ রক্ষা করার জন্য তার কোন বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু কেউ যদি যজ্ঞবেদীর ওপর যে নৈবেদ্য থাকে তার নামে শপথ করে, তবে তার শপথ রক্ষা করার জন্য সে দায়বদ্ধ রইল।’ 19 তোমরা অন্ধের দল! কোনটা বেশী গুরুত্বপূর্ণ, যজ্ঞবেদীতে নৈবেদ্য অথবা বেদী, যা তার ওপরের নৈবেদ্যকে পবিত্র করে? 20 তাই যখন কেউ যজ্ঞবেদীর নামে শপথ করে, তখন সে যজ্ঞবেদীর ওপর যা কিছু থাকে সে সব কিছুরই বিষয়ে শপথ করে। 21 আর কেউ যখন মন্দিরের নামে শপথ করে, তখন সে জায়গা ও তার মধ্যে যিনি থাকেন, তাঁর নামেও শপথ করে। 22 আর যদি কোন লোক স্বর্গের নামে শপথ করে, তখন সে ঈশ্বরের সিংহাসন ও যিনি সেই সিংহাসনে বসে আছেন তাঁর নামেও শপথ করে।

23 “ধিক্ ব্যবস্থার শিক্ষক ও ফরীশীর দল, তোমরা ভণ্ড! তোমরা পুদিনা, মৌরী ও জিরার দশভাগের একভাগ ঈশ্বরকে দিয়ে থাক অথচ ন্যায়, দয়া ও বিশ্বস্ততা, ব্যবস্থার এই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা অবহেলা করে থাক। আগের ঐ বিষয়গুলি পালন করার সঙ্গে সঙ্গে পরের এই বিষয়গুলি পালন করাও তোমাদের উচিত। 24 তোমরা অন্ধ পথপ্রদর্শক, তোমরা মশা ছেঁকে ফেল, কিন্তু উট গিলে থাক।

25 “ধিক্ ব্যবস্থার শিক্ষক ও ফরীশীর দল, তোমরা ভণ্ড! তোমরা থালা বাটির বাইরেটা পরিষ্কার করে থাক, কিন্তু ভেতরটা থাকে লোভ ও আত্মতোষণে ভরা। 26 অন্ধ ফরীশী! প্রথমে তোমাদের পেয়ালার ভেতরটা পরিষ্কার কর, তাহলে গোটা পেয়ালার ভেতরে ও বাইরে উভয় দিকই পরিষ্কার হবে।

27 “ধিক্ ব্যবস্থার শিক্ষক ও ফরীশীর দল, তোমরা ভণ্ড! তোমরা চুনকাম করা কবরের মতো, যার বাইরেটা দেখতে খুব সুন্দর, কিন্তু ভেতরে মরা মানুষের হাড়গোড় ও সব রকমের পচা জিনিস রয়েছে। 28 তোমরা ঠিক সেইরকম, বাইরের লোকদের চোখে ধার্মিক, কিন্তু ভেতরে ভণ্ডামী ও দুষ্টতায় পূর্ণ।

29 “ধিক্ ব্যবস্থার শিক্ষক ও ফরীশীর দল, তোমরা ভণ্ড! তোমরা ভাববাদীদের জন্য স্মৃতিসৌধ গাঁথ ও ঈশ্বর ভক্ত লোকদের কবর সাজাও, 30 আর বলে থাক, ‘আমরা যদি আমাদের পূর্বপুরুষদের সময়ে থাকতাম, তবে ভাববাদীদের হত্যা করার জন্য তাদের সাহায্য করতাম না।’ 31 এতে তোমরা নিজেদের বিষয়েই সাক্ষ্য দিচ্ছ যে, ভাববাদীদের যারা হত্যা করেছিল তোমরা তাদেরই বংশধর। 32 তাহলে যাও তোমাদের পূর্বপুরুষরা যা শুরু করে গেছে তোমরা তার বাকি কাজ শেষ করো।

33 “সাপ, বিষধর সাপের বংশধর! কি করে তোমরা ঈশ্বরের হাত থেকে রক্ষা পাবে? তোমরা দোষী প্রমাণিত হবে ও নরকে যাবে। 34 তাই আমি তোমাদের বলছি, আমি তোমাদের কাছে ভাববাদী, জ্ঞানীলোক ও শিক্ষকদের পাঠাচ্ছি। তোমরা তাদের কারো কারোকে হত্যা করবে, আর কাউকে বা ক্রুশে দেবে, কাউকে বা তোমরা সমাজ-গৃহে চাবুক মারবে। এক শহর থেকে অন্য শহরে তোমরা তাদের তাড়া করে ফিরবে।

35 “এইভাবে নির্দোষ হেবলের রক্তপাত থেকে শুরু করে বরখায়ার পুত্র সখরিয়, যাকে তোমরা মন্দিরের পবিত্র স্থান ও যজ্ঞবেদীর মাঝখানে হত্যা করেছিলে, সেই দিন থেকে আজ পর্যন্ত যত নির্দোষ ব্যক্তির রক্ত মাটিতে ঝরে পড়েছে, সেই সমস্তের দায় তোমাদের ওপরে পড়বে। 36 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, এই যুগের লোকদের ওপর ঐ সবের শাস্তি এসে পড়বে।

জেরুশালেমের লোকদের উদ্দেশ্যে যীশুর সতর্কবাণী

(লূক 13:34-35)

37 “হায় জেরুশালেম, জেরুশালেম! তুমি, তুমিই ভাববাদীদের হত্যা করে থাক, আর তোমার কাছে ঈশ্বর যাদের পাঠান তাদের পাথর মেরে থাক। মুরগী যেমন তার বাচ্চাদের ডানার নীচে জড়ো করে, তেমনি আমি তোমার লোকদের কতবার আমার কাছে জড়ো করতে চেয়েছি, কিন্তু তোমরা রাজী হও নি। 38 এখন তোমাদের মন্দির পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে থাকবে। 39 বাস্তবিক, আমি তোমাদের বলছি, যে পর্যন্ত না তোমরা বলবে, ‘ধন্য, তিনি যিনি প্রভুর নামে আসছেন, সে পর্যন্ত তোমরা আর আমাকে দেখতে পাবে না।’”(A)

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International