Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Chronological

Read the Bible in the chronological order in which its stories and events occurred.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
যাত্রা 22-24

22 “যে ব্যক্তি ষাঁড় বা মেষ চুরি করেছে তাকে কিভাবে শাস্তি দেবে? যদি সে প্রাণীটিকে হত্যা করে বা বিক্রি করে দেয় তবে সে সেটা ফেরৎ‌ দিতে পারবে না, তাই তাকে একটা চুরি করা ষাঁড়ের বদলে পাঁচটা ষাঁড় কিনে দিতে হবে বা একটা মেষের বদলে চারটি মেষ দিতে হবে। তাকে চুরির জন্য জরিমানা দিতে হবে। 2-4 যদি তার কাছে কিছু না থাকে তাহলে তাকে দাস হিসেবে বিক্রি করে দেওয়া হবে। যদি তুমি লোকটির কাছে জন্তুটিকে দেখতে পাও, তবে চোরকে অবশ্যই চুরি করা জন্তুটির মূল্যের দ্বিগুণ মূল্য দিতে হবে। প্রাণীটি ষাঁড় বা গাধা বা মেষ যাই হোক্ না কেন নিয়ম একই থাকবে।

“যদি সিঁধ কেটে চুরি করার সময় কোনও চোর মারা যায় তবে কেউই দোষী হবে না। কিন্তু যদি এটা দিনের বেলায় হয় তাহলে যে হত্যা করবে সে দায়ী হবে।

“যখন একটি ব্যক্তি তার গৃহপালিত জন্তুদের তার নিজের ক্ষেতে অথবা দ্রাক্ষাক্ষেতে চরতে দেয়, কিন্তু তারা যদি বিপথে গিয়ে অন্য কারো ক্ষেতে অথবা দ্রাক্ষাক্ষেতে চরে বেড়ায় তাহলে তাকে তার ক্ষেতের অথবা দ্রাক্ষাক্ষেতের সবচেয়ে ভালো ফসল দিয়ে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

“কেউ যদি তার প্রতিবেশীর শস্যের গাদা অথবা যে শস্য কাটা হয়নি তা অথবা পুরো ক্ষেতটি পুড়িয়ে ফেলে, তাহলে যা কিছু পুড়ে গেছে তার ক্ষতিপূরণ তাকে দিতে হবে।

“কোনও ব্যক্তি তার টাকা বা অন্য কিছু তার প্রতিবেশীর কাছে রাখতে দিতে পারে। কিন্তু যদি প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে সেই জিনিস চুরি হয়ে যায় তবে কি করবে? চোরকে খুঁজে বার করার চেষ্টা করবে। যদি চোরকে পাওয়া যায় তবে চোর চুরি করা জিনিসের মূল্যের দ্বিগুণ জরিমানা দেবে। যদি চোরকে খুঁজে পাওয়া না যায়, তাহলে ঈশ্বর বিচার করবেন যেখান থেকে চুরি হয়েছে সেই বাড়ির মালিক দোষী কি না। বাড়ির মালিক ঈশ্বরের কাছে যাবে এবং ঈশ্বর বিচার করবেন যে সে কিছু চুরি করেছে কি না।

“যদি কোনও দুই ব্যক্তি উভয়েই কোনও ষাঁড় বা গাধা বা মেষ বা কোনও হারানো বস্তুকে নিজের বলে দাবী করে তাহলে তারা দুজনেই ঈশ্বরের কাছে যাবে। ঈশ্বর যাকে দোষী করবেন সে অপর ব্যক্তিকে সেই জিনিসটির মূল্যের দ্বিগুণ দাম দেবে।

10 “কোনও ব্যক্তি তার কোন প্রাণীর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তার প্রতিবেশীকে অল্প সময়ের জন্য ভার দিতে পারে। সেটা গাধা বা ষাঁড় বা মেষ হতে পারে কিন্তু যদি সেই প্রাণী আহত হয় বা মারা যায় বা কারো অলক্ষ্যে চুরি হয়ে যায় তাহলে কি করবে? 11 তখন সেই প্রতিবেশীকে প্রভুর নামে শপথ করে বলতে হবে যে সে চুরি করে নি। তখন প্রাণীর মালিক সেই শপথ গ্রাহ্য করবে এবং প্রতিবেশীকে সেই মৃত প্রাণীর জন্য কোন জরিমানা দিতে হবে না। 12 কিন্তু যদি সেই প্রতিবেশী চুরি করে থাকে তবে তাকে জরিমানা দিতে হবে। 13 যদি কোন বন্য জন্তু প্রাণীটিকে মেরে ফেলে তবে তার দেহ প্রমাণ হিসেবে দেখাতে হবে। তাহলে প্রতিবেশীকে জরিমানা দিতে হবে না।

14 “যদি কোনও ব্যক্তি তার প্রতিবেশীর কাছ থেকে ধার নেয় তবে সে তার জন্য দায়ী থাকবে। যদি কোন প্রাণী আহত হয় বা মারা যায় তবে প্রতিবেশী প্রাণীর মালিককে জরিমানা দেবে। প্রতিবেশীই দায়ী কারণ মালিক সেখানে উপস্থিত ছিল না। 15 কিন্তু যদি প্রাণীর মালিক সেখানে উপস্থিত থাকে তাহলে প্রতিবেশীকে জরিমানা দিতে হবে না। যদি প্রতিবেশী প্রাণীটিকে ব্যবহারের জন্য টাকা দেয় তাহলে তাকে প্রাণীটি আহত হলে বা মারা গেলে জরিমানা দিতে হবে না। সে ঐ প্রাণীটি ব্যবহারের জন্য যা মূল্য দিয়েছে তাই যথেষ্ট।

16 “যদি, কোনও ব্যক্তি একজন অবাগদত্তা কুমারী মেয়ের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয় তাহলে সে অবশ্যই তার পিতাকে পুরো যৌতুক দেবে এবং তাকে বিয়ে করবে। 17 যদি তার পিতা মেয়েটিকে সেই ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে দিতে নাও চান তাহলেও তাকে মেয়েটির জন্য পুরো অর্থ দিতে হবে।

18 “যদি কোন স্ত্রীলোক দুষ্ট কূহক করে তবে তাকে বাঁচতে দিও না।

19 “কোন মানুষ যদি কোন পশুর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করে তবে তাকে অবশ্যই হত্যা করবে।

20 “যদি কোন ব্যক্তি মূর্ত্তিকে নৈবেদ্য দেয় তবে তাকে হত্যা করবে। তোমরা অবশ্যই কেবলমাত্র প্রভুর কাছেই নৈবেদ্য উৎসর্গ করবে।

21 “মনে রাখবে তোমরা ইতিপূর্বে মিশরে বিদেশী ছিলে তাই তোমরা কোন বিদেশীকে ঠকাবে না বা আঘাত করবে না। 22 “কোন বিধবা বা অনাথ শিশুর কখনও কোনও ক্ষতি করো না। 23 যদি তুমি বিধবা ও অনাথদের নির্যাতন কর তাহলে আমি তাদের দুর্দশার কথা জেনে যাব। 24 এতে আমি রেগে গিয়ে তোমাকে হত্যা করব, যার ফলে তোমার স্ত্রী বিধবা হবে এবং তোমার সন্তানরা অনাথ হবে।

25 “যদি আমার লোকদের মধ্যে কেউ দরিদ্র হয় এবং তাকে তুমি কিছু টাকা ধার দাও, তাহলে ঐ টাকার ওপর কোন সুদ দাবী করো না অথবা তাকে সুদ দিতে বাধ্য করো না। সুদ নিয়ে যে টাকা দেয় তার মতো ব্যবহার করো না। 26 যদি কোনও ব্যক্তি তোমার কাছে ধার শোধ করার প্রমাণ হিসেবে তার গায়ের শীতবস্ত্র বন্ধক রাখে তবে তুমি সূর্যাস্তের আগে তাকে সেটা ফিরিয়ে দেবে। 27 যদি তার শীতবস্ত্র না থাকে তবে সে শীতে কষ্ট পাবে এবং তার কান্না আমি শুনতে পাবো কারণ আমি দয়ালু।

28 “ঈশ্বর বা জনগণের নেতাদের কখনও অভিশাপ দিও না।

29 “ফসল কাটার সময় প্রথম শস্যের দানা ও প্রথম ফলের রস বছরের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা না করেই আমাকে দেবে।

“তোমাদের প্রথম সন্তানকে আমার কাছে উৎসর্গ করবে। 30 তোমাদের প্রথমজাত গরু বা মেষও আমাকে দেবে। প্রথম নবজাতককে তার মায়ের কাছে সাত দিন রেখে অষ্টম দিনে আমাকে দিয়ে দেবে।

31 “তোমরা আমার বিশেষ লোক, কোন বন্য প্রাণীর মেরে ফেলা পশুর মাংস খাবে না। সেই মাংস কুকুরকে খেতে দেবে।

23 “অন্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অপবাদ রটিও না। যদি তুমি আদালতে সাক্ষী দিতে যাও তাহলে একজন খারাপ লোককে সাহায্যের জন্য মিথ্যা সাক্ষ্য দিও না।

“সবাই যা করছে তুমিও তাই করতে যেও না। যদি একটি গোষ্ঠীর মানুষ অন্যায় করে তাহলে তুমিও তাদের দলে গিয়ে ভিড়ে যেও না, বরং তুমি তাদের ইন্ধন না জুগিয়ে যা সঠিক এবং ন্যায্য তাই করো।

“কোন মামলা-মকদ্দমায় কোন দরিদ্র লোককে তোমার বিশেষ অনুগ্রহ করা অবশ্যই উচিৎ‌ নয়।

“যদি কোনও ব্যক্তির বলদ অথবা গাধা হারিয়ে যায় আর তা যদি তুমি খুঁজে পাও তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তুমি হারিয়ে যাওয়া বলদ বা গাধাটিকে তার মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেবে। এমনকি সে যদি তোমার শত্রু হয় তাহলেও তুমি এটাই করবে।

“যদি কোন মালবাহী পশু মালের ভারে আর চলতে না পারার মতো অবস্থায় পৌঁছে যায় তাহলে তুমি সেই পশুটির ভার লাঘব করতে সচেষ্ট হবে। সেই পশুটি যদি তোমার শত্রুও হয় তাহলেও তুমি তা করবে।

“কোনও দরিদ্রের সঙ্গে কোনরকম অন্যায় হতে দিও না। সাধারণ মানুষদের মতোই একই বিধানে সেই দরিদ্রের বিচার হওয়া উচিত।

“কাউকে দোষী হিসেবে চিহ্নিত করার আগে সচেতন থেকো। কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিও না। কোনও নির্দোষ মানুষকে শাস্তি পেতে দেখলে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাবে। যে একজন নির্দোষ মানুষকে হত্যা করে সে একজন পাপী এবং আমি কখনই তাকে ক্ষমা করব না।

“যদি কেউ তোমাকে তার অন্যায় কাজকর্মের সঙ্গী হবার জন্য ঘুষ দিতে চায় তাহলে তুমি সেই ব্যক্তির প্রস্তাব গ্রহণ করবে না। কারণ ঘুষের অর্থ সত্যকে দেখার দৃষ্টি ঢেকে দেয় এবং এই ধরণের ঘুষের অর্থ ভাল মানুষদের মিথ্যা বলতে প্রলুদ্ধ করে।

“কোনও বিদেশীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবে না কারণ এক সময় তোমরা যখন মিশরে ছিলে তোমরাও তখন সে দেশে বিদেশী হিসেবেই বাস করতে।

বিশেষ ছুটির দিন

10 “ছয় বছর ধরে জমিতে চাষ করো, বীজ বোনো, ফসল ফলাও। 11 কিন্তু সপ্তম বছরে আর নিজের জমিকে চাষের জন্য ব্যবহার করবে না। সপ্তম বছরটি হবে জমির বিশেষ বিশ্রামের সময়। তাই জমিতে সে বছর আর কোনও চাষ করবে না। তবু যদি সেই জমিতে কোনও ফসল ফলে তাহলে সেই ফসল গরীব মানুষদের দিয়ে দিতে হবে এবং বাকী যা পড়ে থাকবে তা খেতে দেবে বন্য প্রানীদের। তোমাদের দ্রাক্ষাক্ষেত ও জলপাই গাছগুলির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম খাটাবে।

12 “সপ্তাহে ছদিন কাজ করার পর সপ্তম দিনটি ছুটির দিন হিসাবে ঘোষণা করো। ছুটির দিন শুধু বিশ্রামের জন্য তুলে রাখবে। তুমি অবশ্যই তোমার ক্রীতদাসদের এবং বিদেশীদের এবং এমন কি তোমার গৃহপালিত ষাঁড় এবং গাধাদের সাময়িক অবকাশ দেবে।

13 “এই সমস্ত নিয়মগুলো তুমি সাবধানে মেনে চলবে। অন্য দেবতাদের নামও উচ্চারণ করো না; তোমার মুখে যেন ওগুলো না শুনতে পাওয়া যায়।

14 “তোমাদের জন্য বছরে তিনটি বিশেষ ছুটির দিন থাকবে। তোমাদের আমাকে উপাসনার জন্য নির্দিষ্ট স্থানে আসতে হবে। 15 প্রথম ছুটির দিনটি হবে খামিরবিহীন রুটির উৎসব। আমার নির্দেশ মতো তা পালন করা হবে। এই সময় তোমরা যে রুটি খাবে তা হবে খামিরবিহীন। সাত দিন এইভাবে চলবে। তোমরা এই নির্দেশ পালন করবে আবীব মাসে। কারণ এই সময়ই তোমরা মিশর থেকে ফিরে এসেছিলে। এই আবীব মাসে তোমরা প্রত্যেকে আমাকে উৎসর্গ করার জন্য কিছু না কিছু নিয়ে আসবে।

16 “দ্বিতীয় ছুটির দিনটি হবে ফসল কাটার উৎসব। গ্রীষ্মের প্রথম দিকে এই দ্বিতীয় ছুটির দিন হবে। সে সময় তোমরা ক্ষেতের ফসল কাটবে।

“তৃতীয় ছুটির দিনটি হবে ফসল তোলার উৎসব। বছরের শেষে যখন তোমরা জমি থেকে সব শস্য ঘরে তুলবে তখনই এই উৎসব পালিত হবে।

17 “সুতরাং প্রত্যেক বছরে তিনদিন সকলে সেই নির্দিষ্ট বিশেষ স্থানে জড়ো হয়ে তোমাদের প্রভুর সঙ্গে কাটাবে।

18 “যখন তোমরা পশু বলি দিয়ে তার রক্ত প্রভুর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবে তখন আর খামির দেওয়া রুটি উৎসর্গ করবে না। এবং ঐ বলির মাংস তোমরা একদিনে খেয়ে নেবে, পরের দিনের জন্য জমিয়ে রাখবে না।

19 “ক্ষেত থেকে ফসল তোলার সময় সব ফসল তুলে প্রথমে নিয়ে আসবে তোমাদের ঈশ্বরের গৃহে।

“কোন ছাগ শিশুকে তার মায়ের দুধে ফুটিয়ো না।”

ইস্রায়েলকে তার স্বদেশ ফিরিয়ে দিতে ঈশ্বর সাহায্য করবেন

20 ঈশ্বর বললেন, “দেখ তোমাদের জন্য আমি একজন দূত পাঠাচ্ছি। আমি তোমাদের জন্য যে স্থান নির্বাচন করেছি তোমাদের সেইখানে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমার পাঠানো দূত তোমাদের নেতৃত্ব দেবে। ঐ দূত তোমাদের রক্ষা করবে। 21 ঐ দূতকে অমান্য না করে তাকে অনুসরণ করো। তার বিরুদ্ধে কখনও অসন্তোষ প্রকাশ করো না। ঐ দূতের শরীরে আমার শক্তি আছে; সুতরাং সে কোনরকম অন্যায় বরদাস্ত করবে না। 22 তোমরা তার সব কথা মেনে চলবে। আমার সব কথাও অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে। যদি তোমরা তা করো তাহলে আমি তোমাদের সঙ্গে থাকব। তোমাদের শত্রুদের বিরোধিতা করব এবং যারা তোমার বিরুদ্ধে যাবে আমি তাদেরও শত্রুতে পরিণত হব।”

23 ঈশ্বর বললেন, “আমার প্রেরিত দূত তোমাদের আগে আগে যাবে। সে তোমাদের নেতৃত্ব দেবে—ইমোরীয়, হিত্তীয়, পরিষীয়, কনানীয়, হিব্বীয় ও যিবূষীয়দের বিরুদ্ধে। কিন্তু আমি তাদের প্রত্যেককে পরাজিত করব।

24 “তাদের দেবতাদের তোমরা পূজা করবে না। তোমরা সেইসব দেবতাদের কাছে নতজানু হবে না। তাদের জীবনযাপনের সঙ্গে তোমরা নিজেদের জড়াবে না। তোমরা তাদের মূর্তিদের ধ্বংস করবে এবং তোমরা তাদের দেবতাকে মনে রাখার সমস্ত স্তম্ভ ভেঙ্গে ফেলবে। 25 তোমরা সর্বদা তোমাদের প্রভুর সেবা অবশ্যই করবে। আমি তোমাদের রুটি ও জলকে আশীর্বাদ করব। আমি তোমাদের কাছ থেকে সমস্ত রোগ সরিয়ে নেব। 26 তোমাদের মহিলারা সন্তান ধারণে সক্ষম হয়ে উঠবে। তাদের কেউই সন্তান প্রসবকালে মারা যাবে না। আমি তোমাদের দীর্ঘ জীবন দেব।

27 “তোমরা যখন তোমাদের শত্রুদের সঙ্গে যুদ্ধ করবে তখন আমি তোমাদের শক্তি জোগাবো। তোমাদের শত্রুদের যাতে তোমরা হারাতে পারো তাতে আমি সাহায্য করব। তোমাদের শত্রুরা হতচকিত হয়ে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালাতে শুরু করবে। 28 আমি তোমাদের আগে একটা ভীমরুল[a] পাঠাব। সেই তোমাদের শত্রুদের জোর করে তাড়িয়ে দেবে। হিব্বীয়, কনানীয় ও হিত্তীয়রা তোমাদের দেশ ত্যাগ করে পালাবে। 29 কিন্তু আমি শীঘ্রই ঐ সমস্ত মানুষগুলোকে জোর করে তোমাদের দেশ থেকে তাড়াব না। অন্তত এক বছর আমি ওদের তাড়াব না। কারণ তাহলে খুব তাড়াতাড়ি তোমাদের দেশ জনমানব শূন্য হয়ে পড়বে। ফলে সে সময় বন্য প্রানীরা ঢুকে পড়ে বংশবৃদ্ধির দ্বারা দেশটাকে দখল করে নেবে এবং তখন সেই সমস্ত প্রানীরাই তোমাদের সমস্যা সৃষ্টি করবে। 30 তাই আমি খুব ধীরে ধীরে ঐ মানুষগুলোকে তোমাদের দেশ থেকে তাড়াব। তোমরাও ক্রমশঃ দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে থাকবে আর আমিও ওদের একে একে তাড়াতে থাকব।

31 “সূফ সাগর থেকে ফরাৎ নদী পর্যন্ত সমস্ত জমি তোমাদের দিয়ে দেব। তোমাদের দেশের পশ্চিম সীমান্ত হবে পলেষ্টীয়দের সমুদ্র পর্যন্ত। আর পূর্ব দিকের সীমান্ত হবে আরব দেশের মরুভূমি। এই সীমানার মধ্যে বসবাসকারী প্রত্যেককে আমি তোমাদের দিয়েই পরাজিত করে তাড়িয়ে ছাড়ব।

32 “তোমরা ঐ সমস্ত লোকদের সঙ্গে অথবা তাদের দেবতাদের সঙ্গে কোনরকম চুক্তি করবে না। 33 তাদের তোমাদের দেশে একদম থাকতে দেবে না। যদি থাকতে দাও তাহলে তাদের ফাঁদে পা দিয়ে তোমরা আমার বিরুদ্ধে পাপ করবে এবং তোমরা ঐ লোকদের দেবতাদের পূজা করতে বাধ্য হবে।”

ঈশ্বর এবং ইস্রায়েলের চুক্তি

24 প্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি, হারোণ, নাদব, অবীহূ এবং ইস্রায়েলের 70 জন প্রবীণ নেতৃবৃন্দ পর্বতের ওপর উঠে এসে দূর থেকে আমার উপাসনা করো। কিন্তু মোশি একাই প্রভুর কাছে আসবে। অন্যরা যেন প্রভুর কাছে না যায়। এমনকি বাকী লোকরা মোশির সঙ্গে পর্বতে উঠবে না।”

প্রভুর সমস্ত নির্দেশ ও সমস্ত বিধি মোশি লোকদের বলল। তখন সবাই রাজী হল এবং বলল, “আমরা প্রভুর সমস্ত নির্দেশ মেনে চলব।”

তখন মোশি একটি খাতায় প্রভুর সমস্ত নির্দেশ লিখে রাখল। পরদিন সকালে সে জেগে উঠল এবং পর্বতের পাদদেশে একটি বেদী এবং ইস্রায়েলের দ্বাদশ পরিবারগোষ্ঠী অনুসারে বারোটি স্তম্ভ নির্মাণ করল। তারপর মোশি ইস্রায়েলের যুবকদের পাঠাল প্রভুর বেদীতে কিছু উৎসর্গের জন্য। এই যুবকরা হোমবলি ও মঙ্গল নৈবেদ্য স্বরূপ প্রভুর কাছে ষাঁড়গুলি উৎসর্গ করল।

পশু বলির সময় মোশি পাত্রগুলিতে অর্ধেক রক্ত রাখল এবং বাকী রক্ত বেদীর ওপর ঢেলে দিল।

মোশি তখন খাতাটি নিয়ে তাতে লেখা চুক্তিগুলি চেঁচিয়ে পড়তে থাকল। লোকরা তা শুনে বলে উঠল, “আমরা প্রভুর দেওয়া বিধিগুলি শুনেছি এবং আমরা তা মানতে রাজি আছি।”

তখন মোশি লোকদের মাঝে উঠে দাঁড়াল এবং ঐ পাত্রগুলিতে রাখা রক্ত ছিটিয়ে দিল। সে বলল, “দেখ, এই হচ্ছে সেই রক্ত যা তোমাদের সঙ্গে প্রভুর চুক্তির সূচনা করে। চুক্তিটিকে ব্যাখ্যা করার জন্যই ঈশ্বর তোমাদের জন্য বিধি প্রণয়ন করেছেন।”

এরপর মোশি, হারোণ, নাদব, অবীহূ এবং ইস্রায়েলের 70 জন প্রবীণ নেতৃবৃন্দ সেই পর্বতে চড়ল। 10 পর্বতের ওপর তারা ইস্রায়েলের ঈশ্বরকে দেখতে পেল। ঈশ্বর নীল আকাশের মতো স্বচ্ছ নীলকান্ত মণির রাস্তার ওপরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। 11 ইস্রায়েলের প্রবীণদের প্রত্যেকে ঈশ্বরকে দেখতে পেল। কিন্তু ঈশ্বর তাদের ধ্বংস করেন নি।[b] পরিবর্তে তারা সবাই একত্রে ভোজন ও পান করল।

মোশি ঈশ্বরের বিধির জন্য গেল

12 প্রভু মোশিকে বললেন, “পর্বতের ওপর আমার কাছে এসো এবং ওখানে থাকো। আমি লোকদের জন্য আমার শিক্ষামালা ও বিধিগুলি দুটো প্রস্তর ফলকে লিখে রেখেছি। আমি এই প্রস্তর ফলকগুলি তোমাকে দিতে চাই।”

13 তখন মোশি ও তার পরিচারক যিহোশূয় ঈশ্বরের কাছে যাওয়ার জন্য পর্বতে চড়লো। 14 মোশি প্রবীণ নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে বলল, “এখানে তোমরা আমাদের দুজনের জন্য অপেক্ষা করো। আমরা তোমাদের কাছে ফিরে আসব। আমি যাবার পর তোমাদের কারো কোন সমস্যা হলে হারোণ ও হূরের কাছে যাবে।”

মোশি ঈশ্বরের সাক্ষাৎ পেল

15 মোশি যখন পর্বতে উঠল তখন পর্বত মেঘে আচ্ছন্ন ছিল। 16 সীনয় পর্বতে প্রভুর মহিমা স্থায়ী হল। ছয় দিন পর্বত মেঘে ঢেকে রইল এবং সপ্তম দিনে ঈশ্বর মেঘের ভেতর থেকে মোশির সঙ্গে কথা বললেন। 17 আর তখন ইস্রায়েলের লোকরা প্রভুর মহিমা দেখতে পেল। যেন এক আগুনের গোলা জ্বলছিল পর্বতের চূড়ায়।

18 তখন মোশি মেঘের মধ্যে দিয়েই পর্বতের চূড়ায় উঠতে লাগল। মোশি ঐ পর্বতে 40 দিন ও 40 রাত কাটিয়েছিল।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International