Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Beginning

Read the Bible from start to finish, from Genesis to Revelation.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
ইফিষীয় 4-6

দেহের একতা

আমি প্রভুর বলে কারাগারে বন্দী। ঈশ্বর তোমাদের মনোনীত করেছেন যেন তোমরা তাঁর লোক হতে পার। আমি তোমাদের সেইরকম জীবনযাপন করতে অনুরোধ করি, যেভাবে ঈশ্বরের লোকদের জীবনযাপন করা উচিত। তোমরা সর্বদাই নতনম্র থাক, সহিষ্ণু হও, ভালবেসে একে অপরকে গ্রহণ কর। পবিত্র আত্মা তোমাদের যুক্ত করেছিলেন। সেই একতা রক্ষা করার জন্য সর্বোত্তমভাবে চেষ্টা কর। শান্তি তোমাদের একসঙ্গে ধরে থাকুক। দেহ এক ও আত্মা এক, ঠিক সেইরকমই ঈশ্বর তোমাদের সকলকে এক প্রত্যাশার জন্য আহ্বান করেছেন। কেবল একই প্রভু, এক বিশ্বাস ও এক বাপ্তিস্ম রয়েছে; আর আছেন এক ঈশ্বর যিনি সকলের পিতা। যিনি সকলের ওপরে কর্তৃত্ত্ব করেন। তিনি সর্বত্র আছেন ও সবকিছুতে আছেন।

খ্রীষ্ট আমাদের প্রত্যেককে বিশেষ বিশেষ বরদান দিয়েছেন। যাকে যা দিতে ইচ্ছা করেছেন তাকে তা দিয়েছেন। তাই শাস্ত্র বলছে:

“তিনি উর্দ্ধে আকাশে গেলেন,
    সঙ্গে বন্দীদের নিয়ে গেলেন,
    আর মানুষের হাতে তুলে দিয়ে গেলেন নানা বরদান।”(A)

যখন বলা হয়েছে, “তিনি উর্দ্ধে উঠে গেলেন,” তার অর্থ কি? তার অর্থ এই যে প্রথমে তিনি নিম্নে পৃথিবীতে নেমেছিলেন। 10 সেই জন যিনি নেমে এসেছিলেন (খ্রীষ্ট) তিনি সেই একই ব্যক্তি যিনি আকাশের থেকেও উচ্চে উঠেছিলেন, যাতে সব কিছুই তাঁর দ্বারা পূর্ণ করতে পারেন। 11 সেই খ্রীষ্ট লোকদের বরদান করলেন, তাদের কয়েকজনকে প্রেরিত করলেন, আবার কয়েকজনকে ভাববাদী, কয়েকজনকে সুসমাচার প্রচারক, কয়েকজনকে শিক্ষক ও পালক হবার ক্ষমতা দিলেন। 12 ঈশ্বরের লোকদের প্রস্তুত করার জন্য ও সেবার কাজ সম্পন্ন করার উদ্দেশ্যে খ্রীষ্ট এইসব বরদান করেছেন। খ্রীষ্টের দেহরূপে মণ্ডলীকে গঠন করার জন্য তিনি সেইসব বর দিয়েছেন। 13 যে পর্যন্ত না আমরা ঈশ্বরের পুত্রের বিষয়ে একই বিশ্বাস ও তত্ত্বজ্ঞানে সুষ্ঠভাবে যুক্ত হব, সেই পর্যন্ত এই কাজ চলতে থাকবে। আমাদের পরিণত মানুষের মতো হতে হবে। আমরা ততদিন বৃদ্ধি পেতে থাকব যে পর্যন্ত না খ্রীষ্টের মত হই ও তাঁর মত সম্পূর্ণ সিদ্ধ হই।

14 তখন আমরা আর শিশুর মত থাকব না। জাহাজ যেমন তরঙ্গের দাপটে এদিক ওদিক চালিত হয়, তেমনি আমরা কোন নতুন শিক্ষা দ্বারা আর স্থানচ্যুত হব না; ঠগবাজ লোকের নতুন শিক্ষা দ্বারা আমরা প্রভাবিত হব না। এরা তাদের পরিকল্পনা ও চালবাজি দ্বারা মানুষকে ঠকিয়ে ভুল পথে নিয়ে যায়। 15 আমরা বরং প্রেমের সঙ্গে সত্য কথাই বলব, এইভাবে খ্রীষ্টের মতো সব বিষয়ে আমরা বৃদ্ধিলাভ করব। খ্রীষ্ট হলেন মস্তক, আমরা তাঁর দেহ। 16 সমস্ত দেহটা খ্রীষ্টের ওপর নির্ভরশীল। দেহের সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ পরস্পরের সঙ্গে একত্রে যুক্ত রয়েছে। দেহের বিভিন্ন অঙ্গ যখন তাদের করণীয় কাজ করে, তখন সমস্ত দেহ বৃদ্ধিলাভ করে প্রেমে শক্ত ও দৃঢ় হয়।

সঠিক জীবনযাপনের নির্দেশ

17 প্রভুর হয়ে আমি তোমাদের সতর্ক করে দিচ্ছি, যারা বিশ্বাস করে না এমন লোকদের মতো জীবনযাপন করো না। এমন লোকের চিন্তাধারা মূল্যহীন। 18 তাদের জ্ঞান বুদ্ধি নেই। তারা কিছুই জানে না কারণ শুনতে চায় না। তাই যে জীবন ঈশ্বর তাদের দিতে চান তা থেকে তারা বঞ্চিত থাকে। 19 তাদের মনে লজ্জা বলে কোন অনুভূতিই নেই, তারা মন্দ পথে নিজেদের গা ভাসিয়ে দিয়েছে। বিনা দ্বিধায় তারা সব রকম খারাপ কাজ করে চলে। 20 কিন্তু খ্রীষ্টের কাছ থেকে তোমরা তো এমন মন্দ শিক্ষা পাও নি। 21 আমি জানি তাঁর অনুগামী হিসাবে সেই সত্য অনুসারে তোমাদের শিক্ষা দেওয়া হয়েছিল, যে সত্য খ্রীষ্ট যীশুতে রয়েছে। 22 তোমাদের পুরানো প্রবৃত্তিকে ত্যাগ করতে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। আগে যেভাবে মন্দ জীবনযাপন করতে তা ছাড়তে বলা হয়েছে। সেই পুরানো সত্ত্বা দিন দিন মন্দ থেকে মন্দতর হয়, কারণ লোকরা তাদের মন্দ চিন্তা দ্বারা প্রবঞ্চিত হয়। 23 কিন্তু তোমাদের শেখানো শিক্ষা অনুসারে তোমরা আপন হৃদয়ে পুনরায় নতুন হয়ে ওঠ, 24 এবং সেই নতুন সত্ত্বাকে অবশ্যই পরিধান কর। সেই নতুন সত্ত্বা ঈশ্বরের মত হবার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে, যা সত্যই ভাল এবং পবিত্র।

25 তাই একে অপরের কাছে মিথ্যা বলা বন্ধ কর। “তোমরা অবশ্যই সর্বদা একে অপরের সঙ্গে সত্য কথা বলবে,”(B) কারণ আমরা পরস্পর এক দেহেরই অঙ্গ প্রত্যঙ্গ। 26 “রেগে গেলে তার প্রভাবে যেন পাপ করো না”(C) এবং সারাদিন রাগ করে থেকো না। 27 তোমাকে পরাস্ত করতে দিয়াবলকে কোন রকম সুযোগ নিতে দিও না। 28 যে এক সময় চুরি করত সে যেন আর কখনও চুরি না করে, বরং ভাল কিছু কাজ করতে নিজ হাতে পরিশ্রম করে। সে যেন সবরকম ভাল কাজ করে, তাহলে অভাবী লোকদের সঙ্গে ভাগ করে দেবার জন্যেও তার কিছু থাকবে।

29 অপরের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করার সময় কোন খারাপ কথা বলো না। লোকেদের প্রয়োজনীয় আত্মিক শক্তি দেবার জন্য যা ভাল কেবল তাই-ই বল। এমনভাবে কথা বল যেন তোমার কথায় অপরের উপকার হয়। 30 তোমরা ঈশ্বরের পবিত্র আত্মাকে বিষন্ন করো না। আত্মা ঈশ্বরের কাছে প্রমাণ করে যে তোমরা ঈশ্বরের অধিকারভুক্ত। ঈশ্বরের নিরূপিত সময়ে ঈশ্বর যে তোমাদের মুক্ত করবেন তার প্রমাণস্বরূপ ঈশ্বর সেই আত্মাকে তোমাদের মধ্যে দিয়েছেন। 31 সব রকমের তিক্ততা, রোষ, ক্রোধ, চেঁচামেচি, নিন্দা ও সব রকমের বিদ্বেষভাব তোমাদের থেকে দূরে রাখ। 32 পরস্পরের প্রতি স্নেহশীল হও, পরস্পরকে একইভাবে ক্ষমা কর, যেভাবে ঈশ্বরও খ্রীষ্টে তোমাদের ক্ষমা করেছেন।

তোমরা ঈশ্বরের সন্তান, তিনি তোমাদের ভালবাসেন; তাই ঈশ্বরের মতো হও। ভালবাসাপূর্ণ জীবনযাপন কর। খ্রীষ্ট আমাদের যেমন ভালবেসেছেন তেমনি করে অপরকে ভালবাস। খ্রীষ্ট আমাদের জন্য নিজেকে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে সৌরভযুক্ত বলিরূপে উৎসর্গ করলেন।

তোমাদের মধ্যে যেন ব্যভিচার না থাকে। তোমাদের মধ্যে কোনরকম নৈতিক অশুদ্ধতা ও লোভ যেন না থাকে। কারণ ঈশ্বরের পবিত্র লোকদের মধ্যে এসব থাকা ঠিক নয়। লজ্জাজনক কোন কথাবার্তা তোমাদের মধ্যে যেন না হয়। বোকার মতো কথা বলো না, নোংরা রসিকতা করো না। এইসব তোমাদের উপযুক্ত নয়। তোমাদের উচিত ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেওয়া। একথা তোমাদের নিশ্চিতরূপে জানা ভাল যে যারা যৌন পাপে লিপ্ত অথবা অপবিত্র জীবনযাপন করে অথবা লোভী, তারা খ্রীষ্টের ও ঈশ্বরের রাজ্যে কোন স্থান পাবে না, কারণ যে লোভী সে তো মূর্ত্তি পূজারী।

দেখো, কেউ যেন অসার কথাবার্তা বলে তোমাদের প্রতারিত না করে। যারা অবাধ্য তাদের ওপর ঈশ্বরের ক্রোধ নেমে আসবে। তাই এইসব লোকদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখো না। আমি তোমাদের এসব কথা বলছি, কারণ এক সময় তোমরা অন্ধকারে জীবনযাপন করতে; কিন্তু এখন প্রভুর অনুসারী হয়ে তোমরা আলোয় এসেছ, তাই তোমরা এখন জ্যোতির সন্তানদের মতো জীবনযাপন করো। সবরকমের মঙ্গলভাব, নীতিপরায়ণতা ও সততা জ্যোতির দ্বারা উৎপন্ন হয়। 10 প্রভু কিসে সন্তুষ্ট হন তোমাদের তা শেখা উচিত। 11 যারা অন্ধকারে চলে তাদের মন্দ কাজের অংশীদার হয়ো না। ঐসব কাজে কোন সুফল পাওয়া যায় না। সৎ‌ কাজে লিপ্ত থাকো; অন্ধকারে যা করা হয় তা যে মন্দ তা দেখিয়ে দাও। 12 লোকরা অন্ধকারে গোপনে যেসব কাজ করে তা উচ্চারণ করাও লজ্জার বিষয়। 13 ঐসব বিষয় যে কত মন্দ যখন তা আমরা দেখিয়ে দিই তখন সেই আলোই সব কিছু প্রকাশ করে। 14 যখন সব কিছু সহজেই দেখা যায় তখন সে সব আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে যায়। এই জন্যই বলা হয়েছে:

“হে নিদ্রিত লোক, জাগো!
    আর মৃতদের মধ্যে থেকে ওঠ,
    তাতে খ্রীষ্ট তোমার ওপর আলো বর্ষণ করবেন।”

15 তাই তোমরা কিরকম জীবনযাপন করছ, সেদিকে বিশেষ সতর্ক দৃষ্টি রেখো। র্নির্বোধ লোকদের মত চলো না, কিন্তু জ্ঞানবানের মতো চল। 16 সময় বড় খারাপ, এইজন্য ভাল কিছু করার সুযোগ পেলে তার সদ্বব্যবহার করো। 17 তাই নিজেদের জীবন নিয়ে অবোধের মতো চলো না। বুঝতে চেষ্টা কর যে প্রভু তোমাকে দিয়ে কি কাজ করাতে চান। 18 দ্রাক্ষারস পান করে মাতাল হয়ো না, তাতে আত্মিক জীবন ধ্বংস হয়ে যাবে; তার পরিবর্তে পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হও। 19 গীতসংহিতার স্তোত্র ও আত্মিক সংকীর্তনে তোমরা একে অপরের সাথে আলাপ কর। গাও আর অন্তরে প্রভুর উদ্দেশ্যে সুরেলা সঙ্গীত রচনা কর। 20 আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে সব সময় সব কিছুর জন্য আমাদের ঈশ্বর ও পিতাকে সর্বদা ধন্যবাদ দাও।

স্ত্রী এবং স্বামী

21 স্বেচ্ছায় তোমরা একে অপরের কাছে নত থাক। খ্রীষ্টের প্রতি তোমাদের শ্রদ্ধার জন্য তা কর।

22 বিবাহিতা নারীরা, তোমরা যেমন প্রভুর অনুগত তেমনি তোমাদের স্বামীদের অনুগত থাক। 23 কারণ স্বামী তার স্ত্রীর মস্তকস্বরূপ যেমন খ্রীষ্ট তাঁর মণ্ডলীর মস্তক, তিনি তো তাঁর দেহেরও ত্রাণকর্তা। 24 তাই মণ্ডলী যেমন খ্রীষ্টের অনুগত, তেমনি স্ত্রীরা, তোমরা সব বিষয়ে স্বামীর অনুগত থেকো।

25 স্বামীরা, তোমরাও তোমাদের স্ত্রীদের অনুরূপ ভালবাসো, যেমন খ্রীষ্ট তাঁর মণ্ডলীকে ভালবেসেছেন ও তার জন্য নিজের প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। 26 মণ্ডলীকে পবিত্র করার জন্য খ্রীষ্ট মৃত্যুভোগ করলেন। সুসমাচারের বাক্যরূপ জলে ধুয়ে তাকে পরিষ্কার করলেন, যাতে তিনি তা নিজেকে উপহার দিতে পারেন। 27 খ্রীষ্ট তাকে পরিষ্কার করলেন যাতে সে নিজেকে একজন জ্যোতির্ময়ী বধূ হিসাবে পবিত্র ও অনিন্দনীয়ভাবে উপহার দিতে পারে, যাতে তার কোন কলঙ্ক বা কুজন বা কোন অসম্পূর্ণতা না থাকে।

28 স্বামীরা যেমন নিজেদের দেহকে ভালবাসে তেমনি তারা যেন তাদের স্ত্রীকে ভালবাসে। যে কেউ তার স্ত্রীকে ভালবাসে, সে নিজেকেই ভালবাসে। 29 কারণ কেউ তার নিজের দেহকে ঘৃণা করে না, বরং নিজের দেহকে খাদ্য ইত্যাদি দিয়ে পুষ্ট করে তোলে এবং ভাল করে তার যত্ন নেয়। অনুরূপভাবে খ্রীষ্ট মণ্ডলীকে আহার দেন ও তার যত্ন করেন, 30 কারণ আমরা তাঁর দেহেরই অঙ্গ প্রত্যঙ্গ। 31 শাস্ত্রে যেমন বলছে: “এইজন্য মানুষ তার বাবা-মাকে ছেড়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হবে ও তারা উভয়ে এক দেহ হবে।”(D) 32 এই নিগূঢ় সত্য মহান; আর আমি বলি এটা খ্রীষ্ট ও তাঁর মণ্ডলীর উদ্দেশ্যে প্রযোজ্য। 33 যাইহোক্, তোমরা প্রত্যেকে নিজেদের স্ত্রীকে ভালবাসবে যেমন তোমরা নিজেদের ভালবাস; আর স্ত্রীরও উচিত তার স্বামীকে শ্রদ্ধা করা।

ছেলেমেয়ে এবং বাবা মা

ছেলেমেয়েরা, প্রভু যেভাবে চান সেইভাবে তোমাদের বাবা মাকে মেনে চলো; তোমাদের উচিত তাঁদের বাধ্য হওয়া। আজ্ঞায় আছে, “তোমাদের মা-বাবাকে সম্মান করো।”(E) এটাই হল প্রতিশ্রুতিযুক্ত প্রথম আজ্ঞা। সেই প্রতিশ্রুতি হচ্ছে: “তাহলে সবদিক দিয়ে তোমার মঙ্গল হবে ও তুমি মর্ত্যে দীর্ঘায়ু হবে।”(F)

তোমরা যারা সন্তানের বাবা, আমি তোমাদের বলছি, তোমরা তোমাদের সন্তানদের ক্রুদ্ধ করো না, বরং প্রভু যেমন চান সেইরূপ শাসন করে ও শিক্ষা দিয়ে তাদের মানুষ করে তোল।

ক্রীতদাস এবং মনিব

ক্রীতদাসরা, তোমরা তোমাদের এই জগতের মনিবদের ভয় ও শ্রদ্ধার সঙ্গে মান্য করো। তোমরা যেমন খ্রীষ্টের বাধ্য তেমনি আন্তরিকভাবে ও সত্য হৃদয়ে তাদেরও বাধ্য হও। মানুষের অনুমোদনের জন্য কেবল তাদের চোখের সামনে যে তাদের সেবা করবে তা নয়, বরং খ্রীষ্টের ক্রীতদাসের মতো কাজ করো যে ক্রীতদাসরা ঈশ্বরের ইচ্ছা আন্তরিকভাবে পালন করছে। ক্রীতদাস হিসেবে সমস্ত অন্তর দিয়ে এমনভাবে কাজ কর যেন তুমি মানুষকে নয়, ঈশ্বরকে সেবা করছ। মনে রেখো, তুমি ক্রীতদাস বা স্বাধীন যাই হও না কেন, তোমার সমস্ত ভাল কাজের জন্য প্রভু তোমায় পুরষ্কার দেবেন।

ক্রীতদাসের মনিবরা, তোমাদের বলি, তোমাদের দাসদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করো। তাদের কড়া কথা বলো না। মনে রেখো, তাদের ও তোমাদের প্রভু স্বর্গে আছেন; আর সেই প্রভু সকলকেই সমানভাবে বিচার করেন।

ঈশ্বরের যুদ্ধ সজ্জা পরিধান করো

10 চিঠি শেষ করার আগে তোমাদের এই কথাই বলি, তোমরা প্রভুতে বলবান হও, তাঁরই মহাশক্তিতে শক্তিমান হও। 11 তোমরা ঈশ্বরের দেওয়া সমগ্র যুদ্ধসাজ পরে নাও, যেন দিয়াবলের সমস্ত কৌশলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পার। 12 রক্তমাংসের দেহধারী মানুষের সঙ্গে আমাদের সংগ্রাম নয়; শাসকগণ, কর্তৃত্ত্বের অধিকারীসকল, এই অন্ধকার যুগের মহাজাগতিক ক্ষমতার সঙ্গে এবং স্বর্গরাজ্যের মন্দ শক্তি সমূহের সঙ্গে আমাদের সংগ্রাম। 13 এইজন্যই ঈশ্বরের প্রতিটি যুদ্ধসাজ তোমাদের পরে নেওয়া দরকার, তাহলে শয়তানের আক্রমণের সামনে তোমরা স্থির হয়ে দাঁড়াতে পারবে, এবং যুদ্ধের শেষেও তোমরা দাঁড়িয়ে থাকবে।

14 সুতরাং শক্ত হয়ে দাঁড়াও, কোমর বেঁধে নাও; আর ন্যায়পরায়ণতার ঢালও নাও। 15 দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে সুসমাচারের শান্তির পাদুকা তোমাদের পায়ে পরে নাও। 16 এর দ্বারা তোমরা সেই মন্দ শক্তির সমস্ত রকমের অগ্নিবাণ নিভিয়ে দিতে পারবে; 17 আর পরিত্রাণরূপ শিরস্ত্রাণ ও পবিত্র আত্মার তলোয়ার, অর্থাৎ ঈশ্বরের শিক্ষা সঙ্গে নিও। 18 সবসময় পবিত্র আত্মাতে প্রার্থনা কর। সব রকম প্রার্থনায় প্রার্থনা করে তোমাদের যা প্রয়োজন সে সবই জানাও। এর জন্য সব সময় সজাগ থেকো, কখনও হাল ছেড়ে দিও না। ঈশ্বরের সমস্ত লোকদের জন্য প্রার্থনা কর।

19 আমার জন্য প্রার্থনা কর, যেন সুসমাচার প্রচারের সময় ঈশ্বর আমার মুখে উপযুক্ত কথা যোগান; আর আমি সাহসের সঙ্গে সুসমাচারের গোপন সত্য বলতে পারি। 20 সেই সুসমাচারের পক্ষে আমি কথা বলে চলেছি। এই কারাগারের মধ্যেও আমি সেই কাজ করে যাচ্ছি। প্রার্থনা কর, যেমন উচিত আমি যেন তেমনি নির্ভীকভাবে এই সুসমাচার প্রচার করে যাই।

শেষ শুভেচ্ছা

21 আমাদের প্রিয় ভাই তুখিক, যিনি প্রভুর কাজে একজন বিশ্বস্ত সেবক, তিনিই তোমাদের বলবেন, আমি কেমন আছি এবং কি করছি। 22 তাঁকে আমি তোমাদের কাছে এই জন্য পাঠালাম যেন তোমরা আমাদের সব খবর জানতে পার ও তা জেনে উৎসাহ পাও।

23 ভাইরা, পিতা ঈশ্বর ও প্রভু যীশু খ্রীষ্টের কাছ থেকে বিশ্বাস সহ ভালবাসা ও শান্তি তোমাদের সহবর্তী হোক্। 24 যারা আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে অশেষ ভালবাসায় ভালবাসে, ঈশ্বরের অনুগ্রহ তাদের সকলের সঙ্গে থাকুক।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International