Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Beginning

Read the Bible from start to finish, from Genesis to Revelation.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
রোমীয় 11-13

ঈশ্বর তাঁর লোকদের ভুলে যান নি

11 তাহলে আমি জিজ্ঞাসা করি, “ঈশ্বর কি তাঁর লোকদের দূরে সরিয়ে দিয়েছেন?” নিশ্চয়ই না, কারণ আমিও অব্রাহামের বংশধর, বিন্যামীন গোষ্ঠীর একজন ইস্রায়েলী।

পূর্বেই ঈশ্বর যাদের তাঁর নিজের লোক বলে মনোনীত করেছিলেন তাদের তিনি দূরে সরিয়ে দেন নি। শাস্ত্রে এলিয় সম্বন্ধে কি বলে তোমরা কি জান না? এলিয় যখন ইস্রায়েলীদের বিরুদ্ধে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন, তখন তিনি বললেন, “প্রভু তারা তোমার ভাববাদীদের হত্যা করেছে, তোমার সমস্ত যজ্ঞবেদী ধ্বংস করেছে। আমিই একমাত্র ভাববাদী এখনও জীবিত আছি আর লোকরা আমার প্রাণনাশের চেষ্টা করছে।”(A) কিন্তু ঈশ্বর তখন এলিয়কে কি উত্তর দিয়েছিলেন? ঈশ্বর বললেন, “এখনও আমার সাত হাজার লোককে বাঁচিয়ে রেখেছি, যারা আমার উপাসনা করে। এই সাত হাজার লোক বালের সামনে জানুপাত করে নি।”(B)

ঠিক সেই ভাবেই এখনও কিছু লোক আছে, ঈশ্বর যাদের নিজ অনুগ্রহে মনোনীত করেছেন। ঈশ্বর যদি তাঁর লোকদের অনুগ্রহে মনোনীত করেছেন, তবে তাদের কৃতকর্মের ফলে তারা ঈশ্বরের লোক বলে গন্য হয় নি, কারণ তাই যদি হত তবে ঈশ্বরের অনুগ্রহ আর অনুগ্রহ হত না।

তবে ব্যাপারটি দাঁড়াল এই: ইস্রায়েলীয়রা ঈশ্বরের সাক্ষাতে ধার্মিক প্রতিপন্ন হতে চাইলেও সফলকাম হয় নি। কিন্তু ঈশ্বর যাদের মনোনীত করলেন, তারাই ঈশ্বরের সাক্ষাতে ধার্মিক প্রতিপন্ন হল। বাকি ইস্রায়েলীয়রা তাদের অন্তঃকরণ কঠোর করে তুলল ও ঈশ্বরের কথা অমান্য করল।

শাস্ত্রে তাই লেখা আছে:

“ঈশ্বর তাদের এক জড়তার আত্মা দিয়েছেন।”(C)

“ঈশ্বর তাদের চক্ষু রুদ্ধ করেছেন, তাই তারা চোখে সত্য দেখতে পায় না।
    ঈশ্বর তাদের কান বন্ধ করে দিয়েছেন, তাই তারা কানে সত্য শুনতে পায় না,
এ কথা আজও সত্যি।”(D)

দায়ূদ এ সম্বন্ধে বলেছেন:

“তাদের ভোজ হোক্ ফাঁদের মতো, জালের মতো যা তাদের ধরে।
    তাদের পতন হোক্ ও তারা দণ্ড ভোগ করুক্।
10 তাদের চোখ রুদ্ধ হয়ে যাক্ যাতে তারা দেখতে না
    পায় আর তারা কষ্টের ভারে সর্বদা নুয়ে থাকুক।”(E)

11 আমি বলি ইহুদীরা হোঁচট খেয়েছিল। সেই হোঁচট খেয়ে তারা কি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল? না। বরং তাদের ভুলের জন্যই অইহুদীরা পরিত্রাণ পেয়েছে। এটা ইহুদীদের ঈর্ষাতুর করে তোলার জন্য ঘটেছিল। 12 ইহুদীদের সেই ভুল, জগতের জন্য মহা আশীর্বাদ নিয়ে এসেছে। ইহুদীরা যা হারাল তাদের সেই ক্ষতি অইহুদীদের সমৃদ্ধ করল। তবে একথা নিশ্চিত যে পর্যাপ্ত সংখ্যক ইহুদীরা যদি ঈশ্বরের দিকে মন দেয় তবে জগত কত না আশীর্বাদ পূর্ণ হবে।

13 এখন আমি অইহুদীদের বলছি, আমি অইহুদীদের জন্য একজন প্রেরিত, আর আমি এই কাজ সাধ্যমত করব। 14 আমি আশা রাখি যে আমার স্বজাতীয় ইহুদীদের এতে অন্তর্জ্বালা হবে আর হয়তো সেইভাবে কিছু লোককে আমি সাহায্য করতে পারব, যেন তারা উদ্ধার পায়। 15 ঈশ্বর ইহুদীদের থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে জগতের অন্য লোকদের মিত্র করে নিলেন। তাই ঈশ্বর ইহুদীদের আবার যখন গ্রহণ করবেন তার ফল কি হতে পারে? সে কি মৃতের জীবন পাওয়ার মত অবস্থা হবে না? 16 ময়দার তালের থেকে তৈরী প্রথম রুটি যদি ঈশ্বরকে নিবেদন করা হয় তাহলে পুরো তালটাই পবিত্র; আর একটি গাছের শিকড় পবিত্র হলে তার সব শাখাই পবিত্র হবে।

17 সেই জলপাই গাছের কয়েকটি শাখা ভেঙে গেলে সেই জায়গায় তোমার মত বুনো জলপাইয়ের এক শাখা, ঐ গাছে কলম করে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এখন তুমি আসল জলপাই গাছের বাকী শাখা প্রশাখার সঙ্গে শেকড়ের রস ও জীবনী শক্তি টেনে নিচ্ছ। 18 সুতরাং, তুমি সেই ভাঙা শাখাগুলির চেয়ে নিজেকে উন্নত ভেবে গর্ব করো না; কিন্তু যদি কর তাহলে মনে রেখো যে শেকড়কে তুমি ধারণ করছ না বরং শেকড়ই তোমাকে ধারণ করে আছে। 19 তাহলে তুমি বলতেই পার যে তোমাকে কলম লাগাবার জন্যেই শাখাগুলো ভাঙা হয়েছিল। 20 হ্যাঁ, ঠিক। ঈশ্বরে বিশ্বাস ছিল না বলেই তাদের ভাঙ্গা হয়েছিল, আর তোমার বিশ্বাস ছিল বলেই তুমি সেই গাছের অংশরূপে আছ, এর জন্য গর্ব না করে বরং ভয় কর। 21 ঈশ্বর যখন সেই প্রকৃত শাখাগুলিই কেটে ফেলেছিলেন তখন বিশ্বাস না থাকলে তিনি তোমাকেও রেহাই দেবেন না।

22 তাহলে ঈশ্বরের দয়ার ভাব ও কঠোরভাব দেখ। যারা আর ঈশ্বরের অনুগামী হয় না তাদের তিনি দণ্ড দেন। কিন্তু ঈশ্বর তোমার প্রতি দয়াবান হন যদি তুমি তাঁর দয়ায় অবস্থান করতে থাক। যদি না থাক তাহলে তোমাকে সেই প্রকৃত গাছ থেকে কেটে ফেলা হবে; 23 আর ইহুদীরা যদি ঈশ্বরের কাছে ফিরে আসে, তাঁকে বিশ্বাস করে তবে ঈশ্বর ইহুদীদের আবার গ্রহণ করবেন। তারা যেখানে ছিল ঈশ্বর তাদের সেখানে আবার জুড়ে দেবেন। 24 বুনো জলপাই গাছের শাখা স্বাভাবিকভাবে উত্তম জলপাই গাছে লাগানো হয় না; কিন্তু তোমরা অইহুদীরা বুনো জলপাই গাছের শাখার মত হলেও তোমাদের সকলকে উত্তম জলপাই গাছের সঙ্গে যুক্ত করা হল। সুতরাং ইহুদীরা উত্তম জলপাই গাছের শাখা-প্রশাখা বলে তাদের ভেঙে ফেলা হলেও তাদের নিজস্ব উত্তম গাছের সঙ্গে আবার কত সহজেই না যুক্ত করা যাবে।

25 ভাই ও বোনেরা, আমি চাই যে তোমরা নিগূঢ় সত্য বোঝ যাতে নিজের চোখে নিজেকে জ্ঞানী না মনে কর। এই হল সত্য যে ইস্রায়েলীয়দের কিছু অংশ শক্তগ্রীব হয়েছে। অইহুদীদের সংখ্যা পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ইহুদীদের সেই মনোভাব বদলাবে না। 26 এইভাবে সমগ্র ইস্রায়েলের উদ্ধার হবে। শাস্ত্রে লেখা আছে:

“সিয়োন থেকে ত্রাণকর্তা আসবেন।
    তিনি যাকোবের বংশ থেকে সব অধর্ম দূর করবেন।
27 আর তখন এই লোকদের সব পাপ হরণ করে
    আমি তাদের সঙ্গে আমার চুক্তি স্থাপন করব।”(F)

28 সুসমাচার গ্রহণ করতে অস্বীকার করে ইহুদীরা ঈশ্বরের শত্রু হয়েছে। তোমরা যাঁরা অইহুদী তোমাদের সাহায্য করতেই এমন হয়েছে; কিন্তু বেছে নেবার দিক থেকে ইহুদীরা এখনও ঈশ্বরের মনোনীত লোক। তাদের পিতৃপুরুষদের কাছে ঈশ্বর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেই সুবাদে তিনি তাদের ভালবাসেন। 29 ঈশ্বর কাউকে আহ্বান জানিয়ে ও দান করে অনুশোচনা করেন না। 30 একসময় তোমরা ঈশ্বরের অবাধ্য ছিলে, কিন্তু এখন ইহুদীদের অবাধ্যতার জন্য তোমরা তাঁর করুণা পেয়েছ। 31 ঠিক তেমনই তোমরা করুণা পেয়েছ বলে ইহুদীরা ঈশ্বরের অবাধ্য হয়েছে যাতে ইহুদীরা ঈশ্বরের করুণা পেতে পারে। 32 ঈশ্বর তাদের সকলকেই অবাধ্যতায় বন্দী করে রেখেছেন যাতে তিনি সকলের প্রতি দয়া করতে পারেন।

ঈশ্বরের প্রশংসা

33 হ্যাঁ, ঈশ্বর তাঁর করুণায় কতো ধনবান, তাঁর জ্ঞান ও প্রজ্ঞা কতো গভীর তার বিচারের ব্যাখ্যা কেউ করতে পারে না। তাঁর পথ কেউ বুঝতে পারে না। 34 শাস্ত্রে যেমন বলে,

“প্রভুর মন কে জেনেছে?
    কেই বা তাঁর মন্ত্রণাদাতা হয়েছে?”(G)

35 “আর কে-ই বা প্রথমে ঈশ্বরকে কিছু দান করেছে?
    এমন কে আছে যার কাছে ঈশ্বর ঋণী?”(H)

36 কারণ ঈশ্বরই সবকিছু নির্মাণ করেছেন; সবকিছু তাঁর মধ্য দিয়েই অস্তিত্ব পেয়েছে এবং তাঁর জন্যই রয়েছে। চিরকাল ঈশ্বরের মহিমা অটুট থাকুক! আমেন।

ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে জীবন উৎসর্গ কর

12 ভাই ও বোনেরা, আমার মিনতি এই, ঈশ্বর আমাদের প্রতি দয়া করেছেন বলে তোমাদের জীবন ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে জীবিত বলিরূপে উৎসর্গ কর, তা তাঁর কাছে পবিত্র প্রীতিজনক হোক্। ঈশ্বরের উপাসনা করার জন্য তোমাদের কাছে এ এক আত্মিক উপায়। এই জগতের লোকদের মতো নিজেদের চলতে দিও না, বরং নতুন চিন্তাধারায় নিজেদের পরিবর্তন কর; যেন বুঝতে পার ঈশ্বর কি চান, কোনটা ভাল, কোনটা তাঁকে খুশী করে ও কোনটা সিদ্ধ।

ঈশ্বর আমাকে একটি বিশেষ বর দান করেছেন, তাই তোমাদের মধ্যে প্রত্যেককে আমার কিছু বলার আছে। নিজের সম্বন্ধে যেমন ধারণা থাকা উচিত তার থেকে উঁচু ধারণা পোষণ করো না; কিন্তু ঈশ্বর যাকে যে পরিমাণ বিশ্বাস দিয়েছেন তোমরা সেইমতো নিজেদের সম্বন্ধে ধারণা পোষণ কর। আমাদের সকলের দেহ আছে আর সেই দেহে অনেক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আছে। এই অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলি একই কাজ করে না। ঠিক তেমনই আমরা অনেকে মিলে খ্রীষ্টেতে দেহ গঠন করি। আমরা সেই দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ, একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত।

আর ঈশ্বরের অনুগ্রহ অনুসারেই আমরা ভিন্ন ভিন্ন বরদান পেয়েছি। কেউ যদি ভাববাণী বলার বরদান পেয়ে থাকে তবে সে তার বিশ্বাসের পরিমাণ অনুসারে ভাববাণী বলুক। যার সেবা করবার বরদান আছে সে তা সেবা কর্মেই প্রয়োগ করুক। যে শিক্ষক, সে শিক্ষার দ্বারা লোকদের উৎসাহ দিক। যে উপদেষ্টা, সে উপদেশ দানের কাজ করুক। যার অপরকে সাহায্যদানের ক্ষমতা আছে, সে উদারভাবেই সাহায্য করুক। কর্ত্তৃত্ব যার হাতে সে সযত্নেই কর্ত্তৃত্ব করুক। যে দয়া করে, সে আনন্দের সঙ্গেই তা করুক।

তোমার ভালবাসা অকৃত্রিম হোক। যা মন্দ তা ঘৃণা কর আর যা ভাল তাতে আসক্ত থাক। 10 ভাই বোনের মধ্যে যে পবিত্র ভালোবাসা থাকে সেই ভালোবাসায় তোমরা পরস্পরকে ভালবাস। অপর ভাই বোনেদের নিজের থেকেও বেশী সম্মানের যোগ্য বলে মনে কর। 11 প্রভুর কাজে শিথিল হয়ো না। আত্মায় উদ্দীপ্ত হয়েই তোমরা প্রভুর সেবা কর। 12 আনন্দ কর, কারণ তোমাদের প্রত্যাশা আছে। তোমরা দুঃখকষ্টে সহিষ্ণু হও; নিরন্তর প্রার্থনা কর। 13 তোমাদের যা আছে তা অভাবী ঈশ্বরের লোকদের সঙ্গে ভাগ করে নাও। তোমাদের গৃহে অতিথিদের স্বাগত জানাও।

14 তোমাদের যারা নির্যাতন করে তাদের জন্য প্রার্থনা করো, যেন ঈশ্বর তাদের আশীর্বাদ করেন। তাদের মঙ্গল কামনা কর, অভিশাপ দিও না। 15 তোমরা অপরের সুখে সুখী হও, যারা দুঃখে কাঁদছে তাদের সঙ্গে কাঁদো। 16 তোমরা পরস্পর একপ্রাণ হয়ে শান্তিতে থাক, অহঙ্কারী হয়ো না। যারা দীনহীন মানুষ তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চল। নিজেকে জ্ঞানী মনে করে গর্ব করো না।

17 কেউ অপকার করলে অপকার করে তার প্রতিশোধ নিও না। সকলের চোখে যা ভাল তোমরা তা করতেই চেষ্টা কর। 18 যতদূর পার সকলের সঙ্গে শান্তিতে থাকার চেষ্টা করে যাও। 19 আমার বন্ধুরা, কেউ তোমাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করলে তাকে শাস্তি দিতে যেও না, বরং ঈশ্বরকেই শাস্তি দিতে দাও। শাস্ত্রে প্রভু বলছেন, “প্রতিশোধ নেওয়া আমার কাজ, প্রতিদান যা দেবার আমিই দেব।”(I) 20 কিন্তু তোমরা এই কাজ কর,

“তোমাদের শত্রুরা ক্ষুধার্ত হলে
    তাদের খেতে দাও,
তোমাদের শত্রু তৃষ্ণার্ত হলে
    তাদের জল পান করাও।
এই রকম করলে তোমরা তাকে লজ্জায় ফেলে দেবে।”(J)

21 মন্দের কাছে পরাস্ত হয়ো না, বরং উত্তমের দ্বারা মন্দকে পরাস্ত করো।

13 প্রত্যেক মানুষের উচিত দেশের শাসকদের অনুগত থাকা, কারণ দেশ শাসনের জন্য ঈশ্বরই তাদের ক্ষমতা দিয়েছেন। যারা এমন শাসন কার্য্যে নিযুক্ত, ঈশ্বরই তাদের সেই কাজের ক্ষমতা দিয়েছেন। তাই তো কর্ত্তৃপক্ষের বিরোধিতা যে করে, সে ঈশ্বর যা স্থির করেছেন তারই বিরোধিতা করে। তেমন বিরোধিতা যারা করে তারা নিজেরাই নিজেদের শাস্তি ডেকে আনবে। তোমরা ভাল কাজ করো, শাসকবৃন্দ তোমাদের প্রশংসা করবে। ভয় পাবার কারণ থাকে তাদেরই যারা মন্দ কাজ করে। যদি তোমরা কর্ত্তৃপক্ষের কাছ থেকে ভয় পেতে না চাও, তবে যা ভাল তাই কর।

শাসনকর্তারা আসলে তোমাদের ভালোর জন্য ঈশ্বর নিয়োজিত দাস; কিন্তু তোমরা যদি অন্যায় কর তাহলে ভীত হবার কারণ নিশ্চয় থাকে। শাস্তি দেবার মতো ক্ষমতা শাসকের ওপর ন্যস্ত আছে, তিনি তো ঈশ্বরের দাস; তাই যারা অন্যায় করে, তাদের তিনি ঈশ্বরের হয়ে শাস্তি দেন। তাই তোমরা শাসনকর্তাদের অনুগত থেকো। ঈশ্বরের ক্রোধের ভয়েই যে কেবল তাদের অধীনতা স্বীকার করবে তা নয়, কিন্তু তোমাদের বিবেক পরিষ্কার রাখার জন্যও করবে।

এই জন্য পরস্পরকে তোমরা প্রাপ্য কর দাও, কারণ শাসনকার্য পরিচালনা করার জন্যই তারা ঈশ্বর দ্বারা নিযুক্ত আছেন, আর সেই কার্য্যে তাঁরা ব্যস্তভাবে সময় ব্যয় করেন। তোমাদের কাছে যার যা প্রাপ্য তাকে তা দিয়ে দাও। যে কর আদায় করে তাকে কর দাও; যাদের শ্রদ্ধা করা উচিত তাদের শ্রদ্ধা কর; যাদের সম্মান পাওয়া উচিত তাদের সম্মান কর।

অপরকে ভালবাসাই একমাত্র বিধি-ব্যবস্থা

শুধু পরস্পরের প্রতি ভালবাসার ঋণ ছাড়া কারো কাছে ঋণী থেকো না, কারণ যারা প্রতিবেশীকে ভালবাসে, তারাই ঠিকভাবে বিধি-ব্যবস্থা মেনে চলছে। আমি একথা বলছি কারণ ঈশ্বরের এই আজ্ঞাগুলি অর্থাৎ, “ব্যভিচার করবে না, নরহত্যা করবে না, চুরি করবে না, অপরের জিনিস আত্মসাৎ করবে না”(K) আর অন্য যা কিছু আদেশ তিনি দিয়েছেন সে সবগুলি সংক্ষেপে এই একটি আদেশের মধ্যেই চলে আসে, “নিজের মতো তোমার প্রতিবেশীকে ভালবাসো।”(L) 10 ভালবাসা কখনও কারোর ক্ষতি করে না, তাই দেখা যাচ্ছে ভালবাসাতেই বিধি-ব্যবস্থা পালন করা হয়।

11 এখন কোন্ সময় তা তো তোমাদের জানাই আছে। হ্যাঁ, এখন তো ঘুম থেকে জেগে ওঠার সময়, কারণ যখন আমরা খ্রীষ্টে প্রথম বিশ্বাস করেছিলাম তখন অপেক্ষা এখন পরিত্রাণ আমাদের আরো সন্নিকট। 12 “দিন” শুরু হতে আর দেরী নেই। “রাত” প্রায় শেষ হল তাই জীবন থেকে অন্ধকারের ক্রিয়াসকল পরিত্যাগ করে এস এখন পরিধান করি আলোকের রণসজ্জা। 13 লোকরা দিনের আলোয় যেমন চলে আসে আমরাও তাদের মত সৎ‌ পথে চলি। আমরা যেন হৈ-হল্লা পূর্ণ ভোজে যোগ না দিই, মাতলামি না করি, যৌন দুরাচার, উচ্ছৃঙ্খলতা থেকে দূরে থাকি; বিবাদ, ঈর্ষা ও তর্কের মধ্যে না যাই। 14 কিন্তু যেন নব বেশে প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে পরিধান করি ও দৈহিক কামনা বাসনা চরিতার্থ করার চিন্তায় আর মন না দিই।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International