Beginning
যীশুর শিক্ষাদান
(লূক 6:20-23)
5 যীশু অনেক লোকের ভীড় দেখে একটা পাহাড়ের ওপর উঠে গেলেন। তিনি সেখানে বসলে শিষ্যরা তাঁর কাছে এলেন। 2 এরপর তিনি তাঁদের কাছে শিক্ষা দিতে শুরু করলেন, বললেন:
3 “ধন্য সেই লোকেরা যারা আত্মায় নত-নম্র,
কারণ স্বর্গরাজ্য তাদেরই।
4 ধন্য সেই লোকেরা যারা শোক করে,
কারণ তারা ঈশ্বরের কাছ থেকে সান্ত্বনা পাবে।
5 বিনয়ী লোকেরা ধন্য।
তারা ঈশ্বরের প্রতিশ্রুত দেশের অধিকার লাভ করবে।
6 ধন্য সেই লোকেরা, যারা ন্যায়পরায়ণতার জন্য ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত
কারণ তারা তৃপ্ত হবে।
7 যারা দয়াবান তারা ধন্য,
কারণ তারা দয়া পাবে।
যাদের অন্তর পরিশুদ্ধ তারা ধন্য,
কারণ তারা ঈশ্বরের দর্শন পাবে।
8 ধন্য তারা যারা তাদের চিন্তায় পরিশুদ্ধ,
কারণ তারা ঈশ্বরের সঙ্গে থাকবে।
9 ধন্য তারা যারা শান্তি স্থাপনের জন্য কাজ করে,
কারণ তারা ঈশ্বরের সন্তানরূপে পরিচিত হবে।
10 ঈশ্বরের পথে চলতে গিয়ে যারা নির্যাতন ভোগ করছে তারা ধন্য,
কারণ স্বর্গরাজ্য তাদেরই হবে।
11 “তোমরা আমার অনুসারী হয়েছ বলে যখন লোকে তোমাদের অপমান ও নির্যাতন করে আর তোমাদের নামে মিথ্যা কুৎসা রটায় তখন তোমরা ধন্য। 12 তোমরা আনন্দ করো, খুশী হও, কারণ স্বর্গে তোমাদের জন্য মহাপুরস্কার সঞ্চিত আছে। তোমাদের আগে যে ভাববাদীরা ছিলেন লোকে তাঁদেরও এভাবেই নির্যাতন করেছে।
তোমরা লবন এবং আলোর মতো
(মার্ক 9:50; 4:21; লূক 14:34-35; 8:16)
13 “তোমরা পৃথিবীর লবন, কিন্তু লবন যদি তার নিজের স্বাদ হারায় তবে কেমন করে তা আবার নোন্তা করা যাবে? তখন তা আর কোন কাজে লাগে না। তা কেবল বাইরে ফেলে দেওয়া হয় আর লোকরা তা মাড়িয়ে যায়।
14 “তোমরা জগতের আলো, পাহাড়ের ওপরে কোন শহর, যা কখনও লুকানো যায় না। 15 বাতি জ্বেলে কেউ পাত্রের নীচে রাখে না, তা বাতিদানের ওপরেই রাখে আর তা ঘরের সকলকে আলো দেয়। 16 তেমনি তোমাদের আলোও লোকদের সামনে উজ্জ্বল হোক্, যেন তারা তোমাদের সৎকাজ দেখে তোমাদের স্বর্গের পিতা ঈশ্বরের মহিমা কীর্তন করে।
পুরাতন নিয়ম সম্বন্ধে যীশুর বক্তব্য
17 “ভেবো না যে আমি মোশির বিধি-ব্যবস্থা ও ভাববাদীদের শিক্ষা ধ্বংস করতে এসেছি। আমি তা ধ্বংস করতে আসিনি বরং তা পূর্ণ করতেই এসেছি। 18 আমি তোমাদের সত্যি বলছি আকাশ ও পৃথিবীর লোপ না হওয়া পর্যন্ত বিধি-ব্যবস্থার বিন্দু বিসর্গও লোপ হবে না, বিধি-ব্যবস্থার সবই পূর্ণ হবে।
19 “তাই কেউ যদি এইসব আদেশের মধ্যে অতি সামান্য আদেশও অমান্য করে আর অপরকে তা করতে শিক্ষা দেয়, তবে সে স্বর্গরাজ্যে সব থেকে তুচ্ছ বলে গন্য হবে। কিন্তু যারা বিধি-ব্যবস্থা পালন করে ও অপরকে তা পালন করতে শিক্ষা দেয়, তারা স্বর্গরাজ্যে মহান বলে গন্য হবে। 20 আমি তোমাদের সত্যি বলছি ব্যবস্থার শিক্ষক ও ফরীশীদের থেকে তোমাদের ধার্মিকতা যদি উন্নত মানের না হয় তবে তোমরা স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে না।
ক্রোধ সম্পর্কে যীশুর শিক্ষা
21 “তোমরা শুনেছ, আমাদের পিতৃপুরুষদের কাছে বলা হয়েছিল, ‘নরহত্যা করো না;(A) আর কেউ নরহত্যা করলে তাকে বিচারালয়ে তার জবাবদিহি করতে হবে।’ 22 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, যদি কেউ কোনো লোকের প্রতি ক্রুদ্ধ হয় বিচারে তাকে তার জবাবদিহি করতে হবে। আর কেউ যদি কোন লোককে বলে, ‘ওরে মূর্খ’ (অর্থাৎ নির্বোধ) তবে তাকে ইহুদী মহাসভার সামনে তার জবাব দিতে হবে। কেউ যদি কাউকে বলে ‘তুমি পাষণ্ড,’ তবে তাকে নরকের আগুনেই তার জবাব দিতে হবে।
23 “মন্দিরে যজ্ঞবেদীর সামনে নৈবেদ্য উৎসর্গ করার সময় যদি তোমার মনে পড়ে যে তোমার বিরুদ্ধে তোমার ভাইয়ের কোন অভিযোগ আছে, 24 তবে সেই নৈবেদ্য যজ্ঞবেদীর সামনে রেখে চলে যাও, প্রথমে গিয়ে তার সঙ্গে সে বিষয়ে মিটমাট করে নাও, পরে এসে তোমার নৈবেদ্য উৎসর্গ কোরো।
25 “তোমার শত্রু যদি তোমার বিরুদ্ধে মামলা করতে চায় তবে আদালতে নিয়ে যাবার সময় পথেই তার সঙ্গে তাড়াতাড়ি মিটমাট করে ফেল; তা না হলে সে তোমাকে বিচারকের হাতে তুলে দেবে, বিচারক তোমাকে রক্ষীর হাতে দেবে আর রক্ষীরা তোমাকে কারাগারে পাঠাবে। 26 আমি তোমায় সত্যি বলছি, সেখান থেকে তুমি ছাড়া পাবে না, যতক্ষণ না তোমার দেনার শেষ পয়সাটা চুকিয়ে দাও।
যৌন পাপ বিষয়ে যীশুর শিক্ষা
27 “তোমরা শুনেছ, একথা বলা হয়েছে: ‘যৌনপাপ করো না।’(B) 28 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি কেউ যদি কোন স্ত্রীলোকের দিকে লালসাপূর্ণ দৃষ্টিতে তাকায় তবে সে মনে মনে তার সঙ্গে যৌন পাপ করল। 29 সেই রকম তোমার ডান চোখ যদি পাপ করার জন্য তোমায় প্ররোচিত করে তবে তা উপড়ে ফেলে দাও। সমস্ত দেহ নিয়ে নরকে যাওয়ার চেয়ে বরং তার একটা অংশ হারানো তোমার পক্ষে ভালো। 30 যদি তোমার ডান হাত পাপ করতে প্ররোচিত করে, তবে তা কেটে ফেলে দাও। তোমার সমস্ত শরীর নরকে যাওয়ার চেয়ে বরং তার একটা অঙ্গ নষ্ট হওয়া তোমার পক্ষে ভালো।
বিবাহ বিচ্ছেদ বিষয়ে যীশুর শিক্ষা
(মথি 19:9; মার্ক 10:11-12; লূক 16:18)
31 “আবার বলা হয়েছে, ‘কেউ যদি তার স্ত্রীকে ত্যাগ করতে চায়, তবে তাকে ত্যাগপত্র দিতে হবে।’(C) 32 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, একমাত্র যৌনপাপের দোষ ছাড়া অন্য কোন কারণে কেউ যদি তার স্ত্রীকে ত্যাগ করে, তবে সে তাকে ব্যাভিচারিণী হবার পথে নামিয়ে দেয়। আর যে কেউ স্ত্রীকে বিয়ে করে সেও যৌনপাপ করে।
প্রতিশ্রুতি দান বিষয়ে যীশুর শিক্ষা
33 “তোমরা একথাও শুনেছ, আমাদের পিতৃপুরুষদের বলা হয়েছিল, ‘তোমরা ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে যে সব প্রতিশ্রুতি কর তা ভেঙো না, তোমাদের কথা মতো সে সবই পূর্ণ করো।’[a] 34 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, তোমরা কোন শপথই করো না। স্বর্গের নামে করো না, কারণ তা ঈশ্বরের সিংহাসন। 35 পৃথিবীর নামে শপথ করো না, কারণ পৃথিবী ঈশ্বরের পাদপীঠ। জেরুশালেমের নামেও শপথ করো না, কারণ তা হল মহান রাজার নগরী। 36 এমন কি তোমার মাথার দিব্যিও দিও না, কারণ তোমার মাথার একগাছা চুল সাদা অথবা কালো করার ক্ষমতা তোমার নেই। 37 তোমাদের কথার ‘হ্যাঁ’ যেন ‘হ্যাঁ’ আর ‘না’ যেন ‘না’ হয়, এছাড়া অন্য আর যা কিছু তা মন্দের কাছ থেকে আসে।
প্রতিশোধ নেওয়া বিষয়ে যীশুর শিক্ষা
(লূক 6:29-30)
38 “তোমরা শুনেছ, একথা বলা হয়েছে যে, ‘চোখের বদলে চোখ ও দাঁতের বদলে দাঁত।’(D) 39 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, দুষ্ট লোকদের প্রতিরোধ করো না, বরং কেউ যদি তোমার ডান গালে চড় মারে, তবে তার দিকে অপর গালটিও বাড়িয়ে দিও। 40 কেউ যদি তোমার পাজামা নেবার জন্য আদালতে মামলা করতে চায়; তবে তাকে তোমার ধুতিটাও ছেড়ে দিও। 41 যদি কেউ তার বোঝা নিয়ে তোমাকে এক মাইল পথ যেতে বাধ্য করে, তার সঙ্গে দু মাইল যেও। 42 কেউ যদি তোমার কাছ থেকে কিছু চায়, তাকে তা দিও। তোমার কাছ থেকে কেউ ধার চাইলে তাকে তা দিতে অস্বীকার করো না।
সকলকে ভালবাসো
(লূক 6:27-28, 32-36)
43 “তোমরা তাদের বলতে শুনেছ, ‘তোমার প্রতিবেশীকে ভালবাসো,(E) শত্রুকে ঘৃণা করো।’ 44 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, তোমাদের শত্রুদের ভালবাসো। যারা তোমাদের ওপর নির্যাতন করে তাদের জন্য প্রার্থনা করো, 45 যেন তোমরা স্বর্গের পিতার সন্তান হতে পার। তিনি তো ভাল মন্দ সকলের উপর সূর্য্যালোক দেন, ধার্মিক অধার্মিক সকলের উপর বৃষ্টি দেন। 46 আমি একথা বলছি, কারণ যারা তোমাদের ভালবাসে তোমরা যদি কেবল তাদেরই ভালবাস, তবে তোমরা কি পুরস্কার পাবে? কর আদায়কারীরাও কি তাই করে না? 47 তোমরা যদি কেবল তোমাদের ভাইদেরই শুভেচ্ছা জানাও, তবে অন্যদের থেকে আর বেশী কি করলে? বিধর্মীরাও তো এমন করে থাকে। 48 তাই তোমাদের স্বর্গের পিতা যেমন সিদ্ধ তোমরাও তেমন সিদ্ধ হও।
দান করার বিষয়ে যীশুর শিক্ষা
6 “সাবধান! লোক দেখানো ধর্ম-কর্ম বা ঈশ্বরের কাজ করো না। তাহলে তোমাদের স্বর্গের পিতার কাছ থেকে কোন পুরস্কার পাবে না।
2 “তাই তুমি যখন কোন অভাবী মানুষকে কিছু দাও, তখন তূরী বাজিয়ে তা দিও না। যারা ভণ্ড তারা লোকদের প্রশংসা পাবার আশায় সমাজ-গৃহে ও পথে-ঘাটে ঐভাবে তূরী বাজিয়ে দান করে। আমি বলছি, তাদের পুরস্কার তারা পেয়ে গেছে। 3 কিন্তু তুমি যখন অভাবী লোকদের কিছু দান কর, তখন তোমার ডান হাত কি করছে তা তোমার বাঁ হাতকে জানতে দিও না, 4 যেন তোমার দান গোপনে দেওয়া হয়। তাহলে তোমার পিতা ঈশ্বর যিনি গোপনে সব কিছু দেখেন, তিনি তোমায় পুরস্কার দেবেন।
প্রার্থনার বিষয়ে যীশুর শিক্ষা
(লূক 11:2-4)
5 “তোমরা যখন প্রার্থনা কর, তখন ভণ্ডদের মতো করো না, তারা লোকদের কাছে নিজেদের দেখাবার জন্য সমাজ-গৃহে ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে প্রার্থনা করতে ভালবাসে। আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তারা তাদের পুরস্কার পেয়ে গেছে। 6 কিন্তু তুমি যখন প্রার্থনা কর, তখন তোমার ঘরের ভেতরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে তোমার পিতা যাঁকে দেখা যায় না, তাঁর কাছে প্রার্থনা করো। তাহলে তোমার পিতা যিনি গোপনে যা কিছু করা হয় দেখেন, তিনি তোমাকে পুরস্কার দেবেন।
7 “তোমরা যখন প্রার্থনা কর, তখন বিধর্মীদের মতো একই প্রার্থনার পুনরাবৃত্তি করো না, কারণ তারা মনে করে তাদের বাক্য বাহুল্যের গুনে তারা প্রার্থনার উত্তর পাবে। 8 তাই তোমরা তাদের মতো হয়ো না, কারণ তোমাদের চাওয়ার আগেই তোমাদের পিতা জানেন তোমাদের কি প্রয়োজন আছে। 9 তাই তোমরা এইভাবে প্রার্থনা করো,
‘হে আমাদের স্বর্গের পিতা,
তোমার নাম পবিত্র বলে মান্য হোক্।
10 তোমার রাজত্ব আসুক।
তোমার ইচ্ছা যেমন স্বর্গে তেমনি পৃথিবীতেও পূর্ণ হোক্।
11 যে খাদ্য আমাদের প্রয়োজন তা আজ আমাদের দাও।
12 আমাদের কাছে যারা অপরাধী, আমরা যেমন তাদের ক্ষমা করেছি,
তেমনি তুমিও আমাদের সব অপরাধ ক্ষমা কর।
13 আমাদের প্রলোভনে পড়তে দিও না,
কিন্তু মন্দের হাত থেকে উদ্ধার কর।’[b]
14 তোমরা যদি অন্যদের অপরাধ ক্ষমা কর, তবে তোমাদের স্বর্গের পিতাও তোমাদের ক্ষমা করবেন। 15 কিন্তু তোমরা যদি অন্যদের ক্ষমা না কর, তবে তোমাদের স্বর্গের পিতা তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করবেন না।
উপবাস বিষয়ে যীশুর শিক্ষা
16 “যখন তোমরা উপবাস কর, তখন ভণ্ডদের মতো মুখ শুকনো করে রেখো না। তারা যে উপবাস করেছে তা লোকেদের দেখাবার জন্য তারা মুখ শুকনো করে ঘুরে বেড়ায়। আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তারা তাদের পুরস্কার পেয়ে গেছে। 17 কিন্তু তুমি যখন উপবাস করবে, তোমার মাথায় তেল দিও আর মুখ ধুয়ো। 18 যেন অন্য লোকে জানতে না পারে যে তুমি উপবাস করছ। তাহলে তোমার পিতা ঈশ্বর, যাঁকে তুমি চোখে দেখতে পাচ্ছ না, তিনি দেখবেন। তোমার পিতা ঈশ্বর যিনি গোপন বিষয়ও দেখতে পান, তিনি তোমায় পুরস্কার দেবেন।
ঈশ্বর অর্থের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ
(লূক 12:33-34; 11:34-36; 16:13)
19 “এই পৃথিবীতে তোমরা নিজেদের জন্য ধন-সম্পদ সঞ্চয় করো না। এখানে ঘুন ধরে ও মরচে পড়ে তা নষ্ট হয়ে যায়, আর চোরে সিঁধ কেটে তা চুরিও করতে পারে। 20 বরং স্বর্গে তোমার জন্য সম্পদ সঞ্চয় কর, সেখানে ঘুন ধরবে না, মরচেও পড়বে না, চোরেও চুরি করবে না। 21 তোমার ধন-সম্পদ যেখানে রয়েছে, তোমার মনও সেখানে পড়ে থাকবে।
22 “চোখই দেহের প্রদীপ, তাই তোমার চোখ যদি নির্মল হয়, তোমার সারা দেহও উজ্জ্বল হবে। 23 কিন্তু তোমার চোখ যদি অশুচি হয়, তবে তোমার সমস্ত দেহ অন্ধকারে ছেয়ে যাবে। তোমার মধ্যেকার আলো যদি অন্ধকারাচ্ছন্নই হয়, তবে সে অন্ধকার নিজে কি ভীষণ।
24 “কোন মানুষ দুজন কর্তার দাসত্ব করতে পারে না। সে হয়তো প্রথম জনকে ঘৃণা করবে ও দ্বিতীয় জনকে ভালবাসবে অথবা প্রথম জনের প্রতি অনুগত হবে ও দ্বিতীয় জনকে তুচ্ছ করবে। ঈশ্বর ও ধন-সম্পত্তি এই উভয়ের দাসত্ব তোমরা করতে পারো না।
ঈশ্বরের রাজ্যই প্রথম বিষয়
(লূক 12:22-34)
25 “তাই আমি তোমাদের বলছি, বেঁচে থাকার জন্য কি আহার করব বা কি পান করব এ নিয়ে চিন্তা করো না। আর কি পরব একথা ভেবে দেহের বিষয়েও চিন্তা করো না। খাদ্যের চেয়ে জীবন কি মূল্যবান নয়, অথবা পোশাকের চেয়ে দেহটা কি মূল্যবান নয়? 26 আকাশের পাখীদের দিকে একবার তাকাও, দেখ, তারা বীজ বোনে না বা ফসলও কাটে না, অথবা গোলা ঘরে নিয়ে গিয়ে তা জমাও করে না। তোমাদের স্বর্গের পিতা ঈশ্বর তাদের আহার যোগান। তোমরা কি ওদের থেকে আরও মূল্যবান নও? 27 তোমাদের মধ্যে কে ভাবনা চিন্তা করে নিজের আয়ু এক ঘন্টা বাড়াতে পারে?
28 “পোশাকের বিষয়েই বা কেন এত চিন্তা কর? মাঠের লিলি ফুলগুলির দিকে চেয়ে দেখ কিভাবে তারা ফুটে উঠেছে। তারা পরিশ্রম করে না, নিজেদের জন্য পোশাকও তৈরী করে না। 29 কিন্তু আমি তোমাদের সত্যি বলছি, রাজা শলোমন তার সমস্ত জাঁকজমক সত্ত্বেও তার পোশাকে ঐ ফুলগুলির একটির মতোও নিজেকে সাজাতে পারে নি। 30 মাঠে যে ঘাস আছে আর কাল উনুনে ফেলে দেওয়া হবে, ঈশ্বর যখন তাদের এত সুন্দর করে সাজান, তখন হে অল্প বিশ্বাসী লোকেরা, তিনি কি তোমাদের আরও সুন্দর করে সাজাবেন না?
31 “তোমরা এই বলে চিন্তা করো না, ‘আমরা কি খাবো?’ বা ‘কি পান করবো?’ বা ‘কি পরবো’? 32 বিধর্মীরাই এসব নিয়ে চিন্তা করে। তোমাদের স্বর্গের পিতা ঈশ্বর তো জানেন এসব জিনিসের তোমাদের প্রয়োজন আছে। 33 তাই তোমরা প্রথমে ঈশ্বরের রাজ্যের বিষয়ে ও তাঁর ইচ্ছা কি তা পূর্ণ করতে চেষ্টা কর, তাহলে তোমাদের যা কিছু প্রয়োজন সে সব দেওয়া হবে। 34 কালকের জন্য চিন্তা করো না; কালকের চিন্তা কালকের জন্য থাক। প্রতিটি দিনের পক্ষে সেই দিনের কষ্টই যথেষ্ট।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International