Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Beginning

Read the Bible from start to finish, from Genesis to Revelation.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
আদি 38-40

যিহূদা ও তামর

38 সেই সময় যিহূদা তার ভাইদের ছেড়ে হীরা নামে একটি লোকের সঙ্গে বাস করতে গেল। হীরা ছিলেন অদুল্লমীয় শহরের লোক। সেখানে যিহূদা এক কনানীয় স্ত্রীলোককে দেখতে পেয়ে তাকে বিয়ে করল। মেয়েটির পিতার নাম ছিল শূয়। কনানীয় মেয়েটি একটি পুত্রের জন্ম দিয়ে তার নাম রাখল এর। পরে সে আরেকটি পুত্রের জন্ম দিয়ে তার নাম রাখল ওনন। পরে তার শেলা নামে আরেকটি পুত্র হল। তৃতীয় পুত্রের জন্মের সময় যিহূদা কষীবে বাস করছিল।

যিহূদা তামর নামে এক কন্যাকে এনে তার সঙ্গে প্রথম পুত্র এরের বিয়ে দিল। কিন্তু এর অনেক মন্দ কাজ করায় প্রভু তার প্রতি অসন্তুষ্ট হলেন এবং তাকে হত্যা করলেন। তখন যিহূদা এরের ভাই ওননকে বলল, “যাও তোমার মৃত ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে শয়ন কর। তার স্বামী হও। নিজের ভাই এরের জন্য বংশ উৎপন্ন কর।”

ওনন বুঝল মিলনের ফলে সন্তান-সন্ততি হলে তা তার হবে না। ওনন তাই যৌন সঙ্গম করল। সে তার শরীরের অভ্যন্তরে বীর্য্য ত্যাগ করল না। 10 এই কাজে প্রভু ক্রুদ্ধ হলেন এবং ওননকেও মেরে ফেললেন। 11 তখন যিহূদা তার বৌমা তামরকে বলল, “যাও, তোমার পিতার বাড়ী ফিরে যাও। যে পর্যন্ত না আমার ছোট পুত্র শেলা বড় হয় সে পর্যন্ত বিয়ে না করে সেখানেই থাক।” যিহূদা আসলে ভয় পেয়েছিলেন, ভেবেছিলেন অন্য ভাইদের মতো হয়তো শেলাও মারা যাবে। তামর তার পিতার বাড়ী ফিরে গেল।

12 পরে যিহূদার স্ত্রী, শূয়ের কন্যার মৃত্যু হল। শোকের সময় গেলে যিহূদা তার অদুল্লমীয় বন্ধু হীরার সাথে মেষদের লোম ছাঁটতে তিম্নায় গেল। 13 তামর জানতে পারল যে তার শ্বশুর তিম্নায় তাঁর মেষদের লোম ছাঁটতে যাচ্ছেন। 14 তামর বিধবা বলে যে কাপড় পরত তা খুলে ফেলে অন্য কাপড় পরল ও তার মুখ ওড়না দিয়ে ঢাকল। তারপর সে তিম্নার কাছে অবস্থিত ঐনয়িম শহরের দিকে যে রাস্তা চলে গেছে তার ধারে বসল। তামর জানত যে যিহূদার ছোট পুত্র শেলা এখন বড় হয়েছে কিন্তু তবু শেলার সাথে তার বিয়ে দেবার কোন পরিকল্পনাই যিহূদা করে নি।

15 যিহূদা সেই পথে যেতে যেতে তাকে দেখে ভাবল বোধ হয় বেশ্যা। (বেশ্যার মত তার মুখ ওড়না দিয়ে ঢাকা ছিল।) 16 যিহূদা তার কাছে গিয়ে বলল, “এস আমার সাথে শোও।” (যিহূদা জানত না যে এই ছিল তামর, তার পুত্রবধূ।)

সে বলল, “আমায় কত দেবেন?”

17 যিহূদা উত্তর করল, “আমার পশুপাল থেকে তোমার জন্য একটা বাচ্চা ছাগল পাঠিয়ে দেব।”

সে বলল, “ঠিক আছে। কিন্তু ছাগলটা পৌঁছাবার আগে আমার কাছে কিছু বন্ধক রাখুন।”

18 যিহূদা জিজ্ঞেস করল, “তোমাকে যে ছাগল পাঠাব তার প্রমাণ হিসাবে তুমি আমার কাছে কি চাও?”

তামর বলল, “চিঠিতে মারবার তোমার ঐ মোহর, ও তার সুতো এবং হাঁটার ছড়িটাও আমায় দাও।” যিহূদা তাকে ঐ জিনিসগুলো দিল। তারপর যিহূদা ও তামর সহবাস করলে তামর গর্ভবতী হল। 19 তামর ঘরে ফিরে মুখের ওড়নাটা খুলে ফেলে বিধবার সাজে সাজল।

20 পরে যিহূদা তার বন্ধু হীরাকে ঐনয়িমে পাঠাল সেই বেশ্যাকে ছাগলটা দিতে। যিহূদা হীরাকে আরও বলল যেন সে তার কাছ থেকে সেই মোহর ও ছড়িটা নিয়ে আসে। কিন্তু হীরা তাকে খুঁজে পেল না। 21 হীরা ঐনয়িম শহরের লোকদের জিজ্ঞাসা করল, “রাস্তার ধারে বসে থাকা বেশ্যাটা কোথায়?”

লোকে উত্তর দিল, “এখানে কখনই কোন বেশ্যা ছিল না তো।”

22 তাই যিহূদার বন্ধু ফিরে এসে বলল, “সেই স্ত্রীলোককে খুঁজে পেলাম না। সেখানকার লোকজন বলল সেখানে কোন বেশ্যা কখনই ছিল না।”

23 তাই যিহূদা বলল, “সেইসব জিনিস তার কাছেই থাকুক। আমি চাই না যে লোক আমাদের নিয়ে হাসে। আমি ছাগলটা তাকে দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু খুঁজে পেলাম না। এটাই যথেষ্ট।”

তামর গর্ভবতী হল

24 তিন মাস পরে কেউ একজন যিহূদাকে বলল, “তোমার পুত্রবধু তামর বেশ্যার কাজ করেছে আর এখন সে গর্ভবতী হয়েছে।”

তখন যিহূদা বলল, “তাকে বাইরে নিয়ে এসে পুড়িয়ে দাও।”

25 সেই লোকটি তামরকে হত্যা করতে এলে সে তার শ্বশুরকে এক খবর পাঠাল। তামর বলল, “যে লোকটি আমায় গর্ভবতী করেছে এই জিনিসগুলি তার। এই জিনিসগুলির দিকে দেখ। এগুলো কার? এই মোহর ও সুতো কার? এই ছড়িটা কার?”

26 যিহূদা সেই জিনিসগুলো চিনতে পেরে বলল, “সেই ঠিক। আমারই ভুল হয়েছে। আমি আমার পুত্র শেলাকে দেব বলে প্রতিজ্ঞা করেও তাকে দিই নি।” এরপর যিহূদা কিন্তু তার সাথে আর সহবাস করল না।

27 তামরের প্রসবের সময় উপস্থিত হলে তারা দেখল তার যমজ সন্তান হতে চলেছে। 28 প্রসবের সময় একটা বাচ্চা তার হাত বার করলে ধাইমা তার হাতে একটা লাল সুতো বাঁধল আর বলল, “এই বাচ্চাটা আগে জন্মাবে।” 29 কিন্তু বাচ্চাটা তার হাত গুটিয়ে নিলে অন্য বাচ্চাটা প্রথমে জন্মাল। তাই সেই ধাইমা বলল, “তুমি প্রথমে ঠেলে বেরিয়ে আসতে পেরেছ!” তাই তারা তার নাম পেরস রাখল। 30 এরপর অন্য শিশুটির জন্ম হল, যার হাতে লাল সুতো বাঁধা ছিল। তারা এর নাম রাখল সেরহ।

যোষেফকে মিশরে পোটীফরের কাছে বিক্রী করা হল

39 বণিকরা যারা যোষেফকে কিনেছিল, তারা তাকে মিশরে নিয়ে গেল এবং ফরৌণের রক্ষকদের সেনাপতি পোটীফরের কাছে বিক্রি করে দিল। কিন্তু প্রভু যোষেফকে সাহায্য করলেন। যোষেফ সফলকর্মা হলেন। যোষেফ সেই মিশরীয় পোটীফরের অর্থাৎ‌ তার মনিবের বাড়ীতেই বাস করতেন।

পোটীফর দেখলেন যে প্রভু যোষেফের সাথে রয়েছেন এবং যোষেফ যা কিছু করেন তাতেই তিনি তাকে সফল হতে দেন। সেইজন্য পোটীফর খুশী হয়ে যোষেফকে তাঁর নিজের বাড়ীর অধ্যক্ষ করে তারই হাতে সব কিছুর ভার দিলেন। যোষেফকে সেই বাড়ীর অধ্যক্ষ করা হলে প্রভু পোটীফরের বাড়ী এবং তাঁর সব কিছুকে আশীর্বাদ করলেন। যোষেফের জন্যই প্রভু একাজ করলেন। আর তিনি পোটীফরের ক্ষেতে যা জন্মাত তাকেও আশীর্বাদযুক্ত করলেন। তাই পোটীফর তাঁর বাড়ীর সব কিছুর ভারই যোষেফের হাতে দিয়ে দিলেন, কেবল নিজের খাবারটা ছাড়া আর কিছুরই জন্য তিনি চিন্তিত ছিলেন না।

যোষেফ পোটীফরের স্ত্রীকে প্রত্যাখ্যান করলেন

যোষেফ ছিলেন অত্যন্ত রূপবান ও সুদর্শন পুরুষ। কিছু সময় পরে যোষেফের মনিবের স্ত্রীও তাঁকে পছন্দ করতে শুরু করল। একদিন সে তাকে বলল, “আমার সঙ্গে শোও।”

কিন্তু যোষেফ প্রত্যাখ্যান করে বললেন, “আমার মনিব জানেন তাঁর বাড়ীর প্রতিটি বিষয়ের প্রতি আমি বিশ্বস্ত। তিনি এখানকার সব কিছুরই দায়-দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন। আমার মনিব আমাকে এই বাড়ীতে প্রায় তাঁর সমান স্থানেই রেখেছেন। আমি কখনই তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে শুতে পারি না। এটা মারাত্মক ভুল কাজ! ঈশ্বরের বিরুদ্ধে পাপ কাজ।”

10 স্ত্রীলোকটি রোজই যোষেফকে এ কথা বলত, কিন্তু যোষেফ রাজী হতেন না। 11 একদিন যোষেফ নিজের কাজ করতে বাড়ীর ভেতরে গেলেন। সেই সময় সেই বাড়ীতে কেবল একা তিনিই ছিলেন। 12 তাঁর মনিবের স্ত্রী সেই সময় তাঁর কাপড় টেনে ধরে বলল, “আমার সঙ্গে বিছানায় এস।” কিন্তু যোষেফ সেই বাড়ী থেকে এত দ্রুত দৌড়ে পালাল যে জামাটা স্ত্রীলোকটির হাতেই রয়ে গেল।

13 স্ত্রীলোকটি দেখল যে যোষেফ তার হাতেই জামাটা ফেলে বাড়ীর বাইরে দৌড়ে বেরিয়ে গেছে। তাই সে চিন্তা করে ঠিক করল যা ঘটেছে সে সম্বন্ধে মিথ্যা কথা বলবে। 14 সে তার বাড়ীর ভৃত্যদের ডেকে বলল, “দেখ! এই ইব্রীয় ক্রীতদাসকে কি আমাদের নিয়ে ঠাট্টা করার জন্য এখানে আনা হয়েছে? সে ভিতরে এসে আমাকে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু আমি চেঁচিয়ে উঠলাম। 15 আমার চিৎকারে সে ভয় পেয়ে পালাল। কিন্তু সে তার জামাটা ফেলে গেছে।” 16 তারপর তার স্বামী অর্থাৎ‌ যোষেফের মনিব আসা পর্যন্ত সে সেই জামাটা তার কাছে রেখে দিল। 17 স্বামীকেও সে ঐ একই ঘটনা বলল। সে বলল, “যে ইব্রীয় দাসটিকে তুমি এখানে এনেছ, সে আমাকে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিল। 18 কিন্তু সে আমার কাছে আসতেই আমি চিৎকার করে উঠলাম। সে দৌড়ে পালাল বটে কিন্তু তার জামাটা ফেলে গেল।”

19 যোষেফের মনিব তাঁর স্ত্রীর সব কথা শুনে ক্রুদ্ধ হলেন। 20 তাই রাজার শত্রুদের যে কারাগারে রাখা হত, পোটীফর যোষেফকে সেইখানে রাখলেন। যোষেফ সেখানে রইলেন।

যোষেফ কারাগারে

21 কিন্তু প্রভু যোষেফের সঙ্গে ছিলেন। প্রভু যোষেফের প্রতি দয়া করে চললেন। কিছুদিন পরে সেই কারাগারের রক্ষকদের প্রধানের কাছে তিনি প্রিয় হলেন। 22 সেই কারাগারের সমস্ত বন্দীদের ভার যোষেফের হাতে দিলেন। সেই পদে অধিষ্ঠিত যে কোন পদাধিকারী স্বাভাবিকভাবে যা করেন, যোষেফ তাই করতেন। 23 সুতরাং যোষেফের অধীনের কোন কাজই কারাধিকারীকে তত্ত্বাবধান করতে হত না। এটা হয়েছিল কারণ প্রভু তাঁর সঙ্গে ছিলেন এবং তাঁকে সব কাজে সফল করেছিলেন।

যোষেফ দুটি স্বপ্নের ব্যাখ্যা করলেন

40 পরে ফরৌণের দুই ভৃত্য ফরৌণের প্রতি কিছু অন্যায় কাজ করল। এই ভৃত্যরা ছিল তাঁর রুটিওয়ালা ও দ্রাক্ষারস পরিবেশনকারী। ফরৌণ প্রধান রুটিওয়ালা ও দ্রাক্ষারস পরিবেশনকারীর উপর ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন। তাই ফরৌণ তাদের যোষেফের সাথে একই কারাগারে রাখলেন। পোটীফর, ফরৌণের কারারক্ষকদের প্রধান সেই কারাগারের দায়িত্বে ছিলেন। প্রধান কারারক্ষক সেই দুই বন্দীকে যোষেফের পরিচর্যার অধীনে রাখলেন। সেই দুইজন লোকই কিছু সময় সেই কারাগারে রইল। একদিন রাত্রে দুই বন্দীই স্বপ্ন দেখল। (এই দুই বন্দী ছিল মিশরের রাজার রুটিওয়ালা ও দ্রাক্ষারস পরিবেশনকারী।) প্রত্যেক বন্দীই ভিন্ন ভিন্ন স্বপ্ন দেখল এবং প্রতিটি স্বপ্নের নিজস্ব অর্থ ছিল। পরের দিন সকালে যোষেফ তাদের কাছে গিয়ে দেখলেন যে তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ। যোষেফ জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমাদের এত বিষন্ন দেখাচ্ছে কেন?”

লোক দুটি উত্তর করল, “গত রাতে আমরা স্বপ্ন দেখেছি কিন্তু স্বপ্নের অর্থ বুঝছি না। সেই স্বপ্নের অর্থ বলার বা তা বুঝিয়ে দেবার কেউ নেই।”

যোষেফ তাদের বললেন, “ঈশ্বরই একজন যিনি বোঝেন ও স্বপ্নের অর্থ বলতে পারেন। তাই আমার অনুরোধ, তোমাদের স্বপ্নগুলো বল।”

দ্রাক্ষারস পরিবেশকের স্বপ্ন

সুতরাং দ্রাক্ষারস পরিবেশক যোষেফকে তার স্বপ্ন বলল, “আমি স্বপ্নে একটা দ্রাক্ষালতা দেখলাম। 10 সেই লতায় তিনটে শাখা ছিল। আমি দেখলাম শাখাগুলিতে ফুল হল এবং দ্রাক্ষা ফলল। 11 আমি ফরৌণের পানপাত্র ধরেছিলাম, তাই সেই দ্রাক্ষাগুলোকে সেই কাপে নিঙড়ে নিলাম। তারপর সেই পানপাত্র ফরৌণকে দিলাম।”

12 তখন যোষেফ বললেন, “সেই স্বপ্নের অর্থ আমি তোমায় বলছি। তিনটি শাখার অর্থ তিন দিন। 13 তিন দিন শেষ হবার আগেই ফরৌণ তোমায় ক্ষমা করে আবার তোমাক কাজে বহাল করবেন। তুমি ফরৌণের জন্য আগে যে কাজ করতে তাই-ই করবে। 14 কিন্তু তুমি ছাড়া পেলে আমায় স্মরণ করো। আমার প্রতি দয়া করো। ফরৌণকে আমার সম্বন্ধে বলো যাতে আমি কারাগার থেকে বেরিয়ে আসতে পারি। 15 আমাকে জোর করে আমার নিজের জায়গা, ইব্রীয়দের দেশ থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কারাগারে থাকার মত কোন অন্যায়ই আমি করি নি।”

রুটিওয়ালার স্বপ্ন

16 রুটিওয়ালা দেখল অন্য ভৃত্যের স্বপ্নটা ভাল। তখন সে যোষেফকে বলল, “আমিও একটা স্বপ্ন দেখেছি। দেখলাম আমার মাথায় রুটির তিনটে ঝুড়ি রয়েছে। 17 উপরের ঝুড়িতে সব রকমের সেঁকা খাবার ছিল। সেই খাবার রাজার জন্য ছিল কিন্তু পাখীরা ঐ খাবার খেতে লাগল।”

18 যোষেফ বললেন, “আমি তোমাকে স্বপ্নের অর্থ বলছি। তিনটে ঝুড়ির অর্থ তিন দিন। 19 তিন দিনের মধ্যে রাজা তোমাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেবেন। তিনি তোমার শিরশ্ছেদ করে একটা বাঁশের মাথায় ঝুলিয়ে দেবেন। আর পাখীরা তোমার দেহের মাংস খাবে।”

যোষেফের কথা মনে রইল না

20 তৃতীয় দিনটা ছিল ফরৌণের জন্ম দিন। ফরৌণ তাঁর সব দাসদের জন্য ভোজের আয়োজন করলেন। সেই সময়ে ফরৌণ রুটিওয়ালা ও দ্রাক্ষারস পরিবেশককে কারাগার থেকে মুক্তি দিলেন। 21 ফরৌণ পানপাত্র বাহককে মুক্তি দিয়ে পুনরায় তাকে তার কাজে নিয়েগ করলেন। আর সেই পানপাত্র বাহক আবার ফরৌণের হাতে পানপাত্র দিতে লাগল। 22 কিন্তু ফরৌণ রুটিওয়ালাকে ফাঁসি দিলেন। যোষেফ যেমনটি বলেছিলেন সেরকম ভাবেই সব ঘটনা ঘটল। 23 কিন্তু সেই পানপাত্র বাহকদের যোষেফকে সাহায্য করার কথা মনে রইল না। সে যোষেফের বিষয় ফরৌণকে কিছুই বলল না, যোষেফের কথা ভুলে গেল।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International