Book of Common Prayer
সয়িন
49 প্রভু আমার প্রতি আপনার প্রতিশ্রুতির কথা মনে রাখবেন।
সেই প্রতিশ্রুতি আমাকে আশা দেয়।
50 আমি দুর্দশাগ্রস্ত ছিলাম, আপনি আমায় স্বস্তি দিয়েছেন।
আপনার বাক্য আমাকে পুর্নবার বাঁচতে দিয়েছে।
51 যারা ভাবে ওরা নিজেরা আমার চেয়ে ভালো, তারা আমাকে ক্রমাগত অপমান করেছে।
কিন্তু আমি আপনার শিক্ষা অনুসরণ করা থেকে বিরত হই নি।
52 আমি সর্বদাই আপনার প্রাজ্ঞ সিদ্ধান্তসমূহ স্মরণ করি।
প্রভু আপনার প্রাজ্ঞ সিদ্ধান্ত আমায় সান্ত্বনা দেয়।
53 যখন দেখি, দুর্জন মানুষ আপনার শিক্ষা অনুসরণ করা থেকে বিরত হয়েছে,
তখন আমি ক্রুদ্ধ হই।
54 আপনার বিধিগুলোই আমার গৃহে[a] সঙ্গীত।
55 প্রভু, রাতে আমি আপনার নাম স্মরণ করি।
56 এটা সম্ভব হয়েছে তার কারণ,
আমি যত্ন করে আপনার আজ্ঞা পালন করি।
হেৎ
57 প্রভু, আপনার আজ্ঞা পালন করাকেই আমার জীবনের কর্তব্য বলে স্থির করেছি।
58 প্রভু, আমি সম্পূর্ণভাবে আপনার ওপর নির্ভর করি।
আপনার প্রতিশ্রুতি মত আমার প্রতি সদয় হোন।
59 নিজের জীবন সম্পর্কে আমি খুব সতর্কভাবে চিন্তা করেছি
এবং আমি আপনার চুক্তিতে ফিরে এসেছি।
60 কোনও বিলম্ব না করে আমি আপনার আজ্ঞাগুলি পালন করার জন্য তাড়াতাড়ি ফিরে এসেছি।
61 একদল মন্দ লোক আমার সম্পর্কে বাজে কথা বলেছে।
কিন্তু প্রভু, আমি আপনার শিক্ষামালাকে ভুলিনি।
62 আপনার সুসিদ্ধান্তর জন্য,
মাঝ রাতে উঠে আমি আপনাকে ধন্যবাদ দিই।
63 যারা আপনার উপাসনা করে
আমি তাদের প্রত্যেকের কাছে বন্ধুস্বরূপ।
64 প্রভু, আপনার প্রকৃত প্রেম পৃথিবীকে পূর্ণ করে।
আমায় আপনার বিধিগুলো শেখান।
টেট
65 হে প্রভু, আমার জন্য, আপনার এই দাসের জন্য আপনি অনেক মঙ্গল করেছেন।
যা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আপনি ঠিক তাই করেছেন।
66 প্রভু, প্রাজ্ঞ সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আমায় প্রজ্ঞা দিন।
আমি আপনার আজ্ঞাসমুহ বিশ্বাস করি।
67 দুর্দশায় পড়ার আগে আমি অনেক ভুল কাজ করেছি।
কিন্তু এখন আমি যত্ন করে আপনার আজ্ঞা পালন করি।
68 হে ঈশ্বর, আপনি মঙ্গলময় এবং আপনি ভালো কাজসমূহ করেন।
আপনার বিধিগুলো আমায় শেখান।
69 লোকরা যারা ভাবে ওরা আমার চেয়ে ভালো তারা আমার সম্পর্কে বাজে কথা এবং মিথ্যা কথা বলেছে।
কিন্তু সমস্ত অন্তর দিয়ে আমি আপনার আজ্ঞা পালন করে গেছি।
70 ঐ সব লোক খুবই নির্বোধ।
কিন্তু আমি আপনার শিক্ষামালার অধ্যয়ন উপভোগ করেছি।
71 আমি যে ভুগেছিলাম তা ভালোই হয়েছিল,
কারণ আমি আপনার বিধিগুলো শিখেছিলাম।
72 প্রভু, আপনার শিক্ষামালাগুলো আমার পক্ষে হিতকর।
তারা 1000 খণ্ড সোনা ও রূপোর চেয়েও উত্তম।
পরিচালকের প্রতি: কোরহ পরিবার থেকে একটি গীত।
49 হে জাতিসকল, তোমরা শোন।
পৃথিবীর সকল মানুষ, তোমরা শোন।
2 ধনী দরিদ্র প্রত্যেকটি লোক, তোমরা শোন।
3 আমি তোমাদের অত্যন্ত জ্ঞানের
এবং চিন্তনের কথা কিছু বলবো।
4 আমি নিজে এই কাহিনীগুলি শুনেছি।
এখন আমার বীণার সহযোগে গান গেয়ে, সেই বাণী আমি তোমাদের কাছে প্রকাশ করবো।
5 যদি সংকট আসে কেন আমি ভীত হব?
যদি দুষ্ট লোকেরা আমাকে ঘিরে থাকে এবং আমাকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টায় থাকে, আমি কেন ভয় পাবো?
6 কিছু লোক ভাবে তাদের শক্তি এবং সম্পত্তি তাদের রক্ষা করবে।
প্রকৃতপক্ষে ওরা বোকা লোক।
7 কোন লোকরা, বন্ধু, তোমাকে বাঁচাতে পারবে না।
লোকরা ঈশ্বরকে উৎকোচ দিতে পারে না।
8 নিজের জীবনকে কিনে ফেলার মত
যথেষ্ট টাকা একটা মানুষ কখনই পাবে না।
9 নিজের কবরের পচন থেকে শরীরকে রক্ষা করার মত
এবং চিরকাল বেঁচে থাকার অধিকার কেনার মত
টাকা একটা মানুষ কখনই পাবে না।
10 দেখ, জ্ঞানী লোকরা বোকা এবং অজ্ঞ লোকের মতই মরে।
অন্য লোকরা তাদের সম্পদ নিয়ে যায়।
11 চিরদিনের জন্য ওদের কবর ওদের ঘর হয়।
যদিও জীবিত অবস্থায় তাদের অনেক জমি ছিল।
12 লোকরা ধনী হয়ে যেতে পারে কিন্তু চিরদিন তারা এখানে থাকবে না।
আর পাঁচটা পশুর মত তারাও মরবে।
13 যারা তাদের সম্পদ নিয়ে তুষ্ট হবে,
সেই বোকা লোকদের ঐ পরিণতিই হবে।
14 ওই সব লোক মেষের মত।
ওদের কবরের মধ্যে রাখা হবে, মৃত্যু ওদের শাসন করবে।
তারপর সেই সকালে সৎ লোকরাই জয়ী হবে, অন্যদিকে অহঙ্কারী লোকদের দেহ
তাদের সুদৃশ্য ঘর থেকে বহু দূরে কবরের মধ্যে নীরবে পচে যাবে।
15 কিন্তু প্রভু আমায় মৃত্যু থেকে মুক্তি দেবেন এবং আমার জীবনকে রক্ষা করবেন।
যখন তিনি আমাকে তাঁর সঙ্গে নিয়ে যাবেন, তখন তিনি আমায় কবরের দুর্ভোগ থেকে রক্ষা করবেন!
16 মানুষ শুধুমাত্র ধনী বলে ওদের ভয় পেও না।
তাদেরও ভয় পেও না যাদের খুব সুদৃশ্য বাড়ী আছে।
17 মৃত্যুর সময় তারা কোন জিনিসই সঙ্গে নিয়ে যাবে না।
ঐসব সুন্দর জিনিসের মধ্যে একটাও সঙ্গে নিয়ে যাবে না।
18 একজন সম্পদশালী লোক তার ইহজীবনে যে সাফল্য লাভ করেছে, সে বিষয়ে সে নিজেকে অভিনন্দন জানাতে পারে।
এমনকি নিজের জন্য সে যা করেছে, তার জন্য অন্য লোকও তার গুণগান করতে পারে।
19 কিন্তু এমন সময় আসবে যখন তাকে মরতে হবে,
এবং মৃত্যুলোকে গিয়ে তাকে তার পূর্বপুরুষদের সঙ্গে থাকতে হবে।
আর কোনদিন সে দিনের আলো দেখবে না।
20 লোকেরা খুব ধনশালী হতে পারে, কিন্তু তবু তারা প্রকৃত সত্য হৃদয়ঙ্গম করতে পারে না।
কিন্তু নিছক একটা প্রাণীর মত তাদেরও মরতে হবে।
পরিচালকের প্রতি: মহলৎ এর ওপর দায়ূদের একটি মস্কীল।
53 একমাত্র বোকারা ভাবে ঈশ্বর বলে কিছু নেই।
এই ধরণের লোকরা দুর্নীতিগ্রস্ত, দুর্জন এবং ক্ষতিকর,
ওরা ভাল কিছু করে না।
2 প্রকৃতপক্ষে একজন ঈশ্বর আছেন
যিনি স্বর্গ থেকে আমাদের লক্ষ্য করছেন।
ঈশ্বর সেইসব জ্ঞানী মানুষের খোঁজ করছেন যারা ঈশ্বরের খোঁজ করে!
3 কিন্তু প্রত্যেকে ঈশ্বরের থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে।
প্রত্যেকটি লোকই খারাপ।
কেউ ভাল কিছু করে না।
না, একটা লোকও না।
4 ঈশ্বর বলেন, “ওই সব মন্দ লোকরা নিশ্চয় জানে সত্য কী!
কিন্তু ওরা আমার কাছে প্রার্থনা করে না।
দুষ্ট লোকরা এমনভাবে আমার লোকদের গ্রাস করে যেন ওরা খাবার খাচ্ছে।”
5 ঐসব মন্দ লোক এমন আতঙ্কিত হবে, যে আতঙ্কের অভিজ্ঞতা ওদের আগে কখনও হয় নি!
ঐ মন্দ লোকরা ইস্রায়েলের শত্রু।
ঈশ্বর ঐ মন্দ লোকদের বাতিল করে দিয়েছেন।
তাই ঈশ্বরের লোকরা ওদের পরাজিত করবে এবং ওদের হাড়গুলো ঈশ্বর দ্বারা ছিন্নভিন্ন হবে।
6 ঈশ্বর, ইস্রায়েলের জন্য
সিয়োন পর্বতে জয় নিয়ে আসুন!
ঈশ্বর যখন তাঁর লোকদের নির্বাসন থেকে ফিরিয়ে আনবেন
তখন যাকোবের লোকরা যেন আনন্দ করে।
দারিয়াবসের আদেশ
6 তখন রাজা দারিয়াবস তাদের কথার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রাচীন রাজাদের নথিপত্র খুঁজে দেখার নির্দেশ দিলেন। এই সমস্ত নথিপত্র বাবিলে কোষাগারে রক্ষিত হত। 2 ভালভাবে অনুসন্ধান করে (মাদীয় প্রদেশের অক্মথা) দুর্গে প্রাচীন তুলোট কাগজে লেখা একটি সরকারি নথি পাওয়া গেল যাতে রাজা কোরস জেরুশালেমে মন্দির নির্মাণের জন্য আদেশ দিয়েছিলেন।
নথিতে এইরূপে লেখা ছিল: 3 কোরস তাঁর রাজা হওয়ার প্রথম বছরে জেরুশালেমের মন্দির সম্পর্কে নির্দেশ দিয়েছিলেন। আদেশটি ছিল এইরূপ:
ঈশ্বরের জন্য মন্দিরটি আবার বানানো হোক্। এই মন্দিরে ঈশ্বরের জন্য উৎসর্গ নিবেদন করা হবে। এই মন্দিরের ভিত্তি স্থাপন করা হোক্। মন্দিরটি 90 ফুট চওড়া ও উচ্চতায় 90 ফুট হবে। 4 মন্দিরকে ঘিরে তিন সারি বড় পাথরের দেওয়াল ও একসারি বড় কাঠের গুঁড়ির দেওয়াল থাকবে। মন্দির নির্মাণের ব্যয় বহন হবে রাজার কোষাগার থেকে। 5 নবূখদ্নিৎসর যে সব সোনা এবং রূপো লুণ্ঠন করে বাবিলে নিয়ে এসেছিলেন সেগুলি সব অবশ্যই ঈশ্বরের মন্দিরে ফেরৎ পাঠাতে হবে।
6 আমি, দারিয়াবস,
ফরাৎ নদীর পশ্চিমাঞ্চলের রাজ্যপাল তত্তনয়কে, শথর-বোষণয়কে ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের জেরুশালেম থেকে সরে যেতে আদেশ দিচ্ছি। 7 এই ঈশ্বরের মন্দির নির্মাণের কাজ বন্ধ করবার চেষ্টা করো না। কর্মীদের বিরক্ত করো না। ইহুদীদের রাজ্যপাল এবং ইহুদীদের নেতারা আদিস্থানের ওপর মন্দির পুনর্নির্মাণ করুক।
8 এখন আমি এই আদেশ করছি যে তোমরা এসব কাজ ইহুদী নেতাদের জন্য করবে, যারা মন্দির নির্মাণের কাজে লিপ্ত। মন্দির নির্মাণের খরচ আসবে রাজার কোষাগার থেকে এবং ঐ অর্থ আসবে ফরাৎ নদীর পশ্চিম পারের অঞ্চলে সংগৃহীত কর থেকে। এইসব নির্দেশগুলি তাড়াতাড়ি পালন কর যাতে কাজটি বন্ধ না হয়ে যায়। 9-10 স্বর্গের ঈশ্বরের মন্দিরে উৎসর্গ করবার জন্য যা যা লাগবে সবই ওদের দাও। জেরুশালেমের যাজকদের যদি ষাঁড়, মেষ, পাঁঠা, এমন কি গম, নুন, দ্রাক্ষারস অথবা তেল এসবের প্রয়োজন হয় তবে এসবই ওদের প্রত্যেক দিন দিও; এর যেন অন্যথা না হয়। তাহলে তারা হয়ত স্বর্গের ঈশ্বরকে সুগন্ধ সম্বলিত হোম উৎসর্গ করবে এবং ঈশ্বরের কাছে আমার ও আমার পুত্রদের জন্য প্রার্থনা করবে।
11 আমি এও আদেশ দিচ্ছি, কেউ যদি এই আদেশ বদলে দেয় তবে তার বাড়ীর থেকে একটি কড়ি কাঠ খুলে নেওয়া হবে, এবং সেই ব্যক্তিকে ঐ কড়ি কাঠে ফাঁসি দেওয়া হবে এবং তার বাড়ীটি ধ্বংস করে একটি বারোয়ারী শৌচালয়ে পরিনত করা হবে।
12 ঈশ্বর তাঁর নাম জেরুশালেমে রেখে দেবেন। কোন রাজা অথবা দেশ অথবা কেউ যদি এই আদেশ বদলাবার চেষ্টা করে অথবা জেরুশালেমে মন্দির ধ্বংস করবার চেষ্টা করে তাহলে যেন ঈশ্বর তাদের পরাজিত ও ধ্বংস করেন।
আমি, দারিয়াবস এই আদেশ দিয়েছি। এই আদেশ অতি সত্ত্বর এবং সম্পূর্ণভাবে পালন করা চাই।
মন্দির নির্মাণের সমাপ্তি ও উৎসর্গীকরণ
13 তখন ফরাৎ নদীর পশ্চিমাঞ্চলের রাজ্যপাল তত্তনয়, শথর-বোষণয় ও তাঁর লোকরা রাজা দারিয়াবসের আদেশ তাড়াতাড়ি ও পুরোপুরিভাবে মেনে নিলেন। 14 ইহুদীদের প্রবীণরা ভাববাদী হগয় ও ইদ্দোর পুত্র সখরিয়ের ভবিষ্যৎ বাণীর দ্বারা অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত হয়ে মন্দির নির্মাণের কাজ চালিয়ে গেলেন। ইস্রায়েলের ঈশ্বরের আদেশ অনুসারে এবং পারস্যের বিভিন্ন রাজা কোরস, দারিয়াবস এবং অর্তক্ষস্তের নির্দেশ পালন করে তাঁরা মন্দির নির্মাণের কাজে সাফল্যলাভ করেছিলেন। 15 দারিয়াবসের রাজত্বের ষষ্ঠ বছরের অদর মাসের তৃতীয় দিনে মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছিল।
16 ইস্রায়েলের বাসিন্দারা মন্দির উৎসর্গীকরণের উৎসবটি আনন্দ সহকারে পালন করল। বন্দীদশা থেকে মুক্তি পাওয়া সমস্ত যাজকগণ ও লেবীয়রাও উৎসবে যোগদান করলেন।
17 100টি ষাঁড়, 200টি মেষ, 400টি পুরুষ মেষশাবক বলি দিয়ে মন্দিরটিকে প্রভুর উদ্দেশ্যে উৎসর্গীকৃত করা হল। এছাড়াও ইস্রায়েলের পাপস্খালনের জন্য 12টি ছাগল বলি দেওয়া হল। ইস্রায়েলের 12টি পরিবারের প্রত্যেকটির জন্য 12টি ছাগল উৎসর্গ করা হয়েছিল। 18 এরপর তারা জেরুশালেমের মন্দিরে ঈশ্বরের সেবার জন্য তাদের দল অনুযায়ী মোশির পুস্তকে লিপিবদ্ধ নির্দেশ অনুযায়ী যাজকগণ ও লেবীয়দের বেছে নিলেন।
নিস্তারপর্ব
19 প্রথম মাসের চৌদ্দ দিনের মাথায় বন্দীদশা থেকে ফিরে আসা ইহুদীরা নিস্তারপর্ব পালন করলেন। 20 যাজক ও লেবীয়রা সকলে পরিচ্ছন্ন হয়ে বিশেষ দিনটির জন্য প্রস্তুত হলেন। লেবীয়রা বন্দীদশা থেকে ফিরে আসা ইহুদীদের সকলের জন্য, তাঁদের নিজেদের জন্য এবং তাঁদের যাজক ভাইদের জন্য নিস্তারপর্বের উৎসর্গীকৃত মেষটিকে বলি দিলেন। 21 এরপর বন্দীদশা থেকে ইস্রায়েলে ফিরে আসা সকলে মিলে সেই মেষের মাংস গ্রহণ করলেন। ঐ শহরের অন্য লোকরাও ঐ দেশেরই বাসিন্দা অন্য লোকদের অপবিত্রতা থেকে নিজেদের পবিত্র করে ঐ মেষের মাংস গ্রহণ করলেন। তাঁরা সকলে ঈশ্বরের সামনে প্রার্থনা করার জন্য নিজেদের পবিত্র করলেন। 22 এই সমস্ত ব্যক্তিরা সাতদিন ধরে মহানন্দে খামিরবিহীন রুটির উৎসব পালন করলেন। ঈশ্বর তাদের সকলকে আনন্দিত করে তুললেন কারণ তিনি অশূররাজের মনোবৃত্তিতে পরিবর্তন এনেছিলেন এবং তার ফলে অশূর-রাজ[a] তাঁদের ইস্রায়েলের ঈশ্বরের মন্দির নির্মাণের কাজে সমর্থন জানিয়েছিলেন।
পুঁথি খোলার যোগ্যতা কার আছে?
5 সিংহাসনে যিনি বসেছিলেন তাঁর ডানহাতে আমি একটি পুঁথি[a] দেখলাম যার ভেতরে ও বাইরে উভয়দিকে লেখা ও তা সাতটি মোহর দিয়ে সীলমোহর করে বন্ধ করা ছিল। 2 আর আমি এক শক্তিমান স্বর্গদূতকে দেখলাম, যিনি চিৎকার করে বলছেন, “এটি খুলতে পারে ও তার সীলমোহরগুলি ভাঙতে পারে কার এমন যোগ্যতা আছে?” 3 কিন্তু স্বর্গে, পৃথিবীতে অথবা পৃথিবীর নীচে কেউ পুস্তকটি না পারল খুলতে, না পারল তার ভেতরে কি আছে তা দেখতে। 4 সেই পুঁথিটি খোলবার ও তার ভেতরে দেখবার যোগ্য কাউকে পাওয়া গেল না দেখে আমি অঝোরে কাঁদতে থাকলাম। 5 তখন সেই প্রাচীনদের মধ্যে একজন আমাকে বললেন, “তুমি কেঁদো না! দেখ, যিনি যিহূদা বংশের সিংহ, দায়ূদের বংশধর, তিনি বিজয়ী হয়েছেন, তিনি সাতটি সীলমোহর ভাঙ্গার ও পুঁথিটি খোলার যোগ্য হয়েছেন।”
6 পরে আমি দেখলাম ঐ সিংহাসনের সামনে চার জন প্রাণীর সঙ্গে এবং প্রাচীনদের সঙ্গে এক মেষশাবক দাঁড়িয়ে আছেন; সেই মেষশাবককে এমন দেখাচ্ছিল যেন তাঁকে বধ করা হয়েছে। তাঁর সাতটি শৃঙ্গ ও সাতটি চক্ষু, সেই চক্ষুগুলি হল ঈশ্বরের সপ্ত আত্মা যাদের পৃথিবীর সর্বত্র পাঠানো হয়েছে। 7 এরপর সেই মেষশাবক এসে যিনি সিংহাসনে বসে আছেন তাঁর হাত থেকে সেই পুঁথিটি নিলেন। 8 তিনি যখন পুঁথিটি নিলেন, তখন ঐ চারজন প্রাণী ও চব্বিশজন প্রাচীন মেষশাবকের সামনে ভূমিষ্ট হয়ে প্রণাম করলেন। তাঁদের প্রত্যেকের কাছে ছিল একটি করে বীণা ও সোনার বাটিতে সুগন্ধি ধূপ, সেই ধূপ হচ্ছে ঈশ্বরের পবিত্র লোকদের প্রার্থনাস্বরূপ। 9 তাঁরা মেষশাবকের জন্য এক নতুন গীত গাইছিলেন:
“তুমি ঐ পুঁথিটি নেবার
ও তার সীলমোহর ভাঙার যোগ্য,
কারণ তুমি বলি হয়েছিলে;
আর তোমার রক্ত দিয়ে সমস্ত উপজাতি, ভাষা, সম্প্রদায় ও জাতির মধ্য থেকে
ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে লোকদের কিনেছ।
10 তুমি তাদের নিয়ে এক রাজ্য গড়েছ ও আমাদের ঈশ্বরের যাজক করেছ
আর তারা সমস্ত পৃথিবীতে রাজত্ব করবে।”
শিক্ষার সময় যীশু কেন দৃষ্টান্ত দিতেন
(মার্ক 4:10-12; লূক 8:9-10)
10 যীশুর শিষ্যরা তাঁর কাছে এসে বললেন, “কেন আপনি দৃষ্টান্তের মাধ্যমে লোকদের সঙ্গে কথা বললেন?”
11 এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, “স্বর্গরাজ্যের বিষয়ে ঈশ্বরের গুপ্ত সত্য বোঝার ক্ষমতা কেবল মাত্র তোমাদেরই দেওয়া হয়েছে, কিন্তু সকলকে এ ক্ষমতা দেওয়া হয় নি। 12 কারণ যার কিছু আছে, তাকে আরও দেওয়া হবে, তাতে তার প্রচুর হবে; কিন্তু যার নেই, তার যা আছে তাও তার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হবে। 13 আমি তাদের সঙ্গে দৃষ্টান্তের মাধ্যমে কথা বলি, কারণ তারা দেখেও দেখে না, শুনেও শোনে না আর তারা বোঝেও না। 14 এদের এই অবস্থার মধ্য দিয়েই ভাববাদী যিশাইয়র ভাববাণী পূর্ণ হয়েছে:
‘তোমরা শুনবে আর শুনবে,
কিন্তু বুঝবে না।
তোমরা তাকিয়ে থাকবে,
কিন্তু কিছুই দেখবে না।
15 এইসব লোকদের অন্তর অসাড়,
এরা কানে শোনে না,
চোখ থাকতেও সত্য দেখতে অস্বীকার করে।
এরকমটাই ঘটেছে যেন এরা চোখে দেখে,
কানে শুনে
আর অন্তরে বুঝে
ভাল হবার জন্য আমার কাছে ফিরে না আসে।’(A)
16 কিন্তু ধন্য তোমাদের চোখ, কারণ তা দেখতে পায়; আর ধন্য তোমাদের কান, কারণ তা শুনতে পায়। 17 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমরা যা দেখছ অনেক ভাববাদী ও ধার্মিক লোকেরা দেখতে চেয়েও তা দেখতে পায় নি। আর তোমরা যা যা শুনছ, তা তারা শুনতে চেয়েও শুনতে পায় নি।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International