Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Book of Common Prayer

Daily Old and New Testament readings based on the Book of Common Prayer.
Duration: 861 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
গীতসংহিতা 97-98

97 প্রভু শাসন করেন, তাই পৃথিবী সুখী।
    দূরদূরান্তের ভূখণ্ডও সুখী।
ঘন কালো মেঘ প্রভুকে ঘিরে রয়েছে।
    সুবিচার এবং ধার্ম্মিকতা তাঁর রাজ্যকে দৃঢ় করে।
একটা আগুন প্রভুর আগে আগে যায়
    এবং তাঁর শত্রুদের ধ্বংস করে।
তাঁর বিদ্যুৎ আকাশে ঝলক দিয়ে ওঠে।
    তা দেখে লোকে ভয় পায়।
পর্বতও প্রভুর সামনে মোমের মত গলে যায়।
    সমগ্র পৃথিবীর প্রভুর সামনে তারা গলে যায়!
আকাশ তাঁর ধার্ম্মিকতার কথা বলে!
    প্রত্যেকে তাঁর মহিমা দেখুক!

লোকরা তাদের মূর্ত্তিকে পূজা করে।
    ওরা ওদের “দেবতার” বড়াই করে।
কিন্তু ওই লোকগুলো লজ্জিত হবে।
    ওদের “দেবতারাই” মাথা নত করে প্রভুর উপাসনা করবে।
সিয়োন, শোন এবং সুখী হও!
    যিহূদার শহরসমূহ, সুখী হও!
    কেন? কারণ ঈশ্বর যথাযথ সিদ্ধান্ত নেন।
হে পরাৎ‌‌পর প্রভু, প্রকৃতই আপনি পৃথিবীর শাসনকর্তা।
    “দেবতাদের” চেয়ে আপনি অনেক ভালো।
10 যারা প্রভুকে ভালোবাসে, তারা মন্দকে ঘৃণা করবে।
    ঈশ্বর তাঁর অনুগামীদের মন্দ লোকদের হাত থেকে রক্ষা করেন।
11 ধার্ম্মিক লোকদের ওপর আলো ও সুখ উদ্ভাসিত হয়।
12 হে ধার্ম্মিক লোকরা, প্রভুতে সুখী হও!
    তাঁর পবিত্র নামের সম্মান কর!

একটি প্রশংসা গীত

98 প্রভুর উদ্দেশ্যে একটা নতুন গান গাও,
    কারণ তিনি নতুন নতুন আশ্চর্য কার্য করেছেন!
তাঁর পবিত্র ডান বাহু
    আবার তাঁকে বিজয় এনে দিয়েছে।
প্রভু জাতিগুলোর নিকট তাঁর উদ্ধার করার শক্তি প্রকাশ করেছেন।
    প্রভু তাদের তাঁর ন্যায়পরায়ণতা প্রদর্শন করেছেন।
ইস্রায়েলের লোকদের প্রতি প্রভুর বিশ্বস্ততা তাঁর অনুগামীরা স্মরণ করে।
    দূরদূরান্তের দেশও আমাদের ঈশ্বরের ত্রাণশক্তি দেখেছে।
পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষ, প্রভুর উদ্দেশ্যে আনন্দধ্বনি দাও।
    শীঘ্রই প্রশংসা গীত শুরু কর!
হে বীণা, প্রভুর প্রশংসা কর।
    বীণার সুর প্রভুর প্রশংসা কর।
ভেঁপু ও বাঁশি বাজাও
    এবং আমাদের রাজা প্রভুর উদ্দেশ্যে আনন্দ ধ্বনি দাও!
সমুদ্র এবং পৃথিবী এবং যেখানে যা কিছু আছে
    সবাই যেন উচ্চস্বরে গেয়ে ওঠে।
হে নদীসমূহ, তোমরা হাততালি দাও!
    হে পর্বতরাজি, তোমরা একসঙ্গে গেয়ে ওঠো!
প্রভুর সামনে গান গাও
    কেননা তিনি বিশ্বকে শাসন করতে আসছেন।
তিনি ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে এই বিশ্বকে শাসন করবেন।
    তিনি সততার সঙ্গে লোকদের শাসন করবেন।

হিতোপদেশ 8:22-30

22 “বহুকাল আগে, শুরুতে প্রভু অন্য আর কিছু সৃষ্টি করবার আগে
    আমাকে সৃষ্টি করেছিলেন।
23 আমিই আদি। আমাকে সবার আগে সৃষ্টি করা হয়েছিল।
    পৃথিবীর আগে আমাকে সর্বপ্রথম সৃষ্টি করা হয়েছিল।
24 মহাসাগরের আগে আমাকে গঠন করা হয়েছিল।
    সেখানে জল সৃষ্টির আগে আমাকে সৃষ্টি করা হয়েছিল।
25 আমি পর্বতসমূহের আগে জন্মেছিলাম। আমি পাহাড়সমূহের আগে জন্মেছিলাম।
26     প্রভুর পৃথিবী সৃষ্টির আগে আমি জন্মেছিলাম, ভূমি তৈরীর আগে আমি জন্মেছিলাম।
    ঈশ্বরের পৃথিবীতে প্রথম ধূলিকনা সৃষ্টি করার আগে আমি জন্মেছিলাম।
27 প্রভু যখন আকাশ তৈরী করেন
    সেই সময় আমি ছিলাম।
    প্রভু যখন ভূমির চারদিকে একটি বৃত্ত এঁকেছিলেন এবং সাগরের সীমারেখা স্থির করেছিলেন তখন আমি ছিলাম।
28 মেঘ সৃষ্টির আগে আমি রূপ পেয়েছিলাম।
    ঈশ্বর যখন সাগরে জল ঢালছিলেন, আমি সেখানে ছিলাম।
29 প্রভু যখন সমুদ্রসমূহে জলের সীমা নির্ধারণ করেছিলেন
    সে সময়ে আমি সেখানে ছিলাম।
সমুদ্রের তরঙ্গদল কখনই প্রভুর নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘন করে না।
    প্রভু যখন পৃথিবীর ভিত্তিস্থাপন করেন, তখন আমি ছিলাম।
30 আমি একজন দক্ষ কর্মীর মত প্রভুর পাশে ছিলাম।
    আমার জন্যই প্রভু প্রতি দিন আনন্দবোধ করেছেন।
    আমি তাঁর সঙ্গে সব সময় হাসি মুখে থেকেছি।

যোহন 13:20-35

20 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, আমি যাকে পাঠাবো তাকে যে গ্রহণ করবে, সে আমাকেই গ্রহণ করবে। আর যে আমাকে গ্রহণ করে, আমায় যিনি পাঠিয়েছেন, সে তাঁকেও গ্রহণ করে।”

কে তাঁর বিপক্ষে যাবে যীশু তা জানালেন

(মথি 26:20-25; মার্ক 14:17-21; লূক 22:21-23)

21 এই কথা বলার পর যীশু খুবই উদ্বিগ্ন হলেন, আর খোলাখুলিই বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমাদের মধ্যে একজন আমাকে ধরিয়ে দেবে।”

22 শিষ্যরা পরস্পরের দিকে তাকাতে লাগলেন, আদৌ বুঝতে পারলেন না কার বিষয়ে তিনি বলছেন। 23 যীশুর শিষ্যদের মধ্যে একজন ছিলেন যাকে যীশু খুবই ভালবাসতেন, তিনি যীশুর গায়ের ওপর হেলান দিয়ে ছিলেন। 24 শিমোন পিতর এই শিষ্যকে ইশারা করলেন এবং যীশুকে জিজ্ঞেস করতে বললেন যে উনি কার সম্পর্কে বলছেন।

25 তখন তিনি যীশুর বুকের উপর ঝুঁকে পড়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, “প্রভু, সে কে?”

26 যীশু বললেন, “আমি রুটির টুকরোটি বাটিতে ডুবিয়ে যাকে দেব সে-ই সেই লোক।” এরপর তিনি রুটির টুকরো ডুবিয়ে শিমোন ঈষ্করিয়োতের ছেলে যিহূদাকে দিলেন। 27 যিহূদা রুটির টুকরোটি নেওযার পর শয়তান তার মধ্যে ঢুকে পড়ল। এরপর যীশু তাকে বললেন, “তুমি যা করতে যাচ্ছ তা তাড়াতাড়ি করোগে যাও।” 28 কিন্তু যাঁরা তাঁর সঙ্গে খাবার টেবিলে খেতে বসেছিলেন, তাঁদের মধ্যে কেউই বুঝতে পারলেন না তিনি কেন তাকে একথা বললেন। 29 কেউ কেউ মনে করলেন, যিহূদার কাছে টাকার থলি আছে, তাই হয়তো যীশু তাকে বললেন, পর্বের জন্য যা যা প্রয়োজন তা কিনে আনতে যাও; অথবা হয়তো গরীবদের ওর থেকে কিছু দান করতে বলেছেন।

30 যিহূদা রুটির টুকরোটি গ্রহণ করে সঙ্গে সঙ্গে বাইরে চলে গেল। তখন রাত হয়ে গেছে।

যীশু তাঁর মৃত্যুর বিষয়ে বললেন

31 যিহূদা সেখান থেকে চলে যাবার পর যীশু বললেন, “মানবপুত্র এখন মহিমান্বিত হলেন, আর ঈশ্বরও তাঁর মাধ্যমে মহিমান্বিত হলেন। 32 ঈশ্বর যদি তাঁর মাধ্যমে মহিমান্বিত হন, তবে ঈশ্বরও মানবপুত্রকে নিজের মাধ্যমে মহিমান্বিত করবেন, তিনি খুব শিগ্গিরই তা করবেন।”

33 আমার প্রিয় সন্তানরা, আমি আর কিছু সময় তোমাদের সঙ্গে থাকব। তোমরা আমায় খুঁজবে, আর আমি যেমন ইহুদী নেতাদের বলেছিলাম, আমি যেখানে যাচ্ছি তোমরা সেখানে যেতে পার না, সেই কথাই এখন তোমাদেরও বলছি।

34 “আমি তোমাদের এক নতুন আদেশ দিচ্ছি, তোমরা পরস্পরকে ভালবেসো। আমি যেমন তোমাদের ভালবাসি, তোমরাও তেমনি পরস্পরকে ভালবেসো। 35 তোমাদের পরস্পরের মধ্যে যদি ভালবাসা থাকে তবে এর দ্বারাই সকলে জানবে যে তোমরা আমার শিষ্য।”

গীতসংহিতা 145

দায়ূদের একটি ভজন।

145 হে আমার ঈশ্বর এবং রাজা, আমি আপনার প্রশংসা করি।
    চিরদিনের জন্য এবং অনন্তকালের জন্য আমি আপনার নামকে আশীর্বাদ করি।
প্রতিদিন আমি আপনার প্রশংসা করি।
    চিরদিনের জন্য আমি আপনার নামের প্রশংসা করি।
প্রভু মহান; লোকজন ভীষণভাবে তাঁর প্রশংসা করে।
    যে সব মহৎ‌‌ কাজ তিনি করেন, তা আমরা গুনতে পারি না।
প্রভু, আপনি যা করেন তার জন্য লোকজন চিরদিন আপনার প্রশংসা করবে।
    আপনি যে মহৎ‌‌ কাজ করেন তার সম্পর্কে তারা বলবে।
আপনার মহত্ব এবং মহিমা দুইই চমৎ‌‌কার।
    আপনার বিস্ময়কর কাজ সম্পর্কে আমি বলবো।
প্রভু, যে সব বিস্ময়কর কাজ আপনি করেন সে সম্পর্কে লোকে বলবে।
    আপনি যে সব মহৎ‌‌ কাজ করেন সে সম্পর্কে আমি বলবো।
আপনি যেসব ভালো কাজ করেন সে সম্পর্কে লোকরা বলবে।
    লোকে আপনার ধার্ম্মিকতার গান গাইবে।

প্রভু দয়াময় এবং ক্ষমাশীল।
    প্রভু স্থিতধী এবং প্রেমে পরিপূর্ণ।
প্রতিটি লোকের জন্যই প্রভু মঙ্গলকর।
    প্রভু যা কিছু সৃষ্টি করেছেন তার প্রতিটি বস্তুর প্রতি তিনি করুণা প্রদর্শন করেন।
10 প্রভু, আপনি যা করেন, তাই আপনাকে প্রশংসা এনে দেয়।
    আপনার অনুগামীরা আপনার প্রশংসা করে।
11 তারা বলে আপনার রাজত্ব কত মহৎ‌‌।
    তারা আপনার মহত্ব সম্বন্ধে বলে।
12 তাই হে প্রভু, আপনি যে সব মহৎ‌‌ কাজ করেন অন্য লোকেরা তা জানতে পারে
    এবং তারা জানতে পারে আপনার রাজত্ব কত বিশাল এবং গৌরবময়।
13 প্রভু, আপনার রাজত্ব চির বিরাজমান থাকবে।
    আপনি চিরদিনই রাজত্ব করবেন।

14 পতিত মানুষকে প্রভু উদ্ধার করেন।
    যারা সমস্যায় পড়ে প্রভু তাদের সাহায্য করেন।
15 হে প্রভু, সমস্ত জীবিত প্রাণী তাদের খাদ্যের জন্য আপনার দিকে চেয়ে থাকে।
    এবং যথাসময়ে আপনি তাদের খাদ্য দেন।
16 হে প্রভু, আপনি আপনার হাত খুলে দিন
    এবং জীবিত প্রাণীদের যা কিছু প্রয়োজন তা দিন।
17 প্রভু যা কিছু করেন তা সবই ভালো।
    যা কিছু তিনি করেন তা দেখিয়ে দেয় তিনি কত মঙ্গলকর এবং বিশ্বস্ত।
18 যারা তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করে, প্রভু ওই সব লোকের কাছেই থাকেন।
    তিনি তাঁর উপাসকদের অন্তরঙ্গ।
19 তাঁর অনুগামীরা যা চান প্রভু তাই করেন।
    তিনি ওদের প্রার্থনার উত্তর দেন এবং ওদের রক্ষা করেন।
20 যারা তাঁকে ভালোবাসে, প্রভু তাদের রক্ষা করেন।
    কিন্তু মন্দ লোকদের প্রভু বিনাশ করেন।
21 আমি প্রভুর প্রশংসা করবো!
    সব লোক যেন চিরদিন ধরে তাঁর পবিত্র নামের প্রশংসা করে।

1 যোহন 5:1-12

ঈশ্বরের সন্তান জগতকে জয় করতে পারে

যারা বিশ্বাস করে যে যীশুই খ্রীষ্ট, তারা ঈশ্বরের সন্তান। যে কেউ পিতাকে ভালবাসে, সে তাঁর সন্তানদের ভালবাসে। আমরা কি করে জানব যে আমরা ঈশ্বরের সন্তানদের ভালবাসি? আমরা জানি যেহেতু আমরা ঈশ্বরকে ভালবাসি ও তাঁর সব আদেশ পালন করি। ঈশ্বরকে ভালবাসার অর্থই হচ্ছে তাঁর আদেশ পালন করা; আর ঈশ্বরের আদেশ ভারী বোঝার মতো নয়। কারণ প্রত্যেক ঈশ্বরজাত সন্তান জগতকে জয় করে। আমাদের বিশ্বাসই আমাদের জগতজয়ী করেছে। কে জগতের ওপরে বিজয়ী হতে পারে? যে বিশ্বাস করে যে, যীশুই ঈশ্বরের পুত্র।

ঈশ্বর তাঁর পুত্রের কথা বললেন

ইনিই যীশু খ্রীষ্ট, যিনি জগতে জল ও রক্তের মধ্য দিয়ে এসেছিলেন। আত্মাই বলছেন এই কথা সত্য, আর সেই আত্মা স্বয়ং সত্য। যীশুর বিষয়ে তিনজন সাক্ষ্য দিচ্ছেন। আত্মা, জল ও রক্ত আর সেই তিনের এক সাক্ষ্য।

লোকে যখন সত্য কিছু বলে আমরা তা বিশ্বাস করি, তবে ঈশ্বরের দেওয়া সাক্ষ্য এর থেকে কত না মূল্যবান। বস্তুত ঈশ্বর স্বয়ং আমাদের কাছে এই সাক্ষ্য দিয়েছেন, তিনি তাঁর নিজের পুত্রের বিষয়ে সত্য জানিয়েছেন। 10 ঈশ্বরের পুত্রকে যে বিশ্বাস করে ঐ সত্য তার অন্তরে থাকে। ঈশ্বরের কথায় যে বিশ্বাস করে না, সে তাঁকে মিথ্যাবাদী করেছে, কারণ ঈশ্বর তাঁর পুত্রের বিষয়ে যে কথা বলেছেন সে তাতে বিশ্বাস করে নি। 11 সেই সাক্ষ্য হচ্ছে, ঈশ্বর আমাদের অনন্ত জীবন দিয়েছেন এবং এই জীবন তাঁর পুত্রে আছে। 12 ঈশ্বরের পুত্রকে যে পেয়েছে সেই সত্য জীবন পেয়েছে। ঈশ্বরের পুত্রকে যে পায় নি সে জীবন পায় নি।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International