Book of Common Prayer
আসফের সঙ্গীতগুলির অন্যতম।
50 প্রভু, যিনি ঈশ্বরদেরও ঈশ্বর স্বয়ং তিনি কথা বলছেন।
তিনি সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত, অর্থাৎ এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত সমগ্র পৃথিবীর মানুষকে চিৎকার করে ডাক দিচ্ছেন।
2 সিয়োন থেকে দীপ্তিমান ঈশ্বর অসীম সুন্দর!
3 আমাদের ঈশ্বর আসছেন এবং তিনি নীরব থাকবেন না।
তাঁর সামনে সর্বগ্রাসী আগুন জ্বলছে।
তাঁর চারদিকে প্রচণ্ড ঝড় বইছে।
4 যখন তিনি তাঁর লোকদের বিচার করেন
তখন তিনি আকাশ ও পৃথিবীকে সাক্ষী থাকতে ডাকেন।
5 ঈশ্বর বলেন, “হে আমার অনুগামীরা আমার চারিদিকে এস।
হে আমার ভক্তসকল, আমরা একে অন্যের সঙ্গে চুক্তি করেছি।”
6 ঈশ্বর হলেন বিচারক,
আকাশ তাঁর যথাযথ ধার্ম্মিকতার কথা ঘোষণা করে।
7 ঈশ্বর বলেন, “আমার লোকরা, আমার কথা শোন!
হে ইস্রায়েলের লোকরা, আমি তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী দেব। আমিই ঈশ্বর, তোমাদের ঈশ্বর।
8 আমি তোমাদের বলি সম্পর্কে অভিযোগ করছি না।
তোমরা ইস্রায়েলের লোকেরা সর্বদাই আমার কাছে হোমবলি দিয়েছ এবং প্রতিদিনই তোমরা তা আমায় দিয়েছ।
9 তোমাদের ঘর থেকে আমি ষাঁড় নেব না।
তোমাদের খোঁয়াড় থেকে আমি ছাগলও নেব না।
10 ঐ পশুগুলো আমি চাই না, ইতিমধ্যেই জঙ্গলের সমস্ত পশুসমুহের আমি অধিকারী।
হাজার হাজার পর্বতের ওপরের সমস্ত পশুগুলি ইতিমধ্যে আমার অধিকারে।
11 উচ্চতম পর্বতের প্রত্যেকটি পাখিকে আমি চিনি।
পাহাড়ের প্রত্যেকটি চলমান বস্তুই আমার।
12 আমি ক্ষুধার্ত নই! যদি আমি ক্ষুধার্তও হতাম আমি তোমাদের কাছে আহার চাইতাম না।
সারা পৃথিবী এবং তার মধ্যে যা যা আছে, আমিই পৃথিবীর এবং পৃথিবীর সমস্ত জিনিষের মালিক।
13 আমি ষাঁড়ের মাংস খাই না অথবা ছাগলের দেহ থেকে রক্ত পান করি না।”
14 অতএব, অন্যান্য ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য তোমাদের ঈশ্বরের কাছে দেয় ধন্যবাদ নৈবেদ্য নিয়ে এস
এবং ঈশ্বরের সান্নিধ্যে থাকার জন্য এসো এবং তোমাদের পরাৎপরের কাছে যা প্রতিশ্রুতি করেছিলে তোমরা তাঁকে তাই দাও।
15 ঈশ্বর বলেন, “যখন তুমি সংকটে পড়বে তখন আমায় ডেকো!
আমি তোমাকে সাহায্য করবো!
তারপর তুমি আমাকে সম্মান করতে পারবে।”
16 কিন্তু দুষ্ট লোকেদের ঈশ্বর বলেন,
“তোমরা আমার বিধির সম্বন্ধে কথা বল।
তোমরা আমার চুক্তির সম্বন্ধে কথা বল।
17 আমি যখন তোমাদের ভুল সংশোধন করে দিই, তখন কেন তোমরা তা ঘৃণা কর?
আমি যা বলি কেন তোমরা তা উপেক্ষা কর?
18 তোমরা একটা চোরকে দেখ এবং তার সঙ্গে যোগ দিতে ছুটে যাও।
যারা ব্যভিচার করে তোমরা তাদের সঙ্গে বিছানায় ঝাঁপিয়ে পড়।
19 তোমরা মিথ্যা কথা বল এবং
অশুভ ব্যাপারে কথা বল।
20 অন্য লোকদের সম্পর্কে তোমরা সব সময় খারাপ কথা বল।
এমনকি তোমরা নিজের ভাইদের সম্পর্কেও খারাপ কথা বল।
21 তোমরা ঐসব বাজে কাজ করেছো এবং আমি কিছু বলি নি।
তাই তোমরা ভেবেছো আমিও ঠিক তোমাদের মত।
তবে হ্যাঁ, আর বেশীদিন আমি চুপ করে থাকবো না!
এটা আমি তোমার পরিষ্কার বুঝিয়ে দেবো এবং আমি সামনাসামনি তোমার সমালোচনা করবো!
22 তোমরা ঈশ্বরকে ভুলে গেছ।
তাই আমি তোমাদের ছিন্নভিন্ন করার আগে যদি তোমরা উপলদ্ধি কর তো ভাল!
আর যদি না বোঝ
কেউ তোমাদের বাঁচাতে পারবে না!
23 তাই যদি কোন লোক আমায় ধন্যবাদ বলি দেয় তবে সে আমার সম্মান করে।
যদি সে সৎ উপায়ে বাঁচে তাকে বাঁচানোর জন্য আমি আমার সমস্ত ক্ষমতা প্রদর্শন করবো।”
পরিচালকের প্রতি: “বিনাশ করো না।” গানটির পর্দায় গাওয়া দায়ূদের একটি মিকতাম যখন শৌল দায়ূদকে হত্যা করবার জন্য তাঁর বাড়ীতে লোক পাঠিয়েছিলেন।
59 ঈশ্বর আমাকে আমার শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করুন।
যারা আমার সঙ্গে লড়াই করতে এসেছে তাদের পরাজিত করতে আমায় সাহায্য করুন।
2 সেই সব লোক যারা মন্দ কাজ করে তাদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
ঐসব খুনীদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
3 দেখুন শক্তিশালী লোকরা আমার জন্য অপেক্ষা করছে।
যদিও আমি কোন পাপ বা অপরাধ করিনি
তবুও ওরা আমায় হত্যা করার জন্য অপেক্ষা করছে।
4 আমি কোন ভুল করি নি কিন্তু আমাকে আক্রমণ করার জন্য ওরা এখানে ছুটে এসেছে।
প্রভু, উঠুন এবং এসে আমায় সাহায্য করুন। দেখুন কি ঘটছে।
5 প্রভু, আপনিই সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, ইস্রায়েলের ঈশ্বর!
উঠুন এবং ঐসব লোককে শাস্তি দিন।
ঐসব বদ বিশ্বাসঘাতকদের প্রতি এতটুকু দয়া দেখাবেন না।
6 ঐসব লোকরা কুকুরের মত
যারা সন্ধ্যা বেলায় ক্রুদ্ধ গর্জন করতে করতে
এবং রাস্তায় ঘুরতে ঘুরতে শহরে আসে।
7 ওদের হুমকি ও অপমান শুনুন।
ওরা ঐসব নির্মম কথাগুলো বলছে।
কিন্তু ওরা খেয়াল করে না কারা তা শুনছে।
8 প্রভু ওদের আপনি উপহাস করুন।
ওদের সকলকে বিদ্রূপ করুন।
9 আমি আপনার উদ্দেশ্যে আমার বন্দনা গান করবো।
ঈশ্বর, উঁচু পর্বতে আপনিই আমার নিরাপদ স্থান।
10 ঈশ্বর আমায় ভালোবাসেন এবং তিনি আমাকে জয়ী হতে সাহায্য করবেন।
তিনি আমায় শত্রুদের পরাজিত করতে সাহায্য করবেন।
11 হে ঈশ্বর, ওদের নিছক হত্যা করবেন না, নতুবা আমার লোকেরা তাদের ভুলে যেতে পারে। কে তাদের জয় এনে দিয়েছে?
হে আমার প্রভু এবং রক্ষাকারী, আপনার ক্ষমতা বলে ওদের আপনি পরাজিত করুন। ছত্রভঙ্গ করুন।
12 ঐসব মন্দ লোক মিথ্যা কথা বলে ও অভিশাপ দেয়।
ওরা যা বলেছে তার জন্য ওদের শাস্তি দিন।
ওদেরই দম্ভের ফাঁদে ওদের পড়তে দিন।
13 আপনার ক্রোধে ওদের ধ্বংস করে দিন।
ওদের সম্পূর্ণরূপে বিনাশ করুন!
সারা পৃথিবীকে বুঝতে দিন যে স্বয়ং ঈশ্বর ইস্রায়েলে শাসন করছেন!
14 ঐসব মন্দ লোক, ঘেউ ঘেউ করা ভ্রাম্যমান কুকুরের মত,
রাতের বেলায় শহরে এসেছে।
15 তারা কিছু খাবারের খোঁজে ঘুরে বেড়াবে, কিন্তু কোন খাবার পাবে না,
রাতে বিশ্রাম করবার জন্যও কোন জায়গা তারা খুঁজে পাবে না।
16 কিন্তু সকালে, আমি আপনার প্রশংসা গান গাইবো।
আমি আপনার প্রেমে আনন্দ উল্লাস করবো।
কেন? কারণ উচ্চ পর্বতে আপনিই আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
সংকট এলে আমি আপনার কাছে ছুটে যেতে পারবো।
17 আপনার প্রশংসা করে আমি গান গাইবো। কেন?
কারণ উচ্চ পর্বতে আপনিই আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
আপনি সেই ঈশ্বর যিনি আমায় ভালোবাসেন!
পরিচালকের প্রতি: “চুক্তির লিলি ফুল” গানটির পর্দায় গাওয়া দায়ূদের একটি মিক্তাম। যখন দায়ূদের অরাম-নহরয়িম ও অরাম-সোবার সঙ্গে যুদ্ধ হয় এবং যখন যোয়াব লবণ উপত্যকায় ইদোমের 12,000 সৈন্যকে পরাজিত করে ফিরে এসেছিলো তখনকার গীত।
60 হে ঈশ্বর, আপনি আমাদের ওপর ক্রুদ্ধ ছিলেন।
আপনি আমাদের বাতিল করে দিয়েছেন, আমাদের ধ্বংস করে দিয়েছেন।
দয়া করে আমাদের পুনরুদ্ধার করুন।
2 আপনিই ভূমিকম্প করিয়েছেন এবং পৃথিবীকে দ্বিধাবিভক্ত করেছেন।
আমাদের পৃথিবী টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে পড়ছে।
দয়া করে একে ঠিক করুন।
3 আপনি আপনার লোকদের বহু সমস্যা দিয়েছেন।
আমরা নেশাগ্রস্ত লোকদের মত টলমল করতে করতে পড়ে যাচ্ছি।
4 যারা আপনাকে উপাসনা করে তাদের আপনি সতর্ক করেছেন।
এখন তারা শত্রুদের হাত থেকে পালিয়ে যেতে পারে।
5 আপনার পরাক্রম প্রয়োগ করে আমাদের উদ্ধার করুন!
আমার প্রার্থনার উত্তর দিন এবং যাদের আপনি ভালোবাসেন তাদের রক্ষা করুন!
6 ঈশ্বর তাঁর মন্দিরে কথা বলেছেন এবং এতে আমি খুব খুশী!
তিনি বলেছেন, “আমার লোকদের সঙ্গে আমি এই ভূখণ্ড ভাগ করে নেব।
আমি ওদের শিখিম দেবো।
আমি ওদের সুক্কোতের উপত্যকা দেবো।
7 গিলিয়দ এবং মনঃশি আমার হবে।
ইফ্রয়িম আমার মাথার শিরস্ত্রাণ হবে।
যিহূদা হবে আমার বিচারদণ্ড।
8 মোয়াব দেশ আমার পা ধোয়ার গামলা হবে।
ইদোম আমার জুতো বহনকারী ক্রীতদাস হবে।
আমি পলেষ্টীয়দের পরাজিত করে বিজয় উল্লাসে চিৎকার করে উঠবো!”
9-10 কিন্তু ঈশ্বর, আপনি আমাদের ত্যাগ করলেন!
আমাদের সৈন্যদের সঙ্গে আপনি গেলেন না!
তাই কে আমাকে ঐ দৃঢ় ও সুরক্ষিত শহরে নিয়ে যাবে?
ইদোমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে কে আমায় নেতৃত্ব দেবে?
11 ঈশ্বর, শত্রুদের পরাজিত করতে আমাদের সাহায্য করুন!
জনগণ আমাদের সাহায্য করতে পারে না!
12 একমাত্র ঈশ্বরই আমাদের শক্তিশালী করতে পারেন।
একমাত্র ঈশ্বরই আমাদের শত্রুদের পরাজিত করতে পারেন!
33 হে ভালো লোকরা, তোমরা প্রভুতে আনন্দ কর!
ভাল লোকদের পক্ষে তাঁর প্রশংসা করাই ভালো!
2 বীণা বাজাও এবং প্রভুর প্রশংসা কর!
দশতারা বাদ্যযন্ত্র সহযোগে প্রভুর গান গাও।
3 তাঁর জন্য একটা নতুন গান গাও।
অত্যন্ত সুন্দরভাবে বাজাও এবং আনন্দ ধ্বনি দাও!
4 প্রভুর বাক্য সত্য। তিনি যা কিছু করেন,
তাতে তোমরা নির্ভর করতে পারো।
5 ঈশ্বর ন্যায়পরায়ণ হতে ও ভাল কাজ করতে ভালবাসেন।
প্রভুর প্রকৃত ভালোবাসা পৃথিবীকে ভরিয়ে দেয়!
6 প্রভু নির্দেশবাক্য উচ্চারণ করেছিলেন এবং এই পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছিল।
ঈশ্বরের মুখের নিঃশ্বাস থেকেই পৃথিবীর সবকিছু সৃষ্টি হয়েছে।
7 ঈশ্বর, সমুদ্রের জল এক জায়গায় জমা করেছেন।
তিনি সমুদ্রকে তার জায়গায় রাখেন।
8 সমগ্র পৃথিবীর সকলের উচিৎ ঈশ্বরকে ভয় এবং শ্রদ্ধা করা।
জগতের প্রত্যেকটি মানুষের তাঁকে ভয় করা উচিত।
9 কেন? কারণ ঈশ্বর একটি আজ্ঞা দেন এবং সেটি ঘটে।
যদি তিনি বলেন “থাম” তাহলেই সব কিছু বন্ধ হয়ে যায়।
10 প্রভু প্রত্যেকের উপদেশকেই অর্থহীন করে তুলতে পারেন।
তিনি জাতিদের পরিকল্পনাগুলি মূল্যহীন করে দিতে পারেন।
11 কিন্তু প্রভুর উপদেশ চিরন্তন সত্য।
তাঁর পরিকল্পনাগুলো বংশপরম্পরায় সত্য থাকে।
12 যারা প্রভুকে তাদের ঈশ্বররূপে পেয়েছে তারা সত্যিই ধন্য।
কেন? কারণ ঈশ্বরই তাদের তাঁর নিজের লোক হিসেবে মনোনীত করেছেন।
13 প্রভু স্বর্গ থেকে নীচের দিকে তাকিয়েছিলেন
এবং সমস্ত লোকদের দেখেছেন।
14 পৃথিবীতে যারা বসবাস করছে,
তাঁর উচ্চ সিংহাসন থেকে তিনি সকলকে দেখেন।
15 ঈশ্বর প্রত্যেকটি লোকের মন সৃষ্টি করেছেন।
প্রত্যেকটি লোক কি ভাবছে ঈশ্বর তাও জানেন।
16 একজন রাজা তার বৃহৎ শক্তিতে উদ্ধার পায় না।
একজন বলবান সৈনিক, তার নিজের শক্তিতে রক্ষা পায় না।
17 ঘোড়াগুলো যুদ্ধের বিজয় এনে দেয় না।
এমনকি তাদের শক্তিও সৈন্যদের পালাতে সাহায্য করতে পারে না।
18 তাঁর প্রকৃত ভালবাসায় আস্থা রেখে, যারা প্রভুকে অনুসরণ করে,
প্রভু তাদের ওপর লক্ষ্য রাখেন এবং তাদের প্রতি যত্ন নেন।
19 সেই সব লোককে ঈশ্বর মৃত্যু থেকে রক্ষা করেন।
ক্ষুধার্ত অবস্থায় তিনি তাদের শক্তি দেন।
20 তাই আমরা প্রভুর জন্য প্রতীক্ষা করবো।
তিনি আমাদের সাহায্য করেন, রক্ষা করেন।
21 ঈশ্বর আমাদের সুখী করেন,
আমরা তাঁর পবিত্র নামে প্রকৃতই আস্থা রাখি।
22 প্রভু, প্রকৃতই আমরা আপনার উপাসনা করি!
তাই আমাদের প্রতি আপনার মহান ভালোবাসা দেখান।
বাতিদান ও দুটি অলিভ গাছ
4 যে দেবদূতটি আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন, তিনি আমাকে জাগাবার জন্য আমার কাছে এলেন। সেই মুহূর্তে আমি ছিলাম ঘুম থেকে সদ্য জেগে ওঠা একজন মানুষের মত। 2 তখন দেবদূত আমায় জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কি দেখতে পাচ্ছো?”
আমি বললাম, “আমি একটি নিরেট সোনার বাতিদান দেখতে পাছি। সেই বাতিদানে সাতটি বাতি রয়েছে এবং বাতিদানের ওপরে রয়েছে একটি পাত্র। সেই পাত্র থেকে সাতটা ফাঁপা নল বেরিয়ে এসেছে এবং প্রত্যেকটি বাতিতে গিয়েছে। নলগুলি পাত্র থেকে বাতিতে তেল বহন করে। 3 পাত্রটির পাশে দুটি অলিভ গাছ, একটি ডান দিকে, অপরটি বাম দিকে। এই গাছেরা বাতির জন্য তেল উৎপন্ন করে।” 4 তখন আমি আমার সঙ্গে যে দেবদূতটি কথা বলছিলেন তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, “মহাশয়, এসবের অর্থ কি?”
5 দেবদূতটি বললেন, “এই জিনিসগুলো কি তা কি তুমি জানো না?”
আমি বললাম, “জানি না মহাশয়।”
6 তিনি বললেন, “এ হল সরুব্বাবিলের কাছে প্রভুর বার্তা: সর্বশক্তিমান প্রভু বলেন, ‘তোমার শক্তি ও পরাক্রম তোমায় রক্ষা করবে না। তোমার সাহায্য আসবে আমার আত্মা থেকে।’ 7 ওহে উঁচু পর্বত, তুমি সরুব্বাবিলের কাছে কিছুই নও। তার সামনে তুমি একটি সমতলভূমির মত। সে মন্দিরটি গড়বে এবং যখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাথরটি সেখানে স্থাপন করা হবে, তখন লোকেরা চেঁচিয়ে উঠবে, ‘চমৎকার! অপূর্ব!’”
8 প্রভুর বার্তা আমাকে আরো বলল, 9 “সরুব্বাবিল আমার মন্দিরের ভিত্তি স্থাপন করবে। সে মন্দিরের কাজ সম্পূর্ণ করবে। তখন তুমি বুঝতে পারবে যে সর্বশক্তিমান প্রভু আমাকে তোমার কাছে পাঠিয়েছেন। 10 শুরুতে কাজ অল্প হলেও লোকে তাতে লজ্জিত হবে না আর তারা ওলোন দড়ি হাতে সরুব্বাবিলকে দেখে ওরা খুব খুশী হবে, যে সমাপ্ত হওয়া নির্মাণ কাজ পরীক্ষা করছে এবং মাপ-জোক করছে। পাথরের যে সাতটি ধার তুমি এখন দেখলে, তা প্রভুর চক্ষুস্বরূপ—যা সব দিকে নজর রেখেছিল। পৃথিবীর সব কিছুই তারা দেখতে পায়।”
11 তখন আমি (সখরিয়) তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, “বাতিদানের ডান ও বাম দিকের জলপাই গাছগুলি কি বোঝায়?” 12 আমি তাঁকে আরও বললাম, “সোনার নল দুটির পাশে আমি জলপাই গাছের দুটি শাখা দেখলাম। যেগুলোর মধ্যে দিয়ে সোনালী রঙের তেল বইছে—সেগুলিরই বা অর্থ কি?”
13 তখন দূত আমাকে বললেন, “তুমি কি জানো না এসবের অর্থ কি?”
আমি বললাম, “মহাশয় জানি না।”
14 তিনি বললেন, “এর অর্থ হল এরা সেই দুই ব্যক্তিকে যারা সমস্ত পৃথিবীর প্রভুকে সেবা করার জন্য মনোনীত হয়েছে, তাদের প্রতিনিধিত্ব করছে।”
9 যিনি সিংহাসনে বসে আছেন সেই জীবন্ত প্রাণীরা তাঁর মহিমা, সম্মান ও ধন্যবাদ কীর্তন করেন। ইনি হলেন সেই চিরজীবি। আর এইরকম ঘটলে প্রত্যেকবার, 10 যিনি সিংহাসনে বসে আছেন তাঁর সামনে ঐ চব্বিশজন প্রাচীন ভূমিষ্ট হয়ে প্রণাম করেন; আর যিনি চিরজীবি তাঁর উপাসনা করেন আর নিজের নিজের মাথার মুকুট সিংহাসনের সামনে রেখে বলেন:
11 “আমাদের প্রভু ও ঈশ্বর!
তুমি মহিমা, সম্মান ও পরাক্রম পাবার যোগ্য,
কারণ তুমি সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছ।
তোমার ইচ্ছাতেই সব কিছু সৃষ্টি হয়েছে ও সব কিছুর অস্তিত্ব আছে।”
পুঁথি খোলার যোগ্যতা কার আছে?
5 সিংহাসনে যিনি বসেছিলেন তাঁর ডানহাতে আমি একটি পুঁথি[a] দেখলাম যার ভেতরে ও বাইরে উভয়দিকে লেখা ও তা সাতটি মোহর দিয়ে সীলমোহর করে বন্ধ করা ছিল। 2 আর আমি এক শক্তিমান স্বর্গদূতকে দেখলাম, যিনি চিৎকার করে বলছেন, “এটি খুলতে পারে ও তার সীলমোহরগুলি ভাঙতে পারে কার এমন যোগ্যতা আছে?” 3 কিন্তু স্বর্গে, পৃথিবীতে অথবা পৃথিবীর নীচে কেউ পুস্তকটি না পারল খুলতে, না পারল তার ভেতরে কি আছে তা দেখতে। 4 সেই পুঁথিটি খোলবার ও তার ভেতরে দেখবার যোগ্য কাউকে পাওয়া গেল না দেখে আমি অঝোরে কাঁদতে থাকলাম। 5 তখন সেই প্রাচীনদের মধ্যে একজন আমাকে বললেন, “তুমি কেঁদো না! দেখ, যিনি যিহূদা বংশের সিংহ, দায়ূদের বংশধর, তিনি বিজয়ী হয়েছেন, তিনি সাতটি সীলমোহর ভাঙ্গার ও পুঁথিটি খোলার যোগ্য হয়েছেন।”
দশজন কনের দৃষ্টান্তমূলক গল্প
25 “স্বর্গরাজ্য কেমন হবে, তা দশজন কনের সঙ্গে তুলনা করা চলে, যারা তাদের প্রদীপ নিয়ে বরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বার হল। 2 তাদের মধ্যে পাঁচজন ছিল নির্বোধ আর অন্য পাঁচজন ছিল বুদ্ধিমতী। 3 সেই নির্বোধ কনেরা তাদের বাতি নিল বটে কিন্তু সঙ্গে তেল নিল না। 4 অপরদিকে বুদ্ধিমতী কনেরা তাদের প্রদীপের সঙ্গে পাত্রে তেলও নিল। 5 বর আসতে দেরী হওয়াতে তারা সকলেই তন্দ্রায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ল।
6 “কিন্তু মাঝরাতে চিৎকার শোনা গেল, ‘দেখ, বর আসছে! তাকে বরণ করতে এগিয়ে যাও।’
7 “সেই কনেরা তখন উঠে তাদের প্রদীপ ঠিক করল। 8 কিন্তু নির্বোধ কনেরা বুদ্ধিমতী কনেদের বলল, ‘তোমাদের তেল থেকে আমাদের কিছু তেল দাও, কারণ আমাদের প্রদীপ নিভে যাচ্ছে।’
9 “এর উত্তরে সেই বুদ্ধিমতী কনেরা বলল, ‘না। তেল যা আছে তাতে হয়তো আমাদের ও তোমাদের কুলোবে না, তোমরা বরং যারা তেল বিক্রি করে তাদের কাছে গিয়ে নিজেদের জন্য তেল কিনে আনো।’
10 “তারা যখন তেল কেনার জন্য বাইরে যাচ্ছে, এমন সময় বর এসে উপস্থিত হল, তখন যে কনেরা প্রস্তুত ছিল তারা বরের সঙ্গে বিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করল। তারপর দরজা বন্ধ করে দেওয়া হল।
11 “শেষে অন্য কনেরা এসে বলল, ‘শুনছেন, আমাদের জন্য দরজা খুলে দিন।’
12 “কিন্তু এর উত্তরে বর বলল, ‘সত্যি বলছি, আমি তোমাদের চিনি না।’
13 “তাই তোমরা সজাগ থেকো, কারণ তোমরা সেই দিন বা মুহূর্ত্তের কথা জান না, কখন মানবপুত্র ফিরে আসবেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International