Book of Common Prayer
পরিচালকের প্রতি। দায়ূদের একটি গীত।
41 সেই ব্যক্তি যে দীন দরিদ্রকে সফল হতে সাহায্য করে, সে বিপুল পরিমানে আশীর্বাদ পাবে।
সমস্যার সময় প্রভু তাকে উদ্ধার করবেন।
2 প্রভু সেই ব্যক্তিকে রক্ষা করবেন এবং জীবিত রাখবেন।
পৃথিবীতে সেই লোকই আশীর্বাদ ধন্য হবে।
তার সেই লোকের শত্রুর হাতে ঈশ্বর তাকে ধ্বংস হতে দেবেন না।
3 যখন সেই ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে থাকে, প্রভু তাকে শক্তি দেন।
সে বিছানায় অসুস্থ থাকতে পারে, কিন্তু প্রভু তাকে সুস্থ করে দেন!
4 আমি বলেছিলাম, “প্রভু, আমার প্রতি সদয় হোন,
আমি আপনার বিরুদ্ধে পাপ করেছি, আপনি আমায় ক্ষমা করে দিন, সুস্থ করে তুলুন।”
5 আমার শত্রুরা আমার সম্পর্কে খারাপ কথা বলছে।
তারা বলে, “যখন ও মারা যাবে তখন ওর নাম মুছে যাবে।”
6 লোকে আমাকে দেখতে আসে
কিন্তু তারা প্রকৃতই কি ভাবছে, তা আমাকে বলে না।
ওরা আমার সম্পর্কে খবর নিতে আসে
এবং ফিরে গিয়ে গুজব ছড়ায়।
7 আমার শত্রু আমার সম্পর্কে কানাঘুষো করে।
ওরা আমার বিরুদ্ধে খারাপ কাজ করার ষড়যন্ত্র করছে।
8 ওরা বলে, “ও নিশ্চয় কোন অন্যায় কাজ করেছিলো।
তাই ও অসুস্থ হয়েছে
এবং আর কখনও ভালো হয়ে উঠবে না।”
9 আমার প্রিয়তম বন্ধু, আমার সঙ্গে খেয়েছে।
আমি ওকে বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু এখন সেও আমার বিরুদ্ধে গিয়েছে।
10 তাই প্রভু আমার প্রতি সদয় হোন।
আমাকে উঠে দাঁড়াতে দিন, ওদের প্রাপ্য আমি ফেরৎ দেবো।
11 প্রভু শত্রুদের হাতে আমাকে আহত হতে দেবেন না।
তাহলে আমি বুঝবো আমাকে আঘাত করার জন্য আপনি ওদের পাঠান নি।
12 আমি নির্দোষ ছিলাম, তাই আপনি আমায় সহায়তা দিয়েছিলেন।
আমাকে উঠে দাঁড়াতে দিন, চিরদিন আপনার সেবা করতে দিন।
13 প্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বরের প্রশংসা কর!
তিনি চিরদিন ছিলেন, তিনি চিরদিন বিরাজিত থাকবেন।
আমেন।
পরিচালকের প্রতি: দায়ূদের একটি মস্কীল। যখন ইদোমীয় দোয়েগ শৌলের কাছে গিয়েছিল এবং তাকে বলেছিল, “দায়ূদ অহীমেলকের ঘরে আছে।”
52 হে যোদ্ধা, তোমার কৃত অন্যায় নিয়ে তুমি এত বড়াই কর কেন?
তুমি অনবরত ঈশ্বরের সম্মানহানি ঘটাও।
2 তোমরা সবসময় অন্য লোকদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত কর। তোমাদের জিভ বিপজ্জনক, খুরের মতই ধারালো।
তোমরা সর্বদাই মিথ্যা কথা বল এবং কাউকে না কাউকে ঠকাতে চেষ্টা কর!
3 ভালোর থেকে মন্দটাই তোমরা বেশী পছন্দ কর।
তোমরা সত্যের থেকে মিথ্যা বলতেই বেশী পছন্দ কর।
4 তোমরা এবং তোমাদের মিথ্যাবাদী জিভ মানুষকে আঘাত করতে ভালোবাসে।
5 তাই ঈশ্বর চিরদিনের জন্য তোমাদের ধ্বংস করবেন!
যেমন করে একটা লোক একটা গাছকে মূলসহ উপড়ে ফেলে, একইভাবে ঈশ্বর তোমাদের বাড়ী[a] থেকে তোমাদের বিচ্ছিন্ন করে দেবেন!
6 ভালো লোকরা তা দেখবে
এবং ঈশ্বরকে ভয় ও শ্রদ্ধা করতে শিখবে।
তারা তোমাদের দেখে উপহাস করে বলবে,
7 “দেখ, ঈশ্বরে যে ব্যক্তি নির্ভর করত না, তার কি অবস্থা হয়েছে।
ঐ লোকটা ভেবেছিলো ওর সম্পদ এবং মিথ্যাচার ওকে রক্ষা করবে।”
8 কিন্তু আমি সবুজ জলপাই গাছের মত প্রভুর মন্দিরে বড় হয়ে উঠছি।
আমি প্রভুর সত্য প্রেমে চিরদিন আস্থা রাখবো।
9 ঈশ্বর যা কিছু আপনি করেছেন তার জন্য চিরদিন আমি আপনার প্রশংসা করবো।
আপনার ভক্তদের সামনে আমি আপনার নামের প্রশস্তি গীত করবো,[b] কারণ সেটা খুব ভালো!
পরিচালকের প্রতি: কোরহ পরিবার থেকে একটি মস্কীল।
44 ঈশ্বর, আমরা আপনার সম্পর্কে শুনেছি।
আমাদের পিতৃপুরুষরা বলে গেছেন তাঁদের জীবদ্দশায় আপনি কি করেছেন।
তাঁরা বলে গেছেন সুদূর অতীতে আপনি কী করেছেন।
2 ঈশ্বর আপনার পরাক্রমী শক্তিবলে এই ভূখণ্ড
আপনি অন্যের কাছ থেকে নিয়ে আমাদের দিয়েছেন।
সেই সব ভিন দেশী লোকেদের আপনি একেবারে ধূলিস্যাৎ করে দিয়েছেন।
এই ভূখণ্ড ছেড়ে যেতে আপনি তাদের বাধ্য করেছেন।
3 আমাদের পিতৃপুরুষরা তাঁদের তরবারির জোরে এই ভূখণ্ড অধিকার করেন নি।
তাঁদের বলিষ্ঠ বাহুর জোরে তাঁরা জয়ী হন নি।
এইসব হয়েছে কারণ, আপনি আমাদের পিতৃপুরুষদের সঙ্গে ছিলেন।
ঈশ্বর আপনার বিপুল শক্তি আমার পিতৃপুরুষদের রক্ষা করেছে।
কেন? কারণ আপনি তাদের ভালোবাসতেন!
4 হে ঈশ্বর, আপনিই আমার রাজা।
আপনি আজ্ঞা দিন এবং যাকোবের লোকদের জয়ের পথে পরিচালিত করুন।
5 হে ঈশ্বর, আপনার সাহায্য নিয়েই আমরা আমাদের শত্রুকে পিছু হটিয়ে দেবো।
আপনার ক্ষমতা নিয়ে আমরা আমাদের শত্রুদের ওপর অনায়াসে বিজয়ী হব।
6 আমি আমার তীর-ধনুকে আস্থা রাখি না।
আমি জানি অন্ততঃ আমার তরবারি আমাকে রক্ষা করবে না।
7 ঈশ্বর আপনিই আমাদের শত্রুর হাত থেকে বাঁচিয়েছেন।
আপনিই শত্রুদের লজ্জার মুখে ঠেলে দিয়েছেন।
8 হে ঈশ্বর, সারাদিন ধরে আমরা আপনার প্রশংসা করেছি!
চিরকাল আমরা আপনার প্রশংসা করবো!
9 কিন্তু হে ঈশ্বর আপনি আমাদের ত্যাগ করেছেন।
আপনি আমাদের বিব্রত করেছেন। আপনি আমাদের সঙ্গে যুদ্ধে আসেন নি।
10 আপনিই আমাদের শত্রুদের আমাদের ঠেলে সরিয়ে দেবার সুযোগ করে দিয়েছেন।
শত্রুরা আমাদের সম্পদ নিয়ে গেছে।
11 আপনি আমাদের সেই মেষের মত ফেলে রেখেছিলেন যাদের বধ করতে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেই সব মেষের মত আমাদের পরিত্যাগ করেছেন।
আমাদের আপনি বিদেশী জাতিগুলির মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছেন।
12 হে ঈশ্বর, আপনি আপনার লোকদের নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করেছেন।
এমনকি আপনি মূল্য নিয়েও কোন তর্ক করলেন না।
13 প্রতিবেশীদের কাছে আপনি আমাদের হাস্যাস্পদ করে তুললেন।
ওরা আমাদের নিয়ে হাসাহাসি ও মজা করে।
14 আমরা এখন লোকমুখে হাসির গল্পের মত।
এমনকি সেই সব লোক যাদের নিজেদের কোন জাতি নেই তারাও আমাদের দেখে মাথা নাড়িয়ে হাসে।
15 আমি লজ্জায় ডুবে রয়েছি।
সারাদিন ধরে আমি আমার লজ্জাকেই দেখি।
16 যারা আমার প্রতি প্রতিশোধ নিতে ইচ্ছুক,
সেই সব শত্রুর উপহাস এবং অপমান থেকে আমি লজ্জায় নিজেকে লুকিয়ে রাখি।
17 ঈশ্বর, আমরা আপনাকে ভুলি নি।
তথাপি আপনি আমাদের প্রতি ঐসব করলেন।
যখন আপনার চুক্তিতে আমরা স্বাক্ষর করেছিলাম,
তখন আমরা আপনার সঙ্গে মিথ্যাচার করি নি!
18 ঈশ্বর, আমরা আপনার কাছ থেকে মুখ ঘুরিয়ে দূরে চলে যাই নি।
আমরা আপনাকে অনুসরণ করা থেকে বিরত হই নি।
19 কিন্তু হে ঈশ্বর, যেখানে শেয়ালের বাস, সেখানে আপনি আমাদের গুঁড়িয়ে ফেললেন।
মৃত্যুর মত নীরন্ধ্র অন্ধকারে আপনি আমাদের ত্যাগ করে চলে গেছেন।
20 আমরা কি আমাদের ঈশ্বরের নাম ভুলে গিয়েছিলাম?
আমরা কি অন্য কোন দেবতার কাছে প্রার্থনা করেছিলাম?
না! আমরা তা করি নি।
21 নিশ্চিতভাবে ঈশ্বর এইসব জানেন।
আমাদের গভীরতম গোপন কথা পর্যন্ত তিনি জানেন।
22 ঈশ্বর, সারাদিন ধরে আমরা আপনার জন্য প্রাণ দিয়েছি!
যে সব মেষদের কেটে ফেলা হবে আমরা তাদের মতই হয়েছি।
23 হে আমার প্রভু, উঠুন!
কেন আপনি ঘুমাচ্ছেন?
উঠুন! চিরদিনের জন্য আমাদের ত্যাগ করবেন না!
24 প্রভু, কেন আপনি আমাদের থেকে লুকোচ্ছেন?
আপনি কি আমাদের দুঃখ যন্ত্রণা ভুলে গেছেন?
25 আমাদের ধূলোর মধ্যে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
ধূলোতে উদর ঠেকিয়ে আমরা পড়ে আছি।
26 ঈশ্বর, উঠুন এবং আমাদের সাহায্য করুন!
আপনার চিরন্তণ প্রেম প্রদর্শন করে আমাদের উদ্ধার করুন!
চারটি ঘোড়া
7 রাজা দারিয়াবসের রাজত্বের দ্বিতীয় বছরের একাদশতম মাসের 24তম দিনে সখরিয় প্রভুর কাছ থেকে আরেকটি বার্তা পেলেন। বার্তাটি এইরকম ছিল:
8 রাত্রে আমি একটি দর্শন পেলাম। সেই দর্শনে আমি একটি লোককে একটা লাল রঙের ঘোড়ার ওপর দেখলাম। সে উপত্যকায় কিছু সুগন্ধ পত্রবিশিষ্ট গুল্মের ঝোপের মধ্যে দাঁড়িয়েছিল। তার পেছনে ছিল লাল, খয়েরী এবং সাদা রং এর ঘোড়া। 9 আমি জিজ্ঞেস করলাম, “মহাশয়, এই ঘোড়াগুলি কিসের জন্য?”
তখন যে দেবদূত আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন, তিনি বললেন, “আমি তোমায় দেখাচ্ছি এই ঘোড়াগুলো কিসের জন্য।”
10 তখন লোকটি সুগন্ধী ঝোপগুলোর মধ্যে দাঁড়িয়ে উত্তর দিল, “পৃথিবীর চারিদিকে এদিক ওদিক যাবার জন্য প্রভু এই ঘোড়াগুলোকে পাঠিয়েছেন।”
11 তখন সুগন্ধী ঝোপঝাড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা প্রভুর দূতকে তারা বলল, “আমরা পৃথিবীর এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়িয়েছি এবং লক্ষ্য করেছি যে সমগ্র পৃথিবী শান্ত ও স্থির।”
12 তখন প্রভুর দূত বললেন, “প্রভু, জেরুশালেম ও যিহূদার শহরগুলোকে স্বস্তি দিতে আপনি আর কত দেরী করবেন? আপনি 70 বছর ধরে এই শহরগুলোর প্রতি আপনার ক্রোধ দেখিয়েছেন।”
13 তখন প্রভু আমার সঙ্গে কথোপকথনরত দেবদূতটিকে অনেক সদয় ও স্বস্তিপূর্ণ কথা বললেন। 14 তখন প্রভুর দূত আমাকে লোকেদের এই কথা বলতে বললেন:
প্রভু সর্বশক্তিমান বলেন:
“জেরুশালেম ও সিয়োনের জন্য আমার একটি গভীর অনুভূতি আছে।
15 এবং যে জাতিরা নিজেদের নিরাপদ বলে মনে করে, তাদের প্রতি আমি অতিশয় ক্রোধান্বিত।
আমি যখন তেমন রেগে ছিলাম না,
তখন আমি ঐ জাতিদের ব্যবহার করেছিলাম আমার লোকদের শাস্তি দিতে।
কিন্তু ঐ জাতিগুলো ক্ষতি সাধন করেছে।”
16 তাই প্রভু বলেন,
“আমি জেরুশালেমে ফিরে আসব এবং তাকে স্বস্তি দেব।”
প্রভু সর্বশক্তিমান বলেন,
“জেরুশালেমকে আবার গড়া হবে
আর সেখানে আমার গৃহও নির্মাণ করা হবে।”
17 দেবদূতরা বলল লোকদের বল:
“প্রভু সর্বশক্তিমান বলেন,
‘আমার শহর আবার ধনী হয়ে উঠবে।
আমি সিয়োনকে স্বস্তি দেব।
আমি জেরুশালেমকে আবার আমার বিশেষ শহর হিসাবে মনোনীত করব।’”
ফিলাদিলফিয়ার মণ্ডলীর কাছে যীশুর পত্র
7 “ফিলাদিলফিয়ার মণ্ডলীর স্বর্গদূতদের কাছে লেখ:
“যিনি পবিত্র ও যিনি সত্য তিনি তোমায় একথা বলছেন। তাঁর কাছে দায়ূদের চাবি আছে; তিনি খুললে কেউ তা বন্ধ করতে পারে না বা বন্ধ করলে কেউ তা খুলতে পারে না। তিনিই একথা বলছেন:
8 “আমি তোমার সব কাজের কথা জানি। শোন, আমি তোমার সামনে একটি খোলা দরজা রাখছি, এই দরজা কেউ বন্ধ করতে পারে না। আমি জানি যদিও তুমি দুর্বল, তবু তুমি আমার শিক্ষা অনুসারে চলেছ, আর তুমি আমার নাম অস্বীকার কর নি। 9 শোন! শয়তানের দলের যে লোকরা ইহুদী না হয়েও মিথ্যাভাবে নিজেদের ইহুদী বলে তাদের আমি তোমার পায়ের সামনে নিয়ে এসে প্রণাম করাব। আমি তাদের জানাবো যে আমি তোমাকে ভালবেসেছি। 10 কারণ ধৈর্য্য সহকারে সহ্য করবার যে আদেশ আমি দিয়েছিলাম তা তুমি পালন করেছ। এই পৃথিবীবাসী লোকদের পরীক্ষার্থে সমস্ত জগতের ওপর যে মহাকষ্ট ঘনিয়ে আসছে, আমি তোমাকে সেই পরীক্ষার সময় নিরাপদেই রাখব। পৃথিবীর লোকদের পরীক্ষার জন্যই এই মহাকষ্ট আসবে।
11 “আমি শিগ্গির আসছি। তোমার যা আছে তা ধরে রাখ, যেমন চলছ তেমনি চলতে থাক, যেন কেউ তোমার বিজয়মুকুট কেড়ে নিতে না পারে। 12 যে বিজয়ী হয় তাকে আমি আমার ঈশ্বরের মন্দিরে একটি স্তম্ভ করব, আর তাকে কখনও সেই মন্দির থেকে বাইরে যেতে হবে না। তার ওপর আমি আমার ঈশ্বরের নাম আর আমার ঈশ্বরের নগরের নাম লিখব। সেই নগর হল নতুন জেরুশালেম। সেই নগর ঈশ্বরের কাছ থেকে স্বর্গ হতে নেমে আসছে। আমার নতুন নামও আমি তার ওপর লিখে দেব। 13 আত্মা মণ্ডলীগুলিকে কি বলছেন যার শোনার মত কান আছে সে শুনুক।
15 “তোমরা তখন দেখবে যে, ভাববাদী দানিয়েলের মধ্য দিয়ে যে ‘সর্বনাশা ঘৃণার বস্তুর’[a] কথা বলা হয়েছিল তা পবিত্র স্থানে দাঁড়িয়ে আছে।” (যে একথা পড়ছে সে বুঝুক এর অর্থ কি।) 16 “সেই সময় যারা যিহূদিয়াতে থাকবে, তারা পাহাড় অঞ্চলে পালিয়ে যাক্। 17 যে ছাদে থাকবে, সে যেন ঘর থেকে তার জিনিস নেবার জন্য নীচে না নামে। 18 ক্ষেতের মধ্যে যে কাজ করবে, সে তার জামা নেবার জন্য ফিরে না আসুক।
19 “হায়! সেই মহিলারা, যারা সেই দিনগুলিতে গর্ভবতী থাকবে, বা যাদের কোলে থাকবে দুধের শিশু। 20 তাই প্রার্থনা কর যেন শীতকালে বা বিশ্রামবারে তোমাদের পালাতে না হয়। 21 সেই দিনগুলিতে এমন মহাকষ্ট হবে যা জগতের শুরু থেকে এই সময় পর্যন্ত আর কখনও হয় নি এবং হবে ও না।
22 “আরো বলছি, সেই দিনগুলির সংখ্যা ঈশ্বর যদি কমিয়ে না দিতেন তবে কেউই অবশিষ্ট থাকত না। কিন্তু তাঁর মনোনীত লোকদের জন্য তিনি সেই দিনের সংখ্যা কমিয়ে রেখেছেন।
23 “সেই সময় কেউ যদি তোমাদের বলে, ‘দেখ, মশীহ (খ্রীষ্ট)’ এখানে, অথবা ‘দেখ, তিনি ওখানে,’ তাহলে সে কথায় বিশ্বাস করো না। 24 আমি একথা বলছি, কারণ অনেক ভণ্ড খ্রীষ্ট ও ভণ্ড ভাববাদীর উদয় হবে। তারা মহা আশ্চর্য কাজ করবে ও চিহ্ন দেখাবে, যেন লোকদের ঠকাতে পারে। যদি সম্ভব হয়, এমনকি ঈশ্বরের মনোনীত লোকদেরও ঠকাবে। 25 দেখ, আমি আগে থেকেই তোমাদের এসব কথা বলে রাখলাম।
26 “তাই তারা যদি তোমাদের বলে, ‘দেখ, খ্রীষ্ট প্রান্তরে আছেন!’ তবে তোমরা সেখানে যেও না, অথবা যদি বলে দেখ, ‘তিনি ভেতরের ঘরে লুকিয়ে আছেন,’ তাদের কথায় বিশ্বাস করো না। 27 আকাশে বিদ্যুত যেমন পূর্ব দিকে দেখা দিয়ে পশ্চিম দিক পর্যন্ত চমকে দেয়, তেমনি করেই মানবপুত্রের আবির্ভাব হবে। 28 যেখানে শব, সেখানেই শকুন এসে জড় হবে।
29 “মহাক্লেশের সেই দিনগুলির পরই,
‘সূর্য অন্ধকার হয়ে যাবে,
চাঁদ আর আলো দেবে না।
তারাগুলো আকাশ থেকে খসে পড়বে
আর আকাশমণ্ডলে মহা আলোড়নের সৃষ্টি হবে।’[b]
30 “সেই সময় আকাশে মানবপুত্রের চিহ্ন দেখা দেবে। তখন পৃথিবীর সকল গোষ্ঠী হা-হুতাশ করবে; আর তারা মানবপুত্রকে মহাপরাক্রম ও মহিমামণ্ডিত হয়ে আকাশের মেঘে করে আসতে দেখবে। 31 খুব জোরে তূরীধ্বনির সঙ্গে তিনি তাঁর স্বর্গদূতদের পাঠাবেন। তাঁরা আকাশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত, চার দিক থেকে তাঁর মনোনীত লোকদের জড়ো করবেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International