Book of Common Prayer
দায়ূদের একটি গীত। যখন থেকে দায়ূদ পাগলের মত আচরণ করেছিলেন যাতে অবীমেলক তাঁকে দূর করে দেন। এইভাবে দায়ূদ তাঁকে ছেড়ে চলে যান।
34 সর্বদা আমি প্রভুকে ধন্যবাদ জানাই।
আমার মুখ সর্বদাই তাঁর প্রশংসা করে।
2 হে বিনীত লোকরা, যখন আমি প্রভুর সম্পর্কে বড়াই করি
তোমরা শোন এবং সুখী হও।
3 আমার সঙ্গে সঙ্গে ঈশ্বরের প্রশংসা কর।
এসো আমরা তাঁর নামের সম্মান করি।
4 আমি ঈশ্বরের কাছে সাহায্যের জন্য গিয়েছিলাম এবং তিনি শুনেছেন।
যা কিছু আমি ভয় করতাম, তা থেকে তিনি আমায় উদ্ধার করেছেন।
5 সাহায্যের জন্য ঈশ্বরের দিকে চাও,
তিনি তোমায় গ্রহণ করবেন।
লজ্জিত হয়ো না।[a]
6 এই দরিদ্র মানুষটি প্রভুকে ডেকে সাহায্য প্রার্থনা করে।
প্রভু আমার কথা শুনেছেন
এবং সব সমস্যা থেকে তিনি আমায় রক্ষা করেছেন।
7 যারা প্রভুকে অনুসরণ করে, প্রভুর দূত এসে তাদের চারিদিকে শিবির স্থাপন করেন।
প্রভুর দূত তাদের রক্ষা করেন।
8 প্রভু কতখানি ভালো তা দেখাবার জন্য প্রভুর স্বাদ গ্রহণ কর।
যে প্রভুর ওপর নির্ভর করে সে সত্যিই সুখী হয়।
9 তোমরা প্রভুর পবিত্র অনুগামীরা, প্রভুকে শ্রদ্ধা কর।
কারণ অনুগামীদের কাছে প্রত্যেকটি জিনিস আছে যা তাদের প্রয়োজন।
10 বলবান লোকরাও ক্ষুধার্ত এবং দুর্বল হয়ে পড়বে।
কিন্তু যারা ঈশ্বরের কাছে সাহায্যের জন্য যাবে, তারা সব ভালো জিনিসই পাবে।
11 শিশুরা, আমার কথা শোন,
আমি তোমাদের শিখিয়ে দেবো কেমন করে প্রভুকে শ্রদ্ধা করতে হয়।
12 যদি কেউ জীবনকে ভালোবাসে
এবং দীর্ঘ ও ভালো জীবনযাপন করতে চায়,
13 তাহলে, সেই ব্যক্তি যেন মন্দ কথা না বলে,
সে যেন মিথ্যা কথা না বলে।
14 খারাপ কাজ করা বন্ধ করে দাও! ভালো কাজ কর।
শান্তির জন্য কাজ কর। যতক্ষণ না শান্তি পাও, ততক্ষণ তার পেছনে ছুটে বেড়াও।
15 ভালো লোকদের প্রভু রক্ষা করেন।
তিনি তাদের প্রার্থনা শোনেন।
16 কিন্তু যারা খারাপ কাজ করে প্রভু তাদের বিরোধী।
তিনি তাদের সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেন!
17 প্রভুর কাছে প্রার্থনা কর এবং তিনি তোমার কথা শুনবেন
এবং সব সংকট থেকে তিনি তোমায় উদ্ধার করবেন।
18 যখন সংকট আসে তখন কয়েকজন দম্ভ করা থেকে বিরত হয়।
প্রভু সেই সব ভগ্ন হৃদয় লোকের কাছাকাছি থাকেন এবং তাদের উদ্ধার করেন।
19 ভালো লোকদের অনেক সমস্যা হতে পারে,
কিন্তু প্রত্যেকটা সমস্যা থেকে প্রভু তাদের উদ্ধার করবেন।
20 তাদের প্রত্যেকটি হাড় প্রভু রক্ষা করবেন।
তাদের একটি হাড়ও ভাঙবে না।
21 দুষ্ট লোকদের শয়তানি
তাদের ক্রমশঃ ধ্বংস করবে।
22 প্রভু তাঁর দাসদের আত্মাকে রক্ষা করেন।
যারা তাঁর ওপর নির্ভর করে তিনি তাদের বিনষ্ট হতে দেবেন না।
ঈশ্বর তাঁর বিশেষ সেবককে ডাকছেন
49 দূরবর্তী স্থানের সব লোকরা আমার কথা শোন।
পৃথিবীবাসী সবাই আমার কথা শোন!
আমি জন্মাবার আগেই প্রভু আমাকে তাঁর সেবা করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
আমি মাতৃজঠরে থাকার সময়েই প্রভু আমার নাম ধরে ডাক দেন।
2 প্রভু আমাকে তাঁর কথা বলতে ব্যবহার করেন!
তিনি আমার মুখকে ধারালো তরবারির মতো তৈরী করেছেন।
তিনি আমাকে নিজের হাতে লুকিয়ে রেখে আমাকে রক্ষাও করেছেন।
প্রভু আমাকে একটি ধারালো তীরের মতো ব্যবহার করলেও,
তিনি আমাকে তাঁর তীরের থলিতে লুকিয়ে রাখেন।
3 প্রভু আমাকে বললেন, “ইস্রায়েল তুমি আমার ভৃত্য!
তোমার জন্য আমি যা করি তার জন্য আমি সম্মানিত হব।”
4 আমি বললাম, “আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি।
আমি নিজেকে ক্ষয় করেছি, কিন্তু কোন প্রয়োজনীয় কাজ করি নি।
আমি আমার সমস্ত শক্তি ব্যয় করেছি।
কিন্তু আমি সত্যিকারের কিছুই করতে পারিনি।
তাই প্রভুকেই ঠিক করতে হবে।
তিনি আমাকে নিয়ে কি করবেন।
ঈশ্বরই আমার পুরস্কারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।”
5 প্রভু আমাকে আমার মাতৃগর্ভে সৃষ্টি করেছেন,
যাতে আমি তাঁর দাস হতে পারি
এবং যাকোব ও ইস্রায়েলকে পথ প্রদর্শন করে তাঁর কাছে ফিরিয়ে আনতে পারি।
প্রভু আমাকে সম্মান দেবেন।
ঈশ্বরের কাছ থেকে আমি আমার শক্তি পাব।
6 প্রভু আমাকে বলেন, “তুমি আমার খুবই গুরুত্বপূর্ণ দাস।
ইস্রায়েলের লোকরা এখন বন্দী।
কিন্তু তাদের আমার কাছে আনা হবে।
যাকোবের পরিবারগোষ্ঠী আমার কাছেই ফিরে আসবে।
কিন্তু তোমার অন্য কাজ আছে, এর থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেই কাজ!
আমি তোমাকে সমস্ত জাতির আলো হিসেবে তৈরি করব।
বিশ্ববাসীকে রক্ষা করতে তুমিই হবে আমার পথ।”
খ্রীষ্টের প্রেরিতগণ
4 লোকদের কাছে আমাদের পরিচয় এই হোক্ যে, আমরা খ্রীষ্টের সেবক এবং আমরা ঈশ্বরের নিগূঢ়তত্ত্বরূপ সম্পদের ভারপ্রাপ্ত মানুষ। 2 যারা এই সম্পদের ভারপ্রাপ্ত মানুষ তারা এই কাজে বিশ্বস্ত কিনা তা দেখতে হবে। 3 তোমরা বা কোন মানুষের বিচার সভা আমার বিচার করুক তাতে আমার কিছু যায় আসে না, এমন কি আমি আমার নিজেরও বিচার করি না। 4 আমার বিবেক পরিষ্কার, তবুও এতে আমি নির্দোষ প্রতিপন্ন হই না। প্রভুই আমার বিচার করেন। 5 তাই যথার্থ সময়ের আগে অর্থাৎ প্রভু আসার আগে, তোমরা কোন কিছুর বিচার করো না। আজ যা কিছু অন্ধকারে লুকানো আছে তিনি তা আলোতে প্রকাশ করবেন; আর তিনি মানুষের মনের গুপ্ত বিষয় জানিয়ে দেবেন।
6 ভাই ও বোনেরা, তোমরা যেন বুঝতে পার তাই আপল্লো ও আমার উদাহরণ দিয়ে এইসব কথা বললাম, “যেন তোমরা শেখ যে শাস্ত্রে যা লেখা আছে তার বাইরে যেতে নেই।” তাহলে তোমরা একজনের বিরুদ্ধে অন্য জনকে নিয়ে গর্ব করবে না। 7 তুমি যে অন্যদের থেকে ভাল তা কে বলেছে? আর তুমি যা ঈশ্বরের কাছ থেকে দান হিসাবে পাও নি, এমনই বা কি তোমার আছে? আর যখন তুমি সব কিছু দান হিসেবে পেয়েছ, তখন দান হিসেবে পাও নি, কেন এমন গর্ব করছ?
8 তোমরা মনে করছ, তোমাদের যা কিছু প্রয়োজন তোমরা এখনই সে সব পেয়ে গিয়েছ। তোমরা মনে কর তোমরা এখন ধনী হয়ে গিয়েছ; আর আমাদের ছাড়াই তোমরা রাজা হয়ে গিয়েছ। অবশ্য সত্যি সত্যিই তোমরা রাজা হয়ে গেলে ভালোই হত! তাহলে আমরাও তোমাদের সঙ্গে রাজা হতে পারতাম। 9 হত্যা করা হবে বলে যাদের মিছিলের শেষে প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয়, আমার মনে হয় ঈশ্বর আমাদের অর্থাৎ প্রেরিতদের ঠিক তেমনি সকলের শেষে রেখেছেন। আমরা সারা জগতের কাছে অর্থাৎ স্বর্গদূতদের ও মানুষের কাছে যেন দেখার সামগ্রী হয়েছি। 10 আমরা খ্রীষ্টের জন্য মূর্খ হয়েছি, আর তোমরা খ্রীষ্টেতে বুদ্ধিমান হয়েছ। আমরা দুর্বল, কিন্তু তোমরা বলবান। তোমরা সম্মান লাভ করেছ, কিন্তু আমরা অসম্মানিত। 11 এই মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় কষ্ট পাচ্ছি। আমাদের পরণে জীর্ণ বস্ত্র, আমাদের চপেটাঘাত করা হচ্ছে, আমাদের বাসস্থান বলতে কোন কিছু নেই। 12 জীবিকার জন্য আমরা নিজের হাতে কঠিন পরিশ্রম করছি। লোকে আমাদের নিন্দা করলে আমরা তাদের আশীর্বাদ করি, যখন নির্যাতন করে তখন আমরা তা সহ্য করি। 13 কেউ অপবাদ দিলে তার সঙ্গে ভাল কথা বলি। আজ পর্যন্ত আমরা যেন জগতের আবর্জনা ও দুনিয়ার জঞ্জাল হয়ে রয়েছি।
14 তোমাদের লজ্জা দেবার জন্য আমি এসব কথা লিখছি না বরং আমার প্রিয় সন্তান হিসাবে সাবধান করার জন্যই লিখছি। 15 কারণ তোমাদের খ্রীষ্টে দশ হাজার গুরু থাকতে পারে, কিন্তু তোমাদের পিতা অনেক নেই। আমি খ্রীষ্ট যীশুতে সুসমাচার প্রচারের মাধ্যমে তোমাদের আত্মিক পিতা হয়েছি। 16 তাই আমি তোমাদের মিনতি করছি, তোমরা আমার অনুগামী হও।
96 প্রভু যা কিছু নতুন করেছেন তার জন্য একটা নতুন গান গাও!
সারা পৃথিবীকে প্রভুর উদ্দেশ্যে গেয়ে উঠতে দাও।
2 প্রভুর উদ্দেশ্যে গান গাও এবং তাঁর নামকে ধন্য কর!
আনন্দ সংবাদ ছড়িয়ে দাও! যিনি প্রতিদিন আমাদের রক্ষা করেন তাঁর কথা বল!
3 লোকেদের বল যে ঈশ্বর সত্যিই বিস্ময়কর।
ঈশ্বর যে সব আশ্চর্য কার্য করেন তা সর্বত্র মানুষকে বল।
4 প্রভু মহান এবং প্রশংসার যোগ্য।
অন্য যে কোন “দেবতার” চেয়ে তিনি অনেক বেশী ভয়ঙ্কর।
5 অন্যান্য সমস্ত জাতির “দেবতা” মূর্ত্তিমাত্র।
কিন্তু প্রভু স্বর্গ সৃষ্টি করেছেন।
6 তাঁর সামনে অনুপম মহিমা ভাস্বর হয়ে ওঠে।
ঈশ্বরের পবিত্র মন্দিরে শক্তি ও সৌন্দর্য্য দুই-ই আছে।
7 হে পরিবার ও জাতিগণ, প্রশংসার গান কর
এবং প্রভুকে মহিমান্বিত কর।
8 প্রভুর নামের প্রশংসা কর।
তোমাদের নৈবেদ্য নাও এবং মন্দিরে যাও।
9 তোমাদের পবিত্র পোশাকে প্রভুর সামনে নত হও।
পৃথিবীর সমগ্র জনগণ, তাঁর উপস্থিতিতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাও।
10 জাতিগণের মধ্যে ঘোষণা করে দাও যে প্রভু রাজা!
তাহলে বিশ্ব ধ্বংস হবে না।
অতএব প্রভু ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে লোকদের বিচার করেন।
11 হে স্বর্গলোক—সুখী হও! হে পৃথিবী—উল্লসিত হও!
সমুদ্র এবং সমুদ্রে যা কিছু রয়েছে তোমরা সবাই আনন্দে চিৎকার করে ওঠো!
12 ক্ষেতগুলি এবং সেখানে যা কিছু জন্মেছে, সুখী হও!
হে অরণ্যের বৃক্ষরাশি, তোমরা গান গাও ও সুখী হও!
13 খুশী হও, কারণ প্রভু আসছেন।
পৃথিবীকে শাসন[a] করার জন্য প্রভু আসছেন।
ন্যায় বিচার ও সত্যপথে তিনি পৃথিবীকে শাসন করবেন।
একটি ধন্যবাদার্হ গীত।
100 হে পৃথিবী, প্রভুর উদ্দেশ্যে গান গাও!
2 যখন তুমি প্রভুর সেবা কর তখন আনন্দিত থেকো!
আনন্দ গীত গাইতে গাইতে প্রভুর সামনে এসো!
3 এটা জেনো যে প্রভুই ঈশ্বর।
তিনিই আমাদের সৃষ্টি করেছেন।
আমরা তাঁরই মেষের পাল।
4 ধন্যবাদের গীত গাইতে গাইতে তাঁর শহরে এসো।
প্রশংসা গীত গাইতে গাইতে তাঁর মন্দিরে এসো।
তাঁকে সম্মান কর, তাঁর নামকে ধন্য কর।
5 প্রভু ভালো!
তাঁর ভালোবাসা চিরন্তন।
আমরা সর্বদাই তাঁর ওপর আস্থা রাখতে পারি!
যীশুর প্রথম শিষ্যদল
35 পরদিন যোহন তাঁর দুজন শিষ্যের সঙ্গে আবার সেখানে এলেন। 36 যীশুকে সেখান দিয়ে যেতে দেখে তিনি বললেন, “ঐ দেখ, ঈশ্বরের মেষশাবক!”
37 তাঁর সেই দুজন শিষ্য যোহনের কথা শুনে যীশুর অনুসরণ করতে লাগলেন। 38 যীশু পিছন ফিরে সেই দুজনকে অনুসরণ করতে দেখে তাঁদের জিজ্ঞেস করলেন, “তোমরা কি চাও?”
তাঁরা যীশুকে বললেন, “রব্বি, আপনি কোথায় থাকেন?” (“রব্বি” কথাটির অর্থ “গুরু।”)
39 যীশু তাঁদের বললেন, “এস দেখবে।” তখন তাঁরা গিয়ে দেখলেন তিনি কোথায় থাকেন। আর সেই দিনের বাকি সময়টা তাঁরা যীশুর কাছে কাটালেন। তখন সময় ছিল প্রায় বিকাল চারটে।
40 যোহনের কথা শুনে যে দুজন লোক যীশুর পিছনে পিছনে গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে একজন হচ্ছেন শিমোন পিতরের ভাই আন্দ্রিয়। 41 আন্দ্রিয় সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ভাই শিমোনের দেখা পেয়ে তাকে বললেন, “আমরা মশীহের দেখা পেয়েছি।” (“মশীহ” কথাটির অর্থ “খ্রীষ্ট।”)
42 আন্দ্রিয়, শিমোন পিতরকে যীশুর কাছে নিয়ে এলেন। যীশু তাঁর দিকে তাকিয়ে বললেন, “তুমি যোহনের ছেলে শিমোন, তোমাকে কৈফা বলে ডাকা হবে।” (“কৈফা” কথাটির অর্থ “পিতর।”)
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International