Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Book of Common Prayer

Daily Old and New Testament readings based on the Book of Common Prayer.
Duration: 861 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
গীতসংহিতা 78

আসফের একটি মস্কীল।

78 হে আমার লোকরা, আমার শিক্ষামালা শোন।
    আমি যা বলছি তা শোন।
আমি তোমাদের এই গল্প বলবো।
    আমি তোমাদের এই প্রাচীন গল্পটি বলবো।
এই গল্প আমরাও শুনেছি, এই গল্পটা আমরা খুব ভালোভাবে জানি।
    আমাদের পিতা-পিতামহরা এই গল্প বলেছেন।
এই গল্প আমরাও ভুলে যাবো না।
    আমাদের লোকরা শেষ প্রজন্মকে পর্যন্ত এই গল্প বলতে থাকবে।
আমরা সবাই প্রভুর প্রশংসা করবো
    এবং প্রভু যে সব আশ্চর্য কার্য করেছেন তা বলবো।
প্রভু যাকোবের সঙ্গে একটা চুক্তি করেছিলেন।
    ইস্রায়েলকে ঈশ্বর একটা বিধি দিয়েছিলেন।
    আমাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর আজ্ঞা দিয়েছেন।
    তিনি আমাদের পূর্বপুরুষদের বলেছেন তারা যেন তাদের উত্তরপুরুষদের সেই বিধি সম্পর্কে শিক্ষাদান করে।
নতুন শিশুরা জন্ম নেবে। তারা আস্তে আস্তে বড় হবে।
    তারা তাদের ছেলেমেয়েদের এই গল্পগুলো বলবে।
    এইভাবে শেষ প্রজন্মের মানুষ পর্যন্ত এই বিধি জানতে পারবে।
তাই ঐসব লোকরাই ঈশ্বরকে বিশ্বাস করবে।
    ঈশ্বর কি করেছেন তা তারা ভুলবে না।
    ওরা খুব যত্ন করে তাঁর আজ্ঞাগুলো পালন করবে।
যদি লোকরা তাদের শিশুদের ঈশ্বরের আজ্ঞাগুলো সম্পর্কে শিক্ষা দেয়
    তাহলে ওই শিশুরা ওদের পূর্বপুরুষদের মত হবে না, ওদের পূর্বপুরুষরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে গিয়েছিলো।
তারা তাঁকে মানতে অস্বীকার করেছিলো, ঐসব লোক প্রচণ্ড একগুঁয়ে ছিলো।
    ওরা ঈশ্বরের আত্মার প্রতি নিষ্ঠাবান ছিল না।

ইফ্রয়িমের লোকেরা অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত ছিল
    কিন্তু তারা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে দৌড়ে পালিয়ে গেল।
10 তারা ঈশ্বরের সঙ্গে তাদের চুক্তি রক্ষা করে নি।
    তারা তাঁর শিক্ষামালা মান্য করতে অস্বীকার করেছিলো।
11 ঈশ্বর যে সব আশ্চর্য কার্য করেছিলেন, ইফ্রয়িমের লোকরা তা ভুলে গিয়েছিলো।
    তিনি যে সব আশ্চর্য কার্য ওদের দেখিয়েছিলেন, তা তারা ভুলে গিয়েছিলো।
12 ঈশ্বর ওদের পিতৃপুরুষদের মিশরের সোয়নে,
    তাঁর পরাক্রম প্রদর্শন করে দেখিয়েছিলেন।
13 ঈশ্বর লোহিত সাগরকে দুভাগ করেছিলেন এবং লোকদের সাগর পার করিয়েছিলেন।
    সেই জল দুধারে একটি শক্তি দেওয়ালের মত দাঁড়িয়েছিলো।
14 প্রতিদিন প্রলম্বিত মেঘের দ্বারা ঈশ্বর ওদের পথ দেখিয়েছিলেন।
    প্রতিটি রাত্রে আগুনের আলো দিয়ে ঈশ্বর ওদের পথ দেখিয়ে ছিলেন।
15 ঈশ্বর মরুভূমির পাথরকে দ্বিধাবিভক্ত করেছেন।
    মাটির গভীর অতল থেকে ওই সব লোকদের তিনি জলও দিয়েছেন।
16 পাথর থেকে আগত ঝর্ণার জলকে
    ঈশ্বরই নদীর প্রবাহ দিয়েছেন!
17 কিন্তু লোকরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে পাপ কাজ অব্যাহত রেখেছিল।
    পরাৎ‌‌পরের বিরুদ্ধে তারা মরুভূমিতে পর্যন্ত বিদ্রোহ করেছে।
18 তারা যখন তাদের ইচ্ছা পূর্ণ করবার জন্য খাবার চাইল
    তখন তারা তাদের মনে মনে ঈশ্বরকে পরীক্ষা করল।
19 ওরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছিলো,
    “ঈশ্বর কি আমাদের এই মরুভূমিতে খাবার এনে দিতে পারবেন?
20 তিনি পাথরে আঘাত করলেন এবং বন্যার মতো জলধারা বেরিয়ে এলো।
    কিন্তু তিনি কি আমাদের কিছু রুটি এবং মাংস দিতে পারেন?”
21 ওই লোকগুলো কি বলছে, প্রভু তা শুনলেন।
    যাকোবের ওপর ঈশ্বর প্রচণ্ড ক্রুদ্ধ হলেন।
ইস্রায়েলের ওপর ঈশ্বর প্রচণ্ড ক্রুদ্ধ হলেন।
22 কেন? কারণ লোকরা তাঁকে বিশ্বাস করে নি।
ঈশ্বর যে ওদের রক্ষা করতে পারেন, তা ওরা বিশ্বাস করে নি।
23-24 এর পর ঈশ্বর মেঘকে উন্মুক্ত করে দিলেন
    এবং খাদ্যের জন্য ওদের ওপরে মান্না বর্ষিত হল।
এ যেন আকাশের দ্বার খুলে গেল
    এবং স্বর্গের ভাণ্ডার থেকে শস্যরাশি পড়তে লাগলো।
25 লোকরা দেবদূতদের[a] সেই খাবার খেয়েছিলো।
    ওদের সন্তুষ্ট করার জন্য ঈশ্বর প্রচুর খাবার পাঠিয়েছিলেন।
26 ঈশ্বর পূর্বদিক থেকে একটা ঝোড়ো বাতাস প্রবাহিত করলেন
    এবং ওদের কাছে একধরণের পাখি বৃষ্টির মত পড়তে লাগলো।
27 ঈশ্বর তেমানের দিক থেকে সেই বায়ুকে প্রবাহিত করালেন
    এবং যে নীল আকাশের দিকটায় প্রচুর পাখি ছিল সেই দিকটা অন্ধকারময় হয়ে গেল।
28 ওদের তাঁবুর ঠিক মাঝখানে,
    ওদের তাঁবুর চারপাশে পাখিগুলো পড়ে গিয়েছিল।
29 তাদের কাছে বিরাট খাদ্যের ভাণ্ডার ছিল।
    কিন্তু তাদের ক্ষুধা তাদের পাপকার্যে প্ররোচিত করেছিল।
30 তারা তাদের ভোজন নিয়ন্ত্রিত করে নি।
    তাই পাখীগুলোর দেহ থেকে রক্ত বেরিয়ে আসার আগেই তারা পাখীগুলোকে খেয়ে ফেলেছিল।
31 অতএব, খাবার যখন তাদের মুখের মধ্যে তখনও ছিল তখন ঈশ্বর ওইসব লোকের ওপর প্রচণ্ড ক্ষুদ্ধ হলেন
    এবং ওদের অনেককে মেরে ফেললেন। ঈশ্বর বহু স্বাস্থ্যবান তরুণের মৃত্যুর কারণ হলেন।
32 ওইসব লোকরা আবার পাপ করলো!
    ঈশ্বর যে সব আশ্চর্য কার্য করতে পারেন তার ওপর নির্ভর করলো না।
33 তাই ওদের মূল্যহীন জীবনগুলোতে
    ঈশ্বর দুর্বিপাক এনে শেষ করে দিলেন।
34 যখনই ঈশ্বর ওদের কাউকে হত্যা করেছেন, অন্যরা তাঁর কাছে ফিরে এসেছেন।
    ওরা ছুটে ছুটে ঈশ্বরের কাছে ফিরে এসেছে।
35 তখন এইসব লোকরা স্মরণ করবে যে ঈশ্বরই ছিলেন তাদের শিলা।
    ওরা তখন মনে করবে যে পরাৎ‌‌পরই একমাত্র ওদের মুক্তিদাতা।
36 ওরা বলেছিলো, ওরা তাঁকে ভালোবাসে কিন্তু ওরা মিথ্যা কথা বলেছিলো।
    ওই সব লোক একেবারেই আন্তরিক ছিলো না।
37 প্রকৃতপক্ষে ওদের হৃদয় ঈশ্বরের সঙ্গে ছিলো না।
    চুক্তির প্রতি ওরা একেবারেই বিশ্বস্ত ছিলো না।
38 কিন্তু ঈশ্বর করুণাময় ছিলেন।
    তিনি ওদের সব পাপ ক্ষমা করে দিলেন, তিনি কিন্তু ওদের ধ্বংস করেন নি।
বহুবার ঈশ্বর তাঁর ক্রোধ সংবরণ করেছেন।
    তিনি নিজেকে কখনই অতিরিক্ত ক্রুদ্ধ হতে দেন নি।
39 ঈশ্বর মনে রেখেছিলেন যে ওরা ন্যায়পরায়ণ মানুষ।
    লোকরা বাতাসেরই মত, যারা বয়ে যায় এবং চলে যায়।
40 ওঃ, কতবার ঐ লোকগুলো মরুভূমিতে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে!
    ওরা তাঁকে কত দুঃখই দিয়েছে!
41 ওই লোকগুলো বার বার ঈশ্বরের ধৈর্য্য পরীক্ষা করেছে।
    ইস্রায়েলের পবিত্র একজনকে ওরা সত্যই ক্রুদ্ধ করেছে।
42 ওই লোকরা ঈশ্বরের পরাক্রমের কথা ভুলে গিয়েছিলো।
    ঈশ্বর যে বহুবার শত্রুদের হাত থেকে ওদের রক্ষা করেছিলেন, তা ওরা ভুলে গিয়েছিলো।
43 মিশরে ঈশ্বর যে সব চমৎ‌‌কার কাজগুলি করেছিলেন তার কথা ওরা ভুলে গিয়েছিলো,
    সোয়ন প্রান্তরের চমৎ‌‌কার কাজের কথা ওরা ভুলে গিয়েছিলো।
44 ঈশ্বর নদীগুলিকে রক্তে পরিণত করেছিলেন!
    মিশরবাসীরা সেই জল পান করতে পারলো না।
45 ঈশ্বর ঝাঁকে ঝাঁকে মাছি পাঠালেন যারা মিশরবাসীদের কামড় দিলো,
    তিনি অগনিত ব্যাঙ পাঠালেন যারা মিশরবাসীর জীবন ধ্বংস করে দিলো।
46 ওদের শস্যকে ঈশ্বর গঙ্গা ফড়িংয়ের কবলে
    এবং ওদের বৃক্ষ লতাকে পঙ্গপালের কবলে করে দিলেন।
47 ঈশ্বর শিলাবৃষ্টির দ্বারা ওদের দ্রাক্ষাক্ষেত নষ্ট করলেন।
    শিলাবৃষ্টির দ্বারা তিনি ওদের বৃক্ষরাজি ধ্বংস করলেন।
48 শিলাবৃষ্টি দিয়ে তিনি ওদের পশুদের মারলেন
    এবং বজ্র-বিদ্যুৎ দিয়ে গবাদি পশুদের মারলেন।
49 ঈশ্বর মিশরের লোকদের তাঁর ক্রোধ দেখালেন।
    ওদের বিরুদ্ধে তিনি তাঁর বিধ্বংসকারী দূতদের পাঠালেন।
50 ক্রোধ প্রদর্শনের জন্য ঈশ্বর একটা রাস্তা পেয়েছিলেন।
    ওদের একটা লোককেও তিনি বাঁচতে দিলেন না।
    এক মহামড়কের মধ্যে দিয়ে তিনি ওদের মরতে দিলেন।
51 মিশরের প্রত্যেকটি প্রথমজাত সন্তানকে ঈশ্বর হত্যা করলেন।
    হাম পরিবারের প্রত্যেকটি প্রথম জাতককে তিনি হত্যা করলেন।
52 তারপর একজন মেষপালকের মত তিনি ইস্রায়েলকে পথ দেখিয়েছিলেন।
    একজন মেষপালকের মত তিনি তাঁর লোকেদের, মেষপালকের মত জনহীন প্রান্তরে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
53 ঈশ্বর তাঁর লোকদের নিরাপদে চালনা করেছিলেন।
    তাঁর লোকদের ভয় করার মত কিছু ছিল না।
    তাদের শত্রুদের তিনি লোহিত সাগরে ডুবিয়ে দিয়েছিলেন।
54 তাঁর পবিত্র ভূখণ্ডে ঈশ্বর তাঁর লোকদের পৌঁছে দিয়েছিলেন।
    তিনি তাঁর লোকদের নিজ ক্ষমতা বলে পাওয়া সেই পর্বতে যেটা তিনি রূপ দিয়েছিলেন সেটাতে নিয়ে গেলেন।
55 ঈশ্বর অন্যান্য জাতিদের সেই ভূখণ্ডের থেকে বাইরে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
    প্রত্যেকটি পরিবারকে বাধ্য করিয়েছেন।
    প্রত্যেকটি পরিবারকে ঈশ্বর সে ভূখণ্ডের অংশ দিয়েছেন।
এখান বাস করার জন্য ইস্রায়েলের প্রত্যেকটি পরিবারগোষ্ঠীকে
    ঈশ্বর সেই ভূখণ্ডে ঘর দিয়েছেন।
56 কিন্তু ওরা পরাৎ‌‌পর ঈশ্বরকে পরীক্ষা করেছিলো এবং তাঁকে দুঃখী করেছিলো।
    ওই সব লোক ঈশ্বরের আজ্ঞা মান্য করে নি।
57 ওরা ঠিক ওদের পূর্বপুরুষদের মতই ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলো।
    ওরা একটি বঞ্চক ধনুকের মত[b] দিক পরিবর্তন করেছিলো।
58 ইস্রায়েলের লোকরা উচ্চস্থান তৈরী করেছিলো এবং ঈশ্বরকে ক্রুদ্ধ করেছিলো।
    তারা মূর্ত্তিসমূহ তৈরী করেছিলো এবং ঈশ্বরকে অত্যন্ত ঈর্ষান্বিত করে তুলেছিল।
59 এইসব শুনে ঈশ্বর ক্রোধান্বিত হয়েছিলেন।
    ঈশ্বর ইস্রায়েলকে তীব্রভাবে অস্বীকার করেছিলেন!
60 ঈশ্বর পবিত্র তাঁবুটি শীলোতে রেখেছিলেন।
    সাধারণ লোকদের মধ্যে ঈশ্বর সেই তাঁবুতে থাকতেন।
61 ঈশ্বর অন্য জাতিকে তাঁর লোকদের অধিকার করতে দিয়েছেন।
    শত্রুরা ঈশ্বরের সুন্দরতম রত্ন নিয়ে গিয়েছিলো।
62 ঈশ্বর তাঁর লোকদের বিরুদ্ধে ক্রোধ প্রকাশ করলেন।
    তিনি তাদের যুদ্ধে নিহত হতে দিলেন।
63 তরুণরা সব পুড়ে মারা গেল
    এবং যে মেয়েদের ওরা বিয়ে করবে ভেবেছিলো তারা কেউই বিয়ের গান গাইছিলো না।
64 যাজকরা মারা গেল
    কিন্তু তাদের বিধবারা ওদের জন্য কাঁদে নি।
65 শেষ কালে, যেমন করে একজন লোক ঘুম থেকে ওঠে,
    প্রচুর দ্রাক্ষারস পান করে যেমন একজন সৈনিক ওঠে,
    তেমন করে আমাদের প্রভু উঠলেন।
66 ঈশ্বর তাঁর শত্রুদের জোর করে হঠিয়ে দিয়ে ওদের পরাজিত করালেন।
    ঈশ্বর তাঁর শত্রুদের পরাজিত করে চিরদিনের জন্য ওদের অসম্মানিত করলেন।
67 তারপর ঈশ্বর যোষেফের তাঁবুটিকে[c] বাতিল করলেন
    এবং ইফ্রয়িমের শাসন ক্ষমতা কেড়ে নিলেন।
68 তারপর ঈশ্বর যিহূদা জাতিকে শাসক জাতি হিসেবে মনোনীত করলেন
    এবং তাঁর প্রিয় জেরুশালেমকে মন্দির নির্মাণের স্থান হিসেবে বেছে নিলেন।
69 সেই পাহাড়ের উঁচু জায়গায় ঈশ্বর তাঁর মন্দির নির্মাণ করলেন।
    পৃথিবীর মত তিনি তাঁর মন্দির চিরকালের জন্য স্থাপন করলেন।
70 ঈশ্বর তাঁর বিশেষ সেবকরূপে দায়ূদকে মনোনীত করলেন।
    দায়ূদ মেষ চরাচ্ছিলো, কিন্তু ঈশ্বর সেই কাজ থেকে তাকে নিয়ে এলেন।
71 ঈশ্বর দায়ূদকে, তাঁর লোকদের মেষপালক হওয়ার দায়িত্ব,
    যাকোবের লোকদের দায়িত্ব এবং ইস্রায়েলের লোকদের ও তাদের সম্পত্তির দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
72 দায়ূদ পবিত্র মনে তাদের নেতৃত্ব দিলেন।
    তিনি খুব প্রজ্ঞার সঙ্গে তাদের পরিচালিত করলেন।

নহিমিয় 9:26-38

26 তারা তোমার বিরুদ্ধে গেল
    এবং তোমার শিক্ষামালা ছুঁড়ে ফেলে দিল।
    তারা তোমার ভাববাদীদেরও হত্যা করল,
যারা তাদের সতর্ক করে
    তোমার কাছে ফেরাতে চেয়েছিল।
    কিন্তু আমাদের পূর্বপুরুষরা তোমার বিরুদ্ধে বীভৎ‌স সব কাজ করলো।
27 তাই তুমি তাদের শত্রুদের হাতে ওদের পরাজিত হতে দিলে।
    শত্রুরা তাদের নানান সংকটের মধ্যে ফেললো।
তাই বিপদের সময়ে তারা তোমার সাহায্যের জন্য কেঁদে পড়ল।
    স্বর্গে বসে তুমি তাদের আর্ত চিৎকার শুনলে।
তুমি করুণাময়,
    তাই লোক পাঠালে তাদের পরিত্রাণের জন্য।
    তারা এসে শত্রুদের হাত থেকে ওদের উদ্ধার করলো।
28 কিন্তু যে মূহুর্তে আমাদের পূর্বপুরুষরা তাদের শত্রুদের হাত থেকে মুক্তি পেল,
    তারা পাপ কার্য শুরু করলো।
তাই তুমি তাদের শত্রুদের পরাজিত করতে এবং তাদের ওপর নিষ্ঠুরভাবে শাসন করতে দিলে।
তারা তোমার সাহায্যের জন্য কান্নাকাটি করল।
    স্বর্গে তুমি তাদের কান্না শুনলে
এবং তোমার করুণাবশতঃ আবার তাদের উদ্ধার করলে।
    এ ঘটনা বহুবার ঘটেছে।
29 তুমি তাদের সতর্ক করেছিলে,
যাতে তারা তোমার শিক্ষামালার শরণ নেয়,
    কিন্তু ওরা উদ্ধত ছিল
    এবং তোমার আজ্ঞাসমূহ মানতে অস্বীকার করেছিল।
তারা তোমার বিধিসমূহ, যে সেগুলো পালন করে
    তাকে সত্য জীবন দেয়, তা ভেঙেছিল।
কিন্তু তারা তাদের জেদবশতঃ তোমার বিধিসমূহ ভেঙেছিল।
    তারা তোমার দিকে পেছন ফিরে ছিল
    এবং শুনতে অস্বীকার করেছিল।

30 “তুমি আমাদের পূর্বপুরুষদের প্রতি
    বহু বছর ধরে খুব ধৈর্য্যশীল ছিলে,
তোমার আত্মায় পূর্ণ তোমার ভাববাদীদের মাধ্যমে
    তুমি তাদের সতর্ক করেছিলে।
কিন্তু তারা শুনতে অস্বীকার করেছিল,
    তাই তুমি তাদের বিজাতীয়দের হাতে তুলে দিয়েছিলে।

31 “কত দরদী এবং করুণাময় ঈশ্বর তুমি।
    তবুও তুমি তাদের ধ্বংস করোনি,
ছেড়েও যাওনি।
    তুমি দয়াময়, করুণাধর ঈশ্বর!
32 হে আমাদের ঈশ্বর, তুমি মহান!
    ভয়ঙ্কর এবং ক্ষমতাশালী ঈশ্বর!
তুমি দয়ালু ও বিশ্বস্ত।
    তুমি সবসময় তোমার চুক্তি বজায় রাখো!
আমাদের অনেক সমস্যা ছিল।
    সে সবই তোমার কাছে জরুরী!
আমাদের লোকদের নানান সঙ্কটে পড়তে হয়েছিল।
    আমাদের যাজকগণ ও ভাববাদীগণ সংকটে ছিল।
অশূরের রাজাদের রাজত্বের সময় থেকে
    আজ পর্যন্ত বহু ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে গেছে।
33 কিন্তু হে আমাদের প্রভু,
    আমাদের প্রতি যা কিছু ঘটেছে তাতে তুমি ছিলে ন্যায়সঙ্গত। হ্যাঁ, আমরাই ভুল করেছি!
34 আমাদের রাজারা, নেতারা, যাজকরা ও পূর্বপুরুষরা
    তোমার আদেশগুলি মানেনি।
    তারা তোমার সাবধানবাণী অবজ্ঞা করে নির্দেশ অমান্য করেছে।
35 আমাদের পূর্বপুরুষরা, তুমি তাদের যে বিশাল উর্বর জমি দিয়েছিলে তা উপভোগ করেছিল।
    কিন্তু তারা তোমার সেবা করেনি
    বা তাদের পাপ আচরণ থেকে সরে আসেনি।
36 এখন আমরা এই ভূখণ্ডে ক্রীতদাস।
    যে ভূখণ্ড তুমি আমাদের পূর্বপুরুষদের দিয়েছিলে,
    যাতে তারা সেখানকার ফলমূল
    ও যা কিছু সুন্দর জিনিস ভোগ করতে পারে,
সেখানেই আমরা ক্রীতদাস।
37 এই জমিতে বহু ফসল ফলত,
    কিন্তু সমস্ত ফলন যায় রাজার কাছে। এই জমির মহতী ফসল যায় রাজাদের কাছে যাদের তুমি আমাদের পাপ আচরণের জন্য আমাদের ওপর শাসন করতে নিযুক্ত করেছ।
ঐসব রাজারা আমাদের শাসন করে, আমাদের গবাদি পশু তারা নিয়ন্ত্রণ করে
    এবং তারা তাদের যা ইচ্ছে তাই করে।
    সত্যিই, আমাদের পক্ষে তা একটা দুর্ভোগ।

38 “এসব কারণেই, আমাদের নেতারা, লেবীয়রা এবং যাজকগণ তোমার সঙ্গে চুক্তিটি করেছিল যেটা বদলানো যায় না। আমরা যা প্রতিজ্ঞা করছি লিখে তাতে স্বাক্ষর করছে আমাদের নেতারা, লেবীয়রা ও যাজকরা আর সেই চুক্তিপত্র শীলমোহর করে রাখছি।”

প্র.বা. 18:9-20

“জগতের যে সব রাজারা তার সঙ্গে যৌন পাপে লিপ্ত হয়েছে ও বিলাসে কাটিয়েছে, তারা তাকে জ্বলতে দেখে ও তার থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখে বিলাপ ও হাহাকার করবে।” 10 তার যন্ত্রণার ভয়াবহতা দেখে ভয়ে দূরে দাঁড়িয়ে বলবে:

‘হায়! হায়! হে মহান নগরী!
    ও শক্তিশালী বাবিল নগরী!
এক ঘন্টার মধ্যেই তোমার ওপর শাস্তি নেমে এল!’

11 “আর পৃথিবীর ব্যবসায়ীরা তার (বাবিলের) জন্য কাঁদছে ও হাহাকার করছে, কারণ তাদের বাণিজ্য দ্রব্য আর কেউ কেনে না। 12 তাদের বাণিজ্যদ্রব্যগুলি ছিল: সোনা, রূপো, মণি, মুক্তা, মসীনার কাপড়, বেগুনী রঙের কাপড়, রেশমের কাপড়, লাল রঙের কাপড়, সব রকমের চন্দন কাঠ, হাতির দাঁতের তৈরী বিভিন্ন জিনিসপত্র, মূল্যবান কাঠ, পিতলের, কাঁসার, লোহার ও মার্বেল পাথরের সব রকমের পাত্র, 13 আর দারুচিনি, মশলা, ধূপ, সুগন্ধি নির্যাস, মস্তকি, গুগ‌্গুল, মদ ও জলপাইয়ের তেল, ময়দা, আটা, গরু, মেষ, ঘোড়ার গাড়ী আর মানুষের দেহ এবং প্রাণও। সেই ব্যবসায়ীরা কেঁদে কেঁদে বলবে:

14 ‘হে বাবিল, যে সব ভাল ভাল জিনিসের ওপর তোমার মন পড়ে ছিল তার সবই তোমার কাছ থেকে চলে গেছে।
তোমার সব রকমের বিলাসিতা ও শোভা প্রাচুর্য্য সবই ধ্বংস হয়ে গেছে।
    তুমি তা আর কখনই দেখতে পাবে না।’

15 “ঐ সব জিনিসের ব্যবসায়ীরা তার ধনে ধনী হয়েছিল, তারা তার যন্ত্রণা দেখে ভয়ে দূরে দাঁড়িয়ে কাঁদবে, আর হাহাকার করে বলবে:

16 ‘হায়! হায়! হায় মহানগরী!
    সে মসীনার কাপড়, বেগুনী রঙের কাপড়
    ও লাল রঙের কাপড় পরত।
    সে সোনা, মণি, মুক্তা খচিত গয়না পরত।
17 এক ঘন্টার মধ্যে তার সেই মহাসম্পদ ধ্বংস হল!’

“আর প্রত্যেক জাহাজের প্রধান কর্মচারীরা, জলপথের যাত্রীরা, নাবিকরা ও সমুদ্রেই জীবিকা যাদের, তারা সকলে বাবিল থেকে সরে দাঁড়ালো। 18 জ্বলন্ত বাবিলের ধোঁয়া দেখে তারা চিৎকার করে বলতে লাগল, ‘আর কোন নগর এই মহানগরীর মত ছিল না!’ 19 তারা সকলে নিজেদের মাথায় ধুলো ছিটিয়ে হাহাকার করে বলতে লাগল:

‘হায়! হায়! ঐ মহানগরীর কি দুর্দশাই না হল!
    যার সম্পদে সমুদ্রগামী জাহাজের কর্তারা ধনবান হত,
    এক ঘন্টার মধ্যে সে ধ্বংস হয়ে গেল।
20 এই জন্য হে স্বর্গ, উল্লসিত হও!
হে ঈশ্বরের পবিত্র লোকরা! হে প্রেরিতরা আর ভাববাদীরা, উল্লসিত হও!
কারণ সে তোমাদের প্রতি যে অন্যায় করেছে, ঈশ্বর তার শাস্তি তাকে দিয়েছেন।’”

মথি 15:21-28

যীশু ও একজন অ-ইহুদী স্ত্রীলোক

(মার্ক 7:24-30)

21 এরপর যীশু সেই জায়গা ছেড়ে সোর ও সীদোন অঞ্চলে গেলেন। 22 একজন কনান দেশীয় স্ত্রীলোক সেই অঞ্চল থেকে এসে চিৎকার করে বলতে লাগল, “হে প্রভু, দায়ূদের পুত্র, আমাকে দয়া করুন। একটা ভূত আমার মেয়ের ওপর ভর করেছে, তাতে সে ভয়ানক যন্ত্রণা পাচ্ছে।”

23 যীশু তাকে একটা কথাও বললেন না, তখন তাঁর শিষ্যরা এসে যীশুকে অনুরোধ করে বললেন, “ওকে চলে যেতে বলুন, কারণ ও চিৎকার করতে করতে আমাদের পিছন পিছন আসছে।”

24 এর উত্তরে যীশু বললেন, “সকলের কাছে নয়, কেবল ইস্রায়েলের হারানো মেষদের কাছে আমাকে পাঠানো হয়েছে।”

25 তখন সেই স্ত্রীলোকটি যীশুর কাছে এসে তাঁকে প্রণাম করে বলল, “প্রভু, দয়া করে আমায় সাহায্য করুন!”

26 এর উত্তরে যীশু তাকে বললেন, “ছেলেমেয়েদের খাবার নিয়ে কুকুরের সামনে ছুঁড়ে দেওয়া ঠিক নয়।”

27 স্ত্রীলোকটি তখন বলল, “হ্যাঁ প্রভু, কিন্তু মনিবদের টেবিল থেকে খাবারের যে সব টুকরো পড়ে কুকুরেই তা খায়।”

28 তখন যীশু তাকে বললেন, “হে নারী, তোমার বড়ই বিশ্বাস! যাও, তুমি যেমন চাইছ, তেমনই হোক্।” আর সেই মুহূর্ত্ত থেকেই তার মেয়েটি সুস্থ হয়ে গেল।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International