Book of Common Prayer
পরিচালকের প্রতি: “শোশন্নীম” গানটি যে পর্দায় গাওয়া সেই পর্দায় গাওয়া। কোরহ পরিবার থেকে মস্কীল একটি গীত। একটি প্রেম গীত।
45 রাজার জন্য যখন আমি এই গানটি লিখছি,
আমার মন চমৎকার শব্দসমূহে ভরে যাচ্ছে।
একজন দক্ষ লেখকের কলমে যেমন শব্দ আসে,
তেমনি ভাবে আমার মুখে শব্দগুলো আসছে।
2 যে কোন লোকের থেকেই তুমি সুন্দর!
তুমি একজন দারুণ বক্তা।
তাই ঈশ্বর সর্বদাই তোমাকে আশীর্বাদ করবেন!
3 তোমার তরবারি কোমরে বেঁধে নাও।
তোমার গৌরবময় উর্দি পরে নাও।
4 তোমাকে বড় সুন্দর দেখায়! যাও, ন্যায় এবং সত্যের যুদ্ধে বিজয়ী হও।
তোমার বলবান ডান হাত বিস্ময়কর কাজ করবার শিক্ষা পেয়েছে।
5 হে রাজা আপনার ধারালো তীরসমূহ আপনার শত্রুদের হৃদয়ের গভীরে বিদ্ধ হয়েছে, আপনার সামনেই তারা মাটিতে লুটিয়ে পড়বে।
আপনি চিরকাল আপনার শত্রুদের ওপরে শাসন করবেন।
6 হে ঈশ্বর, আপনার সিংহাসন চিরবিরাজমান থাকবে!
আপনি ন্যায়সঙ্গতভাবে শাসন করেন।
7 আপনি ন্যায় ভালোবাসেন এবং আপনি মন্দ ঘৃণা করেন।
তাই ঈশ্বর, আপনার ঈশ্বর
আপনাকে আপনার অনুগামীদের রাজা করেছেন।
8 আপনার পোশাক চন্দন, ঘৃতকুমারী ও দারুচিনির গন্ধে সুবাসিত।
হাতির দাঁতের কাজ করা আপনার প্রাসাদ থেকে আপনার বিনোদনের জন্য সঙ্গীত ভেসে আসছে।
9 আপনার সভা-নন্দিনীরা সকলেই রাজকন্যা, রাণী
আপনার ডানদিকে খাঁটি সোনার রাজমুকুট পরে বসে আছেন।
10 হে আমার নারী, আমার কথা শোন।
খুব মন দিয়ে শোন, তাহলে তুমি বুঝতে পারবে।
নিজের লোকজন
এবং বাপের বাড়ীর কথা ভুলে যাও।
11 তাহলে রাজা তোমার রূপে খুশী হবেন।
তিনি তোমার নতুন প্রভু হবেন।
তাই তাঁকে তোমার সম্মান করা উচিৎ।
12 সোর প্রদেশের ধনী লোকরা, তোমার সাক্ষাৎ পাবার জন্য
তোমার কাছে মূল্যবান উপহার সামগ্রী নিয়ে আসবে।
13 সোনার সুতো দিয়ে বোনা তাঁর পোশাকে
রাজকন্যাকে দেখতে মহিযসী লাগছে।
14 সেই সুন্দর পোশাক পরে যখন তিনি রাজার কাছে যাবেন
তখন রাজার সভা-নন্দিনীরা তাঁর পিছন পিছন যাবে।
15 নাচে, গানে, আনন্দে মশগুল হয়ে
তারা রাজপ্রাসাদের দিকে যাবে।
16 হে রাজা, আপনার পরে, রাজ্য শাসন করার জন্য
আপনি অনেক পুত্র সন্তান পাবেন। যাতে আপনার পরে তারা রাজ্য শাসন করতে পারে।
17 আমি আপনার নাম চিরদিনের জন্য বিখ্যাত করে যাবো।
লোকে চিরকাল আপনার প্রশংসা করে যাবে!
পরিচালকের প্রতি: কোরহ পরিবারের থেকে একটি গীত।
47 হে পৃথিবীর জনগণ, তোমরা হাততালি দাও!
মহানন্দে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে ধ্বনি দাও!
2 পরাৎপর প্রভু বড় ভয়ঙ্কর।
তিনি সারা পৃথিবীর মহান রাজা।
3 তিনি আমাদের অন্য লোকদের পরাজিত করতে সাহায্য করেন।
ঐসব জাতিকে তিনি আমাদের অধীনস্থ করেছেন।
4 প্রভুই আমাদের জন্য নির্দিষ্ট ভূখণ্ড মনোনীত করেছেন।
যাকোব, যাকে তিনি ভালোবাসতেন, তাঁর জন্য তিনিই সুন্দর ভূখণ্ড মনোনীত করেছেন।
5 শিঙা ও ভেরীর শব্দের মাঝে প্রভু
তাঁর সিংহাসনে আরোহণ করেন।
6 ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে প্রশংসা কর, তাঁর প্রশংসা কর।
আমাদের রাজার প্রশংসাগীত গাও, তাঁর প্রশংসা কর।
7 ঈশ্বরই সারা পৃথিবীর রাজা।
তাঁরই প্রশংসা কর।
8 ঈশ্বর তাঁর পবিত্র সিংহাসনে বসেন।
তিনি সব জাতিকে শাসন করেন।
9 সব জাতির নেতারা অব্রাহামের ঈশ্বরের
লোকদের সঙ্গে একত্র হয়।
পৃথিবীর সব জাতির সকল নেতা ঈশ্বরের অধীন।
ঈশ্বর তাদের সবার ওপরে বিরাজ করেন!
কোরহ পরিবার থেকে একটি প্রশস্তি গীত।
48 প্রভু মহান! আমাদের ঈশ্বরের শহরে,
তাঁর পবিত্র পর্বতে লোকরা নিষ্ঠার সঙ্গে তাঁর প্রশংসা করে।
2 ঈশ্বরের পবিত্র শহর একটি মনোরম উচ্চতায় অবস্থিত!
তা সারা পৃথিবীর লোকদের সুখী করে!
সিয়োন পর্বতই ঈশ্বরের প্রকৃত পর্বত।[a]
এটাই মহান রাজার নগর।
3 ঐ শহরের রাজপ্রাসাদগুলোর মধ্যে,
ঈশ্বর নগর দুর্গ হিসাবে জ্ঞাত।
4 এক সময় কিছু রাজা একসঙ্গে মিলে
এই শহর আক্রমণ করার পরিকল্পনা করলো।
তারা সবাই দলে দলে শহরের দিকে এগিয়ে এলো।
5 কিন্তু যখন তারা এই শহর দেখলো, তখন তারা অভিভূত হয়ে গেল;
তারা ভয় পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে গেল!
6 ভয়ে পরিপূর্ণ হয়ে তারা কেঁপে উঠল।
তারা প্রসব যন্ত্রণায় ব্যথিত একজন মহিলার মত কাঁপতে লাগল!
7 ঈশ্বর একটা দমকা পূবের বাতাস দিয়েই
আপনি ওদের বড় জাহাজ ধ্বংস করে দিয়েছেন।
8 হ্যাঁ, আমরা আপনার পরাক্রমের কথা শুনেছি।
আমরা আমাদের ঈশ্বরের নগরে এবং আমাদের সর্বশক্তিমান প্রভুর নগরে তা ঘটতেও দেখেছি।
ঈশ্বর সেই নগরকে চিরদিনের জন্য দৃঢ় রাখবেন!
9 হে ঈশ্বর, আপনার মন্দিরে, আমরা আপনার প্রেমময় দয়ার কথা ধ্যান করি।
10 ঈশ্বর, আপনি বিখ্যাত।
সারা পৃথিবী জুড়ে লোকরা আপনার প্রশংসা করে।
প্রত্যেকেই জানে আপনি কত ভাল।
11 ঈশ্বর, সিয়োন পর্বত সত্যই সুখী।
আপনার সিদ্ধান্তের জন্য যিহূদার শহরগুলি আনন্দ করছে।
12 সিয়োন শহরে ঘুরুন।
এই শহরকে দেখুন এবং দুর্গসমূহ গুনে দেখুন।
13 এর দেওয়ালগুলো দেখুন।
সিয়োনের প্রাসাদগুলিকে মুগ্ধভাবে প্রশংসা করুন।
তাহলে আপনি পরবর্তী প্রজন্মকে এ বিষয়ে বলতে পারবেন।
14 এই আমাদের ঈশ্বর চিরদিনের ঈশ্বর!
চিরদিনের জন্য তিনি আমাদের পরিচালিত করবেন!
5 সেই সময় হগয় ও ইদ্দোর পুত্র সখরিয় ভাববাদীদ্বয় প্রভুর নামে ভবিষ্যৎ বাণী করে জেরুশালেম ও যিহূদার লোকদের উদ্দীপিত করতে লাগলেন। 2 তখন শল্টীয়েলের সন্তান সরুব্বাবিল ও যোষাদকের পুত্র যেশূয় আবার জেরুশালেমে মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু করলেন। ঈশ্বরের সমস্ত ভাববাদীরা তাঁদের সঙ্গে ছিলেন এবং তাঁরা এই কাজ সমর্থন করছিলেন। 3 তখন ফরাৎ নদীর পশ্চিমাঞ্চলের শাসক তত্তনয়, শথরবোষণয় ও তাঁদের অনুচরবর্গ, যাঁরা মন্দির পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলেন তাঁদের কাছে গিয়ে জানতে চাইলেন, “কার সম্মতিতে তোমরা আবার নতুন করে মন্দির বানাতে শুরু করেছ?” 4 সরুব্বাবিলের কাছেও যারা এই মন্দির পুনর্নির্মাণের কাজে জড়িত ছিলেন তাঁদের নাম জানতে চাইলেন।
5 কিন্তু ঈশ্বর স্বয়ং ইহুদী নেতাদের প্রতি লক্ষ্য রাখছিলেন। রাজা দারিয়াবসকে একটা খবর না পাঠানো পর্যন্ত তাদের কাজ বন্ধ করবার কোন প্রয়োজন ছিল না। রাজার কাছ থেকে উত্তর না আসা পর্যন্ত তারা কাজ চালিয়ে গেলেন।
6 ফরাৎ নদীর পশ্চিমাঞ্চলের শাসক তত্তনয়, শথর বোষণয় ও তাঁদের সঙ্গে প্রধান ব্যক্তিরা 7 রাজা দারিয়াবসকে একটি চিঠি পাঠালেন।
হে রাজা,
8 আমরা যিহূদা অঞ্চলে গিয়েছিলাম এবং মহান ঈশ্বরের মন্দির নির্মাণস্থল পরিদর্শন করেছি এবং দেখলাম যে, ইহুদীরা বড় বড় পাথর ও কাঠের গুঁড়ি দিয়ে মন্দিরটি বানিয়ে চলেছে। আমাদের বিশ্বাস এই গতিতে কাজ হলে মন্দির নির্মাণের কাজ দ্রুত সম্পন্ন হবে।
9-10 আমরা তাদের দলপতিদের কাছে, আপনাকে পাঠানোর জন্য ব্যক্তিদের নামের তালিকা চেয়েছিলাম এবং প্রশ্ন করেছিলাম। আমরা এটাও জানতে চেয়েছিলাম যে কার অনুমতিতে তারা মন্দিরটি পুনর্নির্মাণ করছে।
11 উত্তরে তারা বলল:
“আমরা স্বর্গ ও মর্ত্যের ঈশ্বরের দাস। আমরা মন্দিরটি পুনর্নির্মাণ করছি যেটি বহু বছর আগে ইস্রায়েলের এক মহান রাজা বানিয়েছিলেন। 12 আমাদের পূর্বপুরুষরা ঈশ্বরকে রুষ্ট করেছিল তাই ঈশ্বর নবূখদ্নিৎসরকে বাবিলের রাজা করে পাঠিয়েছিলেন আমাদের পূর্বপুরুষকে শাসন করবার জন্য। নবূখদ্নিৎসর এই মন্দিরটি ধ্বংস করে আমাদের পূর্বপুরুষদের বন্দী করে বাবিলে নিয়ে যান। 13 বাবিলে কোরসের প্রথম বছরের রাজত্বকালে তিনি এই মন্দির পুনর্নির্মাণের জন্য আদেশ দেন। 14 অতঃপর রাজা কোরস সমস্ত সোনার ও রূপোর জিনিষ, যেগুলো জেরুশালেমের মন্দির থেকে নবূখদ্নিৎসর দ্বারা লুণ্ঠিত হয়েছিল এবং তাঁর মূর্ত্তির মন্দিরে রাখা হয়েছিল, সেগুলো শেশ্বসরের হাত দিয়ে ফেরৎ পাঠান।”
15 রাজা কোরস, শেশ্বসরকে রাজ্যপাল হিসেবে নিয়োগ করলেন এবং তাঁকে বললেন, “এইসব সোনা এবং রূপোর জিনিষ নিয়ে যাও এবং জেরুশালেমের মন্দিরে পুনরায় রেখে দাও এবং মন্দিরটি পূর্বে যেখানে ছিল ঠিক সেখানেই মন্দির পুনর্নির্মাণ কর।”
16 শেশ্বসর তখন জেরুশালেমে এসে এই নতুন মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন; সেদিন থেকে আমরা এই ঈশ্বরের মন্দির পুনর্নির্মাণের কাজ করে আসছি, কিন্তু আমাদের কাজ এখনও শেষ হয়নি।
17 এখন রাজা যদি ইচ্ছা করেন, দয়া করে পুরানো নথিপত্র দেখতে পারেন, এটা প্রমাণ করবার জন্য যে, রাজা কোরস সত্যি সত্যিই জেরুশালেমে ঈশ্বরের মন্দির পুনর্নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছিলেন কি না। অতঃপর তিনি যদি এ বিষয়ে তাঁর সিদ্ধান্তের কথা আমাদের একটি চিঠিতে জানান তাহলে আমরা বিশেষ বাধিত হব।
যোহনের স্বর্গীয় দর্শন
4 এরপর আমি একটি দর্শন পেলাম; আর দেখতে পেলাম আমার সামনে স্বর্গে একটা দরজা খোলা রয়েছে। এর আগে যে কন্ঠস্বর আমার সঙ্গে কথা বলেছিল, সেই একই স্বর আর তূরীর আওয়াজ শুনতে পেলাম, তা আমাকে বলছে, “এখানে উঠে এস। এরপর যা কিছু অবশ্যই ঘটবে তা আমি তোমাকে দেখাব।” 2 মুহূর্তের মধ্যে আমি আত্মাবিষ্ট হলাম, আমার সামনে স্বর্গে এক সিংহাসন ছিল, সেই সিংহাসনের ওপর একজন বসেছিলেন। 3 যিনি সেখানে বসেছিলেন, তাঁর দেহ সূর্য্যকান্ত ও সার্দীয় মণির মত অত্যুজ্জ্বল। সেই সিংহাসনের চারদিকে পান্নার মতো ঝলমলে মেঘধনুক ছিল।
4 সেই সিংহাসনের চারদিকে চব্বিশটি সিংহাসন ছিল। সেইসব সিংহাসনে চব্বিশ জন প্রাচীন[a] বসেছিলেন, তাঁরা সকলে শুভ্র পোশাক পরেছিলেন আর তাঁদের মাথায় সোনার মুকুট ছিল। 5 সেই সিংহাসন থেকে বিদ্যুতের ঝলকানি, গুরু গুরু শব্দ ও বজ্রধ্বনি নির্গত হচ্ছিল; আর সেই সিংহাসনের সামনে সাতটি মশাল জ্বলছিল। সাতটি আগুনের মশাল ঈশ্বরের সেই সপ্ত আত্মার প্রতীক। 6 আর সেই সিংহাসনের সামনে ছিল কাঁচের মতো সমুদ্র যা স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ।
সিংহাসনের সামনে এবং সিংহাসনের চারদিকে চারজন প্রাণী ছিল যাদের সামনে ও পেছনে সর্বাঙ্গ চোখে ভরা ছিল। 7 প্রথম প্রাণীটি দেখতে সিংহের মতো, দ্বিতীয় প্রাণীটি ষাঁড়ের মতো, তৃতীয় প্রাণীটির মুখ মানুষের মুখের মতো। চতুর্থ প্রাণীটি উড়ন্ত ঈগলের মতো। 8 এই চারটি প্রাণীর প্রত্যেকের ছটি করে পাখা ছিল, সেই প্রাণীগুলির সর্বাঙ্গে, ভেতরে ও বাইরে ছিল চোখ, আর তাঁরা দিন-রাত সব সময় বিরত না হয়ে এই কথা বলছিলেন:
“পবিত্র, পবিত্র, পবিত্র প্রভু ঈশ্বর সর্বশক্তিমান,
যিনি ছিলেন, যিনি আছেন ও যিনি আসছেন।”
9 যিনি সিংহাসনে বসে আছেন সেই জীবন্ত প্রাণীরা তাঁর মহিমা, সম্মান ও ধন্যবাদ কীর্তন করেন। ইনি হলেন সেই চিরজীবি। আর এইরকম ঘটলে প্রত্যেকবার, 10 যিনি সিংহাসনে বসে আছেন তাঁর সামনে ঐ চব্বিশজন প্রাচীন ভূমিষ্ট হয়ে প্রণাম করেন; আর যিনি চিরজীবি তাঁর উপাসনা করেন আর নিজের নিজের মাথার মুকুট সিংহাসনের সামনে রেখে বলেন:
11 “আমাদের প্রভু ও ঈশ্বর!
তুমি মহিমা, সম্মান ও পরাক্রম পাবার যোগ্য,
কারণ তুমি সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছ।
তোমার ইচ্ছাতেই সব কিছু সৃষ্টি হয়েছে ও সব কিছুর অস্তিত্ব আছে।”
যীশু বীজ বোনার দৃষ্টান্ত মূলক কাহিনী শোনালেন
(মার্ক 4:1-9; লূক 8:4-8)
13 সেই দিনই যীশু ঘর থেকে বার হয়ে হ্রদের ধারে এসে বসলেন। 2 তাঁর চারপাশে বহু লোক এসে জড় হল, তাই তিনি একটা নৌকায় উঠে বসলেন, আর সেই সমবেত জনতা তীরে দাঁড়িয়ে রইল। 3 তখন তিনি দৃষ্টান্তের মাধ্যমে তাদের অনেক বিষয়ে শিক্ষা দিতে লাগলেন।
তিনি বললেন, “একজন চাষী বীজ বুনতে গেল। 4 সে যখন বীজ বুনছিল, তখন কতকগুলি বীজ পথের ধারে পড়ল, আর পাখিরা এসে সেগুলি খেয়ে ফেলল। 5 আবার কতকগুলি বীজ পাথুরে জমিতে পড়ল, সেখানে মাটি বেশী ছিল না। মাটি বেশী না থাকাতে তাড়াতাড়ি অঙ্কুর বার হল। 6 কিন্তু সূর্য উঠলে পর অঙ্কুরগুলি ঝলসে গেল, আর শেকড় মাটির গভীরে যায়নি বলে তা শুকিয়ে গেল। 7 আবার কিছু বীজ কাঁটাঝোপের মধ্যে পড়ল। কাঁটাঝোপ বেড়ে উঠে চারাগুলোকে চেপে দিল। 8 কিছু বীজ ভাল জমিতে পড়ল, তাতে ফসল হতে লাগল। সে যা বুনেছিল, কোথাও তার ত্রিশগুণ, কোথাও ষাটগুণ, কোথাও শতগুণ ফসল হল। 9 যার শোনার মতো কান আছে সে শুনুক!”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International