Book of Common Prayer
সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি। দায়ূদের একটি প্রশংসা গীত।
140 প্রভু মন্দ লোকদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
নৃশংস লোকের থেকে আমায় রক্ষা করুন।
2 ওই লোকরা মন্দ কাজ করার পরিকল্পনা করে।
ওই লোকরা সর্বদাই লড়াই করে।
3 ওদের জিভ বিষধর সাপের মত।
ওদের জিভের নীচে সাপের মতই বিষ থাকে।
4 প্রভু, দুষ্ট লোকদের থেকে আমায় রক্ষা করুন।
নৃশংস লোকদের থেকে আমায় রক্ষা করুন; ওই লোকরা আমায় ফাঁদে ফেলবার জন্য আমায় তাড়া করে।
5 ওই উদ্ধত লোকরা আমার জন্য ফাঁদ পেতেছে।
আমাকে ধরার জন্য ওরা জাল বিছিয়েছে।
ওরা আমার পথে ফাঁদ পেতেছে।
6 প্রভু, আপনিই আমার ঈশ্বর।
প্রভু আমার প্রার্থনা শুনুন।
7 প্রভু, আপনি আমার শক্তিশালী প্রভু; আপনি আমার পরিত্রাতা।
আপনি আমার শিরস্ত্রাণের মত যেটা যুদ্ধের সময় আমার মাথাকে রক্ষা করে।
ওদের পরিকল্পনাকে সফল হতে দেবেন না।
তাহলে ওরা নিজেদের ছাড়িয়ে যাবে।
8 প্রভু, ঐ লোকরা দুষ্ট। ওরা যা চায় তা ওদের পেতে দেবেন না।
ওদের পরিকল্পনাকে সফল হতে দেবেন না; নতুবা ওরা শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে।
9 হে প্রভু, আমার শত্রুকে জয়ী হতে দেবেন না; ওরা সবসময়েই মন্দ ফন্দি আঁটে।
ওদের খারাপ ফন্দিগুলো যেন ওদের ক্ষেত্রেই ঘটে।
10 ওদের মাথায় জ্বলন্ত কয়লা ঢেলে দিন।
আমার শত্রুদের আগুনে ফেলে দিন।
ওদের কবরের মধ্যে নিক্ষেপ করুন যাতে ওরা আর ওখান থেকে উঠতে না পারে।
11 প্রভু, ওই মিথ্যাবাদীদের বাঁচতে দেবেন না।
ওই মন্দ লোকদের প্রতি যেন মন্দ ঘটনাই ঘটে।
12 আমি জানি প্রভু ন্যায়সঙ্গভাবে দরিদ্রদের বিচার করেন।
ঈশ্বর সহায়হীনকে সাহায্য করেন।
13 হে প্রভু, সৎ ও ভাল লোকরা আপনার নামের প্রশংসা করবে।
সৎ লোকরা আপনার উপাসনা করবে।
দায়ূদের একটি মস্কীল। যখন তিনি গুহায় ছিলেন সেই সময় থেকে একটি প্রার্থনা।
142 আমি সাহায্যের জন্য প্রভুকে ডাকবো।
আমি প্রভুর কাছে প্রার্থনা করবো।
2 আমি প্রভুকে আমার সব সংকটের কথা বলবো।
আমি প্রভুকে আমার অসুবিধার কথা বলবো।
3 আমার শত্রুরা আমার জন্য একটা ফাঁদ পেতেছে।
আমি সমর্পণ করতে প্রস্তুত।
কিন্তু প্রভু জানেন আমার মধ্যে কি হচ্ছে।
4 আমি চারদিকে দেখি,
কিন্তু আমি আমার কোন বন্ধু দেখি না।
আমার পালানোর কোন জায়গা নেই।
কেউ আমাকে রক্ষা করার চেষ্টা করে না।
5 তাই আমি প্রভুর কাছে উচ্চস্বরে সাহায্য প্রার্থনা করেছিলাম।
“প্রভু, আপনিই আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
প্রভু আপনিই আমায় বাঁচতে দিতে পারেন।”
6 হে প্রভু, আমার প্রার্থনা শুনুন
কারণ আমি অসহায়।
যারা আমায় তাড়া করে তাদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
ওই লোকগুলো আমার পক্ষে প্রচণ্ড শক্তিশালী।
7 আমাকে এই ফাঁদ এড়িয়ে যেতে সাহায্য করুন
যাতে আমি আপনার নামের প্রশংসা করতে পারি।
এবং ভালো লোকরা এসে আমার সঙ্গে উদ্যাপন করবে,
কারণ আপনি আমায় প্রযত্নে রেখেছিলেন।
দায়ূদের প্রশংসা গীতের অন্যতম।
141 প্রভু, সাহায্যের জন্য আমি আপনাকে ডাকছি।
যখন আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি তখন আমার প্রার্থনা শুনুন।
শীঘ্রই আমাকে সাহায্য করুন!
2 প্রভু আমার প্রার্থনা গ্রহণ করুন; এটা যেন জ্বলন্ত ধূপের সুগন্ধির মত হয়।
এটা যেন সান্ধ্যকালীন উৎসর্গের মত হয়।
3 প্রভু, আমি যা বলি সে সম্বন্ধে যেন সাবধান হই;
আমি যেন কোন মন্দ কথা না বলি।
4 মন্দ কাজ করার আকাঙ্খা আমার মধ্যে থাকতে দেবেন না।
মন্দ লোকরা যা করে আনন্দ পায়
আমাকে তার সামিল হতে দেবেন না।
5 একজন সৎ লোক আমার ভুল সংশোধন করিয়ে দিতে পারে।
সেটা তারই দয়া।
আপনার অনুগামীরা আমার সমালোচনা করতে পারে।
সেটা ওদের পক্ষে ভালো কাজ হবে; তাও আমি মেনে নেবো।
কিন্তু মন্দ লোকরা যে সব মন্দ কাজ করে তার বিরুদ্ধে আমি সর্বদাই প্রার্থনা করবো।
6 ওদের শাসকদের শাস্তি পেতে দিন।
তখন লোকে জানতে পারবে আমি সত্য বলেছিলাম।
7 লোকে মাটি খোঁড়ে, জমি চাষ করে এবং সার ছড়িয়ে দেয়।
একই রকমভাবে ওদের কবরের চারদিকে আমাদের হাড় ছড়ানো থাকবে।
8 হে আমার প্রভু, আমি সাহায্যের জন্য আপনার দিকে চেয়ে থাকি।
আমি আপনাকে বিশ্বাস করি। আমাকে মরে যেতে দেবেন না।
9 মন্দ লোকরা আমার জন্য ফাঁদ পেতেছে।
আমাকে ওদের ফাঁদে পড়তে দেবেন না।
ওরা যেন ওদের ফাঁদে আমার ধরতে না পারে।
10 দুষ্ট লোকরা নিজেরাই যেন নিজেদের ফাঁদে পড়ে।
এবং আমি যেন অনাহত ভাবে চলে যেতে পারি।
দায়ূদের প্রশংসা গীতের অন্যতম।
143 প্রভু, আমার প্রার্থনা শুনুন।
এবং তারপর আমার প্রার্থনার উত্তর দিন।
আমাকে দেখান যে সত্যিই আপনি কত মঙ্গলকর ও বিশ্বস্ত।
2 আমি আপনার দাস, আমাকে বিচার করবেন না।
কারণ কোন জীবিত ব্যক্তি আপনার সামনে কখনই নির্দোষ বলে বিবেচিত হতে পারে না।
সারা জীবন ধরে আমি কি কখনও নিষ্পাপ বলে বিবেচিত হব।
3 কিন্তু শত্রুরা আমায় তাড়া করেছে।
তারা আমার জীবনকে ভেঙে গুঁড়িয়ে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে।
দীর্ঘদিন আগে মরে যাওয়া লোকের মত
ওরা আমাকে অন্ধকার কবরে ঠেলে দিচ্ছে।
4 আমি ত্যাগ করতে প্রস্তুত।
আমি আমার সাহস হারিয়ে ফেলেছি।
5 কিন্তু দীর্ঘকাল আগে কি ঘটেছিলো আমার তা মনে আছে।
বহু বিষয়, যেগুলো আপনি করেছিলেন তার সম্বন্ধে আমি ভাবি।
আপনার বিপুল ক্ষমতা দিয়ে আপনি যা করেছিলেন সে সম্পর্কে আমি বলে থাকি।
6 প্রভু, আমার দু হাত তুলে আপনার কাছে প্রার্থনা করি,
যেমন করে শুকনো জমি বৃষ্টির প্রতীক্ষা করে তেমন করে আমি আপনার সাহায্যের প্রতীক্ষা করি।
7 শীঘ্রই আমাকে উত্তর দিন প্রভু।
আমি সাহস হারিয়েছি।
আমার থেকে বিমুখ হবেন না।
কবরে শুয়ে থাকা মৃত লোকের মত আমাকে মৃত হতে দেবেন না।
8 প্রভু আজকের সকালে আমাকে আপনার প্রকৃত প্রেম প্রদর্শন করুন।
আমি আপনাতে বিশ্বাস রাখি।
আমার যা করণীয় তা আমায় দেখান।
আমি আমার জীবন আপনার হাতে সমর্পণ করছি!
9 প্রভু আমি নিরাপত্তার জন্য আপনার কাছে এসেছি।
শত্রুদের থেকে আমায় রক্ষা করুন।
10 আমাকে দিয়ে আপনি কি করাতে চান তা আমায় দেখান।
আপনি আমার ঈশ্বর।
আপনার মহৎ উদ্দীপনা দিয়ে
আমায় সঠিক পথে এগিয়ে দিন।
11 প্রভু আমাকে বাঁচতে দিন,
তাহলে লোকে আপনার নামের প্রশংসা করবে।
আপনি যে প্রকৃতই মঙ্গলকর তা আমায় দেখান
এবং শত্রুদের থেকে আমায় রক্ষা করুন।
12 হে প্রভু, আপনার প্রকৃত প্রেম প্রদর্শন করুন
এবং যারা আমায় মেরে ফেলতে চাইছে সেই শত্রুদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
তাদের পরাজিত করুন
এবং তাদের ধ্বংস করুন।
36 যিহোয়াকীম 25 বছর বয়সে রাজা হয়ে এগারো বছর জেরুশালেমে রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মা ছিলেন রূমার পদায়ের কন্যা সবীদা। 37 যিহোয়াকীমও প্রভু যে সমস্ত কাজ করতে বারণ করেন, তাঁর অধিকাংশ পূর্বপুরুষদের মত সেই সমস্ত কাজ করেছিলেন।
রাজা নবূখদ্নিৎসর যিহূদায় এলেন
24 যিহোয়াকীমের রাজত্বকালে বাবিল-রাজ নবূখদ্নিৎসর যিহূদায় আসেন। তিন বছর তাঁর বশ্যতা স্বীকার করার পর যিহোয়াকীম তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। 2 প্রভু বাবিলীয়, অরামীয়, মোয়াবীয়, অম্মোনীয়দের দলকে যিহোয়াকীমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিয়ে তাঁকে ধ্বংস করতে পাঠিয়েছিলেন। প্রভু তাঁর সেবক ভাববাদীদের মুখ দিয়ে করা ভবিষ্যৎবাণী অনুযায়ী এই সমস্ত শত্রুদের যিহূদা ধ্বংস করার জন্য পাঠান।
3 এইভাবেই প্রভু যিহূদাকে তাঁর চোখের সামনে থেকে সরিয়ে দেবার পরিকল্পনা করেন। মনঃশির পাপ আচরণের জন্যই প্রভু এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। 4 মনঃশি বহু নিরীহ লোককে হত্যা করে জেরুশালেম রক্তে পরিপূর্ণ করেছিলেন যা প্রভু কখনও ক্ষমা করেন নি।
5 যিহোয়াকীম অন্যান্য যে সমস্ত কাজ করেছিলেন সে সবই যিহূদার রাজাদের ইতিহাস গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে। 6 যিহোয়াকীমের মৃত্যুর পর তাঁকে তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে সমাধিস্থ করা হয়। তাঁর পরে, তাঁর পুত্র যিহোয়াখীন নতুন রাজা হলেন।
7 এদিকে বাবিল-রাজ মিশরের খাঁড়ি থেকে শুরু করে ফরাৎ নদী পর্যন্ত সমস্ত অঞ্চল দখল করায় মিশর-রাজ তাঁর দেশ ছেড়ে আর বেরোনোর চেষ্টাই করেন নি। এই সমস্ত অঞ্চলই আগে তাঁর শাসনাধীন ছিল।
নবূখদ্নিৎসর জেরুশালেম দখল করলেন
8 যিহোয়াখীন 18 বছর বয়সে রাজা হবার পর মাত্র তিন মাস জেরুশালেমে রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মা ছিলেন জেরুশালেমের ইল্নাথনের কন্যা নহুষ্টা। 9 যিহোয়াখীন তাঁর পিতার মতই প্রভু যে সমস্ত কাজ করতে বারণ করেছিলেন, সেই সব কাজ করেছিলেন।
10 সেই সময়, নবূখদ্নিৎসরের সেনাপতিরা এসে চারপাশ থেকে জেরুশালেম ঘিরে ফেলেছিলেন। 11 তারপর নবূখদ্নিৎসর স্বয়ং শহরে আসেন। 12 যিহূদার রাজা যিহোয়াখীন, তাঁর মা, সেনাপতিদের, নেতাদের ও আধিকারিকদের সকলকে নিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলে বাবিলরাজ তাঁকে বন্দী করেন। নবূখদ্নিৎসরের শাসন কালের অষ্টম বছরে এই ঘটনা ঘটেছিল।
13 নবূখদ্নিৎসর জেরুশালেমের প্রভুর মন্দির ও রাজপ্রাসাদ থেকে সমস্ত সম্পদ অপহরণ করে নিয়ে যান। রাজা শলোমন প্রভুর মন্দিরে যে সমস্ত সোনার থালা বসিয়েছিলেন, প্রভুর ভবিষ্যৎবাণী অনুযায়ীই নবূখদ্নিৎসর মন্দির থেকে সে সমস্ত থালা খুলে নিয়ে গিয়েছিলেন।
14 নবূখদ্নিৎসর নেতা ও ধনীলোক সহ জেরুশালেম থেকে 10,000 ব্যক্তিকে বন্দী করে নিয়ে যান। হতদরিদ্র লোক ছাড়া, কারিগর থেকে শ্রমিক সমস্ত লোককেই তিনি বন্দী করেন। 15 রাজা যিহোয়াখীন ও তাঁর মা, স্ত্রীদের, আধিকারিক ও প্রতিপত্তিশালী ব্যক্তিদের বন্দী করে বাবিলে নিয়ে গিয়েছিলেন। 16 মোট 7000 দক্ষ সৈনিক ও 1000 কুশলী কারিগরকে বাবিলরাজ নবূখদ্নিৎসর বাবিলে বন্দী করে নিয়ে যান।
রাজা সিদিকিয়
17 বাবিল-রাজ নবূখদ্নিৎসর, যিহোয়াখীনের কাকা মত্তনিয়ের নাম পাল্টে সিদিকিয় রেখে তাঁকে রাজা করেছিলেন।
খ্রীষ্টের দেহ
12 আমাদের প্রত্যেকের দেহ নানা অঙ্গ প্রত্যঙ্গ নিয়ে গঠিত। যদিও অনেক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ তবু তারা মিলে হয় একটি দেহ; খ্রীষ্টও ঠিক সেই রকম। 13 আমাদের মধ্যে কেউ ইহুদী, কেউ অইহুদী, কেউ দাস, আবার কেউ স্বাধীন, কিন্তু আমরা সকলেই দেহেতে এক হওয়ার জন্য এক আত্মার দ্বারা বাপ্তাইজ হয়েছি। আর আমাদের সকলকেই পান করার জন্য একই আত্মা দেওয়া হয়েছে।
14 একজনের দেহের মধ্যে একের অধিক অঙ্গ আছে। 15 পা যদি বলে, “আমি তো হাত নই; তাই আমি দেহের অঙ্গ নই,” তবে কি তা দেহের অঙ্গ হবে না? 16 কান যদি বলে, “আমি তো চোখ নই, তাই আমি দেহের অঙ্গ নই,” তবে কি তা দেহের অঙ্গ হবে না? 17 সমস্ত দেহটাই যদি চোখ হত তবে কান কোথায় থাকত? আর সমস্ত দেহটাই যদি কান হত তবে নাক কোথায় থাকত? 18-19 কিন্তু ঈশ্বর যেমনটি চেয়েছেন সেইভাবে দেহের সমস্ত অংশগুলিকে সাজিয়েছেন। তা না হয়ে সব অঙ্গগুলি যদি একরকম হত তবে দেহ বলে কি কিছু থাকত? 20 কিন্তু এখন অঙ্গ অনেক বটে, কিন্তু দেহ এক।
21 চোখ কখনও হাতকে বলতে পারে না, “তোমাকে আমার কোন দরকার নেই।” আবার মাথাও পা দুটিকে বলতে পারে না, “তোমাদের আমার কোন প্রয়োজন নেই।” 22 বরং দেহের সেই অংশগুলি, যাদের দুর্বল মনে হয় তাদের প্রয়োজন খুবই বেশী। 23 যে অঙ্গগুলির প্রতি আমরা যত্নবান নই, তাদের বেশী যত্ন নিতে হবে। আমাদের যে সব অঙ্গ প্রদর্শনের অযোগ্য সেগুলিকেই বেশী করে শালীনতায় ভূষিত করা হয়। 24 আমাদের যে সব অঙ্গ সুশ্রী, সেগুলির জন্য বিশেষ ব্যবস্থার প্রয়োজন হয় না। ঈশ্বর দেহকে এমনভাবে গঠন করেছেন যেন যে অঙ্গের মর্যাদা নেই সে অধিক মর্যাদা পায়, 25 যেন দেহের মধ্যে কোন বিভেদ সৃষ্টি না হয়, কিন্তু দেহের প্রতিটি অঙ্গই যেন পরস্পরের জন্য সমানভাবে চিন্তা করে। 26 দেহের কোন একটি অঙ্গ যদি কষ্ট পায়, তবে তার সাথে সবাই কষ্ট করে আর একটি অঙ্গ যদি মর্যাদা পায়, তাহলে তার সঙ্গে অপর সকল অঙ্গ ও খুশী হয়।
বহুলোকের আরোগ্যলাভ
27 যীশু যখন সেই জায়গা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন, তখন দুজন অন্ধ তাঁর পিছনে পিছনে চলল। তারা চিৎকার করে বলতে লাগল, “হে দায়ূদের পুত্র, আমাদের প্রতি দয়া করুন।”
28 যীশু বাড়িতে এলে সেই দুজন অন্ধ তাঁর কাছে এল। তখন যীশু তাদের বললেন, “তোমরা কি বিশ্বাস কর যে আমি তোমাদের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিতে পারি?” অন্ধ লোক দুটি বলল, “হ্যাঁ, প্রভু আমরা বিশ্বাস করি।”
29 তখন তিনি তাদের চোখ স্পর্শ করে বললেন, “তোমরা যেমন বিশ্বাস করেছ, তোমাদের প্রতি তেমনি হোক্।” 30 আর তখনই তারা চোখে দেখতে পেল। যীশু তাদের দৃঢ়ভাবে নিষেধ করে বললেন, “দেখ, একথা কেউ যেন জানতে না পারে।” 31 কিন্তু তারা সেখান থেকে গিয়ে যীশুর বিষয়ে সেই অঞ্চলের সব জায়গায় বলতে লাগল।
32 ঐ দুজন লোক যখন চলে যাচ্ছে, এমন সময় কয়েকজন লোক ভূতে পাওয়া একজন লোককে যীশুর কাছে নিয়ে এল, সে কথা বলতে পারত না। 33 সেই ভূতকে তার ভেতর থেকে তাড়িয়ে দেবার পর বোবা লোকটি কথা বলতে লাগল। তাতে সমবেত সব লোক আশ্চর্য হয়ে গেল। তারা বলল, “ইস্রায়েলে এমন কখনও দেখা যায় নি।”
34 কিন্তু ফরীশীরা বলতে থাকল, “সে ভূতদের শাসনকর্তার শক্তিতে তাদের তাড়ায়।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International