Book of Common Prayer
97 প্রভু শাসন করেন, তাই পৃথিবী সুখী।
দূরদূরান্তের ভূখণ্ডও সুখী।
2 ঘন কালো মেঘ প্রভুকে ঘিরে রয়েছে।
সুবিচার এবং ধার্ম্মিকতা তাঁর রাজ্যকে দৃঢ় করে।
3 একটা আগুন প্রভুর আগে আগে যায়
এবং তাঁর শত্রুদের ধ্বংস করে।
4 তাঁর বিদ্যুৎ আকাশে ঝলক দিয়ে ওঠে।
তা দেখে লোকে ভয় পায়।
5 পর্বতও প্রভুর সামনে মোমের মত গলে যায়।
সমগ্র পৃথিবীর প্রভুর সামনে তারা গলে যায়!
6 আকাশ তাঁর ধার্ম্মিকতার কথা বলে!
প্রত্যেকে তাঁর মহিমা দেখুক!
7 লোকরা তাদের মূর্ত্তিকে পূজা করে।
ওরা ওদের “দেবতার” বড়াই করে।
কিন্তু ওই লোকগুলো লজ্জিত হবে।
ওদের “দেবতারাই” মাথা নত করে প্রভুর উপাসনা করবে।
8 সিয়োন, শোন এবং সুখী হও!
যিহূদার শহরসমূহ, সুখী হও!
কেন? কারণ ঈশ্বর যথাযথ সিদ্ধান্ত নেন।
9 হে পরাৎপর প্রভু, প্রকৃতই আপনি পৃথিবীর শাসনকর্তা।
“দেবতাদের” চেয়ে আপনি অনেক ভালো।
10 যারা প্রভুকে ভালোবাসে, তারা মন্দকে ঘৃণা করবে।
ঈশ্বর তাঁর অনুগামীদের মন্দ লোকদের হাত থেকে রক্ষা করেন।
11 ধার্ম্মিক লোকদের ওপর আলো ও সুখ উদ্ভাসিত হয়।
12 হে ধার্ম্মিক লোকরা, প্রভুতে সুখী হও!
তাঁর পবিত্র নামের সম্মান কর!
99 প্রভুই রাজা।
তাই জাতিগুলোকে ভয়ে কাঁপতে দাও।
করূব দূতদের ওপরে ঈশ্বর একজন রাজার মত বসেন।
তাই পৃথিবীকে ভয়ে কেঁপে উঠতে দাও।
2 সিয়োনে প্রভু মহান!
সমগ্র জাতির ওপরে তিনি একজন মহান নেতা।
3 সমস্ত লোক আপনার প্রশংসা করুক।
ঈশ্বরের নাম ভীতিপ্রদ।
ঈশ্বরই পবিত্র।
4 শক্তিশালী রাজা ন্যায় বিচার পছন্দ করে।
ঈশ্বর, আপনিই ধার্ম্মিকতা সৃষ্টি করেছেন।
আপনিই যাকোবকে ধার্ম্মিকতা এবং ন্যায়নীতি দিয়েছিলেন।
5 আমাদের প্রভু ঈশ্বরের প্রশংসা কর
এবং তাঁর পবিত্র পাদপীঠে[a] উপাসনা কর।
6 মোশি ও হারোণ তাঁর বহু যাজকদের মধ্যে দু’জন
এবং শমূয়েলও তাঁর নাম উচ্চারণকারীদের একজন।
ওরা প্রভুর কাছে প্রার্থনা করেছিলো
এবং প্রভু ওদের উত্তর দিয়েছেন।
7 দীর্ঘ মেঘের ভেতর থেকে ঈশ্বর কথা বলেছেন।
ওরাও তাঁর আজ্ঞাগুলো পালন করেছিল।
ঈশ্বর ওদের বিধি প্রদান করেছিলেন।
8 প্রভু, আমাদের ঈশ্বর, আপনি ওদের প্রার্থনার উত্তর দিয়েছিলেন।
আপনি ওদের দেখিয়েছেন যে আপনিই ক্ষমাশীল ঈশ্বর
এবং মানুষ মন্দ কাজ করে বলে আপনি মানুষকে শাস্তি দেন।
9 আমাদের প্রভু ঈশ্বরের প্রশংসা কর।
তাঁর পবিত্র পর্বতের দিকে মাথা নত কর এবং তাঁর উপাসনা কর।
প্রভু আমাদের ঈশ্বর, সত্যিই পবিত্র!
একটি ধন্যবাদার্হ গীত।
100 হে পৃথিবী, প্রভুর উদ্দেশ্যে গান গাও!
2 যখন তুমি প্রভুর সেবা কর তখন আনন্দিত থেকো!
আনন্দ গীত গাইতে গাইতে প্রভুর সামনে এসো!
3 এটা জেনো যে প্রভুই ঈশ্বর।
তিনিই আমাদের সৃষ্টি করেছেন।
আমরা তাঁরই মেষের পাল।
4 ধন্যবাদের গীত গাইতে গাইতে তাঁর শহরে এসো।
প্রশংসা গীত গাইতে গাইতে তাঁর মন্দিরে এসো।
তাঁকে সম্মান কর, তাঁর নামকে ধন্য কর।
5 প্রভু ভালো!
তাঁর ভালোবাসা চিরন্তন।
আমরা সর্বদাই তাঁর ওপর আস্থা রাখতে পারি!
94 প্রভু, আপনিই সেই ঈশ্বর যিনি আসেন এবং লোকেদের শাস্তি দেন।
আপনি সেই ঈশ্বর যিনি মানুষের জন্য শাস্তি নিয়ে আসেন।
2 আপনিই সারা পৃথিবীর বিচারক।
উদ্ধত লোকদের যে শাস্তি প্রাপ্য তা আপনি ওদের দিন।
3 প্রভু, দুষ্ট লোকরা আর কতকাল ধরে উল্লাস করবে?
আরও কতদিন প্রভু?
4 আরও কতদিন ধরে ওই দুষ্কৃতকারীরা
তাদের দুষ্কৃতির বড়াই করে যাবে?
5 প্রভু, ওরা আপনার লোকদের আঘাত করে।
ওরা আপনার লোকদের কষ্ট দিয়েছে।
6 আমাদের দেশে যে সব বিধবা ও বিদেশী থাকে, ওই দুর্জনরা তাদের হত্যা করে।
অনাথদেরও ওরা খুন করে।
7 ওরা বলে, ওরা যে সব মন্দ কাজ করে প্রভু তা দেখেন না!
ওরা বলে কি ঘটেছে ইস্রায়েলের ঈশ্বর তাও জানে না।
8 তোমরা নিষ্ঠুর লোকরা সত্যই নির্বোধ মানুষ!
আর কবে তোমরা শিক্ষা লাভ করবে?
তোমরা মন্দ লোকরা সত্যি অপগণ্ড!
তোমরা অবশ্যই বোঝবার চেষ্টা কর।
9 ঈশ্বর আমাদের কান সৃষ্টি করেছেন,
তাই নিশ্চয়ই তাঁরও কান রয়েছে এবং তিনি শুনতেও পান কি ঘটছে!
ঈশ্বর আমাদের চোখ দিয়েছেন,
তাই নিশ্চিতভাবে কি ঘটছে তা তিনি দেখতে পান!
10 ঈশ্বর ওই লোকদের মধ্যে নিয়মানুবর্তিতা আনবেন।
ওই লোকেরা কি করবে তা ঈশ্বরই ওদের শেখাবেন।
11 মানুষ কি ভাবছে তাও ঈশ্বর জানেন।
ঈশ্বর জানেন যে মানুষ বাতাসের একটি ফুৎকারের মত।
12 প্রভু যে লোককে নিয়মানুবর্তী করেন সে সত্যই সুখী হবে।
ঈশ্বর তাকে বেঁচে থাকার প্রকৃত পথ কি তা দেখাবেন।
13 ঈশ্বর, সংকটের সময় যে লোক শান্ত থাকে তাকেই আপনি সাহায্য করবেন।
মন্দ লোকেদের যতক্ষণ পর্যন্ত না কবরে পাঠানো হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি তাকে শান্ত থাকতে সাহায্য করবেন।
14 প্রভু তাঁর লোকদের ত্যাগ করবেন না।
সাহায্য না করে তিনি ওদের ত্যাগ করবেন না।
15 ন্যায্য বিচার ফিরে আসবে এবং ন্যায়পরায়ণতা নিয়ে আসবে।
তারপর সৎ এবং ভাল লোকরা অবশ্যই থাকবে।
16 মন্দ লোকদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কেউই আমায় সাহায্য করে নি।
যারা মন্দ কাজ করে, তাদের সঙ্গে লড়াই করার জন্য কোন লোক আমার পাশে দাঁড়ায় নি।
17 যদি প্রভু আমায় সাহায্য না করতেন
আমি এতদিনে কবরের গর্ভে নীরব হয়ে যেতাম।
18 আমি জানি আমি পতনোন্মুখ ছিলাম,
কিন্তু প্রভু তাঁর অনুগামীদের সাহায্য করেছেন।
19 আমি প্রচণ্ড চিন্তিত ও বিমর্ষ ছিলাম।
কিন্তু প্রভু, আপনি আমায় সান্ত্বনা দিয়ে আমায় সুখী করেছেন!
20 ঈশ্বর আপনি ক্রুর বিচারকদের সাহায্য করবেন না।
তাই মন্দ বিচারকরা মানুষের জীবনকে আরও কঠিনতর করার জন্য নিয়ম ব্যবহার করে।
21 ওই বিচারকরা ধার্ম্মিক লোকদের আক্রমণ করে।
ওরা নিরপরাধ লোকদের দোষী বলে বিচার করে এবং ওদের হত্যা করে।
22 কিন্তু পর্বতগুলির সু-উচ্চে প্রভুই আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
ঈশ্বর আমার শিলা, আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
23 মন্দ কাজ করার জন্য ঈশ্বর ওই দুষ্ট বিচারকদের শাস্তি দেবেন।
পাপ করেছে বলে ঈশ্বর ওদের ধ্বংস করবেন।
প্রভু আমাদের ঈশ্বর, ওই দুষ্ট বিচারকদের ধ্বংস করবেন।
95 এস, আমরা প্রভুর প্রশংসা করি!
যে শিলা আমাদের রক্ষা করেন তাঁর উদ্দেশ্যে আমরা উচ্চস্বরে প্রশংসাধ্বনি দিই।
2 আমরা প্রভুর উদ্দেশ্যে ধন্যবাদের গান গাই।
তাঁর প্রশংসায় আমরা আনন্দগান গাই।
3 কেন? কারণ প্রভুই মহান ঈশ্বর!
তিনিই সেই মহান রাজা যিনি সকল “দেবতাদের” শাসন করছেন।
4 গভীরতম গুহা, উচ্চতম পর্বত, সবই প্রভুর।
5 সমুদ্রও তাঁরই—তিনিই তা সৃষ্টি করেছেন।
ঈশ্বর তাঁর নিজের হাতে এই শুকনো জমি সৃষ্টি করেছেন।
6 এস, আমরা অবনত হয়ে তাঁর উপাসনা করি!
যে প্রভু আমাদের সৃষ্টি করেছেন তাঁর প্রশংসা করি!
7 কেন? কারণ যদি আমরা তাঁর কন্ঠ শুনি
তাহলে তিনি আমাদের ঈশ্বর হবেন
এবং আমরা হব সেই লোকেরা যাদের তিনি খাদ্য জোগান,
আমরা হব সেই মেষ যাদের তিনি স্বহস্তে নেতৃত্ব দেন।
8 ঈশ্বর বলেন, “মরীবাতে তোমরা যেমন অবাধ্য হয়েছিলে,
মঃসার মরুপ্রান্তরে যেমন হয়েছিল, তেমন হয়ো না।
9 তোমাদের পূর্বপুরুষরা আমায় পরীক্ষা করেছে।
ওরা আমাকে পরীক্ষা করেছিলো কিন্তু এই সময় ওরা দেখেছিলো আমি কি করতে পারি!
10 40 বছর ধরে আমি ওদের প্রতি ধৈর্য্য ধারণ করেছি।
আমি জানি যে ওরা বিশ্বাসী নয়।
ওরা আমার শিক্ষামালা অনুসরণ করতে অগ্রাহ্য করেছে।
11 তাই ওদের প্রতি আমি ক্রুদ্ধ হয়েছিলাম এবং আমি কথা দিয়েছিলাম যে,
‘ওরা আমার বিশ্রামের স্থানে কখনো প্রবেশ করতে পারবে না।’”
যিহূদার রাজা হিষ্কিয়
29 হিষ্কিয় 25 বছর বয়সে রাজা হয়ে মোট 29 বছর জেরুশালেমে রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মা অবিয়া ছিলেন সখরিয়র কন্যা। 2 হিষ্কিয় প্রভুর অভিপ্রায় অনুসারে তাঁর পূর্বপুরুষ দায়ূদের মতো সৎ ও ধর্মনিষ্ঠভাবে জীবনযাপন করেন।
3 তাঁর রাজত্বকালের প্রথম বছরের, প্রথম মাসের মধ্যেই হিষ্কিয় প্রভুর মন্দিরটি আবার খুলে দিয়েছিলেন এবং মন্দিরের দরজাগুলো মেরামত করে দিয়েছিলেন।
হিষ্কিয়র নিস্তারপর্ব উদ্যাপন
30 রাজা হিষ্কিয় ইস্রায়েল ও যিহূদায় প্রত্যেককে বার্তা পাঠালেন এবং ইফ্রয়িম ও মনঃশির লোকেদের চিঠি লিখে দিলেন প্রভুর মন্দিরে আসার জন্য, যাতে তাঁরা সবাই প্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বরের জন্য নিস্তারপর্ব উদ্যাপন করতে পারেন। 2 তিনি তাঁর সমস্ত উচ্চপদস্থ কর্মচারী এবং জেরুশালেমে সমবেত লোকেদের সঙ্গে পরামর্শ করলেন এবং দ্বিতীয় মাসে নিস্তারপর্ব উদ্যাপন করবেন বলে স্থির করলেন। 3 যেহেতু যাজকদের অধিকাংশ এই পবিত্র সেবা অনুষ্ঠান উদযাপনের জন্য তখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন না, এবং লোকরা তখনও জেরুশালেমে সমবেত হয় নি, সেহেতু নির্ধারিত সময়ে নিস্তারপর্ব উদ্যাপন করা গেল না। 4 তবে তাঁরা যা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাতে হিষ্কিয় সহ সমবেত সকলেই সন্তুষ্ট হয়েছিলেন। 5 এবং বের্-শেবা থেকে শুরু করে দান শহর পর্যন্ত ইস্রায়েলের সর্বত্র সকলকে জেরুশালেমে এসে প্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বরের নিস্তারপর্বে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হল। ইস্রায়েলের লোকদের একটা বড় অংশ দীর্ঘদিন যাবৎ মোশির বর্ণিত বিধি অনুযায়ী নিস্তারপর্ব পালন করেন নি। 6 তাই বার্তাবাহকরা ইস্রায়েল ও যিহূদার সর্বত্র রাজা হিষ্কিয়র চিঠি নিয়ে গেল যাতে জানানো হল:
“ইস্রায়েলের সন্ততিরা, তোমরা অব্রাহাম, ইস্হাক ও ইস্রায়েলের আরাধ্য ঈশ্বরের দিকে মুখ ফেরাও। একমাত্র তাহলেই তোমরা যারা অশূররাজের সৈন্যদল থেকে পালিয়ে এসেছ, তাদের প্রতি তিনি করুণা পরবশ হবেন। 7 তোমাদের পূর্বপুরুষ এবং সহনাগরিকদের মতো আচরণ কোরো না। তাঁরা তাঁদের পিতার ঈশ্বরের বিরুদ্ধে পাপ করেছিলেন। তাই প্রভু তাঁদের ধ্বংস হতে দিয়েছিলেন। এসবই তোমরা নিজেদের চোখে দেখেছো। 8 তোমাদের এইসব পূর্বপুরুষদের মতো গোঁয়ার্তুমি না করে সমস্ত অন্তঃকরণ দিয়ে প্রভুর বন্দনা করো। প্রভু তাঁর আশীর্বাদে যে পবিত্রতম স্থানকে চিরপবিত্র করে তুলেছেন সেখানে এসে তোমরা তোমাদের প্রভু ঈশ্বরের সেবা করো। একমাত্র তাহলেই প্রভুর রোষদৃষ্টির হাত থেকে তোমরা অব্যাহতি পাবে। 9 তোমরা যদি তাঁর চরণতলে ফিরে এসে তাঁকে অনুসরণ করো তাহলে তোমাদের আত্মীয়স্বজন ও সন্তান-সন্ততিদের অপহরণকারীরা তাদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করবেন এবং তারা সকলে আবার এই দেশে ফিরে আসতে পারবে। তোমাদের প্রভু দয়ালু এবং করুণাময়। তোমরা যদি তাঁর কাছে ফিরে আসো তিনি কখনোই তোমাদের দিক থেকে মুখ ফেরাবেন না।”
10 বার্তাবাহকরা সবূলূন পর্যন্ত ইফ্রয়িম ও মনঃশির সর্বত্র, প্রত্যেকটা শহরে এই আবেদন নিয়ে গেল। কিন্তু লোকেরা এর কোনো গুরুত্ব না দিয়ে এই আবেদন ও বার্তাবাহকদের নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করতে শুরু করলো। 11 তবে আশের মনঃশি ও সবূলূনের বিভিন্ন অঞ্চলের কিছু ব্যক্তি পরম দীনের মতো জেরুশালেমে এসে উপস্থিত হল। 12 এমনকি যিহূদাতেও প্রভু এমনভাবে চলেছিলেন যাতে সমস্ত লোক, রাজা ও তাঁর উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের মেনে চলতে রাজী হল।
13 দ্বিতীয় মাসে বহু ব্যক্তি জেরুশালেমে খামিরবিহীন রুটির উৎসব পালন করতে এলো। 14 এরা সকলে জেরুশালেমের ভ্রান্ত দেবদেবীদের জন্য বানানো বেদী ও ধুপধূনো দেবার বেদীগুলো ভেঙে কিদ্রোণ উপত্যকায় ফেলে দিল। 15 দ্বিতীয় মাসের 14 দিনের দিন এরা নিস্তারপর্বের নৈবেদ্যটি বলি দিলেন। যাজকগণ ও লেবীয়রা লজ্জিত মনে সেবার কাজের জন্য প্রস্তুত হলেন কারণ তাঁরা অনুষ্ঠানটির জন্য যথাযথভাবে পবিত্র ছিলেন না। তাঁরা প্রভুর মন্দিরে হোমবলি নিয়ে এলেন। 16 মোশির বিধি অনুযায়ী, তাঁরা মন্দিরে তাঁদের নির্ধারিত জায়গাগুলি গ্রহণ করলেন। লেবীয়রা যাজকদের হাতে রক্তের পাত্র তুলে দেবার পর যাজকরা সেই রক্ত বেদীতে ছিটিয়ে দিলেন। 17 উপস্থিত লোকদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন যাঁরা এই পবিত্র সেবার কাজের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করেন নি। এরকম লোকদের জন্য, লেবীয়রা নিস্তারপর্বের নৈবেদ্যটি বলিদান করলেন।
18-19 এরকম করা হল যেহেতু ইফ্রয়িম, মনঃশি, ইষাখর ও সবূলূনের অনেকেই নিস্তারপর্বের ভোজসভায় যোগদানের জন্য নিজেদের শুচি করেন নি এবং মোশির বিধি অনুযায়ী তাঁরা এটি পালন করেন নি। কিন্তু তাঁরাও যোগদান করলেন, কারণ হিষ্কিয় প্রার্থনা করে বললেন, “হে প্রভু, তুমি মঙ্গলময়। এরা সকলেই সর্বান্তঃকরণে তোমার উপাসনা করতে চাইলেও বিধি অনুযায়ী নিজেদের শুচি করে নি। তুমি এদের ক্ষমা করো। তুমি আমাদের পূর্বপুরুষের আরাধ্য ঈশ্বর। এরা যদি এই পবিত্রতম স্থানের জন্য উপযুক্তভাবে নিজেদের শুদ্ধ নাও করে থাকে, তাহলেও তুমি এদের সবাইকে, যারা সমস্ত হৃদয় দিয়ে তোমাকে চায়, ক্ষমা করে দিও।” 20 প্রভু রাজা হিষ্কিয়ের প্রার্থনায় সাড়া দিয়ে এদের সবাইকে ক্ষমা করে দিলেন। 21 ইস্রায়েলের বাসিন্দারা সাতদিন ধরে মহাসমারোহে ও আনন্দের মধ্যে দিয়ে জেরুশালেমে খামিরবিহীন রুটির উৎসব পালন করলো। লেবীয় ও যাজকরা প্রত্যেকদিন তাঁদের সাধ্যমতো প্রভুর প্রশংসা করলেন। 22 যে সমস্ত লেবীয়রা প্রভুর সেবা কাজের অনুধাবন করেছিলেন রাজা হিষ্কিয় তাদের সবাইকে উৎসাহিত করতে লাগলেন। সাতদিন এই উৎসব পালনের পর লোকরা নিস্তারপর্বের নৈবেদ্য উৎসর্গ করলো। তারা তাদের পূর্বপুরুষের প্রভু ঈশ্বরের প্রশংসা ও তাঁর প্রতি তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলো।
23 তখন সমস্ত লোক আরো সাতদিন থাকতে রাজী হল। আরো সাতদিন ধরে তারা আনন্দের সঙ্গে নিস্তারপর্ব পালন করলো। 24 যিহূদার রাজা হিষ্কিয়, যাতে এটি সম্ভব হয় তার জন্য 1000 ষাঁড়, 7000 মেষ উপস্থিত লোকদের খাবার জন্য দান করলেন। নেতারা সকলে আরো 1000 ষাঁড় আর 10,000 মেষ দান করলেন। সমস্ত যাজকরা পবিত্র সেবার কাজের জন্য নিজেদের শুদ্ধ করলেন। 25 উপস্থিত প্রত্যেকে, যিহূদার প্রত্যেক যাজকগণ ও লেবীয়রা, ইস্রায়েল থেকে যিহূদায় আসা বহিরাগতরা, অন্যান্য প্রত্যেকে যারা ইস্রায়েল থেকে এসেছিলেন, তাঁদের প্রত্যেকেই খুশী ও আনন্দের সঙ্গে উৎসব পালন করলেন। 26 তাই জেরুশালেমের সর্বত্র তখন খুশীর বন্যা কারণ ইস্রায়েলের রাজা, দায়ূদের পুত্র, শলোমনের সময় থেকে জেরুশালেমে এরকম কোনো উৎসব আর কখনও হয়নি। 27 যাজকগণ ও লেবীয়রা উঠে দাঁড়ালেন এবং লোকদের আশীর্বাদ করার জন্য প্রার্থনা করলেন। প্রভু স্বর্গে তাঁর পবিত্র বাসস্থান থেকে তাঁদের সেই প্রার্থনা শুনতে পেলেন।
32 আমি চাই যেন তোমরা দুর্ভাবনা থেকে মুক্ত হও। একজন অবিবাহিত লোক প্রভুর কাজের বিষয়ে বেশী করে চিন্তা করতে পারে, কিভাবে সে প্রভুকে সন্তুষ্ট করবে সেটাই তার চিন্তা হয়। 33 কিন্তু যে বিবাহিত সে এই সংসারের বিষয় চিন্তা করে, কিভাবে সে তার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করবে, সেই হয় তার চিন্তা। 34 সে প্রভুকে সন্তুষ্ট করতে চায় আবার সেই সঙ্গে তার স্ত্রীকে খুশী করতে চায়, এইভাবে দুই দিকেই তার চিন্তা হয়। একজন অবিবাহিতা বা কুমারী মেয়ে প্রভুর বিষয় চিন্তা করে, যেন সে দেহে ও আত্মায় পবিত্র হয়। কিন্তু বিবাহিতা স্ত্রীলোক তার সংসারের প্রতি বেশী চিন্তা করে, আর তার চিন্তা থাকে কিভাবে সে তার স্বামীকে সন্তুষ্ট করবে। 35 আমি তোমাদের ভালোর জন্যই একথা বলছি, তোমাদের ওপর কোন বিধি-নিষেধ চাপিয়ে দেবার জন্য নয়, বরং তোমরা যাতে ঠিক পথে চল আর যাতে তোমরা নানা বিষয়ে জড়িয়ে না পড়ো এবং সম্পূর্ণ সমর্পণ দ্বারা প্রভুর উদ্দেশ্যে নিজেদের উৎসর্গ কর সেইজন্যই বলছি।
36 কেউ যদি মনে করে যে সে তার কুমারী বাগদত্তার প্রতি সঙ্গত আচরণ করছে না, তার বিয়ের বয়স পার হয়ে যাচ্ছে, সে যদি মনে করে যে বিষয়টা শীঘ্রই হওয়াই ভাল তবে সে যা চায় তাই করুক। এতে সে পাপ করছে না, তার বিয়ে হোক্। 37 কিন্তু যে তার নিজের মনে দৃঢ়, যার কোন চাপ নেই, যে তার ইচ্ছাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে আর তার মনে ঠিক করে যে সে তার বাগদত্তাকে বিয়ে না করেই নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম, তবে সে ভালই করবে। 38 তাই তার বাগদত্তা বন্ধুকে বিয়ে করে সে ঠিক কাজই করে; আর যে তাকে বিয়ে না করে সে আরো ভালো করে।
39 স্বামী যতদিন বেঁচে থাকে স্ত্রী ততদিনই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ থাকে, কিন্তু স্বামী মারা গেলে সে মুক্ত, সে তখন যাকে ইচ্ছা আবার বিয়ে করতে পারে, অবশ্য সেই লোক যেন প্রভুর হয়। 40 তবে আমার মতে সে যদি আর বিয়ে না করে তবে আরো সুখী হবে। এই আমার মত আর আমি মনে করি আমারও ঈশ্বরের আত্মা আছে।
অপরের বিচারের বিষয়ে যীশুর শিক্ষা
(লূক 6:37-38, 41-42)
7 “পরের বিচার করো না, তাহলে তোমার বিচারও কেউ করবে না। 2 কারণ যেভাবে তোমরা অন্যের বিচার কর, সেই ভাবে তোমাদেরও বিচার করা হবে; আর যেভাবে তুমি মাপবে সেই ভাবে তোমার জন্যও মাপা হবে।
3 “তোমার ভাইয়ের চোখে যে কুটো আছে কেবল তা-ই দেখছ; কিন্তু নিজের চোখের মধ্যে যে তক্তা আছে তা দেখতে পাও না? 4 যখন তোমার নিজের চোখেই একটা তক্তা রয়েছে তখন কিভাবে তোমার ভাইকে বলছ, ‘এস তোমার চোখ থেকে কুটোটা বার করে দিই?’ 5 ভণ্ড! প্রথমে তোমার নিজের চোখ থেকে তক্তাটা বার করে ফেলো, তাহলে তোমার ভাইয়ের চোখ থেকে কুটোটা বার করার জন্য স্পষ্ট দেখতে পাবে।
6 “কোন পবিত্র বস্তু কুকুরকে দিও না আর শুয়োরের সামনে তোমাদের মুক্তো ছুঁড়ো না, তাহলে সে তা পায়ের তলায় মাড়িয়ে নষ্ট করবে ও তোমার দিকে ফিরে তোমায় আক্রমণ করবে।
প্রয়োজনীয় বিষয়ের জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা কর
(লূক 11:9-13)
7 “চাইতে থাক, তোমাদের দেওয়া হবে। খুঁজতে থাক, পাবে। দরজায় ধাক্কা দিতে থাক, তোমাদের জন্য দরজা খুলে দেওয়া হবে। 8 কারণ যে চাইতে থাকে সে পায়, যে খুঁজতে থাকে সে খুঁজে পায়, আর যে দরজায় ধাক্কা দিতে থাকে তার জন্য দরজা খুলে দেওয়া হয়।
9 “তোমার ছেলে যদি তোমার কাছে রুটি চায়, তবে তোমাদের মধ্যে এমন কেউ আছে কি, যে তার সন্তানকে রুটির বদলে পাথরের টুকরো দেবে? 10 যদি সে একটা মাছ চায় তবে বাবা কি তার হাতে একটা সাপ তুলে দেবে? নিশ্চয় না। 11 তোমরা মন্দ হয়েও যদি তোমাদের সন্তানদের ভাল ভাল জিনিস দিতে জানো, তবে তোমাদের স্বর্গের পিতা ঈশ্বরের কাছে যারা চায়, তাদের তিনি নিশ্চয়ই উৎকৃষ্ট জিনিস দেবেন।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিধান
12 “তাই অপরের কাছ থেকে তোমরা যে ব্যবহার প্রত্যাশা কর, তাদের প্রতিও তেমনি ব্যবহার কর। এটাই হল মোশির বিধি-ব্যবস্থা ও ভাববাদীদের শিক্ষার অর্থ।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International