Book of Common Prayer
মেম
97 হে প্রভু, আমি আপনার শিক্ষামালাগুলো ভালোবাসি।
সব সময়েই আমি সে সম্পর্কে কথা বলি।
98 প্রভু আপনার আজ্ঞাগুলো আমাকে আমার শত্রুদের থেকে জ্ঞানী করেছে।
আপনার বিধি সব সময়েই আমার সঙ্গে থাকে।
99 আমার সকল শিক্ষকের চেয়ে আমি জ্ঞানী,
কারণ আমি আপনার চুক্তি অধ্যয়ন করি।
100 সমস্ত প্রাচীন নেতাদের চেয়ে আমি বেশী বিজ্ঞ
কারণ আমি আপনার সব আজ্ঞাগুলি মান্য করি।
101 আমি প্রতিটি মন্দ কাজ থেকে নিজেকে দূরে রেখেছিলাম।
তাই প্রভু, আপনি যা বলবেন, আমি তাই করতে পারি।
102 হে প্রভু, আপনি আমার শিক্ষক,
তাই আমি আপনার বিধিসমূহ পালন করা থেকে বিরত হব না।
103 আপনার বাক্যগুলো আমার মুখে
মধুর চেয়েও মিষ্টি লাগে।
104 আপনার শিক্ষামালা আমাকে জ্ঞানী করেছে,
তাই ভ্রান্ত শিক্ষাকে আমি ঘৃণা করি।
নূন
105 প্রভু, আপনার বাক্যগুলো
প্রদীপের মত আমার পথকে আলোকিত করে।
106 আপনার বিধিগুলো ভালো।
আমি সেগুলো পালন করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি এবং আমি আমার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবো।
107 প্রভু দীর্ঘদিন ধরে আমি ভুগেছি।
দয়া করে আপনার প্রতিশ্রুতি মত আমাকে আবার বাঁচতে দিন!
108 প্রভু আমার প্রশংসা গ্রহণ করুন
এবং আপনার বিধিগুলো শেখান।
109 আমার জীবন সর্বদাই সঙ্কটাপন্ন।
কিন্তু আমি আপনার শিক্ষাগুলো ভুলি নি।
110 দুষ্ট লোকরা আমায় ফাঁদে ফেলতে চেয়েছিলো।
কিন্তু আমি আপনার আজ্ঞাগুলি অমান্য করিনি।
111 প্রভু, আমি চিরদিন আপনার চুক্তি অনুসরণ করবো।
এটা আমাকে ভীষণ খুশী করে।
112 আপনার বিধিগুলো পালন করার জন্য
আমি অবশ্যই সর্বদা আপ্রাণ চেষ্টা করবো।
সামক
113 প্রভু, যারা আপনার প্রতি পুরোপুরি নিষ্ঠাবান নয় তাদের আমি ঘৃণা করি।
কিন্তু আপনার শিক্ষামালাগুলো আমি ভালোবাসি।
114 আমায় রক্ষা করুন, আমায় আড়াল করে রাখুন।
প্রভু, আপনি যা বলেন আমি সব বিশ্বাস করি।
115 প্রভু, দুষ্ট লোককে আমার কাছে আসতে দেবেন না।
আমি অবশ্যই আমার ঈশ্বরের আজ্ঞা পালন করবো।
116 হে প্রভু, আপনার প্রতিশ্রুতি মত আমায় সহায়তা দিন এবং আমি অবশ্যই বাঁচবো।
আমি আপনাকে বিশ্বাস করি, আমাকে হতাশ করবেন না।
117 প্রভু, আমায় সাহায্য করুন, আমি রক্ষা পাবো।
আমি সর্বদা আপনার আজ্ঞাগুলি অধ্যয়ন করবো।
118 হে প্রভু, যারা আপনার বিধি ভঙ্গ করে তাদের সবার কাছ থেকে আপনি সরে আসুন।
কেন? কারণ যখন তারা আপনাকে অনুসরণ করার কথা বলেছিলো, তখন তারা মিথ্যা কথা বলেছিলো।
119 প্রভু, দুষ্ট লোকদের আপনি আবর্জনার মত পৃথিবীতে ছুঁড়ে ফেলে দিন।
তাই আমি সর্বদাই আপনার চুক্তিকে ভালোবাসবো।
120 প্রভু, আমি আপনাকে ভয় করি।
আপনার বিধিকে আমি ভয় ও শ্রদ্ধা করি।
সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: গিত্তীৎ সহযোগে আসফের একটি গীত।
81 সুখী হও এবং আমাদের শক্তিদাতা ঈশ্বরের কাছে গান গাও।
ইস্রায়েলের ঈশ্বরের কাছে আনন্দ ধ্বনি দাও।
2 সঙ্গীত শুরু কর।
খঞ্জনীগুলি বাজাও।
সুশ্রাব্য বীণা এবং অন্যান্য তন্ত্রবাদ্য বাজাও।
3 অমাবস্যার সময় মেষের শিঙা বাজিও।
পূর্ণিমার দিনে যখন আমাদের ছুটির উৎসব হয় তখন শিঙা বাজিও।
4 ইস্রায়েলের লোকের জন্য এটাই বিধি।
ঈশ্বর যাকোবকে সেই আজ্ঞা দিয়েছিলেন।
5 ঈশ্বর যখন যোষেফকে[a] মিশর থেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন,
সেই সময় তিনি তাঁর সঙ্গে এই চুক্তি করেছিলেন।
মিশরে আমরা একটা ভাষা শুনেছিলাম, যেটা আমরা বুঝতে পারি নি।
6 ঈশ্বর বলেন, “তোমার কাঁধ থেকে ভারী বোঝা আমি নিয়েছিলাম
এবং তোমার হাতের ভারী ঝাঁকাগুলিও আমি বিলি করেছিলাম।
7 তোমরা সমস্যার মধ্যে ছিলে। তোমরা সাহায্য চেয়েছিলে।
আমি তোমাদের মুক্ত করে দিলাম। ঝড়ের মেঘের মধ্যে আমি লুকিয়েছিলাম এবং আমি তোমাদের উত্তর দিয়েছিলাম।
মরীবার জলের ধারে আমি তোমাদের পরীক্ষা করেছিলাম।”
8 “হে আমার লোকজন, আমার কথা শোন।
তোমাদের আমি আমার চুক্তি দেব, হে ইস্রায়েল, আমার কথা শোন!
9 বিদেশীরা যে সব মূর্ত্তি পূজা করে,
তোমরা তাদের উপাসনা কর না।
10 আমিই প্রভু, তোমাদের ঈশ্বর,
যে তোমাদের মিশর থেকে বার করে এনেছিলাম।
হে ইস্রায়েল, তোমার মুখ খোল,
আমি তোমাকে আহার দেবো।
11 “কিন্তু আমার লোকরা আমার দিকে মনোযোগ দেয় নি।
ইস্রায়েল আমায় মানে নি।
12 তাই ওরা যা করতে চেয়েছিলো, আমি ওদের তাই করতে দিয়েছি।
ইস্রায়েলীয়রা যা করতে চেয়েছিলো, তাই করেছে।
13 যদি আমার লোকরা আমার কথা শুনতো এবং আমি যে ভাবে চাই সেভাবে বাঁচতো,
14 তাহলে আমি ওদের শত্রুদের পরাজিত করতাম।
যারা ইস্রায়েলে সংকটসমূহ নিয়ে আসবে তাদের আমি শাস্তি দেব।
15 প্রভুর শত্রুরা ভয়ে কেঁপে যেতো।
চিরদিনের জন্য ওরা শাস্তি পেতো।
16 ঈশ্বর তাঁর লোকদের সবার সেরা গম দিতেন।
যতক্ষণ না তারা পরিতৃপ্ত হয়, ততক্ষণ তাঁর লোকদের ঈশ্বর মধু দেবেন।”
আসফের একটি প্রশংসা গীত।
82 ঈশ্বর দেবতাদের মণ্ডলীতে[b] দাঁড়ান।
দেবতাদের সেই সভায় তিনিই ছিলেন বিচারক।
2 ঈশ্বর বলেন, “কতদিন তোমরা অন্যায়ভাবে লোকের বিচার করবে?
আর কতদিন তোমরা দুষ্ট লোকদের শাস্তি না দিয়ে ছেড়ে দেবে?”
3 “দরিদ্র লোকদের এবং অনাথদের বিচার কর।
ওই সব দরিদ্র লোকদের অধিকারকে রক্ষা কর।
4 ওই সব অসহায় ও দরিদ্রদের সাহায্য কর।
দুষ্ট লোকদের থেকে ওদের রক্ষা কর।
5 “কে ঘটে চলেছে তা ওরা জানে না।
ওরা বোঝে না!
ওরা যে কি করছে তা ওরা জানে না,
ওদের চারপাশে ওদের পৃথিবী ভেঙে পড়েছে!”
6 আমি ঈশ্বর বলছি, “তোমরা দেবতা।
তোমরা পরাৎপরের সন্তানগণ।
7 যেমন ভাবে সাধারণ মানুষ অবশ্যই মরে, তোমরাও সেই ভাবেই মারা যাবে।
সব নেতারা যেভাবে মারা যায়, তোমরাও সেইভাবেই মারা যাবে।”
8 ঈশ্বর, আপনি উঠুন! আপনিই বিচারক হন!
ঈশ্বর, সব জাতির ওপরে আপনিই নেতা হন!
ইলীশায় আর কুড়ুলের বৃত্তান্ত
6 তরুণ ভাববাদীরা ইলীশায়কে বলল, “আমরা ওখানে যে জায়গায় থাকি সেটা আমাদের পক্ষে বড্ড ছোট। 2 চলুন যর্দন নদীর তীর থেকে কিছু কাঠ কেটে আনা যাক। আমরা প্রত্যেকে একটা করে গুঁড়ি নিয়ে এসে ওখানেই একটা থাকার জায়গা বানানো যাক।”
ইলীশায় বললেন, “বেশ তো, যাও না।”
3 ওদের একজন বললো, “আপনিও চলুন না আমাদের সঙ্গে।”
ইলীশায় বললেন, “ঠিক আছে, চলো আমিও যাচ্ছি।”
4 ইলীশায় তখন ওদের সঙ্গে যর্দন নদীর তীরে গেলেন। সেখানে গিয়ে তরুণ ভাববাদীরা সবাই গাছ কাটতে শুরু করলো। 5 গাছ কাটার সময় একজনের কুড়ুলের লোহার ডগাটা হাতল থেকে পিছলে গিয়ে একেবারে জলে গিয়ে পড়লো। লোকটা চেঁচিয়ে উঠলো, “যাঃ! এখন কি হবে? প্রভু, আমি যে অন্য লোকের কুড়ুল ধার করে এনেছিলাম!”
6 ইলীশায় জিজ্ঞেস করলেন, “ঠিক কোথায় পড়েছে ওটা?”
লোকটা ইলীশায়কে জায়গাটা দেখানোর পর, তিনি একটা ছড়ি কেটে সেটা জলে ছুঁড়ে ফেললেন। এতে কুড়ুলের মাথাটা সেই ছড়ির সঙ্গে ভেসে উঠলো! 7 ইলীশায় বললেন, “যাও ওটা তুলে নাও এবার।” কৃতজ্ঞ চিত্তে লোকটি কুড়ুলের মাথাটা তুলে নিল।
অরামের ইস্রায়েলকে ফাঁদে ফেলার চক্রান্ত
8 অরামের রাজা ইস্রায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ করছিলেন। তিনি তাঁর সেনাবাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে একটি পরিষদীয় বৈঠক করলেন। তিনি বললেন, “আমি একটি নির্দিষ্ট জায়গায় শিবির স্থাপন করব।”
9 কিন্তু ঈশ্বরের লোকটি ইস্রায়েলের রাজাকে একটি খবর দিয়ে সতর্ক করে দিলেন, “ওখান দিয়ে যাতায়াত করো না! খুব সাবধান! কারণ ওখানে অরামীয় সেনাবাহিনীর লোকরা লুকিয়ে আছে!”
10 খবর পেয়ে ইস্রায়েলের রাজা সঙ্গে সঙ্গে যে জায়গা সম্পর্কে ইলীশায় তাঁকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, তাঁর লোকদের জানিয়ে দিলেন এবং তিনি তাঁর বাহিনীর অনেকের জীবন রক্ষা করতে পারলেন।
11 এঘটনায় অরামের রাজা খুবই বিচলিত হয়ে তাঁর সেনাবাহিনীর প্রধানদের এক বৈঠকে ডেকে বললেন, “এখানে ইস্রায়েলের হয়ে কে গুপ্তচরের কাজ করছে বল?”
12 তখন অরামীয় সেনাপ্রধানদের একজন বললেন, “আমার মনিব এবং রাজা, আমাদের মধ্যে কেউই গুপ্তচর নয়! ইস্রায়েলের ভাববাদী ইলীশায়, ইস্রায়েলের রাজাকে অনেক গোপন খবরই দৈববলে জানিয়ে দিতে পারেন। এমন কি আপনি শোবার ঘরে যে সব কথাবার্তা বলেন তাও উনি জানতে পারেন!”
13 অরামের রাজা বললেন, “আমি লোক পাঠাচ্ছি। এই ইলীশায়কে খুঁজে বার করতেই হবে!”
ভৃত্যরা রাজাকে খবর দিল, “ইলীশায় এখন দোথনে আছেন!”
14 অরামের রাজা তখন রথবাহিনী, ঘোড়া ইত্যাদি সহ সেনাবাহিনীর একটা বড় দল দোথনে পাঠালেন। তারা রাতারাতি সেখানে এসে শহরটাকে চারপাশ দিয়ে ঘিরে ফেললো। 15 সেই দিন, ঈশ্বরের লোকটির ভৃত্য খুব ভোরে উঠে পড়ল, বাইরে গিয়ে দেখে ঘোড়া রথসহ বিরাট এক সেনাবাহিনী শহরের চারপাশ ঘিরে আছে!
সে ছুটে গিয়ে ঈশ্বরের লোককে জিজ্ঞেস করল, “প্রভু আমরা এখন কি করব?”
16 ইলীশায় বললেন, “ভয় পেও না! আমাদের জন্য যে সেনাবাহিনী যুদ্ধ করে তা অরামের সেনাবাহিনীর থেকে অনেক বড়!”
17 ইলীশায় তারপর প্রার্থনা করে বললেন, “হে প্রভু, আমার ভৃত্যের চক্ষু উন্মিলীত কর যাতে ও দেখতে পায়।”
যেহেতু প্রভু সেই তরুণ ভৃত্যকে অলৌকিক দৃষ্টি দিলেন, ও দেখতে পেল, গোটা শহরটা শত সহস্র ঘোড়া আর আগুনের রথে ভরে রয়েছে! ইলীশায়কে ঘিরে আছে এই বাহিনী।
18 এই সুবিশাল বাহিনী ইলীশায়ের আদেশের অপেক্ষায় নেমে এলে, তিনি প্রভুর কাছে প্রার্থনা করে বললেন, “তুমি ঐসব সেনার দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নাও।”
ইলীশায়ের প্রার্থনা মতো প্রভু তখন অরামীয় সেনাবাহিনীর দৃষ্টিশক্তি হরণ করলেন। 19 ইলীশায় অরামীয় সেনাবাহিনীকে ডেকে বললেন, “এটা সঠিক পথ বা শক্ত শহর নয়। আমার সঙ্গে সঙ্গে এসো। তোমরা যাকে খুঁজছো, আমি তোমাদের তার কাছে পৌঁছে দেব চল।” একথা বলে ইলীশায় তাদের শমরিয়ায় নিয়ে গেলেন।
20 শমরিয়ায় পৌঁছনোর পর ইলীশায় বললেন, “প্রভু এবার ওদের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দাও যাতে ওরা আবার দেখতে পায়।”
প্রভু তখন তাদের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিলে অরামীয় সেনাবাহিনী দেখলো তারা সকলে শমরিয়া শহরের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে। 21 ইস্রায়েলের রাজা অরামীয় সেনাবাহিনীকে দেখার পর ইলীশায়কে জিজ্ঞেস করলেন, “হে আমার পিতা, আমি কি এদের হত্যা করব?”
22 ইলীশায় বললেন, “না, ওদের তুমি হত্যা করো না। যুদ্ধে তরবারি আর তীর-ধনুকের বলে যাদের তুমি বন্দী করবে, তাদের হত্যা করবে না। অরামীয় সেনাদের এখন রুটি আর জল পান করতে দাও। খাওয়া-দাওয়া হলে ওদের রাজার কাছে ওদের বাড়ীতে ফেরৎ পাঠিয়ে দিও।”
23 তখন ইস্রায়েলের রাজা অরামীয় সেনাবাহিনীর জন্য অনেক খাবার বানালেন। অরামের সেনারা সে সব খাবার পর মহারাজ তাদের নিজেদের বাড়িতে ফেরৎ পাঠিয়ে দিলেন। অরামীয় সেনাবাহিনী তাদের মনিবের কাছে দেশে ফিরে গেল। এরপর আর কখনও অরামীয়রা লুঠপাট চালানোর জন্য ইস্রায়েলে কোন সেনাবাহিনী পাঠায় নি।
9 আমার আগের চিঠিতে আমি তোমাদের লিখেছিলাম যেন তোমরা যৌন পাপে লিপ্ত লোকেদের সঙ্গে মেলামেশা না কর। 10 তবে হ্যাঁ, এই জগতের যারা নষ্ট চরিত্রের লোক, লোভী, ঠগবাজ বা প্রতিমাপূজক তাদের কথা অবশ্য বলিনি, কারণ তাহলে তো তোমাদের জগতের বাইরে চলে যেতে হবে। 11 তবে আমি এখন লিখছি যে, যে কেউ নিজেকে বিশ্বাসী বলে পরিচয় দেয়, অথচ নষ্ট চরিত্রের লোক, লোভী, প্রতিমাপূজক, নিন্দুক, মাতাল বা ঠগবাজ এরকম লোকের সঙ্গে মেলামেশা করো না। এমন কি তার সঙ্গে খাওয়া-দাওয়াও করো না।
12-13 বাইরের লোকদের বিচার করার আমার কি দরকার? কিন্তু মণ্ডলীর ভেতরের লোকদের বিচার করা কি তোমাদের উচিত নয়? যারা মণ্ডলীর বাইরের লোক তাদের বিচার ঈশ্বর করবেন। শাস্ত্র বলছে, “তোমাদের মধ্য থেকে দুষ্ট লোককে বার করে দাও।”(A)
খ্রীষ্টীয়ানদের মধ্যে বিচারের সমস্যা
6 তোমাদের মধ্যে কারো যদি অপরের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকে তবে সে কোন্ সাহসে ঈশ্বরের পবিত্র লোকদের কাছে না গিয়ে আদালতে বিচারকদের অর্থাৎ অধার্মিকদের কাছে যায়? 2 তোমরা নিশ্চয় জান যে ঈশ্বরের লোকরা জগতের বিচার করবে। তোমাদের দ্বারাই যখন জগতের বিচার হবে, তখন তোমরা কি এই সামান্য বিষয়ের বিচার করার অযোগ্য? 3 তোমরা কি জান না যে আমরা স্বর্গদূতদেরও বিচার করব? তাই যদি হয় তবে তো এই জীবনের বিষয়গুলি সম্পর্কেও আমরা নিশ্চিতভাবে বিচার করতে পারি। 4 তাই তোমাদের নিজেদের মধ্যে যদি কোন নালিশ থাকে, তবে যারা মণ্ডলীর লোক নয় তাদেরই কি তোমরা বিচার করার জন্য ঠিক করবে? 5 তোমাদের লজ্জা দেবার জন্য আমি এই কথা বলছি: এটা খুব খারাপ, তোমাদের মধ্যে সত্যিই কি এমন কোন জ্ঞানী লোক নেই যে ভাইদের মধ্যে বিবাদ বাধলে তার মীমাংসা করে দিতে পাবে? 6 কিন্তু এক ভাই অন্য ভাইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে যাচ্ছে, তাও আবার অবিশ্বাসীদের সামনে!
7 তোমরা যে একে অপরের বিরুদ্ধে মামলা করছ এতে প্রমাণ হচ্ছে যে তোমরা পরাস্ত হয়েছ। তার চেয়ে ভাল হয় যদি তুমি কাউকে তোমার বিরুদ্ধে অন্যায় করতে দাও। ভাল হয় কাউকে যদি তোমায় প্রতারণা করতে দাও। 8 কিন্তু তোমরা নিজেরাই অন্যায় করছ, তোমরাই বঞ্চনা করছ! আর তা তোমাদের বিশ্বাসী খ্রীষ্টীয়ান ভাইদের প্রতিই করছ!
প্রতিশোধ নেওয়া বিষয়ে যীশুর শিক্ষা
(লূক 6:29-30)
38 “তোমরা শুনেছ, একথা বলা হয়েছে যে, ‘চোখের বদলে চোখ ও দাঁতের বদলে দাঁত।’(A) 39 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, দুষ্ট লোকদের প্রতিরোধ করো না, বরং কেউ যদি তোমার ডান গালে চড় মারে, তবে তার দিকে অপর গালটিও বাড়িয়ে দিও। 40 কেউ যদি তোমার পাজামা নেবার জন্য আদালতে মামলা করতে চায়; তবে তাকে তোমার ধুতিটাও ছেড়ে দিও। 41 যদি কেউ তার বোঝা নিয়ে তোমাকে এক মাইল পথ যেতে বাধ্য করে, তার সঙ্গে দু মাইল যেও। 42 কেউ যদি তোমার কাছ থেকে কিছু চায়, তাকে তা দিও। তোমার কাছ থেকে কেউ ধার চাইলে তাকে তা দিতে অস্বীকার করো না।
সকলকে ভালবাসো
(লূক 6:27-28, 32-36)
43 “তোমরা তাদের বলতে শুনেছ, ‘তোমার প্রতিবেশীকে ভালবাসো,(B) শত্রুকে ঘৃণা করো।’ 44 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, তোমাদের শত্রুদের ভালবাসো। যারা তোমাদের ওপর নির্যাতন করে তাদের জন্য প্রার্থনা করো, 45 যেন তোমরা স্বর্গের পিতার সন্তান হতে পার। তিনি তো ভাল মন্দ সকলের উপর সূর্য্যালোক দেন, ধার্মিক অধার্মিক সকলের উপর বৃষ্টি দেন। 46 আমি একথা বলছি, কারণ যারা তোমাদের ভালবাসে তোমরা যদি কেবল তাদেরই ভালবাস, তবে তোমরা কি পুরস্কার পাবে? কর আদায়কারীরাও কি তাই করে না? 47 তোমরা যদি কেবল তোমাদের ভাইদেরই শুভেচ্ছা জানাও, তবে অন্যদের থেকে আর বেশী কি করলে? বিধর্মীরাও তো এমন করে থাকে। 48 তাই তোমাদের স্বর্গের পিতা যেমন সিদ্ধ তোমরাও তেমন সিদ্ধ হও।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International