Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Book of Common Prayer

Daily Old and New Testament readings based on the Book of Common Prayer.
Duration: 861 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
গীতসংহিতা 80

সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: “চুক্তির লিলিফুল” গানটির পর্দায় গাওয়া আসফের একটি প্রশংসা গীত।

80 হে ইস্রায়েলের মেষপালক, আমার কথা শুনুন।
    আপনি যোষেফের লোকদের মেষের মত পরিচালিত করেছেন।
করূব দূতের ওপর আপনি রাজার মত বসেন।
    আপনাকে আমাদের দেখতে দিন।
হে ইস্রায়েলের মেষপালক ইফ্রয়িম, বিন্যামীন এবং মনঃশির প্রতি আপনার মহত্ব প্রদর্শন করুন।
    আপনি এসে আমাদের রক্ষা করুন।
ঈশ্বর, পুনর্বার আমাদের গ্রহণ করুন।
    আমাদের গ্রহণ করুন, আমাদের রক্ষা করুন!
প্রভু, হে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, কখন আপনি আমাদের প্রার্থনা শুনবেন?
    আপনি কি চিরদিনের মত আমাদের ওপর ক্রুদ্ধ হয়ে থাকবেন?
খাদ্য হিসেবে আপনার লোকদের আপনি চোখের জল দিয়েছেন।
    আপনার লোকদের আপনি তাদেরই চোখের জলে ভর্ত্তি গামলা দিয়েছেন।
    সেটাই ছিল তাদের পানীয় জল।
আমাদের শত্রুদের জন্য আপনি আমাদের ঝগড়ার কারণ হবার লক্ষ্য বানিয়েছেন
    এবং শত্রুরা আমাদের বিদ্রূপ করে।
হে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, পুনরায় আমাদের গ্রহণ করুন।
    আমাদের গ্রহণ করুন, আমাদের রক্ষা করুন।

অতীতে আপনি আমাদের প্রতি
    গুরুত্বপূর্ণ চারা গাছের মতই যত্ন নিয়েছিলেন।
মিশর থেকে আপনি আপনার দ্রাক্ষালতা এনেছিলেন।
    অন্যান্য লোকদের আপনি এদেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন এবং আপনার দ্রাক্ষালতা আপনি এখানে রোপণ করেছিলেন।
সেই দ্রাক্ষালতার জন্য আপনি জমি তৈরী করেছিলেন।
    এর শিকড়গুলোকে আপনি জমির গভীরে বাড়তে সাহায্য করেছিলেন, খুব তাড়াতাড়ি এই দ্রাক্ষালতা সারা দেশ ছেয়ে ফেলেছে।
10 এটি পর্বতকে ঢেকে দিয়েছে।
    এর পাতাগুলি বৃহৎ‌‌ এরস গাছকেও ছায়া দিয়েছে।
11     এই দ্রাক্ষালতা ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়বে।
    এর লতাপাতা ফরাৎ নদী পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।
12 ঈশ্বর, যে প্রাচীর আপনার দ্রাক্ষালতাকে রক্ষা করতো, কেন তাকে ভেঙে ফেললেন?
    এখন যে কোন ব্যক্তিই এর ধার দিয়ে যায়, সেই এর দ্রাক্ষা তুলে নিয়ে যায়।
13 বুনো শূকররা এসে আমাদের দ্রাক্ষাক্ষেতে ঘুরে বেড়ায়।
    বুনো জন্তুরা এসে এর পাতা খায়।
14 হে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আপনি আসুন।
    স্বর্গ থেকে আপনার দ্রাক্ষাক্ষেত দেখুন এবং তাকে রক্ষা করুন।
15 হে ঈশ্বর, নিজ হাতে যে দ্রাক্ষালতা আপনি লাগিয়েছিলেন, তার দিকে দেখুন।
    যে চারাগাছকে[a] আপনি বড় হতে দিয়েছেন তার দিকে দেখুন।
16 শুকনো গোবরের মত আপনার দ্রাক্ষালতা পুড়ে গিয়েছিলো।
    আপনি এর প্রতি ক্রুদ্ধ হয়ে একে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন।

17 হে ঈশ্বর, যে সন্তান আপনার ডানদিকে দাঁড়িয়ে ছিল তার দিকে হাত বাড়ান।
    যে সন্তানকে আপনি বড় করেছেন তার দিকে হাত বাড়ান।
18 সে আর আপনাকে ছেড়ে যাবে না।
    তাকে বাঁচতে দিন, সে আপনার নামের উপাসনা করবে।
19 হে প্রভু সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, আমাদের কাছে ফিরে আসুন।
    আমাদের গ্রহণ করুন। আমাদের রক্ষা করুন।

গীতসংহিতা 77

সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: যিদুথূনের প্রতি আসফের একটি গীত।

77 আমি ঈশ্বরের কাছে কেঁদে পড়েছিলাম এবং সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করেছি।
    হে ঈশ্বর, আমি উচ্চস্বরে আপনাকে ডেকেছি, আমার কথা শুনুন!
আমার প্রভু, যখনই আমি সমস্যায় পড়ি তখনই আমি আপনার কাছে আসি।
    সারা রাত আমি আপনার দিকে আমার দুবাহু বাড়িয়ে দিয়েছিলাম।
    আমার আত্মা আরাম পেতে অস্বীকার করেছিল।
আমি ঈশ্বর বিষয়ে চিন্তা করেছি এবং আমি যা অনুভব করেছি তা বলতে চেয়েছি।
    কিন্তু আমি পারি নি।
আপনি আমাকে ঘুমাতে দেন নি।
    আমি কিছু বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমি এত বিচলিত ছিলাম যে কথা বলতে পারছিলাম না।
আমি অতীতের কথা চিন্তা করছিলাম।
    বহু অতীতে যা ঘটে গেছে আমি সেই সব চিন্তা করেছিলাম।
রাত্রে আমি আমার গানগুলো সম্পর্কে ভাবি।
    আমি নিজের সঙ্গে কথা বলি এবং বুঝতে চেষ্টা করি।
আমি বিস্মিত হই, “আমাদের প্রভু কি চিরদিনের মত আমাদের ত্যাগ করে চলে গেলেন?
    আবার কি তিনি আমাদের চাইবেন?
ঈশ্বরের প্রেম কি চিরদিনের জন্য চলে গেল?
    আবার কি তিনি আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন?
ঈশ্বর কি কৃপা দেখাতে ভুলে গেলেন?
    তাঁর সহানুভূতি কি ক্রোধে রূপান্তরিত হয়েছে?”

10 তারপর আমি ভাবলাম, “যে বিষয়টা আমায় সব থেকে বেশী বিব্রত করলো তা হল:
    পরাৎ‌‌পর কি তাঁর ক্ষমতা হারিয়েছেন?”

11 প্রভু কি করেছেন তা আমার স্মরণে আছে।
    হে ঈশ্বর, অতীতে যে সব আশ্চর্য কার্য আপনি করেছিলেন, তা আমার স্মরণে আছে।
12 আপনি যা করেছেন, তা নিয়ে আমি ভেবেছি,
    সে সম্পর্কে আমি চিন্তা করেছি।
13 ঈশ্বর, আপনার পথই পবিত্র পথ।
    ঈশ্বর কেউই আপনার মত মহৎ‌‌ নয়।
14 আপনিই সেই ঈশ্বর, যিনি আশ্চর্য কার্য করেছেন।
    আপনি লোকদের আপনার পরাক্রমের পরিচয় দিয়েছেন।
15 আপনার ক্ষমতাবলে আপনি আপনার লোকদের রক্ষা করেছেন।
    যাকোব এবং যোষেফের উত্তরপুরুষদের আপনি রক্ষা করেছেন।

16 ঈশ্বর, আপনাকে দেখে জলও ভীত হয়েছিলো।
    গভীর জলরাশি আপনাকে দেখে ভয়ে কেঁপে গিয়েছিলো।
17 ঘন মেঘে জল সিঞ্চন করেছিলো।
    লোকে উঁচু মেঘে দারুণ বজ্র নির্ঘোষ শুনেছিলো।
    তারপর আপনার বিদ্যুতের তীর সারা মেঘে ঝলক দিয়ে উঠেছিলো।
18 গুরু গুরু গর্জনের বজ্রধ্বনিতে আকাশ ভরে উঠেছিলো।
    বিদ্যুৎ ঝলকে সারা পৃথিবী আলোকিত হয়ে উঠেছিলো।
    পৃথিবী শিহরিত ও কম্পিত হয়েছিলো।
19 ঈশ্বর, গভীর জলের মধ্যে দিয়ে আপনি হেঁটে গেলেন, গভীর সমুদ্রের মধ্যে দিয়ে হেঁটে গেলেন।
    কিন্তু সেখানে আপনি কোন চরণচিহ্ন রেখে যান নি।
20 মোশি এবং হারোণের মধ্যে দিয়ে
    আপনি আপনার লোকদের মেষের মত পরিচালিত করেছেন।

গীতসংহিতা 79

আসফের প্রশংসা গীতের অন্যতম।

79 হে ঈশ্বর, অন্য জাতিসমূহের কিছু লোক আপনার লোকদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এসেছিলো।
    ওই সব লোক আপনার পবিত্র মন্দির ধ্বংস করেছে।
    ওরা জেরুশালেমকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।
হিংস্র পাখীদের খাওয়ানোর জন্য ওরা আপনার সেবকদের দেহ ফেলে রেখে গেছে।
    বুনো পশুদের খাওয়ানোর জন্য ওরা আপনার অনুগামীদের দেহ ফেলে রেখে গেছে।
হে ঈশ্বর, যতক্ষণ না জলের মত রক্ত বয়েছে, ততক্ষণ পর্যন্ত ওরা আপনার লোকদের হত্যা করেছে,
    মৃতদেহগুলোকে কবর দেওয়ার মত একজনও অবশিষ্ট নেই।
আমাদের চারপাশের দেশগুলো আমাদের অপমান করেছে।
    আমাদের চারপাশের লোকেরা আমাদের নিয়ে উপহাস করেছে এবং আমাদের নিয়ে মজা করেছে।
ঈশ্বর, চিরদিনই কি আপনি আমাদের প্রতি ক্রুদ্ধ থাকবেন?
    আপনার তীব্র আবেগ কি আগুনের মতই জ্বলতে থাকবে?
হে ঈশ্বর, যে সব জাতি আপনাকে জানে না তাদের ওপর আপনার ক্রোধ দেখান।
    সেই সব রাজ্য যারা আপনার নামের উপাসনা করে না, তাদের ওপর আপনার ক্রোধ উজাড় করে দিন।
ওইসব জাতি যাকোবকে বিনষ্ট করেছে।
    ওরা যাকোবের দেশকে ধ্বংস করেছে।
ঈশ্বর, আমাদের পূর্বপুরুষের পাপের জন্য আমাদের শাস্তি দেবেন না।
    শীঘ্রই আপনার করুণা প্রদর্শন করুন!
    আমাদের ভীষণভাবে আপনাকে প্রয়োজন!
হে আমাদের পরিত্রাতা ঈশ্বর, আমাদের সাহায্য করুন! সাহায্য করুন! পরিত্রাণ করুন!
    তা আপনার নামের মহিমা এনে দেবে।
আপনার নামের ধার্ম্মিকতার জন্য
    আমাদের পাপ মুছে দিন।
10 আমাদের উদ্দেশ্যে, অন্য জাতিকে এই কথা বলতে দেবেন না,
    “কোথায় তোমাদের ঈশ্বর? তিনি কি তোমাদের সাহায্য করতে পারেন না?”
ঈশ্বর, ঐ লোকদের শাস্তি দিন এবং সেই শাস্তি যেন আমরা দেখতে পাই।
    আপনার সেবকদের হত্যা করার জন্য ওদের শাস্তি দিন।
11 দয়া করে বন্দীদের আর্তনাদ শুনুন!
    ঈশ্বর, যাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, আপনার মহৎ‌‌ শক্তি ব্যবহার করে তাদের রক্ষা করুন।
12 হে ঈশ্বর, আমাদের চারপাশের লোকরা আমাদের সঙ্গে যে ব্যবহার করেছে, তার জন্য ওদের আপনি সাত গুণ বেশী শাস্তি দিন।
    আপনাকে অপমান করার জন্য ওদের শাস্তি দিন।
13 আমরা আপনারই লোক। আমরাই আপনার পালের মেষ।
    আমরা চিরদিন আপনার প্রশংসা করবো।
    ঈশ্বর, আদি অনন্তকাল ধরে আমরা আপনার প্রশংসা করবো!

2 রাজাবলি 5:1-19

নামানের সমস্যা

অরামের রাজার সেনাপতি ছিল নামান। রাজার কাছে নামান ছিল একজন মহান এবং খুব শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি, কারণ প্রভু সব সময় তাঁর মাধ্যমে অরামকে বিজয়ের পথে নিয়ে যেতেন। নামান খুবই শক্তিশালী ও মহান হলেও তিনি কুষ্ঠ রোগাক্রান্ত ছিলেন।

অরামীয়রা বহুবার ইস্রায়েলে যুদ্ধ করতে সেনাবাহিনী পাঠিয়েছিল। এইসব সেনারা এখানকার লোকদের ক্রীতদাস করেও নিয়ে গিয়েছে। একবার তারা ইস্রায়েল থেকে একটা বাচ্চা মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। কালক্রমে এই ছোট মেয়েটি নামানের স্ত্রীর এক দাসীতে পরিণত হয়। মেয়েটি নামানের স্ত্রীকে বলল, “মনিব শমরিয়ায় বাসকারী ভাববাদীর সঙ্গে দেখা করলে তিনি নিশ্চয়ই তাঁর কুষ্ঠরোগ সারিয়ে দিতেন।”

নামান তাঁর মনিবকে (অরামের রাজাকে) গিয়ে ইস্রায়েলীয় মেয়েটা কি বলেছে তা বললেন।

তখন অরামের রাজা বললেন, “ঠিক আছে, তুমি এখনই যাও। আমি ইস্রায়েলের রাজাকে একটা চিঠি দিচ্ছি।”

নামান তখন 750 পাউণ্ড রূপো, 6000 টুকরো সোনা আর দশ প্রস্থ পোশাক উপহার স্বরূপ নিলেন এবং ইস্রায়েলে গেলেন। নামানের সঙ্গে ইস্রায়েলের রাজাকে লেখা অরামের রাজার চিঠিও ছিল যাতে লেখা ছিল, “আমি আমার সেবক নামানকে কুষ্ঠরোগ সারানোর জন্য আপনার কাছে পাঠালাম।”

চিঠিটা পড়ে ইস্রায়েলের রাজা মনোকষ্টে তাঁর পোশাক ছিঁড়ে ফেলে বললেন, “আমি তো আর ঈশ্বর নই! জীবন-মৃত্যুর ওপর আমার যখন কোন হাত নেই, তখন কেন অরামের রাজা কুষ্ঠরোগাক্রান্ত একজনকে আমার কাছে সারিয়ে তোলার জন্য পাঠালেন? এটা খুবই স্পষ্ট যে তিনি একটি যুদ্ধ বাধাবার পরিকল্পনা করছেন!”

ঈশ্বরের লোক ইলীশায় খবর পেলেন শোকার্ত ইস্রায়েলের রাজা তাঁর পোশাক ছিঁড়ে ফেলেছেন। তখন তিনি রাজাকে খবর পাঠালেন: “তুমি কেন পোশাক ছিঁড়ে কষ্ট পাচ্ছ? নামানকে আমার কাছে আসতে দাও, তাহলে ও বুঝবে ইস্রায়েলে সত্যি সত্যিই একজন ভাববাদী বাস করে!”

নামান তখন তাঁর রথ ও ঘোড়া নিয়ে ইলীশায়ের বাড়ির বাইরে এসে দাঁড়ালেন। 10 ইলীশায় একজনকে দিয়ে খবর পাঠালেন, “যাও যর্দন নদীতে গিয়ে সাত বার স্নান করো, তাহলেই তোমার চামড়া ঠিক হয়ে যাবে আর তুমিও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে উঠবে।”

11 নামান খুবই ক্রুদ্ধ হয়ে চলে গেলেন। তিনি বললেন, “আমি ভেবেছিলাম একবার অন্তত ইলীশায় বাইরে এসে তাঁর প্রভু ঈশ্বরের নাম নিয়ে আমার গায়ের ওপর হাত নেড়ে আমার কুষ্ঠরোগ সারিয়ে তুলবেন! 12 দম্মেশকের অবানা আর পর্পর নদীর জল ইস্রায়েলের যে কোন জলের থেকেই ভালো! ওই সব নদীতে গা ধুলে কেন হবে না?” নামান প্রচণ্ড রেগে গিয়ে ফিরে যাবেন বলে ঠিক করলেন।

13 কিন্তু নামানের ভৃত্যরা তাঁকে গিয়ে বললো, “মনিব, ভাববাদী যদি আপনাকে খুব শক্ত কিছু বলতেন, আপনি নিশ্চয়ই তা শুনতেন, তাই না? উনি যখন আপনাকে খুব সহজ একটা কাজ বলেছেন, সেটা অবশ্যই করা উচিৎ‌। উনি তো বলেই ছিলেন, ‘ধুলেই তুমি শুচি হয়ে যাবে।’”

14 নামান তখন ইলীশায়ের কথামতো, যর্দন নদীর জলে সাতবার ডুব দিলেন এবং নামানের দেহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও নিরাময় হয়ে উঠল। একেবারে শিশুদের ত্বকের মতোই নরম হয়ে গেল!

15 নামান আর তাঁর দলের সবাই তখন ইলীশায়ের কাছে ফিরে এলেন। ইলীশায়ের সামনে দাঁড়িয়ে নামান বললেন, “এতদিনে আমি বুঝলাম ইস্রায়েল ছাড়া পৃথিবীতে আর কোথাও কোন ঈশ্বর নেই! এখন আপনি অনুগ্রহ করে আমার কাছ থেকে একটা উপহার গ্রহণ করুন!”

16 কিন্তু ইলীশায় বললেন, “আমি প্রভুর সেবা করি এবং আমার প্রতিজ্ঞা, যতদিন প্রভু আছেন আমি কোন উপহার নিতে পারব না।”

নামান উপহার নেবার জন্য ইলীশায়কে অনেক অনুনয় বিনয় করেও টলাতে পারলেন না। 17 তখন নামান বললেন, “আপনি যখন নিতান্তই কোন উপহার নেবেন না, অন্তত আমাকে ইস্রায়েল থেকে দু-টুকরি এখানকার ধূলো আমার দুটো খচ্চরের পিঠে চাপিয়ে নিয়ে যেতে অনুমতি দিন। কারণ এরপর থেকে আমি আর কোন মূর্ত্তিকেই হোমবলি বা কোন নৈবেদ্য দেব না। আমি শুধুমাত্র প্রভুকেই বলিদান করব। 18 আর আমি আগে থাকতেই ক্ষমা চেয়ে প্রভুর কাছে প্রার্থনা করে নিচ্ছি: ভবিষ্যতে আমার মনিব অরামরাজ যখন রিম্মোণের মন্দিরের মূর্ত্তিকে পূজো দিতে যাবেন, তাঁর ওপর ভর নামবে বলে আমায় সেখানে মাথা নীচু করতেই হবে। কিন্তু প্রভু যেন সেজন্য আমাকে ক্ষমা করেন।”

19 ইলীশায় তখন নামানকে আশীর্বাদ করে বললেন, “যাও সুখে শান্তিতে থাকো।”

নামান যখন ইলীশায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে কিছু দূর গিয়েছেন,

1 করিন্থীয় 4:8-21

তোমরা মনে করছ, তোমাদের যা কিছু প্রয়োজন তোমরা এখনই সে সব পেয়ে গিয়েছ। তোমরা মনে কর তোমরা এখন ধনী হয়ে গিয়েছ; আর আমাদের ছাড়াই তোমরা রাজা হয়ে গিয়েছ। অবশ্য সত্যি সত্যিই তোমরা রাজা হয়ে গেলে ভালোই হত! তাহলে আমরাও তোমাদের সঙ্গে রাজা হতে পারতাম। হত্যা করা হবে বলে যাদের মিছিলের শেষে প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয়, আমার মনে হয় ঈশ্বর আমাদের অর্থাৎ প্রেরিতদের ঠিক তেমনি সকলের শেষে রেখেছেন। আমরা সারা জগতের কাছে অর্থাৎ স্বর্গদূতদের ও মানুষের কাছে যেন দেখার সামগ্রী হয়েছি। 10 আমরা খ্রীষ্টের জন্য মূর্খ হয়েছি, আর তোমরা খ্রীষ্টেতে বুদ্ধিমান হয়েছ। আমরা দুর্বল, কিন্তু তোমরা বলবান। তোমরা সম্মান লাভ করেছ, কিন্তু আমরা অসম্মানিত। 11 এই মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় কষ্ট পাচ্ছি। আমাদের পরণে জীর্ণ বস্ত্র, আমাদের চপেটাঘাত করা হচ্ছে, আমাদের বাসস্থান বলতে কোন কিছু নেই। 12 জীবিকার জন্য আমরা নিজের হাতে কঠিন পরিশ্রম করছি। লোকে আমাদের নিন্দা করলে আমরা তাদের আশীর্বাদ করি, যখন নির্যাতন করে তখন আমরা তা সহ্য করি। 13 কেউ অপবাদ দিলে তার সঙ্গে ভাল কথা বলি। আজ পর্যন্ত আমরা যেন জগতের আবর্জনা ও দুনিয়ার জঞ্জাল হয়ে রয়েছি।

14 তোমাদের লজ্জা দেবার জন্য আমি এসব কথা লিখছি না বরং আমার প্রিয় সন্তান হিসাবে সাবধান করার জন্যই লিখছি। 15 কারণ তোমাদের খ্রীষ্টে দশ হাজার গুরু থাকতে পারে, কিন্তু তোমাদের পিতা অনেক নেই। আমি খ্রীষ্ট যীশুতে সুসমাচার প্রচারের মাধ্যমে তোমাদের আত্মিক পিতা হয়েছি। 16 তাই আমি তোমাদের মিনতি করছি, তোমরা আমার অনুগামী হও। 17 এই জন্যই আমি প্রভুতে আমার প্রিয় ও বিশ্বস্ত সন্তান হিসাবে তীমথিয়কে তোমাদের কাছে পাঠিয়েছি। খ্রীষ্ট যীশুতে আমি যে সব পথে চলি তা সে তোমাদের মনে করিয়ে দেবে। প্রত্যেক জায়গায় প্রত্যেক মণ্ডলীতে আমি সেই পথের বিষয় শিক্ষা দিয়েছি।

18 তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ এই মনে করে খুব গর্ব করে বেড়াচ্ছে যে আমি তোমাদের কাছে আসছি না। 19 যাই হোক্ যদি প্রভুর ইচ্ছা হয় তবে খুব শীঘ্রই আমি তোমাদের কাছে আসব এবং এই দাম্ভিক লোকদের কথা শুনতে নয়, তাদের ক্ষমতা কি তা জানব। 20 কারণ ঈশ্বরের রাজ্য কেবল কথার ব্যাপার নয়, তা পরাক্রমেরও। 21 তোমরা কি চাও? তোমরা কি চাও যে শাস্তি দিতে আমি তোমাদের কাছে বেত নিয়ে আসি, অথবা ভালবাসা ও শান্ত মনোভাবে আসি?

মথি 5:21-26

ক্রোধ সম্পর্কে যীশুর শিক্ষা

21 “তোমরা শুনেছ, আমাদের পিতৃপুরুষদের কাছে বলা হয়েছিল, ‘নরহত্যা করো না;(A) আর কেউ নরহত্যা করলে তাকে বিচারালয়ে তার জবাবদিহি করতে হবে।’ 22 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, যদি কেউ কোনো লোকের প্রতি ক্রুদ্ধ হয় বিচারে তাকে তার জবাবদিহি করতে হবে। আর কেউ যদি কোন লোককে বলে, ‘ওরে মূর্খ’ (অর্থাৎ নির্বোধ) তবে তাকে ইহুদী মহাসভার সামনে তার জবাব দিতে হবে। কেউ যদি কাউকে বলে ‘তুমি পাষণ্ড,’ তবে তাকে নরকের আগুনেই তার জবাব দিতে হবে।

23 “মন্দিরে যজ্ঞবেদীর সামনে নৈবেদ্য উৎসর্গ করার সময় যদি তোমার মনে পড়ে যে তোমার বিরুদ্ধে তোমার ভাইয়ের কোন অভিযোগ আছে, 24 তবে সেই নৈবেদ্য যজ্ঞবেদীর সামনে রেখে চলে যাও, প্রথমে গিয়ে তার সঙ্গে সে বিষয়ে মিটমাট করে নাও, পরে এসে তোমার নৈবেদ্য উৎসর্গ কোরো।

25 “তোমার শত্রু যদি তোমার বিরুদ্ধে মামলা করতে চায় তবে আদালতে নিয়ে যাবার সময় পথেই তার সঙ্গে তাড়াতাড়ি মিটমাট করে ফেল; তা না হলে সে তোমাকে বিচারকের হাতে তুলে দেবে, বিচারক তোমাকে রক্ষীর হাতে দেবে আর রক্ষীরা তোমাকে কারাগারে পাঠাবে। 26 আমি তোমায় সত্যি বলছি, সেখান থেকে তুমি ছাড়া পাবে না, যতক্ষণ না তোমার দেনার শেষ পয়সাটা চুকিয়ে দাও।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International