Book of Common Prayer
সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: লোকেদের স্মরণ করিয়ে দেবার মানসে দায়ূদের একটি গীত।
70 ঈশ্বর আমায় রক্ষা করুন!
ঈশ্বর শীঘ্র আমায় সাহায্য করুন!
2 লোকে আমায় হত্যা করার চেষ্টা করছে।
ওদের নিরাশ করুন!
ওদের লজ্জিত বোধ করান!
যে সব লোক আমার খারাপ করতে চায়
তাদের যেন পতন হয় ও তারা যেন লজ্জা পায়।
3 লোকে আমায় নিয়ে হাসাহাসি করে।
আশা করি ওদের যা প্রাপ্য ওরা তাই পাবে এবং লজ্জাবোধ করবে।
4 আমি কামনা করি যারা আপনার উপাসনা করে তারা যেন সত্যিকারের সুখী হয়।
যারা আপনার সাহায্য চায় তারা যেন সর্বদাই আপনার প্রশংসা করে।
5 ঈশ্বর আমি দীন অসহায় মানুষ।
ঈশ্বর তাড়াতাড়ি করুন!
আপনি আসুন, আমায় রক্ষা করুন! ঈশ্বর একমাত্র আপনিই আমায় উদ্ধার করতে পারেন।
আর দেরী করবেন না!
71 হে প্রভু, আমি আপনাতে বিশ্বাস রাখি,
তাই আমি কখনও হতাশ হব না।
2 আপনার ধার্ম্মিকতা দিয়ে আপনি আমায় রক্ষা করবেন।
আপনিই আমায় উদ্ধার করবেন। আমার কথা শুনুন, আমায় রক্ষা করুন।
3 আপনি আমার দুর্গ হোন,
সেই গৃহ হোন যেখানে আমি নিরাপত্তার জন্য ছুটে যেতে পারি।
আপনিই আমার শিলা এবং আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
তাই আমাকে রক্ষার আজ্ঞা দিন।
4 হে আমার ঈশ্বর, আমায় দুষ্ট লোকের হাত থেকে রক্ষা করুন।
নৃশংস ও মন্দ লোকেদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
5 আমার জন্মের সময় থেকে আমি আপনার যত্নে ছিলাম।
আমার জন্মের সময় থেকে আপনি আমার সঙ্গে ছিলেন।
6 এমনকি আমার জন্মের আগে থেকেই আমি আপনার ওপর নির্ভর করেছি।
আমি যখন মাতৃগর্ভে ছিলাম তখনও আমি আপনার ওপর আস্থা রেখেছি।
সর্বদাই আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করেছি।
7 আপনিই আমার শক্তির উৎস।
তাই অন্য লোকদের কাছে আমি দৃষ্টান্তস্বরূপ ছিলাম।
8 যে সব বিস্ময়কর জিনিস আপনি করেন তার সম্বন্ধে সর্বদাই আমি গান গাই।
9 আমি বৃদ্ধ হয়েছি বলে আমায় ছুঁড়ে ফেলে দেবেন না।
হত-শক্তি হয়েছি বলে আমায় ত্যাগ করবেন না।
10 শত্রুরা আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে।
ওরা একসঙ্গে মিলিত হয়েছিলো, এবং আমাকে হত্যা করার চক্রান্ত করেছিলো।
11 আমার শত্রুরা বলছে, “যাও ওকে তুলে নিয়ে এসো!
ঈশ্বর ওকে ত্যাগ করেছেন। আর কেউ ওকে সাহায্য করবে না।”
12 ঈশ্বর, আমায় পরিত্যাগ করবেন না!
ঈশ্বর তাড়াতাড়ি এসে আমায় রক্ষা করুন!
13 আমার শত্রুদের পরাজিত করুন!
ওদের সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিন!
যারা আমার ক্ষতি করতে চাইছে,
তারা যেন লজ্জিত ও অপমানিত হয়।
14 তাহলে আমি সব সময়ই আপনার ওপর নির্ভর করবো
এবং আমি আরো বেশী করে আপনার প্রশংসা করবো।
15 আপনি যে কত ভালো, তা আমি লোকদের বলবো।
আমি লোকদের বলবো কিভাবে আপনি আমায় প্রতিবার রক্ষা করেছিলেন।
তা এত বার ঘটেছে যে গুনে শেষ করা যায় না।
16 আমি আপনার মহত্বের কথা বলবো, প্রভু আমার সদাপ্রভু।
আমি সেই সব ধার্ম্মিকতার কথা বলব, যা শুধুমাত্র আপনি করতে পারেন।
17 ঈশ্বর, আমি যখন একটি ছোট্ট বালক ছিলাম তখন থেকে আপনি আমায় শিক্ষা দিয়েছেন।
তখন থেকে আজ পর্যন্ত আপনি যে সব আশ্চর্য কার্য করেছেন তা আমি মানুষকে বলেছি!
18 এখন আমি বৃদ্ধ হয়েছি, আমার চুল পেকে গেছে।
কিন্তু হে ঈশ্বর, আমি জানি, আপনি আমায় ত্যাগ করবেন না।
প্রত্যেকটি নতুন প্রজন্মকে আমি আপনার ক্ষমতা ও মহত্বের কথা বলবো।
19 ঈশ্বর, আপনার ধার্ম্মিকতা আকাশের সীমা অতিক্রম করে যায়।
ঈশ্বর, কোন দেবতাই আপনার মত নয়।
আপনি বিস্ময়কর সব কাজ করেছেন।
20 আপনি আমাকে সমস্যা এবং দুঃসময় প্রত্যক্ষ করিয়েছেন।
কিন্তু তাদের সবকিছু থেকে রক্ষা করে আপনি আমায় বাঁচিয়ে রেখেছেন।
কত গভীরে আমি ডুবে গিয়েছিলাম সেটা কথা নয়, কিন্তু আপনি আমায় সমস্যা থেকে টেনে তুলেছেন।
21 অতীতে যা করেছি তার থেকেও মহৎ কাজসমূহ করতে আমায় সাহায্য করুন।
আমাকে আরাম দিতে থাকুন।
22 আমি বীণা বাজিয়ে আপনার প্রশংসা করবো।
হে ঈশ্বর আমি গাইবো ও বলবো যে, আপনার ওপর নির্ভর করা যেতে পারে।
ইস্রায়েলের পবিত্র এক এর জন্য বীণা বাজিয়ে আমি গান গাইবো।
23 আপনি আমার আত্মাকে রক্ষা করেছেন।
আমার আত্মা সুখী হবে। নিজের মুখে আমি আপনার প্রশংসা গান করবো।
24 আমার জিভ সর্বদাই আপনার ধর্মশীলতার গান গাইবে
এবং যারা আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিলো তারা পরাজিত ও অসম্মানিত হবে।
আসফের একটি মস্কীল।
74 ঈশ্বর আপনি কি চিরকালের জন্য আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন?
আপনি কি এখনও আপনার লোকদের ওপর ক্রুদ্ধ আছেন?
2 অতীতে আপনি যে সব লোকদের এনেছিলেন তাদের কথা স্মরণ করুন।
আপনি আমাদের রক্ষা করেছেন, তাই আমরা সবাই আপনার।
সিয়োন পর্বতের কথা স্মরণ করুন, যেখানে আপনি বাস করতেন।
3 ঈশ্বর, সেই সব প্রাচীন ধ্বংসাবশেষের ওপর দিয়ে আপনি হেঁটে আসুন।
যে পবিত্র স্থানকে শত্রুরা ধ্বংস করে দিয়েছে সেখানে ফিরে আসুন।
4 মন্দিরেই তারা যুদ্ধের উন্মত্ত গর্জন শুরু করেছিলো।
যুদ্ধে তারা জয়ী হয়েছে এটা বোঝানোর জন্য ওরা মন্দিরে পতাকা উড়িয়েছিল।
5 যারা নিড়ানি দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করে
শত্রু সৈন্যরা সেই সব লোকের মত নির্মম।
6 হে ঈশ্বর, কুঠার ও কুড়ুল ব্যবহার করে
ওরা আপনার মন্দিরের খোদাই করা কাঠের কক্ষগুলি ভেঙে চুরমার করেছে।
7 ঐ সৈন্যরা আপনার পবিত্রস্থান পুড়িয়ে দিয়েছে।
আপনার নামের সম্মানে সেই মন্দির তৈরী হয়েছিলো
কিন্তু ওরা তা মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে।
8 শত্রুরা আমাদের সম্পূর্ণভাবে গুঁড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
দেশের প্রত্যেকটা পবিত্রস্থান ওরা পুড়িয়ে দিয়েছে।
9 আমরা আমাদের কোন চিহ্নসমূহ দেখতে পাচ্ছি না।
আর কোন ভাববাদী নেই।
কেউই জানে না এখন কি করতে হবে।
10 ঈশ্বর আর কতদিন শত্রুরা আমাদের নিয়ে উপহাস করবে?
আপনি কি চিরদিন ওদের আপনার নামের অবমাননা করতে দেবেন?
11 ঈশ্বর, কেন আপনি আমাদের এত কঠিন শাস্তি দিলেন?
আপনার বিপুল শক্তি ব্যবহার করে আপনি আমাদের সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিলেন!
12 ঈশ্বর দীর্ঘদিন ধরে আপনি আমাদের রাজা ছিলেন।
এই দেশে যে কোন যুদ্ধ জয় করতে আপনি আমাদের সাহায্য করেছেন।
13 ঈশ্বর লোহিত সাগরকে দুভাগে ভাগ করতে
আপনি আপনার পরাক্রম প্রয়োগ করেছিলেন।
14 বড় বড় সমুদ্র দানবদের আপনি পরাজিত করেছেন!
আপনিই লিবিয়াথনের মাথা গুঁড়িয়ে দিয়েছেন এবং তার দেহ পশুদের খাওয়ার জন্য ফেলে এসেছেন।
15 নদী এবং ঝর্ণায আপনিই প্রবাহ দিয়েছেন।
আপনিই নদীকে শুষ্ক করে দিয়েছেন।
16 হে ঈশ্বর, আপনিই দিন এবং রাত্রি নিয়ন্ত্রণ করেন।
আপনিই চাঁদ এবং সূর্য সৃষ্টি করেছেন।
17 আপনিই পৃথিবীর সব কিছুর সীমা নির্ধারণ করেছেন।
আপনিই শীত, গ্রীষ্ম সৃষ্টি করেছেন।
18 প্রভু মনে রাখবেন কেমন করে শত্রুরা আপনাকে অপমান করেছিলো!
ঐ লোকগুলো আপনাকে অপমান করেছিল।
ঐসব মূর্খ লোক আপনার নামকে ঘৃণা ও নিন্দে করেছে!
19 ঐসব বন্য পশুদের আপনার পারাবত নিয়ে যেতে দেবেন না!
আপনার দীন দরিদ্র মানুষদের চিরদিনের জন্য ভুলে যাবেন না।
20 আমাদের চুক্তির কথা স্মরণ করুন!
এই দেশের প্রত্যেকটি অন্ধকার স্থানে রয়েছে হিংসাত্মক ঘটনা।
21 ঈশ্বর, আপনার লোকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে।
ওদের আর আহত হতে দেবেন না।
আপনার দীন দুঃখী লোকরা আপনার প্রশংসা করে।
22 ঈশ্বর, উঠুন এবং যুদ্ধ করুন!
প্রতিদিন যে অবমাননা ঐসব নির্বোধদের কাছ থেকে আপনাকে পেতে হয়েছে তা মনে রাখবেন।
23 আপনার শত্রুদের উন্মত্ত চিৎকারের কথা মনে রাখবেন।
বার বার ওরা আপনাকে অপমান করেছে!
রামোৎ গিলিয়তে যুদ্ধ
29 তারপরে রাজা আহাব ও রাজা যিহোশাফট রামোতে অরামের রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গেলেন। 30 তারপর রাজা আহাব, রাজা যিহোশাফটকে বললেন, “আমরা যুদ্ধের জন্য তৈরী হব। আমি এমন পোশাক পরবো যাতে বোঝা না যায় যে আমি রাজা। কিন্তু আপনি আপনার রাজকীয় পোশাক পরুন, যাতে বোঝা যায় আপনি রাজা।” তারপর ইস্রায়েলের রাজা সাধারণ পোশাকে তিনি রাজা নন এভাবে যুদ্ধ শুরু করলেন।
31 অরামের রাজার রথবাহিনীতে 32 জন সেনাপতি ছিল। রাজা এই 32 জন সেনাপতিদের ইস্রায়েলের রাজাকে খুঁজে বার করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি তাদের রাজাকে হত্যা করতে বললেন। 32 যুদ্ধের সময় এইসব সেনাপতিরা রাজা যিহোশাফটকে দেখে ভাবলেন তিনিই বুঝি ইস্রায়েলের রাজা। তারা তখন যিহোশাফটকে হত্যা করতে গেলে তিনি চেঁচাতে শুরু করলেন। 33 সেনাপতিরা দেখল তিনি রাজা আহাব নন, তাই তাঁরা তাঁকে হত্যা করল না।
34 কিন্তু একজন সেনা কোনো কিছু লক্ষ্য না করেই বাতাসে একটা তীর ছুঁড়লো, সেই তীর গিয়ে ইস্রায়েলের রাজা আহাবের গায়ে লাগল। তীরটা একটা ছোট্ট জায়গায় বর্মের না ঢাকা অংশে গিয়ে লেগেছিল। রাজা আহাব তখন তাঁর রথের সারথীকে বললেন, “আমার গায়ে তীর লেগেছে। যুদ্ধক্ষেত্র থেকে রথ বাইরে নিয়ে চল।”
35 এদিকে দুই সেনাবাহিনী যুদ্ধ করে যেতে লাগল। রাজা আহাব তাঁর রথে কাত হয়ে পড়ে অরামের সেনাবাহিনীর দিকে দেখছিলেন। তাঁর রক্ত গড়িয়ে পড়ে রথের তলা ভিজে গিয়েছিল। বিকেলের দিকে তিনি মারা গেলেন। 36 সূর্যাস্তের সময় ইস্রায়েলের সেনাবাহিনীর সবাইকে তাদের নিজেদের শহরে ফিরে যেতে বলা হল।
37 এইভাবে রাজা আহাবের মৃত্যু হল। কিছু লোক তাঁর দেহ শমরিয়ায় নিয়ে গেলেন, তাঁকে সেখানে কবর দেওয়া হল। 38 লোকরা শমরিয়ায় একটা ডোবায় রথ থেকে আহাবের রক্ত ধুয়ে পরিষ্কার করল। গণিকারা সেই জলে স্নান করল। কুকুররাও রথ থেকে আহাবের রক্ত চেটে চেটে খেল। প্রভু যে রকম বলেছিলেন সমস্ত ঘটনা ঠিক সেভাবেই ঘটল।
39 আহাব তাঁর শাসনকালে যা কিছু করেছিলেন সে সবই ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে। এই গ্রন্থে আহাব কিভাবে হাতির দাঁত দিয়ে তাঁর রাজপ্রাসাদ সাজিয়ে ছিলেন সে কথা ছাড়াও আহাবের বানানো শহরগুলির সম্পর্কেও লেখা আছে। 40 আহাবের মৃত্যুর পর তাঁকে তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে সমাধিস্থ করা হল। তাঁর পুত্র অহসিয় তাঁর পরে রাজা হলেন।
যিহূদার রাজা যিহোশাফট
41 আহাবের ইস্রায়েলে রাজত্বের চতুর্থ বছরে যিহোশাফট যিহূদার রাজা হয়েছিলেন। যিহোশাফট ছিলেন আসার পুত্র। 42 পঁয়ত্রিশ বছর পরে যিহূদার রাজা হবার পর তিনি জেরুশালেমে 25 বছর রাজত্ব করেছিলেন। যিহোশাফটের মা ছিলেন শিল্হির কন্যা অসূবা। 43 যিহোশাফট তাঁর পিতার মতো সৎ পথে থেকে প্রভুর সমস্ত নির্দেশ মেনে চলেছিলেন। তবে তিনি বিধর্মী মূর্ত্তিগুলির উচ্চস্থানগুলো ভাঙ্গেন নি। লোকরা সে সব জায়গায় পশু বলি ছাড়াও ধূপধূনো দিত।
44 যিহোশাফট ইস্রায়েলের রাজার সঙ্গে শান্তি চুক্তি করেছিলেন। 45 যিহোশাফট খুবই সাহসী ছিলেন এবং অনেক যুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। তিনি যা যা করেছিলেন, যিহূদার রাজাদের ইতিহাস গ্রন্থে তা লিপিবদ্ধ আছে।
14 যার মধ্যে ঈশ্বরের আত্মা নেই সে আত্মা থেকে যে বিষয়গুলি আসে তা গ্রহণ করতে পারে না, কারণ তার কাছে সে সব মূর্খতা। যে ব্যক্তির মধ্যে পবিত্র আত্মা নেই সে আত্মিক কথা বুঝতে পারে না, কারণ সেই বিষয়গুলি কেবল, আত্মিকভাবেই বিচার করা যায়। 15 কিন্তু আত্মিক ব্যক্তি সকল বিষয়ে বিচার করতে পারে। অন্য কেউ তার সম্বন্ধে বিচার করতে পারে না। কারণ শাস্ত্র বলছে:
16 “কে প্রভুর মন জেনেছে,
যে তাঁকে নির্দেশ দিতে পারে?”(A)
কিন্তু খ্রীষ্টের মন আমাদের আছে।
মানুষকে অনুসরণ করা ভুল
3 আমার ভাই ও বোনেরা, আমি তোমাদের সঙ্গে আত্মিক লোকদের মতো কথা বলতে পারি নি। খ্রীষ্টীয় জীবনে তোমরা শিশু বলে তোমাদের কাছে জাগতিক ভাবাপন্ন লোকদের মতো কথা বলছি। 2 আমি তোমাদের শক্ত কোন খাদ্য না দিয়ে তোমাদের দুধ পান করিয়েছি, কারণ তখনও তোমরা শক্ত খাদ্য গ্রহণ করতে প্রস্তুত ছিলে না; এমন কি তোমরা এখনও প্রস্তুত হও নি। 3 তোমরা এখনও আত্মিক লোক হয়ে ওঠো নি। তোমরা আজও জাগতিক ভাবাপন্ন, কারণ তোমাদের মধ্যে ঈর্ষা ও বিবাদ রয়েছে, আর তাতেই জানা যায় যে তোমরা আত্মিক লোক নও; তোমরা জাগতিক লোকদের মতোই চলছ। 4 কারণ তোমাদের মধ্যে যখন কেউ বলে, “আমি পৌলের লোক,” আবার কেউ বলে, “আমি আপল্লোর লোক” তখন কি তোমরা জাগতিক লোকদের মতোই ব্যবহার করছ না?
5 আপল্লো কে? আর পৌলই বা কে? আমরা ঈশ্বরের দাস মাত্র, যাদের দ্বারা তোমরা বিশ্বাসী হয়েছ। প্রভু আমাদের এক একজনকে যেমন কাজ দিয়েছেন আমরা তেমন করেছি। 6 আমি বীজ বুনেছি, আপল্লো জল দিয়েছেন, কিন্তু ঈশ্বরই বৃদ্ধি দান করেছেন। 7 তাই যে বীজ বোনে বা যে জল দেয় সে কিছু নয়, কিন্তু ঈশ্বর, যিনি বৃদ্ধি দান করেন তিনিই সব। 8 যে বীজ বোনে ও যে জল দেয় তাদের উদ্দেশ্য এক; তারা প্রত্যেকে নিজের নিজের কর্ম অনুসারে ফল পাবে। 9 কারণ আমরা পরস্পর ঈশ্বরেরই সহকর্মী। তোমরা এক শস্যক্ষেত্রের মতো, যার মালিক স্বয়ং ঈশ্বর।
তোমরা ঈশ্বরের গৃহ। 10 ঈশ্বর আমায় যে ক্ষমতা দিয়েছেন সেই অনুসারে আমি অভিজ্ঞ স্থপতির মতো ভিত গেঁথেছি। কিন্তু অন্যরা তার ওপর গাঁথছে, তবে প্রত্যেকে যেন লক্ষ্য রাখে কিভাবে তারা তার ওপর গাঁথে। 11 যে ভিত গাঁথা হয়েছে তা ছাড়া অন্য ভিত্তিমূল কেউ স্থাপন করতে পারে না, সেই ভিত হচ্ছেন যীশু খ্রীষ্ট। 12 এই ভীতের ওপরে কেউ যদি সোনা, রূপো, মূল্যবান পাথর, কাঠ, খড় বা বিছালি দিয়ে গাঁথে 13 তবে প্রত্যেক লোকের নিজস্ব কাজ স্পষ্টরূপে প্রকাশ পাবেই। সেই বিচারের দিন[a] তা প্রকাশ করে দেবে, কারণ সেই দিনটি আসবে আগুন নিয়ে আর সেই আগুনই প্রত্যেকের কাজ কি রকম তা যাচাই করবে। 14 যে যা গেঁথেছে তা যদি টিকে থাকে তবে সে পুরস্কার পাবে, 15 আর যদি কারোর কাজ পুড়ে যায় তবে তাকে ক্ষতি স্বীকার করতে হবে। সে নিজে রক্ষা পাবে; কিন্তু তার অবস্থা আগুনের মধ্য দিয়ে পার হয়ে আসা লোকের মতো হবে।
যীশুর শিক্ষাদান
(লূক 6:20-23)
5 যীশু অনেক লোকের ভীড় দেখে একটা পাহাড়ের ওপর উঠে গেলেন। তিনি সেখানে বসলে শিষ্যরা তাঁর কাছে এলেন। 2 এরপর তিনি তাঁদের কাছে শিক্ষা দিতে শুরু করলেন, বললেন:
3 “ধন্য সেই লোকেরা যারা আত্মায় নত-নম্র,
কারণ স্বর্গরাজ্য তাদেরই।
4 ধন্য সেই লোকেরা যারা শোক করে,
কারণ তারা ঈশ্বরের কাছ থেকে সান্ত্বনা পাবে।
5 বিনয়ী লোকেরা ধন্য।
তারা ঈশ্বরের প্রতিশ্রুত দেশের অধিকার লাভ করবে।
6 ধন্য সেই লোকেরা, যারা ন্যায়পরায়ণতার জন্য ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত
কারণ তারা তৃপ্ত হবে।
7 যারা দয়াবান তারা ধন্য,
কারণ তারা দয়া পাবে।
যাদের অন্তর পরিশুদ্ধ তারা ধন্য,
কারণ তারা ঈশ্বরের দর্শন পাবে।
8 ধন্য তারা যারা তাদের চিন্তায় পরিশুদ্ধ,
কারণ তারা ঈশ্বরের সঙ্গে থাকবে।
9 ধন্য তারা যারা শান্তি স্থাপনের জন্য কাজ করে,
কারণ তারা ঈশ্বরের সন্তানরূপে পরিচিত হবে।
10 ঈশ্বরের পথে চলতে গিয়ে যারা নির্যাতন ভোগ করছে তারা ধন্য,
কারণ স্বর্গরাজ্য তাদেরই হবে।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International