Book of Common Prayer
দায়ূদের একটি গীত।
24 এই পৃথিবী এবং পৃথিবীর সমস্ত কিছুই প্রভুর।
এই জগৎ এবং জগতের সব লোকও তাঁর।
2 প্রভু জলের ওপর এই পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন।
তিনি নদীসমূহের ওপর এইসব তৈরী করেছেন।
3 কে প্রভুর পর্বতে আরোহণ করতে পারে?
কে প্রভুর পবিত্র মন্দিরে গিয়ে দাঁড়াতে পারে?
4 সেই সব লোক যারা মন্দ কাজ করে নি,
সেই সব লোক যাদের অন্তঃকরণ শুচি,
সেই সব লোকরা যারা মিথ্যেকে সত্যের মত করে বলবার সময় আমার নাম নেয় নি,
যারা মিথ্যা কথা বলে নি এবং মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয় নি একমাত্র সেই সব লোকই এখানে উপাসনা করতে পারে।
5 ভালো লোকরা প্রভুকে অন্যদের আশীর্বাদ করবার জন্য বলে।
ঐসব ভালো লোকরাও ঈশ্বর, তাদের পরিত্রাতাকে ভাল কাজই করতে বলে।
6 সেই সব ভালো লোক ঈশ্বরকে অনুসরণ করার চেষ্টা করে।
তারা সাহায্যের জন্য যাকোবের ঈশ্বরের কাছে যায়।
7 হে ফটক সকল, তোমাদের মাথা তোল!
হে প্রাচীন দ্বারসমূহ, খুলে যাও,
কারণ মহিমান্বিত রাজা ভেতরে আসবেন।
8 কে সেই মহিমান্বিত রাজা?
প্রভুই সেই রাজা। তিনিই পরাক্রমী সৈনিক।
প্রভুই সেই রাজা, তিনিই যুদ্ধের নায়ক।
9 হে ফটক সকল, তোমাদের মাথা তোল!
হে প্রাচীন প্রবেশ দ্বারসমূহ, খুলে যাও,
কারণ মহিমান্বিত রাজা ভেতরে আসবেন।
10 কে সেই মহিমান্বিত রাজা?
সর্বশক্তিমান প্রভুই সেই রাজা। তিনিই সেই মহিমান্বিত রাজা!
দায়ূদের একটি গীত।
29 হে ঈশ্বরের সন্তানরা, তোমরা প্রভুর প্রশংসা কর!
তাঁর শক্তি এবং মহিমার প্রশংসা কর।
2 প্রভুর প্রশংসা কর এবং তাঁর নামের সম্মান কর!
তোমরা পবিত্র বস্ত্র পরে তাঁর উপাসনা কর।
3 প্রভুর রব সমুদ্রের এপার থেকে ওপারে শোনা যায়।
মহিমান্বিত ঈশ্বরের রব মহাসমুদ্রের বজ্রধ্বনির মত।
4 প্রভুর রব তাঁর শক্তি ঘোষণা করে।
প্রভুর রব তাঁর মহিমা প্রকাশ করে।
5 প্রভুর রব বিরাট বড় এরস গাছদের ভেঙে টুকরো টুকরো করে দেয়।
প্রভু লিবানোনের এরস গাছ ভেঙে দিয়েছেন।
6 প্রভু লিবানোনকে প্রকম্পিত করেছেন এবং দেখে মনে হয় যেন একটি বাচ্চা বাছুর নাচছে।
শিরিয়োণ[a] প্রকম্পিত হচ্ছে, দেখে মনে হয় যেন একটা বাচ্চা ছাগল লাফাচ্ছে।
7 বিদ্যুতের চমক দিয়ে প্রভুর রব বাতাসকে কেটে কেটে দিচ্ছে।
8 প্রভুর রব মরুভূমিকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে।
প্রভুর রবে কাদেশ মরুভূমি কেঁপে উঠছে।
9 প্রভুর রব দেবদারু গাছকে কাঁপিয়ে দেয়।
প্রভু বনস্থলী ধ্বংস করেন।
কিন্তু তাঁর পবিত্র মন্দিরে, লোকে তাঁর মহিমার গান গায়।
10 প্লাবনের সময় প্রভুই ছিলেন রাজা
এবং চিরদিনের জন্য প্রভুই রাজা থাকবেন।
11 প্রভু তাঁর লোকদের শক্তি দেন।
তিনি তাঁর লোকেদের শান্তি দিয়ে আশীর্বাদ করেন।
পরিচালকের প্রতি: গিত্তীৎ সহযোগে দায়ূদের একটি গীত।
8 হে প্রভু, আমাদের সদাপ্রভু, সারা পৃথিবীতে আপনার নামই সব থেকে মহিমান্বিত!
আপনার নাম স্বর্গলোক জুড়ে আপনার প্রশংসা এনে দেয়।
2 শিশু ও দুগ্ধপোষ্যদের মুখ থেকে আপনার প্রশংসা গীত বেরিয়ে আসে।
আপনার শত্রুদের নীরব করে দেওয়ার জন্য আপনি ওদের মুখে এইসব শক্তিশালী গান দিয়েছেন।
3 আপনি নিজের হাত দিয়ে যে স্বর্গ সৃষ্টি করেছেন তার দিকে চেয়ে দেখি।
আপনার সৃষ্টি করা চাঁদ এবং তারা দেখি এবং আমি বিস্মিত হই।
4 “লোকরা আপনার কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ কেন?
কেন আপনি তাদের কথা স্মরণ করেন?
কেন লোকরা আপনার কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ?
আপনি তাদের দিকে তাকিয়েই বা দেখেন কেন?”
5 কিন্তু মানুষ আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ!
আপনি মানুষকে প্রায় দেবতার মত করেই বানিয়েছেন।
এবং গৌরব ও সম্মান দিয়ে আপনি মানুষকে মহিমান্বিত করেছেন।
6 আপনি যা যা সৃষ্টি করেছেন তার দায়িত্ব আপনি মানুষের হাতেই দিয়েছেন।
সব কিছুই আপনি মানুষের নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন।
7 মেষ, গবাদিপশু সহ অন্যান্য বন্য জন্তুদের ওপরে মানুষ কর্ত্তৃত্ব করেছে।
8 আকাশের পাখী
ও জলের মাছের ওপর কর্ত্তৃত্ব করেছে।
9 হে প্রভু, আমাদের সদাপ্রভু, সমগ্র বিশ্বে আপনার নামই সব থেকে মহিমান্বিত।
সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: গিত্তীৎ সহযোগে কোরহ পরিবার থেকে একটি প্রশংসা গীত।
84 হে সর্বশক্তিমান প্রভু, আপনার মন্দির সত্যিই অমূল্য!
2 আপনার মন্দিরে ঢুকতে গেলে আমি প্রতীক্ষা করতে পারি না।
আমি অত্যন্ত উত্তেজিত!
আমার প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ জীবন্ত ঈশ্বরের সঙ্গে থাকতে চায়।
3 হে সর্বশক্তিমান প্রভু, আমার রাজা, আমার ঈশ্বর, পাখিরা পর্যন্ত আপনার মন্দিরে তাদের আশ্রয় খুঁজে পেয়েছে।
আপনার বেদীর কাছেই ওরা বাসা বেঁধেছে এবং ওদের শাবকও আছে।
4 যারা আপনার মন্দিরে বাস করছে তারা খুবই ভাগ্যবান।
ওরা এখনও আপনার প্রশংসা করছে।
5 হৃদয়ে সঙ্গীত নিয়ে যেসব লোকেরা
আপনার মন্দিরে আসছে তারা খুব খুশী!
6 তারা নির্ঝরের মত, বাকা উপত্যকা, যেটি ঈশ্বর তৈরী করেছিলেন,
সেটা পার হয়ে যাত্রা করে।
শরতের বৃষ্টিতে পুকুরগুলো ভরে রয়েছে।
7 লোকরা যত ঈশ্বরের কাছে যায়
তত শক্তিশালী হয়।
8 হে সর্বশক্তিমান প্রভু, আমার প্রার্থনা শুনুন।
হে যাকোবের ঈশ্বর, আমার কথা শুনুন।
9 হে ঈশ্বর, আমাদের রক্ষাকর্তাকে সুরক্ষা দিন।
আপনার মনোনীত রাজার প্রতি সদয় হোন।
10 অন্য জায়গায় এক হাজার দিন কাটানোর চেয়ে
আপনার মন্দিরে একদিন কাটানো অনেক ভালো।
একজন দুষ্ট লোকের ঘরে বাস করার চেয়ে
আমার ঈশ্বরের গৃহের দ্বারে দাঁড়িয়ে থাকা অনেক ভালো।
11 প্রভুই আমাদের রক্ষাকারী ও মহিমময় রাজা।[a]
ঈশ্বর দয়া ও মহিমার সঙ্গে আমাদের আশীর্বাদ করেন।
যে সব লোক তাঁকে অনুসরণ করে ও মান্য করে
ঈশ্বর তাদের ভালো জিনিসগুলি দেন।
12 হে সর্বশক্তিমান প্রভু, যারা আপনাকে বিশ্বাস করে তারা প্রকৃতই সুখী!
8 এলিয় তখন উঠে পানাহার করলেন। সেই খাবার এলিয়কে একটানা 40 দিন 40 রাত্রি হাঁটার মতো শক্তি জোগালো। হাঁটতে হাঁটতে তিনি ঈশ্বরের পর্বত নামে পরিচিত হোরেব পর্বতে গিয়ে পৌঁছলেন। 9 সেখানে একটি গুহার ভেতরে এলিয় রাত্রি বাস করলেন।
সে সময় প্রভু এলিয়র সঙ্গে কথা বললেন, “এলিয় তুমি এখানে কেন?”
10 এলিয় উত্তর দিলেন, “প্রভু ঈশ্বর সর্বশক্তিমান, আমি সব সময় সাধ্য মতো তোমার সেবা করেছি। কিন্তু ইস্রায়েলের লোকরা তোমার সঙ্গে চুক্তিভঙ্গ করে তোমার বেদী ধ্বংস করে ভাববাদীদের হত্যা করেছে। এখন আমিই একমাত্র জীবিত ভাববাদী আর তাই ওরা আমাকেও হত্যার চেষ্টা করছে।”
11 প্রভু তখন এলিয়কে বললেন, “যাও পর্বতে গিয়ে আমার সামনে দাঁড়াও। আমি ঐ জায়গা দিয়ে যাব।” তখন ঝোড়ো হাওয়া এসে পর্বতটাকে ভেঙ্গে দ্বিখণ্ডিত করল, বড় বড় পাথরের চাঁই খসে পড়ল, কিন্তু সেই ঝড়ের মধ্যে প্রভু ছিলেন না। ঝড়ের পর হল ভূমিকম্প। কিন্তু সেই ভূমিকম্পও প্রভু স্বয়ং নন। 12 ভূমিকম্পের আগুন জ্বলে উঠল। কিন্তু আগুনের মধ্যেও প্রভু ছিলেন না। আগুন নিভিয়ে দেওয়া হল। একটি শান্ত, কোমল স্বর শোনা গেল।
13 এলিয় যখন স্বরটা শুনতে পেলেন তখন তিনি তাঁর শাল দিয়ে তাঁর মুখ ঢেকে দিলেন। তারপর তিনি গিয়ে গুহার প্রবেশ মুখে দাঁড়ালেন। একটি স্বর তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, “এলিয়, তুমি এখানে কেন?”
14 এলিয় বললেন, “প্রভু, ঈশ্বর সর্বশক্তিমান, আমি সব সময়ই আমার সাধ্য মতো তোমার সেবা করে এসেছি কিন্তু ইস্রায়েলের লোকরা তোমার সঙ্গে তাদের চুক্তিভঙ্গ করেছে। তারা তোমার পূজোর বেদী ধ্বংস করে সমস্ত ভাববাদীদের হত্যা করেছে। এখন আমিই একমাত্র জীবিত আছি। আর ওরা আমাকে হত্যার চেষ্টা করছে।”
15 প্রভু বললেন, “যাও দম্মেশকের পাশের মরুভূমির দিকে যে রাস্তা যাচ্ছে সেটা ধরে দম্মেশকে গিয়ে হসায়েলকে অরামের রাজপদে অভিষিক্ত করো। 16 তারপর নিম্শির পুত্র যেহূকে ইস্রায়েলের রাজপদে অভিষেক করো। আর আবেলমহোলার শাফটের পুত্র ইলীশায়কেও অভিষেক করো। সে ভাববাদী হিসেবে তোমার জায়গা নেবে। 17 হসায়েল বহু খারাপ লোককে হত্যা করবে। হসায়েলের হাত থেকে যারা বেঁচে যাবে তাদের যেহূ হত্যা করবে। আর যেহূর তরবারি থেকেও যদি কেউ নিস্তার পেয়ে যায় তাকে ইলীশায় হত্যা করবে। 18 এলিয় ইস্রায়েলে তুমিই একমাত্র একনিষ্ঠ ভাবে আমার সেবা করো নি। সেখানে আরো 7000 লোক আছে যারা কখনও বাল মূর্ত্তির কাছে মাথা নত করে নি এবং এরা কখনও বাল মূর্ত্তি চুম্বন করে নি।”
ইলীশায় একজন ভাববাদী হলেন
19 এলিয় তখন শাফটের পুত্র ইলীশায়কে খুঁজতে বেরোলেন। ইলীশায় তখন 12 বিঘা জমিতে হাল দিচ্ছিলেন। এলিয় যখন এলেন তখন ইলীশায় শেষ এক বিঘা জমিতে হাল দিচ্ছিলেন। এলিয় গিয়ে ইলীশায়ের গায়ে নিজের আনুষ্ঠানিক পোশাক পরিয়ে দিলেন। 20 ইলীশায় ষাঁড়কে ছেড়ে রেখে এলিয়র পেছনে ছুটে এসে বললেন, “আমাকে অনুমতি দিন, আমি একবার গিয়ে আমার মাকে আদর করে আসি এবং পিতার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আসি। তারপর আমি আপনার সঙ্গে যাবো।”
এলিয় উত্তর দিল, “বেশ, যাও! আমি তোমাকে বাধা দেব না।”
21 ইলীশায় তখন বাড়িতে গিয়ে আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে দারুণ খাওয়া-দাওয়া করলেন। তাঁর গরুগুলোকে মেরে যোয়ালের কাঠ জ্বালিয়ে মাংস সেদ্ধ করে লোকদের খাওয়ালেন এবং নিজেও খেলেন। তারপর ইলীশায় এলিয়কে অনুসরণ করলেন এবং তাঁর পরিচর্য্যা করতে লাগলেন।
34 কিন্তু সেই মহাসভার একজন সভ্য, গমলীয়েল ইনি ব্যবস্থার শিক্ষক, যাকে সকলে মান্য করত, তিনি উঠে দাঁড়িয়ে ঐ প্রেরিতদের কিছু সময়ের জন্য সভা থেকে বাইরে নিয়ে যেতে বললেন। 35 পরে তিনি তাদের বললেন, “হে ইস্রায়েলীরা, এই লোকদের নিয়ে তোমরা যা করতে যাচ্ছ সে বিষয়ে সাবধান। 36 কারণ এর কিছু আগে থুদা নামে একজন লোক নিজেকে মহান বলে দাবী করেছিল। প্রায় চারশো লোক তার অনুসারী হয়েছিল; আর সে নিহত হলে তার অনুগামীরা সব যে যার পালিয়ে গেল, তার কোন চিহ্নই রইল না। 37 থুদার পরে আদমসুমারীর সময় গালীলীয় যিহূদার উদয় হয়, সেও বেশ কিছু লোককে তার দলে টানে; পরে সেও নিহত হয়, আর তার অনুগামীরাও ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। 38 তাই বর্তমানে এই অবস্থা দেখে আমি তোমাদের বলছি: এই লোকেদের থেকে দূরে থাক, তাদের ছেড়ে দাও, কারণ তাদের এই পরিকল্পনা অথবা এই কাজ যদি মানুষের থেকে হয় তবে তা ব্যর্থ হবে। 39 কিন্তু যদি ঈশ্বরের কাছ থেকে হয়ে থাকে, তাহলে তোমরা তা বন্ধ করতে পারবে না। হয়তো দেখবে যে তোমরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছ।”
তখন তারা এই পরামর্শ গ্রহণ করল। 40 তারা প্রেরিতদের ভেতরে ডেকে এনে চাবুক মারল, যীশুর নামে একটি কথাও বলতে নিষেধ করে তাদের ছেড়ে দিল। 41 প্রেরিতরা মহাসভার সভাস্থল থেকে বেরিয়ে চলে গেলেন, আর যীশুর নামের জন্য তাঁরা যে নির্যাতন ও অপমান সহ্য করার যোগ্য বলে বিবেচিত হযেছেন, এই কথা ভেবে আনন্দ করতে লাগলেন। 42 এবং দমে না গিয়ে প্রতিদিন মন্দিরের মধ্যে ও বিভিন্ন বাড়িতে যীশুর বিষয়ে শিক্ষা ও সুসমাচারের প্রচার করে দেখালেন যে যীশুই হলেন খ্রীষ্ট।
ইহুদী নেতারা যীশুকে হত্যার চক্রান্ত করতে লাগল
(মথি 26:1-5; মার্ক 14:1-2; লূক 22:1-2)
45 তখন মরিয়মের কাছে যারা এসেছিল, সেই সব ইহুদীদের মধ্যে অনেকে যীশু যা করলেন তা দেখে যীশুর ওপর বিশ্বাস করল। 46 কিন্তু তাদের মধ্যে কয়েকজন ফরীশীদের কাছে গিয়ে যীশু যা করেছিলেন তা তাদের জানালো। 47 এরপর প্রধান যাজক ও ফরীশীরা পরিষদের এক মহাসভা ডেকে সেখানে নিজেদের মধ্যে বলাবলি করল, “আমরা এখন কি করব? এই লোকটা তো অনেক অলৌকিক চিহ্নকার্য করছে।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International