Book of Common Prayer
106 প্রভুর প্রশংসা কর!
প্রভুকে ধন্যবাদ দাও কারণ তিনি মঙ্গলময়!
ঈশ্বরের প্রেম চিরন্তন!
2 ঈশ্বর যে প্রকৃতপক্ষে কত মহান তা কেউই বর্ণনা করে বলতে পারবে না।
কোন ব্যক্তিই ঈশ্বরের যথেষ্ট প্রশংসা করতে পারে না।
3 যারা ঈশ্বরের নির্দেশ মানে তারা সুখী হয়।
ওই সব লোক সর্বদাই ভালো কাজ করে।
4 হে প্রভু, যখন আপনি আপনার লোকদের দয়া করবেন, তখন আমার কথা স্মরণে রাখবেন।
যখন আপনি আপনার লোকদের রক্ষা করবেন তখন আমায় মনে রাখতে ভুলে যাবেন না।
5 আপনার পছন্দ করা লোকদের জন্য আপনি যে সব ভালো কাজ করেন,
আমাকেও তার অংশীদার হতে দিন।
আপনার জাতির সঙ্গে আমাকেও আনন্দ করতে দিন।
আপনার লোকদের সঙ্গে আমাকেও আপনার প্রশংসা করতে দিন।
6 যেমন ভাবে আমাদের পূর্বপুরুষরা পাপ করেছে, আমরাও তেমন ভাবেই পাপ করেছি।
আমরা ভুল করেছি। আমরা গর্হিত কাজ করেছি!
7 হে প্রভু, মিশরে আপনি যে সব অলৌকিক কাজ করেছিলেন
তা থেকে আমাদের পূর্বপুরুষরা কিছুই শেখেনি।
তারা আপনার ভালবাসা ও দয়া মনে রাখে নি।
লোহিত সাগরের ধারে, আমাদের পূর্বপুরুষরা, আপনার বিরুদ্ধাচরণ করেছিল।
8 কিন্তু তাঁর পবিত্র নামের মহিমার জন্য ঈশ্বর তাদের রক্ষা করেছিলেন।
তাঁর মহৎ শক্তি প্রদর্শনের জন্য ঈশ্বর ওদের রক্ষা করেছিলেন।
9 ঈশ্বর আজ্ঞা দিয়েছিলেন এবং লোহিত সাগর শুকিয়ে গিয়েছিলো।
শুকনো মরুভূমি দিয়ে চলার মত, তিনি আমাদের পূর্বপুরুষদের সমুদ্রের গভীরতার ভেতর দিয়ে ডাঙায় নিয়ে গিয়েছিলেন।
10 ঈশ্বর আমাদের পূর্বপুরুষদের শত্রুদের হাত থেকে আমাদের বাঁচিয়েছিলেন!
তাদের শত্রুদের হাত থেকে ঈশ্বর তাদের উদ্ধার করেছিলেন।
11 ঈশ্বর সমুদ্র দ্বারা ওদের শত্রুদের আবৃত করেছিলেন!
ওদের একজন শত্রুও পালাতে পারে নি!
12 তারপর আমাদের পূর্বপুরুষরা ঈশ্বরকে বিশ্বাস করেছিলেন।
তাঁরা তাঁর প্রশংসা করেছিলেন।
13 কিন্তু ঈশ্বর যা করেছিলেন, আমাদের পূর্বপুরুষরা খুব তাড়াতাড়ি তা ভুলে গিয়েছিলেন।
তাঁরা ঈশ্বরের পরামর্শের জন্য অপেক্ষা করেন নি।
14 আমাদের পূর্বপুরুষরা মরুভূমিতে ক্ষুধার্ত হয়েছিলেন।
উষর প্রান্তরে তাঁরা ঈশ্বরকে পরীক্ষা করেছিলেন।
15 কিন্তু আমাদের পূর্বপুরুষরা যা চেয়েছিলেন, ঈশ্বর ওঁদের তাই দিয়েছিলেন।
কিন্তু ঈশ্বর ওঁদের এক ভয়াবহ রোগও দিয়েছিলেন।
16 পবিত্র শিবিরে লোকরা বিশ্বস্ত রইল
এবং মোশি ও হারোণের প্রতি তাদের উদ্যম দেখাল।
17 কিন্তু দাথন এবং অবীরামের গোষ্ঠীর দিকে মাটি দ্বিধাবিভক্ত হল,
তাদের গিলে ফেলল এবং ঢেকে দিল।[a]
18 তারপর এক আগুনের হল্কা সেই জনতাকে পুড়িয়ে দিলো।
তারপর আগুন সেই সব দুষ্ট লোকদের পুড়িয়ে দিলো।
19 হোরেব পর্বতে তারা একটা সোনার বাছুর তৈরী করেছিল।
তারা সেই মূর্ত্তিকে পূজো করেছিলো।
20 এইভাবে তৃণগ্রাসী বলদ মূর্ত্তির সঙ্গে
ওদের মহিমাময় ঈশ্বরের আদান-প্রদান করেছিলো!
21 ঈশ্বর আমাদের পূর্বপুরুষদের রক্ষা করেছিলেন! কিন্তু তাঁরা তাঁকে সম্পূর্ণ ভুলে গিয়েছিলেন।
মিশরে যে ঈশ্বর বিরাট অলৌকিক কাজ করেছিলেন, তাঁকে তাঁরা ভুলে গেলেন।
22 হামের দেশে ঈশ্বর আশ্চর্য কার্য করেছিলেন।
লোহিত সাগরের ধারে ঈশ্বর ভয়ঙ্কর কাজ করেছিলেন।
23 ঈশ্বর ওসব লোককে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু মোশি, যাকে তিনি মনোনীত করেছিলেন তিনি ঈশ্বরকে নিরস্ত করেন।
ঈশ্বর ভীষণ ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন, কিন্তু মোশি পথ রোধ করে দাঁড়ান
তাই ঈশ্বর সেইসব লোকদের আর ধ্বংস করেন নি।
24 কিন্তু তারপর এইসব লোক কনানের চমৎকার রাজ্যে প্রবেশ করতে অস্বীকার করে।
ওরা বিশ্বাস করেনি যে, ওই দেশে (কনানে) বসবাসকারী মানুষদের পরাজিত করতে ঈশ্বর ওদের সাহায্য করবেন।
25 আমাদের পূর্বপুরুষরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ করতে তাঁবুর ভেতরে রয়ে গিয়েছিলেন।
তাঁরা প্রভুর কন্ঠস্বর শুনতে অস্বীকার করেছিলেন।
26 তাই ঈশ্বর প্রতিশ্রুতি করেছিলেন যে তাঁরা মরুভূমিতে মারা যাবেন।
27 ঈশ্বর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, তিনি অন্য লোকদের তাদের উত্তরপুরুষদের পরাজিত করতে দেবেন।
ঈশ্বর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, আমাদের পূর্বপুরুষদের তিনি বিভিন্ন জাতিদের মধ্যে ছড়িয়ে দেবেন।
28 তারপর, বাল-পিয়োরে, ঈশ্বরের লোকরা বাল মূর্ত্তির পূজা করায় যোগ দিয়েছিলো।
ঈশ্বরের লোকরা জংলী দলটিতে যোগ দিয়েছিলো এবং মৃত লোকের সম্মানে উৎসর্গ করা বলি আহার করেছিলো।
29 ঈশ্বর তাঁর লোকদের প্রতি ভীষণ ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন
এবং তিনি তাদের ভীষণ অসুস্থ করে দিয়েছিলেন।
30 কিন্তু পীনহস ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলো
এবং ঈশ্বর অসুস্থতা রদ করেছিলেন।
31 ঈশ্বর জানতেন যে পীনহস খুব ভালো একটা কাজ করেছিলো।
ঈশ্বর সেটা চিরদিন, অনন্তকালের জন্য স্মরণে রাখবেন!
32 মরীবার কাছে লোকজন প্রচণ্ড ক্রোধান্বিত হল।
তারা মোশিকে দিয়ে কিছু কু-কাজ করালো।
33 কারণ ওই লোকরা মোশিকে ভীষণ বিমর্ষ করে তুলল[b]
এবং সে কিছু চিন্তা-ভাবনা না করেই কথা বলল।
34 ঈশ্বর তাঁর লোকদের কনানে অন্য জাতিসমূহ যারা বাস করছিল তাদের ধ্বংস করে দিতে বললেন।
কিন্তু ইস্রায়েলের লোকরা ঈশ্বরের কথা মান্য করে নি!
35 তারা অন্য জাতিগুলোর সঙ্গে মেলামেশা করেছিল
এবং তারা যা করত ওরা তাই করতে শিখেছিল।
36 ওই লোকগুলো ঈশ্বরের লোকদের জন্য ফাঁদের মতই ভয়ঙ্কর হল।
ঈশ্বরের লোকরাও সেইসব মূর্ত্তিসমূহের পূজা করতে শুরু করলো যাদের ওরা পূজা করত।
37 এমনকি ঈশ্বরের লোকেরা তাদের সন্তানদের পর্যন্ত হত্যা করেছিলো
এবং ওই দানবদের কাছে উৎসর্গ করেছিলো।
38 ঈশ্বরের লোকরা নিস্পাপ লোকদের হত্যা করেছিলো।
ওরা ওদের নিজেদের সন্তানদেরও হত্যা করেছিলো
এবং তাদের মূর্ত্তিসমূহের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছিলো।
39 তাই অন্য লোকদের পাপে ঈশ্বরের লোকরা অপবিত্র হয়ে উঠেছিল।
ঈশ্বরের লোকরা তাদের ঈশ্বরের কাছে অবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিলো এবং অন্য লোকরা যা করতো ওরাও তাই করতে শুরু করেছিল।
40 ঈশ্বর তাঁর লোকজনের ওপরে চটে গেলেন।
তাদের ব্যাপারে ঈশ্বর ক্লান্ত হয়ে গেলেন!
41 ঈশ্বর তাঁর লোকেদের,[c] কেউ চায় নি এমন কিছুতে পরিবর্তন করে দিলেন।
ঈশ্বর ওদের শত্রুদের দিয়ে ওদের শাসন করালেন।
42 ঈশ্বরের লোকদের শত্রুরা ওদের দাবিয়ে রাখলো
এবং তাদের নিজেদের ক্ষমতার মধ্যে রাখলো।
43 ঈশ্বর তাদের বহুবার রক্ষা করেছিলেন
কিন্তু তারা ঈশ্বরের উপদেশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল।[d]
অতএব, এই কারণে লোকদের সম্মানে খাটো করা হয়েছিল।
44 কিন্তু ঈশ্বরের লোকরা যখনই সমস্যায় পড়েছে ওরা সাহায্যের জন্য ঈশ্বরকে ডেকেছে
এবং প্রত্যেকবারই ঈশ্বর ওদের প্রার্থনা শুনেছেন।
45 ঈশ্বর সর্বদাই তাঁর চুক্তির কথা স্মরণে রেখেছিলেন
এবং তাঁর মহৎ প্রেম দিয়ে তিনি সর্বদাই ওদের স্বস্তি দিয়েছিলেন।
46 অন্য জাতিরা ওদের বন্দী হিসেবে নিয়ে গিয়েছিলো।
কিন্তু তাঁর লোকদের প্রতি ওদের সদয় করেন।
47 হে প্রভু, আমাদের ঈশ্বর, আমাদের রক্ষা করুন!
আমাদের অন্য সব জাতি থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসুন
যাতে আমরা আপনার পবিত্র নামের প্রশংসা করতে পারি
এবং বন্দনা গান করে আপনাকে সম্মান করতে পারি।
48 ইস্রায়েলের প্রভু ঈশ্বরের বন্দনা কর। ঈশ্বর চির বিরাজমান
এবং তিনি চিরদিন বিরাজিত থাকবেন।
সব লোকরা বলল, “আমেন!”
প্রভুর প্রশংসা কর!
অবশালোম যর্দন নদী পার হল
24 দায়ূদ মহনয়িমে এলেন।
অবশালোম এবং তার সঙ্গে যে সব ইস্রায়েলীয়রা ছিল তারা যর্দন নদী পার হয়ে গেল। 25 অবশালোম অমাসাকে তার সৈন্যদলের অধিনায়করূপে নিযুক্ত করল। অমাসা যোয়াবের জায়গা নিল। অমাসা ছিল যিথ্র, একজন ইশ্মায়েলীয়[a] ছেলে। অমাসার মায়ের নাম অবীগল। সে সরূয়ার বোন নাহশের মেয়ে। সরূয়া ছিল যোয়াবের মা।
26 অবশালোম এবং ইস্রায়েলীয়রা গিলিয়দে তাঁবু ফেলে অবস্থান করল।
শোবি, মাখীর এবং বর্সিল্লয়
27 দায়ূদ মহনয়িমে এলেন। শোবি, মাখীর এবং বর্সিল্লয় সেইখানেই ছিল। শোবি অম্মোনদের রব্বা শহরের নাহশের পুত্র। মাখীর হল লোদবার নিবাসী অম্মীয়েলের পুত্র। আর বর্সিল্লয় গিলিয়দের, রোগলীমের থেকে এসেছিল। 28-29 সেই তিনজন লোক বলল, “মরুভূমিতে যে লোকরা রয়েছে তারা ক্লান্ত, ক্ষুধার্ত এবং তৃষ্ণার্ত।” তাই তারা দায়ূদের জন্য এবং তাঁর সঙ্গে যে লোকরা ছিল তাদের জন্য অনেক কিছু জিনিস এনেছিল। তারা বিছানা এবং অন্যান্য পাত্রাদি এনেছিল। এছাড়াও তারা গম, যব, ময়দা, ভাজা শস্য, বীন, শাক, শুকনো বীজ, মধু, মাখন, মেষ এবং পনীর এনেছিল।
দায়ূদ যুদ্ধের প্রস্তুতি করলেন
18 দায়ূদ তাঁর লোকদের একবার গুনে নিলেন। তিনি 1000 জন এবং 100 জন করে লোক ভাগ করে প্রতিটি দলের জন্য একজন অধিনায়ক নিযুক্ত করলেন। 2 দায়ূদ তাঁর লোকদের তিনটে দলে ভাগ করে দিলেন এবং তারপর তাদের পাঠিয়ে দিলেন। যোয়াব এক তৃতীয়াংশ লোকের নেতৃত্বে ছিল। যোয়াবের ভাই সরূয়ার পুত্র অবীশয় অপর একভাগ লোককে নেতৃত্ব দিয়েছিল। এবং গাতের ইত্তয় বাকী অংশের নেতৃত্বে ছিল।
রাজা দায়ূদ তাঁদের বললেন, “আমিও তোমাদের সঙ্গে যাব।”
3 কিন্তু লোকরা বলে উঠল, “না! আপনি আমাদের সঙ্গে একদম আসবেন না। কেন? কারণ আমরা যদি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যাই, তাহলে অবশালোমের লোকরা ধর্তব্যের মধ্যেই আনবে না। এমনকি, আমাদের অর্ধেক লোক যদি মারাও যায় তাতেও অবশালোমের লোকদের কিছু এসে যাবে না, কিন্তু আপনি আমাদের 10,000 লোকর সমান। তাই আপনার পক্ষে শহরে থাকাই ভাল। তখন আমরা সাহায্য চাইলে আপনি আমাদের সাহায্য করতে পারবেন।”
4 রাজা তাদের বললেন, “তোমরা যা ভাল বোঝ আমি তাই করব।”
তখন রাজা ফটকের একদিকে দাঁড়ালেন। সৈন্যবাহিনী বেরিয়ে গেল। শ’য়ে শ’য়ে এবং হাজারে হাজারে সেনাবাহিনী বেরিয়ে এল।
5 যোয়াব, অবীশয় এবং ইত্তয়কে রাজা আদেশ দিলেন। তিনি বললেন, “আমার মুখ চেয়ে তোমরা এই কাজ কর। তরুণ অবশালোমের সঙ্গে সংযত ও ভাল আচরণ কর।” সব লোক দাঁড়িয়ে শুনল যে অধিনায়কের প্রতি অবশালোম সম্পর্কে রাজা আদেশ দিলেন।
দায়ূদের সৈন্য অবশালোমের সৈন্যদের হারিয়ে দিল
6 অবশালোমের পক্ষের ইস্রায়েলীয়দের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দায়ূদের সৈন্যরা যুদ্ধক্ষেত্রে রওনা হল। তারা ইফ্রয়িমের অরণ্যে যুদ্ধ করল। 7 দায়ূদের লোকরা ইস্রায়েলীয়দের পরাজিত করল। সেদিন 20,000 সৈন্যকে হত্যা করা হয়েছিল। 8 সারা দেশে সেই যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু সে দিন যুদ্ধক্ষেত্রের চেয়ে অরণ্যেই বেশী লোক মারা গিয়েছিল।
পৌল ইহুদী নেতাদের সঙ্গে কথা বললেন
30 পরদিন ইহুদীরা কেন পৌলের ওপর দোষ দিচ্ছে তা জানবার জন্য রোমান সেনাপতি ইহুদীদের প্রধান যাজকদের ও মহাসভার সকল সভ্যকে জড়ো হতে হুকুম দিল; আর পৌলকে সেখানে তাদের মাঝে মুক্ত অবস্থায় হাজির করল।
23 পৌল মহাসভার দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলতে শুরু করলেন, “ভাইরা, ঈশ্বরের দৃষ্টিতে আমি আজ পর্যন্ত শুদ্ধ বিবেক অনুযায়ী জীবনযাপন করছি।” 2 তখন মহাযাজক অননিয়, পৌলের কাছাকাছি যারা দাঁড়িয়েছিল তাদের হুকুম দিলেন পৌলের মুখে চড় মেরে তার মুখ বন্ধ করে দিতে। 3 তখন পৌল অননিয়কে বললেন, “হে চুনকাম করা প্রাচীর! স্বয়ং ঈশ্বর তোমায় আঘাত করবেন। আইনসঙ্গত ভাবে আমার বিচার করার জন্য তুমি এখানে বসেছ; আর আমাকে আঘাত করার হুকুম দিয়ে তুমি মোশির বিধি-ব্যবস্থার বিরুদ্ধে যাচ্ছ।”
4 যারা পৌলের আশেপাশে দাঁড়িয়েছিল তারা তাঁকে বলল, “ঈশ্বরের মহাযাজকের সঙ্গে তুমি এইভাবে কথা বলতে পারো না। তুমি তাঁকে অপমান করছ!”
5 পৌল বললেন, “ভাইরা, আমি বুঝতে পারি নি যে উনি মহাযাজক; কারণ এরকম লেখা আছে, ‘তুমি সমাজের কোন নেতার বিরুদ্ধে কটু কথা বলো না।’”(A)
6 পৌল যখন বুঝতে পারলেন যে তাদের মধ্যে কিছু সভ্য সদ্দূকী ও কিছু সভ্য ফরীশী, তখন তিনি মহাসভার উদ্দেশ্যে চিৎকার করে বলে উঠলেন, “ভাইরা আমি একজন ফরীশী! আর ফরীশীদেরই সন্তান। মৃতদের পুনরুত্থান হবে বলে আমার যে প্রত্যাশা আছে, তার জন্যই আমার এই বিচার হচ্ছে!”
7 পৌলের কথা শুনে ফরীশী ও সদ্দূকীদের মধ্যে বিরোধ বেধে গেল। আর সভা দুটো দলে ভাগ হয়ে গেল। 8 (কারণ সদ্দূকীরা বলত পুনরুত্থান বলে কিছু নেই, স্বর্গদূত বা আত্মা বলেও কিছু নেই; কিন্তু ফরীশীরা উভয়ই বিশ্বাস করত।) 9 চারদিকে বিরাট কোলাহল শুরু হয়ে গেল। ফরীশীদের মধ্যে থেকে কয়েকজন ব্যবস্থার শিক্ষক উঠে দাঁড়িয়ে খুব জোরালো তর্ক জুড়ে দিল, তারা বলল, “আমরা এঁর কোন দোষই দেখতে পাচ্ছি না! হয়তো কোন আত্মা বা স্বর্গদূত দম্মেশকের পথে সত্যসত্যই তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন!”
10 এইভাবে গণ্ডগোল বাড়তে বাড়তে লড়াইয়ে পরিণত হল। সেনাপতি ভয় পেয়ে গেলেন, যে তারা হয়তো পৌলকে টেনে-হিঁচড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলবে, তাই তিনি হুকুম দিলেন যেন সৈন্যরা নেমে গিয়ে ইহুদীদের মধ্য থেকে পৌলকে দূর্গে নিয়ে যায়।
11 পরদিন রাতে প্রভু যীশু পৌলের কাছে এসে দাঁড়ালেন। তিনি বললেন, “সাহস কর! কারণ তুমি আমার বিষয়ে যেমন জেরুশালেমে সাক্ষ্য দিয়েছ, তেমনি রোমেও আমার কথা তোমাকে বলতে হবে!”
বিশ্বাসযুক্ত প্রার্থনার বিষয়ে শিক্ষা
(মথি 21:18-19)
12 পরের দিন বৈথনিয়া ছেড়ে আসার সময় তাঁর খিদে পেল। 13 দূর থেকে তিনি একটি পাতায় ভরা ডুমুর গাছ দেখে তাতে কিছু ফল পাবেন ভেবে তার কাছে গেলেন, কিন্তু গাছটির কাছে গেলে পাতা ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেলেন না; কারণ তখন ডুমুর ফলের মরশুম নয়। 14 তখন তিনি গাছটিকে বললেন, “এখন থেকে তোমার ফল আর কেউ কোন দিন খাবে না!” এই কথা তাঁর শিষ্যেরা শুনতে পেলেন।
যীশু মন্দিরে গেলেন
(মথি 21:12-17; লূক 19:45-48; যোহন 2:13-22)
15 পরে তাঁরা জেরুশালেমে গেলেন; আর মন্দিরের মধ্যে ঢুকে যারা কেনা-বেচা করছিল সেইসব ব্যবসায়ীদের বাইরে বার করে দিলেন। তিনি পোদ্দারদের টেবিল এবং যারা পায়রা বিক্রি করছিল তাদের আসন উল্টে দিলেন। 16 তিনি মন্দিরের মধ্যে দিয়ে কাউকে কোন জিনিস নিয়ে যেতে দিলেন না। 17 তিনি শিক্ষা দিয়ে তাদের বললেন, “এটা কি লেখা নেই ‘আমার মন্দিরকে সমগ্র জাতির উপাসনা গৃহ বলা হবে?’(A) কিন্তু তোমরা এটাকে ‘দস্যুদের আস্তানায় পরিণত করেছ।’(B)”
18 প্রধান যাজকরা এবং ব্যবস্থার শিক্ষকরা এই কথা শুনে তাঁকে হত্যা করার রাস্তা খুঁজতে থাকল, কারণ তারা তাঁকে ভয় করত, যেহেতু তাঁর শিক্ষায় সমগ্র লোক আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিল 19 সেই দিন সন্ধ্যে হলেই যীশু ও তাঁর শিষ্যরা মহানগরীর বাইরে গেলেন।
বিশ্বাসের শক্তি
(মথি 21:20-22)
20 পরের দিন সকালে যেতে যেতে তাঁরা দেখলেন, সেই ডুমুর গাছটি মূল থেকে শুকিয়ে গেছে। 21 পিতর আগের দিনের কথা মনে করে তাঁকে বললেন, “হে গুরু, দেখুন, আপনি যে ডুমুর গাছটিকে অভিশাপ দিয়েছিলেন সেটি শুকিয়ে গেছে।”
22 তখন যীশু বললেন, “ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখ! 23 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, কেউ যদি ঐ পাহাড়কে বলে, ‘উপরে যাও এবং সমুদ্রে গিয়ে পড়,’ আর তার মনে কোন সন্দেহ না থাকে এবং সে যদি বিশ্বাস করে যে সে যা বলছে তা হবে, তাহলে ঈশ্বর তার জন্য তাই করবেন। 24 এইজন্য আমি তোমাদের বলি, তোমরা যা কিছুর জন্য প্রার্থনা কর, যদি বিশ্বাস কর যে, তোমরা তা পেয়েছ, তাহলে তোমাদের জন্য তা হবেই। 25 আর তোমরা যখনই প্রার্থনা করতে দাঁড়াও, যদি কারোর বিরুদ্ধে তোমাদের কোন কথা থাকে, তাকে ক্ষমা কর, যাতে তোমাদের স্বর্গের পিতাও তোমাদের সমস্ত পাপ ক্ষমা করেন।” 26 [a]
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International