Book of Common Prayer
পরিচালকের প্রতি: “সুদূর ওক গাছের পারাবত।” গানটির পর্দায় গাওয়া দায়ূদের একটি মিক্তাম যখন পলেষ্টীয়রা তাঁকে গাতে বন্দী করেছিল।
56 ঈশ্বর, লোকে আমায় আক্রমণ করেছে তাই আমার প্রতি কৃপা করুন।
ওরা সর্বক্ষণ ধরে আমার সঙ্গে যুদ্ধ করে চলেছে, আমায় তাড়া করে চলেছে।
2 আমার শত্রুরা ক্রমাগত আমায় আক্রমণ করে চলেছে।
ওখানে অসংখ্য যোদ্ধা আছে।
3 যখন আমি ভীত হয়ে পড়ি তখন আপনাতে আমার বিশ্বাস স্থাপন করি।
4 আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি, তাই আমি ভয় পাই না। মানুষ আমার কী করবে!
আমার প্রতি ঈশ্বরের শপথের জন্য আমি তাঁর প্রশংসা করি।
5 শত্রুরা সব সময় আমার কথাকে বিকৃত করে।
সর্বদাই ওরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে।
6 আমাকে হত্যা করবার একটা পথ খুঁজে পাবার আশায়
ওরা একসঙ্গে লুকিয়ে থেকে আমার গতিবিধি লক্ষ্য করে।
7 ঈশ্বর, ওদের অন্য দেশে বিদায় করে দিন।
হে ঈশ্বর, ওদের দুষ্ট কাজের জন্য ওদের শাস্তি দিন।
আপনার ক্রোধ দেখান এবং ঐসব জাতিদের পরাজিত করুন।
8 আপনি জানেন যে আমি মানসিকভাবে প্রচণ্ড বিপর্যস্ত।
আমি যে কত কেঁদেছি তাও আপনি জানেন।
আপনি নিশ্চয় আমার চোখের জলের হিসেব রেখেছেন।
9 তাই যখন আমি আপনার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি তখন আমার শত্রুদের পরাজিত করুন।
আমি জানি আপনি তা করতে পারবেন।
কারণ আপনিই আমার ঈশ্বর!
10 তাঁর প্রতিশ্রুতির জন্য আমি ঈশ্বরের প্রশংসা করি।
আমার প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতির জন্য আমি প্রভুর প্রশংসা করি।
11 আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি, তাই আমি ভয় পাই না।
মানুষ আমার কী করবে!
12 ঈশ্বর, আমি আপনার কাছে বিশেষ প্রতিশ্রুতি দিয়েছি এবং যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তা আমি পালন করবো।
আমি আপনাকে আমার ধন্যবাদ উৎসর্গ নিবেদন করবো।
13 কেন? কারণ আপনি আমাকে মৃত্যু থেকে উদ্ধার করেছেন।
পরাজয় থেকে আপনি আমায় রক্ষা করেছেন।
তাই আমি প্রকাশ্য দিবালোকে ঈশ্বরের উপাসনা করবো
যাতে কেবলমাত্র জীবিত লোকেরা দেখতে পায়।
পরিচালকের প্রতি: সুর “ধ্বংস করো না।” গানটির পর্দায় গাওয়া দায়ূদের একটি মিকতাম, যখন তিনি শৌলের কাছ থেকে পালিয়ে গুহায় লুকিয়ে ছিলেন।
57 ঈশ্বর, আমার প্রতি ক্ষমাশীল হোন।
সদয় হোন কেননা আমার আত্মা আপনাতে বিশ্বাস রাখে।
যখন সমস্যা আসে,
তখন আমি সুরক্ষার জন্য আপনার কাছে আসি।
2 আমি পরাৎপর ঈশ্বরের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি।
ঈশ্বর সম্পূর্ণভাবে আমার যত্ন নেন!
3 স্বর্গ থেকে তিনি আমায় সাহায্য দেন ও রক্ষা করেন।
যারা আমায় অবদমিত করে তাদের তিনি পরাজিত করেন।
আমার প্রতি ঈশ্বর
তাঁর প্রকৃত ভালোবাসা প্রদর্শন করেন।
4 আমার জীবন সঙ্কটাপন্ন।
শত্রুরা আমার চারদিকে ঘিরে রয়েছে।
ওরা মানুষখেকো সিংহদের মত;
ওদের দাঁতগুলো তীরের মত তীক্ষ্ণ;
ওদের জিভগুলো তরবারির মত ধারালো।
5 হে ঈশ্বর, আপনি স্বর্গের চেয়েও ওপরে।
আপনার মহিমা পৃথিবীকে আবৃত করে।
6 আমার শত্রুরা আমার জন্য একটা ফাঁদ পেতেছে।
ওরা আমায় ফাঁদে ফেলতে চাইছে।
ওরা আমার পথে একটা গভীর গর্ত খুঁড়েছে যাতে আমি ওর মধ্যে পড়ে যাই,
কিন্তু ওরা নিজেরাই তার মধ্যে পড়ে গেছে!
7 কিন্তু ঈশ্বর আমায় নিরাপদে রাখবেন।
তিনি আমায় সাহস দেবেন এবং আমি তাঁর প্রশংসা করবো।
8 হে আমার আত্মা, জেগে ওঠো!
হে সারেঙ্গী, হে বীণা, তোমাদের সঙ্গীত শুরু কর! এস আমরা উষাকালকে জাগিয়ে তুলি।
9 আমার প্রভু সকলের কাছে আমি আপনার প্রশংসা করি।
সব জাতির কাছেই আমি আপনার প্রশংসা করি।
10 আপনার প্রকৃত ভালোবাসা, আকাশের উচ্চতম মেঘের থেকেও উচ্চ!
11 হে ঈশ্বর, স্বর্গকেও অতিক্রম করে যাও।
আপনার মহিমা পৃথিবীকে আবৃত করুক।
পরিচালকের প্রতি: “বিনাশ করো না” গানটির পর্দায় গাওয়া দায়ূদের একটি মিকতাম।
58 ওহে বিচারকগণ, তোমরা তোমাদের বিচারে ন্যায় সঙ্গত নও।
তোমরা সৎভাবে লোকের বিচার করছো না।
2 না, তোমরা শুধুই খারাপ কাজ করার কথা ভাবো।
এই দেশে তোমরা হিংসাত্মক অপরাধসমূহ কর।
3 সেই সব মন্দ লোক যখনই জন্মায় তখন থেকেই ওরা ভুল কাজ করতে শুরু করে।
জন্ম থেকেই ওরা মিথ্যাবাদী।
4 ওদের ক্রোধ সাপের বিষের মতই ভয়ঙ্কর এবং বধির গোখুরে সাপের মত।
ওরা সত্য কথা শুনতে অস্বীকার করে।
5 গোখুরে সাপরা সাঁপুড়ের বীণের সুর বা গান শুনতে পায় না।
ঐসব মন্দ লোকরাও সেইসব সাপের মত, কারণ তারা কু-চক্রান্ত করে।
6 প্রভু, ঐ লোকগুলো সিংহের মত।
তাই হে প্রভু, ওদের দাঁতগুলো ভেঙে দিন।
7 নর্দমা দিয়ে যেমন জল গড়িয়ে যায়, ঐ লোকগুলোও যেন সেভাবেই অদৃশ্য হয়ে যায়।
পথের ধারে আগাছার মত ওরা যেন বিনষ্ট হয়।
8 ওরা শামুকের মত হোক্, নড়বার সময় যেন গলে গলে যায়।
ওরা যেন জন্ম-মৃত শিশুর মত কোনদিন দিনের আলো না দেখে।
9 যে কাঁটাঝোপকে জ্বালানী হিসেবে জ্বালিয়ে রান্নার পাত্র গরম করা হয়
ওরা যেন সেই কাঁটাঝোপের জ্বালানীর মত বিনষ্ট হয়।
10 একজন সৎ লোক তখন খুশী হবে যখন সে দেখবে
তার প্রতি করা অন্যায় কাজের জন্য মন্দ লোকরা শাস্তি পাচ্ছে।
সে সেই রকম সৈনিকের মত হবে যে
তার সমস্ত শত্রুদের পরাজিত করেছে।[a]
11 যখন এটা ঘটবে, তখন লোকে বলবে: “সৎ লোকেরা সত্যিই পুরস্কৃত।
সত্যই একজন ঈশ্বর আছেন যিনি পৃথিবীর বিচার করেন।”
সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: দায়ূদের একটি গীত।
64 ঈশ্বর, আমার কথা শুনুন।
আমার শত্রু আমায় শাসাচ্ছে। আমাকে তার হাত থেকে রক্ষা করুন!
2 শত্রুর গোপন চক্রান্ত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
ঐ মন্দ লোকেদের কাছ থেকে আমায় লুকিয়ে রাখুন।
3 ওরা আমার সম্পর্কে খারাপ ও মিথ্যা কথা বলেছে।
ওদের জিভ তীক্ষ্ণ তরবারির মত, ওদের তিক্ত কথা যেন বিভক্ত তীরের মত।
4 ওদের গোপন ডেরা থেকে ওরা নির্ভয়ে
এবং অতর্কিতে সরল ও সৎ মানুষদের দিকে তীর ছোঁড়ে।
5 মন্দ কাজে ওরা একে অন্যকে উৎসাহিত করে।
ওরা ওদের ফাঁদ পাতার কথাবার্তা বলে, ওরা একে অন্যকে বলে, “কেউ এই ফাঁদ দেখতে পাবে না!”
6 ওরা ওদের ফাঁদ লুকিয়ে রেখেছে।
ওরা জীবন্ত বলিসমূহের সন্ধানে আছে।
মানুষ খুব চতুর হতে পারে, তাই ওরা কি ফন্দি করছে তা জানা মুস্কিল।
7 কিন্তু ঈশ্বরও ওদের দিকে “তীর” নিক্ষেপ করতে পারেন!
এটা জানতে পারার আগেই দুষ্ট লোকরা জখম হয়ে যাবে।
8 মন্দ লোকরা অন্য লোকের খারাপ করারই চিন্তা করে।
কিন্তু ঈশ্বর ওদের দুষ্ট পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে পারেন এবং ঐ কু-পরিকল্পনা ওদের ওপরেই ঘটাতে পারেন।
তখন যারাই ওদের দেখবে
তারা বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে মাথা নাড়াবে।
9 লোকরা দেখবে ঈশ্বর কি করেছেন।
তাঁর সম্পর্কে তারা অন্য লোকদের বলবে।
তখন প্রত্যেকে ঈশ্বর সম্পর্কে আরও বেশী জানতে পারবে।
ওরা তাঁকে ভয় ও শ্রদ্ধা করতে শিখবে।
10 একজন ভালো লোক আনন্দের সঙ্গে প্রভুর সেবা করে
এবং তাঁর ওপর নির্ভর করে।
একজন ভাল ও সৎ লোক ঈশ্বরকে তার অন্তর থেকে প্রশংসা করে।
সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: দায়ূদের একটি প্রশংসা গীত।
65 সিয়োনে বিরাজমান হে ঈশ্বর, আমি আপনার প্রশংসা করি।
আপনাকে যা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তা আমি দিয়েছি।
2 আপনি যে সব কাজ করেছেন সে সম্পর্কে আমরা বলে থাকি।
আপনিও আমাদের প্রার্থনা শুনেছেন।
যারা আপনার কাছে আসে, তাদের প্রত্যেকের প্রার্থনা আপনি শোনেন।
3 যখন আমাদের পাপের ভার অতিরিক্ত বেড়ে যায়,
তখন আপনি সেই পাপ ভার লাঘব করেন।
4 ঈশ্বর, আপনিই আপনার লোকদের মনোনীত করেন।
আপনার মন্দিরে এসে আপনার উপাসনা করার জন্য আপনিই আমাদের মনোনীত করেছেন।
আপনার মন্দিরে, আপনার পবিত্র প্রাসাদে,
যে সব মনোরম জিনিস আছে, তাই দিয়ে আমরা সন্তুষ্ট হব!
5 ঈশ্বর আপনি আমাদের রক্ষা করেন।
ভালো লোকরা আপনার কাছে প্রার্থনা করে এবং আপনি তাদের প্রার্থনার উত্তর দেন।
তাদের জন্য আপনি আশ্চর্য কার্য করেন।
সারা পৃথিবীতে লোকরা আপনাতে আস্থা রাখে।
6 ঈশ্বর তাঁর শক্তি দিয়ে পর্বত সৃষ্টি করেছেন।
আমাদের চারপাশে আমরা তাঁর শক্তিকে দেখতে পাই।
7 উত্তাল সমুদ্রকে ঈশ্বর শান্ত করেছেন।
ঈশ্বরই পৃথিবীতে “জনসমুদ্রসমূহ” সৃষ্টি করেছেন।
8 আপনি যেসব বিস্ময়কর জিনিস করেন, তাতে সারা পৃথিবীর লোক বিস্ময়-বিহ্বল হয়েছে।
সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত আমাদের প্রচণ্ড সুখী করে!
9 আপনিই জমির যত্ন নেন।
আপনিই জমিতে সেচ দেন এবং তাতে ফসল ফলান।
হে ঈশ্বর, আপনিই সেই জন, যিনি নদী ও খালগুলি জলে ভরে দিয়েছেন
এবং ফসল ফলাতে সাহায্য করেছেন।
10 হাল দেওয়া জমিতে আপনিই বৃষ্টি ঝরান।
আপনিই জমিকে জল দিয়ে সিক্ত করেন।
আপনিই বৃষ্টির জল দিয়ে জমিকে নরম করেন
এবং আপনিই কচি চারা জন্মাতে দেন।
11 আপনি ভালো ফসল দিয়ে নতুন বছর শুরু করেন।
আপনি বিভিন্ন ফসল দিয়ে গাড়ীগুলি ভরে দেন।
12 পাহাড় ও মরুভূমি ঘাসে আচ্ছাদিত হয়ে আছে।
13 চারণ ভূমিগুলো মেষে ভরে রয়েছে।
উপত্যকাগুলো ফসলে পরিপূর্ণ হয়েছে।
প্রত্যেকটি মানুষ আনন্দে ধ্বনি দিচ্ছে এবং গান গাইছে।
দায়ূদ ও তাঁর সঙ্গীরা হিব্রোণে গেলেন
2 পরে দায়ূদ প্রভুর কাছ থেকে উপদেশ চাইলেন। দায়ূদ জিজ্ঞাসা করলেন, “আমি কি যিহূদার শহরগুলির কোন একটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব?”
প্রভু দায়ূদকে বললেন, “হ্যাঁ।”
দায়ূদ জিজ্ঞাসা করলেন, “আমি কোথায় যাব?”
প্রভু বললেন, “হিব্রোণে।”
2 তখন দায়ূদ এবং তাঁর দুই স্ত্রী হিব্রোণে রওনা হলেন। (তাঁর স্ত্রীরা ছিলেন যিষ্রিয়েলের অহীনোয়ম এবং কর্ম্মিলের নাবলের বিধবা পত্নী অবীগল।) 3 দায়ূদ তাঁর সঙ্গীগণ এবং তাদের পরিবারকেও সঙ্গে নিলেন। তারা প্রত্যেকে হিব্রোণ এবং নিকটবর্তী শহরগুলিতে বসবাস করতে লাগল।
4 যিহূদার লোকরা হিব্রোণে এসে দায়ূদকে যিহূদার রাজারূপে অভিষিক্ত করল। তারপর তারা দায়ূদকে বলল, “যাবেশ গিলিয়দের লোকরা শৌলকে কবর দিয়েছে।”
5 দায়ূদ যাবেশ গিলিয়দের লোকদের কাছে বার্তাবাহক পাঠালেন। বার্তাবাহকরা যাবেশের লোকদের বলল, “প্রভু তোমাদের আশীর্বাদ করুন কেননা তোমরা তোমাদের গুরু শৌলের ছাই[a] কবর দিয়ে তাঁর প্রতি দয়া দেখিয়েছ। 6 প্রভু তোমাদের প্রতি ন্যায়সঙ্গত আচরণ করবেন এবং সদয় হবেন। আমিও তোমাদের প্রতি সদয় হব। 7 এখন তোমরা শক্তিশালী ও সাহসী হও। তোমাদের মনিব শৌল নিহত হয়েছেন। কিন্তু যিহূদার পরিবারগোষ্ঠী আমাকে তাদের রাজারূপে অভিষিক্ত করেছে।”
ঈশ্ বোশত্ রাজা হলেন
8 নেরের পুত্র অব্নের শৌলের সৈন্যবাহিনীর সেনাপতি ছিলেন। অব্নের শৌলের পুত্র ঈশ্ বোশত্কে মহনয়িমে নিয়ে গেলেন এবং 9 তাকে গিলিয়দ, অশূরীয়, যিষিয়েল, ইফ্রয়িম, বিন্যামীন এবং সারা ইস্রায়েলের রাজা করে দিলেন।
10 ঈশ্ বোশত্ শৌলের পুত্র ছিলেন। যখন তিনি ইস্রায়েলের শাসনভার নেন, তখন তাঁর বয়স 40 বছর। তিনি ইস্রায়েলে দুবছর রাজত্ব করেছিলেন। কিন্তু যিহূদার পরিবারগোষ্ঠী দায়ূদকে অনুসরণ করল। 11 দায়ূদ ছিলেন হিব্রোণের রাজা। দায়ূদ যিহূদার পরিবারগোষ্ঠীর ওপর সাত বছর ছ’মাস শাসনকার্য চালিয়েছিলেন।
পৌল ও বার্ণবা আলাদা হলেন
36 কিছু সময় পর পৌল বার্ণবাকে বললেন, “চল আমরা ফিরে যাই, প্রতিটি শহরে যেখানে আমরা প্রভুর বার্তা প্রচার করেছিলাম, সেইসব জায়গায় গিয়ে দেখি ভাইরা কেমন আছে।”
37 বার্ণবা চাইলেন যেন যোহন অর্থাৎ মার্কও তাঁদের সঙ্গে যান। 38 কিন্তু পৌল ভাবলেন, একবার যে পাম্ফুলিয়াতে তাঁদের ছেড়ে চলে গিয়েছিল, তাকে সঙ্গে না নেওয়াই ভাল। 39 এর ফলে তাঁদেব মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিল। শেষ পর্যন্ত তাঁরা পরস্পর আলাদা হয়ে গেলেন। বার্ণবা মার্ককে সঙ্গে নিয়ে জাহাজে করে কুপ্রের দিকে রওনা দিলেন।
40 পৌল সীলকে সঙ্গে নিলেন। ভাইরা আন্তিয়খিয়াতে প্রভুর সেবার ভার পৌলকে দিলেন। 41 পৌল এবং সীল সুরিয়া ও কিলিকিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে যেতে বিভিন্ন মণ্ডলীকে আরও সুদৃঢ় করলেন।
পৌল ও সীলের সঙ্গে তীমথিয়র যাত্রা
16 পৌল দর্বী ও লুস্ত্রার শহরে গেলেন; সেখানে তীমথিয় নামে একজন খ্রীষ্টানুসারী ছিলেন। তীমথিয়র মা ছিলেন ইহুদী খ্রীষ্টীয়ান, তাঁর বাবা ছিলেন গ্রীক। 2 লুস্ত্রা ও ইকনীয়ের সকল ভাইরা তীমথিয়কে শ্রদ্ধা করত ও তাঁর বিষয়ে সুখ্যাতি করত। 3 পৌল চাইলেন সুসমাচার প্রচারের জন্য যেন তীমথিয় তাঁর সঙ্গে যান। তাই তিনি ঐসব জায়গায় ইহুদীদের সন্তুষ্ট করতে তীমথিয়কে সুন্নত করালেন, কারণ তাঁর বাবা যে গ্রীক একথা সকলে জানত।
4 পরে পৌল ও তাঁর সঙ্গীরা বিভিন্ন শহরের মধ্য দিয়ে যেতে যেতে, সেখানকার বিশ্বাসী ভাইদের কাছে জেরুশালেমের প্রেরিতদের ও প্রাচীনদের নির্ধারিত নির্দেশ জানালেন। 5 এইভাবে মণ্ডলীগুলি বিশ্বাসে দৃঢ় হতে থাকল ও প্রতিদিন সংখ্যায় বৃদ্ধি পেতে থাকল।
হেরোদ ভাবলেন যীশুই যোহন
(মথি 14:1-12; লূক 9:7-9)
14 যীশুর সুনাম চারদিকে এমন ছড়িয়ে পড়েছিল, যে রাজা হেরোদও[a] সে কথা শুনতে পেলেন। কিছু লোক বলল, “বাপ্তিস্মদাতা যোহন বেঁচে উঠেছেন, আর সেইজন্যই তিনি এইসব অলৌকিক কাজ করছেন।”
15 কিন্তু কেউ কেউ বলল, “তিনি এলিয়।”[b]
আবার কেউ কেউ বলল, “তিনি প্রাচীনকালের কোন ভাববাদীর মতোই একালের একজন ভাববাদী।”
16 কিন্তু হেরোদ তাঁর কথা শুনে বললেন, “উনি সেই যোহন, যাঁর মাথা কেটে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলাম, তিনিই আবার বেঁচে উঠেছেন।”
বাপ্তিষ্মদাতা যোহনের মৃত্যু
17 হেরোদ নিজের ভাই ফিলিপের স্ত্রী হেরোদিয়াকে বিয়ে করেছিলেন, সেই জন্য নিজের লোক পাঠিয়ে যোহনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে রেখেছিলেন। 18 কারণ যোহন হেরোদকে বলেছিলেন, “ভাইয়ের স্ত্রীকে নিজের কাছে রাখা ঠিক নয়।” 19 হেরোদিয়া রাগে যোহনকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল, কিন্তু পারে নি। 20 কারণ হেরোদ যোহনকে ধার্মিক এবং পবিত্র লোক জেনে ভয় করতেন, সেইজন্যে তিনি তাঁকে রক্ষা করতেন। তাঁর কথা শুনে তিনি অত্যন্ত বিচলিত হতেন তবুও তাঁর কথা শুনতে ভালবাসতেন।
21 শেষ পর্যন্ত হেরোদিয়া যা চেয়েছিলেন সেই সুযোগ এসে গেল। হেরোদ তাঁর জন্মদিনে প্রাসাদের উচ্চপদস্থ কর্মচারী, সেনাবাহিনীর অধ্যক্ষ ও গালীলের গন্যমান্য নাগরিকদের জন্য নৈশভোজের আয়োজন করলেন; 22 আর হেরোদিয়ার মেয়ে এসে রাজা ও নিমন্ত্রিত অতিথিদের নাচ দেখিয়ে মুগ্ধ করল।
রাজা সেই মেয়েকে বললেন, “আমাকে বল তুমি কি চাও? তুমি যা চাইবে তা-ই দেব।” 23 তিনি শপথ করে আরো বললেন, “আমার কাছে যা চাইবে আমি তাই দেব, এমনকি অর্ধেক রাজ্যও দেব।”
24 তাতে সে বেরিয়ে গিয়ে তার মাকে জিজ্ঞাসা করল, “আমি কি চাইব?”
সে বলল, “বাপ্তিস্মদাতা যোহনের মাথা।”
25 মেয়েটি তাড়াতাড়ি রাজার কাছে ফিরে গেল এবং বলল, “আমার ইচ্ছা যে, আপনি বাপ্তিস্মদাতা যোহনের মাথাটি এনে এখনই থালায়় করে আমাকে দিন।”
26 তাতে রাজা হেরোদ দুঃখ পেলেন: কিন্তু নিজের শপথের জন্য এবং ভোজসভার অতিথিদের জন্য তিনি মেয়েকে ফেরাতে চাইলেন না। 27 তাই রাজা সঙ্গে সঙ্গে একজন সেনাকে যোহনের মাথা কেটে নিয়ে আসতে পাঠালেন। সে কারাগারে গিয়ে তাঁর শিরশ্ছেদ করল, 28 এবং থালায়় করে মাথাটি নিয়ে মেয়েটিকে দিল, মেয়েটি তা তার মাকে দিল। 29 এই সংবাদ শুনে যোহনের শিষ্যরা এসে, তাঁর দেহটিকে নিয়ে গিয়ে কবর দিলেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International