Book of Common Prayer
পরিচালকের প্রতি: দায়ূদের একটি গীত।
40 আমি প্রভুকে ডেকেছিলাম, তিনি তা শুনেছেন।
তিনি আমার ডাক শুনেছেন।
2 তিনি আমাকে কবর থেকে টেনে তুলেছেন।
তিনি আমাকে সেই কাদাময় জায়গা থেকে টেনে তুলেছেন।
তিনি আমায় উদ্ধার করে, আমাকে শক্ত মাটিতে দাঁড় করিয়েছেন।
তিনি আমার পদস্খলন হতে দেন নি।
3 প্রভু আমার মুখে নতুন গান দিয়েছেন,
সেই গান দিয়ে আমি আমার ঈশ্বরের প্রশংসা করি।
বহুলোক দেখতে পাবে আমার কি হবে
এবং তারা ঈশ্বরের উপাসনা করবে। তাঁরা প্রভুকে বিশ্বাস করবে।
4 সেই ধন্য যে প্রভুর উপর বিশ্বাস রাখে।
যদি কেউ অপদেবতা এবং মূর্ত্তির দিকে সাহায্যের জন্য না যায় সে প্রকৃতই সুখী হবে।
5 প্রভু, আমাদের ঈশ্বর, আপনি অনেক আশ্চর্য কার্য করেছেন!
আমাদের জন্য আপনার ভীষণ ভালো পরিকল্পনা আছে।
কোন লোকই তার সব তালিকা করতে পারবে না!
আমি সেই সব জিনিসের কথা বার বার বলবো যা গুনে শেষ করা যায় না।
6 আপনি আমাকে প্রকৃত সত্য বাণী শোনবার কান দিয়েছেন।
হে প্রভু আপনি আমাকে এটা বুঝতে দিয়েছেন।
আপনি প্রকৃতপক্ষে উৎসর্গ বা শস্য নৈবেদ্য কোনটাই চান নি।
আপনি আসলে হোমবলি এবং পাপমোচনের নৈবেদ্যও চান না।
কিন্তু আপনি যা চান তা হল অন্য আরো কিছু।
7 তাই আমি বলেছি, “এই যে আমি, আমায় গ্রহণ করুন।
আমি এসেছি, আমার সম্পর্কে বইতে এমনই লেখা আছে।
8 হে ঈশ্বর, আপনি যা চান, আমি সেইগুলোই করতে চাই।
আমি আপনার শিক্ষামালাগুলো জানতে চাই।”
9 মহাসভায় মানুষের সামনে আমি জয়ের কথা বলেছি।
এবং প্রভু আপনি জানেন, সুসমাচার উচ্চারণ করা থেকে আমি কখনও বিরত হব না।
10 আপনার কৃত মহৎ কীর্তি সম্পর্কে আমি বলেছি।
আমার অন্তরেও আমি সে সব কথা গোপন রাখি নি।
প্রভু আমি লোকদের বলেছি, নিজেদের বাঁচানোর জন্য তারা আপনার ওপর নির্ভর করতে পারে।
আমি মহাসভায় আপনার করুণা ও বিশ্বস্ততা গোপন করি নি।
11 তাই, প্রভু আপনার করুণা আমার কাছে লুকোবেন না!
আপনার করুণা ও বিশ্বস্ততা দিয়ে আমায় রক্ষা করুন।
12 মন্দ লোকরা আমার চারদিকে জড় হয়েছে।
তাদের গুনে শেষ করা যাবে না!
আমি আমার পাপের আবর্ত্তে আটকে পড়েছি।
আমি তা থেকে পালাতে পারছি না।
আমার মাথার চুলের চেয়েও ওদের সংখ্যা বেশী।
আমি সাহস হারিয়েছি।
13 প্রভু আমার কাছে ছুটে আসুন, আমায় বাঁচান!
প্রভু তাড়াতাড়ি এসে আমায় সাহায্য করুন!
14 ঐসব মন্দ লোক আমায় হত্যা করতে চাইছে।
প্রভু ঐসব লোককে হতাশ ও লজ্জিত করুন।
ঐ লোকরা আমায় আঘাত করতে চাইছে।
ওরা যেন লজ্জায় ছুটে পালিয়ে যায়!
15 ঐ মন্দ লোকরা আমায় নিয়ে হাসাহাসি করে।
ঐসব লোক যেন অবমাননায় বোবা হয়ে যায়!
16 কিন্তু তারা, যারা আপনার কাছে আসে যেন সুখী হয় ও আনন্দ পায়।
তারা আপনার হাতে উদ্ধার পেতে ভালবাসে। অতএব তারা বলুক, “প্রভুর প্রশংসা কর!”
17 প্রভু, আমি একজন দরিদ্র ও অসহায় মানুষ।
আমায় সাহায্য করুন, আমায় রক্ষা করুন।
হে আমার ঈশ্বর, আর দেরী করবেন না!
পরিচালকের প্রতি: বাদ্যযন্ত্রসহ দায়ূদের একটি মস্কীল যখন সীফীয়রা এসে শৌলকে বলেছিল, “আমাদের মনে হয় দায়ূদ আমাদের লোকদের মধ্যে লুকিয়ে আছে।”
54 ঈশ্বর, আপনার ক্ষমতা প্রয়োগ করে আমায় রক্ষা করুন।
আমাকে মুক্তি দিতে আপনার পরাক্রম কাজে লাগান।
2 ঈশ্বর আমার প্রার্থনা শুনুন।
আমি যা বলি তা শুনুন।
3 বিদেশী লোকরা যারা ঈশ্বরের উপাসনা করে না তারা আমার দিক থেকে মুখ ফিরিয়েছে।
ঐসব শক্তিশালী লোকরা আমায় হত্যা করার চেষ্টা করছে।
4 দেখ, আমার ঈশ্বর আমায় সাহায্য করবেন।
আমার প্রভু আমায় সহায়তা দেবেন।
5 যারা আমার বিরুদ্ধে গিয়েছে, আমার ঈশ্বর তাদের শাস্তি দেবেন।
ঈশ্বর আমার প্রতি বিশ্বস্ত হবেন এবং ঐসব লোকের বিনাশ করবেন।
6 হে ঈশ্বর, আমি আপনাকে স্বেচ্ছাবলি উৎসর্গ করব।
প্রভু, আমি আপনার নামের প্রশংসা করবো কারণ সেটি এত ভালো!
7 আমি আপনার নামের প্রশংসা করব কারণ আমার সব সঙ্কট থেকে আপনি আমায় রক্ষা করেছেন।
আমি আমার শত্রুদের পরাজিত হতে দেখেছি।
পরিচালকের প্রতি: দায়ূদের গানগুলির মধ্যে একটি গীত। বৎশেবার প্রতি দায়ূদের পাপকর্মের পর ভাববাদী নাথন দায়ূদের কাছে গিয়েছিল। এটা প্রায় সেই সময়ের গীত।
51 আপনার মহান প্রেমময় দয়ার জন্য
এবং আপনার মহান করুণা দিয়ে
আমার সমস্ত পাপসমূহ ধুয়ে মুছে দিন!
2 ঈশ্বর, আমার অপরাধ মুছে দিন, আমার সব পাপ ধুয়ে দিন।
আবার আমায় পাপমুক্ত করে দিন!
3 আমি জানি আমি পাপ করেছি।
সব সময় আমি সেই সব পাপ দেখতে পাই।
4 যে সব কাজকে আপনি গর্হিত বলেন, সেই সব কাজই আমি করেছি।
ঈশ্বর আপনিই সেই পরম এক যার বিরুদ্ধে আমি পাপ করেছি।
এইসব কথা আমি স্বীকার করেছি যাতে মানুষ বোঝে
আমি ভুল কিন্তু আপনি সঠিক।
আপনার সব সিদ্ধান্ত যথাযথ নিরপেক্ষ।
5 আমি পাপের মধ্যে দিয়ে জন্মেছিলাম
এবং পাপের মধ্যেই আমার মা আমায় গর্ভে ধারণ করেছিলেন।
6 হে ঈশ্বর, আপনি চান আমি প্রকৃতভাবে অনুগত হই।
তাই আমার মনের গভীরে প্রকৃত প্রজ্ঞা দান করুন।
7 এসবের দ্বারা আমার সব পাপ মুছে দিন, আমায় পবিত্র করে দিন।
সমস্ত পাপ ধুয়ে দিয়ে আমাকে তুষারের থেকেও শুভ্র করে দিন!
8 আমায় সুখী করুন! আবার কি করে সুখী হতে পারবো তা বলে দিন।
আপনি যে হাড়গুলো চূর্ণবিচূর্ণ করেছেন সেগুলো আবার সুখী হোক্!
9 আমার পাপের দিকে তাকাবেন না!
আমার সব পাপ মুছে দিন!
10 ঈশ্বর আমার মধ্যে বিশুদ্ধ হৃদয় সৃষ্টি করুন!
আমার আত্মাকে আবার শক্তিশালী করুন!
11 আমাকে দূরে ঠেলে দেবেন না!
আমার কাছ থেকে আপনার পবিত্র আত্মাকে সরিয়ে নেবেন না!
12 আপনার সাহায্য আমাকে প্রচণ্ড সুখী করেছে!
সেই আনন্দ আবার আমায় ফিরিয়ে দিন।
আপনার নির্দেশ মান্য করার জন্য, আমার আত্মাকে শক্তিশালী করে দিন।
13 পাপীদের কেমন ধারা জীবনযাত্রা আপনি চান তা আমি ওদের শেখাবো
এবং ওরা আপনার কাছে ফিরে আসবে।
14 ঈশ্বর, মৃত্যুর শাস্তি থেকে আমায় নিষ্কৃতি দিন।
হে আমার ঈশ্বর, আপনিই সেই, যিনি আমায় রক্ষা করেন!
আমার জন্য আপনি যে সব ভালো কাজ করেছেন, তা নিয়ে আমায় গান গাইতে দিন!
15 প্রভু আমার, আপনার সম্মানে আমি মুখ খুলবো এবং আপনার প্রশংসা গান গাইবো!
16 প্রকৃতপক্ষে আপনি কোন বলি চান না।
যদি আপনি চাইতেন আমি তা আপনার উদ্দেশ্যে দিতাম।
তাহলে কেন আপনাকে হোমবলি দেব যা আপনি প্রকৃত পক্ষে চান না!
17 ঈশ্বর যে বলি চান তা হল এক অনুতপ্ত আত্মা।
হে ঈশ্বর, যদি একজন লোক নম্র হৃদয়ে ও বশ্যতার মন নিয়ে আপনার কাছে আসে তাকে আপনি ফিরিয়ে দেবেন না।
18 ঈশ্বর, সিয়োনের প্রতি প্রসন্ন হন ও ভাল ব্যবহার করুন।
জেরুশালেমের প্রাচীর আবার গড়ে দিন,
19 তাহলে আপনি হোমবলি এবং সব উত্তম বলি উপভোগ করতে পারবেন।
লোকরা আবার আপনার বেদীতে ষাঁড় বলি দেবে।
শৌলের মৃত্যু
31 ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পলেষ্টীয়রা জিতে গেল। ইস্রায়েলীয়রা পলেষ্টীয়দের কাছ থেকে পালিয়ে গেল। গিল্বোয় পর্বতের চূড়ায় অনেক ইস্রায়েলীয় মারা গেল। 2 শৌল আর তাঁর পুত্রদের বিরুদ্ধে পলেষ্টীয়রা একটা দুর্দান্ত যুদ্ধ চালিয়েছিল। শৌলের তিন পুত্র যোনাথন, অবীনাদব আর মল্কী-শূয়কে পলেষ্টীয়রা হত্যা করল।
3 যুদ্ধের অবস্থা শৌলের পক্ষে খারাপ থেকে আরও খারাপ হতে লাগল। তীরন্দাজরা তীর ছুঁড়ে শৌলকে গুরুতরভাবে আহত করল। 4 শৌল তাঁর বর্মবহনকারী ভৃত্যকে বললেন, “আমায় তোমার তরবারি দিয়ে মেরে ফেল। তাহলে বিদেশীরা আর আমায় মেরে মজা করতে পারবে না।” কিন্তু ভৃত্য সে কথা শুনলো না। সে বেশ ভয় পেয়ে গিয়েছিল। তাই শৌল নিজের তরবারি দিয়ে নিজেকে হত্যা করলেন।
5 ভৃত্যটি যখন দেখল শৌল মারা গেছে, তখন সেও নিজের তরবারি দিয়ে আত্মহত্যা করল। শৌলের সঙ্গে সেও সেখানে পড়ে রইল। 6 এইভাবে একই দিনে শৌল ও তাঁর তিন পুত্র আর বর্মধারী ভৃত্য একই সঙ্গে মারা গেল।
পলেষ্টীয়রা শৌলের মৃত্যুতে আনন্দ করল
7 উপত্যকার অন্যদিকে বসবাসকারী ইস্রায়েলীয়রা দেখলো ইস্রায়েলীয় সৈন্যরা দৌড়ে পালাচ্ছে। তারা দেখল শৌল আর তার তিন পুত্র মারা গেছে। এবার তারাও শহর ছেড়ে পালাল। তারপর পলেষ্টীয়রা এলো এবং ঐ শহরগুলিতে বসবাস করল।
8 পরদিন পলেষ্টীয়রা মৃতদের দেহ থেকে জিনিস লুঠ করতে চলে গেল। গিল্বোয় পর্বত চূড়ায় এসে তারা শৌল আর তাঁর তিন পুত্রের মৃতদেহ দেখতে পেল। 9 তারা শৌলের মাথাটা কেটে নিল। শৌলের বর্ম নিয়ে নিল। তারা পলেষ্টীয়দের কাছে খবর দিয়ে দিল। তাদের মূর্ত্তিসমূহের মন্দিরেও তারা এই খবর নিয়ে গেল। 10 অষ্টারোৎ মূর্ত্তির মন্দিরে তারা শৌলের বর্ম রেখে দিল। শৌলের দেহ তারা ঝুলিয়ে রাখল বেথ শানের দেওয়ালে।
11 পলেষ্টীয়দের শৌলের প্রতি কৃতকর্মের কথা যাবেশ গিলিয়দের লোকরা জানতে পারলো। 12 সেখানকার সৈন্যরা বৈৎ-শানে গেল। তারা সারা রাত ধরে দৃঢ় পদক্ষেপে অগ্রসর হল। সেখানকার দেওয়াল থেকে তারা শৌলের দেহ তুলে নিল। শৌলের পুত্রদের দেহও তারা নামিয়ে আনল। তারপর তারা দেহগুলো নিয়ে যাবেশে গেল। যাবেশের লোকরা এইসব দেহ দাহ করলো। 13 এদের অস্থিগুলো যাবেশে একটা বিশাল গাছের তলায় তারা কবর দিল। যাবেশের মানুষ সাতদিন উপবাস করে শোক পালন করল।
12 তখন সমস্ত লোক নীরব হয়ে গেল আর বার্ণবা ও পৌলের মাধ্যমে অইহুদীদের মধ্যে ঈশ্বর কি কি অলৌকিক কাজ করেছেন, তাদের কাছ থেকে সে সব ঘটনার কথা শুনল। 13 তাদের কথা বলা শেষ হলে যাকোব বলতে শুরু করলেন, “ভাইরা, আমার কথা শুনুন। 14 অইহুদীদের প্রতি ঈশ্বরের ভালোবাসার কথা আপনারা ভাই শিমোনের মুখে শুনেছেন। এই প্রথম ঈশ্বর অইহুদীদের গ্রহণ করলেন ও তাদের তাঁর প্রজা করে নিলেন। 15 ভাববাদীদের কথাও এর সাথে মেলে যেমন শাস্ত্রে লেখা আছে:
16 ‘এরপর আমি ফিরে আসব,
আর দায়ূদের যে ঘর ভেঙে গেছে,
তা পুনরায় গাঁথব।
আমি তার ধ্বংসস্থান আবার গেঁথে তুলব,
তা নতুন করে স্থাপন করব।
17 যেন মানবজাতির বাকি অংশ প্রভুর অন্বেষণ করে,
আর সমস্ত অইহুদীদের যাদের আমার নামে আহ্বান করা হয়েছে,
তারাও সকলে প্রভুর অন্বেষণ করে।
ঈশ্বর একথা বলেন এবং তিনিই এসব করেছেন।’(A)
18 ‘ঈশ্বর বহুপূর্বেই এই বিষয়গুলি জানিয়েছেন।’[a]
19 “তাই আমার বিচার হল যে অইহুদীদের মধ্য থেকে যাঁরা ঈশ্বরের দিকে ফিরেছে আমরা তাদের কষ্ট দেব না। 20 এর পরিবর্তে আমরা তাদের পত্র লিখে এই কথা জানাবো।
তারা যেন প্রতিমা সংক্রান্ত কোন অশুচি খাদ্য না খায়,
যৌন পাপ কার্য থেকে বিরত থাকে,
গলা টিপে মারা কোন প্রাণীর মাংস না খায় বা রক্ত আস্বাদন না করে।
21 তাদের এবিষয়ে নিবৃত্ত হওয়া প্রয়োজন, কারণ সেই আদিকাল থেকেই প্রতিটি শহরে ইহুদীদের সমাজ-গৃহে এখনও মোশির এমন লোক আছে, যারা তাঁকে অর্থাৎ তাঁর বিধি-ব্যবস্থার কথা প্রচার করে। তাছাড়া প্রতি বিশ্রামবারে ইহুদীদের সমাজ-গৃহে মোশির বিধি-ব্যবস্থা পাঠ করা হয়।”
মৃত বালিকার জীবন লাভ ও অসুস্থ স্ত্রীলোকের আরোগ্য লাভ
(মথি 9:18-26; লূক 8:40-56)
21 পরে যীশু নৌকায় আবার হ্রদ পার হয়ে অন্য পাড়ে এলে অনেক লোক তাঁর কাছে ভীড় করল। তিনি হ্রদের তীরেই ছিলেন। 22 আর সমাজগৃহের নেতাদের মধ্যে যায়ীর নামে এক ব্যক্তি এসে তাঁকে দেখে তাঁর পায়ে পড়লেন 23 এবং অনেক অনুনয় করে তাঁকে বললেন, “আমার মেয়ে মর মর, আপনি এসে মেয়েটির ওপর হাত রাখুন যাতে সে সুস্থ হয় ও বাঁচে।”
24 তখন তিনি তার সঙ্গে গেলেন। বহুলোক তাঁর পেছন পেছন চলল, আর তাঁর চারদিকে ঠেলাঠেলি করতে লাগল।
25 একটি স্ত্রীলোক বারো বছর ধরে রক্তস্রাব রোগে ভুগছিল। 26 অনেক চিকিৎসকের সাহায্য নিয়ে এবং সর্বস্ব ব্যয় করেও এতটুকু ভাল না হয়ে বরং আরো অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।
27 সে যীশুর বিষয় শুনে ভীড়ের মধ্যে তাঁর পিছন দিকে এসে তাঁর পোশাক স্পর্শ করল। 28 সে মনে মনে ভেবেছিল, “যদি কেবল তাঁর পোশাক ছুঁতে পারি, তবেই আমি সুস্থ হব।” 29 আর সঙ্গে সঙ্গে তার রক্তস্রাব বন্ধ হল এবং সে তার শরীরে অনুভব করল যে সেই রোগ থেকে সুস্থ হয়েছে। 30 যীশু সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারলেন যে তাঁর মধ্য থেকে শক্তি বার হয়েছে। তাই ভীড়ের মধ্যে মুখ ফিরিয়ে বললেন, “কে আমার পোশাক স্পর্শ করেছে?”
31 তাঁর শিষ্যেরা তাঁকে বললেন, “আপনি দেখছেন, লোকরা আপনার ওপরে ঠেলাঠেলি করে পড়ছে, তবু বলছেন, ‘কে আমাকে স্পর্শ করল?’”
32 কিন্তু যে এই কাজ করেছে, তাকে দেখবার জন্য তিনি চারদিকে দেখতে লাগলেন। 33 তখন সেই স্ত্রীলোকটি ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে তার প্রতি কি করা হয়েছে তা জানাতে তাঁর পায়ে পড়ল এবং সমস্ত সত্যি কথা তাঁকে বলল। 34 তখন যীশু তাকে বললেন, “তোমার বিশ্বাস তোমাকে ভাল করেছে, শান্তিতে চলে যাও ও তোমার রোগ থেকে সুস্থ থাক।”
35 তিনি এই কথা বলছেন, সেই সময় সমাজগৃহের নেতা যায়ীরের বাড়ি থেকে লোক এসে বলল, “আপনার মেয়ে মারা গেছে, গুরুকে আর কষ্ট দেবার কোন কারণ নেই।”
36 কিন্তু যীশু তাদের কথায় কান না দিয়ে যায়ীরকে বললেন, “ভয় করো না, কেবল বিশ্বাস রাখো।”
37 আর তিনি পিতর, যাকোব ও যাকোবের ভাই যোহনকে ছাড়া আর কাউকে নিজের সঙ্গে যেতে দিলেন না। 38 পরে তাঁরা সমাজগৃহের নেতার বাড়িতে এসে দেখলেন সেখানে গোলমাল হচ্ছে, কেউ কেউ শোকে চিৎকার করে কাঁদছে ও বিলাপ করছে। 39 তিনি ভিতরে গিয়ে তাদের বললেন, “তোমরা গোলমাল করছ ও কাঁদছ কেন? মেয়েটি তো মরে নি, সে ঘুমিয়ে আছে।” 40 এতে তারা তাঁকে উপহাস করল।
কিন্তু তিনি সকলকে বাইরে বার করে দিয়ে, মেয়েটির বাবা, মা ও নিজের শিষ্যদের নিয়ে যেখানে মেয়েটি ছিল সেখানে গেলেন। 41 আর মেয়েটির হাত ধরে বললেন, “টালিথা কুমী!” যার অর্থ “খুকুমনি, আমি তোমাকে বলছি ওঠ!” 42 মেয়েটি সঙ্গে সঙ্গে উঠে হেঁটে বেড়াতে লাগল। তার বয়স তখন বারো বছর ছিল। তাই দেখে তারা সকলে খুব আশ্চর্য হয়ে গেল। 43 পরে তিনি তাদের এই দৃঢ় আদেশ দিলেন যাতে কেউ এটা জানতে না পারে; আর মেয়েটিকে কিছু খেতে দিতে বললেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International