Book of Common Prayer
পরিচালকের প্রতি: দায়ূদের একটি গীত।
31 প্রভু, আমি আপনার ওপর নির্ভর করি।
আমাকে হতাশ করবেন না।
আমার প্রতি সদয় হোন এবং আমায় রক্ষা করুন।
2 হে ঈশ্বর, আমার কথা শুনুন।
শীঘ্রই আপনি এসে আমায় রক্ষা করুন।
আপনি আমার নিরাপদ আশ্রয় হোন।
আপনি আমার নিরাপদ দুর্গ হোন এবং আমায় সুরক্ষিত করুন!
3 ঈশ্বর, আপনিই আমার শিলা;
তাই, আপনার নামের স্বার্থে আমায় পরিচালিত করুন।
4 আমার শত্রুরা আমার সামনে এক ফাঁদ পেতে রেখেছে।
ওদের ফাঁদ থেকে আমায় উদ্ধার করুন।
আপনিই আমার নিরাপদ আশ্রয়।
5 প্রভু, আপনিই সেই ঈশ্বর যাকে আমরা বিশ্বাস করতে পারি।
আমার জীবন আমি আপনার হাতে সমর্পণ করলাম।
আমায় উদ্ধার করুন!
6 যারা মূর্ত্তিসমূহের পূজা করে, তাদের আমি ঘৃণা করি।
আমি একমাত্র প্রভুকেই বিশ্বাস করি।
7 হে ঈশ্বর, আপনার করুণায় আমি খুব খুশী।
আপনি আমার দুর্ভোগ দেখেছেন।
আমার যে সব সমস্যা ছিল তাও আপনি জানেন।
8 আপনি আমাকে আমার শত্রুদের হস্তগত করবেন না।
ওদের ফাঁদ থেকে আপনি আমায় মুক্ত করবেন।
9 প্রভু, আমার অসংখ্য সমস্যা আছে।
তাই আমার প্রতি সদয় হন।
আমি মানসিকভাবে এমন বিপর্যস্ত যে কেঁদে কেঁদে আমার চোখ ব্যথা করছে।
আমার গলা ও পেট জ্বালা করছে।
10 আমার জীবন দুঃখে শেষ হতে চলেছে।
দীর্ঘশ্বাস ফেলতে ফেলতে আমার বছরগুলি কাটছে।
আমার সংকটগুলি আমার সব শক্তিকে কেড়ে নিচ্ছে।
আমার সব শক্তি, আমায় ত্যাগ করছে।[a]
11 শত্রুরা আমায় ঘৃণা করছে।
আমার প্রতিবেশীরাও আমায় ঘৃণা করছে।
সমস্ত আত্মীয়রা আমার সঙ্গে রাস্তায় দেখা করে।
তারা আমাকে ভয় পায় এবং এড়িয়ে চলে।
12 হারিয়ে যাওয়া যন্ত্রপাতির মত
লোকরা আমাকে ভুলে গেছে।
13 লোকরা আমার সম্পর্কে যে সব ভয়ঙ্কর কথা বলে, তা আমি শুনি।
ঐসব লোক আমার বিরুদ্ধে গেছে।
ওরা আমায় মেরে ফেলার চক্রান্ত করেছে।
14 হে প্রভু, আমি আপনাতে আস্থা রাখি।
আপনিই আমার ঈশ্বর।
15 আমার জীবন আপনার হাতে রয়েছে।
আমার শত্রুদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
কিছু লোক আমায় তাড়া করছে।
ওদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
16 দয়া করে আপনার দাসকে অভ্যর্থনা করুন এবং গ্রহণ করুন।
আমার প্রতি সদয় হোন এবং আমাকে রক্ষা করুন!
17 প্রভু, আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করেছি,
তাই আমি হতাশ হবো না,
মন্দ লোকেরা হতাশ হবে।
ওরা নীরবে কবরে যাবে।
18 ঐসব মন্দ লোক নিজেদের সম্পর্কে বড়াই করে
এবং সৎ লোকেদের সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলে।
ঐসব মন্দ লোকেরা প্রচণ্ড উদ্ধত।
কিন্তু যে মুখ দিয়ে ওরা মিথ্যা কথা বলে তা নীরব হয়ে যাবে।
19 হে ঈশ্বর, আপনার অনুগামীদের জন্য আপনি অনেক ভালো জিনিষ বাঁচিয়ে রেখেছেন।
যারা আপনাকে বিশ্বাস করে তাদের জন্য সকলের সামনেই আপনি ভাল কাজ করেন।
20 সৎ লোকদের আঘাত করার জন্য মন্দ লোকরা একসঙ্গে জড় হয়।
ঐসব মন্দ লোক লড়াই শুরু করতে চায়।
কিন্তু আপনি সেই সব সৎ লোকদের লুকিয়ে রাখেন এবং তাদের রক্ষা করেন।
আপনার নিজের আশ্রয়ে আপনি তাদের রক্ষা করেন।
21 প্রভু ধন্য! সারা শহর যখন শত্রুদের দ্বারা বেষ্টিত,
তখন তিনি আমার প্রতি, তাঁর আশ্চর্য করুণা দেখিয়েছেন।
22 আমি ভীত হয়ে বলেছিলাম, “আমি এমন এক জায়গায় রয়েছি সেখানে ঈশ্বরও আমাকে দেখতে পাবেন না।”
কিন্তু হে ঈশ্বর, আপনার সাহায্য চেয়ে আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করেছিলাম এবং আপনি আমার উচ্চস্বরের প্রার্থনা শুনেছিলেন।
23 হে ঈশ্বরের অনুগামীরা, তোমরা অবশ্যই প্রভুকে ভালোবেসো!
যারা প্রভুর প্রতি নিষ্ঠাবান, প্রভু তাদের রক্ষা করেন।
কিন্তু যারা নিজের ক্ষমতা নিয়ে দম্ভ করে প্রভু তাদের শাস্তি দেন।
তারা তাদের প্রাপ্য শাস্তি পায়।
24 তোমরা যারা প্রভুর সাহায্যের জন্য প্রতীক্ষা করছো, তারা সাহসী হও, শক্তিশালী হও!
দায়ূদের একটি গীত।
35 হে প্রভু, আমার বিরোধীপক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করুন!
যারা আমার সঙ্গে যুদ্ধ করেছে তাদের সঙ্গে আপনি যুদ্ধ করুন!
2 প্রভু, ঢাল এবং বর্ম তুলে নিন।
উঠুন এবং আমায় সাহায্য করুন।
3 বর্শা এবং বল্লম হাতে তুলে নিন
এবং যারা আমার বিরুদ্ধে রয়েছে তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করুন।
হে প্রভু আমার আত্মাকে বলুন, “আমি তোমায় উদ্ধার করবো।”
4 কিছু লোক আমাকে হত্যা করতে চাইছে।
ওদের পরাজিত এবং লজ্জিত করুন।
এমন করুন যেন ওরা পিছন ফিরে পালিয়ে যায়।
ওরা আমায় আঘাত করার চক্রান্ত করছে।
ওদের পরাজিত ও নাস্তানাবুদ করে ছাড়ুন।
5 ওদের তুষের মত বাতাসে উড়িয়ে দিন।
প্রভুর দূত যেন ওদের ধাওয়া করে।
6 প্রভু ওদের পথ অন্ধকারময় এবং পিচ্ছিল করে দিন।
প্রভুর দূত যেন ওদের তাড়া করে।
7 আমি ওদের কাছে কোন ভুল কাজ করিনি কিন্তু ঐসব লোক আমাকে ফাঁদে ফেলতে চাইছে।
সম্পূর্ণ বিনা কারণে ওরা আমায় ফাঁদে ফেলতে চাইছে।
8 তাই প্রভু, ওদের নিজেদের ফাঁদেই ওদের ফেলুন।
নিজেদের জালেই ওরা হোঁচট খাক্।
কোন অজানা বিপদ যেন ওদের উপরে বর্তায়।
9 তখন আমি প্রভুতে আনন্দ করবো।
তিনি যখন আমায় উদ্ধার করবেন তখন আমি সুখী হবো।
10 আমার সমস্ত সত্ত্বা দিয়ে আমি বলব, “প্রভু আপনার মত কেউই নেই।
শক্তিশালী লোকেদের হাত থেকে আপনি একজন দুর্বল লোককে বাঁচিয়েছেন।
আপনি একজন দরিদ্র লোককে উদ্ধার করেন
যার কাছ থেকে লোকে চুরি করতে চেষ্টা করে।”
11 একদল মিথ্যা সাক্ষী আমায় আঘাত করবার জন্য পরিকল্পনা করছে।
ওরা আমায় নানা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবে। আমি কিন্তু জানি না ওরা কি বিষয়ে বলছে।
12 আমি কেবলমাত্র ভাল কাজই করেছি।
কিন্তু ওরা আমার প্রতি খারাপ কাজই করবে।
প্রভু, যে রকম ভালো জিনিস আমার প্রাপ্য তা আমায় দিন।
13 যখন ওরা অসুস্থ হয়েছিলো, আমি ওদের জন্য দুঃখ পেয়েছিলাম।
উপবাসের মাধ্যমে আমি সেই দুঃখ প্রকাশ করেছি।
ওদের জন্য প্রার্থনা করে এটাই কি আমার প্রাপ্য?
14 ঐসব লোকদের জন্য আমি দুঃখের পোশাক পরেছিলাম এবং ওদের আমি আমার বন্ধুর মত, এমন কি ভাইয়ের মত দেখেছিলাম।
মায়ের মৃত্যুর পর যে লোকটা কাঁদে আমি তার মতই দুঃখিত ছিলাম।
ওদের দুঃখের কারণে আমি কালো কাপড় পরেছিলাম এবং দুঃখে মাথা নত করে আমি হাঁটাচলা করতাম।
15 কিন্তু যখন আমি একটু ভুল করলাম, ওরা আমায় উপহাস করলো।
ওরা আসলে প্রকৃত বন্ধু ছিল না।
আমি ওদের চিনতামও না, কিন্তু চারিদিক থেকে ওরা আমায় ঘিরেছিল এবং আক্রমণ করেছিল।
16 অত্যন্ত খারাপ ভাষায় ওরা আমায় বিদ্রূপ করেছে।
ওরা আমার বিরুদ্ধে ক্রোধ দেখিয়ে দাঁত কিড়মিড় করে।
17 হে আমার প্রভু, আর কতদিন আপনি এইসব খারাপ ঘটনা ঘটতে শুধুই দেখে যাবেন?
ওরা আমায় ধ্বংস করতে চাইছে।
হে প্রভু, আমার জীবন রক্ষা করুন।
আমার প্রিয় জীবনকে ওদের থেকে রক্ষা করুন। ওরা সিংহের মত হিংস্র।
18 প্রভু মন্দিরের মহাসমাজে আমি আপনার প্রশংসা করবো।
সেই বলবান জনতার সামনে আমি আপনার প্রশংসা করবো।
19 ঐসব শত্রুকে কোন কারণেই আমাকে ঘৃণা করতে অথবা পরাজিত করতে দেবেন না।
আমাকে ওদের বিদ্রূপের পাত্র হতে দেবেন না।
ওদের গোপন পরিকল্পনার জন্য ওরা অবশ্যই শাস্তি পাবে।
20 আমার শত্রুরা প্রকৃতপক্ষে শান্তির জন্য পরিকল্পনা করছে না।
ওরা দেশের শান্তিপ্রিয় লোকদের বিরুদ্ধে অনিষ্টকর কাজ করার জন্য গোপনে পরিকল্পনা করছে।
21 শত্রুরা আমার সম্পর্কে বাজে কথা বলে চলেছে।
ওরা মিথ্যা কথা বলে, ওরা বলে “হ্যাঁ হ্যাঁ জানি, তুমি কি করছো।”
22 হে প্রভু আপনি অবশ্যই দেখতে পাচ্ছেন প্রকৃতপক্ষে কি ঘটছে।
তাই, চুপ করে থাকবেন না।
আমায় ছেড়ে যাবেন না।
23 প্রভু, উঠুন! জাগুন!
হে আমার প্রভু, আমার ঈশ্বর, আমার জন্য লড়াই করুন, আমাকে ন্যায় বিচার দিন।
24 প্রভু, আমার ঈশ্বর, আপনার নিরপেক্ষতা দিয়ে আমার বিচার করুন।
ঐ লোকগুলোকে আমার প্রতি বিদ্রূপ করতে দেবেন না।
25 ওরা যেন বলতে না পারে, “হ্যাঁ! এইতো আমরা যা চেয়েছি, তাই পেয়েছি!”
ওরা যেন বলতে না পারে, “আমরা ওকে ধ্বংস করেছি!”
26 আমি আশা করি, আমার সব শত্রু লজ্জিত ও অপমানিত হবে।
যখন আমার কিছু খারাপ হয়েছিল, তখন ওরা খুব খুশী হয়েছিল।
ওরা ভেবেছিলো ওরা আমার থেকে বেশী ভালো!
তাই, ওই সব লোক যেন লজ্জা ও অবমাননায় ঢেকে যায়।
27 কিছু লোক চায় আমার ভালো হোক্। আমি আশা করি, ওরা প্রচণ্ড সুখী হবে!
ওরা সব সময় বলে, “প্রভু মহান!
যা তাঁর দাসের পক্ষে মঙ্গলকর, তিনি তাই চান।”
28 তাই হে প্রভু, আমি লোকদের বলি, আপনি কত ভাল।
প্রতিদিনই আমি আপনার প্রশংসা করি।
যাজক অহীমেলকের সঙ্গে দায়ূদ দেখা করতে গেলেন
21 দায়ূদ চলে গেলেন। যোনাথন শহরে ফিরে এলো। দায়ূদ নোব শহরে যাজক অহীমেলকের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন।
অহীমেলক দায়ূদের সঙ্গে দেখা করতে বেরিয়ে এলেন। তিনি তো ভয়ে কাঁপছিলেন। তিনি দায়ূদকে জিজ্ঞেস করলেন, “কি ব্যাপার, তুমি একা কেন? তোমার সঙ্গে কাউকে দেখছি না কেন?”
2 দায়ূদ বললেন, “রাজা আমাকে একটি বিশেষ আদেশ দিয়েছেন। তিনি আমাকে বলেছেন, ‘এই আসার উদ্দেশ্য নিয়ে তুমি কাউকে কিছু জানাবে না। আমি তোমাকে কি বলছি কেউ যেন জানতে না পারে।’ আমার লোকদের বলছি কোথায় ওরা আমার সঙ্গে দেখা করবে। 3 এখন বলো, তোমার সঙ্গে কি খাবার আছে? তোমার কাছে থাকলে পাঁচটি গোটা রুটি আমাকে দাও, না হলে অন্য কিছু খেতে দাও।”
4 যাজক বললেন, “আমার কাছে তো সাধারণ কোন রুটি নেই, কিন্তু পবিত্র রুটি আছে। তোমার লোকরা তা খেতে পারে, অবশ্য যদি কোন নারীর সঙ্গে তাদের যৌন সম্পর্ক না থেকে থাকে।”
5 দায়ূদ যাজককে বললেন, “না, এরকম কোন ব্যাপার নেই। যুদ্ধে যাবার সময় এবং সাধারণ কাজের সময়ও তারা তাদের দেহগুলিকে শুদ্ধ রাখে। তাছাড়া এখন আমরা একটি বিশেষ কাজে এসেছি, সুতরাং অশুদ্ধ থাকার প্রশ্নই ওঠে না।”
6 পবিত্র রুটি ছাড়া সেখানে অন্য কোন রুটি ছিল না। যাজক দায়ূদকে তা-ই দিলেন। এই রুটিই তারা প্রভুর সামনে পবিত্র টেবিলে রেখে দিত। প্রতিদিন তারা এগুলো বদলে টাটকা রুটি রেখে দিত।
7 সেদিন সেখানে শৌলের একজন অনুচর উপস্থিত ছিল। সে ছিল ইদোম বংশীয়, তার নাম দোয়েগ। সে ছিল শৌলের প্রধান মেষপালক। দোয়েগকে সেখানে প্রভুর সামনে রাখা হয়েছিল।
8 দায়ূদ অহীমেলককে জিজ্ঞেস করলেন, “তোমার কাছে কি বল্লম বা তরবারি কিছু একটা আছে? রাজার কাজটা জরুরি তাই তাড়াতাড়িতে আমি সঙ্গে কোনো তরবারি বা অস্ত্রশস্ত্র আনি নি।”
9 যাজক বললেন, “এখানে তো মাত্র একটাই তরবারি আছে, সেটা পলেষ্টীয় গলিয়াতের তরবারি। তুমি এলা উপত্যকায় তাকে হত্যা করার সময় ওর হাত থেকেই এটা কেড়ে নিয়েছিলে। ওটা কাপড়ে মুড়ে এফোদের পেছনে রাখা আছে। ইচ্ছা হলে এটা তুমি নিয়ে যেতে পারো।”
দায়ূদ বললেন, “ওটাই তুমি আমাকে দাও। গলিয়াতের তরবারির মতো তরবারি আর কোথাও পাওয়া যাবে না।”
দায়ূদ এক শত্রুর কাছ থেকে পালিয়ে গাতে গেলেন
10 সেদিন শৌলের কাছ থেকে দায়ূদ পালিয়ে গেলেন। তিনি গাতের রাজা আখীশের কাছে গেলেন। 11 আখীশের অনুচররা এটা ভাল মনে করলো না। তারা বলল, “ইনি হচ্ছেন দায়ূদ, ইস্রায়েলের রাজা। এঁকে নিয়েই ওদের লোকেরা গান গায়। ওরা নেচে নেচে এই গানটা করে:
“দায়ূদ মেরেছে শত্রু অযুতে অযুতে
শৌল তো কেবল হাজারে হাজারে।”
12 তাদের কথাগুলো দায়ূদ বেশ মন দিয়ে শুনলেন। গাতের রাজা আখীশকে তিনি ভয় করতে লাগলেন। 13 শেষে আখীশ ও তার অনুচরদের সামনে দায়ূদ পাগলের ভান করলেন। ওদের কাছে তিনি ইচ্ছে করে পাগলামি করতে লাগলেন। তিনি দরজায় থুতু ছিটাতে লাগলেন। তাঁর দাড়ি দিয়ে থুতু গড়াতে দিলেন।
14 আখীশ তার অনুচরদের বলল, “আরে লোকটাকে দেখো, সত্যি মাথা খারাপ। একে আমার কাছে এনেছ কেন? 15 আমার আশপাশে যথেষ্ট পাগল রয়েছে। আমার কাছে ঐ জাতীয় লোক আর বেশী আনার দরকার নেই। এটাকে আবার আমার বাড়িতে ঢুকিও না।”
পৌল এবং বার্ণবার কুপ্রীয় ত্যাগ
13 পৌল ও তাঁর সঙ্গীরা পাফঃ থেকে জলপথে রওনা দিয়ে পাম্ফুলিয়ার পর্গাতে এলেন, কিন্তু যোহন তাঁদের ছেড়ে জেরুশালেমে ফিরে গেলেন। 14 তাঁরা পর্গা থেকে আবার যাত্রা শুরু করে পিষিদিয়ার আন্তিয়খিয়ায় এসে উপস্থিত হলেন।
এক বিশ্রামবারে পৌল ও বার্ণবা ইহুদীদের এক সমাজ-গৃহে গিয়ে বসলেন। 15 মোশির বিধি-ব্যবস্থা এবং ভাববাদীদের গ্রন্থ থেকে পাঠ করা হলে পরে সমাজ-গৃহের অধ্যক্ষ তাদের বলে পাঠালেন, “ভাইরা, লোকদের কাছে শিক্ষা দেবার ও উৎসাহ যোগাবার মত যদি আপনাদের কিছু থাকে তবে এগিয়ে এসে তা বলুন।”
16 তখন পৌল উঠে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে বলতে থাকলেন, “হে ইস্রায়েলী লোকেরা ও অইহুদীরা, আপনারা যাঁরা সত্য ঈশ্বরের উপাসনা করেন তারা আমার কথা শুনুন। 17 এই ইস্রায়েলীয়দের ঈশ্বর আমাদের পিতৃপুরুষদের মনোনীত করেছিলেন, আর মিশর দেশে প্রবাসীরূপে থাকার সময় তিনি আমাদের লোকদের উন্নত করেছিলেন। সেই দেশ থেকে ঈশ্বর মহাপরাক্রমে তাদের বার করে আনলেন। 18 প্রায় 40 বছর ধরে প্রান্তরের মধ্যে ঈশ্বর তাদের সব রকমের ব্যবহার সহ্য করলেন। 19 তিনি কনানের সাতটি জাতিকে উচ্ছেদ করে সেইসব জাতির দেশ ইস্রায়েলীয়দের দিলেন। 20 এইভাবে প্রায় চারশো পঞ্চাশ বছর কেটে গেল।
“এরপর ভাববাদী শমূয়েলের সময় পর্যন্ত ঈশ্বর কয়েকজন বিচারক দিলেন; 21 তারপর তারা একজন রাজা চাইলে বিন্যামীন গোষ্ঠীর কীশের ছেলে শৌলকে ঈশ্বর দিলেন, যে চল্লিশ বছর ধরে তাদের ওপর রাজত্ব করল। 22 পরে তিনি তাকে সরিয়ে, দায়ূদকে তাদের রাজা করলেন। ঈশ্বর তাঁর বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়ে বললেন, ‘আমি যিশয়ের ছেলে দায়ূদকে পেয়েছি, সে আমার মনের মত লোক। আমি তাকে যা করতে বলব সে তা করবে।’
23 “দায়ূদের বংশে ঈশ্বর তাঁর প্রতিশ্রুতি অনুসারে ইস্রায়েলের জন্য এক ত্রাণকর্তা আনলেন, তিনি যীশু। 24 তাঁর আসার আগে যোহন সমস্ত ইস্রায়েল জাতির কাছে মন-ফিরানোর এক বাপ্তিস্ম ঘোষণা করলেন। 25 যোহন তাঁর কাজের শেষের দিকে বলতেন, ‘আমি কে, তোমরা কি মনে কর? আমি সেই খ্রীষ্ট নই। আমার পর যিনি আসছেন, তাঁর জুতোর ফিতে খোলার যোগ্যতাও আমার নেই।’
বহু মানুষ যীশুর অনুগামী হলেন
7 যীশু তাঁর শিষ্যদের নিয়ে গালীল হ্রদের দিকে গেলেন। গালীল, যিহূদিয়া, জেরুশালেম, ইদোম এমন কি যর্দন নদীর অপর পারে সোর ও সীদোন থেকে বহুলোক তাঁদের পিছনে পিছনে এল। 8 তিনি যে সমস্ত অলৌকিক কাজ করেছিলেন তা শুনে এই বিশাল জনতা তাঁর কাছে এসেছিল।
9 যাতে ভীড়ের চাপ তাঁর ওপরে না পড়ে, তাই তিনি শিষ্যদের তাঁর জন্য একটা ছোট নৌকা প্রস্তুত রাখতে বললেন। 10 তিনি বহু লোককে সুস্থ করেছিলেন, তাই সমস্ত রোগী তাঁকে স্পর্শ করার জন্য ঠেলাঠেলি করছিল। 11 অশুচি আত্মায় পাওয়া রোগীরা তাঁকে দেখতে পেলেই তাঁর পায়ের সামনে পড়ে চেঁচিয়ে বলত, “আপনি ঈশ্বরের পুত্র!” 12 কিন্তু তিনি তাদের কঠোরভাবে তিরস্কার করতেন যাতে তারা তাঁর পরিচয় না দেয়।
যীশু বারোজন প্রেরিতকে মনোনীত করলেন
(মথি 10:1-4; লূক 6:12-16)
13 তারপর তিনি পাহাড়ের ওপরে উঠে নিজের ইচ্ছামতো কিছু লোককে কাছে ডাকলে তাঁরা তাঁর কাছে এলেন। 14 আর তিনি বারোজনকে প্রেরিত পদে নিয়োগ করলেন যেন তাঁরা তাঁর সাথে সাথে থাকে এবং বাক্য প্রচারের জন্য যেন তিনি তাঁদের পাঠাতে পারেন। 15 তাঁদের তিনি ভূত ছাড়াবার ক্ষমতাও দিলেন। 16 তিনি যে বারোজনকে মনোনীত করেন তাঁদের নাম
শিমোন যাকে তিনি নাম দিলেন পিতর;
17 যাকোব যিনি সিবদিয়ের ছেলে এবং যাকোবের ভাই যোহন; (যাদের তিনি নাম দিয়েছিলেন, বোনেরগশ যার অর্থ “মেঘধ্বনির পুত্র।”)
18 আন্দ্রিয়,
ফিলিপ,
বর্থলময়,
মথি,
থোমা,
আলফেয়ের ছেলে যাকোব,
থদ্দেয়,
দেশ-ভক্ত,[a] দলের শিমোন
19 এবং যিহূদা ঈষ্করিয়োতীয় (যে যীশুকে শত্রুর হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল।)
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International