Book of Common Prayer
পরিচালকের প্রতি: দায়ূদের একটি গীত।
20 যখন তুমি সংকটের মধ্যে থাকো, তখন প্রভু যেন তোমার ডাকে সাড়া দেন।
যাকোবের ঈশ্বর তোমায় সেগুলো অতিক্রম করতে সাহায্য করুন।
2 ঈশ্বর তাঁর পবিত্রস্থান থেকে তোমায় সাহায্য করুন।
সিয়োন পর্বত থেকে তিনি যেন তোমায় সাহায্য করেন।
3 তোমার দেওয়া সকল উৎসর্গ ঈশ্বর স্মরণে রাখুন।
তোমার দেওয়া সকল নৈবেদ্য যেন তিনি গ্রহণ করেন।
4 তুমি যা চাও, ঈশ্বর যেন তাই মঞ্জুর করেন।
তিনি যেন তোমার সব পরিকল্পনা সফল করেন।
5 ঈশ্বর যখন তোমাকে সাহায্য করেন তখন আমরা আনন্দ করব।
এস, আমরা তাঁর নামের প্রশংসা করি।
তুমি যা চাও প্রভু যেন তোমাকে তার সব কিছুই দেন!
6 এখন আমি জেনেছি, প্রভু তাঁর মনোনীত রাজাকে সাহায্য করেন!
প্রভু তাঁর পবিত্র স্বর্গলোকে বিরাজিত ছিলেন
এবং তাঁর মনোনীত রাজাকে তিনি উত্তর দিয়েছিলেন।
7 কিছু লোক তাদের রথের ওপর নির্ভর করেছিল।
কিছু লোক তাদের সৈন্যদের ওপর নির্ভর করেছিল।
কিন্তু আমরা স্মরণে রেখেছিলাম আমাদের প্রভু ঈশ্বরকে।
8 সেই সব লোকগুলো পরাজিত হয়েছে, তারা যুদ্ধে মারা গেছে।
কিন্তু আমরা জিতেছি! আমরা বিজয়ী হয়েছি!
9 প্রভু তাঁর মনোনীত রাজাকে রক্ষা করেছেন!
ঈশ্বরের মনোনীত রাজা সাহায্য চাইলো। প্রভু তার উত্তর দিলেন!
পরিচালকের প্রতি: দায়ূদের একটি গীত।
21 প্রভু, আপনার শক্তি রাজাকে সুখী রাখে।
আপনি যখন তাকে রক্ষা করেন তখন সে অত্যন্ত খুশী হয়।
2 রাজা যা যা চেয়েছিল, আপনি তাকে তাই দিয়েছেন।
প্রভু, রাজা কিছু চেয়েছিল এবং আপনি তাকে ঠিক তাই দিয়েছেন সে যা চেয়েছিল।
3 প্রভু, সত্যিই আপনি রাজাকে আশীর্বাদ করেছেন।
আপনিই তার মাথায় সোনার মুকুট পরিয়ে দিয়েছেন।
4 ঈশ্বর, রাজা আপনার কাছে জীবন চেয়েছিলো, আপনি তাকে তাই দিয়েছেন!
আপনি তাকে দীর্ঘ জীবন দিয়েছেন, যা যুগ যুগ ধরে চলছে।
5 আপনি রাজাকে জয়ের পথে পরিচালিত করেছেন এবং তাকে মহান গৌরব এনে দিয়েছেন।
আপনি তাকে সম্মান এবং প্রশংসা দিয়েছেন।
6 ঈশ্বর, সত্যিই আপনি রাজাকে চিরদিনের জন্য আশীর্বাদ করেছেন।
যখন রাজা আপনার মুখ দর্শন করে, তখন সে ভীষণ খুশী হয়।
7 রাজা প্রভুর ওপর আস্থা রাখে।
হে পরাৎপর, তাকে হতাশ করবেন না।
8 হে ঈশ্বর, আপনি আপনার শত্রুদের দেখাবেন যে আপনি শক্তিমান।
যারা আপনাকে ঘৃণা করে, আপনার শক্তি তাদের পরাজিত করবে।
9 হে প্রভু, আপনি যখন রাজার সঙ্গে থাকেন,
তখন সে একটা জ্বলন্ত চুল্লির মত যা সব কিছুকেই পুড়িয়ে দেয়।
তার ক্রোধ লেলিহান আগুনের মত জ্বলতে থাকে
এবং সে শত্রুদের বিনাশ করে।
10 আর তার শত্রুদের পরিবারসমূহ ধ্বংস হয়ে যাবে।
তারা এই পৃথিবী থেকে সরে যাবে।
11 কেন? কারণ ঐসব লোক প্রভু, আপনার বিরুদ্ধে খারাপ কাজের ফন্দি এঁটেছিল
কিন্তু তারা সফল হতে পারে নি।
12 প্রভু, ঐসব লোককে আপনি আপনার ক্রীতদাস করে রেখেছেন।
আপনি ওদের একসঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধেছেন।
আপনি ওদের গলায় দড়ি পরিয়েছেন।
আপনি ওদের ক্রীতদাসের মত মাথা নত করিয়েছেন।
13 প্রভু, আমরা আপনার মহত্বের গৌরব-গাথা গাইবো!
হে প্রভু, আপনার বিরাটত্বে আপনি মহিমান্বিত হউন!
দায়ূদের প্রশংসা গীতগুলির অন্যতম।
110 প্রভু আমার মনিবকে বলেছেন,
“যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তোমার শত্রুকে তোমার অধীনে না এনে দিই ততক্ষণ আমার ডান দিকে বস।”
2 প্রভু তোমার রাজ্য বাড়াতে সাহায্য করবেন, তোমার রাজ্য সিয়োনে শুরু হবে
যতদিন পর্যন্ত তুমি তোমার শত্রুদের তাদের নিজেদের রাজ্যে শাসন করবে, ততদিন তা বাড়তে থাকবে।
3 যখন আপনি আপনার সৈন্যদের একত্রিত করবেন,
তখন আপনার লোকরা স্বেচ্ছায় আপনার সঙ্গে যোগ দেবে।
ওরা ওদের বিশেষ পোশাক পরে অতি প্রত্যুষে মিলিত হবে।
জমিতে পড়া শিশির কণার মত ওই তরুণরা আপনার চারদিকে থাকবে।
4 প্রভু একটা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন
এবং তিনি তাঁর মত পরিবর্তন করবেন না।
“তুমি চিরদিনের জন্য একজন যাজক, একটি বিশিষ্ট রীতির যাজকের মত,
যেমন মল্কীষেদক ছিল সেইরকম।”
5 আমার প্রভু আপনার ডান দিকে রয়েছে।
যখন তিনি ক্রুদ্ধ হন তখন তিনি অন্যান্য রাজাদের পরাজিত করেন।
6 ঈশ্বর জাতি সকলের বিচার করবেন।
জমিটি মৃতদেহে ঢেকে যাবে
এবং ঈশ্বর শক্তিশালী জাতির নেতাদের শাস্তি দেবেন।
7 রাস্তার ধারের ঝর্ণা থেকে রাজাকে জল পান করতে হবে।
তারপর সে বিজয়ী হয়ে তার মাথা তুলবে!
116 প্রভু যখন আমার প্রার্থনা শোনেন,
তখন আমার ভালো লাগে।
2 আমি যখন সাহায্যের জন্য ডাকি
তখন তিনি আমার কথা শুনলে আমার ভালো লাগে।
3 আমি প্রায় মৃত হয়ে গিয়েছিলাম!
আমার চার দিকে মৃত্যুর দড়িগুলো জড়ানো ছিল।
কবর আমার ওপর ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে আসছে।
আমি সংকটযুক্ত ও দুঃখিত হলাম।
4 তখন আমি প্রভুর নামকে আমন্ত্রণ করলাম।
আমি বলেছিলাম: “প্রভু, আমায় রক্ষা করুন!”
5 প্রভু মঙ্গলময় এবং করুণাময়।
ঈশ্বর দয়াময়।
6 প্রভু অসহায় মানুষের যত্ন নেন।
আমি সহায়হীন ছিলাম, প্রভু আমায় রক্ষা করেছেন।
7 হে আমার আত্মা, তোমার বিশ্রামের স্থানে ফিরে এস!
প্রভু তোমার সম্পর্কে যত্ন নেবেন।
8 হে ঈশ্বর, আপনি আমার আত্মাকে মৃত্যু থেকে রক্ষা করেছেন
এবং আপনি আমার অশ্রু নিবারণ করেছেন।
আপনি আমায় পতন থেকে রক্ষা করেছেন।
9 জীবিতদের রাজ্যে, আমি প্রভুর সেবা অব্যাহত রাখব।
10 যখন আমি বলেছি, “আমি ধ্বংস হয়ে গেছি”
তখনও আমি বিশ্বাস করে চলেছি।
11 হ্যাঁ, যখন আমি বিমর্ষ ছিলাম,
তখন বলেছিলাম, “সব লোকই মিথ্যাবাদী।”
12 আমি প্রভুকে কি আর দিতে পারি?
আমার যা কিছু আছে সবই প্রভু দিয়েছেন!
13 তিনি আমায় রক্ষা করেছেন,
তাই আমি তাঁকে পেয় নৈবেদ্য উৎসর্গ করবো।
আমি প্রভুর নাম আমন্ত্রণ করবো।
14 যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, প্রভুকে আমি তা দেবো।
আমি এখন তাঁর সকল লোকের সামনে যাবো।
15 প্রভুর অনুগামীদের একজনের মৃত্যু প্রভুর কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রভু, আমি আপনার একজন দাস!
16 আমি আপনার দাস,
আমি আপনারই এক দাসীর সন্তান।
প্রভু, আপনিই আমার প্রথম শিক্ষক ছিলেন!
17 আমি আপনাকে ধন্যবাদ উৎসর্গ করবো।
আমি প্রভুর নাম স্মরণ করবো।
18 যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি প্রভুকে আমি তা দেবো।
আমি এখন তাঁর সকল লোকের সামনে যাবো।
19 আমি জেরুশালেমের মন্দিরে যাবো।
প্রভুর প্রশংসা কর।
117 তোমরা জাতিসকল, প্রভুর প্রশংসা কর।
তোমরা সব লোকেরা, প্রভুর প্রশংসা কর।
2 প্রভু আমাদের খুব ভালোবাসেন!
এবং প্রভু চিরদিনই আমাদের প্রতি সৎ থাকবেন।
প্রভুর প্রশংসা কর!
31 কয়েক জন লোক দায়ূদকে কথা বলতে দেখল। তারা দায়ূদকে শৌলের কাছে নিয়ে গেলো। শৌলকে তারা বলল, দায়ূদ কি বলেছিল। 32 দায়ূদ শৌলকে বললেন, “লোকরা যেন গলিয়াতকে নিরুৎসাহিত করে না দেয়। আমি তোমার ভৃত্য। আমি এই পলেষ্টীয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই।”
33 শৌল বললেন, “তুমি তা করতে পারো না। তুমি তো একজন সৈনিকও নও।[a] আর গলিয়াৎ তো ছোটবেলা থেকেই যুদ্ধ করছে।”
34 তখন দায়ূদ শৌলকে বললেন, “আমি তোমার ভৃত্য, পিতার মেষগুলোর দেখাশুনা করছিলাম। একটা সিংহ আর একটা ভাল্লুক পাল থেকে একটা মেষ নিয়ে গেল। 35 আমি ঐ জন্তুটার পেছনে ধাওয়া করে ওটার মুখ থেকে মেষটাকে টেনে বার করে নিয়ে এলাম। জন্তুটা আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল। তখন আমি ওর দাড়ি ধরে টেনে জোরে এমন আঘাত করলাম যে সেটা মরে গেল। 36 একটা সিংহ আর একটা ভাল্লুককে আমি শেষ করে দিয়েছি। এরপর আমি এই বিদেশী গলিয়াতকে ওদের মতোই হত্যা করব। গলিয়াৎ মরবেই কারণ সে জীবন্ত ঈশ্বরের সৈন্যবাহিনীকে নিয়ে ঠাট্টা তামাশা করেছে। 37 প্রভু আমাকে সিংহ আর ভাল্লুকের হাত থেকে বাঁচিয়েছেন। এই পলেষ্টীয়দের হাত থেকে তিনি আমায় রক্ষা করবেন।”
শৌল দায়ূদকে বললেন, “তবে যাও। প্রভু তোমার সহায় হোন।” 38 এই বলে শৌল তাঁর পোশাক দায়ূদকে পরিয়ে দিলেন। ওর মাথায় চড়িয়ে দিলেন পিতলের শিরস্ত্রাণ আর দেহে দিলেন পিতলের বর্ম। 39 দায়ূদ কোমরে তরবারি নিলেন। একটু ঘুরে ফিরে বেড়িয়ে দেখলেন সব ঠিক আছে কি না। তিনি শৌলের পোশাকটা পরার চেষ্টা করলেন কিন্তু তিনি এমন ভারী জিনিস পরতে অভ্যস্ত ছিলেন না।
তাই তিনি শৌলকে বললেন, “আমি এইসব জিনিস নিয়ে লড়াই করতে পারব না। আমি ওগুলোতে অভ্যস্ত নই।” তারপর তিনি ওগুলো সব খুলে ফেললেন। 40 তারপর তিনি তাঁর বেড়ানোর ছড়িটা হাতে নিয়ে নদীর ধারে গিয়ে পাঁচটা নিটোল নুড়ি পাথর তুলে নিলেন। সেগুলো তিনি মেষপালকের থলেতে রাখলেন। হাতে গুলতি নিয়ে গেলেন গলিয়াতের মুখোমুখি হতে।
দায়ূদ গলিয়াতকে হত্যা করলেন
41 পলেষ্টীয় ধীরে ধীরে দায়ূদের দিকে এগিয়ে এলো। গলিয়াতের অস্ত্রবাহক ঢাল নিয়ে ওর আগে-আগে চললো। 42 দায়ূদকে দেখে গলিয়াৎ হাসলো। সে দেখল দায়ূদ ঠিক সৈন্য নয়, কিন্তু লাল মুখো একজন সুদর্শন বালক। 43 গলিয়াৎ দায়ূদকে জিজ্ঞাসা করল, “এই লাঠিটা কিসের জন্য? তুমি কি এটা দিয়ে কুকুরের মতো আমায় তাড়াবে?” এই বলে সে তার দেবতাদের নাম নিয়ে দায়ূদকে গালমন্দ করতে লাগল। 44 গলিয়াৎ বলল, “আয় তোর দেহটাকে নিয়ে পাখি আর জানোয়ারদের খাওয়াই।”
45 দায়ূদ পলেষ্টীয়কে বললেন, “তুমি তো তরবারি, বর্শা, বল্লম নিয়ে আমার কাছে এসেছ। কিন্তু আমি এসেছি সর্বশক্তিমান প্রভুর নাম নিয়ে। এই প্রভুই ইস্রায়েলীয় সৈন্যদের ঈশ্বর। তুমি তাঁকে নিয়ে অনেক অকথা কুকথা বলেছ। 46 আজ প্রভুর দয়ায় আমি তোমাকে পরাজিত করব। তোমাকে আজ আমি হত্যা করব। তোমার মুণ্ড কেটে নিয়ে জন্তু জানোয়ারদের আর পাখীদের খাওয়াব। শুধু তুমি নয়, সব পলেষ্টীয়দের ঐ একই অবস্থা করব। তখন পৃথিবীর সমস্ত মানুষ জানবে, ইস্রায়েলে একজন ঈশ্বর আছেন। 47 এখানে যারা এসেছে তারা সবাই জানবে যে মানুষকে বাঁচাতে প্রভুর কোন তরবারি বা বল্লমের দরকার হয় না। এটাতো প্রভুরই যুদ্ধ। পলেষ্টীয়দের হারাতে প্রভুই আমাদের সহায়ক।”
48 গলিয়াৎ দায়ূদকে আক্রমণ করতে উদ্যত হল। সে একটু একটু করে দায়ূদের কাছে ঘেঁষে এল। তখন দায়ূদ ওর দিকে ছুটে গেলেন।
49 দায়ূদ থলে থেকে একটা পাথর বের করলেন। সেটাকে তাঁর গুলতির মধ্যে রেখে তিনি ছুঁড়লেন। গুলতি থেকে পাথরটি ছিটকে গিয়ে একেবারে গলিয়াতের দু চোখের মাঝখানে পড়ে ওর মাথার ভেতর অনেকখানি ঢুকে গেল। গলিয়াৎ মুখ থুবড়ে মাটিতে পড়ে গেল।
পিতর জেরুশালেমে ফিরলেন
11 যিহূদিয়ার প্রেরিতরা এবং বিশ্বাসী ভাইরা শুনতে পেলেন যে অইহুদীরাও ঈশ্বরের শিক্ষা গ্রহণ করেছে। 2 পিতর যখন জেরুশালেমে এলেন, তখন কিছু ইহুদী সম্প্রদায়ের খ্রীষ্ট বিশ্বাসী তাঁর সমালোচনা করতে লাগল। 3 তারা বলল, “দেখ, তুমি যারা ইহুদী নয় এবং যাদের সুন্নত হয় নি তাদের ঘরে গিয়েছিলে, এমনকি সেখানে খাওয়া-দাওয়া করেছিলে!”
4 তখন পিতর তাদের আগের সব ঘটনা বিস্তারিতভাবে জানিয়ে বললেন, 5 “আমি যাফো শহরে প্রার্থনা করছিলাম, সেই সময় ভাবাবিষ্ট অবস্থায় এক দর্শন পেলাম। আমি দেখলাম, একটা বড় চাদরের মত কিছু, তার চারটি খুঁট ধরে আকাশ থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। তা আমার কাছে এলে 6 আমি ভালোভাবে লক্ষ্য করে দেখলাম তার মধ্যে ভূচর গৃহপালিত পশু, সকল হিংস্র বন্য জন্তু, সরীসৃপ ও আকাশের পাখিরা আছে। 7 তখন আমি এক রব শুনতে পেলাম যা আমায় বলছে, ‘পিতর ওঠ, এদের মেরে খাও!’
8 “কিন্তু আমি বললাম, ‘না, প্রভু এ হতে পারে না! কারণ অপবিত্র অশুদ্ধ কোন কিছু কখনও আমি খাই না!’
9 “আকাশ থেকে সেই রব দ্বিতীয় বার ভেসে এল, ‘ঈশ্বর যা শুদ্ধ করেছেন তুমি তা অপবিত্র বলো না।’
10 “এইভাবে তিনবার সেই রব শোনা গেল, পরে সে সব আবার আকাশে টেনে তুলে নেওয়া হল, 11 আর আমি যেখানে ছিলাম সেই বাড়িতে তখনই তিন জন লোক এল। তাদের কৈসরিয়া থেকে আমার কাছে পাঠানো হয়েছিল; 12 আর আত্মা আমায় বললেন কোনরকম দ্বিধা না করে তুমি ওদের সঙ্গে যাও। এই ছ’জন ভাইও আমার সঙ্গে গিয়েছিলেন; আর আমরা কর্ণীলিয়াসের বাড়িতে গেলাম। 13 তিনি কিভাবে একজন স্বর্গদূতকে তাঁর বাড়িতে দাঁড়াতে দেখেছিলেন তা আমাদের জানালেন। সেই স্বর্গদূত তাঁকে বললেন, ‘যাফোতে লোকদের পাঠাও; সেখান থেকে শিমোন, যাকে পিতর বলে, তাকে আমন্ত্রণ দিয়ে আনাও। 14 তিনি এসে যে সব কথা বলবেন তারই দ্বারা তুমি ও তোমার গৃহের সকলে উদ্ধার লাভ করবে।’
15 “আমি যখন কথা বলতে শুরু করলাম, পবিত্র আত্মা তখন তাদের ওপর নেমে এলেন, যেমন শুরুতে আমাদের ওপর এসেছিলেন। 16 এরপর প্রভু যা বলেছিলেন তা আমার মনে পড়ল। প্রভু যীশু বলেছিলেন, ‘যোহন জলে বাপ্তাইজ করছেন, কিন্তু তোমরা পবিত্র আত্মায় বাপ্তাইজিত হবে।’ 17 আমরা প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে বিশ্বাস করলে ঈশ্বর আমাদের যে দান দিয়েছিলেন, তেমনি তারা বিশ্বাসী হলে ঈশ্বর তাদের সমান বরদান করলেন, সেক্ষেত্রে আমি কি ঈশ্বরের কাজে বাধাদান করতে পারি? না!”
18 ইহুদী বিশ্বাসীরা যখন এইসব কথা শুনল, তারা তর্ক থামিয়ে দিয়ে ঈশ্বরের প্রশংসা করতে করতে বলল, “তাহলে আমাদেরই মত অইহুদীদেরও ঈশ্বর জীবন লাভ করার জন্য মন-ফিরানোর সুযোগ দিলেন!”
গালীলে যীশুর কাজ শুরু
(মথি 4:12-17; লূক 4:14-15)
14 যোহন কারাগারে বন্দী হবার পর যীশু গালীলে গেলেন; আর সেখানে তিনি ঈশ্বরের সুসমাচার প্রচার করলেন। 15 যীশু বললেন, “সময় এসে গেছে; ঈশ্বরের রাজ্য খুব কাছে। তোমরা পাপের পথ থেকে মন ফেরাও এবং ঈশ্বরের সুসমাচারে বিশ্বাস কর।”
যীশু কিছু শিষ্য মনোনীত করলেন
(মথি 4:18-22; লূক 5:1-11)
16 গালীল হ্রদের পাশ দিয়ে যেতে যেতে যীশু শিমোন এবং তার ভাই আন্দ্রিয়কে হ্রদে জাল ফেলতে দেখলেন, কারণ তাঁরা মাছ ধরতেন। 17 যীশু তাঁদের বললেন, “ওহে তোমরা আমার সঙ্গে এস, আমি তোমাদের মাছ নয়, ঈশ্বরের জন্য মানুষ ধরতে শেখাব।” 18 আর তখনই শিমোন এবং আন্দ্রিয় তাঁদের জাল ফেলে রেখে যীশুকে অনুসরণ করলেন।
19 এরপর তিনি কিছুটা দূর গালীল হ্রদের পাশ দিয়ে এগিয়ে গেলে সিবদিয়ের ছেলে যাকোব ও তার ভাই যোহনকে দেখতে পেলেন। তাঁরা তাঁদের নৌকায় বসে জাল ঠিক করছিলেন। 20 যীশু তাঁদের ডাকলেন, তাঁরাও সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের বাবা সিবদিয়কে ভাড়াটে মজুরদের সঙ্গে নৌকায় রেখে যীশুর সঙ্গে চললেন।
এক অশুচি আত্মাগ্রস্ত লোকের আরোগ্যলাভ
(লূক 4:31-37)
21 এরপর তাঁরা কফরনাহূম শহরে গেলেন। পরদিন শনিবার সকালে, অর্থাৎ বিশ্রামবারে তিনি সমাজ-গৃহে গিয়ে লোকদের শিক্ষা দিতে শুরু করলেন। 22 যীশুর শিক্ষা শুনে সবাই আশ্চর্য হলেন, কারণ তিনি ব্যবস্থার শিক্ষকের মতো নয় কিন্তু সম্পূর্ণ কর্ত্তৃত্ব সম্পন্ন ব্যক্তির মতোই শিক্ষা দিতেন। 23 সেই সমাজ-গৃহে হঠাৎ অশুচি আত্মায় পাওয়া এক ব্যক্তি চেঁচিয়ে বলল, 24 “হে নাসরতীয় যীশু! আপনি আমাদের কাছে কি চান? আপনি কি আমাদের ধ্বংস করতে এসেছেন? আমি জানি আপনি কে, আপনি ঈশ্বরের সেই পবিত্র ব্যক্তি!”
25 কিন্তু যীশু তাকে ধমক দিয়ে বললেন, “চুপ কর! এই লোকটার ভেতর থেকে বেরিয়ে এসো!” 26 সঙ্গে সঙ্গে সেই অশুচি আত্মা ঐ লোকটাকে দুমড়ে মুচড়ে প্রচণ্ড জোরে চিৎকার করে লোকটির মধ্যে থেকে বেরিয়ে এল।
27 এতে প্রত্যেকে অবাক হয়ে নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে লাগল, “এ কি ব্যাপার? এটা কি একটা নতুন শিক্ষা? সম্পূর্ণ কর্ত্তৃত্বের সঙ্গে তিনি শিক্ষা দেন, এমনকি অশুচি আত্মাদের আদেশ করেন এবং তারা তাঁর আদেশ মানে।” 28 আর গালীলের সমস্ত অঞ্চলে তাঁর কথা ছড়িয়ে পড়ল।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International