Book of Common Prayer
93 প্রভুই রাজা।
তিনি রাজকীয় এবং শক্তিমান পোশাকে সজ্জিত।
তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে এই বিশ্বকে তার আপন জায়গায় স্থাপন করেছেন
এবং এটাকে নাড়ানো হবে না।
2 হে ঈশ্বর, আপনার রাজত্ব চিরদিন ধরে রয়েছে।
ঈশ্বর আপনার অস্তিত্ব অনাদিকাল থেকে রয়েছে।
3 প্রভু, নদীর গর্জন প্রচণ্ড তীব্র।
উচ্চকিত ঢেউ প্রচণ্ড গর্জনশীল।
4 সমুদ্রের উচ্চকিত ঢেউ প্রচণ্ড তীব্র ও গর্জনশীল।
কিন্তু উর্দ্ধে অবস্থিত প্রভু তার থেকেও বেশী শক্তিশালী।
5 প্রভু আপনার বিধি চিরদিন বজায় থাকবে।
আপনার পবিত্র মন্দিরের অস্তিত্ব দীর্ঘকালের জন্য বজায় থাকবে।
96 প্রভু যা কিছু নতুন করেছেন তার জন্য একটা নতুন গান গাও!
সারা পৃথিবীকে প্রভুর উদ্দেশ্যে গেয়ে উঠতে দাও।
2 প্রভুর উদ্দেশ্যে গান গাও এবং তাঁর নামকে ধন্য কর!
আনন্দ সংবাদ ছড়িয়ে দাও! যিনি প্রতিদিন আমাদের রক্ষা করেন তাঁর কথা বল!
3 লোকেদের বল যে ঈশ্বর সত্যিই বিস্ময়কর।
ঈশ্বর যে সব আশ্চর্য কার্য করেন তা সর্বত্র মানুষকে বল।
4 প্রভু মহান এবং প্রশংসার যোগ্য।
অন্য যে কোন “দেবতার” চেয়ে তিনি অনেক বেশী ভয়ঙ্কর।
5 অন্যান্য সমস্ত জাতির “দেবতা” মূর্ত্তিমাত্র।
কিন্তু প্রভু স্বর্গ সৃষ্টি করেছেন।
6 তাঁর সামনে অনুপম মহিমা ভাস্বর হয়ে ওঠে।
ঈশ্বরের পবিত্র মন্দিরে শক্তি ও সৌন্দর্য্য দুই-ই আছে।
7 হে পরিবার ও জাতিগণ, প্রশংসার গান কর
এবং প্রভুকে মহিমান্বিত কর।
8 প্রভুর নামের প্রশংসা কর।
তোমাদের নৈবেদ্য নাও এবং মন্দিরে যাও।
9 তোমাদের পবিত্র পোশাকে প্রভুর সামনে নত হও।
পৃথিবীর সমগ্র জনগণ, তাঁর উপস্থিতিতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাও।
10 জাতিগণের মধ্যে ঘোষণা করে দাও যে প্রভু রাজা!
তাহলে বিশ্ব ধ্বংস হবে না।
অতএব প্রভু ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে লোকদের বিচার করেন।
11 হে স্বর্গলোক—সুখী হও! হে পৃথিবী—উল্লসিত হও!
সমুদ্র এবং সমুদ্রে যা কিছু রয়েছে তোমরা সবাই আনন্দে চিৎকার করে ওঠো!
12 ক্ষেতগুলি এবং সেখানে যা কিছু জন্মেছে, সুখী হও!
হে অরণ্যের বৃক্ষরাশি, তোমরা গান গাও ও সুখী হও!
13 খুশী হও, কারণ প্রভু আসছেন।
পৃথিবীকে শাসন[a] করার জন্য প্রভু আসছেন।
ন্যায় বিচার ও সত্যপথে তিনি পৃথিবীকে শাসন করবেন।
দায়ূদের একটি গীত। যখন থেকে দায়ূদ পাগলের মত আচরণ করেছিলেন যাতে অবীমেলক তাঁকে দূর করে দেন। এইভাবে দায়ূদ তাঁকে ছেড়ে চলে যান।
34 সর্বদা আমি প্রভুকে ধন্যবাদ জানাই।
আমার মুখ সর্বদাই তাঁর প্রশংসা করে।
2 হে বিনীত লোকরা, যখন আমি প্রভুর সম্পর্কে বড়াই করি
তোমরা শোন এবং সুখী হও।
3 আমার সঙ্গে সঙ্গে ঈশ্বরের প্রশংসা কর।
এসো আমরা তাঁর নামের সম্মান করি।
4 আমি ঈশ্বরের কাছে সাহায্যের জন্য গিয়েছিলাম এবং তিনি শুনেছেন।
যা কিছু আমি ভয় করতাম, তা থেকে তিনি আমায় উদ্ধার করেছেন।
5 সাহায্যের জন্য ঈশ্বরের দিকে চাও,
তিনি তোমায় গ্রহণ করবেন।
লজ্জিত হয়ো না।[a]
6 এই দরিদ্র মানুষটি প্রভুকে ডেকে সাহায্য প্রার্থনা করে।
প্রভু আমার কথা শুনেছেন
এবং সব সমস্যা থেকে তিনি আমায় রক্ষা করেছেন।
7 যারা প্রভুকে অনুসরণ করে, প্রভুর দূত এসে তাদের চারিদিকে শিবির স্থাপন করেন।
প্রভুর দূত তাদের রক্ষা করেন।
8 প্রভু কতখানি ভালো তা দেখাবার জন্য প্রভুর স্বাদ গ্রহণ কর।
যে প্রভুর ওপর নির্ভর করে সে সত্যিই সুখী হয়।
9 তোমরা প্রভুর পবিত্র অনুগামীরা, প্রভুকে শ্রদ্ধা কর।
কারণ অনুগামীদের কাছে প্রত্যেকটি জিনিস আছে যা তাদের প্রয়োজন।
10 বলবান লোকরাও ক্ষুধার্ত এবং দুর্বল হয়ে পড়বে।
কিন্তু যারা ঈশ্বরের কাছে সাহায্যের জন্য যাবে, তারা সব ভালো জিনিসই পাবে।
11 শিশুরা, আমার কথা শোন,
আমি তোমাদের শিখিয়ে দেবো কেমন করে প্রভুকে শ্রদ্ধা করতে হয়।
12 যদি কেউ জীবনকে ভালোবাসে
এবং দীর্ঘ ও ভালো জীবনযাপন করতে চায়,
13 তাহলে, সেই ব্যক্তি যেন মন্দ কথা না বলে,
সে যেন মিথ্যা কথা না বলে।
14 খারাপ কাজ করা বন্ধ করে দাও! ভালো কাজ কর।
শান্তির জন্য কাজ কর। যতক্ষণ না শান্তি পাও, ততক্ষণ তার পেছনে ছুটে বেড়াও।
15 ভালো লোকদের প্রভু রক্ষা করেন।
তিনি তাদের প্রার্থনা শোনেন।
16 কিন্তু যারা খারাপ কাজ করে প্রভু তাদের বিরোধী।
তিনি তাদের সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেন!
17 প্রভুর কাছে প্রার্থনা কর এবং তিনি তোমার কথা শুনবেন
এবং সব সংকট থেকে তিনি তোমায় উদ্ধার করবেন।
18 যখন সংকট আসে তখন কয়েকজন দম্ভ করা থেকে বিরত হয়।
প্রভু সেই সব ভগ্ন হৃদয় লোকের কাছাকাছি থাকেন এবং তাদের উদ্ধার করেন।
19 ভালো লোকদের অনেক সমস্যা হতে পারে,
কিন্তু প্রত্যেকটা সমস্যা থেকে প্রভু তাদের উদ্ধার করবেন।
20 তাদের প্রত্যেকটি হাড় প্রভু রক্ষা করবেন।
তাদের একটি হাড়ও ভাঙবে না।
21 দুষ্ট লোকদের শয়তানি
তাদের ক্রমশঃ ধ্বংস করবে।
22 প্রভু তাঁর দাসদের আত্মাকে রক্ষা করেন।
যারা তাঁর ওপর নির্ভর করে তিনি তাদের বিনষ্ট হতে দেবেন না।
শেষ আঘাতের স্বর্গদূতগণ
15 পরে আমি স্বর্গে আর একটি মহত্ ও বিস্ময়কর চিহ্ন দেখলাম। সপ্তম স্বর্গদূতকে সপ্ত আঘাত নিয়ে আসতে দেখলাম। এগুলিই শেষতম আঘাত। এই আঘাতগুলির দ্বারা ঈশ্বরের মহাক্রোধের অবসান হবে।
2 এরপর আমি অগ্নিমিশ্রিত কাঁচের সমুদ্রের মত কিছু একটা দেখলাম। যারা সেই পশু, তার মূর্তি ও তার নামের সংখ্যাকে জয় করেছে, তারা ঈশ্বরের দেওয়া বীনা হাতে ধরে সেই কাঁচের সমুদ্রের তীরে দাঁড়িয়ে ছিল। 3 তারা ঈশ্বরের দাস মোশির গীত ও মেষশাবকের গীত গাইছিল:
“হে প্রভু ঈশ্বর ও সর্বশক্তিমান,
মহত্ ও আশ্চর্য তোমার ক্রিয়া সকল,
হে জাতিবৃন্দের রাজন!
ন্যায় ও সত্য তোমার পথ সকল।
4 হে প্রভু, কে না তোমার নামের প্রশংসা করবে?
কারণ তুমিই একমাত্র পবিত্র।
সমস্ত জাতি তোমার সামনে
এসে তোমার উপাসনা করবে,
কারণ তোমার ন্যায়সঙ্গত কাজ প্রকাশিত হয়েছে।”
5 এরপর আমি স্বর্গের মন্দির, ঈশ্বরের পবিত্র উপস্থিতির তাঁবু দেখলাম। মন্দিরটি খোলা ছিল। 6 সেই সাতজন স্বর্গদূত যাঁদের ওপর শেষ সাতটি হানবার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা সেই মন্দির থেকে বাইরে এলেন। তাঁরা শুচি শুভ্র মসীনার পোশাক পরিহিত, তাঁদের বুকে সোনার ফিতে বাঁধা। 7 পরে সেই চার প্রাণীর মধ্য থেকে একজন ঐ সাতজন স্বর্গদূতদের হাতে একে একে তুলে দিলেন সাতটি সোনার বাটি, সেগুলি যুগপর্যায়ে যুগে যুগে জীবন্ত ঈশ্বরের রোষে পরিপূর্ণ। 8 তাতে ঈশ্বরের মহিমা ও পরাক্রম হতে উৎপন্ন ধোঁয়ায়় মন্দিরটি পরিপূর্ণ হল। আর সেই সপ্ত স্বর্গদূতদের সপ্ত আঘাত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ মন্দিরের মধ্যে প্রবেশ করতে পারল না।
কে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ
(মার্ক 9:33-37; লূক 9:46-48)
18 সেই সময় যীশুর শিষ্যরা তাঁর কাছে এসে বললেন, “প্রভু, স্বর্গরাজ্যের মধ্যে শ্রেষ্ঠ কে?”
2 তখন যীশু একটি শিশুকে ডেকে তাঁদের মধ্যে দাঁড় করিয়ে বললেন, 3 “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যতদিন পর্যন্ত না তোমাদের মনের পরিবর্তন ঘটিয়ে এই শিশুদের মতো হবে, ততদিন তোমরা কখনই স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে না। 4 তাই, যে কেউ নিজেকে নত-নম্র করে শিশুর মতো হয়ে ওঠে, সেই স্বর্গরাজ্যের মধ্যে শ্রেষ্ঠ।
5 “আর যে কেউ এরকম কোন সামান্য সেবককে আমার নামে গ্রহণ করে, সে আমাকেই গ্রহণ করে।
পাপের বিষয়ে যীশুর সতর্কতা
(মার্ক 9:42-48; লূক 17:1-2)
6 “এই রকম নম্র মানুষদের মধ্যে যারা আমাকে বিশ্বাস করে, তাদের কারও বিশ্বাসে যদি কেউ বিঘ্ন ঘটায়, তবে তার গলায় ভারী একটা যাঁতা বেঁধে সমুদ্রের অতল জলে তাকে ডুবিয়ে দেওয়াই তার পক্ষে ভাল হবে। 7 ধিক্ এই জগত সংসার! কারণ এখানে কত রকমেরই না প্রলোভনের জিনিস আছে। প্রলোভন জগতে থাকবে ঠিকই, কিন্তু ধিক্ সেই মানুষকে যার দ্বারা তা আসে।
8 “তাই তোমার হাত কিংবা পা যদি তোমার প্রলোভনে পড়ার কারণ স্বরূপ হয়, তবে তা কেটে ফেলো। দুহাত ও পা নিয়ে নরকের অনন্ত আগুনে পড়ার চেয়ে বরং নুলো বা খোঁড়া হয়ে অনন্ত জীবনে প্রবেশ করা ভাল। 9 তোমার চোখ যদি তোমাকে প্রলোভনের পথে টেনে নিয়ে যায়, তবে তা উপড়ে ফেলে দিও। দুচোখ নিয়ে নরকের আগুনে পড়ার চেয়ে বরং কানা হয়ে অনন্ত জীবনে প্রবেশ করা তোমার পক্ষে ভাল।
যীশু হারিয়ে যাওয়া ভেড়ার দৃষ্টান্ত দিলেন
(লূক 15:3-7)
10 “দেখো, তোমরা আমার এই নম্র মানুষদের মধ্যে একজনকেও তুচ্ছ করো না, কারণ আমি তোমাদের বলছি যে স্বর্গে তাদের স্বর্গদূতেরা সব সময় আমার স্বর্গীয় পিতার মুখের দিকে চেয়ে আছেন। 11 [a]
12 “তোমরা কি মনে কর? যদি কোন লোকের একশোটি ভেড়া থাকে, আর তার মধ্যে যদি একটা ভুল পথে চলে যায় তবে সে কি নিরানব্বইটাকে পাহাড়ের ধারে রেখে দিয়ে সেই হারানো ভেড়াটা খুঁজতে যাবে না? 13 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যখন সে সেই ভেড়াটা খুঁজে পায় তখন যে নিরানব্বইটা ভুল পথে যায় নি, তাদের চেয়ে যেটা হারিয়ে গিয়েছিল তাকে ফিরে পেয়ে সে বেশী আনন্দ করে। 14 ঠিক সেই ভাবে, তোমাদের পিতা যিনি স্বর্গে আছেন, তিনি চান না, যে এই ছোটদের মধ্যে একজনও হারিয়ে যায়।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International