Book of Common Prayer
পরিচালকের প্রতি: দায়ূদের একটি গীত।
31 প্রভু, আমি আপনার ওপর নির্ভর করি।
আমাকে হতাশ করবেন না।
আমার প্রতি সদয় হোন এবং আমায় রক্ষা করুন।
2 হে ঈশ্বর, আমার কথা শুনুন।
শীঘ্রই আপনি এসে আমায় রক্ষা করুন।
আপনি আমার নিরাপদ আশ্রয় হোন।
আপনি আমার নিরাপদ দুর্গ হোন এবং আমায় সুরক্ষিত করুন!
3 ঈশ্বর, আপনিই আমার শিলা;
তাই, আপনার নামের স্বার্থে আমায় পরিচালিত করুন।
4 আমার শত্রুরা আমার সামনে এক ফাঁদ পেতে রেখেছে।
ওদের ফাঁদ থেকে আমায় উদ্ধার করুন।
আপনিই আমার নিরাপদ আশ্রয়।
5 প্রভু, আপনিই সেই ঈশ্বর যাকে আমরা বিশ্বাস করতে পারি।
আমার জীবন আমি আপনার হাতে সমর্পণ করলাম।
আমায় উদ্ধার করুন!
6 যারা মূর্ত্তিসমূহের পূজা করে, তাদের আমি ঘৃণা করি।
আমি একমাত্র প্রভুকেই বিশ্বাস করি।
7 হে ঈশ্বর, আপনার করুণায় আমি খুব খুশী।
আপনি আমার দুর্ভোগ দেখেছেন।
আমার যে সব সমস্যা ছিল তাও আপনি জানেন।
8 আপনি আমাকে আমার শত্রুদের হস্তগত করবেন না।
ওদের ফাঁদ থেকে আপনি আমায় মুক্ত করবেন।
9 প্রভু, আমার অসংখ্য সমস্যা আছে।
তাই আমার প্রতি সদয় হন।
আমি মানসিকভাবে এমন বিপর্যস্ত যে কেঁদে কেঁদে আমার চোখ ব্যথা করছে।
আমার গলা ও পেট জ্বালা করছে।
10 আমার জীবন দুঃখে শেষ হতে চলেছে।
দীর্ঘশ্বাস ফেলতে ফেলতে আমার বছরগুলি কাটছে।
আমার সংকটগুলি আমার সব শক্তিকে কেড়ে নিচ্ছে।
আমার সব শক্তি, আমায় ত্যাগ করছে।[a]
11 শত্রুরা আমায় ঘৃণা করছে।
আমার প্রতিবেশীরাও আমায় ঘৃণা করছে।
সমস্ত আত্মীয়রা আমার সঙ্গে রাস্তায় দেখা করে।
তারা আমাকে ভয় পায় এবং এড়িয়ে চলে।
12 হারিয়ে যাওয়া যন্ত্রপাতির মত
লোকরা আমাকে ভুলে গেছে।
13 লোকরা আমার সম্পর্কে যে সব ভয়ঙ্কর কথা বলে, তা আমি শুনি।
ঐসব লোক আমার বিরুদ্ধে গেছে।
ওরা আমায় মেরে ফেলার চক্রান্ত করেছে।
14 হে প্রভু, আমি আপনাতে আস্থা রাখি।
আপনিই আমার ঈশ্বর।
15 আমার জীবন আপনার হাতে রয়েছে।
আমার শত্রুদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
কিছু লোক আমায় তাড়া করছে।
ওদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
16 দয়া করে আপনার দাসকে অভ্যর্থনা করুন এবং গ্রহণ করুন।
আমার প্রতি সদয় হোন এবং আমাকে রক্ষা করুন!
17 প্রভু, আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করেছি,
তাই আমি হতাশ হবো না,
মন্দ লোকেরা হতাশ হবে।
ওরা নীরবে কবরে যাবে।
18 ঐসব মন্দ লোক নিজেদের সম্পর্কে বড়াই করে
এবং সৎ লোকেদের সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলে।
ঐসব মন্দ লোকেরা প্রচণ্ড উদ্ধত।
কিন্তু যে মুখ দিয়ে ওরা মিথ্যা কথা বলে তা নীরব হয়ে যাবে।
19 হে ঈশ্বর, আপনার অনুগামীদের জন্য আপনি অনেক ভালো জিনিষ বাঁচিয়ে রেখেছেন।
যারা আপনাকে বিশ্বাস করে তাদের জন্য সকলের সামনেই আপনি ভাল কাজ করেন।
20 সৎ লোকদের আঘাত করার জন্য মন্দ লোকরা একসঙ্গে জড় হয়।
ঐসব মন্দ লোক লড়াই শুরু করতে চায়।
কিন্তু আপনি সেই সব সৎ লোকদের লুকিয়ে রাখেন এবং তাদের রক্ষা করেন।
আপনার নিজের আশ্রয়ে আপনি তাদের রক্ষা করেন।
21 প্রভু ধন্য! সারা শহর যখন শত্রুদের দ্বারা বেষ্টিত,
তখন তিনি আমার প্রতি, তাঁর আশ্চর্য করুণা দেখিয়েছেন।
22 আমি ভীত হয়ে বলেছিলাম, “আমি এমন এক জায়গায় রয়েছি সেখানে ঈশ্বরও আমাকে দেখতে পাবেন না।”
কিন্তু হে ঈশ্বর, আপনার সাহায্য চেয়ে আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করেছিলাম এবং আপনি আমার উচ্চস্বরের প্রার্থনা শুনেছিলেন।
23 হে ঈশ্বরের অনুগামীরা, তোমরা অবশ্যই প্রভুকে ভালোবেসো!
যারা প্রভুর প্রতি নিষ্ঠাবান, প্রভু তাদের রক্ষা করেন।
কিন্তু যারা নিজের ক্ষমতা নিয়ে দম্ভ করে প্রভু তাদের শাস্তি দেন।
তারা তাদের প্রাপ্য শাস্তি পায়।
24 তোমরা যারা প্রভুর সাহায্যের জন্য প্রতীক্ষা করছো, তারা সাহসী হও, শক্তিশালী হও!
দায়ূদের একটি গীত।
35 হে প্রভু, আমার বিরোধীপক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করুন!
যারা আমার সঙ্গে যুদ্ধ করেছে তাদের সঙ্গে আপনি যুদ্ধ করুন!
2 প্রভু, ঢাল এবং বর্ম তুলে নিন।
উঠুন এবং আমায় সাহায্য করুন।
3 বর্শা এবং বল্লম হাতে তুলে নিন
এবং যারা আমার বিরুদ্ধে রয়েছে তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করুন।
হে প্রভু আমার আত্মাকে বলুন, “আমি তোমায় উদ্ধার করবো।”
4 কিছু লোক আমাকে হত্যা করতে চাইছে।
ওদের পরাজিত এবং লজ্জিত করুন।
এমন করুন যেন ওরা পিছন ফিরে পালিয়ে যায়।
ওরা আমায় আঘাত করার চক্রান্ত করছে।
ওদের পরাজিত ও নাস্তানাবুদ করে ছাড়ুন।
5 ওদের তুষের মত বাতাসে উড়িয়ে দিন।
প্রভুর দূত যেন ওদের ধাওয়া করে।
6 প্রভু ওদের পথ অন্ধকারময় এবং পিচ্ছিল করে দিন।
প্রভুর দূত যেন ওদের তাড়া করে।
7 আমি ওদের কাছে কোন ভুল কাজ করিনি কিন্তু ঐসব লোক আমাকে ফাঁদে ফেলতে চাইছে।
সম্পূর্ণ বিনা কারণে ওরা আমায় ফাঁদে ফেলতে চাইছে।
8 তাই প্রভু, ওদের নিজেদের ফাঁদেই ওদের ফেলুন।
নিজেদের জালেই ওরা হোঁচট খাক্।
কোন অজানা বিপদ যেন ওদের উপরে বর্তায়।
9 তখন আমি প্রভুতে আনন্দ করবো।
তিনি যখন আমায় উদ্ধার করবেন তখন আমি সুখী হবো।
10 আমার সমস্ত সত্ত্বা দিয়ে আমি বলব, “প্রভু আপনার মত কেউই নেই।
শক্তিশালী লোকেদের হাত থেকে আপনি একজন দুর্বল লোককে বাঁচিয়েছেন।
আপনি একজন দরিদ্র লোককে উদ্ধার করেন
যার কাছ থেকে লোকে চুরি করতে চেষ্টা করে।”
11 একদল মিথ্যা সাক্ষী আমায় আঘাত করবার জন্য পরিকল্পনা করছে।
ওরা আমায় নানা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবে। আমি কিন্তু জানি না ওরা কি বিষয়ে বলছে।
12 আমি কেবলমাত্র ভাল কাজই করেছি।
কিন্তু ওরা আমার প্রতি খারাপ কাজই করবে।
প্রভু, যে রকম ভালো জিনিস আমার প্রাপ্য তা আমায় দিন।
13 যখন ওরা অসুস্থ হয়েছিলো, আমি ওদের জন্য দুঃখ পেয়েছিলাম।
উপবাসের মাধ্যমে আমি সেই দুঃখ প্রকাশ করেছি।
ওদের জন্য প্রার্থনা করে এটাই কি আমার প্রাপ্য?
14 ঐসব লোকদের জন্য আমি দুঃখের পোশাক পরেছিলাম এবং ওদের আমি আমার বন্ধুর মত, এমন কি ভাইয়ের মত দেখেছিলাম।
মায়ের মৃত্যুর পর যে লোকটা কাঁদে আমি তার মতই দুঃখিত ছিলাম।
ওদের দুঃখের কারণে আমি কালো কাপড় পরেছিলাম এবং দুঃখে মাথা নত করে আমি হাঁটাচলা করতাম।
15 কিন্তু যখন আমি একটু ভুল করলাম, ওরা আমায় উপহাস করলো।
ওরা আসলে প্রকৃত বন্ধু ছিল না।
আমি ওদের চিনতামও না, কিন্তু চারিদিক থেকে ওরা আমায় ঘিরেছিল এবং আক্রমণ করেছিল।
16 অত্যন্ত খারাপ ভাষায় ওরা আমায় বিদ্রূপ করেছে।
ওরা আমার বিরুদ্ধে ক্রোধ দেখিয়ে দাঁত কিড়মিড় করে।
17 হে আমার প্রভু, আর কতদিন আপনি এইসব খারাপ ঘটনা ঘটতে শুধুই দেখে যাবেন?
ওরা আমায় ধ্বংস করতে চাইছে।
হে প্রভু, আমার জীবন রক্ষা করুন।
আমার প্রিয় জীবনকে ওদের থেকে রক্ষা করুন। ওরা সিংহের মত হিংস্র।
18 প্রভু মন্দিরের মহাসমাজে আমি আপনার প্রশংসা করবো।
সেই বলবান জনতার সামনে আমি আপনার প্রশংসা করবো।
19 ঐসব শত্রুকে কোন কারণেই আমাকে ঘৃণা করতে অথবা পরাজিত করতে দেবেন না।
আমাকে ওদের বিদ্রূপের পাত্র হতে দেবেন না।
ওদের গোপন পরিকল্পনার জন্য ওরা অবশ্যই শাস্তি পাবে।
20 আমার শত্রুরা প্রকৃতপক্ষে শান্তির জন্য পরিকল্পনা করছে না।
ওরা দেশের শান্তিপ্রিয় লোকদের বিরুদ্ধে অনিষ্টকর কাজ করার জন্য গোপনে পরিকল্পনা করছে।
21 শত্রুরা আমার সম্পর্কে বাজে কথা বলে চলেছে।
ওরা মিথ্যা কথা বলে, ওরা বলে “হ্যাঁ হ্যাঁ জানি, তুমি কি করছো।”
22 হে প্রভু আপনি অবশ্যই দেখতে পাচ্ছেন প্রকৃতপক্ষে কি ঘটছে।
তাই, চুপ করে থাকবেন না।
আমায় ছেড়ে যাবেন না।
23 প্রভু, উঠুন! জাগুন!
হে আমার প্রভু, আমার ঈশ্বর, আমার জন্য লড়াই করুন, আমাকে ন্যায় বিচার দিন।
24 প্রভু, আমার ঈশ্বর, আপনার নিরপেক্ষতা দিয়ে আমার বিচার করুন।
ঐ লোকগুলোকে আমার প্রতি বিদ্রূপ করতে দেবেন না।
25 ওরা যেন বলতে না পারে, “হ্যাঁ! এইতো আমরা যা চেয়েছি, তাই পেয়েছি!”
ওরা যেন বলতে না পারে, “আমরা ওকে ধ্বংস করেছি!”
26 আমি আশা করি, আমার সব শত্রু লজ্জিত ও অপমানিত হবে।
যখন আমার কিছু খারাপ হয়েছিল, তখন ওরা খুব খুশী হয়েছিল।
ওরা ভেবেছিলো ওরা আমার থেকে বেশী ভালো!
তাই, ওই সব লোক যেন লজ্জা ও অবমাননায় ঢেকে যায়।
27 কিছু লোক চায় আমার ভালো হোক্। আমি আশা করি, ওরা প্রচণ্ড সুখী হবে!
ওরা সব সময় বলে, “প্রভু মহান!
যা তাঁর দাসের পক্ষে মঙ্গলকর, তিনি তাই চান।”
28 তাই হে প্রভু, আমি লোকদের বলি, আপনি কত ভাল।
প্রতিদিনই আমি আপনার প্রশংসা করি।
দশটি আজ্ঞা
5 মোশি ইস্রায়েলের সমস্ত লোককে আহ্বান করে তাদের বলেছিলেন, “ইস্রায়েলের লোকরা তোমরা অবশ্যই এই বিধিগুলি শিখবে এবং সেগুলি অনুসরণ করবে। এই বিধিসমুহ শোনো এবং সেগুলো মেনে চলার ব্যাপারে নিশ্চিত থেকো। 2 প্রভু, আমাদের ঈশ্বর হোরেব পর্বতে আমাদের সঙ্গে একটা চুক্তি করেছিলেন। 3 প্রভু এই চুক্তি আমাদের পূর্বপুরুষদের সঙ্গে করেন নি, কিন্তু করেছিলেন আমাদের সঙ্গে। হ্যাঁ, আজ আমরা যারা জীবিত আছি, এই আমাদের সকলের সঙ্গেই করেছিলেন। 4 সেই পর্বতে প্রভু তোমাদের সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলেছিলেন। তিনি তোমাদের সঙ্গে আগুনের মধ্য থেকে কথা বলেছিলেন। 5 কিন্তু তোমরা আগুন থেকে ভীত ছিলে এবং পর্বতের ওপরে যাওনি বলে প্রভু যা বলেছিলেন সেটি তোমাদের বলার জন্য আমি প্রভু ও তোমাদের মাঝখানে দাঁড়িয়েছিলাম। প্রভু বলেছিলেন,
6 “আমি প্রভু তোমাদের ঈশ্বর। তোমরা যেখানে ক্রীতদাস হয়েছিলে সেই মিশর থেকে আমি তোমাদের পথ দেখিয়ে বার করে নিয়ে এসেছিলাম। সুতরাং তোমরা অবশ্যই এই আজ্ঞাগুলো মানবে:
7 “তোমরা অবশ্যই আমাকে ছাড়া অন্য কোনোও দেবতার পূজা করবে না।
8 “তোমরা অবশ্যই কোনো প্রতিমা তৈরী করবে না। আকাশের ওপরের কোনো কিছুর অথবা পৃথিবীর ওপরের কোনো কিছুর অথবা জলের নীচের কোনো কিছুর মূর্ত্তি অথবা ছবি তোমরা তৈরী করবে না। 9 তোমরা অন্য কোনোও প্রকার মূর্ত্তির পূজা অথবা সেবা করবে না। কেন? কারণ আমি প্রভু তোমাদের ঈশ্বর। আমার লোকদের অন্য কোনো দেবতার পূজা করাকে আমি ঘৃণা করি।[a] আমার বিরুদ্ধে যে সব লোক পাপ কাজ করে তারা আমার শত্রুতে পরিণত হয় এবং আমি ঐ সমস্ত লোকদের শাস্তি দেব। আমি তাদের সন্তানদের, তাদের পৌত্র ও পৌত্রীদের এবং এমনকি তাদের প্রপৌত্র, প্রপৌত্রীদেরও শাস্তি দেব। 10 কিন্তু যে সব লোকরা আমাকে ভালবাসে এবং আমার আজ্ঞাগুলো মেনে চলে, হাজার হাজার পুরুষ ধরে আমি তাদের পরিবারের প্রতি আমার বিশ্বস্ত ভালবাসা প্রদর্শন করব!
11 “তোমরা অবশ্যই ভুলভাবে তোমাদের প্রভু ঈশ্বরের নাম ব্যবহার করবে না। যদি কোনো ব্যক্তি ভুলভাবে প্রভুর নাম ব্যবহার করে, তাহলে সেই ব্যক্তি দোষী এবং প্রভু তাকে নিরপরাধী বলে মনে করবেন না।
12 “প্রভু, তোমাদের ঈশ্বর যে রকম আজ্ঞা করেছিলেন, সেই অনুসারে তোমরা অবশ্যই বিশ্রামের দিনটিকে একটি বিশেষ দিন হিসেবে পালন করবে। 13 কর্মস্থানে তোমরা সপ্তাহে ছয়দিন কাজ করবে। 14 কিন্তু প্রভু তোমাদের ঈশ্বরকে সম্মান প্রদর্শনের জন্য সপ্তম দিনটি হল বিশ্রামের দিন, সুতরাং সেই দিনে কোনো ব্যক্তির কাজ করা উচিৎ নয়। তোমরা, তোমাদের পুত্ররা এবং কন্যারা, তোমাদের শহরে বসবাসকারী বিদেশীরা অথবা তোমাদের পুরুষ অথবা স্ত্রী, ক্রীতদাসরা কেউই কাজ করবে না। এমন কি তোমাদের গরুদের, গাধাদের এবং অন্যান্য পশুদেরও কোনো কাজ করা উচিৎ হবে না। ঠিক তোমাদের মতোই তোমাদের ক্রীতদাসরা বিশ্রাম করবে। 15 ভুলো না যে মিশরে তোমরা ক্রীতদাস ছিলে। প্রভু তোমাদের ঈশ্বর তাঁর মহাশক্তির দ্বারা তোমাদের মিশর থেকে বার করে এনেছিলেন। তিনি তোমাদের মুক্ত করেছিলেন। সেই কারণে প্রভু তোমাদের ঈশ্বর, বিশ্রামের দিনটিকে এক বিশেষ দিন হিসেবে পালন করার জন্য আদেশ করেছেন।
16 “ঈশ্বরের আজ্ঞা মত তোমরা অবশ্যই তোমাদের পিতামাতাকে সম্মান জানাবে। তোমরা এই আদেশ অনুসরণ করলে দীর্ঘজীবি হবে এবং প্রভু তোমাদের ঈশ্বর, তোমাদের যে দেশ দিয়েছেন সেই দেশে তোমাদের মঙ্গল হবে।
17 “তোমরা নরহত্যা করো না।
18 “তোমরা ব্যভিচার করো না।
19 “তোমরা চুরি করো না।
20 “তোমরা প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিও না।
21 “তোমরা অবশ্যই অন্য কোনো ব্যক্তির স্ত্রীতে লোভ করবে না। তোমরা অবশ্যই তার বাড়ী, তার শস্যক্ষেত্র, তার পুরুষ দাস অথবা স্ত্রী দাসীকে, তার গরুদের বা গাধাদের অর্থাৎ প্রতিবেশীর অধিকৃত কোনো দ্রব্যসামগ্রীতেই লোভ করবে না।”
লোকরা ঈশ্বর সম্পর্কে ভীত ছিল
22 মোশি বলেছিলেন, “যখন তোমরা সকলে পর্বতে একসঙ্গে এসেছিলে, সেই সময়ে প্রভু তোমাদের সকলকে এই আদেশগুলো দিয়েছিলেন। প্রভু মহারবে আগুনের মধ্য থেকে, মেঘের মধ্য থেকে এবং ঘোর অন্ধকারের মধ্য থেকে কথা বলেছিলেন। আমাদের এই আদেশগুলো দেওয়ার পরে তিনি আর কিছুই বলেন নি। তিনি তাঁর কথাগুলো দুটি পাথরের ফলকের ওপরে লিখেছিলেন এবং সেই গুলো আমাকে দিয়েছিলেন।
মাটির পাত্রে আত্মিক সম্পদ
4 ঈশ্বরের দয়ায় আমরা এই কাজের ভার পেয়েছি, তাই আমরা কখনও নিরাশ হই না; 2 বরং আমরা লজ্জাজনক গোপন কাজ একেবারেই করি না। আমরা কোন চাতুরী করি না, ঈশ্বরের শিক্ষাকে বিকৃত করি না; বরং যা সত্য তা স্পষ্টভাবে বলে ঈশ্বরের সামনে ও প্রতিটি মানুষের বিবেকের কাছে আমাদের সততা প্রকাশ করি। 3 কিন্তু আমরা যে সুসমাচার প্রচার করি তা যদি ঢাকা থাকে, তবে যারা ধ্বংসের পথে চলেছে তাদের কাছেই ঢাকা থেকে যায়। 4 এই যুগের দেবতা অবিশ্বাসীদের মন অন্ধ করেছে, যাতে ঈশ্বরের প্রতিমূর্ত্তি যে খ্রীষ্ট, তাঁর মহিমার সুসমাচারের আলো তারা দেখতে না পায়। 5 আমরা নিজেদের কথা প্রচার করি না, বরং যীশু খ্রীষ্টকে প্রভু বলে প্রচার করছি এবং আমরা যীশুর অনুসারী বলেই নিজেদের যীশুর সেবক বলে দেখিয়ে থাকি। 6 কারণ যে ঈশ্বর বলেছিলেন, “অন্ধকারের মধ্যে থেকে আলোর উদয় হবে!” সেই তিনিই আমাদের অন্তরে ঈশ্বরের জ্ঞানের আলোর মহিমা প্রজ্জ্বলিত করেছিলেন, যে আলো খ্রীষ্টের মুখমণ্ডলেই প্রকাশিত রয়েছে।
7 কিন্তু এই সম্পদ আমরা মাটির পাত্রে অর্থাৎ এই মরণশীল দেহে ধারণ করছি, যাতে বুঝতে পারা যায় যে এই মহাপরাক্রম ঈশ্বরের কাছ থেকেই এসেছে, আমাদের নিজেদের কাছ থেকে আসে নি। 8 আমরা সবদিক দিয়েই নানা কষ্টদায়ক চাপের মধ্যে রয়েছি, কিন্তু ভেঙে পড়ি নি। আমরা জানি না কি করব, অথচ হাল ছেড়ে দিই না। 9 আমরা অত্যাচারিত হলেও ঈশ্বর কখনও আমাদের ছেড়ে দেন না। আমাদের মেরে ধরাশায়ী করে দিলেও আমরা ধ্বংস হচ্ছি না। 10 আমরা সবসময় যীশুর মতোই এই দেহে মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছি, যাতে যীশুর জীবনও আমাদের মর্ত্য দেহে প্রকাশ পায়। 11 আমরা যারা বেঁচে আছি আমাদের সবসময় যীশুর জন্য মৃত্যুর হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে, যেন আমাদের মর্ত্য দেহে যীশুর জীবনও প্রকাশ পায়। 12 এইভাবে আমাদের মধ্যে মৃত্যু এবং তোমাদের মধ্যে জীবন কাজ করে চলেছে।
10 যে সামান্য বিষয়ে বিশ্বস্ত হতে পারে, বড় ব্যাপারেও তাকে বিশ্বাস করা চলে। যে ছোটখাটো বিষয়ে অবিশ্বস্ত, সে বড় বড় বিষয়েও অবিশ্বস্ত হবে। 11 তাই জাগতিক সম্পদ সম্বন্ধে তুমি যদি বিশ্বস্ত না হও, তবে প্রকৃত সত্য সম্পদের বিষয়ে কে তোমাকে বিশ্বাস করবে। 12 অপরের জিনিসের ব্যাপারে তোমাদের যদি বিশ্বাস করা না যায়, তবে তোমাদের যা নিজস্ব সম্পদ তাই বা কে তোমাদের দেবে?
13 “কোন দাস দুজন কর্তার দাসত্ব করতে পারে না, হয় সে একজনকে ঘৃণা করবে ও অন্যজনকে ভালবাসবে, অথবা একজনের অনুগত হয়ে অন্য জনকে তুচ্ছ করবে। তোমরা ঈশ্বর ও ধন-সম্পদ উভয়েরই দাসত্ব করতে পার না।”
ঈশ্বরের বিধি-ব্যবস্থা অপরিবর্তনীয়
(মথি 11:12-13)
14 অর্থলোভী ফরীশীরা যীশুর এইসব কথা শুনে যীশুকে ব্যঙ্গ করতে লাগল। 15 তখন যীশু তাদের বললেন, “তোমরা সেই রকম লোক, যারা লোকচক্ষে নিজেদের খুব ধার্মিক বলে জাহির করে থাকে, কিন্তু তোমাদের অন্তরে কি আছে ঈশ্বর তা জানেন। মানুষের চোখে যা মহান, ঈশ্বরের দৃষ্টিতে তা ঘৃন্য।
16 “যোহন বাপ্তাইজকের সময় পর্যন্ত বিধি-ব্যবস্থা ও ভাববাদীদের শিক্ষার প্রচলন ছিল। তারপর থেকে ঈশ্বরের রাজ্যের বিষয় সুসমাচার প্রচার করা শুরু হয়েছে। আর সেই রাজ্যে প্রবেশ করার জন্য সবাই প্রবলভাবে চেষ্টা করছে। 17 তবে বিধি-ব্যবস্থার এক বিন্দু বাদ পড়ার চেয়ে বরং আকাশ ও পৃথিবীর লোপ পাওয়া সহজ।
বিবাহ বিচ্ছেদ ও পুনর্বিবাহ
18 “যে কেউ নিজের স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করে অন্য কোন স্ত্রীলোককে বিয়ে করে, সে ব্যভিচার করে; আর যে সেই পরিত্যক্তা স্ত্রীকে বিয়ে করে সেও ব্যভিচার করে।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International